Upgrade to Pro

  • ভুতের মুভি ক্লিপ
    ইন জয় করো
    #bhoot er move #vairal #Jonosathi #trendingmove
    ভুতের মুভি ক্লিপ 👻💀👽 ইন জয় করো #bhoot er move #vairal #Jonosathi #trendingmove
    ·139 Views ·0 Plays ·0 Reviews
  • ঘটনাটা আজ থেকে প্রায় ত্রিশ বছর আগের, তখনকার গ্রামের পরিবেশ আজকের মতো ছিল না। সন্ধ্যা নামলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যেত চারপাশ। আলো-আঁধারির খেলায় পথঘাট হয়ে উঠত আরও রহস্যময়। আবুল কালাম চাচা তখন নতুন মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছেন, বয়স বারো।

    সেদিন ছিল একেবারে সাধারণ সন্ধ্যা। মাগরিবের নামাজ শেষে চাচা মসজিদ থেকে ফিরছিলেন মাদ্রাসার দিকে। পায়ে হেঁটে ফিরছিলেন, কারণ মসজিদ আর মাদ্রাসার দূরত্ব বেশি না, বড়জোর দশ মিনিটের পথ। তবে মাঝখানে পড়ে একটা পুরনো শ্মশানঘাট। দিনের বেলায়ও এলাকাবাসী সেদিকে যেত না, আর সন্ধ্যায় তো কথাই নেই।

    সন্ধ্যার সেই গা ছমছমে সময়ে হঠাৎ শুরু হয় ঝিরঝির বৃষ্টি। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে সোঁদা গন্ধ। চারদিক নিস্তব্ধ হয়ে যায় যেন। চাচা তখন শ্মশানঘাটের কাছাকাছি। হঠাৎ তিনি শুনলেন, কোথাও থেকে হুক্কা হুয়া করে এক অদ্ভুত শব্দ ভেসে আসছে। শীতল হাওয়ার মাঝে সেই ডাক যেন হৃদয় ছিঁড়ে দিচ্ছে। চাচা ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেন। দেখলেন, অন্ধকারের মধ্যে একটা শেয়াল দাঁড়িয়ে আছে। চোখ দুটো জ্বলজ্বল করছে, যেন আগুন।

    ভয় পেয়ে যাননি চাচা, কারণ গ্রামে শেয়াল দেখা যায় মাঝেমধ্যেই। কিন্তু ব্যাপারটা অস্বাভাবিক হয়ে দাঁড়াল যখন শেয়ালটা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে হুক্কা হুয়া করে ডাকতে থাকল। আরেকটু তাকিয়ে চাচা বুঝলেন, ওটা কোনো সাধারণ শেয়াল নয়। হঠাৎ সে যেন মানুষের মতো দাঁড়াল! এরপর কি মনে করে চাচা রাস্তার পাশে পড়ে থাকা শুকনো ডালটা তুলে ছুঁড়ে মারলেন তার দিকে। ডাল টি সোজা গিয়ে শেয়ালের কপালে গিয়ে পড়ে,শেয়ালটা চিতকার করে কেঁদে উঠলো মানুষের মতো!
    শেয়ালটা আর একটুও না নড়ে শুধু একটানা তাকিয়ে রইল। তারপর হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেল। যেন কিছুই ছিল না!

    চাচা মাদ্রাসায় ফিরে এলেন। তখন রাত প্রায় দুইটা। ঘুম আসছিল না, চাচার টয়লেট চাপে। মাদ্রাসার টয়লেট ছিল আলাদা একটি ঝাঁপসা ঘরে, পেছনের দিকে।তাই টয়লেটে গেলেন। সেই সময়ে বৃষ্টি আরও বেড়েছে। ছাউনির টিনে টুপটাপ শব্দ পড়ছে।
    চাচা ঢুকেই টের পান—টয়লেটের ভেতরে কেউ আছে। কিন্তু দরজা তো খালি ছিল!

    টয়লেটে ঢুকে দরজা বন্ধ করলেন। তারপর হঠাৎই অনুভব করলেন, কেউ যেন পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। চারদিকে তাকালেন, কিছুই নেই। কিন্তু বাতাস ঠান্ডা হয়ে গেছে।

    কি মনে করে চাচা উপরের দিকে চোখ পড়তেই চাচার দম বন্ধ হয়ে এল। টিনের ওপর দেখা গেল একটা কাটা মাথা। চুলগুলো যেন ঝুলে পড়ে মেঝে পর্যন্ত এসে ঠেকেছে। লাল চোখে তাকিয়ে আছে সোজা চাচার দিকে। ঠোঁট নড়ছে— "তুই আমাকে আঘাত করেছিলি। শোধ আমি নেবই।" চাচা চিৎকার করে উঠলেন। হুজুর আর ছাত্ররা এসে দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করলেন। কিন্তু চাচা তখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলেন।

    এই ঘটনার পরে চাচা বাড়িতে ফিরে এলেন। পরিবার ভেবেছিল এই দুঃস্বপ্নটা শেষ হয়েছে। কয়েক মাস পর ঠিক হলো চাচার বিয়ে। সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। মেয়ে দেখা হয়েছে, পছন্দ হয়েছে। বিয়ের দিনটা এলো। গায়ে হলুদের দিন, চাচা একা একা বসে ছিলেন। হঠাৎ একটা চিঠি পেলেন। খাম ছাড়া চিঠি। তাতে লেখা— "শোধ নেওয়া বাকি আছে। ভুলে যাস না।"

    চাচা চুপচাপ রইলেন। কাউকে কিছু বললেন না। বিয়ে হয়ে গেল। বউকে নিয়ে চাচা ঘরে ঢুকলেন। সবাই হাসিখুশি, বাসর ঘর সাজানো।

    চাচা ঘরে ঢোকার পর, দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিলেন। বাসর ঘরে শুধু হালকা মিঠে আলো, মেঝেতে গন্ধ ছড়ানো ফুলের পাপড়ি, বাতাসে আতরের গন্ধ। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই আবুল কালাম চাচার মনটা অস্থির হয়ে উঠলো। যেন ঘরের ভেতরে একটা অদৃশ্য ভারী কিছু টানটান করে রেখেছে বাতাসকে।

    চাচা ধীরে ধীরে বিছানার দিকে এগোলেন। নববধূ মুখ ঘোমটা দিয়ে বসে আছে, নিঃশব্দ। চাচা একটু ভয়ভয় ভাব নিয়ে বললেন, “তুমি কি… ঠিক আছো?”

    কোনো সাড়া নেই। চাচা হাত বাড়িয়ে ধীরে ধীরে ঘোমটা তুললেন।

    ঘোমটার নিচে যে মুখটা উঠে এলো, সেটা কোনো মানুষের না। সেটা ছিল এক বিভৎস বিকৃত মুখ—চোখদুটো লাল টকটকে, যেন রক্তে ডোবা, চুল এলোমেলো, মুখের চামড়া যেন ছেঁড়া ছেঁড়া। অনেক টা শেয়ালের মতো, সেই মুখটা কাদছে। ঠাণ্ডা একটা মায়াবী কান্না!

    চাচা পেছনে সরে যেতে চাইলেন, কিন্তু পারলেন না। যেন পা দুটো জমে গেছে মেঝেতে। সেই 'বউ' মুখ তুলে বলল, “চিনলি না তো আমাকে? তুই সেই রাতে লাঠি ছুঁড়েছিলি… আমাকে, আমি প্রতিশোধ নেব। আজ তোর বিচার হবে।”

    চাচার চোখের সামনে ভেসে উঠলো সেই রাতের দৃশ্য—ঝিরঝির বৃষ্টি, হুক্কা হুয়া করে শেয়ালের ডাক..
    #ghost #Bhoot
    ঘটনাটা আজ থেকে প্রায় ত্রিশ বছর আগের, তখনকার গ্রামের পরিবেশ আজকের মতো ছিল না। সন্ধ্যা নামলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যেত চারপাশ। আলো-আঁধারির খেলায় পথঘাট হয়ে উঠত আরও রহস্যময়। আবুল কালাম চাচা তখন নতুন মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছেন, বয়স বারো। সেদিন ছিল একেবারে সাধারণ সন্ধ্যা। মাগরিবের নামাজ শেষে চাচা মসজিদ থেকে ফিরছিলেন মাদ্রাসার দিকে। পায়ে হেঁটে ফিরছিলেন, কারণ মসজিদ আর মাদ্রাসার দূরত্ব বেশি না, বড়জোর দশ মিনিটের পথ। তবে মাঝখানে পড়ে একটা পুরনো শ্মশানঘাট। দিনের বেলায়ও এলাকাবাসী সেদিকে যেত না, আর সন্ধ্যায় তো কথাই নেই। সন্ধ্যার সেই গা ছমছমে সময়ে হঠাৎ শুরু হয় ঝিরঝির বৃষ্টি। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে সোঁদা গন্ধ। চারদিক নিস্তব্ধ হয়ে যায় যেন। চাচা তখন শ্মশানঘাটের কাছাকাছি। হঠাৎ তিনি শুনলেন, কোথাও থেকে হুক্কা হুয়া করে এক অদ্ভুত শব্দ ভেসে আসছে। শীতল হাওয়ার মাঝে সেই ডাক যেন হৃদয় ছিঁড়ে দিচ্ছে। চাচা ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেন। দেখলেন, অন্ধকারের মধ্যে একটা শেয়াল দাঁড়িয়ে আছে। চোখ দুটো জ্বলজ্বল করছে, যেন আগুন। ভয় পেয়ে যাননি চাচা, কারণ গ্রামে শেয়াল দেখা যায় মাঝেমধ্যেই। কিন্তু ব্যাপারটা অস্বাভাবিক হয়ে দাঁড়াল যখন শেয়ালটা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে হুক্কা হুয়া করে ডাকতে থাকল। আরেকটু তাকিয়ে চাচা বুঝলেন, ওটা কোনো সাধারণ শেয়াল নয়। হঠাৎ সে যেন মানুষের মতো দাঁড়াল! এরপর কি মনে করে চাচা রাস্তার পাশে পড়ে থাকা শুকনো ডালটা তুলে ছুঁড়ে মারলেন তার দিকে। ডাল টি সোজা গিয়ে শেয়ালের কপালে গিয়ে পড়ে,শেয়ালটা চিতকার করে কেঁদে উঠলো মানুষের মতো! শেয়ালটা আর একটুও না নড়ে শুধু একটানা তাকিয়ে রইল। তারপর হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেল। যেন কিছুই ছিল না! চাচা মাদ্রাসায় ফিরে এলেন। তখন রাত প্রায় দুইটা। ঘুম আসছিল না, চাচার টয়লেট চাপে। মাদ্রাসার টয়লেট ছিল আলাদা একটি ঝাঁপসা ঘরে, পেছনের দিকে।তাই টয়লেটে গেলেন। সেই সময়ে বৃষ্টি আরও বেড়েছে। ছাউনির টিনে টুপটাপ শব্দ পড়ছে। চাচা ঢুকেই টের পান—টয়লেটের ভেতরে কেউ আছে। কিন্তু দরজা তো খালি ছিল! টয়লেটে ঢুকে দরজা বন্ধ করলেন। তারপর হঠাৎই অনুভব করলেন, কেউ যেন পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। চারদিকে তাকালেন, কিছুই নেই। কিন্তু বাতাস ঠান্ডা হয়ে গেছে। কি মনে করে চাচা উপরের দিকে চোখ পড়তেই চাচার দম বন্ধ হয়ে এল। টিনের ওপর দেখা গেল একটা কাটা মাথা। চুলগুলো যেন ঝুলে পড়ে মেঝে পর্যন্ত এসে ঠেকেছে। লাল চোখে তাকিয়ে আছে সোজা চাচার দিকে। ঠোঁট নড়ছে— "তুই আমাকে আঘাত করেছিলি। শোধ আমি নেবই।" চাচা চিৎকার করে উঠলেন। হুজুর আর ছাত্ররা এসে দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করলেন। কিন্তু চাচা তখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলেন। এই ঘটনার পরে চাচা বাড়িতে ফিরে এলেন। পরিবার ভেবেছিল এই দুঃস্বপ্নটা শেষ হয়েছে। কয়েক মাস পর ঠিক হলো চাচার বিয়ে। সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। মেয়ে দেখা হয়েছে, পছন্দ হয়েছে। বিয়ের দিনটা এলো। গায়ে হলুদের দিন, চাচা একা একা বসে ছিলেন। হঠাৎ একটা চিঠি পেলেন। খাম ছাড়া চিঠি। তাতে লেখা— "শোধ নেওয়া বাকি আছে। ভুলে যাস না।" চাচা চুপচাপ রইলেন। কাউকে কিছু বললেন না। বিয়ে হয়ে গেল। বউকে নিয়ে চাচা ঘরে ঢুকলেন। সবাই হাসিখুশি, বাসর ঘর সাজানো। চাচা ঘরে ঢোকার পর, দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিলেন। বাসর ঘরে শুধু হালকা মিঠে আলো, মেঝেতে গন্ধ ছড়ানো ফুলের পাপড়ি, বাতাসে আতরের গন্ধ। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই আবুল কালাম চাচার মনটা অস্থির হয়ে উঠলো। যেন ঘরের ভেতরে একটা অদৃশ্য ভারী কিছু টানটান করে রেখেছে বাতাসকে। চাচা ধীরে ধীরে বিছানার দিকে এগোলেন। নববধূ মুখ ঘোমটা দিয়ে বসে আছে, নিঃশব্দ। চাচা একটু ভয়ভয় ভাব নিয়ে বললেন, “তুমি কি… ঠিক আছো?” কোনো সাড়া নেই। চাচা হাত বাড়িয়ে ধীরে ধীরে ঘোমটা তুললেন। ঘোমটার নিচে যে মুখটা উঠে এলো, সেটা কোনো মানুষের না। সেটা ছিল এক বিভৎস বিকৃত মুখ—চোখদুটো লাল টকটকে, যেন রক্তে ডোবা, চুল এলোমেলো, মুখের চামড়া যেন ছেঁড়া ছেঁড়া। অনেক টা শেয়ালের মতো, সেই মুখটা কাদছে। ঠাণ্ডা একটা মায়াবী কান্না! চাচা পেছনে সরে যেতে চাইলেন, কিন্তু পারলেন না। যেন পা দুটো জমে গেছে মেঝেতে। সেই 'বউ' মুখ তুলে বলল, “চিনলি না তো আমাকে? তুই সেই রাতে লাঠি ছুঁড়েছিলি… আমাকে, আমি প্রতিশোধ নেব। আজ তোর বিচার হবে।” চাচার চোখের সামনে ভেসে উঠলো সেই রাতের দৃশ্য—ঝিরঝির বৃষ্টি, হুক্কা হুয়া করে শেয়ালের ডাক.. #ghost #Bhoot
    Like
    Love
    2
    ·189 Views ·0 Reviews
  • খুব শীঘ্রই ফিরে আসবো পুরনো সেই সুরে, Rj Russell Bhoot.com #bhootdotcom #rjrussell #horrorstory
    খুব শীঘ্রই ফিরে আসবো পুরনো সেই সুরে, Rj Russell Bhoot.com #bhootdotcom #rjrussell #horrorstory
    Love
    Like
    7
    ·336 Views ·0 Reviews
  • দেখে কোন কথা মনে হয় ?
    #bhoot
    দেখে কোন কথা মনে হয় ? #bhoot
    Love
    8
    3 Comments ·60 Views ·0 Reviews
  • Hi #bhoot Tanmay Hasan
    Hi #bhoot [hey_tanmay1]
    Like
    Love
    3
    ·104 Views ·0 Reviews
Jono Sathi - Bangladeshi Social Media Platform https://jonosathi.com