Upgrade to Pro

  • যে কোন সম্পর্কে আমার কাছে সবচেয়ে সুন্দর ব্যাপার হলো দুজন মানুষের একসাথে কথোপকথনের মুহূর্তটা। এটা কাব্য, কবিতা, গান, উপন্যাসের প্রিয় লাইন কিংবা খুব প্রেমময়ী কিছু হতে হবে এরকম না। রোজনামচা জীবনের সাধারণ কথোপকথন।

    একে অপরের সম্পর্কে জানা, স্বপ্নগুলো সম্পর্ক জানা, তার একান্তই দুঃখবোধের সাথে পরিচয় হওয়া, ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা, মাস শেষে শূন্য পকেটের যাযাবর জীবন, নিজেদের ভেতরকার দূরুত্ব কিংবা সাধারণ সাংসারিক কথাবার্তা। এই যে প্রেম- ভালোবাসা কিংবা আবেগপূর্ন হাওয়ায় ভাসানো স্বপ্নের বাহিরে আমাদের রোজনামচা জীবনের এই কথাগুলো জানা, বলতে পারা, বুঝতে পারা এগুলোই জীবনের সবচেয়ে কাল্ট মোমেন্টস।

    আমাদের সুখের গল্প কিংবা হাওয়ায় ভাসানো প্রেমময় কথা বলার জন্য অনেক মানুষই থাকে কিংবা জীবনে এরকম অনেকেই আসে। কিন্তু আমাদের জীবনের সমস্যাগুলোর কথা শুনবে, স্বপ্নগুলো সম্পর্কে জানবে এবং আমাদের একান্তই দুঃখবোধের সাথে পরিচয় হয়ে একটুখানি ভরসা হয়ে পাশে থাকবে, আমাদের পরিস্থিতিগুলো কিছুটা আমাদের মতো করে বুঝবে এমন মানুষ আমাদের জীবনে খুব কমই আসে। আর একসময় তারাও বিরক্ত কিংবা ক্লান্ত হয়ে পাশে থাকার বদলে দূরুত্বটাকেই বেছে নেয়।

    মানুষ কথা বলতে চায়, মন খুলে নিজের কথাগুলো কাউকে না কাউকে জানাতে চায়। শুধু কথা বলে জীবনের অর্ধেক সমস্যা সমাধান করা যায়। শুধু প্রয়োজন হয় সেই কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনা এবং বুঝতে পারার মতো একটা নির্দিষ্ট মানুষের। মতের অমিল থাকতে পারে, পছন্দের হের- ফের হতে পারে তবুও একসাথে বসে কথা বলে নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ এরকম একটা মুহূর্ত বাঁচিয়ে রাখার।

    লেখক- মেহেদী হাসান শুভ্র
    #কবিতা–poem
    যে কোন সম্পর্কে আমার কাছে সবচেয়ে সুন্দর ব্যাপার হলো দুজন মানুষের একসাথে কথোপকথনের মুহূর্তটা। এটা কাব্য, কবিতা, গান, উপন্যাসের প্রিয় লাইন কিংবা খুব প্রেমময়ী কিছু হতে হবে এরকম না। রোজনামচা জীবনের সাধারণ কথোপকথন। একে অপরের সম্পর্কে জানা, স্বপ্নগুলো সম্পর্ক জানা, তার একান্তই দুঃখবোধের সাথে পরিচয় হওয়া, ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা, মাস শেষে শূন্য পকেটের যাযাবর জীবন, নিজেদের ভেতরকার দূরুত্ব কিংবা সাধারণ সাংসারিক কথাবার্তা। এই যে প্রেম- ভালোবাসা কিংবা আবেগপূর্ন হাওয়ায় ভাসানো স্বপ্নের বাহিরে আমাদের রোজনামচা জীবনের এই কথাগুলো জানা, বলতে পারা, বুঝতে পারা এগুলোই জীবনের সবচেয়ে কাল্ট মোমেন্টস। আমাদের সুখের গল্প কিংবা হাওয়ায় ভাসানো প্রেমময় কথা বলার জন্য অনেক মানুষই থাকে কিংবা জীবনে এরকম অনেকেই আসে। কিন্তু আমাদের জীবনের সমস্যাগুলোর কথা শুনবে, স্বপ্নগুলো সম্পর্কে জানবে এবং আমাদের একান্তই দুঃখবোধের সাথে পরিচয় হয়ে একটুখানি ভরসা হয়ে পাশে থাকবে, আমাদের পরিস্থিতিগুলো কিছুটা আমাদের মতো করে বুঝবে এমন মানুষ আমাদের জীবনে খুব কমই আসে। আর একসময় তারাও বিরক্ত কিংবা ক্লান্ত হয়ে পাশে থাকার বদলে দূরুত্বটাকেই বেছে নেয়। মানুষ কথা বলতে চায়, মন খুলে নিজের কথাগুলো কাউকে না কাউকে জানাতে চায়। শুধু কথা বলে জীবনের অর্ধেক সমস্যা সমাধান করা যায়। শুধু প্রয়োজন হয় সেই কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনা এবং বুঝতে পারার মতো একটা নির্দিষ্ট মানুষের। মতের অমিল থাকতে পারে, পছন্দের হের- ফের হতে পারে তবুও একসাথে বসে কথা বলে নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ এরকম একটা মুহূর্ত বাঁচিয়ে রাখার।❤️ লেখক- মেহেদী হাসান শুভ্র #কবিতা–poem
    Love
    2
    1 Comments ·390 Views ·0 Reviews
  • ভালোবাসুন তবে খুব অল্প সংখ্যক মানুষকে যারা আপনার ভালোবাসার মূল্য দিতে জানে।

    উপন্যাসের উপসংহার
    ভালোবাসুন তবে খুব অল্প সংখ্যক মানুষকে যারা আপনার ভালোবাসার মূল্য দিতে জানে। উপন্যাসের উপসংহার
    Love
    Like
    17
    ·821 Views ·0 Reviews
  • প্রায়োরিটি দেন সমস্যা নাই. কিন্তু ওভার প্রায়োরিটি দিয়েন না, অতিরিক্ত প্রায়েরিটিতে মানুষ বিরক্তবোধ ফিল করে।

    উপন্যাসের উপসংহার
    প্রায়োরিটি দেন সমস্যা নাই. কিন্তু ওভার প্রায়োরিটি দিয়েন না, অতিরিক্ত প্রায়েরিটিতে মানুষ বিরক্তবোধ ফিল করে। উপন্যাসের উপসংহার
    Like
    Love
    4
    ·314 Views ·0 Reviews
  • #jonosathi #viral #foryou #trending #vairal

    ছোট গল্প - দিয়াশলাই

    তিন অপরাধীকে চার বছরের কারাভোগের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিচারক তাদের প্রতি সদয় হয়ে তাদের একটা সুযোগ করে দিলেন। তাদেরকে বললেন জেলখানায় সময় কাটানোর জন্য তারা চাইলে সঙ্গে কিছু নিতে পারবে। প্রথম অপরাধী সঙ্গে নিল একটা খাতা আর কলম। দ্বিতীয়জন সঙ্গে নিল একটা রেডিও। আর তৃতীয়জন নিল বিশাল এক বাক্স সিগারেট।
    পাঁচ বছর পর প্রথমজন যখন বেরিয়ে এল, তখন দেখা গেল, জেলখানায় তার সময় ভালোই কেটেছে। জেলের জীবন নিয়ে সে একটা উপন্যাস লিখে ফেলেছে। দ্বিতীয়জনও আছে বেশ ভাল সময় পার করেছে। জেলখানায় রেডিওতে গান শুনে তার চমৎকার সময় কেটেছে।
    তৃতীয়জন বেরিয়ে এল বিধ্বস্ত অবস্থায়। চুল উসকোখুসকো, উন্মাদপ্রায় । বাক্সভর্তি সিগারেট হাতে নিয়ে সে কাতরস্বরে বলল, ‘কারও কাছে একটা দিয়াশলাই হবে?’
    #jonosathi #viral #foryou #trending #vairal ছোট গল্প - দিয়াশলাই তিন অপরাধীকে চার বছরের কারাভোগের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিচারক তাদের প্রতি সদয় হয়ে তাদের একটা সুযোগ করে দিলেন। তাদেরকে বললেন জেলখানায় সময় কাটানোর জন্য তারা চাইলে সঙ্গে কিছু নিতে পারবে। প্রথম অপরাধী সঙ্গে নিল একটা খাতা আর কলম। দ্বিতীয়জন সঙ্গে নিল একটা রেডিও। আর তৃতীয়জন নিল বিশাল এক বাক্স সিগারেট। পাঁচ বছর পর প্রথমজন যখন বেরিয়ে এল, তখন দেখা গেল, জেলখানায় তার সময় ভালোই কেটেছে। জেলের জীবন নিয়ে সে একটা উপন্যাস লিখে ফেলেছে। দ্বিতীয়জনও আছে বেশ ভাল সময় পার করেছে। জেলখানায় রেডিওতে গান শুনে তার চমৎকার সময় কেটেছে। তৃতীয়জন বেরিয়ে এল বিধ্বস্ত অবস্থায়। চুল উসকোখুসকো, উন্মাদপ্রায় । বাক্সভর্তি সিগারেট হাতে নিয়ে সে কাতরস্বরে বলল, ‘কারও কাছে একটা দিয়াশলাই হবে?’
    Love
    Like
    9
    2 Comments ·254 Views ·0 Reviews
  • **উপন্যাসঃ তার পর !**
    **অধ্যায়ঃ ০৩**
    “দোস্ত, আমাদের একটা সুন্দর ছবি তুলে দে। ছেলে-মেয়েদের দেখাবো, যেন বলতে পারি—তোর বাবা এক সময় কতটা রোমান্টিক ছিল।”
    নাঈমের কণ্ঠে একধরনের স্নিগ্ধ উচ্ছ্বাস, আর পাশে বসে থাকা রুহির গাল রঙ বদলাচ্ছিল লাজে।
    আমার হাতে আইফোন ১৫ প্রো। ক্যামেরাটা যেন মুহূর্তের ভেতর গল্প বলে দেয়।
    আমি ছবি তুলতে তুলতে গাইড করতে থাকি, “নাঈম, তোর ডান হাতটা ওর কাঁধে রাখ।”
    ও একটু অস্বস্তিতে হেসে নিল, তবু আমার কথা মেনে নিল।
    ওদের সম্পর্কটা ভার্চুয়াল পরিধি ছাড়িয়ে আজ বাস্তবের আলোয় ধরা দিয়েছে।
    এটাই প্রথম দেখা—একটা মিষ্টি টেনশন, একটা অপূর্ণতার ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে দুজনের চোখে-মুখে।
    আমি রুহিকে বললাম, “আপনার মাথাটা ওর বুকে রাখেন।”
    স্কুলে থাকতে ছবি তোলার জন্য আমাকে সবাই ‘মাস্টার’ বলত। আজ সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগল। ছবিগুলো যেন নিখুঁত মুহূর্তের ছাপ হয়ে রয়ে গেল।
    ছবি তুলতে তুলতে দুপুর হয়ে এলো।
    রুহির চেহারায় তখন ক্ষুধার ছাপ স্পষ্ট।
    নাঈম ওয়েটার ডাকল। মাথায় ক্যাপ, চোখে সানগ্লাস, গায়ের রং শ্যামলা, হালকা স্থূল। পোশাক-আশাকে স্পষ্ট সে এই রেস্টুরেন্টের কর্মী।
    ভদ্রভাবে জিজ্ঞেস করল, “আপনারা কী নিতে চান, স্যার?”
    নাঈম মেনু চাইল। আমাকে জিজ্ঞেস করল, “তুই কী খাবি?”
    আমি রুহির দিকে তাকিয়ে বললাম, “ভাবি যা খাবেন, আমিও তাই।”
    নাঈম রুহিকে জিজ্ঞেস করলে সে মৃদু হেসে বলল, “তুমি যা খাবে, আমিও তাই খাব। খরচ কম করো, বেশি দরকার নেই।”
    আমি অবাক হয়ে গেলাম।
    সাধারণত মেয়েরা রেস্টুরেন্টে এসে যতটা না খায়, তার চেয়ে বেশি পকেট ঝালিয়ে নেয়। কিন্তু এই মেয়ে ঠিক উল্টোটা বলছে!
    আমার বন্ধুটি খুব আবেগী। প্রেমে পড়া তার স্বভাবে ছিল না।
    তবু কীভাবে যেন রুহির প্রেমে জড়িয়ে পড়েছে—অদ্ভুত এক মায়া।
    আমি সবকিছুকে যুক্তির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিচার করি।
    শুরু থেকেই বুঝেছিলাম, এই সম্পর্ক শেষমেশ টিকবে না। রাজশাহী আর ভোলার দূরত্ব, আর তার সঙ্গে বাস্তব জীবনের সীমাবদ্ধতা—সবই বলছিল, এই প্রেম বাস্তবের মাটিতে দাঁড়াবে না।
    তবু বন্ধুর আবেগ দেখে একসময় আমিও আশাবাদী হয়ে উঠেছিলাম।
    এতক্ষণে অর্ডার দেওয়া হলো—Chicken Spring Roll দুইটা।
    আমি বললাম, “তিনটা দে, আমরা তো তিনজন।”
    নাঈমের চোখের ভাঁজে কিছুটা সংকোচ চোখে পড়ল। বুঝলাম, ওর পকেটে খুব বেশি টাকা নেই। তবু রুহিকে বুঝতে দিচ্ছে না।
    ওয়েটার চলে গেল।
    ওকে দেখে কেন যেন একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। কোথাও যেন আগে দেখেছি—ঠিক মনে পড়ছে না।
    পৃথিবীটা গোল, হয়তো কোথাও দেখা হয়ে যেতেও পারে।
    খাবার এসে গেল। আমাকে আলাদা একটা প্লেট দিল, ওরা দুজনে একটাতে খেতে শুরু করল।
    আমার ভিতরে এক ধরনের অস্বস্তি কাজ করছিল।
    তবে সে অস্বস্তির মাঝেই এক অপূর্ব দৃশ্য ফুটে উঠল।
    নাঈম এক টুকরো খাবার তুলে দিল রুহির মুখে।
    রুহি চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে রইল।
    ওদের চাহনির গভীরতায় আমি যেন নিজেই হারিয়ে যাচ্ছিলাম।
    আমার মনে হচ্ছিল, সারাজীবন শুধু অন্যের প্রেম দেখেই কাটিয়ে দেব নাকি?
    কোথাও কি আমার জন্যও এমন কেউ অপেক্ষা করছে না?
    যার চোখে চোখ রাখলে বুক কেঁপে উঠবে? যাকে ঘিরে থাকবে হারানোর ভয়।
    ভালোবাসা মানেই তো সেই ভয়—হারিয়ে ফেলার ভয়। আর সেই ভয় না থাকলে, ভালোবাসাও টেকে না।
    আমি কাশলাম। ওরা দুজনেই লজ্জায় রাঙা হয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতে লাগল।
    আমিও হাসলাম।
    ঠিক তখনই নাঈমের ফোনে অচেনা নম্বর থেকে কল আসে।
    ও ফোনটা কানে নিতেই ওপাশ থেকে একটা কণ্ঠ—
    “তোমার নাম কী? তুমি কোথায় থাকো?”
    নাঈম থমকে যায়।
    “আপনি কে? কোনো ভূমিকা না দিয়েই পরিচয় চাইছেন?”
    ওর চোখে চিন্তার রেখা ফুটে ওঠে।
    আমি নম্বরটা দেখতে চাইলাম। নম্বরটা শেষ হচ্ছিল ২০ দিয়ে।
    রুহি হঠাৎ ফিসফিসিয়ে বলল,
    “ফোনটা কেটে দাও! এটা আমার ভাইয়ার নম্বর!”
    আমরা সবাই স্তব্ধ হয়ে গেলাম।
    নাঈম ধীরে ফোনটা কেটে রাখল।
    আর আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম—এই গল্পটা কি এখানেই শেষ, না কি শুরু হলো নতুন কোনো অধ্যায়?
    Writer: #rifat_pir
    #চলব
    এরকম আরো গল্প করতে ফেসবুকে আমাকে F O L L O W (https://www.facebook.com/profile.php?id=61575602968495) করুন
    **উপন্যাসঃ তার পর !** **অধ্যায়ঃ ০৩** “দোস্ত, আমাদের একটা সুন্দর ছবি তুলে দে। ছেলে-মেয়েদের দেখাবো, যেন বলতে পারি—তোর বাবা এক সময় কতটা রোমান্টিক ছিল।” নাঈমের কণ্ঠে একধরনের স্নিগ্ধ উচ্ছ্বাস, আর পাশে বসে থাকা রুহির গাল রঙ বদলাচ্ছিল লাজে। আমার হাতে আইফোন ১৫ প্রো। ক্যামেরাটা যেন মুহূর্তের ভেতর গল্প বলে দেয়। আমি ছবি তুলতে তুলতে গাইড করতে থাকি, “নাঈম, তোর ডান হাতটা ওর কাঁধে রাখ।” ও একটু অস্বস্তিতে হেসে নিল, তবু আমার কথা মেনে নিল। ওদের সম্পর্কটা ভার্চুয়াল পরিধি ছাড়িয়ে আজ বাস্তবের আলোয় ধরা দিয়েছে। এটাই প্রথম দেখা—একটা মিষ্টি টেনশন, একটা অপূর্ণতার ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে দুজনের চোখে-মুখে। আমি রুহিকে বললাম, “আপনার মাথাটা ওর বুকে রাখেন।” স্কুলে থাকতে ছবি তোলার জন্য আমাকে সবাই ‘মাস্টার’ বলত। আজ সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগল। ছবিগুলো যেন নিখুঁত মুহূর্তের ছাপ হয়ে রয়ে গেল। ছবি তুলতে তুলতে দুপুর হয়ে এলো। রুহির চেহারায় তখন ক্ষুধার ছাপ স্পষ্ট। নাঈম ওয়েটার ডাকল। মাথায় ক্যাপ, চোখে সানগ্লাস, গায়ের রং শ্যামলা, হালকা স্থূল। পোশাক-আশাকে স্পষ্ট সে এই রেস্টুরেন্টের কর্মী। ভদ্রভাবে জিজ্ঞেস করল, “আপনারা কী নিতে চান, স্যার?” নাঈম মেনু চাইল। আমাকে জিজ্ঞেস করল, “তুই কী খাবি?” আমি রুহির দিকে তাকিয়ে বললাম, “ভাবি যা খাবেন, আমিও তাই।” নাঈম রুহিকে জিজ্ঞেস করলে সে মৃদু হেসে বলল, “তুমি যা খাবে, আমিও তাই খাব। খরচ কম করো, বেশি দরকার নেই।” আমি অবাক হয়ে গেলাম। সাধারণত মেয়েরা রেস্টুরেন্টে এসে যতটা না খায়, তার চেয়ে বেশি পকেট ঝালিয়ে নেয়। কিন্তু এই মেয়ে ঠিক উল্টোটা বলছে! আমার বন্ধুটি খুব আবেগী। প্রেমে পড়া তার স্বভাবে ছিল না। তবু কীভাবে যেন রুহির প্রেমে জড়িয়ে পড়েছে—অদ্ভুত এক মায়া। আমি সবকিছুকে যুক্তির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিচার করি। শুরু থেকেই বুঝেছিলাম, এই সম্পর্ক শেষমেশ টিকবে না। রাজশাহী আর ভোলার দূরত্ব, আর তার সঙ্গে বাস্তব জীবনের সীমাবদ্ধতা—সবই বলছিল, এই প্রেম বাস্তবের মাটিতে দাঁড়াবে না। তবু বন্ধুর আবেগ দেখে একসময় আমিও আশাবাদী হয়ে উঠেছিলাম। এতক্ষণে অর্ডার দেওয়া হলো—Chicken Spring Roll দুইটা। আমি বললাম, “তিনটা দে, আমরা তো তিনজন।” নাঈমের চোখের ভাঁজে কিছুটা সংকোচ চোখে পড়ল। বুঝলাম, ওর পকেটে খুব বেশি টাকা নেই। তবু রুহিকে বুঝতে দিচ্ছে না। ওয়েটার চলে গেল। ওকে দেখে কেন যেন একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। কোথাও যেন আগে দেখেছি—ঠিক মনে পড়ছে না। পৃথিবীটা গোল, হয়তো কোথাও দেখা হয়ে যেতেও পারে। খাবার এসে গেল। আমাকে আলাদা একটা প্লেট দিল, ওরা দুজনে একটাতে খেতে শুরু করল। আমার ভিতরে এক ধরনের অস্বস্তি কাজ করছিল। তবে সে অস্বস্তির মাঝেই এক অপূর্ব দৃশ্য ফুটে উঠল। নাঈম এক টুকরো খাবার তুলে দিল রুহির মুখে। রুহি চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে রইল। ওদের চাহনির গভীরতায় আমি যেন নিজেই হারিয়ে যাচ্ছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল, সারাজীবন শুধু অন্যের প্রেম দেখেই কাটিয়ে দেব নাকি? কোথাও কি আমার জন্যও এমন কেউ অপেক্ষা করছে না? যার চোখে চোখ রাখলে বুক কেঁপে উঠবে? যাকে ঘিরে থাকবে হারানোর ভয়। ভালোবাসা মানেই তো সেই ভয়—হারিয়ে ফেলার ভয়। আর সেই ভয় না থাকলে, ভালোবাসাও টেকে না। আমি কাশলাম। ওরা দুজনেই লজ্জায় রাঙা হয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতে লাগল। আমিও হাসলাম। ঠিক তখনই নাঈমের ফোনে অচেনা নম্বর থেকে কল আসে। ও ফোনটা কানে নিতেই ওপাশ থেকে একটা কণ্ঠ— “তোমার নাম কী? তুমি কোথায় থাকো?” নাঈম থমকে যায়। “আপনি কে? কোনো ভূমিকা না দিয়েই পরিচয় চাইছেন?” ওর চোখে চিন্তার রেখা ফুটে ওঠে। আমি নম্বরটা দেখতে চাইলাম। নম্বরটা শেষ হচ্ছিল ২০ দিয়ে। রুহি হঠাৎ ফিসফিসিয়ে বলল, “ফোনটা কেটে দাও! এটা আমার ভাইয়ার নম্বর!” আমরা সবাই স্তব্ধ হয়ে গেলাম। নাঈম ধীরে ফোনটা কেটে রাখল। আর আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম—এই গল্পটা কি এখানেই শেষ, না কি শুরু হলো নতুন কোনো অধ্যায়? Writer: #rifat_pir #চলবে এরকম আরো গল্প করতে ফেসবুকে আমাকে F O L L O W (https://www.facebook.com/profile.php?id=61575602968495) করুন
    Love
    Like
    Sad
    8
    ·118 Views ·0 Reviews
  • _উপন্যাসের শেষ পাতায় আমি ছিলাম,
    কিন্তু গল্পটা থেমেছিল না -
    বাস্তবতা তার নিজের মতো করে
    শেষ টুকু লিখে নিয়েছিল।
    #caption
    _উপন্যাসের শেষ পাতায় আমি ছিলাম, কিন্তু গল্পটা থেমেছিল না - বাস্তবতা তার নিজের মতো করে শেষ টুকু লিখে নিয়েছিল। #caption
    Like
    Love
    4
    ·84 Views ·0 Reviews
  • _দেহের ভেতর অন্তরালে মনের ভেতর কারো বাস মৃত্যু টা তো ছোট গল্প
    বেঁচে থাকাটায় উপন্যাস,,
    _দেহের ভেতর অন্তরালে মনের ভেতর কারো বাস মৃত্যু টা তো ছোট গল্প বেঁচে থাকাটায় উপন্যাস,,💔
    Love
    Like
    Haha
    Angry
    6
    1 Comments ·122 Views ·0 Reviews
  • আপনারা চাইলে আমি আপনাদের জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর উপন্যাস লিখব। এবং আমার নিজের জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে এরকম কিছু উপন্যাস আমি লিখেছি। আপনারা চাইলে আমি সেগুলো এখানে আপলোড করব
    আপনারা চাইলে আমি আপনাদের জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর উপন্যাস লিখব। এবং আমার নিজের জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে এরকম কিছু উপন্যাস আমি লিখেছি। আপনারা চাইলে আমি সেগুলো এখানে আপলোড করব
    Love
    Like
    7
    ·85 Views ·0 Reviews
  • আপনারা আমার পেইজটি ফলো করতে পারেন সেখানে অনেক নতুন উপন্যাস আপলোড করা হবে।
    আপনারা আমার পেইজটি ফলো করতে পারেন সেখানে অনেক নতুন উপন্যাস আপলোড করা হবে।
    Love
    Like
    9
    ·107 Views ·0 Reviews
  • আপনারা কি চান যে আমি আপনাদের জন্য নিয়মিত এখানে লেখালেখি করি। যেমন উপন্যাস মনোবিজ্ঞান। দার্শনিক এই সমস্ত জিনিসপত্র আপনার কি করতে ইচ্ছুক। তাহলে আমাকে জানান
    আপনারা কি চান যে আমি আপনাদের জন্য নিয়মিত এখানে লেখালেখি করি। যেমন উপন্যাস মনোবিজ্ঞান। দার্শনিক এই সমস্ত জিনিসপত্র আপনার কি করতে ইচ্ছুক। তাহলে আমাকে জানান
    Love
    Like
    5
    ·73 Views ·0 Reviews
  • আসলে জানেন তো, আমরা অনেক সময় ভেবে নিই—কাউকে খুব কাছে পেলেই, তাদের জীবনেও আমাদের অবস্থান ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে, আমরা অনেক সময়ই শুধু তাদের জীবনের একটি “সময় পার করার” চরিত্র মাত্র।

    আমরা মনে করি, আমাদের না থাকলে তাদের জীবন থমকে যাবে। ভাবি, আমাদের জায়গাটা তারা কখনোই কাউকে দেবে না। কিন্তু বাস্তব বলছে—তারা দিব্যি কাটিয়ে দেয়, হাসে, আনন্দ করে অন্য সঙ্গীদের সঙ্গে। আমরা যাদের গুরুত্ব দিই, ভালোবাসি, সবকিছু ভাগ করে নিই—তারাই হয়ত আমাদের জায়গাটা অন্য কাউকে দিয়ে দেয় সহজেই।

    সব সম্পর্কেই সমতা থাকে না। আমরা যাদের নিজের ভাবি, তারা হয়ত কখনোই আমাদের ততটা আপন ভাবে না। আমরা হয়ত তাদের গল্পের এক ছোট অধ্যায়, কিন্তু তারা আমাদের পুরো উপন্যাস জুড়ে।

    এটাই হয়ত কিছু সম্পর্কের সবচেয়ে কষ্টের কিন্তু নিখুঁত বাস্তবতা।
    আসলে জানেন তো, আমরা অনেক সময় ভেবে নিই—কাউকে খুব কাছে পেলেই, তাদের জীবনেও আমাদের অবস্থান ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে, আমরা অনেক সময়ই শুধু তাদের জীবনের একটি “সময় পার করার” চরিত্র মাত্র। আমরা মনে করি, আমাদের না থাকলে তাদের জীবন থমকে যাবে। ভাবি, আমাদের জায়গাটা তারা কখনোই কাউকে দেবে না। কিন্তু বাস্তব বলছে—তারা দিব্যি কাটিয়ে দেয়, হাসে, আনন্দ করে অন্য সঙ্গীদের সঙ্গে। আমরা যাদের গুরুত্ব দিই, ভালোবাসি, সবকিছু ভাগ করে নিই—তারাই হয়ত আমাদের জায়গাটা অন্য কাউকে দিয়ে দেয় সহজেই। সব সম্পর্কেই সমতা থাকে না। আমরা যাদের নিজের ভাবি, তারা হয়ত কখনোই আমাদের ততটা আপন ভাবে না। আমরা হয়ত তাদের গল্পের এক ছোট অধ্যায়, কিন্তু তারা আমাদের পুরো উপন্যাস জুড়ে। এটাই হয়ত কিছু সম্পর্কের সবচেয়ে কষ্টের কিন্তু নিখুঁত বাস্তবতা।
    Love
    Like
    8
    2 Comments ·125 Views ·0 Reviews
  • এই সোশ্যাল মিডিয়াটি খুবই দুর্দান্ত। আমি নিয়মিত ফেসবুকে লেখালেখি করি। এই সোশ্যাল মিডিয়া টিপে আমি খুবই খুশি। আপনারা যদি চান আমি নিয়মিত এখানে গল্প উপন্যাস এবং আমার বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি
    এই সোশ্যাল মিডিয়াটি খুবই দুর্দান্ত। আমি নিয়মিত ফেসবুকে লেখালেখি করি। এই সোশ্যাল মিডিয়া টিপে আমি খুবই খুশি। আপনারা যদি চান আমি নিয়মিত এখানে গল্প উপন্যাস এবং আমার বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি
    Like
    Love
    Haha
    Angry
    13
    ·125 Views ·0 Reviews
More Results
Jono Sathi - Bangladeshi Social Media Platform https://jonosathi.com