তারা ঢাকা থেকে এসেছে
আমি ঠিক তার পাশাপাশি সিটে বসা, তাদের সামনের সিটে একটা বয়স্ক ভদ্রমহিলা বসে তাদের অনেকক্ষণ যাবত খেয়াল করছেন। আমিও তাদের সবকিছু ফলো করছি। ছেলেটা একমুহূর্তের জন্যও মেয়েটির হাত ছাড়ছে না। ভদ্রমহিলাটা হঠাৎ তাদের জিগ্যেস করলো এমনে যে মাইনসের সামনে হাত দইরা বইয়া আছ বাবা মাইসে তো অনেককিছু কানাকানি করতাছে। তুমি কি হেরে বেশি ভালোবাসো?
কইত্তে আইছো তোমরা? কই যাইবা? বাড়ি কই? নাম কি তোমডার?
ছেলেটি বললো চাচি আমার নাম আরিফ ওর নাম হলো তারিন। আমরা ঢাকা থেকে এসেছি।
আমি তাকে অনেক ভালোবাসি। দুই বছর হলো আমাদের সম্পর্ক। ওর বড় ভাই আমাদের সম্পর্কের কথা জেনে গেছে তাকে দুইদিন ঘরে আটকে রেখে খুব মেরেছে। তার মা আমাকে পছন্দ করতো তাই আজকে আমরা সুযোগ বুঝে পালিয়ে এসেছি। আসার সময় তার মা আমার হাতে তার মেয়েকে তুলে দিয়ে বললো আমার মেয়ের হাত কখনো ছেড়ো না বাবা, ওর বাবা নেই তুমি তারিনকে কখনো কষ্ট দিও না।
চাচি ভালোবাসা কি আমি বুঝি না আমি শুধু ওরে বুঝি, যা হবে পরে দেখা যাবে। যা ভাবার ভাবুক লোকে এই হাত আমরণ আগলে রাখবো।
ভদ্রমহিলাটা একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বললো, আমিও তোমার চাচার লগে ভাইগ্গা আইছিলাম। এই যে হাত ধরলো এক লগে বুড়ো বুড়ি হইলাম। কতো সুখ দুঃখ এক লগে কাটাইলাম বাবা! তোমার চাচা বড় বালা মানুষ আছিলো, পাঁচবছর আগে মইরা গেছে। কবরটা আমার ঘরের জানালার পাশে দিছি, যতোদিন বাঁইচ্চা থাকমু তার কবরটা দেইখা কাটাই দিমু।
এমন অনেক ছোট বড় ভালোবাসার গল্প আছে আমাদের আসেপাশে। চামড়া ঝুলে যায়, চশমার পাওয়ার বেড়ে যায় তবুও ভালোবাসা কমে না! রাগ, অভিমান, সুখ, দুঃখ নিয়ে তারা একসাথে কাটিয়ে দেয় বেশ কয়েকটি যুগ।
ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল ভালোবাসা ও ভালোবাসার মানুষগুলো।
তারা ঢাকা থেকে এসেছে 🙂
আমি ঠিক তার পাশাপাশি সিটে বসা, তাদের সামনের সিটে একটা বয়স্ক ভদ্রমহিলা বসে তাদের অনেকক্ষণ যাবত খেয়াল করছেন। আমিও তাদের সবকিছু ফলো করছি। ছেলেটা একমুহূর্তের জন্যও মেয়েটির হাত ছাড়ছে না। ভদ্রমহিলাটা হঠাৎ তাদের জিগ্যেস করলো এমনে যে মাইনসের সামনে হাত দইরা বইয়া আছ বাবা মাইসে তো অনেককিছু কানাকানি করতাছে। তুমি কি হেরে বেশি ভালোবাসো?
কইত্তে আইছো তোমরা? কই যাইবা? বাড়ি কই? নাম কি তোমডার?
ছেলেটি বললো চাচি আমার নাম আরিফ ওর নাম হলো তারিন। আমরা ঢাকা থেকে এসেছি।
আমি তাকে অনেক ভালোবাসি। দুই বছর হলো আমাদের সম্পর্ক। ওর বড় ভাই আমাদের সম্পর্কের কথা জেনে গেছে তাকে দুইদিন ঘরে আটকে রেখে খুব মেরেছে। তার মা আমাকে পছন্দ করতো তাই আজকে আমরা সুযোগ বুঝে পালিয়ে এসেছি। আসার সময় তার মা আমার হাতে তার মেয়েকে তুলে দিয়ে বললো আমার মেয়ের হাত কখনো ছেড়ো না বাবা, ওর বাবা নেই তুমি তারিনকে কখনো কষ্ট দিও না।
চাচি ভালোবাসা কি আমি বুঝি না আমি শুধু ওরে বুঝি, যা হবে পরে দেখা যাবে। যা ভাবার ভাবুক লোকে এই হাত আমরণ আগলে রাখবো।
ভদ্রমহিলাটা একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বললো, আমিও তোমার চাচার লগে ভাইগ্গা আইছিলাম। এই যে হাত ধরলো এক লগে বুড়ো বুড়ি হইলাম। কতো সুখ দুঃখ এক লগে কাটাইলাম বাবা! তোমার চাচা বড় বালা মানুষ আছিলো, পাঁচবছর আগে মইরা গেছে। কবরটা আমার ঘরের জানালার পাশে দিছি, যতোদিন বাঁইচ্চা থাকমু তার কবরটা দেইখা কাটাই দিমু।
এমন অনেক ছোট বড় ভালোবাসার গল্প আছে আমাদের আসেপাশে। চামড়া ঝুলে যায়, চশমার পাওয়ার বেড়ে যায় তবুও ভালোবাসা কমে না! রাগ, অভিমান, সুখ, দুঃখ নিয়ে তারা একসাথে কাটিয়ে দেয় বেশ কয়েকটি যুগ।
ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল ভালোবাসা ও ভালোবাসার মানুষগুলো। ❤️