Security Check
মঙ্গলের হারানো বায়ুমণ্ডল খুঁজবে নাসার দুই যান

নাসা মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল ও হারানো পানির রহস্য জানতে নতুন এক অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। মিশনটির নাম ‘ইস্কেপেড’। এতে একসঙ্গে দুটি ছোট স্যাটেলাইট পাঠানো হবে। তাদের নাম ‘ব্লু’ ও ‘গোল্ড’।

খবর অনুসারে, আগামী নভেম্বরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে ব্লু অরিজিন কোম্পানির নতুন রকেট ‘নিউ গ্লেন’–এর মাধ্যমে এই দুই স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হবে। তারা মঙ্গলের কক্ষপথে ঘুরে ঘুরে গ্রহটির উপরের বায়ুমণ্ডল ও চৌম্বক ক্ষেত্রের অবস্থা একসঙ্গে পর্যবেক্ষণ করবে।

এই দুই স্যাটেলাইট তৈরি করেছে রকেট ল্যাব, আর বৈজ্ঞানিক যন্ত্রগুলো তৈরি করেছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে ও আরও কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

উভয় স্যাটেলাইট একই সময়ে তথ্য সংগ্রহ করবে, যেন মঙ্গলের চারপাশের পরিস্থিতি তিন মাত্রায় (৩-ডি) দেখা যায়। এতে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারবেন সূর্যের বাতাস কীভাবে মঙ্গলের বায়ু মহাকাশে উড়িয়ে দেয়।

মঙ্গলের অতীত রহস্য
আজকের মঙ্গল এক ঠান্ডা ও শুষ্ক মরুভূমি। কিন্তু কোটি কোটি বছর আগে সেখানে নদী, হ্রদ ও পানি প্রবাহের চিহ্ন ছিল। বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রায় ৪০০ কোটি বছর আগে মঙ্গল তার প্রাকৃতিক চৌম্বক ঢাল হারায়। এই ঢালই আগে সূর্যের তীব্র বিকিরণ থেকে গ্রহটিকে রক্ষা করত।

চৌম্বক ঢাল হারিয়ে যাওয়ার পর সূর্যের প্রবল বাতাস ধীরে ধীরে মঙ্গলের বায়ু ও পানি মহাকাশে উড়িয়ে দেয়। এখন মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তুলনায় অনেক পাতলা—প্রায় শতকের এক ভাগেরও কম।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইস্কেপেড মিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো কীভাবে মঙ্গলের বায়ু ও পানি হারিয়ে গেল তা অনুসন্ধান করা। এ তথ্য জানা গেলে ভবিষ্যতে মঙ্গলগ্রহে মানুষের বসবাসের সম্ভাবনা নিয়েও গবেষণা করা যাবে। এই প্রথম নাসা একসঙ্গে দুটি উপগ্রহ পাঠাচ্ছে অন্য কোনো গ্রহের বায়ুমণ্ডল ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতে।



মঙ্গলের হারানো বায়ুমণ্ডল খুঁজবে নাসার দুই যান নাসা মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল ও হারানো পানির রহস্য জানতে নতুন এক অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। মিশনটির নাম ‘ইস্কেপেড’। এতে একসঙ্গে দুটি ছোট স্যাটেলাইট পাঠানো হবে। তাদের নাম ‘ব্লু’ ও ‘গোল্ড’। খবর অনুসারে, আগামী নভেম্বরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে ব্লু অরিজিন কোম্পানির নতুন রকেট ‘নিউ গ্লেন’–এর মাধ্যমে এই দুই স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হবে। তারা মঙ্গলের কক্ষপথে ঘুরে ঘুরে গ্রহটির উপরের বায়ুমণ্ডল ও চৌম্বক ক্ষেত্রের অবস্থা একসঙ্গে পর্যবেক্ষণ করবে। এই দুই স্যাটেলাইট তৈরি করেছে রকেট ল্যাব, আর বৈজ্ঞানিক যন্ত্রগুলো তৈরি করেছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে ও আরও কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠান। উভয় স্যাটেলাইট একই সময়ে তথ্য সংগ্রহ করবে, যেন মঙ্গলের চারপাশের পরিস্থিতি তিন মাত্রায় (৩-ডি) দেখা যায়। এতে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারবেন সূর্যের বাতাস কীভাবে মঙ্গলের বায়ু মহাকাশে উড়িয়ে দেয়। মঙ্গলের অতীত রহস্য আজকের মঙ্গল এক ঠান্ডা ও শুষ্ক মরুভূমি। কিন্তু কোটি কোটি বছর আগে সেখানে নদী, হ্রদ ও পানি প্রবাহের চিহ্ন ছিল। বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রায় ৪০০ কোটি বছর আগে মঙ্গল তার প্রাকৃতিক চৌম্বক ঢাল হারায়। এই ঢালই আগে সূর্যের তীব্র বিকিরণ থেকে গ্রহটিকে রক্ষা করত। চৌম্বক ঢাল হারিয়ে যাওয়ার পর সূর্যের প্রবল বাতাস ধীরে ধীরে মঙ্গলের বায়ু ও পানি মহাকাশে উড়িয়ে দেয়। এখন মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তুলনায় অনেক পাতলা—প্রায় শতকের এক ভাগেরও কম। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইস্কেপেড মিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো কীভাবে মঙ্গলের বায়ু ও পানি হারিয়ে গেল তা অনুসন্ধান করা। এ তথ্য জানা গেলে ভবিষ্যতে মঙ্গলগ্রহে মানুষের বসবাসের সম্ভাবনা নিয়েও গবেষণা করা যাবে। এই প্রথম নাসা একসঙ্গে দুটি উপগ্রহ পাঠাচ্ছে অন্য কোনো গ্রহের বায়ুমণ্ডল ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতে।
Like
2
· 0 التعليقات ·0 المشاركات ·396 مشاهدة ·0 معاينة
ترقية الحساب
اختر الخطة التي تناسبك
Jono Sathi - Learn, Share, Earn Halal https://jonosathi.com
jonosathi
0%