গল্প: "ভাঙা চেয়ার"
একটি ছোট গ্রামে ছিল এক গরিব ছেলে, নাম রাসেল। তার বাবা ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রি। বাড়ির সামনের ছোট্ট দোকানে পুরনো আসবাব মেরামত করতেন।
রাসেলের স্কুলে যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল, কিন্তু তার ছিল না ভালো জামা, না ভালো জুতা। এমনকি, পড়ার মতো একটা চেয়ারও ছিল না। সে মাটিতে বসেই লেখাপড়া করত।
একদিন স্কুলে শিক্ষক একটি প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেন—যে ছাত্র সবচেয়ে ভালো প্রজেক্ট বানাবে, তাকে পুরস্কৃত করা হবে। সবাই নানা দামী সামগ্রী কিনে আনলো। কিন্তু রাসেল?
রাসেল পুরনো কাঠের টুকরো কুড়িয়ে তার বাবার কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে তৈরি করল একটি ভাঙা চেয়ারের নতুন সংস্করণ। সে বলল,
"এই চেয়ার আমার সাহসের প্রতীক। এটা আমাকে শিখিয়েছে—যা কিছু ভেঙে যায়, তা শেষ নয়। চেষ্টা করলে নতুন করে গড়া যায়।"
সবাই চমকে গেল। শিক্ষক চোখে জল নিয়ে বললেন,
"রাসেল, তুমি আজ আমাদের শেখালে—জীবনে দারিদ্র্য নয়, সাহস আর মেধাই সবচেয়ে বড় সম্পদ।"
রাসেল সেই দিনের পর আর থেমে থাকেনি। ধীরে ধীরে সে নিজেকে গড়ে তোলে। বড় হয়ে সে হয় একজন সফল ইঞ্জিনিয়ার—গ্রামে ফিরে এসে গড়ে তোলে একটি স্কুল, যেখানে কোনো শিশুকে চেয়ার কিংবা সুযোগের অভাবে পিছিয়ে থাকতে হয় না।
---
গল্পের শিক্ষা:
সুযোগ না থাকাটা কোনো অপরাধ নয়। কিন্তু চেষ্টা না করাটা চিরদিনের হার মেনে নেওয়া। জীবন যখন ভাঙে, তখনই নতুন কিছু গড়ার সুযোগ আসে।
গল্পটি ভালো লাগলে একটা লাইক করতে ভুলবে না
গল্প: "ভাঙা চেয়ার"
একটি ছোট গ্রামে ছিল এক গরিব ছেলে, নাম রাসেল। তার বাবা ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রি। বাড়ির সামনের ছোট্ট দোকানে পুরনো আসবাব মেরামত করতেন।
রাসেলের স্কুলে যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল, কিন্তু তার ছিল না ভালো জামা, না ভালো জুতা। এমনকি, পড়ার মতো একটা চেয়ারও ছিল না। সে মাটিতে বসেই লেখাপড়া করত।
একদিন স্কুলে শিক্ষক একটি প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেন—যে ছাত্র সবচেয়ে ভালো প্রজেক্ট বানাবে, তাকে পুরস্কৃত করা হবে। সবাই নানা দামী সামগ্রী কিনে আনলো। কিন্তু রাসেল?
রাসেল পুরনো কাঠের টুকরো কুড়িয়ে তার বাবার কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে তৈরি করল একটি ভাঙা চেয়ারের নতুন সংস্করণ। সে বলল,
"এই চেয়ার আমার সাহসের প্রতীক। এটা আমাকে শিখিয়েছে—যা কিছু ভেঙে যায়, তা শেষ নয়। চেষ্টা করলে নতুন করে গড়া যায়।"
সবাই চমকে গেল। শিক্ষক চোখে জল নিয়ে বললেন,
"রাসেল, তুমি আজ আমাদের শেখালে—জীবনে দারিদ্র্য নয়, সাহস আর মেধাই সবচেয়ে বড় সম্পদ।"
রাসেল সেই দিনের পর আর থেমে থাকেনি। ধীরে ধীরে সে নিজেকে গড়ে তোলে। বড় হয়ে সে হয় একজন সফল ইঞ্জিনিয়ার—গ্রামে ফিরে এসে গড়ে তোলে একটি স্কুল, যেখানে কোনো শিশুকে চেয়ার কিংবা সুযোগের অভাবে পিছিয়ে থাকতে হয় না।
---
গল্পের শিক্ষা:
সুযোগ না থাকাটা কোনো অপরাধ নয়। কিন্তু চেষ্টা না করাটা চিরদিনের হার মেনে নেওয়া। জীবন যখন ভাঙে, তখনই নতুন কিছু গড়ার সুযোগ আসে।
গল্পটি ভালো লাগলে একটা লাইক করতে ভুলবে না
·55 Просмотры
·0 предпросмотр