Security Check
যে জায়গায় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি প্রাণী জড়ো হয়

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণিসমাবেশ ঘটে অ্যান্টার্কটিকার বরফশীতল সাগরে। সেখানে বাস করে ছোট্ট চিংড়ির মতো দেখতে অ্যান্টার্কটিক ক্রিল। এরা যখন একসঙ্গে ঝাঁক বেঁধে চলে, তখন সেই ঝাঁক লম্বায় ২০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে! আর একেকটা ঝাঁকের ভেতর থাকে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ক্রিল! এক ট্রিলিয়ন মানে এক লাখ কোটি! এই খুদে প্রাণিগুলো খেয়েই কিন্তু তিমি, পেঙ্গুইন আর অনেক বড় মাছ বেঁচে থাকে।

তবে ডাঙার সবচেয়ে বড় জমায়েতের রেকর্ডটা করেছিল একধরনের পঙ্গপাল। এদের নাম রকি মাউন্টেন লোকাস্ট। ১৮৭৫ সালে চিকিৎসক আলবার্ট চাইল্ড এদের এক বিশাল ঝাঁক দেখেছিলেন। তাঁর হিসাব অনুযায়ী, সেই ঝাঁকে প্রায় সাড়ে বারো ট্রিলিয়ন পঙ্গপাল ছিল! কল্পনা করো, এত প্রাণী একসঙ্গে উড়তে থাকলে কেমন ভয়ংকর দৃশ্য হয়। এই বিশাল পঙ্গপালের কারণে সত্যিই আমেরিকার আকাশে দিনের বেলায় অন্ধকার নেমেছিল। যদিও এই পঙ্গপালের প্রজাতি এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে অন্যান্য প্রজাতির পঙ্গপাল এখনো অনেক বড় বড় ঝাঁক তৈরি করে। যেমন ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে পূর্ব আফ্রিকা ও এশিয়ার কিছু দেশে যে পঙ্গপালের আক্রমণ হয়েছিল, সেখানে একেকটা ঝাঁকে প্রায় সাত হাজার কোটি পঙ্গপাল ছিল!

পাখিরাও কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই। একসময় পৃথিবীতে ‘প্যাসেঞ্জার পিজিয়ন’ বা যাত্রী কবুতর নামে একধরনের পাখি ছিল। ১৮৬৬ সালে এদের এমন এক ঝাঁক দেখা গিয়েছিল, যা লম্বায় ছিল প্রায় ৪৮২ কিলোমিটার। আর তাতে প্রায় সাড়ে তিন শ কোটি পাখি ছিল! দুঃখের বিষয়, এই পাখিও এখন বিলুপ্ত। তবে এখনো ‘রেড-বিলড কুইলিয়া’ নামে একধরনের পাখি আছে। এই প্রজাতির পাখি একত্র হলে বিশালতার কারণে এদের বলা হয় ‘পালকওয়ালা পঙ্গপাল’।

পানির নিচেও আছে এমন এক বিশাল সমাবেশ। আটলান্টিকের কোটি কোটি হেরিং মাছ একসঙ্গে ঝাঁক বেঁধে ঘুরে বেড়ায়। তবে সবচেয়ে অবাক করা প্রাণী হলো ব্রিসলমাউথ। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে এই ছোট্ট বায়োলুমিনেসেন্ট মাছই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি। পুরো পৃথিবীতে এদের সংখ্যা কোয়াড্রিলিয়ন পর্যন্ত হতে পারে। এক কোয়াড্রিলিয়ন মানে এক হাজার ট্রিলিয়ন! এদের ঝাঁকেও একসঙ্গে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন মাছ থাকতে পারে।

সুত্রঃ বিবিসি ওয়াইল্ড লাইফ

যে জায়গায় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি প্রাণী জড়ো হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণিসমাবেশ ঘটে অ্যান্টার্কটিকার বরফশীতল সাগরে। সেখানে বাস করে ছোট্ট চিংড়ির মতো দেখতে অ্যান্টার্কটিক ক্রিল। এরা যখন একসঙ্গে ঝাঁক বেঁধে চলে, তখন সেই ঝাঁক লম্বায় ২০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে! আর একেকটা ঝাঁকের ভেতর থাকে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ক্রিল! এক ট্রিলিয়ন মানে এক লাখ কোটি! এই খুদে প্রাণিগুলো খেয়েই কিন্তু তিমি, পেঙ্গুইন আর অনেক বড় মাছ বেঁচে থাকে। তবে ডাঙার সবচেয়ে বড় জমায়েতের রেকর্ডটা করেছিল একধরনের পঙ্গপাল। এদের নাম রকি মাউন্টেন লোকাস্ট। ১৮৭৫ সালে চিকিৎসক আলবার্ট চাইল্ড এদের এক বিশাল ঝাঁক দেখেছিলেন। তাঁর হিসাব অনুযায়ী, সেই ঝাঁকে প্রায় সাড়ে বারো ট্রিলিয়ন পঙ্গপাল ছিল! কল্পনা করো, এত প্রাণী একসঙ্গে উড়তে থাকলে কেমন ভয়ংকর দৃশ্য হয়। এই বিশাল পঙ্গপালের কারণে সত্যিই আমেরিকার আকাশে দিনের বেলায় অন্ধকার নেমেছিল। যদিও এই পঙ্গপালের প্রজাতি এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে অন্যান্য প্রজাতির পঙ্গপাল এখনো অনেক বড় বড় ঝাঁক তৈরি করে। যেমন ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে পূর্ব আফ্রিকা ও এশিয়ার কিছু দেশে যে পঙ্গপালের আক্রমণ হয়েছিল, সেখানে একেকটা ঝাঁকে প্রায় সাত হাজার কোটি পঙ্গপাল ছিল! পাখিরাও কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই। একসময় পৃথিবীতে ‘প্যাসেঞ্জার পিজিয়ন’ বা যাত্রী কবুতর নামে একধরনের পাখি ছিল। ১৮৬৬ সালে এদের এমন এক ঝাঁক দেখা গিয়েছিল, যা লম্বায় ছিল প্রায় ৪৮২ কিলোমিটার। আর তাতে প্রায় সাড়ে তিন শ কোটি পাখি ছিল! দুঃখের বিষয়, এই পাখিও এখন বিলুপ্ত। তবে এখনো ‘রেড-বিলড কুইলিয়া’ নামে একধরনের পাখি আছে। এই প্রজাতির পাখি একত্র হলে বিশালতার কারণে এদের বলা হয় ‘পালকওয়ালা পঙ্গপাল’। পানির নিচেও আছে এমন এক বিশাল সমাবেশ। আটলান্টিকের কোটি কোটি হেরিং মাছ একসঙ্গে ঝাঁক বেঁধে ঘুরে বেড়ায়। তবে সবচেয়ে অবাক করা প্রাণী হলো ব্রিসলমাউথ। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে এই ছোট্ট বায়োলুমিনেসেন্ট মাছই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি। পুরো পৃথিবীতে এদের সংখ্যা কোয়াড্রিলিয়ন পর্যন্ত হতে পারে। এক কোয়াড্রিলিয়ন মানে এক হাজার ট্রিলিয়ন! এদের ঝাঁকেও একসঙ্গে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন মাছ থাকতে পারে। সুত্রঃ বিবিসি ওয়াইল্ড লাইফ
Like
Love
4
· 0 Comments ·0 Shares ·485 Views ·0 Reviews
Upgrade to Pro
Choose the Plan That's Right for You
Jono Sathi - Learn, Share, Earn Halal https://jonosathi.com
jonosathi
0%