মহামারি না অসচেতনতা!
রাত ২:৩৭ মিনিট।
ঘুম ভেঙে গেছে রাবেয়ার।
চোখ খোলার আগে হাত চলে গেছে কনুইতে।
চুলকাচ্ছে।
চুলকাতে চুলকাতে এবার হাত গেছে আঙুলের ফাঁকে, পেটের পাশে, এমনকি কোমরের নিচে…
“আল্লাহ! এই কীসের চুলকানি!”
ঘুমের মধ্যে পাশেই ঘুমানো ছোট বোনও উঠে পড়েছে।
তারও একই জ্বালা।
এটা শুধু রাবেয়া না—এটা এখন দেশের শতশত মানুষের গল্প।
এই চুলকানির নাম স্ক্যাবিস (Scabies)।
⸻
স্ক্যাবিস কী?
একটা ক্ষুদ্র কীট – নাম Sarcoptes scabiei।
চামড়ার নিচে সুড়ঙ্গ খোঁড়ে।
সেই সুড়ঙ্গেই ডিম পাড়ে।
চুলকানি আর জ্বালাপোড়ার রাজত্ব গড়ে তোলে।
⸻
চেনার উপায়?
• রাত বাড়ার সাথে সাথে চুলকানি বেড়ে যায়।
• আঙুলের ফাঁকে, কনুইয়ে, কোমরে, বুকের নিচে ছোট ছোট ফুসকুড়ি দেখা যায়।
• একই বিছানায় থাকা অন্যেরও চুলকানি শুরু হয়।
• চুলকাতে চুলকাতে ঘুম হারাম হয়ে যায়।
⸻
কেন এমন হচ্ছে এখন?
• প্রচণ্ড গরম ও ঘাম
• একই বিছানা, তোয়ালে, বালিশ ব্যবহার
• অপ্রয়োজনীয় স্টেরয়েড মলম
• একজনের থেকে আরেকজনের গায়ে গায়ে ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিদিন
⸻
কি করবেন?
১. একজন না, পুরো পরিবারকে একসাথে চিকিৎসা নিতে হবে।
২. সঠিক ডাক্তার অতিরিক্ত নির্দেশিত মলম ব্যবহার করতে হবে।
৩. জামা-কাপড়, চাদর, তোয়ালে গরম পানিতে ধুয়ে ৩ দিন রোদে শুকাতে হবে।
৪. তোয়ালে, বালিশ, কম্বল শেয়ার নয়।
৫. রোগ লুকাবেন না—লজ্জা না, সচেতনতা জরুরি।
⸻
চুলকানি মানেই এলার্জি না—
চুলকানি মানেই ঘরোয়া মলম না—
চুলকানি মানেই হতে পারে স্ক্যাবিস!
তাই এখনই একসাথে রুখে দাঁড়ান।
নয়তো চুলকাতে চুলকাতে আপনি নিজেও…
রাত ২:৩৭-এ ঘুম ভাঙার তালিকায় ঢুকে যাবেন।
—
©ডা.তোফায়েল আহমেদ
মহামারি না অসচেতনতা!
রাত ২:৩৭ মিনিট।
ঘুম ভেঙে গেছে রাবেয়ার।
চোখ খোলার আগে হাত চলে গেছে কনুইতে।
চুলকাচ্ছে।
চুলকাতে চুলকাতে এবার হাত গেছে আঙুলের ফাঁকে, পেটের পাশে, এমনকি কোমরের নিচে…
“আল্লাহ! এই কীসের চুলকানি!”
ঘুমের মধ্যে পাশেই ঘুমানো ছোট বোনও উঠে পড়েছে।
তারও একই জ্বালা।
এটা শুধু রাবেয়া না—এটা এখন দেশের শতশত মানুষের গল্প।
এই চুলকানির নাম স্ক্যাবিস (Scabies)।
⸻
স্ক্যাবিস কী?
একটা ক্ষুদ্র কীট – নাম Sarcoptes scabiei।
চামড়ার নিচে সুড়ঙ্গ খোঁড়ে।
সেই সুড়ঙ্গেই ডিম পাড়ে।
চুলকানি আর জ্বালাপোড়ার রাজত্ব গড়ে তোলে।
⸻
চেনার উপায়?
• রাত বাড়ার সাথে সাথে চুলকানি বেড়ে যায়।
• আঙুলের ফাঁকে, কনুইয়ে, কোমরে, বুকের নিচে ছোট ছোট ফুসকুড়ি দেখা যায়।
• একই বিছানায় থাকা অন্যেরও চুলকানি শুরু হয়।
• চুলকাতে চুলকাতে ঘুম হারাম হয়ে যায়।
⸻
কেন এমন হচ্ছে এখন?
• প্রচণ্ড গরম ও ঘাম
• একই বিছানা, তোয়ালে, বালিশ ব্যবহার
• অপ্রয়োজনীয় স্টেরয়েড মলম
• একজনের থেকে আরেকজনের গায়ে গায়ে ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিদিন
⸻
কি করবেন?
১. একজন না, পুরো পরিবারকে একসাথে চিকিৎসা নিতে হবে।
২. সঠিক ডাক্তার অতিরিক্ত নির্দেশিত মলম ব্যবহার করতে হবে।
৩. জামা-কাপড়, চাদর, তোয়ালে গরম পানিতে ধুয়ে ৩ দিন রোদে শুকাতে হবে।
৪. তোয়ালে, বালিশ, কম্বল শেয়ার নয়।
৫. রোগ লুকাবেন না—লজ্জা না, সচেতনতা জরুরি।
⸻
চুলকানি মানেই এলার্জি না—
চুলকানি মানেই ঘরোয়া মলম না—
চুলকানি মানেই হতে পারে স্ক্যাবিস!
তাই এখনই একসাথে রুখে দাঁড়ান।
নয়তো চুলকাতে চুলকাতে আপনি নিজেও…
রাত ২:৩৭-এ ঘুম ভাঙার তালিকায় ঢুকে যাবেন।
—
©ডা.তোফায়েল আহমেদ