7 Sacrifice-Episode01:রক্তের অধ্যায়

ঢাকা থেকে আসা তরুণ সাংবাদিক রাইহান গ্রামের নির্জন বাসস্ট্যান্ডে নামল। হাতে ছোট ব্যাগ, চোখে অনুসন্ধানী দৃষ্টি। তার আগমনের উদ্দেশ্য—একটি রহস্যময় খুনের তদন্ত, যার খবর পত্রিকায় স্থান পায়নি। কেউ যেন চেপে রাখতে চাইছে কিছু।
রিকশাওয়ালার মুখে প্রথমেই শুনে ফেলে ভয়াবহ এক ইঙ্গিত—“এখানে আগেও এমন হইছে… কেহ বাঁচে নাই।” কথা বলার মাঝেই রিকশাওয়ালা চোখ সরিয়ে নেয়।
গ্রামে পা রেখেই রাইহান টের পায়—এখানে কিছু স্বাভাবিক নয়।
পরদিন সকালে সে পৌঁছায় খুনের স্থানটিতে—এক বিশাল পুরনো বটগাছের নিচে রক্ত শুকিয়ে কালো হয়ে আছে। পুলিশি ব্যারিকেড এখনও রয়েছে, কিন্তু আশপাশে কোনো পাহারা নেই। গাছের ডালে অদ্ভুত ভাবে ঝুলে থাকা লাল কাপড় যেন বাতাসেও হাহাকার করে।
সাব-ইন্সপেক্টর জহির তার পেছনে এসে দাঁড়ায়।
— “আপনি এখানে কী করছেন?”
— “রিপোর্ট করতে এসেছি, শহর থেকে। শুনেছি এখানে একটা ভয়ঙ্কর খুন হয়েছে।”
— “খুন না… এটা কিছু অন্যরকম। আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। মৃত ব্যক্তির শরীরে কোনও আত্মরক্ষার চিহ্ন নেই… শুধু চোখের চারপাশে লাল রঙ… আর হাতে একটা পুরনো তাবিজ।”
রাইহান তাবিজের ছবি তোলে। তাতে লেখা—“১ম”। যেন কোনও তালিকার সূচনা।
বিকেলে রাইহান স্থানীয় চা দোকানে যায় তথ্য জোগাড় করতে। সবাই চুপ, চোখ সরিয়ে ফেলে। কথা বলেনা কেউ। কেবল এক বৃদ্ধ ধীরে ধীরে বলে ওঠেন—
“এই গাছের নিচে বলি দিতো… অনেক বছর আগে… সাতটা। একে একে মরছে সবাই। আবার শুরু হইছে।”
রাইহান ভয় পায় না, বরং উৎসাহিত হয়। “কে দিতো বলি? কেন?”
বৃদ্ধ তাকিয়ে বলেন—
“যার পাপ বেশি, তার রক্ত আগে পড়ে মাটিতে। ওরা ফিরে আসে…”
রাতে রাইহান পুলিশ স্টেশনে এসে মৃতদেহের অন্যান্য ছবি দেখে। প্রতিটি ছবিতে কোনো না কোনো প্রতীক, সংখ্যা, অথবা লাল দাগ।
হঠাৎ সে দেখে একটি পুরনো ফাইল—২০ বছর আগের। সেই একই গাছ, একই ধরণের খুন—৭টি। তারপর হঠাৎ বন্ধ।
রাইহান নিজেই ফিসফিস করে—
“এটা কোনো সিরিয়াল কিলিং না… এটা রিচুয়াল। বলি!”
রাত গভীর। হঠাৎ বাইরে থেকে চিৎকার ভেসে আসে। রাইহান ছুটে যায়। বটগাছের নিচে এক যুবক ছটফট করছে, তার মুখে যন্ত্রণার ছাপ। ধোঁয়ার মাঝে এক ছায়া স্পষ্ট হয়—একটি বিকৃত আত্মা, রক্তমাখা মুখ, গলা কাটা… ফিসফিসিয়ে বলে—
“আমার রক্ত ফেরত দাও…”
অন্ধকার গিলে ফেলে পুরো দৃশ্য।
Coming Soon 7 Sacrifice-Episode 02


