একবারের কথা, একটি পুরনো গ্রামে একটি abandoned বাড়ি ছিল, যা সবাই ভূতের বাড়ি বলে জানত। গ্রামের লোকেরা বলতো, রাতের বেলা সেখানে অদ্ভুত আওয়াজ শোনা যায় এবং অনেকেই সেখান থেকে অদৃশ্য এক ভুতকে দেখার দাবি করতো।

গ্রামের দুই বন্ধু, রনি ও সানি, ভূতের গল্প শুনে খুবই আগ্রহী হলো। তারা সিদ্ধান্ত নিলো, তারা ওই পুরনো বাড়িতে রাত কাটাবে এবং দেখবে আসলে সেখানে কি হয়।

রাত হয়ে গেল, এবং তারা flashlight নিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটতে লাগলো। বাড়ির দরজা খোলার সাথে সাথে একটি ঠাণ্ডা বাতাস তাদের মুখে লাগলো। তারা ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখলো দেয়ালে ময়লা, ভাঙা আসবাব এবং এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা।

তারা বাড়ির একটি ঘরে ঢুকতেই হঠাৎ করে একটি পুরনো পিয়ানো নিজে থেকেই বাজতে শুরু করলো। রনি ও সানি ভয় পেয়ে গেল, কিন্তু তাদের কৌতূহল বাড়তে লাগলো। তারা পিয়ানোর দিকে এগিয়ে গেল এবং দেখলো, সেখানে একটি সাদা পোষাক পরা ছায়া বসে আছে।

ভূতটি তাদের দিকে তাকিয়ে বললো, "কেন এসেছ, তোমরা? এখানে আসা ভালো নয়!"

সানি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বললো, "আমরা শুধু তোমাকে দেখতে এসেছি!" রনি সাহস করে বললো, "তুমি কি আমাদের কিছু বলবে?"

ভূতটি একটু নরমস্বরে বললো, "আমি এখানে অনেক বছর ধরে একা আছি। কেউ আমার গল্প শুনতে চায় না। আমি এখানে একটি গান গাইতাম, কিন্তু এখন কেউ আমাকে মনে রাখে না।"

রনি ও সানি ভুতের কথা শুনে দুঃখিত হলো। তারা ভুতকে বললো, "আমরা তোমার গান শুনতে চাই!"

ভূতটি তখন একটি মিষ্টি গান গাইতে শুরু করলো। তার কণ্ঠস্বর এতই সুন্দর ছিল যে, রনি ও সানি এক মুহূর্তে ভয় ভুলে গেল। তারা গান শুনে আনন্দিত হলো এবং ভুতের সাথে সময় কাটাল।

রাত শেষ হলে, তারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলো। তারা সিদ্ধান্ত নিল, তারা এই গল্প আর ভয়াবহতা নিয়ে নয়, বরং ভুতটির সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলবে।

সেই থেকে, গ্রামের লোকেরা আর ভুতের গল্প শুনতে পায়নি। সবার মনে হয়েছিল, সেই পুরনো বাড়ির ভূতটি এখন এক বন্ধুর মতো, যারা গান গেয়ে তাদের আনন্দ দেয়।