Upgrade to Pro

  • সফলতা সবসময় বড় শুরু থেকে আসে না-কখনও শুধু উপস্থিত থাকাটাই বদলে দিতে পারে ভবিষ্যৎ

    ২১ বছর আগে, হার্ভার্ডের এক ডরম রুমে মার্ক জাকারবার্গ তাঁর পাঁচ বন্ধুকে ডাকলেন একটি নতুন ব্যবসার ধারণা নিয়ে আলোচনা করতে। সেই ডাক শুনে মাত্র দুজন আসলেন-ডাস্টিন মোস্কোভিটজ আর এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন।

    তারা হাসলেন না, সন্দেহ করলেন না, বরং শুনলেন, বিশ্বাস করলেন, আর পাশে দাঁড়ালেন। সেই আইডিয়াটিই পরে রূপ নেয় আজকের Facebook-এ।

    ডাস্টিন হন কোম্পানির প্রথম CTO এবং পরে প্রতিষ্ঠা করেন আরেক সফল সফটওয়্যার কোম্পানি Asana।

    এডুয়ার্ডো হন Facebook-এর প্রথম CFO এবং পরবর্তীতে একজন প্রভাবশালী বিনিয়োগকারী।

    আজ দুজনেই ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পদের মালিক -শুধু কারণ, তারা সেই দিনটিতে উপস্থিত ছিলেন।

    শিক্ষাটা কী?

    বন্ধুর নতুন আইডিয়াকে তুচ্ছ করবেন না। আপনি চাইলেই তার সঙ্গে কাজ করতে নাও পারেন, কিন্তু শুনতে পারেন, সমর্থন দিতে পারেন।

    কারণ ভবিষ্যৎ সবসময় নিখুঁত পরিকল্পনায় তৈরি হয় না। কখনও কখনও তা গড়ে ওঠে শুধু যারা উপস্থিত থাকে, তাদের হাত ধরে-যখন স্বপ্নটা এখনো বীজ মাত্র।
    সফলতা সবসময় বড় শুরু থেকে আসে না-কখনও শুধু উপস্থিত থাকাটাই বদলে দিতে পারে ভবিষ্যৎ ২১ বছর আগে, হার্ভার্ডের এক ডরম রুমে মার্ক জাকারবার্গ তাঁর পাঁচ বন্ধুকে ডাকলেন একটি নতুন ব্যবসার ধারণা নিয়ে আলোচনা করতে। সেই ডাক শুনে মাত্র দুজন আসলেন-ডাস্টিন মোস্কোভিটজ আর এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন। তারা হাসলেন না, সন্দেহ করলেন না, বরং শুনলেন, বিশ্বাস করলেন, আর পাশে দাঁড়ালেন। সেই আইডিয়াটিই পরে রূপ নেয় আজকের Facebook-এ। ডাস্টিন হন কোম্পানির প্রথম CTO এবং পরে প্রতিষ্ঠা করেন আরেক সফল সফটওয়্যার কোম্পানি Asana। এডুয়ার্ডো হন Facebook-এর প্রথম CFO এবং পরবর্তীতে একজন প্রভাবশালী বিনিয়োগকারী। আজ দুজনেই ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পদের মালিক -শুধু কারণ, তারা সেই দিনটিতে উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষাটা কী? বন্ধুর নতুন আইডিয়াকে তুচ্ছ করবেন না। আপনি চাইলেই তার সঙ্গে কাজ করতে নাও পারেন, কিন্তু শুনতে পারেন, সমর্থন দিতে পারেন। কারণ ভবিষ্যৎ সবসময় নিখুঁত পরিকল্পনায় তৈরি হয় না। কখনও কখনও তা গড়ে ওঠে শুধু যারা উপস্থিত থাকে, তাদের হাত ধরে-যখন স্বপ্নটা এখনো বীজ মাত্র।
    ·80 Views ·0 Reviews
  • শুধু হুজুগে বাংলাদেশিরাই কি দু দিন পর পর বয়কট বয়কট করে?

    না।

    বরং বাংলাদেশের লোকজন বলতে গেলে বয়কট কমই করে। পৃথিবীতে গড়ে প্রতি ৫ সেকেন্ডে একটা করে বয়কট আন্দোলনের ডাক আসে। মানে, আমি এই স্ট্যাটাস লিখতে লিখতে পৃথিবীর দশ জায়গায় কমপক্ষে ১০ টা বয়কট মুভমেন্ট শুরু হয়ে গেছে।

    কাজেই, বয়কট করলেই যেসব জ্ঞানীরা বাংলাদেশের লোকজনকে হুজুগে বলে লো ফিল করাতে চান, তাদের কথায় কান দেওয়ার দরকার নাই।

    বয়কট আপনি একা করতেছেন না।

    এই মুহূর্তে পৃথিবীর ৩৮% মানুষ কোন না কোন বয়কট আন্দোলনের সাথে জড়িত। নিজেকে যখন খুব একা মনে হবে, তখন ভাববেন, আপনি মোটেও একা নন। বরং এই পৃথিবীর ২৫০ কোটি মানুষও আজ পণ্য কেনার সময় চেক করে তারপর পণ্য কিনতেছে।

    ধরেন, আপনাদের ফ্রেন্ড সার্কেলে মোট ৬ জন আছেন। বাট আপনি একাই কোক বা একুয়াফিনা বাদ দিতেছেন। আর বাকি ৫ জন কোকও ছাড়তেসে না, একুয়াফিনাও ছাড়তেছে না। আপনার কি হতাশ হওয়া উচিত?

    না। বরং আপনার আরো জোরেশোরে কোক বর্জন চালাইয়া যাওয়া উচিত।

    কেন?

    কারণ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্স এর গবেষক এরিকা কেনোয়েথ বলতেছেন, কোন পলিটিক্যাল মুভমেন্ট সফল হতে সাড়ে তিন শতাংশ মানুষের ইনভল্ভমেন্ট লাগে।

    মানে ১০০ জনের মধ্যে ৯৬ জনও যদি কোক খায়, ৪ জনও যদি ঠিকঠাক বর্জন করে, তাহলেই এই আন্দোলন একদিন সফল হয়ে যাবে। কাজেই, দোকানে স্তূপ করে রাখা কোকের বোতল যেন আপনাকে হতাশ না করতে পারে।

    শুধু কোক না, যারা একুয়াফিনা পানি খান, তারাও কিন্তু দিনশেষে রক্তই খাচ্ছেন। পানির রঙ সাদা বলে আমরা যেন তার ভেতরের রক্তটুকু দেখতে ভুলে না যাই।

    দেখেন, একটা দেশের ৪০ হাজার মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে। যারা বেঁচে আছে, তারাও না খেয়ে, দুর্ভিক্ষ, রোগ আর শোকের মধ্যে দিয়ে বেঁচে আছে। ছেলে মেয়েরা গালে নাম লিখে রাখতেছে, যেন মরার পর তার লাশ খুজে পাইতে সহজ হয়।

    যারা আমার আপনার ভাই বোনকে এক ফোঁটা পানি খাইতে দিতেসে না, আপনি তাদের বিরুদ্ধে যাইয়া সামান্য একটা সফট ড্রিংকসই যদি স্যাক্রিফাইস করতে না পারেন, তাহলে আপনি মানুষ হলেন কী করে?

    -সাদিক খান।
    শুধু হুজুগে বাংলাদেশিরাই কি দু দিন পর পর বয়কট বয়কট করে? না। বরং বাংলাদেশের লোকজন বলতে গেলে বয়কট কমই করে। পৃথিবীতে গড়ে প্রতি ৫ সেকেন্ডে একটা করে বয়কট আন্দোলনের ডাক আসে। মানে, আমি এই স্ট্যাটাস লিখতে লিখতে পৃথিবীর দশ জায়গায় কমপক্ষে ১০ টা বয়কট মুভমেন্ট শুরু হয়ে গেছে। কাজেই, বয়কট করলেই যেসব জ্ঞানীরা বাংলাদেশের লোকজনকে হুজুগে বলে লো ফিল করাতে চান, তাদের কথায় কান দেওয়ার দরকার নাই। বয়কট আপনি একা করতেছেন না। এই মুহূর্তে পৃথিবীর ৩৮% মানুষ কোন না কোন বয়কট আন্দোলনের সাথে জড়িত। নিজেকে যখন খুব একা মনে হবে, তখন ভাববেন, আপনি মোটেও একা নন। বরং এই পৃথিবীর ২৫০ কোটি মানুষও আজ পণ্য কেনার সময় চেক করে তারপর পণ্য কিনতেছে। ধরেন, আপনাদের ফ্রেন্ড সার্কেলে মোট ৬ জন আছেন। বাট আপনি একাই কোক বা একুয়াফিনা বাদ দিতেছেন। আর বাকি ৫ জন কোকও ছাড়তেসে না, একুয়াফিনাও ছাড়তেছে না। আপনার কি হতাশ হওয়া উচিত? না। বরং আপনার আরো জোরেশোরে কোক বর্জন চালাইয়া যাওয়া উচিত। কেন? কারণ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্স এর গবেষক এরিকা কেনোয়েথ বলতেছেন, কোন পলিটিক্যাল মুভমেন্ট সফল হতে সাড়ে তিন শতাংশ মানুষের ইনভল্ভমেন্ট লাগে। মানে ১০০ জনের মধ্যে ৯৬ জনও যদি কোক খায়, ৪ জনও যদি ঠিকঠাক বর্জন করে, তাহলেই এই আন্দোলন একদিন সফল হয়ে যাবে। কাজেই, দোকানে স্তূপ করে রাখা কোকের বোতল যেন আপনাকে হতাশ না করতে পারে। শুধু কোক না, যারা একুয়াফিনা পানি খান, তারাও কিন্তু দিনশেষে রক্তই খাচ্ছেন। পানির রঙ সাদা বলে আমরা যেন তার ভেতরের রক্তটুকু দেখতে ভুলে না যাই। দেখেন, একটা দেশের ৪০ হাজার মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে। যারা বেঁচে আছে, তারাও না খেয়ে, দুর্ভিক্ষ, রোগ আর শোকের মধ্যে দিয়ে বেঁচে আছে। ছেলে মেয়েরা গালে নাম লিখে রাখতেছে, যেন মরার পর তার লাশ খুজে পাইতে সহজ হয়। যারা আমার আপনার ভাই বোনকে এক ফোঁটা পানি খাইতে দিতেসে না, আপনি তাদের বিরুদ্ধে যাইয়া সামান্য একটা সফট ড্রিংকসই যদি স্যাক্রিফাইস করতে না পারেন, তাহলে আপনি মানুষ হলেন কী করে? -সাদিক খান।
    Love
    1
    ·171 Views ·0 Reviews
  • এরকম ছবি লাগলে কমেন্টে ফটো দাও ফ্রিতে বানিয়ে দিবো ।
    এরকম ছবি লাগলে কমেন্টে ফটো দাও ফ্রিতে বানিয়ে দিবো ।
    Love
    1
    ·165 Views ·0 Reviews
  • পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ছবি
    #ফটোগ্রাফি
    পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ছবি #ফটোগ্রাফি
    Love
    4
    1 Comments ·110 Views ·0 Reviews







  • এই সেই পৃথিবী কাঁপানো ছবি যা তোলার পর ফটোগ্রাফার নিজেই নিজেকে শে'ষ করেছিলেন!

    ছবিতে একটি শকুন বসে আছে ক'ঙ্কা'লসার এক শিশুর মৃ' ত্যুর অপেক্ষায়, যেন মা' রা গেলেই সে ঝাঁপিয়ে পড়বে লক্ষ্যবস্তুর উপর! ছবিটি তুলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফটোগ্রাফার কেভিন কার্টার।

    ১৯৯৩ সালের মার্চ মাস। দুর্ভিক্ষ পীড়িত সুদান। কোথাও একফোঁটা দানা নেই। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতর শিশুটি এক মুঠো খাবারের সন্ধানে আয়োদ শহর থেকে আধা মাইল দূরে জাতিসংঘের খাদ্য গুদামের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।

    এক পর্যায়ে সে তার মৃ' তপ্রা'য় নিথর দে'হটি নিয়ে উবু হয়ে মাটিতে মাথা রেখে বসে পড়ে।

    ঠিক তখনই একটা শকুন এসে লোলুপ দৃষ্টি হেনে শি'শুটির মাং' স ভ'ক্ষ' ণ করার জন্য প্রতীক্ষা করতে থাকে।

    এই ছবি The New York Times এ প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে তো'ল'পা'ড় সৃষ্টি হয়। ১৯৯৪ সালে সেরা ফিচার ফটোগ্রাফির জন্য পুলিৎজার পুরস্কার জিতে নেয় ছবিটি। কিন্তু ফটোগ্রাফার কেভিন কার্টার পুরস্কার জেতার ৪ মাসের মাথায় মাত্র ৩৩ বছর বয়সে নিজেই নিজেকে শে'ষ করে বসেন। পরে জানা যায় ছবিটি তোলার পর থেকেই তিনি মা'ন সিকভাবে ভে'ঙে পড়েছিলেন! মৃত্যু'র আগে ছবিটির বিষয়ে কেভিন কার্টার তার ডায়রিতে লিখেছিলেন :

    "হে পরম করুণাময়, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি কোনও খাবার, তা সে যত খারাপ স্বাদেরই হোক না কেন আমি সেটা নষ্ট করব না, এমনকি আমার পেটে ক্ষুধা না থাকলেও না!

    আমি প্রার্থনা করি, আমরা চারপাশের পৃথিবীর প্রতি আরো সংবেদনশীল হব এবং আমরা আমাদের ভেতরের স্বার্থপরতা এবং সংকীর্ণতা দ্বারা অন্ধ হয়ে যাব না। আমি আরো প্রার্থনা করি, তুমি ওই ছোট্ট ছেলেটিকে রক্ষা করবে, পথ দেখাবে আর ওকে ওর দুঃখ থেকে মুক্তি দেবে। এই ছবি যেন মানুষকে মনে করিয়ে দেয় ওই শিশুটির তুলনায় তারা কতটা ভাগ্যবান, কারণ তোমার করুণা ছাড়া কারো ভাগ্যে একটি দানাও জোটে না। বিদায়!"
    এই সেই পৃথিবী কাঁপানো ছবি যা তোলার পর ফটোগ্রাফার নিজেই নিজেকে শে'ষ করেছিলেন! ছবিতে একটি শকুন বসে আছে ক'ঙ্কা'লসার এক শিশুর মৃ' ত্যুর অপেক্ষায়, যেন মা' রা গেলেই সে ঝাঁপিয়ে পড়বে লক্ষ্যবস্তুর উপর! ছবিটি তুলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফটোগ্রাফার কেভিন কার্টার। ১৯৯৩ সালের মার্চ মাস। দুর্ভিক্ষ পীড়িত সুদান। কোথাও একফোঁটা দানা নেই। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতর শিশুটি এক মুঠো খাবারের সন্ধানে আয়োদ শহর থেকে আধা মাইল দূরে জাতিসংঘের খাদ্য গুদামের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এক পর্যায়ে সে তার মৃ' তপ্রা'য় নিথর দে'হটি নিয়ে উবু হয়ে মাটিতে মাথা রেখে বসে পড়ে। ঠিক তখনই একটা শকুন এসে লোলুপ দৃষ্টি হেনে শি'শুটির মাং' স ভ'ক্ষ' ণ করার জন্য প্রতীক্ষা করতে থাকে। এই ছবি The New York Times এ প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে তো'ল'পা'ড় সৃষ্টি হয়। ১৯৯৪ সালে সেরা ফিচার ফটোগ্রাফির জন্য পুলিৎজার পুরস্কার জিতে নেয় ছবিটি। কিন্তু ফটোগ্রাফার কেভিন কার্টার পুরস্কার জেতার ৪ মাসের মাথায় মাত্র ৩৩ বছর বয়সে নিজেই নিজেকে শে'ষ করে বসেন। পরে জানা যায় ছবিটি তোলার পর থেকেই তিনি মা'ন সিকভাবে ভে'ঙে পড়েছিলেন! মৃত্যু'র আগে ছবিটির বিষয়ে কেভিন কার্টার তার ডায়রিতে লিখেছিলেন : "হে পরম করুণাময়, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি কোনও খাবার, তা সে যত খারাপ স্বাদেরই হোক না কেন আমি সেটা নষ্ট করব না, এমনকি আমার পেটে ক্ষুধা না থাকলেও না! আমি প্রার্থনা করি, আমরা চারপাশের পৃথিবীর প্রতি আরো সংবেদনশীল হব এবং আমরা আমাদের ভেতরের স্বার্থপরতা এবং সংকীর্ণতা দ্বারা অন্ধ হয়ে যাব না। আমি আরো প্রার্থনা করি, তুমি ওই ছোট্ট ছেলেটিকে রক্ষা করবে, পথ দেখাবে আর ওকে ওর দুঃখ থেকে মুক্তি দেবে। এই ছবি যেন মানুষকে মনে করিয়ে দেয় ওই শিশুটির তুলনায় তারা কতটা ভাগ্যবান, কারণ তোমার করুণা ছাড়া কারো ভাগ্যে একটি দানাও জোটে না। বিদায়!"
    Like
    2
    ·77 Views ·0 Reviews
  • আমি ৩০০ টাকা দিয়ে প্রিমিয়াম প্যাকেজ নিয়েছি, কিন্তু সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ফটো বা ভিডিও আপলোড করতে পারিনি। যদি নিয়মিত এমন সমস্যা হয়, তাহলে সেই সাইটে কাজ করা কি ফলপ্রসূ হবে? ৩০০ টাকার প্রিমিয়াম প্যাকেজে রেগুলার ইনকাম ২-৩ টাকা, সর্বোচ্চ ৪ টাকা হয়। এই ইনকাম দিয়ে কি কিছু হবে? এমন সমস্যা নিয়মিত হলে সঠিকভাবে কাজ করা সম্ভব নয়। আশা করি, সমস্যার সমাধান হবে। Jono Sathi
    আমি ৩০০ টাকা দিয়ে প্রিমিয়াম প্যাকেজ নিয়েছি, কিন্তু সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ফটো বা ভিডিও আপলোড করতে পারিনি। যদি নিয়মিত এমন সমস্যা হয়, তাহলে সেই সাইটে কাজ করা কি ফলপ্রসূ হবে? ৩০০ টাকার প্রিমিয়াম প্যাকেজে রেগুলার ইনকাম ২-৩ টাকা, সর্বোচ্চ ৪ টাকা হয়। এই ইনকাম দিয়ে কি কিছু হবে? এমন সমস্যা নিয়মিত হলে সঠিকভাবে কাজ করা সম্ভব নয়। আশা করি, সমস্যার সমাধান হবে। [Jonosathi]
    Love
    3
    ·154 Views ·0 Reviews
  • ফটোটা নিয়ে একটি লাইন বলে যান।
    #islamicPost #viral #foryou #Jonosathi #islam
    ফটোটা নিয়ে একটি লাইন বলে যান। #islamicPost #viral #foryou #Jonosathi #islam
    Love
    Like
    3
    ·185 Views ·0 Reviews
  • আমি আসলে বুঝলাম না এটা কি আমার সাথেই একা হচ্ছে নাকি সবার সাথে সমস্যা টা হলে আমি কোন প্রকার ফটো ও ভিডিও আপলোড দিতে পারছি না এর সমাধান কী? Jono Sathi
    আমি আসলে বুঝলাম না এটা কি আমার সাথেই একা হচ্ছে নাকি সবার সাথে সমস্যা টা হলে আমি কোন প্রকার ফটো ও ভিডিও আপলোড দিতে পারছি না এর সমাধান কী? [Jonosathi]
    Love
    Like
    6
    ·143 Views ·0 Reviews
  • প্রায় একদিন ফটো ব্লু ভেরিফাইয়ের জন্য আবেদন করছি। কিন্তু এখনো ব্লু ভেরিফাই পাইনি
    প্রায় একদিন ফটো ব্লু ভেরিফাইয়ের জন্য আবেদন করছি। কিন্তু এখনো ব্লু ভেরিফাই পাইনি 😭😭😭
    Like
    3
    ·205 Views ·0 Reviews
  • 'এই বাড়িটা ভালো না ভাবী। আপনি পোয়াতি মানুষ। আপনার জামাই বিমানবাহিনীতে চাকরি করে,দুই দিন পর পর মিশনে যায়। এই অবস্থায় আপনার একা বাড়িতে থাকা ঠিক হবে না।'

    প্রতিবেশীর কথায় সেদিন একটু অবাক হয়েছিলাম।মহিলাটি দেখতে সুন্দর হলেও তার জিহ্বা কদাকার কালো। আমার শয়নকক্ষের বাতায়ন খুলে তাকালেই মহিলাটির বেলকনি দেখতে পাওয়া যায়। অথচ আসার পর থেকেই দেখছি তার বাড়ির প্রতিটি দরজা জানালা বন্ধ। জানালায় আবার পর্দাও টাঙানো। ঘরের মধ্যে মানুষ আছে কিন্তু তা বাহিরে থেকে আন্দাজ করা মুশকিল। এই তো মাত্র দুই সপ্তাহ হলো গাজীপুরে শিফট হয়েছি, আমি আর আমার হাসবেন্ড। ছোট থেকে আমার বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। তাই গাজীপুরের এমন গাছপালা আচ্ছাদিত পরিবেশ আমার জন্য একেবারে নতুন। আমাদের বাড়িটি খুব বেশি বড়ও না আবার একেবারে ছোটও না। বাড়িটি কাঠের তৈরি দোতলা বিশিষ্ট। খুব কম মূল্যেই বাড়িটি বন্ধক নিয়েছে আমার স্বামী তুষার। আশে পাশে অন্য বাড়ি বলতে আমার প্রতিবেশী নিপা ভাবীদের বাড়ি ছাড়া আর কোন বাড়ি নেই। বাড়ির চারিদিক শালবনে ঘেরা। রাত হলেই অদ্ভুত সব নিশাচর পাখির ডাক ভেসে আসে।

    আমার দিন কেটে যায় ঘরের মধ্যে সময় কাটিয়েই। এটা ওটা করতে করতে কখন যে দিন পেরিয়ে যায়! একা হাতে কাজ করতে করতে দুপুর হয়ে যায়। দুপুরে তুষার আসে। লাঞ্চ করে আবার কাজে চলে যায়। কাজ থেকে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা গড়ায়। এতটুকু সময় আমি নিজের সঙ্গে কাটিয়েই পার করে দেই।বোরিং লাগে না। আমার বাড়ির সামনে একটা কদম গাছ আছে। গাছের নিচে আছে একটা দোলনা। মাঝে মধ্যেই বিকেল হলে আমি দোলনায় গিয়ে বসি। মৃদু বাতাসে কখনো বা দোলনায় বসে গুনগুন করতে করতে বই পড়ি। ভালোই লাগে। নিপা ভাবী মাঝে মধ্যেই তখন আমার কাছে আসেন। এই বাড়ি এই জায়গা নিয়ে নানা অপ্রকৃতস্থ গল্প বলেন। ভূতের গল্প আমার বেশ লাগে। তবে আমি ভূতে বিশ্বাসী নই। কিন্তু জিন যে আছে সেটা আমি মানি,বিশ্বাস করি।

    —--

    আজ বিকেলেও আমি দোলানায় এসে বসি। গোসল করে মাত্রই চুল শুকানোর জন্য বাহিরে এসে বসেছি। সঙ্গে নিয়ে এসেছি হুমায়ুন আহমেদের দেবী বইটি। কতবার পড়েছি এই বই। তাও একটুও অভক্তি জাগে না।

    'ভাবী আপনার কয় মাস চলে?'

    হঠাৎ অপ্রস্তুত কন্ঠস্বরে আমি ভরকে উঠি। পেছনে ফিরতেই দেখি নিপা ভাবী।

    'আরে আপনি? আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আর আপনি আমাকে নাম ধরেই চাইলে ডাকতে পারেন। জুলফা আমার নাম।’

    নিপা ভাবী কদম গাছের সঙ্গে হেলান দিয়ে বলল,

    'আপাতত ভাবী বলেই না হয় ডাকি? আচ্ছা উত্তর দিলেন না যে? কয় মাস চলে আপনার?'

    আমি বইয়ের পাতায় চোখ বুলিয়ে জবাব দিলাম,

    'তিন মাস। তিন মাস চলে আমার। ভাবী আপনার বাড়িতে কে কে আছে? মানে অনেকদিন তো হলো এখনে এসেছি। আপনাকে ছাড়া আর কাউকেই দেখলাম না।আপনার বাচ্চারা কোথায়?’

    ‘আমার কোন বাচ্চা নেই।তবে একটা বাচ্চার অনেক শখ।আপনার বাচ্চ…..

    আর কিছু বলার আগেই তুষারের গলা কর্নকুহরে এসে ঠেকল। বইয়ের পাতা থেকে চোখ সরিয়ে সামনে তাকাতেই দেখতে পেলাম তুষার দাঁড়িয়ে । কদম গাছের দিকে তাকাতেই দেখি নিপা ভাবী কোথাও নেই। ওমা মহিলাটি গেল কোথায়? একটু আগেই তো এখানে ছিল।

    'এমন দুপুর বেলা তুমি এখানে কি করছো? জানো না এমন সময় অনেক কিছু বেছে চলতে হয়। চলো ঘরে চলো।’

    আমি প্রত্যুত্তর না দিয়ে তুষারের সঙ্গে ঘরে চলে আসি। তবে মনের মধ্যে একটাই প্রশ্ন বার বার স্লোগান তুলছে, নিপা ভাবী কোথায় গেল?



    ঘটনার সূত্রপাত সেদিন থেকেই। মাঝ রাতে হঠাৎ পেটে প্রচন্দ ব্যাথা অনুভব হতেই ঘুমটা ভেঙে যায় আমার। ভেবেছিলাম তুষারকে জাগিয়ে তুলবো। কিন্তু এই সামান্য কারণের জন্য তাকে জাগিয়ে তোলার ইচ্ছে হলো না। সারাদিন কত খাটুনি করে লোকটা। ঘড়ির কাঁটায় তখন বোধহয় ২:৩৫। আমি বিছানা ছেড়ে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসি।রান্নাঘরে যাই। ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি বের করে পান করি। হঠাৎ মনে হলো ড্রয়িং রুমে কেউ একজন বসে আছে। একনাগাড়ে কিছু একটা বিরবির করছে। বিষ্ময়ে আমার ভ্রু কুঁচকে এলো। মাত্রই তো ড্রয়িং রুমের সামনে দিয়ে এলাম। তখন তো কাউকে দেখলাম না?

    সাহস করে ড্রয়িং রুমের দিকে এগুতে লাগলাম। যত এগুচ্ছি ততই শব্দটা বেড়েই যাচ্ছে সঙ্গে সোফায় বসে থাকা ব্যাক্তির ছায়াটাও ড্রিম লাইটের আলোয় বড় হচ্ছে। কাছে যেতেই দেখি একটা কালো কুচকুচে বিড়াল। আমার দিকেই অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে ম্যাঁও ম্যাঁও করছে। বিরবির শব্দটা এখন আর নেই। বোধহয় মনের ভ্রম ছিল।

    ‘এ দেখি একটা বিড়াল! কিন্তু এটা ঘরে কি করে ডুকলো?’

    হঠাৎ চোখ যায় জানালার দিকে। দেখতে পাই জানালা খোলা। তার মানে জানালাটা আজকে আর লাগানো হয় নি। কিন্তু স্পষ্ট মনে আছে বিকেলেই আমি রোজকার মত সব জানালা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। বিড়ালটিকে তাড়াতে হয় না। সে নিজেই জানালা দিয়ে বেড়িয়ে যায়। হঠাৎ আমার চোখ যায় জানালার বহির্ভূত দৃশ্যের দিকে। কিছু একটা দেখা যাচ্ছে। অথচ কি দেখা যাচ্ছে তা আমি ঠিক করে আন্দাজ করতে পারছি না। অকস্মাৎ আমার পেছন থেকে একটা অদ্ভুত ভারী গলা ভেসে আসে,

    ‘ তোর বাচ্চাটা আমায় দিবি?’

    আমার মাথাটা হঠাৎ ব্যাথায় ছটফট করে উঠে। পেছন ফিরে তাকানোর আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। পরে কি হয়েছিল মনে নেই। সকালে যখন ঘুম ভাঙে তখন দেখি তুষার আমার পাশেই বসে আছে। স্বামীকে রাতের কথা জিজ্ঞেস করতেই সে বলল,

    ‘আমি তো ওয়াশরুমের জন্য উঠেছিলাম। হঠাৎ দেখলাম তুমি পাশে নেই। তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে যখন নিচে নেমে আসি তখন দেখতে পাই তুমি ড্রয়িং রুমের মেঝেতে পড়ে আছো। তারপর আর কি?তোমাকে কোলে তুলে রুমে এনে শোয়ালাম। কি হয়েছিল বলো তো?’

    কিছুই মনে পড়ছিল না। তাই উত্তর দিতে চেয়েও তুষারকে কিছু বলতে পারলাম না। তবে কানে এখনো একটা কথাই বাজছে,

    ‘তোর বাচ্চাটা আমায় দিবি?’

    —---

    আজ এই বাড়িতে আমার একমাস পূর্ণ হলো।এই এক মাসে আমার সঙ্গে তেমন কিছুই ঘটে নি। সব স্বাভাবিক ছিল। কাল সকালে তুষার খাগড়াছড়ি যাবে। তিন দিনের একটা মিশনে। এ ক'দিন সে অনেক জায়গায় একটা মেয়ে মানুষ খুঁজেছে ২৪ ঘন্টা আমার তদারকি করার জন্য। আমার সঙ্গে থাকার জন্য। কিন্তু এটা তো আর ঢাকা শহর না যে মানুষ চাইলাম আর মেয়ে পেয়ে গেলাম। তুষার আমাকে একা রেখে কিছুতেই যেতে চাইছিল না। কিন্তু কি আর করার? সরকারি চাকরি বলে কথা!

    বিকেলে বাহিরে থেকে কাপড় আনতে গিয়ে দেখি কোথা থেকে যেন নিপা ভাবী ব্যাগ-পত্তর নিয়ে বাড়ি ডুকছে। সঙ্গে ছোট একটা মেয়ে,একজন পুরুষ আর দু'জন বৃদ্ধা-বৃদ্ধও ছিল। আমি ভাবী বলে হাঁক ছাড়তেই সে আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো।

    ‘ভাবী কোথা থেকে আসছেন?এত সব নিয়ে কোথায় গিয়েছিলেন?যাক এক মাস পর আপনার পরিবারের সদস্যদের দেখা মিলল।বাচ্চা গুলো তো বিকেলে বাহিরেও আসে না।’

    নিপা ভাবীর কপালে ভাঁজ পড়লো এবার। সে আমার বাড়ির দিকে একবার তাকালো তারপর বলল,

    ‘আপনি আমাকে কি করে চিনেন?আমার নাম কি করে জানলেন?আর আপনাকে তো আমি ঠিক চিনতে পারলাম না?কে আপনি?’

    নিপা ভাবীর কথায় আমি পুরোই কিংকর্তব্যবিমুঢ়। এসব কি বলছে উনি?এখানে আসার পর থেকেই উনার সাথে আমার কত ভাব। আর আজকে বলছে আমাকে নাকি সে চিনে না। আমি কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবো তার আগেই ভাবীর সঙ্গে থাকা পুরুষটি তাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠল,

    ‘আতিয়া জলদি বাড়ির চাবিটা দাও। একমাসে না জানি ঘরের কি হাল হয়েছে। এই মণি তোর মায়ের থেকে চাবিটা নিয়ে আয় তো।’

    ছোট্ট মেয়েটা দৌড়ে নিপা ভাবীর কাছে এলো চাবি নেওয়ার জন্য। নিপা ভাবী মেয়েটিকে বলল,

    ‘যাও আব্বুর কাছে। আম্মু আসছি।’

    তারপর আমার দিকে একবার তাকিয়ে বলল,

    ‘পরে কথা হবে।’

    ভাবী আমার জবাবের জন্য অপেক্ষা না করেই চলে গেল। সে চলে যেতেই লোকটি মৃদু কন্ঠে তাকে জিজ্ঞেস করল,কে ওই মহিলা?এই বাড়িতে উঠছে বুঝি?

    সবাই আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকালো। আমার বেশ অস্তিত্ব লাগছিল। তাই এক মুহুর্ত দেরি না করে আমি কাপড় নিয়ে বাড়ির ভেতর চলে এলাম। তুষার বাড়িতেই ছিল। তাকে আমি সব খুলে বললাম। তার নিজের মাথাও কাজ করছে না। সে আর আমাকে কি বুঝাবে? এবার মাথায় আমার আরেকটা প্রশ্ন ভোঁ ভোঁ করছে, নিপা ভাবী আমাকে চিনতে পারলো না কেন?নাকি ইচ্ছে করেই কোন কারন বসত না চেনার ভান করেছে সে? আর ভাবীর তো কোন বাচ্চা নেই । তবে ভাবীর কথার ধরন শুনে কেন মনে হচ্ছিলো ছোট্ট মেয়েটি তার নিজেরই। আর ওই লোকটি তাকে আতিয়া বলেই বা কেন ডাকল?তার নাম তো নিপা।



    সন্ধ্যায় হাসের মাংস আর চালের রুটি করেছি। শীতকালীন সময়ে এটা তুষারের পছন্দের খাবার। স্বামীটা আমার কাল চলে যাবে। না জানি এই তিনদিন কি না কি খায়। তাই যতটুকু পেরেছি,ততটুকুই করেছি। কাজ শেষে যখন এক বাটি মাংস আর রুটি নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য রান্না ঘরের লাইটটা বন্ধ করে বেরিয়ে আসলাম তখনি নাকে একটা পঁচা দুর্গন্ধ এসে ধাক্কা খেল। বমি চলে আসার উপক্রম। হঠাৎ রান্নাঘর থেকে শব্দ এলো,মনে হলো কেউ পাতিলের ঢাকনা সরিয়েছে। আরেকটু খেয়াল করতেই এবার আরো অদ্ভুত এক শব্দ কানে বাজলো,মনে হলো কে যেন খপখপ করে সব ছিড়েখুঁড়ে খাচ্ছে। আমি দ্রুত টেবিলে মাংসের বাটিটা রেখে রান্না ঘরে ডুকলাম। লাইট অন করতেই দেখি সেখানে কিছুই নেই। সব স্বাভাবিক।নেই কোনো শব্দ, সেই কোলাহল। ধ্যাত আজ-কাল হরর মুভি একটু বেশিই দেখা হচ্ছে। তারই ইফেক্ট এসব।

    সেদিন রাতে আমি সবচেয়ে বেশি অবাক হই। যখন রাতে খাবারের সময় রান্নাঘরে গিয়ে দেখি মাংসের পাতিলে এক টুকরো মাংসও নেই। পাতিলের তলায় শুধুমাত্র পড়ে আছে ঝোল। পর পর কেমন যেন সব অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এখন নিজের ভেতরেও খানিকটা ভয় কাজ করা শুরু করে। সব সময় তো সবকিছু একজন মানুষের ভ্রম হওয়া সম্ভব নয়। তুষার কে বিষয়টি জানানোর পর যে বলে,

    ‘আজ তো রাত হয়ে গেছে। সকালে আমাকে আবার খাগড়াছড়িও যেতে হবে। তিনদিন একটু
    কষ্ট করো। যদি দেখো তিনদিনে সব স্বাভাবিক আছে তাহলে তো ভালোই। তা না হলে আমি বাড়ি ফিরেই হুজুরকে এনে একটা মিলাদের ব্যবস্থা করবো।’

    আমিও তাতে রাজি হলাম। তবুও তুষারের আমাকে ফেলে যেতে বেশ চিন্তা হচ্ছিলো। তাই সে আমার ছোট ননদকে কল করে দুই-একদিনের ভেতর এখানে আসতে বলে। সঙ্গে আমার শাশুড়ীও আসবে। শুনে একটু খুশী হলাম। বাড়িতে একা থাকার চেয়ে তাদের এখানে চলে আসাই ভালো। এমনিতেও বছর শেষেই আমার শশুর-শাশুরি আর ননদ-দেবরের এখানে চলে আসার কথা। কিন্তু সামনেই দেবরের এক্সাম আছে তাই সবাই ঠিক করেছে একেবারে বছরটা শেষ করেই তারা এখানে শিফট হবে।

    -

    পরদিন আমার দিনটা খুব একটা ভালো যায় না। তুষারের জন্য অনেক মন খারাপ হচ্ছিলো। অদ্ভুত একটা ভয়ও মনের মধ্যে বাসা বেঁধে বসে ছিলো।

    সেদিন রাত দেড়টায় হঠাৎ বিকট এক শব্দে আচমকা ঘুম ভেঙে যায় আমার। রাত ভালোই হয়েছে। আমার আবার একটা বোধ অভ্যাস আছে। একবার ঘুম ভাঙলে সহজে ঘুম আসে না। তুষারটা চলে গেছে বিধায় মনটা কেমন কেমন জানি করছে। সারাটা দিনও আজকে কেমন যেন একগুয়ে কেটেছে। ফোনটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ ফেসবুকে স্ট্রোলিং করতে থাকি। হঠাৎ তুষারের কল আসে। প্রথমে একটু অবাক হই। এত রাতে কল করেছে?পরে ভাবলাম সারাদিন কাজ করে এখন হয়তো রাত জেগে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া হচ্ছে। ফোন রিসেভ করতেই তুষার একটা কথাই বলল,সব ঠিক আছে?

    ব্যাস সঙ্গে সঙ্গে লাইনটা কেটে যায়। নেট সমস্যা হয়তো। আমি উঠে বারান্দায় যাই। হঠাৎ দোলনার দিকে তাকাতেই মনে হলো কে যেন দোলনায় পা ঝুলিয়ে বসে গুন গুন করছে। মেয়েলি কন্ঠস্বর। আমার শরীরটা শিউরে উঠে। আয়াতুল কুরসী পড়তে পড়তে বারান্দার দরজা বন্ধ করে রুমে চলে এলাম। তুষারকে বেশ কয়েকটি কল করি, কিন্তু ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে। খুব ভয় করছিল আমার। হঠাৎ আননোন নাম্বার থেকে একটা কল আসে,কলটা ধরতেই ওপার থেকে ভেসে আসে একটা অস্পষ্ট কন্ঠ। ভয়েজটা কেটে কেটে আসছিল। ভাবলাম হয়তো কোন সমস্যা হয়েছে দেখে তুষার অন্য কারো নাম্বার থেকে কল করেছে। নেট সমস্যার কারনে কথা অস্পষ্ট শোনাচ্ছে । একটা কল আসার পর আর কোন কল আসে নি।তাই আমিও আর এহেন বিষয়ে এত মাথা ঘামালাম না। ঘুম আসছে না।এখনো ভয় করছে। বিছানায় এসে দোয়া পড়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছি। হঠাৎ অনুভূত হলো পিঠের ওপর কেমন যেন শীতল নিঃশ্বাস পতন হচ্ছে। ধীরে ধীরে নিঃশ্বাসের শব্দ বাড়তে শুরু করে। মনে হচ্ছে এই তো ঠিক আমার পেছনেই কেও একজন শুয়ে আছে। কিন্তু সেটা তো অসম্ভব বিষয়। বাড়িতে তো এই মুহুর্তে আমি ব্যাতিত কেউ নেই?আমি আয়াতুল্লাহ কুরসী আরো দ্রুত পড়তে শুরু করলাম।যত গুলো দোয়া মাথায় আসছে অনবরত তা পাঠ করছি। কিন্তু নিঃশ্বাসের শীতল বাতাসটা তখনো আমার পিঠে লাগছে। এবার আমি দোয়া পড়তে পড়তে আস্তে আস্তে করে ঘাড় বাঁকিয়ে পেছনে ফেরার চেষ্টা করি। পেছন ফিরতেই আমার চক্ষু চড়কগাছ।মুখ থেকে অস্পষ্ট স্বরে শুধু বেরিয়ে আসে,

    ‘নিপা ভাবী?’........

    সমাপ্ত
    'এই বাড়িটা ভালো না ভাবী। আপনি পোয়াতি মানুষ। আপনার জামাই বিমানবাহিনীতে চাকরি করে,দুই দিন পর পর মিশনে যায়। এই অবস্থায় আপনার একা বাড়িতে থাকা ঠিক হবে না।' প্রতিবেশীর কথায় সেদিন একটু অবাক হয়েছিলাম।মহিলাটি দেখতে সুন্দর হলেও তার জিহ্বা কদাকার কালো। আমার শয়নকক্ষের বাতায়ন খুলে তাকালেই মহিলাটির বেলকনি দেখতে পাওয়া যায়। অথচ আসার পর থেকেই দেখছি তার বাড়ির প্রতিটি দরজা জানালা বন্ধ। জানালায় আবার পর্দাও টাঙানো। ঘরের মধ্যে মানুষ আছে কিন্তু তা বাহিরে থেকে আন্দাজ করা মুশকিল। এই তো মাত্র দুই সপ্তাহ হলো গাজীপুরে শিফট হয়েছি, আমি আর আমার হাসবেন্ড। ছোট থেকে আমার বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। তাই গাজীপুরের এমন গাছপালা আচ্ছাদিত পরিবেশ আমার জন্য একেবারে নতুন। আমাদের বাড়িটি খুব বেশি বড়ও না আবার একেবারে ছোটও না। বাড়িটি কাঠের তৈরি দোতলা বিশিষ্ট। খুব কম মূল্যেই বাড়িটি বন্ধক নিয়েছে আমার স্বামী তুষার। আশে পাশে অন্য বাড়ি বলতে আমার প্রতিবেশী নিপা ভাবীদের বাড়ি ছাড়া আর কোন বাড়ি নেই। বাড়ির চারিদিক শালবনে ঘেরা। রাত হলেই অদ্ভুত সব নিশাচর পাখির ডাক ভেসে আসে। আমার দিন কেটে যায় ঘরের মধ্যে সময় কাটিয়েই। এটা ওটা করতে করতে কখন যে দিন পেরিয়ে যায়! একা হাতে কাজ করতে করতে দুপুর হয়ে যায়। দুপুরে তুষার আসে। লাঞ্চ করে আবার কাজে চলে যায়। কাজ থেকে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা গড়ায়। এতটুকু সময় আমি নিজের সঙ্গে কাটিয়েই পার করে দেই।বোরিং লাগে না। আমার বাড়ির সামনে একটা কদম গাছ আছে। গাছের নিচে আছে একটা দোলনা। মাঝে মধ্যেই বিকেল হলে আমি দোলনায় গিয়ে বসি। মৃদু বাতাসে কখনো বা দোলনায় বসে গুনগুন করতে করতে বই পড়ি। ভালোই লাগে। নিপা ভাবী মাঝে মধ্যেই তখন আমার কাছে আসেন। এই বাড়ি এই জায়গা নিয়ে নানা অপ্রকৃতস্থ গল্প বলেন। ভূতের গল্প আমার বেশ লাগে। তবে আমি ভূতে বিশ্বাসী নই। কিন্তু জিন যে আছে সেটা আমি মানি,বিশ্বাস করি। —-- আজ বিকেলেও আমি দোলানায় এসে বসি। গোসল করে মাত্রই চুল শুকানোর জন্য বাহিরে এসে বসেছি। সঙ্গে নিয়ে এসেছি হুমায়ুন আহমেদের দেবী বইটি। কতবার পড়েছি এই বই। তাও একটুও অভক্তি জাগে না। 'ভাবী আপনার কয় মাস চলে?' হঠাৎ অপ্রস্তুত কন্ঠস্বরে আমি ভরকে উঠি। পেছনে ফিরতেই দেখি নিপা ভাবী। 'আরে আপনি? আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আর আপনি আমাকে নাম ধরেই চাইলে ডাকতে পারেন। জুলফা আমার নাম।’ নিপা ভাবী কদম গাছের সঙ্গে হেলান দিয়ে বলল, 'আপাতত ভাবী বলেই না হয় ডাকি? আচ্ছা উত্তর দিলেন না যে? কয় মাস চলে আপনার?' আমি বইয়ের পাতায় চোখ বুলিয়ে জবাব দিলাম, 'তিন মাস। তিন মাস চলে আমার। ভাবী আপনার বাড়িতে কে কে আছে? মানে অনেকদিন তো হলো এখনে এসেছি। আপনাকে ছাড়া আর কাউকেই দেখলাম না।আপনার বাচ্চারা কোথায়?’ ‘আমার কোন বাচ্চা নেই।তবে একটা বাচ্চার অনেক শখ।আপনার বাচ্চ….. আর কিছু বলার আগেই তুষারের গলা কর্নকুহরে এসে ঠেকল। বইয়ের পাতা থেকে চোখ সরিয়ে সামনে তাকাতেই দেখতে পেলাম তুষার দাঁড়িয়ে । কদম গাছের দিকে তাকাতেই দেখি নিপা ভাবী কোথাও নেই। ওমা মহিলাটি গেল কোথায়? একটু আগেই তো এখানে ছিল। 'এমন দুপুর বেলা তুমি এখানে কি করছো? জানো না এমন সময় অনেক কিছু বেছে চলতে হয়। চলো ঘরে চলো।’ আমি প্রত্যুত্তর না দিয়ে তুষারের সঙ্গে ঘরে চলে আসি। তবে মনের মধ্যে একটাই প্রশ্ন বার বার স্লোগান তুলছে, নিপা ভাবী কোথায় গেল? – ঘটনার সূত্রপাত সেদিন থেকেই। মাঝ রাতে হঠাৎ পেটে প্রচন্দ ব্যাথা অনুভব হতেই ঘুমটা ভেঙে যায় আমার। ভেবেছিলাম তুষারকে জাগিয়ে তুলবো। কিন্তু এই সামান্য কারণের জন্য তাকে জাগিয়ে তোলার ইচ্ছে হলো না। সারাদিন কত খাটুনি করে লোকটা। ঘড়ির কাঁটায় তখন বোধহয় ২:৩৫। আমি বিছানা ছেড়ে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসি।রান্নাঘরে যাই। ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি বের করে পান করি। হঠাৎ মনে হলো ড্রয়িং রুমে কেউ একজন বসে আছে। একনাগাড়ে কিছু একটা বিরবির করছে। বিষ্ময়ে আমার ভ্রু কুঁচকে এলো। মাত্রই তো ড্রয়িং রুমের সামনে দিয়ে এলাম। তখন তো কাউকে দেখলাম না? সাহস করে ড্রয়িং রুমের দিকে এগুতে লাগলাম। যত এগুচ্ছি ততই শব্দটা বেড়েই যাচ্ছে সঙ্গে সোফায় বসে থাকা ব্যাক্তির ছায়াটাও ড্রিম লাইটের আলোয় বড় হচ্ছে। কাছে যেতেই দেখি একটা কালো কুচকুচে বিড়াল। আমার দিকেই অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে ম্যাঁও ম্যাঁও করছে। বিরবির শব্দটা এখন আর নেই। বোধহয় মনের ভ্রম ছিল। ‘এ দেখি একটা বিড়াল! কিন্তু এটা ঘরে কি করে ডুকলো?’ হঠাৎ চোখ যায় জানালার দিকে। দেখতে পাই জানালা খোলা। তার মানে জানালাটা আজকে আর লাগানো হয় নি। কিন্তু স্পষ্ট মনে আছে বিকেলেই আমি রোজকার মত সব জানালা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। বিড়ালটিকে তাড়াতে হয় না। সে নিজেই জানালা দিয়ে বেড়িয়ে যায়। হঠাৎ আমার চোখ যায় জানালার বহির্ভূত দৃশ্যের দিকে। কিছু একটা দেখা যাচ্ছে। অথচ কি দেখা যাচ্ছে তা আমি ঠিক করে আন্দাজ করতে পারছি না। অকস্মাৎ আমার পেছন থেকে একটা অদ্ভুত ভারী গলা ভেসে আসে, ‘ তোর বাচ্চাটা আমায় দিবি?’ আমার মাথাটা হঠাৎ ব্যাথায় ছটফট করে উঠে। পেছন ফিরে তাকানোর আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। পরে কি হয়েছিল মনে নেই। সকালে যখন ঘুম ভাঙে তখন দেখি তুষার আমার পাশেই বসে আছে। স্বামীকে রাতের কথা জিজ্ঞেস করতেই সে বলল, ‘আমি তো ওয়াশরুমের জন্য উঠেছিলাম। হঠাৎ দেখলাম তুমি পাশে নেই। তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে যখন নিচে নেমে আসি তখন দেখতে পাই তুমি ড্রয়িং রুমের মেঝেতে পড়ে আছো। তারপর আর কি?তোমাকে কোলে তুলে রুমে এনে শোয়ালাম। কি হয়েছিল বলো তো?’ কিছুই মনে পড়ছিল না। তাই উত্তর দিতে চেয়েও তুষারকে কিছু বলতে পারলাম না। তবে কানে এখনো একটা কথাই বাজছে, ‘তোর বাচ্চাটা আমায় দিবি?’ —--- আজ এই বাড়িতে আমার একমাস পূর্ণ হলো।এই এক মাসে আমার সঙ্গে তেমন কিছুই ঘটে নি। সব স্বাভাবিক ছিল। কাল সকালে তুষার খাগড়াছড়ি যাবে। তিন দিনের একটা মিশনে। এ ক'দিন সে অনেক জায়গায় একটা মেয়ে মানুষ খুঁজেছে ২৪ ঘন্টা আমার তদারকি করার জন্য। আমার সঙ্গে থাকার জন্য। কিন্তু এটা তো আর ঢাকা শহর না যে মানুষ চাইলাম আর মেয়ে পেয়ে গেলাম। তুষার আমাকে একা রেখে কিছুতেই যেতে চাইছিল না। কিন্তু কি আর করার? সরকারি চাকরি বলে কথা! বিকেলে বাহিরে থেকে কাপড় আনতে গিয়ে দেখি কোথা থেকে যেন নিপা ভাবী ব্যাগ-পত্তর নিয়ে বাড়ি ডুকছে। সঙ্গে ছোট একটা মেয়ে,একজন পুরুষ আর দু'জন বৃদ্ধা-বৃদ্ধও ছিল। আমি ভাবী বলে হাঁক ছাড়তেই সে আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো। ‘ভাবী কোথা থেকে আসছেন?এত সব নিয়ে কোথায় গিয়েছিলেন?যাক এক মাস পর আপনার পরিবারের সদস্যদের দেখা মিলল।বাচ্চা গুলো তো বিকেলে বাহিরেও আসে না।’ নিপা ভাবীর কপালে ভাঁজ পড়লো এবার। সে আমার বাড়ির দিকে একবার তাকালো তারপর বলল, ‘আপনি আমাকে কি করে চিনেন?আমার নাম কি করে জানলেন?আর আপনাকে তো আমি ঠিক চিনতে পারলাম না?কে আপনি?’ নিপা ভাবীর কথায় আমি পুরোই কিংকর্তব্যবিমুঢ়। এসব কি বলছে উনি?এখানে আসার পর থেকেই উনার সাথে আমার কত ভাব। আর আজকে বলছে আমাকে নাকি সে চিনে না। আমি কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবো তার আগেই ভাবীর সঙ্গে থাকা পুরুষটি তাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠল, ‘আতিয়া জলদি বাড়ির চাবিটা দাও। একমাসে না জানি ঘরের কি হাল হয়েছে। এই মণি তোর মায়ের থেকে চাবিটা নিয়ে আয় তো।’ ছোট্ট মেয়েটা দৌড়ে নিপা ভাবীর কাছে এলো চাবি নেওয়ার জন্য। নিপা ভাবী মেয়েটিকে বলল, ‘যাও আব্বুর কাছে। আম্মু আসছি।’ তারপর আমার দিকে একবার তাকিয়ে বলল, ‘পরে কথা হবে।’ ভাবী আমার জবাবের জন্য অপেক্ষা না করেই চলে গেল। সে চলে যেতেই লোকটি মৃদু কন্ঠে তাকে জিজ্ঞেস করল,কে ওই মহিলা?এই বাড়িতে উঠছে বুঝি? সবাই আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকালো। আমার বেশ অস্তিত্ব লাগছিল। তাই এক মুহুর্ত দেরি না করে আমি কাপড় নিয়ে বাড়ির ভেতর চলে এলাম। তুষার বাড়িতেই ছিল। তাকে আমি সব খুলে বললাম। তার নিজের মাথাও কাজ করছে না। সে আর আমাকে কি বুঝাবে? এবার মাথায় আমার আরেকটা প্রশ্ন ভোঁ ভোঁ করছে, নিপা ভাবী আমাকে চিনতে পারলো না কেন?নাকি ইচ্ছে করেই কোন কারন বসত না চেনার ভান করেছে সে? আর ভাবীর তো কোন বাচ্চা নেই । তবে ভাবীর কথার ধরন শুনে কেন মনে হচ্ছিলো ছোট্ট মেয়েটি তার নিজেরই। আর ওই লোকটি তাকে আতিয়া বলেই বা কেন ডাকল?তার নাম তো নিপা। — সন্ধ্যায় হাসের মাংস আর চালের রুটি করেছি। শীতকালীন সময়ে এটা তুষারের পছন্দের খাবার। স্বামীটা আমার কাল চলে যাবে। না জানি এই তিনদিন কি না কি খায়। তাই যতটুকু পেরেছি,ততটুকুই করেছি। কাজ শেষে যখন এক বাটি মাংস আর রুটি নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য রান্না ঘরের লাইটটা বন্ধ করে বেরিয়ে আসলাম তখনি নাকে একটা পঁচা দুর্গন্ধ এসে ধাক্কা খেল। বমি চলে আসার উপক্রম। হঠাৎ রান্নাঘর থেকে শব্দ এলো,মনে হলো কেউ পাতিলের ঢাকনা সরিয়েছে। আরেকটু খেয়াল করতেই এবার আরো অদ্ভুত এক শব্দ কানে বাজলো,মনে হলো কে যেন খপখপ করে সব ছিড়েখুঁড়ে খাচ্ছে। আমি দ্রুত টেবিলে মাংসের বাটিটা রেখে রান্না ঘরে ডুকলাম। লাইট অন করতেই দেখি সেখানে কিছুই নেই। সব স্বাভাবিক।নেই কোনো শব্দ, সেই কোলাহল। ধ্যাত আজ-কাল হরর মুভি একটু বেশিই দেখা হচ্ছে। তারই ইফেক্ট এসব। সেদিন রাতে আমি সবচেয়ে বেশি অবাক হই। যখন রাতে খাবারের সময় রান্নাঘরে গিয়ে দেখি মাংসের পাতিলে এক টুকরো মাংসও নেই। পাতিলের তলায় শুধুমাত্র পড়ে আছে ঝোল। পর পর কেমন যেন সব অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এখন নিজের ভেতরেও খানিকটা ভয় কাজ করা শুরু করে। সব সময় তো সবকিছু একজন মানুষের ভ্রম হওয়া সম্ভব নয়। তুষার কে বিষয়টি জানানোর পর যে বলে, ‘আজ তো রাত হয়ে গেছে। সকালে আমাকে আবার খাগড়াছড়িও যেতে হবে। তিনদিন একটু কষ্ট করো। যদি দেখো তিনদিনে সব স্বাভাবিক আছে তাহলে তো ভালোই। তা না হলে আমি বাড়ি ফিরেই হুজুরকে এনে একটা মিলাদের ব্যবস্থা করবো।’ আমিও তাতে রাজি হলাম। তবুও তুষারের আমাকে ফেলে যেতে বেশ চিন্তা হচ্ছিলো। তাই সে আমার ছোট ননদকে কল করে দুই-একদিনের ভেতর এখানে আসতে বলে। সঙ্গে আমার শাশুড়ীও আসবে। শুনে একটু খুশী হলাম। বাড়িতে একা থাকার চেয়ে তাদের এখানে চলে আসাই ভালো। এমনিতেও বছর শেষেই আমার শশুর-শাশুরি আর ননদ-দেবরের এখানে চলে আসার কথা। কিন্তু সামনেই দেবরের এক্সাম আছে তাই সবাই ঠিক করেছে একেবারে বছরটা শেষ করেই তারা এখানে শিফট হবে। - পরদিন আমার দিনটা খুব একটা ভালো যায় না। তুষারের জন্য অনেক মন খারাপ হচ্ছিলো। অদ্ভুত একটা ভয়ও মনের মধ্যে বাসা বেঁধে বসে ছিলো। সেদিন রাত দেড়টায় হঠাৎ বিকট এক শব্দে আচমকা ঘুম ভেঙে যায় আমার। রাত ভালোই হয়েছে। আমার আবার একটা বোধ অভ্যাস আছে। একবার ঘুম ভাঙলে সহজে ঘুম আসে না। তুষারটা চলে গেছে বিধায় মনটা কেমন কেমন জানি করছে। সারাটা দিনও আজকে কেমন যেন একগুয়ে কেটেছে। ফোনটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ ফেসবুকে স্ট্রোলিং করতে থাকি। হঠাৎ তুষারের কল আসে। প্রথমে একটু অবাক হই। এত রাতে কল করেছে?পরে ভাবলাম সারাদিন কাজ করে এখন হয়তো রাত জেগে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া হচ্ছে। ফোন রিসেভ করতেই তুষার একটা কথাই বলল,সব ঠিক আছে? ব্যাস সঙ্গে সঙ্গে লাইনটা কেটে যায়। নেট সমস্যা হয়তো। আমি উঠে বারান্দায় যাই। হঠাৎ দোলনার দিকে তাকাতেই মনে হলো কে যেন দোলনায় পা ঝুলিয়ে বসে গুন গুন করছে। মেয়েলি কন্ঠস্বর। আমার শরীরটা শিউরে উঠে। আয়াতুল কুরসী পড়তে পড়তে বারান্দার দরজা বন্ধ করে রুমে চলে এলাম। তুষারকে বেশ কয়েকটি কল করি, কিন্তু ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে। খুব ভয় করছিল আমার। হঠাৎ আননোন নাম্বার থেকে একটা কল আসে,কলটা ধরতেই ওপার থেকে ভেসে আসে একটা অস্পষ্ট কন্ঠ। ভয়েজটা কেটে কেটে আসছিল। ভাবলাম হয়তো কোন সমস্যা হয়েছে দেখে তুষার অন্য কারো নাম্বার থেকে কল করেছে। নেট সমস্যার কারনে কথা অস্পষ্ট শোনাচ্ছে । একটা কল আসার পর আর কোন কল আসে নি।তাই আমিও আর এহেন বিষয়ে এত মাথা ঘামালাম না। ঘুম আসছে না।এখনো ভয় করছে। বিছানায় এসে দোয়া পড়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছি। হঠাৎ অনুভূত হলো পিঠের ওপর কেমন যেন শীতল নিঃশ্বাস পতন হচ্ছে। ধীরে ধীরে নিঃশ্বাসের শব্দ বাড়তে শুরু করে। মনে হচ্ছে এই তো ঠিক আমার পেছনেই কেও একজন শুয়ে আছে। কিন্তু সেটা তো অসম্ভব বিষয়। বাড়িতে তো এই মুহুর্তে আমি ব্যাতিত কেউ নেই?আমি আয়াতুল্লাহ কুরসী আরো দ্রুত পড়তে শুরু করলাম।যত গুলো দোয়া মাথায় আসছে অনবরত তা পাঠ করছি। কিন্তু নিঃশ্বাসের শীতল বাতাসটা তখনো আমার পিঠে লাগছে। এবার আমি দোয়া পড়তে পড়তে আস্তে আস্তে করে ঘাড় বাঁকিয়ে পেছনে ফেরার চেষ্টা করি। পেছন ফিরতেই আমার চক্ষু চড়কগাছ।মুখ থেকে অস্পষ্ট স্বরে শুধু বেরিয়ে আসে, ‘নিপা ভাবী?’........ ✨সমাপ্ত
    Love
    Like
    3
    ·230 Views ·0 Reviews
  • জনসাথীতে কি হয়েছে বুঝতে পারতেছি না ছবি ভিডিও ফটো কোন কিছু আপলোড যাচ্ছে না Jono Sathi
    জনসাথীতে কি হয়েছে বুঝতে পারতেছি না ছবি ভিডিও ফটো কোন কিছু আপলোড যাচ্ছে না 😓 [Jonosathi]
    Love
    Like
    Haha
    Sad
    11
    2 Comments ·609 Views ·0 Reviews

  • .
    .
    .
    .
    .
    .
    .
    .
    .
    #BMW এর বিবর্তন: প্রকৌশল শ্রেষ্ঠত্বের একটি উত্তরাধিকার
    পরিচিতি
    বায়েরিচে মটোরেন ওয়ার্ক এজি, সাধারণত বিএমডব্লিউ নামে পরিচিত, একটি বিখ্যাত জার্মান অটোমোবাইল এবং মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক যার কর্মক্ষমতা ভিত্তিক যানবাহন এবং আধুনিক প্রযুক্তির জন্য উদযাপিত হয়। 1916 সালে প্রতিষ্ঠিত, বিএমডব্লিউ বিলাসিতা, নতুনত্ব এবং ড্রাইভিং আনন্দ সঙ্গে সমার্থক হয়ে উঠেছে। এই নিবন্ধটি অটোমোটিভ আড়াআড়ি উপর বিএমডব্লিউ এর ইতিহাস, বিবর্তন, এবং প্রভাব অনুসন্ধান করে।
    ইতিহাস ও ভিত্তি
    বিএমডব্লিউ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মিউনিখ, জার্মানিতে, মূলত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বিমানের ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক হিসাবে। কোম্পানির প্রথম পণ্য ছিল বিএমডব্লিউ IIIa বিমান ইঞ্জিন, যা তার কর্মক্ষমতা এবং নির্ভরযোগ্যতার জন্য প্রশংসা অর্জন করেছে। যাইহোক, ১৯১৮ সালে যুদ্ধের শেষে জার্মানিতে বিমানের ইঞ্জিন উত্পাদনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, যার ফলে বিএমডব্লিউ এর প্রস্তাবগুলি বৈচিত্র্যময় করে তোলে। — বারসামা সুস্বাদু বেস্টি খাবার ১এম।
    1923 সালে, বিএমডব্লিউ তার ফোকাস মোটরসাইকেলে স্থানান্তরিত করে, R32 চালু করে, যেখানে একটি বৈপ্লবিক ফ্ল্যাট-টুইন ইঞ্জিন এবং শ্যাফট ড্রাইভ ছিল। এই মোটর সাইকেলটি দুই-চাকার বিভাগে বিএমডব্লিউ এর খ্যাতির ভিত্তি স্থাপন করেছিল, অবশেষে পরবর্তী বছরগুলিতে বেশ কয়েকটি রেসিং সাফল্যের দিকে পরিচালিত করেছিল।
    অটোমোটিভ যুগ
    ১৯২৮ সালে ফাহরজেউগফ্যাব্রিক আইসেনাচ অর্জনের সঙ্গে বিএমডব্লিউ অটোমোটিভ বাজারে প্রবেশ করে। অস্টিন সেভেন এর উপর ভিত্তি করে প্রথম বিএমডব্লিউ গাড়িটি ছিল বিএমডব্লিউ ৩/১৫। 1930 সালে বিএমডব্লিউ 328 এর প্রবর্তন কোম্পানির জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে চিহ্নিত করে, এটি উচ্চ-পারফরম্যান্স স্পোর্টস গাড়ির প্রস্তুতকারক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। ৩২৮ মোটরস্পোর্টে স্বীকৃতি লাভ করে, ১৯৪০ সালে মিল মিগলিয়া জিতেছিল।
    যাইহোক, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিএমডব্লিউ এর জন্য উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল। জার্মান যুদ্ধের প্রচেষ্টা সমর্থন করার জন্য কোম্পানীটি তার উৎপাদন পুনঃনির্দেশিত করতে বাধ্য হয়েছিল, যার ফলে এর কারখানা এবং অবকাঠামো গুরুতর ক্ষতি হয়েছিল। যুদ্ধের পরে, বিএমডব্লিউ তার পরিচয় পুনর্বিন্যাস এবং পুনর্বিন্যাসের কঠিন কাজের মুখোমুখি হয়েছিল।
    যুদ্ধ-পরবর্তী পুনরুদ্ধার এবং বৃদ্ধি
    যুদ্ধ-পরবর্তী বছরে, ব
    🖤🥀🍁 . . . . . . . . . #BMW এর বিবর্তন: প্রকৌশল শ্রেষ্ঠত্বের একটি উত্তরাধিকার পরিচিতি বায়েরিচে মটোরেন ওয়ার্ক এজি, সাধারণত বিএমডব্লিউ নামে পরিচিত, একটি বিখ্যাত জার্মান অটোমোবাইল এবং মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক যার কর্মক্ষমতা ভিত্তিক যানবাহন এবং আধুনিক প্রযুক্তির জন্য উদযাপিত হয়। 1916 সালে প্রতিষ্ঠিত, বিএমডব্লিউ বিলাসিতা, নতুনত্ব এবং ড্রাইভিং আনন্দ সঙ্গে সমার্থক হয়ে উঠেছে। এই নিবন্ধটি অটোমোটিভ আড়াআড়ি উপর বিএমডব্লিউ এর ইতিহাস, বিবর্তন, এবং প্রভাব অনুসন্ধান করে। ইতিহাস ও ভিত্তি বিএমডব্লিউ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মিউনিখ, জার্মানিতে, মূলত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বিমানের ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক হিসাবে। কোম্পানির প্রথম পণ্য ছিল বিএমডব্লিউ IIIa বিমান ইঞ্জিন, যা তার কর্মক্ষমতা এবং নির্ভরযোগ্যতার জন্য প্রশংসা অর্জন করেছে। যাইহোক, ১৯১৮ সালে যুদ্ধের শেষে জার্মানিতে বিমানের ইঞ্জিন উত্পাদনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, যার ফলে বিএমডব্লিউ এর প্রস্তাবগুলি বৈচিত্র্যময় করে তোলে। — বারসামা সুস্বাদু বেস্টি খাবার ১এম। 1923 সালে, বিএমডব্লিউ তার ফোকাস মোটরসাইকেলে স্থানান্তরিত করে, R32 চালু করে, যেখানে একটি বৈপ্লবিক ফ্ল্যাট-টুইন ইঞ্জিন এবং শ্যাফট ড্রাইভ ছিল। এই মোটর সাইকেলটি দুই-চাকার বিভাগে বিএমডব্লিউ এর খ্যাতির ভিত্তি স্থাপন করেছিল, অবশেষে পরবর্তী বছরগুলিতে বেশ কয়েকটি রেসিং সাফল্যের দিকে পরিচালিত করেছিল। অটোমোটিভ যুগ ১৯২৮ সালে ফাহরজেউগফ্যাব্রিক আইসেনাচ অর্জনের সঙ্গে বিএমডব্লিউ অটোমোটিভ বাজারে প্রবেশ করে। অস্টিন সেভেন এর উপর ভিত্তি করে প্রথম বিএমডব্লিউ গাড়িটি ছিল বিএমডব্লিউ ৩/১৫। 1930 সালে বিএমডব্লিউ 328 এর প্রবর্তন কোম্পানির জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে চিহ্নিত করে, এটি উচ্চ-পারফরম্যান্স স্পোর্টস গাড়ির প্রস্তুতকারক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। ৩২৮ মোটরস্পোর্টে স্বীকৃতি লাভ করে, ১৯৪০ সালে মিল মিগলিয়া জিতেছিল। যাইহোক, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিএমডব্লিউ এর জন্য উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল। জার্মান যুদ্ধের প্রচেষ্টা সমর্থন করার জন্য কোম্পানীটি তার উৎপাদন পুনঃনির্দেশিত করতে বাধ্য হয়েছিল, যার ফলে এর কারখানা এবং অবকাঠামো গুরুতর ক্ষতি হয়েছিল। যুদ্ধের পরে, বিএমডব্লিউ তার পরিচয় পুনর্বিন্যাস এবং পুনর্বিন্যাসের কঠিন কাজের মুখোমুখি হয়েছিল। যুদ্ধ-পরবর্তী পুনরুদ্ধার এবং বৃদ্ধি যুদ্ধ-পরবর্তী বছরে, ব
    Love
    Like
    Wow
    7
    ·101 Views ·0 Reviews
More Results
Jono Sathi - Bangladeshi Social Media Platform https://jonosathi.com