Security Check
  • Caption দরকার? এক ক্লিকে সব পাবেন
    Regular Giveaway (বিকাশ/নগদ)!
    এখনই জয়েন করুন: https://t.me/Bangla_Caption_official
    Caption দরকার? এক ক্লিকে সব পাবেন 🎁 Regular Giveaway (বিকাশ/নগদ)! 👉 এখনই জয়েন করুন: https://t.me/Bangla_Caption_official
    Love
    1
    · 0 التعليقات ·0 المشاركات ·572 مشاهدة ·4 Plays ·0 معاينة
  • Caption দরকার? এক ক্লিকে সব পাবেন
    Regular Giveaway (বিকাশ/নগদ)!
    এখনই জয়েন করুন: https://t.me/Bangla_Caption_official
    #vairal #caption @caption
    Caption দরকার? এক ক্লিকে সব পাবেন 🎁 Regular Giveaway (বিকাশ/নগদ)! 👉 এখনই জয়েন করুন: https://t.me/Bangla_Caption_official #vairal #caption @caption
    Love
    1
    · 0 التعليقات ·0 المشاركات ·583 مشاهدة ·0 معاينة
  • জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে ধরা নীহারিকার লুকানো বিস্ময়

    মহাকাশের দূর অন্ধকারে যেন লুকিয়ে ছিল এক বিশাল বিস্ময়। অবশেষে সেই রহস্য উন্মোচন করল নাসা। প্রকাশ করল লাল মাকড়সা নীহারিকা বা ‘রেড স্পাইডার নেবুলা’র এক নতুন, দৃষ্টিনন্দন ছবি।

    জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে ধারণ করা এই ছবিতে প্রথমবার নীহারিকার দুই বিশাল লোব স্পষ্ট দেখা গেছে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ছবিটিকে মজা করে বলেছে ‘কসমিক ক্রিপি-ক্রলি’ (মহাজাগতিক মাকড়সা-সদৃশ গঠন)।

    পৃথিবী থেকে প্রায় ৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরের এই নীহারিকা আসলে একটি ‘প্ল্যানেটারি নেবুলা’। মানে সূর্যের মতো একটি তারার জীবনের শেষ ধাপের অবশিষ্ট গ্যাস-মেঘ। তারাটি জ্বালানি ফুরিয়ে লাল দানবে রূপ নিয়ে শেষ পর্যন্ত বাইরের স্তরগুলো মহাশূন্যে ছুড়ে ফেলে। ভেতরে থাকে সাদা-বামন কেন্দ্র, যেখান থেকে নির্গত অতি বেগুনি আলো গ্যাসকে আলোকিত করে, তৈরি হয় নীহারিকার এই রঙিন দৃশ্য।

    নাসা জানিয়েছে, নীহারিকার লোবগুলো তৈরি হয়েছে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসা গ্যাসের বিশাল চাপের কারণে। এসব লোব H₂ অণুর (দুই হাইড্রোজেন পরমাণুর বন্ধনযুক্ত গ্যাস) নির্গত আলোতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

    ছবিটি ধারণ করেছে জেমস ওয়েবের মূল নিকট-ইনফ্রারেড ক্যামেরা, যা অত্যন্ত উচ্চ রেজোলিউশনের ছবি তুলতে সক্ষম।

    নাসা বলছে, ছবিতে একটি তারা দেখা গেলেও সেখানে আরেকটি সঙ্গী তারা থাকতে পারে। সেই অদৃশ্য তারার মাধ্যাকর্ষণই নীহারিকার সরু কোমর ও দুই পাশে ঘণ্টাঘড়ির মতো আকৃতি তৈরি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    বিজ্ঞানীরা বলছেন, লাল মাকড়সা নীহারিকাটি ভবিষ্যতে আমাদের সূর্যের কী পরিণতি হতে পারে তারই এক ঝলক। প্রায় পাঁচ বিলিয়ন বছর পর সূর্যও একইভাবে বাইরের স্তর ঝরিয়ে একটি প্ল্যানেটারি নীহারিকায় পরিণত হবে।

    বিডিপ্রতিদিন
    জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে ধরা নীহারিকার লুকানো বিস্ময় মহাকাশের দূর অন্ধকারে যেন লুকিয়ে ছিল এক বিশাল বিস্ময়। অবশেষে সেই রহস্য উন্মোচন করল নাসা। প্রকাশ করল লাল মাকড়সা নীহারিকা বা ‘রেড স্পাইডার নেবুলা’র এক নতুন, দৃষ্টিনন্দন ছবি। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে ধারণ করা এই ছবিতে প্রথমবার নীহারিকার দুই বিশাল লোব স্পষ্ট দেখা গেছে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ছবিটিকে মজা করে বলেছে ‘কসমিক ক্রিপি-ক্রলি’ (মহাজাগতিক মাকড়সা-সদৃশ গঠন)। পৃথিবী থেকে প্রায় ৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরের এই নীহারিকা আসলে একটি ‘প্ল্যানেটারি নেবুলা’। মানে সূর্যের মতো একটি তারার জীবনের শেষ ধাপের অবশিষ্ট গ্যাস-মেঘ। তারাটি জ্বালানি ফুরিয়ে লাল দানবে রূপ নিয়ে শেষ পর্যন্ত বাইরের স্তরগুলো মহাশূন্যে ছুড়ে ফেলে। ভেতরে থাকে সাদা-বামন কেন্দ্র, যেখান থেকে নির্গত অতি বেগুনি আলো গ্যাসকে আলোকিত করে, তৈরি হয় নীহারিকার এই রঙিন দৃশ্য। নাসা জানিয়েছে, নীহারিকার লোবগুলো তৈরি হয়েছে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসা গ্যাসের বিশাল চাপের কারণে। এসব লোব H₂ অণুর (দুই হাইড্রোজেন পরমাণুর বন্ধনযুক্ত গ্যাস) নির্গত আলোতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ছবিটি ধারণ করেছে জেমস ওয়েবের মূল নিকট-ইনফ্রারেড ক্যামেরা, যা অত্যন্ত উচ্চ রেজোলিউশনের ছবি তুলতে সক্ষম। নাসা বলছে, ছবিতে একটি তারা দেখা গেলেও সেখানে আরেকটি সঙ্গী তারা থাকতে পারে। সেই অদৃশ্য তারার মাধ্যাকর্ষণই নীহারিকার সরু কোমর ও দুই পাশে ঘণ্টাঘড়ির মতো আকৃতি তৈরি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, লাল মাকড়সা নীহারিকাটি ভবিষ্যতে আমাদের সূর্যের কী পরিণতি হতে পারে তারই এক ঝলক। প্রায় পাঁচ বিলিয়ন বছর পর সূর্যও একইভাবে বাইরের স্তর ঝরিয়ে একটি প্ল্যানেটারি নীহারিকায় পরিণত হবে। বিডিপ্রতিদিন
    Love
    1
    · 1 التعليقات ·0 المشاركات ·699 مشاهدة ·0 معاينة
  • প্রথমবারের মতো ডার্ক ম্যাটার শনাক্তের দাবি করেছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা

    প্রায় এক শতাব্দী ধরে ডার্ক ম্যাটার জ্যোতির্বিজ্ঞানের অন্যতম বড় রহস্য। ১৯৩০ দশকে এই ধারণা প্রথম উত্থাপন করা হয়। সুইডেনের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্রিটজ জুইকি প্রথম উপলব্ধি করেন দূরবর্তী কোমা ক্লাস্টারের গ্যালাক্সি তাদের দৃশ্যমান নক্ষত্রের মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা একত্রে ধরে রাখার জন্য অনেক দ্রুতগতিতে চলছে। কয়েক দশক পর ভেরা রুবিনের সর্পিল গ্যালাক্সিও কোনো একটি অদৃশ্য ভর অতিরিক্ত মহাকর্ষীয় প্রভাব তৈরি করছে বলে জানা যায়। আর তাই দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশে থাকা ডার্ক ম্যাটারের রহস্য জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। এবার প্রথমবারের মতো ডার্ক ম্যাটারের ঝলক শনাক্তের দাবি করেছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। নাসার ফার্মি গামা-রে স্পেস টেলিস্কোপের তথ্য ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো ডার্ক ম্যাটার পর্যবেক্ষণ করেছেন তাঁরা।

    বিজ্ঞানীরা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণের সময় প্রায় ২০ গিগা ইলেকট্রন ভোল্টের শক্তিতে গামা রশ্মির একটি হ্যালো-আকৃতির আভা দেখতে পেয়েছেন। এটি একটি অস্বাভাবিক শক্তিশালী সংকেত, যা উইকলি ইন্টারঅ্যাকটিং ম্যাসিভ পার্টিকেল বা ডাব্লিউআইএমপি নামে পরিচিত কাল্পনিক ডার্ক ম্যাটার কণার ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে পুরোপুরি মিলে গেছে। তত্ত্ব অনুসারে, যখন দুটি এমন কণার মধ্যে সংঘর্ষ হয়, তখন তারা একে অপরকে ধ্বংস করে দেওয়ার ফলে গামা রশ্মি নির্গত হয়। এই রশ্মি মহাবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী আলোর রূপ।

    নতুন এ আবিষ্কারের বিষয়ে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী তোমোনোরি তোতানি জানান, নির্গত ডার্ক ম্যাটার প্রত্যাশিত আকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিলে যায়। এই ঘটনার সহজ বিকল্প ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না। গবেষণার ফলাফল সঠিক হলে এটি হবে মানবজাতির প্রথমবার ডার্ক ম্যাটার দেখার অভিজ্ঞতা। এর ফলে পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেলের বাইরে একটি সম্পূর্ণ নতুন কণার উপস্থিতি জানা যাবে। তখন বিজ্ঞানীরা হিগস বোসনের মতো একটি রূপান্তরমূলক আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে যেতে পারবেন।


    সূত্র: এনডিটিভি
    প্রথমবারের মতো ডার্ক ম্যাটার শনাক্তের দাবি করেছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা প্রায় এক শতাব্দী ধরে ডার্ক ম্যাটার জ্যোতির্বিজ্ঞানের অন্যতম বড় রহস্য। ১৯৩০ দশকে এই ধারণা প্রথম উত্থাপন করা হয়। সুইডেনের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্রিটজ জুইকি প্রথম উপলব্ধি করেন দূরবর্তী কোমা ক্লাস্টারের গ্যালাক্সি তাদের দৃশ্যমান নক্ষত্রের মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা একত্রে ধরে রাখার জন্য অনেক দ্রুতগতিতে চলছে। কয়েক দশক পর ভেরা রুবিনের সর্পিল গ্যালাক্সিও কোনো একটি অদৃশ্য ভর অতিরিক্ত মহাকর্ষীয় প্রভাব তৈরি করছে বলে জানা যায়। আর তাই দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশে থাকা ডার্ক ম্যাটারের রহস্য জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। এবার প্রথমবারের মতো ডার্ক ম্যাটারের ঝলক শনাক্তের দাবি করেছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। নাসার ফার্মি গামা-রে স্পেস টেলিস্কোপের তথ্য ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো ডার্ক ম্যাটার পর্যবেক্ষণ করেছেন তাঁরা। বিজ্ঞানীরা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণের সময় প্রায় ২০ গিগা ইলেকট্রন ভোল্টের শক্তিতে গামা রশ্মির একটি হ্যালো-আকৃতির আভা দেখতে পেয়েছেন। এটি একটি অস্বাভাবিক শক্তিশালী সংকেত, যা উইকলি ইন্টারঅ্যাকটিং ম্যাসিভ পার্টিকেল বা ডাব্লিউআইএমপি নামে পরিচিত কাল্পনিক ডার্ক ম্যাটার কণার ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে পুরোপুরি মিলে গেছে। তত্ত্ব অনুসারে, যখন দুটি এমন কণার মধ্যে সংঘর্ষ হয়, তখন তারা একে অপরকে ধ্বংস করে দেওয়ার ফলে গামা রশ্মি নির্গত হয়। এই রশ্মি মহাবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী আলোর রূপ। নতুন এ আবিষ্কারের বিষয়ে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী তোমোনোরি তোতানি জানান, নির্গত ডার্ক ম্যাটার প্রত্যাশিত আকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিলে যায়। এই ঘটনার সহজ বিকল্প ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না। গবেষণার ফলাফল সঠিক হলে এটি হবে মানবজাতির প্রথমবার ডার্ক ম্যাটার দেখার অভিজ্ঞতা। এর ফলে পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেলের বাইরে একটি সম্পূর্ণ নতুন কণার উপস্থিতি জানা যাবে। তখন বিজ্ঞানীরা হিগস বোসনের মতো একটি রূপান্তরমূলক আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে যেতে পারবেন। সূত্র: এনডিটিভি
    Love
    1
    · 0 التعليقات ·0 المشاركات ·705 مشاهدة ·0 معاينة
  • ৩ থেকে ৩ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প প্রতিদিন কতবার ঘটে ??

    পৃথিবীর ভেতরের টেকটোনিক প্লেটগুলোর নড়াচড়ার ফল ভূমিকম্প। তবে ভূমিকম্প মানেই আতঙ্ক নয়। সব ভূমিকম্পই ভয়ানক নয়। বরং বেশির ভাগ ভূমিকম্প এত ছোট, আমরা টেরই পাই না। তাই ভূমিকম্প কত ঘন ঘন হয় এবং কোন মাত্রার ভূমিকম্পে ভয় পাওয়ার দরকার নেই, তা বোঝার জন্য রিখটার স্কেল খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারণা।

    ১৯৩৫ সালে চার্লস রিখটার ভূমিকম্পের শক্তি মাপার এই স্কেল তৈরি করেন। এরপর দীর্ঘ গবেষণা ও রেকর্ডের ভিত্তিতে দেখা যায়, পৃথিবীতে ছোট-বড় মিলিয়ে অসংখ্য ভূমিকম্প প্রতিদিনই ঘটে। এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি বড় ভূমিকম্প মানুষের নজরে আসে। বাকিগুলো নীরবে পৃথিবীর ভেতরে ঘটে যায়।

    রিখটার স্কেল অনুযায়ী ৮ মাত্রা বা তার বেশি শক্তিশালী ভূমিকম্পকে বলা হয় ‘গ্রেট আর্থকোয়েক’। সারা পৃথিবীতে এমন ভূমিকম্প বছরে গড়ে মাত্র ১টি ঘটে। ৭ মাত্রার ভূমিকম্পও খুব কম। বছরে মাত্র ১৮টির মতো। একটু নিচে নামলে, ৬ মাত্রার ভূমিকম্প দেখা যায় বছরে প্রায় ১২০ বার, আর ৫ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে প্রায় ৮০০ বার। এই ভূমিকম্পগুলোই সাধারণত খবরে আসে। এর নিচের মাত্রার ভূমিকম্প মানুষ খুব বেশি টের পায় না। কিছু মানুষ টের পেলেও এগুলোতে বাস্তব ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।

    তবে ৪ মাত্রার নিচের ভূমিকম্পও এখন খবর। কারণ, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আছে। ৪ মাত্রার নিচে যে ভূমিকম্প হয়, তার সংখ্যা অনেক বেশি। ৪ থেকে ৪ দশমিক ৯ মাত্রার হালকা ভূমিকম্প বছরে প্রায় ৬ হাজার ২০০ বার ঘটে। আর ৩ থেকে ৩ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে বছরে ৪৯ হাজার বার। মানে দিনে শত শত বার। এদের বেশির ভাগই এত ক্ষুদ্র, সাধারণ মানুষ বুঝতেই পারে না। এর চেয়ে আরও ছোট ভূমিকম্প, যেমন ২ কিংবা ১ মাত্রার ভূমিকম্প প্রতিদিন হাজার হাজার বার পৃথিবীর কোথাও না কোথাও ঘটে চলেছে।

    এত সংখ্যক ছোট ভূমিকম্পের ভিড়ে একটা বিষয় নিশ্চিত। ৩ দশমিক ৯ মাত্রার নিচে ভূমিকম্প হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ, এই মাত্রার ভূমিকম্প বছরে প্রায় ৪৯ হাজার বার ঘটে। সাধারণত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট বা মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। এই ছোট ভূমিকম্পগুলো পৃথিবীর অভ্যন্তরে চাপ কমানোর মতো স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া।

    সূত্র: নাফফিল্ড ফাউন্ডেশন এবং প্রথম আলো

    ৩ থেকে ৩ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প প্রতিদিন কতবার ঘটে ?? পৃথিবীর ভেতরের টেকটোনিক প্লেটগুলোর নড়াচড়ার ফল ভূমিকম্প। তবে ভূমিকম্প মানেই আতঙ্ক নয়। সব ভূমিকম্পই ভয়ানক নয়। বরং বেশির ভাগ ভূমিকম্প এত ছোট, আমরা টেরই পাই না। তাই ভূমিকম্প কত ঘন ঘন হয় এবং কোন মাত্রার ভূমিকম্পে ভয় পাওয়ার দরকার নেই, তা বোঝার জন্য রিখটার স্কেল খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারণা। ১৯৩৫ সালে চার্লস রিখটার ভূমিকম্পের শক্তি মাপার এই স্কেল তৈরি করেন। এরপর দীর্ঘ গবেষণা ও রেকর্ডের ভিত্তিতে দেখা যায়, পৃথিবীতে ছোট-বড় মিলিয়ে অসংখ্য ভূমিকম্প প্রতিদিনই ঘটে। এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি বড় ভূমিকম্প মানুষের নজরে আসে। বাকিগুলো নীরবে পৃথিবীর ভেতরে ঘটে যায়। রিখটার স্কেল অনুযায়ী ৮ মাত্রা বা তার বেশি শক্তিশালী ভূমিকম্পকে বলা হয় ‘গ্রেট আর্থকোয়েক’। সারা পৃথিবীতে এমন ভূমিকম্প বছরে গড়ে মাত্র ১টি ঘটে। ৭ মাত্রার ভূমিকম্পও খুব কম। বছরে মাত্র ১৮টির মতো। একটু নিচে নামলে, ৬ মাত্রার ভূমিকম্প দেখা যায় বছরে প্রায় ১২০ বার, আর ৫ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে প্রায় ৮০০ বার। এই ভূমিকম্পগুলোই সাধারণত খবরে আসে। এর নিচের মাত্রার ভূমিকম্প মানুষ খুব বেশি টের পায় না। কিছু মানুষ টের পেলেও এগুলোতে বাস্তব ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। তবে ৪ মাত্রার নিচের ভূমিকম্পও এখন খবর। কারণ, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আছে। ৪ মাত্রার নিচে যে ভূমিকম্প হয়, তার সংখ্যা অনেক বেশি। ৪ থেকে ৪ দশমিক ৯ মাত্রার হালকা ভূমিকম্প বছরে প্রায় ৬ হাজার ২০০ বার ঘটে। আর ৩ থেকে ৩ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে বছরে ৪৯ হাজার বার। মানে দিনে শত শত বার। এদের বেশির ভাগই এত ক্ষুদ্র, সাধারণ মানুষ বুঝতেই পারে না। এর চেয়ে আরও ছোট ভূমিকম্প, যেমন ২ কিংবা ১ মাত্রার ভূমিকম্প প্রতিদিন হাজার হাজার বার পৃথিবীর কোথাও না কোথাও ঘটে চলেছে। এত সংখ্যক ছোট ভূমিকম্পের ভিড়ে একটা বিষয় নিশ্চিত। ৩ দশমিক ৯ মাত্রার নিচে ভূমিকম্প হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ, এই মাত্রার ভূমিকম্প বছরে প্রায় ৪৯ হাজার বার ঘটে। সাধারণত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট বা মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। এই ছোট ভূমিকম্পগুলো পৃথিবীর অভ্যন্তরে চাপ কমানোর মতো স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। সূত্র: নাফফিল্ড ফাউন্ডেশন এবং প্রথম আলো
    Love
    1
    · 0 التعليقات ·0 المشاركات ·582 مشاهدة ·0 معاينة
  • অ্যান্টার্কটিকার ডুমসডে হিমবাহ নিচ থেকে গলে যাচ্ছে

    রহস্যময় মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা। বরফে ঘেরা এই মহাদেশের বড় বড় হিমবাহ ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, সমুদ্রের পানির নিচের ঝড়ের কারণে অ্যান্টার্কটিকার ডুমসডে হিমবাহ নিচ থেকে গলে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড়ের মতোই খোলা সমুদ্রে যখন বিভিন্ন তাপমাত্রা ও ঘনত্বের পানি একত্রিত হয়, তখন ঘূর্ণমান আবর্ত বা ঝড় তৈরি হয়। এসব ঝড় পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার থোয়েটস হিমবাহ ও পাইন আইল্যান্ড হিমবাহকে নিচ থেকে গলিয়ে দিচ্ছে। থোয়েটস হিমবাহকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডুমসডে হিমবাহ নামে ডাকা হয়।

    বিজ্ঞানীদের মতে, ঘূর্ণমান আবর্ত বা ঝড় সমুদ্রের গভীর থেকে গভীর, উষ্ণ পানিকে হিমবাহের গহ্বরের দিকে টেনে আনে ও শীতল স্বাদুপানিকে দূরে ঠেলে দেয়। বরফের স্তর গলে যাওয়ার এই প্রক্রিয়া সারা বছর ধরেই চলে। এ বছরের জুন থেকে এর মাত্রা বেশি দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, আরভাইনের বিজ্ঞানী ম্যাট্টিয়া পোইনেলি বলেন, সমুদ্রের এমন ঘূর্ণি বা আবর্ত দেখতে হুবহু ঝড়ের মতো ও খুব শক্তিশালী। পৃষ্ঠের কাছাকাছি এসব উল্লম্ব আকারে আঘাত হানে। যেখানে বেশি উষ্ণ পানি থাকবে, সেখানে হিমবাহ বেশি গলবে। ভবিষ্যতে অ্যান্টার্কটিকার বিভিন্ন অঞ্চলে এর প্রভাব দেখা যাবে।

    বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গত কয়েক দশকে বিভিন্ন হিমবাহের পুরুত্ব অনেক কমে গেছে। ডুমসডে হিমবাহটিও উষ্ণায়নের কারণে আকারে ছোট হচ্ছে। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে দুই কিলোমিটারের বেশি গভীরে অবস্থিত। থোয়েটস হিমবাহের ধস হলে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক থেকে দুই মিটার বেড়ে যাবে।

    হিমবাহ সূর্যের রশ্মিকে মহাশূন্যে প্রতিফলিত করে। মূল্যবান স্বাদুপানি সঞ্চয় করে রাখে। আর তাই আকারে বড় হিমবাহগুলো যদি সম্পূর্ণরূপে গলে যায়, তবে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা হঠাৎ বেড়ে যাবে। এর ফলে বিভিন্ন শহরের লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে ও অবকাঠামো ধ্বংস হবে।

    সূত্র: ডেইলি মেইল
    অ্যান্টার্কটিকার ডুমসডে হিমবাহ নিচ থেকে গলে যাচ্ছে রহস্যময় মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা। বরফে ঘেরা এই মহাদেশের বড় বড় হিমবাহ ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, সমুদ্রের পানির নিচের ঝড়ের কারণে অ্যান্টার্কটিকার ডুমসডে হিমবাহ নিচ থেকে গলে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড়ের মতোই খোলা সমুদ্রে যখন বিভিন্ন তাপমাত্রা ও ঘনত্বের পানি একত্রিত হয়, তখন ঘূর্ণমান আবর্ত বা ঝড় তৈরি হয়। এসব ঝড় পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার থোয়েটস হিমবাহ ও পাইন আইল্যান্ড হিমবাহকে নিচ থেকে গলিয়ে দিচ্ছে। থোয়েটস হিমবাহকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডুমসডে হিমবাহ নামে ডাকা হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, ঘূর্ণমান আবর্ত বা ঝড় সমুদ্রের গভীর থেকে গভীর, উষ্ণ পানিকে হিমবাহের গহ্বরের দিকে টেনে আনে ও শীতল স্বাদুপানিকে দূরে ঠেলে দেয়। বরফের স্তর গলে যাওয়ার এই প্রক্রিয়া সারা বছর ধরেই চলে। এ বছরের জুন থেকে এর মাত্রা বেশি দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, আরভাইনের বিজ্ঞানী ম্যাট্টিয়া পোইনেলি বলেন, সমুদ্রের এমন ঘূর্ণি বা আবর্ত দেখতে হুবহু ঝড়ের মতো ও খুব শক্তিশালী। পৃষ্ঠের কাছাকাছি এসব উল্লম্ব আকারে আঘাত হানে। যেখানে বেশি উষ্ণ পানি থাকবে, সেখানে হিমবাহ বেশি গলবে। ভবিষ্যতে অ্যান্টার্কটিকার বিভিন্ন অঞ্চলে এর প্রভাব দেখা যাবে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গত কয়েক দশকে বিভিন্ন হিমবাহের পুরুত্ব অনেক কমে গেছে। ডুমসডে হিমবাহটিও উষ্ণায়নের কারণে আকারে ছোট হচ্ছে। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে দুই কিলোমিটারের বেশি গভীরে অবস্থিত। থোয়েটস হিমবাহের ধস হলে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক থেকে দুই মিটার বেড়ে যাবে। হিমবাহ সূর্যের রশ্মিকে মহাশূন্যে প্রতিফলিত করে। মূল্যবান স্বাদুপানি সঞ্চয় করে রাখে। আর তাই আকারে বড় হিমবাহগুলো যদি সম্পূর্ণরূপে গলে যায়, তবে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা হঠাৎ বেড়ে যাবে। এর ফলে বিভিন্ন শহরের লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে ও অবকাঠামো ধ্বংস হবে। সূত্র: ডেইলি মেইল
    0 التعليقات ·0 المشاركات ·589 مشاهدة ·0 معاينة
  • স্টারলিংকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দ্রুতগতির স্যাটেলাইট অ্যানটেনা উন্মোচন করল অ্যামাজন

    কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ইন্টারনেট-সেবা দিচ্ছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। স্টারলিংকের বিকল্প হিসেবে স্যাটেলাইটনির্ভর ইন্টারনেট–সেবা চালুর জন্য কাজ করছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনও। স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট–সেবায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে সম্প্রতি ‘লিও আলট্রা’ নামের দ্রুতগতির স্যাটেলাইট অ্যানটেনা উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

    অ্যামাজনের দাবি, লিও আলট্রা এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির স্যাটেলাইট অ্যানটেনা। ২০ বাই ৩০ ইঞ্চি আকারের অ্যানটেনাটির মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ১ গিগাবিট (১০০০ মেগাবিট) তথ্য ডাউনলোড ও ৪০০ মেগাবিট তথ্য আপলোড করা যাবে। পাশাপাশি অ্যানটেনাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসসহ বিভিন্ন ক্লাউড নেটওয়ার্কের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকবে। আকারে ছোট অ্যানটেনাটি ব্যক্তিগত ব্যবহারকারী ও ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে।

    বর্তমানে স্টারলিংকে ১ গিগাবিটের চেয়ে কম ডাউনলোড গতি পাওয়া যায়, যা অ্যামাজনের ঘোষিত সর্বোচ্চ গতির তুলনায় বেশ কম। যদিও স্পেসএক্স জানিয়েছে, নতুন ভি থ্রি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আগামী বছর থেকে স্টারলিংক ব্যবহারকারীরা বর্তমানের চেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট–সেবা পাবেন।

    প্রসঙ্গত, স্যাটেলাইটনির্ভর ইন্টারনেট–সেবা চালুর জন্য মহাকাশে কয়েক হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে অ্যামাজন। এরই মধ্যে অ্যামাজন তাদের প্রথম প্রোটোটাইপ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ইতিমধ্যেই তাদের গ্রামীণ অঞ্চলে ইন্টারনেট–সেবার অ্যামাজনের সঙ্গে চুক্তি করেছে। তাই অ্যামাজনের স্যাটেলাইটনির্ভর ইন্টারনেট–সেবা চালু হলে ভবিষ্যতে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে স্টারলিংক।

    সূত্র: দ্য ভার্জ
    স্টারলিংকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দ্রুতগতির স্যাটেলাইট অ্যানটেনা উন্মোচন করল অ্যামাজন কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ইন্টারনেট-সেবা দিচ্ছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। স্টারলিংকের বিকল্প হিসেবে স্যাটেলাইটনির্ভর ইন্টারনেট–সেবা চালুর জন্য কাজ করছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনও। স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট–সেবায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে সম্প্রতি ‘লিও আলট্রা’ নামের দ্রুতগতির স্যাটেলাইট অ্যানটেনা উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অ্যামাজনের দাবি, লিও আলট্রা এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির স্যাটেলাইট অ্যানটেনা। ২০ বাই ৩০ ইঞ্চি আকারের অ্যানটেনাটির মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ১ গিগাবিট (১০০০ মেগাবিট) তথ্য ডাউনলোড ও ৪০০ মেগাবিট তথ্য আপলোড করা যাবে। পাশাপাশি অ্যানটেনাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসসহ বিভিন্ন ক্লাউড নেটওয়ার্কের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকবে। আকারে ছোট অ্যানটেনাটি ব্যক্তিগত ব্যবহারকারী ও ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে স্টারলিংকে ১ গিগাবিটের চেয়ে কম ডাউনলোড গতি পাওয়া যায়, যা অ্যামাজনের ঘোষিত সর্বোচ্চ গতির তুলনায় বেশ কম। যদিও স্পেসএক্স জানিয়েছে, নতুন ভি থ্রি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আগামী বছর থেকে স্টারলিংক ব্যবহারকারীরা বর্তমানের চেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট–সেবা পাবেন। প্রসঙ্গত, স্যাটেলাইটনির্ভর ইন্টারনেট–সেবা চালুর জন্য মহাকাশে কয়েক হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে অ্যামাজন। এরই মধ্যে অ্যামাজন তাদের প্রথম প্রোটোটাইপ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ইতিমধ্যেই তাদের গ্রামীণ অঞ্চলে ইন্টারনেট–সেবার অ্যামাজনের সঙ্গে চুক্তি করেছে। তাই অ্যামাজনের স্যাটেলাইটনির্ভর ইন্টারনেট–সেবা চালু হলে ভবিষ্যতে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে স্টারলিংক। সূত্র: দ্য ভার্জ
    Like
    1
    · 0 التعليقات ·0 المشاركات ·587 مشاهدة ·0 معاينة
  • যে বস্তুর সংস্পর্শে এলে দুই দিনের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে -- ২

    দুর্ঘটনার পর ১৯৮৬ সালে ধ্বংসপ্রাপ্ত রিঅ্যাক্টরের নিচের বাষ্প করিডরে পৌঁছাতে সক্ষম হন কর্মীরা। বিভিন্ন যন্ত্রে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সীমার চেয়ে অনেক বেশি বিকিরণের মাত্রা রেকর্ড করা হয়। সরাসরি ভয়ংকর সেই বস্তুর কাছে যাওয়া যায়নি। দূর থেকে ক্যামেরায় ছবি তোলা হয়।

    বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, এলিফ্যান্টস ফুট থেকে আয়নাইজিং বিকিরণ নির্গত হচ্ছে, যা কোষীয় স্তরে মানুষের টিস্যু ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। যখন প্রথম পরিমাপ করা হয়েছিল, তখন বস্তুটি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার রঞ্জেন বিকিরণ নির্গত করত। এই পরিমাণ রঞ্জেন ৪ দশমিক ৫ মিলিয়নেরও বেশি বুকের এক্স-রের সমতুল্য। একজন মানুষকে হত্যা করার জন্য মোটামুটি এক হাজার রঞ্জেন প্রয়োজন। এটি সেই সীমার চেয়ে ১০ গুণ বেশি ছিল। ২০০১ সালে এলিফ্যান্টস ফুট থেকে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৮০০ রঞ্জেন পরিমাপ করা হয়। অনুমান করা হয়, বস্তুটি ১০ হাজার বছর ধরে বিপজ্জনকভাবে তেজস্ক্রিয় থাকবে। তাই অনেকেই এ বস্তুকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক পারমাণবিক বর্জ্য হিসেবে উল্লেখ করেন।

    সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
    যে বস্তুর সংস্পর্শে এলে দুই দিনের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে -- ২ দুর্ঘটনার পর ১৯৮৬ সালে ধ্বংসপ্রাপ্ত রিঅ্যাক্টরের নিচের বাষ্প করিডরে পৌঁছাতে সক্ষম হন কর্মীরা। বিভিন্ন যন্ত্রে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সীমার চেয়ে অনেক বেশি বিকিরণের মাত্রা রেকর্ড করা হয়। সরাসরি ভয়ংকর সেই বস্তুর কাছে যাওয়া যায়নি। দূর থেকে ক্যামেরায় ছবি তোলা হয়। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, এলিফ্যান্টস ফুট থেকে আয়নাইজিং বিকিরণ নির্গত হচ্ছে, যা কোষীয় স্তরে মানুষের টিস্যু ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। যখন প্রথম পরিমাপ করা হয়েছিল, তখন বস্তুটি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার রঞ্জেন বিকিরণ নির্গত করত। এই পরিমাণ রঞ্জেন ৪ দশমিক ৫ মিলিয়নেরও বেশি বুকের এক্স-রের সমতুল্য। একজন মানুষকে হত্যা করার জন্য মোটামুটি এক হাজার রঞ্জেন প্রয়োজন। এটি সেই সীমার চেয়ে ১০ গুণ বেশি ছিল। ২০০১ সালে এলিফ্যান্টস ফুট থেকে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৮০০ রঞ্জেন পরিমাপ করা হয়। অনুমান করা হয়, বস্তুটি ১০ হাজার বছর ধরে বিপজ্জনকভাবে তেজস্ক্রিয় থাকবে। তাই অনেকেই এ বস্তুকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক পারমাণবিক বর্জ্য হিসেবে উল্লেখ করেন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
    0 التعليقات ·0 المشاركات ·533 مشاهدة ·0 معاينة
  • যে বস্তুর সংস্পর্শে এলে দুই দিনের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে -- ১

    ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল চেরনোবিলে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। সে সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। বর্তমানের ইউক্রেনের অংশ চেরনোবিলের রিঅ্যাক্টর ফোরের নিচে থাকা জমাট বাঁধা বিশেষ এক বস্তু নিয়ে বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। এই বস্তুকে বলা হচ্ছে হাতির পা বা এলিফ্যান্টস ফুট। একসময় এই বস্তু থেকে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার রঞ্জেন এক্স-রে নির্গত হতো। এই পরিমাণ এক্স-রে কয়েক মিনিটের মধ্যে মানুষকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট। গলিত জ্বালানি ও ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি এই বস্তুর ওজন প্রায় দুই টন। বস্তুটি এখনো বিপজ্জনকভাবে তেজস্ক্রিয়।

    আপনি যদি এলিফ্যান্টস ফুটের কাছাকাছি মাত্র ৩০ সেকেন্ডের জন্য দাঁড়ান, তবে প্রথমে আপনি কিছুই অনুভব করবেন না। দুদিন পরেই আপনার মধ্যে তীব্র মাথা ঘোরা ও ক্লান্তি দেখা দেবে। বস্তুর কাছে দুই মিনিট থাকলে আপনার শরীরের কোষ ভেঙে যেতে শুরু করবে। চার মিনিট দাঁড়ালে বমি ও জ্বর শুরু হবে। আর যদি আপনি পাঁচ মিনিট দাঁড়ান তাহলে দ্রুত মৃত্যুর মুখে পতিত হবেন।

    এলিফ্যান্টস ফুট ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয়ের ফলে তৈরি হওয়া জমাট বাঁধা একটি বস্তু। তখন একটি পরীক্ষার সময় রিঅ্যাক্টর নাম্বার ফোর বিস্ফোরিত হয়। তখন বিপুল পরিমাণ তেজস্ক্রিয় উপাদান নির্গত হয়েছিল। বিস্ফোরণের ফলে ইউরেনিয়াম জ্বালানি গলে রিঅ্যাক্টরের কাঠামোগত স্তর ভেদ করে নিচে নেমে আসে। এই গলিত মিশ্রণ পারমাণবিক জ্বালানি, রিঅ্যাক্টরের আচ্ছাদন, কংক্রিট ও বালুর সমন্বয়ে গঠিত হয়। সবশেষে শীতল হয়ে জমে গিয়ে এক বীভৎস এক মিটার চওড়া কাঠামো তৈরি করে। সেখানকার কর্মীরা পরে এই জমাট বাঁধা কালো লাভা-সদৃশ বস্তুকে একটি হাতির কুঁচকানো পায়ের মতো দেখতে বলে বর্ণনা করেন।

    সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
    যে বস্তুর সংস্পর্শে এলে দুই দিনের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে -- ১ ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল চেরনোবিলে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। সে সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। বর্তমানের ইউক্রেনের অংশ চেরনোবিলের রিঅ্যাক্টর ফোরের নিচে থাকা জমাট বাঁধা বিশেষ এক বস্তু নিয়ে বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। এই বস্তুকে বলা হচ্ছে হাতির পা বা এলিফ্যান্টস ফুট। একসময় এই বস্তু থেকে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার রঞ্জেন এক্স-রে নির্গত হতো। এই পরিমাণ এক্স-রে কয়েক মিনিটের মধ্যে মানুষকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট। গলিত জ্বালানি ও ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি এই বস্তুর ওজন প্রায় দুই টন। বস্তুটি এখনো বিপজ্জনকভাবে তেজস্ক্রিয়। আপনি যদি এলিফ্যান্টস ফুটের কাছাকাছি মাত্র ৩০ সেকেন্ডের জন্য দাঁড়ান, তবে প্রথমে আপনি কিছুই অনুভব করবেন না। দুদিন পরেই আপনার মধ্যে তীব্র মাথা ঘোরা ও ক্লান্তি দেখা দেবে। বস্তুর কাছে দুই মিনিট থাকলে আপনার শরীরের কোষ ভেঙে যেতে শুরু করবে। চার মিনিট দাঁড়ালে বমি ও জ্বর শুরু হবে। আর যদি আপনি পাঁচ মিনিট দাঁড়ান তাহলে দ্রুত মৃত্যুর মুখে পতিত হবেন। এলিফ্যান্টস ফুট ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয়ের ফলে তৈরি হওয়া জমাট বাঁধা একটি বস্তু। তখন একটি পরীক্ষার সময় রিঅ্যাক্টর নাম্বার ফোর বিস্ফোরিত হয়। তখন বিপুল পরিমাণ তেজস্ক্রিয় উপাদান নির্গত হয়েছিল। বিস্ফোরণের ফলে ইউরেনিয়াম জ্বালানি গলে রিঅ্যাক্টরের কাঠামোগত স্তর ভেদ করে নিচে নেমে আসে। এই গলিত মিশ্রণ পারমাণবিক জ্বালানি, রিঅ্যাক্টরের আচ্ছাদন, কংক্রিট ও বালুর সমন্বয়ে গঠিত হয়। সবশেষে শীতল হয়ে জমে গিয়ে এক বীভৎস এক মিটার চওড়া কাঠামো তৈরি করে। সেখানকার কর্মীরা পরে এই জমাট বাঁধা কালো লাভা-সদৃশ বস্তুকে একটি হাতির কুঁচকানো পায়ের মতো দেখতে বলে বর্ণনা করেন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
    0 التعليقات ·0 المشاركات ·499 مشاهدة ·0 معاينة
  • নতুন ধূমকেতুর ছবিতেই খারিজ হল ‘এলিয়েন নভোযানে’র গুজব -- ৩

    সেই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “আমরা সত্যিই মহাবিশ্বের কোথাও প্রাণের কোনো চিহ্ন রয়েছে কি না তা খুঁজে পেতে খুব আগ্রহী।”

    নাসা বলেছে, পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় ৩আই/অ্যাটলাস এবং আমাদের গ্রহের কাছাকাছিও এটি আসবে না। সবচেয়ে কাছে এলেও পৃথিবী থেকে প্রায় সাড়ে ২৭ কোটি কিলোমিটার দূরেই থাকবে এ ধুমকেতু।

    ফক্স বলেছেন, নাসা হাবল টেলিস্কোপ, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ও মঙ্গলকে ঘিরে থাকা বিভিন্ন স্যাটেলাইটসহ ডজনেরও বেশি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র ব্যবহার করে এই ধুমকেতু নিয়ে গবেষণা করেছেন তারা।

    নতুন ধুমকেতুর বিভিন্ন ছবি অনেক দূর থেকে তোলা। এসব ছবি থেকে ইঙ্গিত মেলে, বস্তুটি কিছুটা ঝাপসা দেখা গেলেও ধূমকেতুর কেন্দ্রে থাকা কণা ও গ্যাসের মেঘ এবং এর কক্ষপথের পেছনের ধূলার লেজের স্পষ্ট দেখা মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি শাটডাউনের কারণে এসব ছবি প্রকাশের কাজ সাময়িকভাবে আটকে ছিল।

    সৌরজগতের ক্ষুদ্র বস্তু নিয়ে কাজ করা নাসার প্রধান বিজ্ঞানী টম স্ট্যাটলার বলেছেন, ধূমকেতুর কেন্দ্রীয় অংশ বা নিউক্লিয়াসের আকার নির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন। তবে হাবল টেলিস্কোপের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তিনি অনুমান করেছেন, ‘এর ব্যাস প্রায় কয়েক হাজার ফুট থেকে কয়েক কিলোমিটার হতে পারে। নিউক্লিয়াসটি দেখতে সম্ভবত গোলাকার আকৃতির’।

    ধূমকেতুটি ঠিক কোথা থেকে এসেছে তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে নাসার বিজ্ঞানীদের অনুমান, আমাদের সৌরজগতের চেয়েও পুরানো কোনো নক্ষত্র সিস্টেম থেকে এসেছে এই ধুমকেতু। আমাদের সৌরজগতের বয়স প্রায় সাড়ে চারশ কোটি বছর।

    Source: bdnews24
    নতুন ধূমকেতুর ছবিতেই খারিজ হল ‘এলিয়েন নভোযানে’র গুজব -- ৩ সেই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “আমরা সত্যিই মহাবিশ্বের কোথাও প্রাণের কোনো চিহ্ন রয়েছে কি না তা খুঁজে পেতে খুব আগ্রহী।” নাসা বলেছে, পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় ৩আই/অ্যাটলাস এবং আমাদের গ্রহের কাছাকাছিও এটি আসবে না। সবচেয়ে কাছে এলেও পৃথিবী থেকে প্রায় সাড়ে ২৭ কোটি কিলোমিটার দূরেই থাকবে এ ধুমকেতু। ফক্স বলেছেন, নাসা হাবল টেলিস্কোপ, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ও মঙ্গলকে ঘিরে থাকা বিভিন্ন স্যাটেলাইটসহ ডজনেরও বেশি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র ব্যবহার করে এই ধুমকেতু নিয়ে গবেষণা করেছেন তারা। নতুন ধুমকেতুর বিভিন্ন ছবি অনেক দূর থেকে তোলা। এসব ছবি থেকে ইঙ্গিত মেলে, বস্তুটি কিছুটা ঝাপসা দেখা গেলেও ধূমকেতুর কেন্দ্রে থাকা কণা ও গ্যাসের মেঘ এবং এর কক্ষপথের পেছনের ধূলার লেজের স্পষ্ট দেখা মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি শাটডাউনের কারণে এসব ছবি প্রকাশের কাজ সাময়িকভাবে আটকে ছিল। সৌরজগতের ক্ষুদ্র বস্তু নিয়ে কাজ করা নাসার প্রধান বিজ্ঞানী টম স্ট্যাটলার বলেছেন, ধূমকেতুর কেন্দ্রীয় অংশ বা নিউক্লিয়াসের আকার নির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন। তবে হাবল টেলিস্কোপের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তিনি অনুমান করেছেন, ‘এর ব্যাস প্রায় কয়েক হাজার ফুট থেকে কয়েক কিলোমিটার হতে পারে। নিউক্লিয়াসটি দেখতে সম্ভবত গোলাকার আকৃতির’। ধূমকেতুটি ঠিক কোথা থেকে এসেছে তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে নাসার বিজ্ঞানীদের অনুমান, আমাদের সৌরজগতের চেয়েও পুরানো কোনো নক্ষত্র সিস্টেম থেকে এসেছে এই ধুমকেতু। আমাদের সৌরজগতের বয়স প্রায় সাড়ে চারশ কোটি বছর। Source: bdnews24
    0 التعليقات ·0 المشاركات ·478 مشاهدة ·0 معاينة
  • নতুন ধূমকেতুর ছবিতেই খারিজ হল ‘এলিয়েন নভোযানে’র গুজব -- ২

    জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ করা আমাদের সৌরজগতের মধ্য দিয়ে ভ্রমণকারী তৃতীয় আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তু হচ্ছে ‘৩আই/অ্যাটলাস’। এর আগের দুটি বস্তু ছিল ২০১৭ সালে দেখা ‘১আই/’ওমুয়ামুয়া’ ও ২০১৯ সালে দেখা ‘২আই/বরিসভ’। এমন বস্তুর দেখা মেলার বিষয়টি খুবই বিরল।

    ধূমকেতু হচ্ছে ছোট আকারের কঠিন মহাজাগতিক বস্তু, যা পাথর ও বরফের সংমিশ্রণে গঠিত। আমাদের সূর্যের মতো তারার কাছাকাছি পৌঁছানোর সময় এর বরফ গলে যায় বা বাষ্পীভূত হয়, তখন ধুমকেতুর লেজের অংশ তৈরি হয়।

    নতুন এ ধুমকেতুটি বিশেষভাবে মানুষের নজর কেড়েছে। কারণ একজন বিজ্ঞানী বলেছিলেন, বস্তুটি ধূমকেতু নয়, বরং এলিয়েন বা কোনো ভিনগ্রহী প্রযুক্তি হতে পারে। ধুমকেতুটির গতি, গঠন ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের কারণে এমনটি ধারণা করেছিলেন তিনি।

    বুধবারের ব্রিফিংয়ের শুরুতে নাসার সহযোগী প্রশাসক অমিত ক্ষত্রিয় বলেছেন, “প্রথমেই আমি ৩আই/অ্যাটলাস-এর প্রকৃতি সম্পর্কে গুজবের সমাধান করতে চাই। আমার মনে হয় আমাদের এ বিষয়ে আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। বস্তুটি আসলে ধূমকেতু।

    “বস্তুটি দেখতে ও এর আচরণ ধূমকেতুর মতোই এবং আমাদের সব প্রমাণেই ইঙ্গিত মিলেছে, এ মহাজাগতিক বস্তুটি সত্যিই একটি ধূমকেতু।”

    তিনি বলেছেন, নাসার বিভিন্ন মিশনে সক্রিয়ভাবে পৃথিবীর বাইরে প্রাণের সম্ভাব্যতার চিহ্ন খুঁজে দেখা হয়। সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক গবেষণার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেছেন, নাসার পার্সিভ্যারেন্স রোভার মঙ্গল গ্রহের কোটি কোটি বছর আগের এক হ্রদের তলা থেকে তৈরি পাথরের নমুনা সংগ্রহ করেছিল, সেই নমুনায় গ্রহটিতে প্রাচীন ক্ষুদ্রজীবীর সম্ভাব্য চিহ্নের দেখা মিলেছে।

    Source: bdnews24
    নতুন ধূমকেতুর ছবিতেই খারিজ হল ‘এলিয়েন নভোযানে’র গুজব -- ২ জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ করা আমাদের সৌরজগতের মধ্য দিয়ে ভ্রমণকারী তৃতীয় আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তু হচ্ছে ‘৩আই/অ্যাটলাস’। এর আগের দুটি বস্তু ছিল ২০১৭ সালে দেখা ‘১আই/’ওমুয়ামুয়া’ ও ২০১৯ সালে দেখা ‘২আই/বরিসভ’। এমন বস্তুর দেখা মেলার বিষয়টি খুবই বিরল। ধূমকেতু হচ্ছে ছোট আকারের কঠিন মহাজাগতিক বস্তু, যা পাথর ও বরফের সংমিশ্রণে গঠিত। আমাদের সূর্যের মতো তারার কাছাকাছি পৌঁছানোর সময় এর বরফ গলে যায় বা বাষ্পীভূত হয়, তখন ধুমকেতুর লেজের অংশ তৈরি হয়। নতুন এ ধুমকেতুটি বিশেষভাবে মানুষের নজর কেড়েছে। কারণ একজন বিজ্ঞানী বলেছিলেন, বস্তুটি ধূমকেতু নয়, বরং এলিয়েন বা কোনো ভিনগ্রহী প্রযুক্তি হতে পারে। ধুমকেতুটির গতি, গঠন ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের কারণে এমনটি ধারণা করেছিলেন তিনি। বুধবারের ব্রিফিংয়ের শুরুতে নাসার সহযোগী প্রশাসক অমিত ক্ষত্রিয় বলেছেন, “প্রথমেই আমি ৩আই/অ্যাটলাস-এর প্রকৃতি সম্পর্কে গুজবের সমাধান করতে চাই। আমার মনে হয় আমাদের এ বিষয়ে আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। বস্তুটি আসলে ধূমকেতু। “বস্তুটি দেখতে ও এর আচরণ ধূমকেতুর মতোই এবং আমাদের সব প্রমাণেই ইঙ্গিত মিলেছে, এ মহাজাগতিক বস্তুটি সত্যিই একটি ধূমকেতু।” তিনি বলেছেন, নাসার বিভিন্ন মিশনে সক্রিয়ভাবে পৃথিবীর বাইরে প্রাণের সম্ভাব্যতার চিহ্ন খুঁজে দেখা হয়। সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক গবেষণার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেছেন, নাসার পার্সিভ্যারেন্স রোভার মঙ্গল গ্রহের কোটি কোটি বছর আগের এক হ্রদের তলা থেকে তৈরি পাথরের নমুনা সংগ্রহ করেছিল, সেই নমুনায় গ্রহটিতে প্রাচীন ক্ষুদ্রজীবীর সম্ভাব্য চিহ্নের দেখা মিলেছে। Source: bdnews24
    0 التعليقات ·0 المشاركات ·471 مشاهدة ·0 معاينة
  • নতুন ধূমকেতুর ছবিতেই খারিজ হল ‘এলিয়েন নভোযানে’র গুজব -- ১

    অনেকে ধারণা করছিলেন বস্তুটি এলিয়েন স্পেসশিপ বা ভিনগ্রহবাসীদের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। তবে সে জল্পনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন নাসার কর্মকর্তারা। আমাদের সৌরজগতের মধ্যদিয়ে যাবে এমন এক নতুন মহাজাগতিক বস্তুর ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বস্তুটি আসলে ধূমকেতু, যার বয়স আমাদের সৌরজগতের চেয়েও বেশি হতে পারে।

    বুধবার ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের ধুমকেতুটির ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। অনেকে ধারণা করছিলেন বস্তুটি এলিয়েন স্পেসশিপ বা ভিনগ্রহবাসীদের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। তবে সেই জল্পনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নাসার কর্মকর্তারা।

    রয়টার্স লিখেছে, প্রথমবারের মতো বস্তুটি ধরা পড়ে গত জুলাইয়ে চিলির রিও হুরতাদোতে অবস্থিত ‘অ্যাটলাস’ টেলিস্কোপে। তখন থেকেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এর ওপর নিয়মিত নজর রাখছেন। এর চলাচলের অদ্ভুত গতিপথ দেখে বোঝা যাচ্ছে, মহাকাশের কোনো অজানা জায়গা থেকে এসে আমাদের সৌরজগতের ভেতর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে।

    মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নাসার বিজ্ঞান বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিকোলা ফক্স বলেছেন, “বস্তুটি আসলে কী তা নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন জাগাটাই স্বাভাবিক। আমাদের খুব ভালো লেগেছে যে, আমাদের পাশাপাশি পুরো পৃথিবীও এ নিয়ে কৌতূহলী।”

    “আমরা খুব দ্রুতই নিশ্চিত হয়ে বলতে পেরেছি, এর আচরণ একদম ধূমকেতুর মতোই। এর মধ্যে প্রযুক্তির কোনো ছাপ বা এমন কিছুই পাইনি আমরা, যা দেখে মনে হবে যে বস্তুটি ধূমকেতু ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে।”

    Source: bdnews24
    নতুন ধূমকেতুর ছবিতেই খারিজ হল ‘এলিয়েন নভোযানে’র গুজব -- ১ অনেকে ধারণা করছিলেন বস্তুটি এলিয়েন স্পেসশিপ বা ভিনগ্রহবাসীদের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। তবে সে জল্পনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন নাসার কর্মকর্তারা। আমাদের সৌরজগতের মধ্যদিয়ে যাবে এমন এক নতুন মহাজাগতিক বস্তুর ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বস্তুটি আসলে ধূমকেতু, যার বয়স আমাদের সৌরজগতের চেয়েও বেশি হতে পারে। বুধবার ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের ধুমকেতুটির ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। অনেকে ধারণা করছিলেন বস্তুটি এলিয়েন স্পেসশিপ বা ভিনগ্রহবাসীদের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। তবে সেই জল্পনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নাসার কর্মকর্তারা। রয়টার্স লিখেছে, প্রথমবারের মতো বস্তুটি ধরা পড়ে গত জুলাইয়ে চিলির রিও হুরতাদোতে অবস্থিত ‘অ্যাটলাস’ টেলিস্কোপে। তখন থেকেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এর ওপর নিয়মিত নজর রাখছেন। এর চলাচলের অদ্ভুত গতিপথ দেখে বোঝা যাচ্ছে, মহাকাশের কোনো অজানা জায়গা থেকে এসে আমাদের সৌরজগতের ভেতর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নাসার বিজ্ঞান বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিকোলা ফক্স বলেছেন, “বস্তুটি আসলে কী তা নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন জাগাটাই স্বাভাবিক। আমাদের খুব ভালো লেগেছে যে, আমাদের পাশাপাশি পুরো পৃথিবীও এ নিয়ে কৌতূহলী।” “আমরা খুব দ্রুতই নিশ্চিত হয়ে বলতে পেরেছি, এর আচরণ একদম ধূমকেতুর মতোই। এর মধ্যে প্রযুক্তির কোনো ছাপ বা এমন কিছুই পাইনি আমরা, যা দেখে মনে হবে যে বস্তুটি ধূমকেতু ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে।” Source: bdnews24
    0 التعليقات ·0 المشاركات ·413 مشاهدة ·0 معاينة
  • নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত

    নেপচুনের কক্ষপথের বহু দূরে, সৌরজগতের অন্ধকার সীমানায় যেন নতুন রহস্যের হাতছানি। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, কুইপার বেল্টে (নেপচুনের পরের বরফময় অঞ্চল) সৌরজগতের একেবারে শুরুর দিকের সময় থেকে টিকে থাকা বরফখণ্ডের ঘন দল চিহ্নিত হতে পারে। এই আবিষ্কার প্রমাণিত হলে সৌরজগতের জন্ম ও প্রাচীন গঠন সম্পর্কে নতুন ধারণা দেবে।

    কুইপার বেল্টকে সাধারণত সৌরজগতের ‘তৃতীয় অঞ্চল’ বলা হয়। সূর্য থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ এস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট (এউ) পর্যন্ত বিস্তৃত এই এলাকায় রয়েছে লক্ষাধিক বরফগঠিত বস্তু। এদের অনেকগুলোর আকার ১০০ কিলোমিটারের বেশি, আর কিছু—যেমন প্লুটো—হাজার কিলোমিটারেরও বেশি।

    নাসার তথ্যমতে, এই অঞ্চলটি বরফ ও ধুলোর এমন সব অবশিষ্টাংশে ভরা, যা সৌরজগতের সৃষ্টির সময় সম্পূর্ণ গ্রহে পরিণত হয়নি। অ্যাস্টেরয়েড বেল্টের মতো হলেও কুইপার বেল্ট অনেক বেশি পুরু এবং ডোনাটের মতো বৃত্তাকার। বৃহস্পতি ও নেপচুনের মতো দানব গ্রহগুলোর মহাকর্ষ এ অঞ্চলের বস্তুগুলোর অবস্থান ও বিন্যাস সময়ের সঙ্গে বদলে দিয়েছে।

    ২০১১ সালের গবেষণা প্রথম দেখায়, এই অঞ্চলটি একরৈখিক নয়, বরং জটিল। সেখানে ‘কোর’ ও ‘কার্নেল’ নামে স্থির কক্ষপথের উপঅঞ্চল রয়েছে। এবার প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট আমীর সিরাজের নেতৃত্বে এক দল বিজ্ঞানী প্রায় ৪৩ এউ দূরে আরও স্থির একটি নতুন অঞ্চল শনাক্ত করেছেন। তাদের মতে, এই বস্তুগুলোর কক্ষপথ এতটাই শান্ত ও স্থিতিশীল যে ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো প্রায় অক্ষতভাবে সৌরজগতের জন্মকাল থেকে টিকে আছে।

    বিডিপ্রতিদিন
    নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত নেপচুনের কক্ষপথের বহু দূরে, সৌরজগতের অন্ধকার সীমানায় যেন নতুন রহস্যের হাতছানি। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, কুইপার বেল্টে (নেপচুনের পরের বরফময় অঞ্চল) সৌরজগতের একেবারে শুরুর দিকের সময় থেকে টিকে থাকা বরফখণ্ডের ঘন দল চিহ্নিত হতে পারে। এই আবিষ্কার প্রমাণিত হলে সৌরজগতের জন্ম ও প্রাচীন গঠন সম্পর্কে নতুন ধারণা দেবে। কুইপার বেল্টকে সাধারণত সৌরজগতের ‘তৃতীয় অঞ্চল’ বলা হয়। সূর্য থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ এস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট (এউ) পর্যন্ত বিস্তৃত এই এলাকায় রয়েছে লক্ষাধিক বরফগঠিত বস্তু। এদের অনেকগুলোর আকার ১০০ কিলোমিটারের বেশি, আর কিছু—যেমন প্লুটো—হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। নাসার তথ্যমতে, এই অঞ্চলটি বরফ ও ধুলোর এমন সব অবশিষ্টাংশে ভরা, যা সৌরজগতের সৃষ্টির সময় সম্পূর্ণ গ্রহে পরিণত হয়নি। অ্যাস্টেরয়েড বেল্টের মতো হলেও কুইপার বেল্ট অনেক বেশি পুরু এবং ডোনাটের মতো বৃত্তাকার। বৃহস্পতি ও নেপচুনের মতো দানব গ্রহগুলোর মহাকর্ষ এ অঞ্চলের বস্তুগুলোর অবস্থান ও বিন্যাস সময়ের সঙ্গে বদলে দিয়েছে। ২০১১ সালের গবেষণা প্রথম দেখায়, এই অঞ্চলটি একরৈখিক নয়, বরং জটিল। সেখানে ‘কোর’ ও ‘কার্নেল’ নামে স্থির কক্ষপথের উপঅঞ্চল রয়েছে। এবার প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট আমীর সিরাজের নেতৃত্বে এক দল বিজ্ঞানী প্রায় ৪৩ এউ দূরে আরও স্থির একটি নতুন অঞ্চল শনাক্ত করেছেন। তাদের মতে, এই বস্তুগুলোর কক্ষপথ এতটাই শান্ত ও স্থিতিশীল যে ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো প্রায় অক্ষতভাবে সৌরজগতের জন্মকাল থেকে টিকে আছে। বিডিপ্রতিদিন
    Like
    2
    · 0 التعليقات ·0 المشاركات ·446 مشاهدة ·0 معاينة
  • মহাকাশের অস্বাভাবিক নক্ষত্রব্যবস্থার ছবি তুলেছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

    মহাকাশ মানেই যেন মহাবিস্ময়। আবিষ্কারের শেষ নেই সেখানে। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে (ছায়াপথ) থাকা একটি অস্বাভাবিক নক্ষত্রব্যবস্থার ছবি তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। ছবিগুলোতে চার স্তরের বিরল সর্পিল মহাকাশীয় কাঠামো শনাক্ত করা হয়েছে।

    বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৮ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত অ্যাপেপ নক্ষত্র কাঠামোটি মিসরের বিশৃঙ্খলার দেবতা অ্যাপেপের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এত দিন অ্যাপেপ নক্ষত্র কাঠামোতে শুধু একটি আবরণ শনাক্ত করা হয়েছিল। তবে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের তোলা নতুন ছবিতে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। ইনফ্রারেড চিত্রে পুরো কাঠামোতে চারটি আবরণ শনাক্ত করা হয়েছে। এসব আবরণ গত ৭০০ বছরে দুটি উলফ-রেয়েট নক্ষত্র থেকে নির্গত ঘন কার্বন ধূলিকণা দিয়ে তৈরি হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    উলফ-রেয়েট নক্ষত্র সেই সব নক্ষত্রকে বলা হয়, যারা তাদের জীবনের শেষ প্রান্তে আছে। এসব নক্ষত্র অত্যন্ত বিরল। আমাদের গ্যালাক্সিতে এ ধরনের মাত্র এক হাজার নক্ষত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। অ্যাপেপে এ ধরনের দুটি নক্ষত্র রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকোয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ইয়িনুও হান ও রায়ান হোয়াইটের তথ্যমতে, আট হাজার আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র দুটি প্রতি ১৯০ বছরে একবার একে অপরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে।

    জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের তোলা ছবিতে একটি তৃতীয় নক্ষত্রের উপস্থিতিও নিশ্চিত করা গেছে। তৃতীয় নক্ষত্রটি আকারে আমাদের সূর্যের চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ গুণ বড়। তৃতীয় নক্ষত্রের আবরণের মধ্যে একটি গহ্বর রয়েছে, যা দেখতে একটি ফানেলের মতো। ভবিষ্যতে সুপারনোভাতে বিস্ফোরিত হয়ে একটি কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত হতে পারে নক্ষত্রটি।

    সূত্র: এনগ্যাজেট
    মহাকাশের অস্বাভাবিক নক্ষত্রব্যবস্থার ছবি তুলেছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ মহাকাশ মানেই যেন মহাবিস্ময়। আবিষ্কারের শেষ নেই সেখানে। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে (ছায়াপথ) থাকা একটি অস্বাভাবিক নক্ষত্রব্যবস্থার ছবি তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। ছবিগুলোতে চার স্তরের বিরল সর্পিল মহাকাশীয় কাঠামো শনাক্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৮ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত অ্যাপেপ নক্ষত্র কাঠামোটি মিসরের বিশৃঙ্খলার দেবতা অ্যাপেপের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এত দিন অ্যাপেপ নক্ষত্র কাঠামোতে শুধু একটি আবরণ শনাক্ত করা হয়েছিল। তবে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের তোলা নতুন ছবিতে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। ইনফ্রারেড চিত্রে পুরো কাঠামোতে চারটি আবরণ শনাক্ত করা হয়েছে। এসব আবরণ গত ৭০০ বছরে দুটি উলফ-রেয়েট নক্ষত্র থেকে নির্গত ঘন কার্বন ধূলিকণা দিয়ে তৈরি হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। উলফ-রেয়েট নক্ষত্র সেই সব নক্ষত্রকে বলা হয়, যারা তাদের জীবনের শেষ প্রান্তে আছে। এসব নক্ষত্র অত্যন্ত বিরল। আমাদের গ্যালাক্সিতে এ ধরনের মাত্র এক হাজার নক্ষত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। অ্যাপেপে এ ধরনের দুটি নক্ষত্র রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকোয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ইয়িনুও হান ও রায়ান হোয়াইটের তথ্যমতে, আট হাজার আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র দুটি প্রতি ১৯০ বছরে একবার একে অপরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের তোলা ছবিতে একটি তৃতীয় নক্ষত্রের উপস্থিতিও নিশ্চিত করা গেছে। তৃতীয় নক্ষত্রটি আকারে আমাদের সূর্যের চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ গুণ বড়। তৃতীয় নক্ষত্রের আবরণের মধ্যে একটি গহ্বর রয়েছে, যা দেখতে একটি ফানেলের মতো। ভবিষ্যতে সুপারনোভাতে বিস্ফোরিত হয়ে একটি কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত হতে পারে নক্ষত্রটি। সূত্র: এনগ্যাজেট
    Like
    1
    · 0 التعليقات ·0 المشاركات ·448 مشاهدة ·0 معاينة
  • পৃথিবীর চুম্বকীয় ঢাল দুর্বল হচ্ছে -- ২

    নাসার জিওফিজিকস এবং হেলিওফিজিকস কর্মসূচির তথ্য মতে, চৌম্বক ক্ষেত্র দুর্বল হওয়ার পাশাপাশি দক্ষিণ আটলান্টিক অ্যানোমালি ধীরে ধীরে দুটি স্বতন্ত্র অঞ্চলে বিভক্ত হচ্ছে ও পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে। আইকন, সোয়ার্ম ও এমএমএসের মতো মিশনের উপগ্রহের তথ্য এসব পরিস্থিতি তুলে ধরছে। ঢালের দুর্বলতা পৃথিবীর বাইরের কোরের গভীরে গলিত লোহা প্রবাহের জটিল পরিবর্তন থেকে উদ্ভূত হয়েছে। আর তাই দক্ষিণ আটলান্টিক অ্যানোমালি কীভাবে বিকশিত হচ্ছে, তা বোঝা অত্যন্ত জরুরি। এই দুর্বল অংশটি সরাসরি স্যাটেলাইট, বিকিরণের মাত্রা ও পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের দীর্ঘমেয়াদি আচরণকে প্রভাবিত করে।দক্ষিণ আটলান্টিক অ্যানোমালি বিদ্যমান কারণ পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র পুরোপুরি প্রতিসম নয়। দক্ষিণ আমেরিকা ও আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর গ্রহের কাছাকাছি ঝুঁকে পড়ে চৌম্বক ক্ষেত্র। এই অবনমন নির্দেশ করে যে ঢালটি এখানে পাতলা। মহাকাশের ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বেল্ট থেকে আসা শক্তিশালী কণা আরও গভীরভাবে প্রবেশ করে এই দুর্বলতার কারণে। অ্যানোমালি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চৌম্বক ক্ষেত্র বিকিরণকে প্রতিহত করতে কম কার্যকর হয়, যার ফলে মহাকাশে থাকা বিভিন্ন যান ও যন্ত্রপাতি ঝুঁকিতে থাকে।


    নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি গতিশীল। ফলে পৃথিবীর চুম্বকীয় ঢাল ধীরে ধীরে দুর্বল হওয়ায় স্যাটেলাইট ও মহাকাশযানের জন্য দক্ষিণ আটলান্টিক অ্যানোমালিতে প্রবেশ করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। বিকিরণের ঝুঁকির কাছে আছে বলে বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে। এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন যন্ত্র প্রায়শই বন্ধ করে দিতে হয় বা সুরক্ষামূলক মোডে রাখতে হয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনও অ্যানোমালিটির ওপর দিয়ে প্রদক্ষিণ করার সময় বর্ধিত বিকিরণের সম্মুখীন হয়। দক্ষিণ আটলান্টিক অ্যানোমালি প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর নিম্ন-কক্ষপথের একটি বৃহত্তর অংশ প্রভাবিত হচ্ছে।

    সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
    পৃথিবীর চুম্বকীয় ঢাল দুর্বল হচ্ছে -- ২ নাসার জিওফিজিকস এবং হেলিওফিজিকস কর্মসূচির তথ্য মতে, চৌম্বক ক্ষেত্র দুর্বল হওয়ার পাশাপাশি দক্ষিণ আটলান্টিক অ্যানোমালি ধীরে ধীরে দুটি স্বতন্ত্র অঞ্চলে বিভক্ত হচ্ছে ও পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে। আইকন, সোয়ার্ম ও এমএমএসের মতো মিশনের উপগ্রহের তথ্য এসব পরিস্থিতি তুলে ধরছে। ঢালের দুর্বলতা পৃথিবীর বাইরের কোরের গভীরে গলিত লোহা প্রবাহের জটিল পরিবর্তন থেকে উদ্ভূত হয়েছে। আর তাই দক্ষিণ আটলান্টিক অ্যানোমালি কীভাবে বিকশিত হচ্ছে, তা বোঝা অত্যন্ত জরুরি। এই দুর্বল অংশটি সরাসরি স্যাটেলাইট, বিকিরণের মাত্রা ও পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের দীর্ঘমেয়াদি আচরণকে প্রভাবিত করে।দক্ষিণ আটলান্টিক অ্যানোমালি বিদ্যমান কারণ পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র পুরোপুরি প্রতিসম নয়। দক্ষিণ আমেরিকা ও আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর গ্রহের কাছাকাছি ঝুঁকে পড়ে চৌম্বক ক্ষেত্র। এই অবনমন নির্দেশ করে যে ঢালটি এখানে পাতলা। মহাকাশের ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বেল্ট থেকে আসা শক্তিশালী কণা আরও গভীরভাবে প্রবেশ করে এই দুর্বলতার কারণে। অ্যানোমালি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চৌম্বক ক্ষেত্র বিকিরণকে প্রতিহত করতে কম কার্যকর হয়, যার ফলে মহাকাশে থাকা বিভিন্ন যান ও যন্ত্রপাতি ঝুঁকিতে থাকে। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি গতিশীল। ফলে পৃথিবীর চুম্বকীয় ঢাল ধীরে ধীরে দুর্বল হওয়ায় স্যাটেলাইট ও মহাকাশযানের জন্য দক্ষিণ আটলান্টিক অ্যানোমালিতে প্রবেশ করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। বিকিরণের ঝুঁকির কাছে আছে বলে বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে। এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন যন্ত্র প্রায়শই বন্ধ করে দিতে হয় বা সুরক্ষামূলক মোডে রাখতে হয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনও অ্যানোমালিটির ওপর দিয়ে প্রদক্ষিণ করার সময় বর্ধিত বিকিরণের সম্মুখীন হয়। দক্ষিণ আটলান্টিক অ্যানোমালি প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর নিম্ন-কক্ষপথের একটি বৃহত্তর অংশ প্রভাবিত হচ্ছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
    Like
    1
    · 0 التعليقات ·0 المشاركات ·439 مشاهدة ·0 معاينة
  • বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

    দিনটা শুরু হোক মহান আল্লাহর নাম দিয়ে। সবাইকে জানাই সুপ্রভাত! আল্লাহ আমাদের সবার দিনটি বরকতময় করুন এবং নেক কাজ করার তৌফিক দিন। আমিন।

    #IslamicPost #Fajr #MorningVibes
    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। 🤲 দিনটা শুরু হোক মহান আল্লাহর নাম দিয়ে। সবাইকে জানাই সুপ্রভাত! 🌞 আল্লাহ আমাদের সবার দিনটি বরকতময় করুন এবং নেক কাজ করার তৌফিক দিন। আমিন। #IslamicPost #Fajr #MorningVibes
    Like
    4
    · 0 التعليقات ·0 المشاركات ·652 مشاهدة ·0 معاينة
  • আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা!

    আমি নাহিদ হাসান নয়ন। আজ থেকে আমিও যুক্ত হলাম জনসাথী (Jonosathi) পরিবারের সাথে। এখানে নতুন কিছু শিখতে এবং সবার সাথে পরিচিত হতে এসেছি। আশা করি সবাই আমাকে সাপোর্ট করবেন এবং ফলো দিয়ে পাশে থাকবেন।

    #NewMember #Jonosathi #NahidHasanNoyon
    আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা! 👋 আমি নাহিদ হাসান নয়ন। আজ থেকে আমিও যুক্ত হলাম জনসাথী (Jonosathi) পরিবারের সাথে। এখানে নতুন কিছু শিখতে এবং সবার সাথে পরিচিত হতে এসেছি। আশা করি সবাই আমাকে সাপোর্ট করবেন এবং ফলো দিয়ে পাশে থাকবেন। ❤️ #NewMember #Jonosathi #NahidHasanNoyon
    Like
    Love
    5
    · 26 التعليقات ·0 المشاركات ·586 مشاهدة ·1 معاينة
  • বিজ্ঞানীরা কীভাবে বলতে পারেন ভূমিকম্পের উৎপত্তি কোথায় হয়েছে

    ভূমিকম্পের অবস্থান নির্ণয়ের জন্যও সিসমোগ্রাম কাজে আসে। পি তরঙ্গ আর এস তরঙ্গ নিয়ে তখন আলোচনা করা হয়। পি তরঙ্গ এস তরঙ্গের চেয়ে দ্রুতগামী। এ তথ্য বিজ্ঞানীদের বলতে সাহায্য করে ভূমিকম্পের উৎপত্তি কোথায় হয়েছে। বিষয়টি বোঝার জন্য পি ও এস তরঙ্গকে বজ্রপাত ও বজ্রধ্বনির সঙ্গে তুলনা করুন। আলো শব্দের চেয়ে দ্রুত ভ্রমণ করে, তাই একটি বজ্রপাতের সময় আপনি প্রথমে বজ্রপাতের ঝলকানি দেখতে পাবেন এবং তারপর বজ্রধ্বনি শুনতে পাবেন।

    পি তরঙ্গ বজ্রপাতের মতো ও এস তরঙ্গ বজ্রধ্বনির মতো। পি তরঙ্গ দ্রুত ভ্রমণ করে এবং প্রথমে যেখানে আপনি আছেন, সেখানে পৃথিবী কাঁপায়। তারপর এস তরঙ্গ আসে এবং পৃথিবীকে কাঁপায়। আপনি যদি ভূমিকম্পের কাছাকাছি থাকেন, তাহলে পি ও এস তরঙ্গ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আসবে, কিন্তু আপনি যদি দূরে থাকেন, তবে দুটির মধ্যে আরও বেশি সময় থাকবে।

    একটি সিসমোগ্রাফে রেকর্ড করা সিসমোগ্রামে পি ও এস তরঙ্গের মধ্যকার সময়ের ব্যবধান দেখে বিজ্ঞানীরা বলতে পারেন, ভূমিকম্প সেই অবস্থান থেকে কত দূরে হয়েছিল। সিসমোগ্রাফ থেকে ভূমিকম্পটি কোন দিকে হয়েছিল, তা বলা যায় না। শুধু কত দূরে ছিল তা বলা যায়।

    সূত্র: ইউএসজিএস ডট গভ
    বিজ্ঞানীরা কীভাবে বলতে পারেন ভূমিকম্পের উৎপত্তি কোথায় হয়েছে ভূমিকম্পের অবস্থান নির্ণয়ের জন্যও সিসমোগ্রাম কাজে আসে। পি তরঙ্গ আর এস তরঙ্গ নিয়ে তখন আলোচনা করা হয়। পি তরঙ্গ এস তরঙ্গের চেয়ে দ্রুতগামী। এ তথ্য বিজ্ঞানীদের বলতে সাহায্য করে ভূমিকম্পের উৎপত্তি কোথায় হয়েছে। বিষয়টি বোঝার জন্য পি ও এস তরঙ্গকে বজ্রপাত ও বজ্রধ্বনির সঙ্গে তুলনা করুন। আলো শব্দের চেয়ে দ্রুত ভ্রমণ করে, তাই একটি বজ্রপাতের সময় আপনি প্রথমে বজ্রপাতের ঝলকানি দেখতে পাবেন এবং তারপর বজ্রধ্বনি শুনতে পাবেন। পি তরঙ্গ বজ্রপাতের মতো ও এস তরঙ্গ বজ্রধ্বনির মতো। পি তরঙ্গ দ্রুত ভ্রমণ করে এবং প্রথমে যেখানে আপনি আছেন, সেখানে পৃথিবী কাঁপায়। তারপর এস তরঙ্গ আসে এবং পৃথিবীকে কাঁপায়। আপনি যদি ভূমিকম্পের কাছাকাছি থাকেন, তাহলে পি ও এস তরঙ্গ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আসবে, কিন্তু আপনি যদি দূরে থাকেন, তবে দুটির মধ্যে আরও বেশি সময় থাকবে। একটি সিসমোগ্রাফে রেকর্ড করা সিসমোগ্রামে পি ও এস তরঙ্গের মধ্যকার সময়ের ব্যবধান দেখে বিজ্ঞানীরা বলতে পারেন, ভূমিকম্প সেই অবস্থান থেকে কত দূরে হয়েছিল। সিসমোগ্রাফ থেকে ভূমিকম্পটি কোন দিকে হয়েছিল, তা বলা যায় না। শুধু কত দূরে ছিল তা বলা যায়। সূত্র: ইউএসজিএস ডট গভ
    Like
    3
    · 0 التعليقات ·0 المشاركات ·514 مشاهدة ·0 معاينة
  • ভূমিকম্প কেন হয়, বিজ্ঞান কী বলে -- ২

    ভূমিকম্পের সময় পৃথিবী কাঁপে কেন
    চ্যুতির কিনারা আটকে থাকার সময় ও বাকি ব্লক নড়তে থাকার সময় শক্তি সঞ্চিত হতে থাকে। যখন চলন্ত ব্লকের বল চ্যুতির রুক্ষ কিনারার ঘর্ষণকে অতিক্রম করে ও তা আলাদা হয়ে যায়, তখন সেই সঞ্চিত শক্তি মুক্ত হয়। সেই শক্তি ভূমিকম্প তরঙ্গ আকারে পুকুরের ঢেউয়ের মতো চ্যুতির কেন্দ্র থেকে সবদিকে বিকিরণ করে। ভূমিকম্পের তরঙ্গ পৃথিবীর মধ্য দিয়ে চলার সময় পৃথিবীকে কাঁপায় এবং যখন তরঙ্গ পৃথিবীপৃষ্ঠে পৌঁছায়, তখন তারা মাটি ও এর ওপর থাকা সবকিছু—যেমন আমাদের ঘরবাড়ি—কাঁপিয়ে দেয়।

    ভূমিকম্পের মাত্রা কীভাবে রেকর্ড করা হয়
    ভূমিকম্প সিসমোগ্রাফ যন্ত্রের মাধ্যমে রেকর্ড করা হয়। এই যন্ত্র যে রেকর্ড তৈরি করে, তাকে সিসমোগ্রাম বলে। সিসমোগ্রাফের একটি ভিত্তি রয়েছে, যা মাটিতে শক্তভাবে স্থাপন করা হয় এবং একটি ভারী ওজন মুক্তভাবে ঝুলে থাকে। যখন একটি ভূমিকম্পের কারণে মাটি কাঁপে, সিসমোগ্রাফের ভিত্তিও কাঁপে কিন্তু ঝুলে থাকা ওজন কাঁপে না। পরিবর্তে, যে স্প্রিং বা তার থেকে, তা ঝুলে থাকে, সেগুলো সমস্ত নড়াচড়া শোষণ করে নেয়। সিসমোগ্রাফের কম্পনশীল অংশ ও নিশ্চল অংশের মধ্যে অবস্থানের যে পার্থক্য, সেটিই রেকর্ড করা হয়।

    সূত্র: ইউএসজিএস ডট গভ
    ভূমিকম্প কেন হয়, বিজ্ঞান কী বলে -- ২ ভূমিকম্পের সময় পৃথিবী কাঁপে কেন চ্যুতির কিনারা আটকে থাকার সময় ও বাকি ব্লক নড়তে থাকার সময় শক্তি সঞ্চিত হতে থাকে। যখন চলন্ত ব্লকের বল চ্যুতির রুক্ষ কিনারার ঘর্ষণকে অতিক্রম করে ও তা আলাদা হয়ে যায়, তখন সেই সঞ্চিত শক্তি মুক্ত হয়। সেই শক্তি ভূমিকম্প তরঙ্গ আকারে পুকুরের ঢেউয়ের মতো চ্যুতির কেন্দ্র থেকে সবদিকে বিকিরণ করে। ভূমিকম্পের তরঙ্গ পৃথিবীর মধ্য দিয়ে চলার সময় পৃথিবীকে কাঁপায় এবং যখন তরঙ্গ পৃথিবীপৃষ্ঠে পৌঁছায়, তখন তারা মাটি ও এর ওপর থাকা সবকিছু—যেমন আমাদের ঘরবাড়ি—কাঁপিয়ে দেয়। ভূমিকম্পের মাত্রা কীভাবে রেকর্ড করা হয় ভূমিকম্প সিসমোগ্রাফ যন্ত্রের মাধ্যমে রেকর্ড করা হয়। এই যন্ত্র যে রেকর্ড তৈরি করে, তাকে সিসমোগ্রাম বলে। সিসমোগ্রাফের একটি ভিত্তি রয়েছে, যা মাটিতে শক্তভাবে স্থাপন করা হয় এবং একটি ভারী ওজন মুক্তভাবে ঝুলে থাকে। যখন একটি ভূমিকম্পের কারণে মাটি কাঁপে, সিসমোগ্রাফের ভিত্তিও কাঁপে কিন্তু ঝুলে থাকা ওজন কাঁপে না। পরিবর্তে, যে স্প্রিং বা তার থেকে, তা ঝুলে থাকে, সেগুলো সমস্ত নড়াচড়া শোষণ করে নেয়। সিসমোগ্রাফের কম্পনশীল অংশ ও নিশ্চল অংশের মধ্যে অবস্থানের যে পার্থক্য, সেটিই রেকর্ড করা হয়। সূত্র: ইউএসজিএস ডট গভ
    Like
    4
    · 0 التعليقات ·0 المشاركات ·462 مشاهدة ·0 معاينة
  • ভূমিকম্প কেন হয়, বিজ্ঞান কী বলে -- ১

    যখন পৃথিবীর দুটি ব্লক হঠাৎ একে অপরের পাশ দিয়ে পিছলে যায়, তখন ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যে তল বরাবর এই পিছলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে, তা চ্যুতিতল বা ফল্ট প্লেন নামে পরিচিত। আর পৃথিবীপৃষ্ঠের নিচে যে স্থান থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়, সেটিকে বলা হয় হাইপোসেন্টার বা ভূমিকম্পের কেন্দ্র। ভূমিকম্পের কেন্দ্রের ঠিক ওপরে থাকা স্থানটিকে এপিসেন্টার বা উপকেন্দ্র বলা হয়।

    অনেক সময় বড় ধরনের ভূমিকম্পের আগে ফোরশক বা পূর্বাভাস কম্পন হয়। এগুলো অপেক্ষাকৃত ছোট ভূমিকম্প, যা পরে হওয়া বড় ধরনের ভূমিকম্পের একই স্থানে ঘটে। বড় ও প্রধান ভূমিকম্পকে মূল কম্পন বা মেইনশক বলা হয়। মূল কম্পনের পর পরবর্তী কম্পন বা আফটারশক হয়। ফলে মূল কম্পনের পরে একই স্থানে ঘটে ছোট ভূমিকম্প। মূল কম্পনের আকারের ওপর এটি নির্ভর করে। আফটারশক মূল কম্পনের কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পরেও হতে পারে।

    ভূমিকম্পের কারণ ও কোথায় ঘটে
    পৃথিবীর চারটি প্রধান স্তর রয়েছে। অন্তঃস্থ কেন্দ্র, বহিস্থ কেন্দ্র, ম্যান্টল ও ভূত্বক। ভূত্বক ও ম্যান্টলের ওপরের অংশ পৃথিবীর পৃষ্ঠে একটি পাতলা স্তর তৈরি করে। এই স্তর একক কোনো খণ্ড নয়। এটি পৃথিবীপৃষ্ঠকে আবৃত করে থাকা অনেক ক্ষুদ্র টুকরা দিয়ে গঠিত। শুধু তা–ই নয়, এসব টুকরা ধীরে ধীরে নড়তে থাকে। একে অপরের পাশ দিয়ে পিছলে যায় এবং একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এসব টুকরাকে টেকটোনিক প্লেট বলে। এসব প্লেটের কিনারাকে বলা হয় প্লেট বাউন্ডারি। প্লেট বাউন্ডারি অনেক চ্যুতি নিয়ে গঠিত। বিশ্বের বেশির ভাগ ভূমিকম্প এই চ্যুতিতেই ঘটে। যেহেতু প্লেটের কিনারা রুক্ষ হয়, তাই প্লেটের বাকি অংশ নড়তে থাকলেও কিনারা পরস্পরের সঙ্গে আটকে যায়। যখন প্লেট যথেষ্ট দূরে সরে যায়, তখন চ্যুতির মধ্যে থাকা কিনারা আলাদা হয়ে ভূমিকম্প হয়।

    সূত্র: ইউএসজিএস ডট গভ
    ভূমিকম্প কেন হয়, বিজ্ঞান কী বলে -- ১ যখন পৃথিবীর দুটি ব্লক হঠাৎ একে অপরের পাশ দিয়ে পিছলে যায়, তখন ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যে তল বরাবর এই পিছলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে, তা চ্যুতিতল বা ফল্ট প্লেন নামে পরিচিত। আর পৃথিবীপৃষ্ঠের নিচে যে স্থান থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়, সেটিকে বলা হয় হাইপোসেন্টার বা ভূমিকম্পের কেন্দ্র। ভূমিকম্পের কেন্দ্রের ঠিক ওপরে থাকা স্থানটিকে এপিসেন্টার বা উপকেন্দ্র বলা হয়। অনেক সময় বড় ধরনের ভূমিকম্পের আগে ফোরশক বা পূর্বাভাস কম্পন হয়। এগুলো অপেক্ষাকৃত ছোট ভূমিকম্প, যা পরে হওয়া বড় ধরনের ভূমিকম্পের একই স্থানে ঘটে। বড় ও প্রধান ভূমিকম্পকে মূল কম্পন বা মেইনশক বলা হয়। মূল কম্পনের পর পরবর্তী কম্পন বা আফটারশক হয়। ফলে মূল কম্পনের পরে একই স্থানে ঘটে ছোট ভূমিকম্প। মূল কম্পনের আকারের ওপর এটি নির্ভর করে। আফটারশক মূল কম্পনের কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পরেও হতে পারে। ভূমিকম্পের কারণ ও কোথায় ঘটে পৃথিবীর চারটি প্রধান স্তর রয়েছে। অন্তঃস্থ কেন্দ্র, বহিস্থ কেন্দ্র, ম্যান্টল ও ভূত্বক। ভূত্বক ও ম্যান্টলের ওপরের অংশ পৃথিবীর পৃষ্ঠে একটি পাতলা স্তর তৈরি করে। এই স্তর একক কোনো খণ্ড নয়। এটি পৃথিবীপৃষ্ঠকে আবৃত করে থাকা অনেক ক্ষুদ্র টুকরা দিয়ে গঠিত। শুধু তা–ই নয়, এসব টুকরা ধীরে ধীরে নড়তে থাকে। একে অপরের পাশ দিয়ে পিছলে যায় এবং একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এসব টুকরাকে টেকটোনিক প্লেট বলে। এসব প্লেটের কিনারাকে বলা হয় প্লেট বাউন্ডারি। প্লেট বাউন্ডারি অনেক চ্যুতি নিয়ে গঠিত। বিশ্বের বেশির ভাগ ভূমিকম্প এই চ্যুতিতেই ঘটে। যেহেতু প্লেটের কিনারা রুক্ষ হয়, তাই প্লেটের বাকি অংশ নড়তে থাকলেও কিনারা পরস্পরের সঙ্গে আটকে যায়। যখন প্লেট যথেষ্ট দূরে সরে যায়, তখন চ্যুতির মধ্যে থাকা কিনারা আলাদা হয়ে ভূমিকম্প হয়। সূত্র: ইউএসজিএস ডট গভ
    Like
    2
    · 0 التعليقات ·0 المشاركات ·472 مشاهدة ·0 معاينة
الصفحات المعززة
ترقية الحساب
اختر الخطة التي تناسبك
Jono Sathi - Learn, Share, Earn Halal https://jonosathi.com
jonosathi
0%