Security Check
৩৬ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে ইউরোপের বাতাস পর্যবেক্ষণ করছে বিজ্ঞানীরা

ইউরোপের আকাশে দূষণের মাত্রা এখন দেখা যাচ্ছে মহাকাশ থেকেই। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ) সম্প্রতি ৩৬ হাজার কিলোমিটার উঁচু থেকে তোলা কিছু চিত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে ইউরোপজুড়ে নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইডের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার কিছু অঞ্চল বা ‘হটস্পট’ দেখা গেছে। এসব ছবি তোলা হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ‘সেন্টিনেল–৪’ মিশনের মাধ্যমে।

এই মিশনের যাত্রা শুরু হয়েছে মেটিওস্যাট থার্ড জেনারেশন সাউন্ডার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। এই স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর কক্ষপথে স্থিতিশীল (জিওস্টেশনারি অরবিট) অবস্থানে রয়েছে। এতে বসানো রয়েছে একটি আধুনিক স্পেকট্রোমিটার, যা প্রতি ঘণ্টায় একবার করে ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকার আকাশ পর্যবেক্ষণ করছে।

ইএসএ জানিয়েছে, সেন্টিনেল–৪ এখনও পরীক্ষামূলক ধাপে রয়েছে। তবু প্রকাশিত প্রাথমিক চিত্রগুলো থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এটি সঠিকভাবে কাজ করছে। ছবিগুলোতে দেখা গেছে, ইতালির পো ভ্যালিতে নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইডের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। আর বলকান অঞ্চল, বুলগেরিয়া ও গ্রিসজুড়ে ওজোনের পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়া প্রাকৃতিক উৎস যেমন মাউন্ট এটনা আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত সালফার ডাই–অক্সাইডও এতে ধরা পড়েছে।

ইএসএর সেন্টিনেল–৪ মিশনের বিজ্ঞানী বেন ভাইহেলম্যান বলেন, সেন্টিনেল–৪ ইউরোপের প্রথম স্যাটেলাইট মিশন, যা প্রতি ঘণ্টায় বায়ু মানের তথ্য সরবরাহ করবে। এতে করে দূষণের দ্রুত পরিবর্তনগুলো পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস দেওয়া সহজ হবে।

এ মিশনের আরেক কর্মকর্তা দিদিয়ে মার্টিন বলেন, আমরা প্রথম ফলাফল দেখে খুবই আশাবাদী। সেন্টিনেল–৪ এখন পুরোপুরি সক্রিয় হওয়ার পথে। এটা ইউরোপে বাতাসের মান পরিমাপের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।

এই স্যাটেলাইটে নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইড, সালফার ডাই–অক্সাইড ও ওজোনের মতো ক্ষতিকর গ্যাস শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এসব গ্যাস মানুষের শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্‌রোগের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। তাই সেন্টিনেল–৪ মিশন ইউরোপজুড়ে বায়ুদূষণ মোকাবিলায় বড় সহায়ক হবে বলে আশা করছে ইএসএ।

সুত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন।
৩৬ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে ইউরোপের বাতাস পর্যবেক্ষণ করছে বিজ্ঞানীরা ইউরোপের আকাশে দূষণের মাত্রা এখন দেখা যাচ্ছে মহাকাশ থেকেই। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ) সম্প্রতি ৩৬ হাজার কিলোমিটার উঁচু থেকে তোলা কিছু চিত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে ইউরোপজুড়ে নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইডের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার কিছু অঞ্চল বা ‘হটস্পট’ দেখা গেছে। এসব ছবি তোলা হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ‘সেন্টিনেল–৪’ মিশনের মাধ্যমে। এই মিশনের যাত্রা শুরু হয়েছে মেটিওস্যাট থার্ড জেনারেশন সাউন্ডার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। এই স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর কক্ষপথে স্থিতিশীল (জিওস্টেশনারি অরবিট) অবস্থানে রয়েছে। এতে বসানো রয়েছে একটি আধুনিক স্পেকট্রোমিটার, যা প্রতি ঘণ্টায় একবার করে ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকার আকাশ পর্যবেক্ষণ করছে। ইএসএ জানিয়েছে, সেন্টিনেল–৪ এখনও পরীক্ষামূলক ধাপে রয়েছে। তবু প্রকাশিত প্রাথমিক চিত্রগুলো থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এটি সঠিকভাবে কাজ করছে। ছবিগুলোতে দেখা গেছে, ইতালির পো ভ্যালিতে নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইডের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। আর বলকান অঞ্চল, বুলগেরিয়া ও গ্রিসজুড়ে ওজোনের পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়া প্রাকৃতিক উৎস যেমন মাউন্ট এটনা আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত সালফার ডাই–অক্সাইডও এতে ধরা পড়েছে। ইএসএর সেন্টিনেল–৪ মিশনের বিজ্ঞানী বেন ভাইহেলম্যান বলেন, সেন্টিনেল–৪ ইউরোপের প্রথম স্যাটেলাইট মিশন, যা প্রতি ঘণ্টায় বায়ু মানের তথ্য সরবরাহ করবে। এতে করে দূষণের দ্রুত পরিবর্তনগুলো পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস দেওয়া সহজ হবে। এ মিশনের আরেক কর্মকর্তা দিদিয়ে মার্টিন বলেন, আমরা প্রথম ফলাফল দেখে খুবই আশাবাদী। সেন্টিনেল–৪ এখন পুরোপুরি সক্রিয় হওয়ার পথে। এটা ইউরোপে বাতাসের মান পরিমাপের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। এই স্যাটেলাইটে নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইড, সালফার ডাই–অক্সাইড ও ওজোনের মতো ক্ষতিকর গ্যাস শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এসব গ্যাস মানুষের শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্‌রোগের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। তাই সেন্টিনেল–৪ মিশন ইউরোপজুড়ে বায়ুদূষণ মোকাবিলায় বড় সহায়ক হবে বলে আশা করছে ইএসএ। সুত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন।
Like
Love
3
· 1 التعليقات ·0 المشاركات ·196 مشاهدة ·0 معاينة
ترقية الحساب
اختر الخطة التي تناسبك
Jono Sathi - Learn, Share, Earn Halal https://jonosathi.com
jonosathi
0%