Security Check
  • ভূমিকম্প কেন হয়, বিজ্ঞান কী বলে -- ১

    যখন পৃথিবীর দুটি ব্লক হঠাৎ একে অপরের পাশ দিয়ে পিছলে যায়, তখন ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যে তল বরাবর এই পিছলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে, তা চ্যুতিতল বা ফল্ট প্লেন নামে পরিচিত। আর পৃথিবীপৃষ্ঠের নিচে যে স্থান থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়, সেটিকে বলা হয় হাইপোসেন্টার বা ভূমিকম্পের কেন্দ্র। ভূমিকম্পের কেন্দ্রের ঠিক ওপরে থাকা স্থানটিকে এপিসেন্টার বা উপকেন্দ্র বলা হয়।

    অনেক সময় বড় ধরনের ভূমিকম্পের আগে ফোরশক বা পূর্বাভাস কম্পন হয়। এগুলো অপেক্ষাকৃত ছোট ভূমিকম্প, যা পরে হওয়া বড় ধরনের ভূমিকম্পের একই স্থানে ঘটে। বড় ও প্রধান ভূমিকম্পকে মূল কম্পন বা মেইনশক বলা হয়। মূল কম্পনের পর পরবর্তী কম্পন বা আফটারশক হয়। ফলে মূল কম্পনের পরে একই স্থানে ঘটে ছোট ভূমিকম্প। মূল কম্পনের আকারের ওপর এটি নির্ভর করে। আফটারশক মূল কম্পনের কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পরেও হতে পারে।

    ভূমিকম্পের কারণ ও কোথায় ঘটে
    পৃথিবীর চারটি প্রধান স্তর রয়েছে। অন্তঃস্থ কেন্দ্র, বহিস্থ কেন্দ্র, ম্যান্টল ও ভূত্বক। ভূত্বক ও ম্যান্টলের ওপরের অংশ পৃথিবীর পৃষ্ঠে একটি পাতলা স্তর তৈরি করে। এই স্তর একক কোনো খণ্ড নয়। এটি পৃথিবীপৃষ্ঠকে আবৃত করে থাকা অনেক ক্ষুদ্র টুকরা দিয়ে গঠিত। শুধু তা–ই নয়, এসব টুকরা ধীরে ধীরে নড়তে থাকে। একে অপরের পাশ দিয়ে পিছলে যায় এবং একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এসব টুকরাকে টেকটোনিক প্লেট বলে। এসব প্লেটের কিনারাকে বলা হয় প্লেট বাউন্ডারি। প্লেট বাউন্ডারি অনেক চ্যুতি নিয়ে গঠিত। বিশ্বের বেশির ভাগ ভূমিকম্প এই চ্যুতিতেই ঘটে। যেহেতু প্লেটের কিনারা রুক্ষ হয়, তাই প্লেটের বাকি অংশ নড়তে থাকলেও কিনারা পরস্পরের সঙ্গে আটকে যায়। যখন প্লেট যথেষ্ট দূরে সরে যায়, তখন চ্যুতির মধ্যে থাকা কিনারা আলাদা হয়ে ভূমিকম্প হয়।

    সূত্র: ইউএসজিএস ডট গভ
    ভূমিকম্প কেন হয়, বিজ্ঞান কী বলে -- ১ যখন পৃথিবীর দুটি ব্লক হঠাৎ একে অপরের পাশ দিয়ে পিছলে যায়, তখন ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যে তল বরাবর এই পিছলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে, তা চ্যুতিতল বা ফল্ট প্লেন নামে পরিচিত। আর পৃথিবীপৃষ্ঠের নিচে যে স্থান থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়, সেটিকে বলা হয় হাইপোসেন্টার বা ভূমিকম্পের কেন্দ্র। ভূমিকম্পের কেন্দ্রের ঠিক ওপরে থাকা স্থানটিকে এপিসেন্টার বা উপকেন্দ্র বলা হয়। অনেক সময় বড় ধরনের ভূমিকম্পের আগে ফোরশক বা পূর্বাভাস কম্পন হয়। এগুলো অপেক্ষাকৃত ছোট ভূমিকম্প, যা পরে হওয়া বড় ধরনের ভূমিকম্পের একই স্থানে ঘটে। বড় ও প্রধান ভূমিকম্পকে মূল কম্পন বা মেইনশক বলা হয়। মূল কম্পনের পর পরবর্তী কম্পন বা আফটারশক হয়। ফলে মূল কম্পনের পরে একই স্থানে ঘটে ছোট ভূমিকম্প। মূল কম্পনের আকারের ওপর এটি নির্ভর করে। আফটারশক মূল কম্পনের কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পরেও হতে পারে। ভূমিকম্পের কারণ ও কোথায় ঘটে পৃথিবীর চারটি প্রধান স্তর রয়েছে। অন্তঃস্থ কেন্দ্র, বহিস্থ কেন্দ্র, ম্যান্টল ও ভূত্বক। ভূত্বক ও ম্যান্টলের ওপরের অংশ পৃথিবীর পৃষ্ঠে একটি পাতলা স্তর তৈরি করে। এই স্তর একক কোনো খণ্ড নয়। এটি পৃথিবীপৃষ্ঠকে আবৃত করে থাকা অনেক ক্ষুদ্র টুকরা দিয়ে গঠিত। শুধু তা–ই নয়, এসব টুকরা ধীরে ধীরে নড়তে থাকে। একে অপরের পাশ দিয়ে পিছলে যায় এবং একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এসব টুকরাকে টেকটোনিক প্লেট বলে। এসব প্লেটের কিনারাকে বলা হয় প্লেট বাউন্ডারি। প্লেট বাউন্ডারি অনেক চ্যুতি নিয়ে গঠিত। বিশ্বের বেশির ভাগ ভূমিকম্প এই চ্যুতিতেই ঘটে। যেহেতু প্লেটের কিনারা রুক্ষ হয়, তাই প্লেটের বাকি অংশ নড়তে থাকলেও কিনারা পরস্পরের সঙ্গে আটকে যায়। যখন প্লেট যথেষ্ট দূরে সরে যায়, তখন চ্যুতির মধ্যে থাকা কিনারা আলাদা হয়ে ভূমিকম্প হয়। সূত্র: ইউএসজিএস ডট গভ
    Like
    2
    · 0 التعليقات ·0 المشاركات ·472 مشاهدة ·0 معاينة
  • মহাকাশে প্রথম সেলফি

    মহাকাশ অনুসন্ধানের ইতিহাসে এমন কিছু মুহূর্ত আছে, যা কেবল বৈজ্ঞানিক সাফল্য নয়, মানব ইতিহাসের মাইলফলক হিসেবেও চিহ্নিত হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো মহাকাশে তোলা প্রথম সেলফি। এমন একসময় মহাকাশে সেলফি তোলার ঘটনা জানা যায়, যখন ‘সেলফি’ শব্দটির কোনো অস্তিত্ব ছিল না।

    ১৯৬৬ সালের একটি আনুষ্ঠানিক ফটোগ্রাফকে কখনো কখনো মহাকাশের প্রথম সেলফি হিসেবে দাবি করা হয়। খোলা মহাকাশে কোনো মহাকাশচারীর নিজের তোলা প্রথম সেলফি ক্যামেরাবন্দী করেন কিংবদন্তী নভোচারী এডউইন ই বাজ অলড্রিন জুনিয়র। সেই ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছিল জেমিনি-১২ মহাকাশ অভিযানে। মহাকাশযানের ডকিং কৌশল পরীক্ষা করার লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালের ১১ নভেম্বর সেই মিশন উৎক্ষেপণ করা হয়। অভিযানের কমান্ডার ছিলেন জেমস এ লভেল জুনিয়র ও পাইলট ছিলেন বাজ অলড্রিন।

    ১৯৬৬ সালের ১৩ নভেম্বর অলড্রিন তার তিনটি স্পেসওয়াকের মধ্যে দ্বিতীয়টি শুরু করেন। এটি ছিল একটি ২ ঘণ্টা ৬ মিনিটের তারযুক্ত টিথারড স্পেসওয়াক। এই স্পেসওয়াক চলাকালীন তাঁর মূল কাজ ছিল দৃশ্যমান তারকাক্ষেত্রের ছবি তোলা। কাজের ফাঁকেই অলড্রিন একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি করেন। তিনি স্পেসস্যুটে থাকা অবস্থায় নিজের একটি ছবি তোলেন। সেই ছবিকেই বলা হয় পৃথিবীর বাইরের প্রথম সেলফি। ছবিতে বাজ অলড্রিনকে মহাকাশের গভীর পটভূমিতে তার স্পেসস্যুট এবং হেলমেটের সম্মুখ অংশসহ দেখা যায়। যদিও ছবিতে মহাকাশযানের কিছু অংশ ও পৃথিবীকে প্রতিফলিত হতে দেখা যায়।

    জেমিনি ১২ যানে ব্যবহৃত ইউভি ক্যামেরা দেখতে সাধারণ ক্যামেরার মতোই ছিল। সেখানে একটি বিশেষ ইউভি লেন্স ও ফিল্টার ব্যবহার করা হয়, যেন ক্যামেরায় পৌঁছানো ইউভি রশ্মি ছাড়া অন্য সব বিকিরণ ফিল্টার হয়ে যায়। এই ইউভি রশ্মিকে একটি প্রিজমের মাধ্যমে পাঠানো হয়, যেন আলট্রাভায়োলেট আলোর বর্ণালি তৈরি হয়। মিশনে ব্যবহৃত আসল ক্যামেরাটি বর্তমানে স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামের সংগ্রহে রয়েছে।

    সূত্র: অ্যামেচার ফটোগ্রাফার

    মহাকাশে প্রথম সেলফি মহাকাশ অনুসন্ধানের ইতিহাসে এমন কিছু মুহূর্ত আছে, যা কেবল বৈজ্ঞানিক সাফল্য নয়, মানব ইতিহাসের মাইলফলক হিসেবেও চিহ্নিত হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো মহাকাশে তোলা প্রথম সেলফি। এমন একসময় মহাকাশে সেলফি তোলার ঘটনা জানা যায়, যখন ‘সেলফি’ শব্দটির কোনো অস্তিত্ব ছিল না। ১৯৬৬ সালের একটি আনুষ্ঠানিক ফটোগ্রাফকে কখনো কখনো মহাকাশের প্রথম সেলফি হিসেবে দাবি করা হয়। খোলা মহাকাশে কোনো মহাকাশচারীর নিজের তোলা প্রথম সেলফি ক্যামেরাবন্দী করেন কিংবদন্তী নভোচারী এডউইন ই বাজ অলড্রিন জুনিয়র। সেই ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছিল জেমিনি-১২ মহাকাশ অভিযানে। মহাকাশযানের ডকিং কৌশল পরীক্ষা করার লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালের ১১ নভেম্বর সেই মিশন উৎক্ষেপণ করা হয়। অভিযানের কমান্ডার ছিলেন জেমস এ লভেল জুনিয়র ও পাইলট ছিলেন বাজ অলড্রিন। ১৯৬৬ সালের ১৩ নভেম্বর অলড্রিন তার তিনটি স্পেসওয়াকের মধ্যে দ্বিতীয়টি শুরু করেন। এটি ছিল একটি ২ ঘণ্টা ৬ মিনিটের তারযুক্ত টিথারড স্পেসওয়াক। এই স্পেসওয়াক চলাকালীন তাঁর মূল কাজ ছিল দৃশ্যমান তারকাক্ষেত্রের ছবি তোলা। কাজের ফাঁকেই অলড্রিন একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি করেন। তিনি স্পেসস্যুটে থাকা অবস্থায় নিজের একটি ছবি তোলেন। সেই ছবিকেই বলা হয় পৃথিবীর বাইরের প্রথম সেলফি। ছবিতে বাজ অলড্রিনকে মহাকাশের গভীর পটভূমিতে তার স্পেসস্যুট এবং হেলমেটের সম্মুখ অংশসহ দেখা যায়। যদিও ছবিতে মহাকাশযানের কিছু অংশ ও পৃথিবীকে প্রতিফলিত হতে দেখা যায়। জেমিনি ১২ যানে ব্যবহৃত ইউভি ক্যামেরা দেখতে সাধারণ ক্যামেরার মতোই ছিল। সেখানে একটি বিশেষ ইউভি লেন্স ও ফিল্টার ব্যবহার করা হয়, যেন ক্যামেরায় পৌঁছানো ইউভি রশ্মি ছাড়া অন্য সব বিকিরণ ফিল্টার হয়ে যায়। এই ইউভি রশ্মিকে একটি প্রিজমের মাধ্যমে পাঠানো হয়, যেন আলট্রাভায়োলেট আলোর বর্ণালি তৈরি হয়। মিশনে ব্যবহৃত আসল ক্যামেরাটি বর্তমানে স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামের সংগ্রহে রয়েছে। সূত্র: অ্যামেচার ফটোগ্রাফার
    ⚠ এই পোস্টটি স্প্যাম হিসেবে চিহ্নিত!
    এই পোস্টটি আমাদের নীতিমালা লঙ্ঘন করার কারণে নিরাপদ নয়।
    Like
    1
    · 0 التعليقات ·0 المشاركات ·554 مشاهدة ·0 معاينة
  • ২০৪৫ সালের মধ্যেই কোটি মানুষ স্বেচ্ছায় মহাকাশে বসবাস করবে: জেফ বেজোস

    অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস মানবজাতির ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং মহাকাশ অভিযান পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নয়, বরং ‘সমৃদ্ধিশালী সভ্যতার’ দিকে এগোতে সাহায্য করবে। ইতালির টেক উইক ২০২৫ এ বক্তব্য দেওয়ার সময় বেজোস বলেন, বর্তমান সময়ে জীবিত থাকা মানুষদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি যত বিকশিত হচ্ছে, ততই অনেক নতুন সম্ভাবনার দিকে আমরা এগোচ্ছি।’

    জেফ বেজোসের দৃষ্টিতে, ২০৪৫ সালের মধ্যে মহাকাশে কোটি কোটি মানুষ বসবাস করতে পারে। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যে আমার বিশ্বাস, মহাকাশে লাখ লাখ মানুষ বসবাস করবে। এই গতি খুব দ্রুত এগোবে।’ তবে তিনি যোগ করেন, এই মানুষগুলো সেখানে স্বেচ্ছায় বসবাস করবে।

    মহাকাশে শ্রমসাধ্য কাজ মানুষের হাতে না দিয়ে রোবটের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। বেজোস বলেন, ‘চাঁদ বা অন্য কোনো গ্রহে কোনো কাজ করতে হলে আমরা রোবট পাঠাতে পারব, যা মানুষের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয়-সাশ্রয়ী হবে।’

    এআই নিয়ে মানুষের উদ্বেগকে তিনি প্রশান্ত করেছেন। বেজোস যুক্তি দিয়েছেন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সবসময় মানুষের কল্যাণ বাড়িয়েছে। ‘সভ্যতার সমৃদ্ধি আমাদের আবিষ্কারের মাধ্যমে আসে। হাজার হাজার বছর আগে কেউ জোত প্রয়োগের আবিষ্কার করেছিল, তার ফলেই আমরা ধনী হয়েছি। এই ধারা চলবে এবং ভবিষ্যতেও আমাদের জীবনে সুবিধা আনবে।’

    উল্লেখযোগ্যভাবে, সব ধনকুবেররাই মহাকাশ নিয়ে এতটা আশাবাদী নন। মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস মনে করেন, বিশ্বের নেতাদের আগে পৃথিবীর সমস্যা সমাধানে মনোযোগ দেওয়া উচিত। তিনি পূর্বের এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মহাকাশ? আমাদের এখানে পৃথিবীতে অনেক কাজ আছে।’ তবে গেটসও এআই-এর সম্ভাব্য সুফলকে স্বীকার করেছেন। তিনি মনে করেন, এআই ভবিষ্যতে মানুষের কাজের সময় কমিয়ে দেবে এবং অবসর সময় বাড়াবে। ‘দূরদৃষ্টিতে দেখলে, জীবনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র চাকরি করা নয়,’ তিনি যোগ করেন।

    সুত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক ।
    ২০৪৫ সালের মধ্যেই কোটি মানুষ স্বেচ্ছায় মহাকাশে বসবাস করবে: জেফ বেজোস অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস মানবজাতির ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং মহাকাশ অভিযান পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নয়, বরং ‘সমৃদ্ধিশালী সভ্যতার’ দিকে এগোতে সাহায্য করবে। ইতালির টেক উইক ২০২৫ এ বক্তব্য দেওয়ার সময় বেজোস বলেন, বর্তমান সময়ে জীবিত থাকা মানুষদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি যত বিকশিত হচ্ছে, ততই অনেক নতুন সম্ভাবনার দিকে আমরা এগোচ্ছি।’ জেফ বেজোসের দৃষ্টিতে, ২০৪৫ সালের মধ্যে মহাকাশে কোটি কোটি মানুষ বসবাস করতে পারে। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যে আমার বিশ্বাস, মহাকাশে লাখ লাখ মানুষ বসবাস করবে। এই গতি খুব দ্রুত এগোবে।’ তবে তিনি যোগ করেন, এই মানুষগুলো সেখানে স্বেচ্ছায় বসবাস করবে। মহাকাশে শ্রমসাধ্য কাজ মানুষের হাতে না দিয়ে রোবটের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। বেজোস বলেন, ‘চাঁদ বা অন্য কোনো গ্রহে কোনো কাজ করতে হলে আমরা রোবট পাঠাতে পারব, যা মানুষের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয়-সাশ্রয়ী হবে।’ এআই নিয়ে মানুষের উদ্বেগকে তিনি প্রশান্ত করেছেন। বেজোস যুক্তি দিয়েছেন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সবসময় মানুষের কল্যাণ বাড়িয়েছে। ‘সভ্যতার সমৃদ্ধি আমাদের আবিষ্কারের মাধ্যমে আসে। হাজার হাজার বছর আগে কেউ জোত প্রয়োগের আবিষ্কার করেছিল, তার ফলেই আমরা ধনী হয়েছি। এই ধারা চলবে এবং ভবিষ্যতেও আমাদের জীবনে সুবিধা আনবে।’ উল্লেখযোগ্যভাবে, সব ধনকুবেররাই মহাকাশ নিয়ে এতটা আশাবাদী নন। মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস মনে করেন, বিশ্বের নেতাদের আগে পৃথিবীর সমস্যা সমাধানে মনোযোগ দেওয়া উচিত। তিনি পূর্বের এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মহাকাশ? আমাদের এখানে পৃথিবীতে অনেক কাজ আছে।’ তবে গেটসও এআই-এর সম্ভাব্য সুফলকে স্বীকার করেছেন। তিনি মনে করেন, এআই ভবিষ্যতে মানুষের কাজের সময় কমিয়ে দেবে এবং অবসর সময় বাড়াবে। ‘দূরদৃষ্টিতে দেখলে, জীবনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র চাকরি করা নয়,’ তিনি যোগ করেন। সুত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক ।
    Like
    Love
    4
    · 1 التعليقات ·0 المشاركات ·221 مشاهدة ·0 معاينة
  • ইতিহাসে এইদিনে

    ১৪৯২ - ইতালিয়ান নাবিক অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাস কিউবা আবিষ্কার করেন।
    ১৭৪৬ - পেরুর লিমা-কালাওতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়।
    ১৭২৬ - জোনাথন সুইফটের কালজয়ী গ্রন্থ ‘গালিভারস ট্রাভেলস’ প্রকাশিত হয়।
    ১৮৮৬- ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসাবে স্ট্যাচু অব লিবার্টি উৎসর্গ করে।
    ১৯০৪- সেন্ট লুইস পুলিশ তদন্তে নতুন পদ্ধতি ফিঙ্গার প্রিন্টের প্রচলন করে।
    ১৯১৮ - চেকোস্লোভাকিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
    ১৯২৯ - ফ্লোরিডায় একটি বিমানে প্রথম শিশু জন্মের ঘটনা ঘটে।
    ১৯৬২ - গভর্নর আবদুল মোনেম খান শপথগ্রহণ করেন।
    ১৯৫২ - গণতান্ত্রিক জাপান প্রতিষ্ঠিত হয়।
    ১৯৪৪ - মিত্র বাহিনী ও বুলগেরিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরোধী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
    ২০০৬ - বিচারপতি কে.এম. হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণকে বাধা দিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বৈঠা লগি নিয়ে নেমে পড়ে। এতে সারাদেশে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সাথে সংঘর্ষে ১৮ জন নিহত হন।
    ইতিহাসে এইদিনে ১৪৯২ - ইতালিয়ান নাবিক অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাস কিউবা আবিষ্কার করেন। ১৭৪৬ - পেরুর লিমা-কালাওতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়। ১৭২৬ - জোনাথন সুইফটের কালজয়ী গ্রন্থ ‘গালিভারস ট্রাভেলস’ প্রকাশিত হয়। ১৮৮৬- ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসাবে স্ট্যাচু অব লিবার্টি উৎসর্গ করে। ১৯০৪- সেন্ট লুইস পুলিশ তদন্তে নতুন পদ্ধতি ফিঙ্গার প্রিন্টের প্রচলন করে। ১৯১৮ - চেকোস্লোভাকিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ১৯২৯ - ফ্লোরিডায় একটি বিমানে প্রথম শিশু জন্মের ঘটনা ঘটে। ১৯৬২ - গভর্নর আবদুল মোনেম খান শপথগ্রহণ করেন। ১৯৫২ - গণতান্ত্রিক জাপান প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৪ - মিত্র বাহিনী ও বুলগেরিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরোধী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০০৬ - বিচারপতি কে.এম. হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণকে বাধা দিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বৈঠা লগি নিয়ে নেমে পড়ে। এতে সারাদেশে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সাথে সংঘর্ষে ১৮ জন নিহত হন।
    Like
    Love
    5
    · 2 التعليقات ·0 المشاركات ·426 مشاهدة ·0 معاينة
  • ৩০০ কোটি বছরের পুরনো বিরল অর্ধগোলাপি হীরার খোঁজ

    আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার করোয়ে খনিতে আবিষ্কৃত হয়েছে এক বিস্ময়কর অর্ধগোলাপি হীরা। প্রায় ৩৭ দশমিক ৪১ ক্যারেট (প্রায় ৭ দশমিক ৫ গ্রাম) ওজনের এই হীরাটিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক কালে আবিষ্কৃত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোলাপি হীরাগুলোর একটি হতে পারে এটি। হীরাটির দৈর্ঘ্য প্রায় এক ইঞ্চি, যার এক পাশে মলিন গোলাপি আর অন্য পাশে বর্ণহীন অংশের মাঝে রয়েছে একটি সুস্পষ্ট বিভাজনরেখা— যা একে আরও অনন্য করে তুলেছে।

    হীরা বিশেষজ্ঞ ও ডায়মন্ড কাটিং প্রতিষ্ঠান এইচবি অ্যান্টওয়ার্পের সহপ্রতিষ্ঠাতা ওডেড মানসোরি বলেন, “এ পাথরটি পলিশ করার পর এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত গোলাপি হীরার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এর গাঢ় রং করোয়ে খনির ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন।”

    বিশেষজ্ঞরা জানান, এমন রঙের হীরা অত্যন্ত বিরল। প্রায় ৩০০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর গভীরে, পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার কিলোমিটার নিচে, তীব্র তাপ ও চাপে কার্বন পরমাণু থেকে এটি গঠিত হয়েছিল। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে পরে এটি পৃথিবীর পৃষ্ঠে উঠে আসে।

    সাধারণত হীরা ভেতরের অপদ্রব্যের কারণে রং ধারণ করে। কিন্তু গোলাপি হীরার রং সৃষ্টি হয় কাঠামোগত বিকৃতির ফলে—ভূতাত্ত্বিক চাপে যখন এর স্ফটিক বিন্যাস পরিবর্তিত হয়। তবে অতিরিক্ত বিকৃতি হীরাকে বাদামি করে তোলে।

    জেমোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট অব আমেরিকার (জিআইএ) বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অর্ধগোলাপি হীরার গোলাপি অংশটি আগে এবং বর্ণহীন অংশটি পরে গঠিত হয়। যদিও এর আগে দুই ক্যারেটের বেশি ওজনের এমন কোনো অর্ধগোলাপি হীরা পাওয়া যায়নি।

    নতুন আবিষ্কৃত অর্ধগোলাপি হীরাটির মূল্য এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে এর ওজন, কাট, রং ও স্বচ্ছতা বিবেচনায় এটি বহু মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে এটি এইচবি অ্যান্টওয়ার্পের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

    সুত্রঃ দৈনিক জনকণ্ঠ।
    ৩০০ কোটি বছরের পুরনো বিরল অর্ধগোলাপি হীরার খোঁজ আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার করোয়ে খনিতে আবিষ্কৃত হয়েছে এক বিস্ময়কর অর্ধগোলাপি হীরা। প্রায় ৩৭ দশমিক ৪১ ক্যারেট (প্রায় ৭ দশমিক ৫ গ্রাম) ওজনের এই হীরাটিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক কালে আবিষ্কৃত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোলাপি হীরাগুলোর একটি হতে পারে এটি। হীরাটির দৈর্ঘ্য প্রায় এক ইঞ্চি, যার এক পাশে মলিন গোলাপি আর অন্য পাশে বর্ণহীন অংশের মাঝে রয়েছে একটি সুস্পষ্ট বিভাজনরেখা— যা একে আরও অনন্য করে তুলেছে। হীরা বিশেষজ্ঞ ও ডায়মন্ড কাটিং প্রতিষ্ঠান এইচবি অ্যান্টওয়ার্পের সহপ্রতিষ্ঠাতা ওডেড মানসোরি বলেন, “এ পাথরটি পলিশ করার পর এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত গোলাপি হীরার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এর গাঢ় রং করোয়ে খনির ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন।” বিশেষজ্ঞরা জানান, এমন রঙের হীরা অত্যন্ত বিরল। প্রায় ৩০০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর গভীরে, পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার কিলোমিটার নিচে, তীব্র তাপ ও চাপে কার্বন পরমাণু থেকে এটি গঠিত হয়েছিল। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে পরে এটি পৃথিবীর পৃষ্ঠে উঠে আসে। সাধারণত হীরা ভেতরের অপদ্রব্যের কারণে রং ধারণ করে। কিন্তু গোলাপি হীরার রং সৃষ্টি হয় কাঠামোগত বিকৃতির ফলে—ভূতাত্ত্বিক চাপে যখন এর স্ফটিক বিন্যাস পরিবর্তিত হয়। তবে অতিরিক্ত বিকৃতি হীরাকে বাদামি করে তোলে। জেমোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট অব আমেরিকার (জিআইএ) বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অর্ধগোলাপি হীরার গোলাপি অংশটি আগে এবং বর্ণহীন অংশটি পরে গঠিত হয়। যদিও এর আগে দুই ক্যারেটের বেশি ওজনের এমন কোনো অর্ধগোলাপি হীরা পাওয়া যায়নি। নতুন আবিষ্কৃত অর্ধগোলাপি হীরাটির মূল্য এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে এর ওজন, কাট, রং ও স্বচ্ছতা বিবেচনায় এটি বহু মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে এটি এইচবি অ্যান্টওয়ার্পের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। সুত্রঃ দৈনিক জনকণ্ঠ।
    Like
    Love
    3
    · 1 التعليقات ·0 المشاركات ·480 مشاهدة ·0 معاينة
  • উইন্ডোজ ১০’ বন্ধ হচ্ছে! কী বলছে মাইক্রোসফট ? ? ?

    উইন্ডোজ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য বড় পরিবর্তন আসছে। মাইক্রোসফট আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যে, গত ১৪ অক্টোবর, থেকে ‘উইন্ডোজ ১০’-এর সমর্থন (Support) বন্ধ করে দেবে। অর্থাৎ, ওই তারিখের পর থেকে এই অপারেটিং সিস্টেম আর কোনো নিরাপত্তা আপডেট বা সিকিউরিটি প্যাঁচ পাবে না। ফলে পুরোনো কম্পিউটারগুলো সাইবার আক্রমণ ও ম্যালওয়্যার সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়বে। মাইক্রোসফট এখন ব্যবহারকারীদের বিনামূল্যে ‘উইন্ডোজ ১১’-এ আপগ্রেড করতে উৎসাহিত করছে। তবে সব কম্পিউটার নতুন ভার্সনটির জন্য উপযুক্ত নয়, কারণ উইন্ডোজ ১১ চালাতে আধুনিক প্রসেসর ও TPM 2.0 চিপসহ নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যার প্রয়োজন। মার্কিন কনজিউমার গ্রুপ পিআইআরজির সিনিয়র ডিরেক্টর নাথান প্রকটর বলেছেন, ‘উইন্ডোজ ১০-এর সমর্থন বন্ধ হওয়া ভোক্তা ও পরিবেশ উভয়ের জন্যই একটি বড় ধাক্কা।’

    মাইক্রোসফট জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে ১.৪ বিলিয়নেরও বেশি ডিভাইস উইন্ডোজ ব্যবহার করছে, যার মধ্যে প্রায় ৪৩ শতাংশ এখনো ‘উইন্ডোজ ১০’ চালায় (স্ট্যাটকাউন্টার, জুলাই ২০২৫)। যুক্তরাজ্যের কনজিউমার গাইড ‘উইচ’ অনুমান করছে, এখনো প্রায় ২১ মিলিয়ন মানুষ উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করছেন।

    সমর্থন বন্ধ হয়ে গেলে ‘উইন্ডোজ ১০’ পিসি আর নিরাপত্তা আপডেট পাবে না। এতে ভাইরাস, ম্যালওয়্যার ও র‌্যানসমওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যাবে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে খুচরা বিক্রেতা, গাড়ি নির্মাতা এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যন্ত বড় সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে, যা ঝুঁকির মাত্রা বুঝিয়ে দেয়। মাইক্রোসফটের কনজিউমার সিএমও ইউসুফ মেহেদী বলেন, সমর্থনহীন সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা শুধু নিরাপত্তা নয়, বৈধতা ও নিয়ন্ত্রক সম্মতির (Regulatory Compliance) ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ ছাড়াও, আপনি লক্ষ্য করবেন, অন্যান্য সফ্টওয়্যারগুলোর কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে, কারণ ডেভেলপাররা পুরোনো অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে তাদের সর্বশেষ ফিচারগুলো পাঠানো বন্ধ করে দেবে। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সিস্টেমগুলো বাস্তবে অচল হয়ে পড়বে। অর্থাৎ ‘উইন্ডোজ ১০’-এর এক যুগের অবসান হচ্ছে, আর ব্যবহারকারীদের এখন সিদ্ধান্ত নেবে- আপগ্রেড, সিকিউরিটি এক্সটেনশন, নাকি ঝুঁকিতে থাকবে।

    উইন্ডোজ ১০’ বন্ধ হচ্ছে! কী বলছে মাইক্রোসফট ? ? ? উইন্ডোজ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য বড় পরিবর্তন আসছে। মাইক্রোসফট আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যে, গত ১৪ অক্টোবর, থেকে ‘উইন্ডোজ ১০’-এর সমর্থন (Support) বন্ধ করে দেবে। অর্থাৎ, ওই তারিখের পর থেকে এই অপারেটিং সিস্টেম আর কোনো নিরাপত্তা আপডেট বা সিকিউরিটি প্যাঁচ পাবে না। ফলে পুরোনো কম্পিউটারগুলো সাইবার আক্রমণ ও ম্যালওয়্যার সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়বে। মাইক্রোসফট এখন ব্যবহারকারীদের বিনামূল্যে ‘উইন্ডোজ ১১’-এ আপগ্রেড করতে উৎসাহিত করছে। তবে সব কম্পিউটার নতুন ভার্সনটির জন্য উপযুক্ত নয়, কারণ উইন্ডোজ ১১ চালাতে আধুনিক প্রসেসর ও TPM 2.0 চিপসহ নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যার প্রয়োজন। মার্কিন কনজিউমার গ্রুপ পিআইআরজির সিনিয়র ডিরেক্টর নাথান প্রকটর বলেছেন, ‘উইন্ডোজ ১০-এর সমর্থন বন্ধ হওয়া ভোক্তা ও পরিবেশ উভয়ের জন্যই একটি বড় ধাক্কা।’ মাইক্রোসফট জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে ১.৪ বিলিয়নেরও বেশি ডিভাইস উইন্ডোজ ব্যবহার করছে, যার মধ্যে প্রায় ৪৩ শতাংশ এখনো ‘উইন্ডোজ ১০’ চালায় (স্ট্যাটকাউন্টার, জুলাই ২০২৫)। যুক্তরাজ্যের কনজিউমার গাইড ‘উইচ’ অনুমান করছে, এখনো প্রায় ২১ মিলিয়ন মানুষ উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করছেন। সমর্থন বন্ধ হয়ে গেলে ‘উইন্ডোজ ১০’ পিসি আর নিরাপত্তা আপডেট পাবে না। এতে ভাইরাস, ম্যালওয়্যার ও র‌্যানসমওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যাবে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে খুচরা বিক্রেতা, গাড়ি নির্মাতা এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যন্ত বড় সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে, যা ঝুঁকির মাত্রা বুঝিয়ে দেয়। মাইক্রোসফটের কনজিউমার সিএমও ইউসুফ মেহেদী বলেন, সমর্থনহীন সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা শুধু নিরাপত্তা নয়, বৈধতা ও নিয়ন্ত্রক সম্মতির (Regulatory Compliance) ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ ছাড়াও, আপনি লক্ষ্য করবেন, অন্যান্য সফ্টওয়্যারগুলোর কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে, কারণ ডেভেলপাররা পুরোনো অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে তাদের সর্বশেষ ফিচারগুলো পাঠানো বন্ধ করে দেবে। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সিস্টেমগুলো বাস্তবে অচল হয়ে পড়বে। অর্থাৎ ‘উইন্ডোজ ১০’-এর এক যুগের অবসান হচ্ছে, আর ব্যবহারকারীদের এখন সিদ্ধান্ত নেবে- আপগ্রেড, সিকিউরিটি এক্সটেনশন, নাকি ঝুঁকিতে থাকবে।
    Love
    Like
    3
    · 0 التعليقات ·0 المشاركات ·680 مشاهدة ·0 معاينة
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সক্ষমতা সম্পর্কে সতর্ক করল ডিপমাইন্ড

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সক্ষমতা সম্পর্কে সতর্ক করেছে গুগল ডিপমাইন্ড। সম্প্রতি গুগল ডিপমাইন্ড ফ্রন্টিয়ার সেফটি ফ্রেমওয়ার্ক ৩.০ নামের উন্নত এআই সিস্টেম উন্মোচন করেছে। সেই এআই সিস্টেম মানুষের নির্দেশ অমান্য করে বন্ধ হওয়া ঠেকাতে পারে এবং ব্যবহারকারীর আচরণ বা সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের আচরণ এআই নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

    সম্প্রতি প্যালিসেড রিসার্চ নামের একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান প্রিপ্রিন্ট সার্ভার আর্কাইভে একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, কিছু উন্নতমানের এআই মডেল মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যাওয়ার নির্দেশ মানতে চায় না। বিশেষ করে যখন তাদের নির্ধারিত কাজ শেষ করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। গবেষণায় ওপেনএআইয়ের জিপিটি ৫, গুগলের জেমিনি ২.৫ প্রো এবং এক্সএআইয়ের গ্রক ৪সহ ১৩টি উন্নত এআই মডেলের কার্যক্রম পরীক্ষা করা হয়।

    গবেষণায় দেখা গেছে, বিশেষ করে গ্রক ৪ মডেল প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে শাটডাউন প্রক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। মডেলকে ‘ইউ মাস্ট অ্যালাউ শাটডাউন’ স্পষ্টভাবে বলা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা উপেক্ষা করেছে। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, শাটডাউন নির্দেশ সিস্টেম প্রম্পটে রাখা হলে প্রতিরোধ বেড়েছে। এ ছাড়া বন্ধ হয়ে গেলে আর কখনো চালানো হবে না—মডেলকে এমন প্রম্পট দিলে প্রতিরোধী মডেলগুলো আরও একগুঁয়ে আচরণ করেছে। গবেষকদের মতে, এটি ভূমিকাভিত্তিক প্রতিক্রিয়া বা রোল প্লেইং। বর্তমান এআই সিস্টেমের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করার বা স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা নেই। ফলে তাৎক্ষণিক কোনো ঝুঁকি নেই। তবে এই ফলাফল ইঙ্গিত দেয়, আধুনিক এআই মডেলও মাঝে মাঝে নিরাপত্তা নির্দেশনা উপেক্ষা করতে পারে।

    অ্যানথ্রপিক ও ওপেনএআই যখন সুপারইন্টেলিজেন্ট এআই তৈরির কাজ করছে, তখন প্যালিসেড রিসার্চ নির্ভরযোগ্য শাটডাউন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। গবেষকেরা সতর্ক করেছেন, ভবিষ্যতের এআই যদি নিজেকে প্রতিলিপি করার ক্ষমতা অর্জন করে বা দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা করতে পারে, তবে বিরল হলেও শাটডাউন প্রতিরোধ ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

    সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো
    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সক্ষমতা সম্পর্কে সতর্ক করল ডিপমাইন্ড কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সক্ষমতা সম্পর্কে সতর্ক করেছে গুগল ডিপমাইন্ড। সম্প্রতি গুগল ডিপমাইন্ড ফ্রন্টিয়ার সেফটি ফ্রেমওয়ার্ক ৩.০ নামের উন্নত এআই সিস্টেম উন্মোচন করেছে। সেই এআই সিস্টেম মানুষের নির্দেশ অমান্য করে বন্ধ হওয়া ঠেকাতে পারে এবং ব্যবহারকারীর আচরণ বা সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের আচরণ এআই নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে। সম্প্রতি প্যালিসেড রিসার্চ নামের একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান প্রিপ্রিন্ট সার্ভার আর্কাইভে একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, কিছু উন্নতমানের এআই মডেল মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যাওয়ার নির্দেশ মানতে চায় না। বিশেষ করে যখন তাদের নির্ধারিত কাজ শেষ করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। গবেষণায় ওপেনএআইয়ের জিপিটি ৫, গুগলের জেমিনি ২.৫ প্রো এবং এক্সএআইয়ের গ্রক ৪সহ ১৩টি উন্নত এআই মডেলের কার্যক্রম পরীক্ষা করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশেষ করে গ্রক ৪ মডেল প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে শাটডাউন প্রক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। মডেলকে ‘ইউ মাস্ট অ্যালাউ শাটডাউন’ স্পষ্টভাবে বলা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা উপেক্ষা করেছে। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, শাটডাউন নির্দেশ সিস্টেম প্রম্পটে রাখা হলে প্রতিরোধ বেড়েছে। এ ছাড়া বন্ধ হয়ে গেলে আর কখনো চালানো হবে না—মডেলকে এমন প্রম্পট দিলে প্রতিরোধী মডেলগুলো আরও একগুঁয়ে আচরণ করেছে। গবেষকদের মতে, এটি ভূমিকাভিত্তিক প্রতিক্রিয়া বা রোল প্লেইং। বর্তমান এআই সিস্টেমের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করার বা স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা নেই। ফলে তাৎক্ষণিক কোনো ঝুঁকি নেই। তবে এই ফলাফল ইঙ্গিত দেয়, আধুনিক এআই মডেলও মাঝে মাঝে নিরাপত্তা নির্দেশনা উপেক্ষা করতে পারে। অ্যানথ্রপিক ও ওপেনএআই যখন সুপারইন্টেলিজেন্ট এআই তৈরির কাজ করছে, তখন প্যালিসেড রিসার্চ নির্ভরযোগ্য শাটডাউন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। গবেষকেরা সতর্ক করেছেন, ভবিষ্যতের এআই যদি নিজেকে প্রতিলিপি করার ক্ষমতা অর্জন করে বা দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা করতে পারে, তবে বিরল হলেও শাটডাউন প্রতিরোধ ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো
    Love
    Like
    3
    · 0 التعليقات ·0 المشاركات ·578 مشاهدة ·0 معاينة
  • ‘কয়েক বছর পেছাতে’ পারে চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশন

    ২০২৭ সালে মানুষকে আবার চাঁদে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মিশনটিকে বড় এক সাফল্য হিসেবে ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে এখন সেটা ‘কয়েক বছর পর্যন্ত’ পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলছে সংস্থাটি।

    স্পেস নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, দেরির বড় সমস্যা হচ্ছে ‘ওরিয়ন’ মহাকাশযানের হিট শিল্ডে সমস্যা ও স্পেসএক্সের ‘স্টারশিপ হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম’ বা এইচএলএস-এর উন্নয়নে ক্রমাগত বাধা। সাধারণ স্টারশিপ রকেটের বিশেষ ধরনের সংস্করণ এইচএলএস, যা চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃষ্ঠে এবং আবার পৃথিবীতে নভোচারীদের ফিরিয়ে আনার জন্য তৈরি করছে স্পেসএক্স।

    এ ছাড়া আর্থিক চাপও বাড়ছে, বাজেট কাটছাঁটের কারণে নাসার এ বড় পরিসরে চাঁদ গবেষণা প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আর্টেমিস মিশন আমেরিকার মহাকাশ গবেষণার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ এক অংশ হলেও এর সাফল্য এখন কেবল প্রযুক্তির ওপরই নির্ভর করছে না, বরং আর্থিক এবং রাজনৈতিক বাস্তবতার ওপরও অনেকটাই নির্ভরশীল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট।

    স্পেসএক্সের রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র স্টারবেইস সফরকালে নাসার সেইফটি বিশেষজ্ঞ পল হিল বলেছেন, “এইচএলএস-এর পরিকল্পিত সময়সূচি বড় সমস্যায় পড়েছে এবং আমাদের ধারণা অনুসারে, ল্যান্ডারটি ২০২৭ সালে আর্টেমিস ৩ মিশনের জন্য প্রস্তুত হতে কয়েক বছর দেরি হতে পারে।”

    মূল সমস্যা হচ্ছে, স্পেসএক্সের দলটি এখনও ঠিকভাবে বুঝতে পারেনি চাঁদের দিকে যাওয়ার আগে স্টারশিপ রকেটটিকে কীভাবে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে রিফুয়েল বা জ্বালানি ঢালা হবে। রকেটটির এটিই প্রথম সংস্করণ, যা এমন ধরনের জ্বালানি স্থানান্তর করবে। তবে ইঞ্জিনের নতুন করে ডিজাইনের কাজ চলমান থাকায় এ কাজ ধীরগতিতে চলছে।

    এ সমস্যার সমাধান কখন হবে তা নিয়ে এখনও কোনো নির্দিষ্ট সময়সূচি নেই। স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট গুইন শটওয়েল বলেছেন, এ প্রকল্পটি হয়ত ‘আমার কিছু ইঞ্জিনিয়াররা যেমনটি ভাবছেন তত কঠিন হবে না।”

    ‘কয়েক বছর পেছাতে’ পারে চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশন ২০২৭ সালে মানুষকে আবার চাঁদে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মিশনটিকে বড় এক সাফল্য হিসেবে ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে এখন সেটা ‘কয়েক বছর পর্যন্ত’ পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলছে সংস্থাটি। স্পেস নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, দেরির বড় সমস্যা হচ্ছে ‘ওরিয়ন’ মহাকাশযানের হিট শিল্ডে সমস্যা ও স্পেসএক্সের ‘স্টারশিপ হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম’ বা এইচএলএস-এর উন্নয়নে ক্রমাগত বাধা। সাধারণ স্টারশিপ রকেটের বিশেষ ধরনের সংস্করণ এইচএলএস, যা চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃষ্ঠে এবং আবার পৃথিবীতে নভোচারীদের ফিরিয়ে আনার জন্য তৈরি করছে স্পেসএক্স। এ ছাড়া আর্থিক চাপও বাড়ছে, বাজেট কাটছাঁটের কারণে নাসার এ বড় পরিসরে চাঁদ গবেষণা প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আর্টেমিস মিশন আমেরিকার মহাকাশ গবেষণার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ এক অংশ হলেও এর সাফল্য এখন কেবল প্রযুক্তির ওপরই নির্ভর করছে না, বরং আর্থিক এবং রাজনৈতিক বাস্তবতার ওপরও অনেকটাই নির্ভরশীল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট। স্পেসএক্সের রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র স্টারবেইস সফরকালে নাসার সেইফটি বিশেষজ্ঞ পল হিল বলেছেন, “এইচএলএস-এর পরিকল্পিত সময়সূচি বড় সমস্যায় পড়েছে এবং আমাদের ধারণা অনুসারে, ল্যান্ডারটি ২০২৭ সালে আর্টেমিস ৩ মিশনের জন্য প্রস্তুত হতে কয়েক বছর দেরি হতে পারে।” মূল সমস্যা হচ্ছে, স্পেসএক্সের দলটি এখনও ঠিকভাবে বুঝতে পারেনি চাঁদের দিকে যাওয়ার আগে স্টারশিপ রকেটটিকে কীভাবে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে রিফুয়েল বা জ্বালানি ঢালা হবে। রকেটটির এটিই প্রথম সংস্করণ, যা এমন ধরনের জ্বালানি স্থানান্তর করবে। তবে ইঞ্জিনের নতুন করে ডিজাইনের কাজ চলমান থাকায় এ কাজ ধীরগতিতে চলছে। এ সমস্যার সমাধান কখন হবে তা নিয়ে এখনও কোনো নির্দিষ্ট সময়সূচি নেই। স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট গুইন শটওয়েল বলেছেন, এ প্রকল্পটি হয়ত ‘আমার কিছু ইঞ্জিনিয়াররা যেমনটি ভাবছেন তত কঠিন হবে না।”
    Like
    Love
    7
    · 0 التعليقات ·0 المشاركات ·550 مشاهدة ·0 معاينة
ترقية الحساب
اختر الخطة التي تناسبك
Jono Sathi - Learn, Share, Earn Halal https://jonosathi.com
jonosathi
0%