বর্তমানে ভয়াবহ হারে হ্যাক হচ্ছে ফেসবুক পেইজ ও অ্যাকাউন্ট
বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে ছোট-বড় অসংখ্য ফেসবুক পেইজ ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঘটনা বেড়েই চলেছে। অনেকে নিজের অজান্তেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন কিছু আকর্ষণীয় নোটিফিকেশনের মাধ্যমে। চলুন এক নজরে দেখে নেই, কীভাবে এই হ্যাকিং কার্যক্রম চলছে এবং কিভাবে আপনি নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারেন।
কিভাবে হ্যাক হচ্ছে পেইজ ও অ্যাকাউন্ট?
হ্যাকাররা এখন নতুন কৌশল ব্যবহার করছে যাকে বলে ফিশিং (Phishing) নোটিফিকেশন। উদাহরণ হিসেবে নিচের মতো বার্তা আপনার ফেসবুকে আসতে পারে:
Warning: Your account at monetization risk
Free verified badge now accessible for creators
এই নোটিফিকেশন দেখে অনেকেই ভাবছেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ হয়তো সতর্ক করেছে বা সুযোগ দিচ্ছে। ক্লিক করার পর ব্যবহারকারীকে একটি ফেইক ফেসবুক সদৃশ ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আপনার পেইজ/অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চেয়ে একটি ফর্ম দেয়া থাকে।
আপনি যদি সেই ফর্মে আপনার ইমেইল, পাসওয়ার্ড, পেইজ আইডি, Business Manager Access বা অন্য যেকোনো তথ্য দিয়ে দেন – সেখান থেকেই শুরু হয় আপনার বিপদ।
স্ক্যামার কিভাবে এই ফাঁদ তৈরি করছে?
প্রথমেই জেনে নিন, এই নোটিফিকেশনটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পাঠায় না। বরং এটি পাঠায় একটি ফেইক ফেসবুক পেইজ বা অ্যাকাউন্ট যার নাম হয়ত এমন থাকবে:
Free-Verified Badge Now Accessible For Creators
এরা সাধারণত কী করে?
আপনার পেইজে গিয়ে Page Recommendation দেয় বা আপনার পেইজ ট্যাগ করে পোস্ট/নোটিফিকেশন দেয়।
আপনি সেটিকে ফেসবুকের আসল নোটিফিকেশন ভেবে ক্লিক করেন।
এতে আপনি চলে যান হ্যাকারদের বানানো ফেক ওয়েবসাইটে।
এই ফেক ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করা হয়?
স্ক্যামাররা সাধারণত HTML, CSS দিয়ে ফ্রন্টএন্ড তৈরি করে, যেন দেখতে একদম ফেসবুকের মতো লাগে। ব্যাকএন্ড হিসেবে ব্যবহার করে:
Node.js
PHP
Python (Flask/Django)
অথবা যেকোনো সার্ভার ল্যাঙ্গুয়েজ।
তারা ডাটাগুলো নিচের যেকোনো জায়গায় সংরক্ষণ করতে পারে:
ডাটাবেজ (MySQL, MongoDB ইত্যাদি)
JSON ফাইল / TXT ফাইল
Telegram Bot API: সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি; যেখানে আপনি তথ্য সাবমিট করলেই সেটা সরাসরি স্ক্যামারের টেলিগ্রাম চ্যানেলে চলে যায়।
আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা করবেন:
যেকোনো সন্দেহজনক নোটিফিকেশন ক্লিক করার আগে যাচাই করুন।
URL চেক করুন: যদি URL-এ “facebook.com” ছাড়া অন্য কিছু থাকে, তাহলে ৯৯% ফেক।
ফেসবুকের অফিশিয়াল Meta Business Help Center ছাড়া অন্য কোথাও তথ্য সাবমিট করবেন না।
Two-Factor Authentication (2FA) চালু রাখুন সবসময়।
Business Manager Access যতটা সম্ভব সীমিত করে রাখুন।
সন্দেহজনক কোন অ্যাপ/টুল পেইজে যুক্ত থাকলে সাথে সাথে রিমুভ করুন।
ফেসবুকে এখন শুধু পোস্ট করা নয়, বরং নিরাপদ থাকা আরও বড় চ্যালেঞ্জ। একটি ছোট ভুলে আপনি হারাতে পারেন আপনার কষ্টার্জিত ব্যবসা, ব্র্যান্ড বা কমিউনিটি।
সতর্ক থাকুন, পোস্টটি শেয়ার করে অন্যদেরও সতর্ক করুন।
Stay safe, stay smart
#jonosathi #awerness #viral #hack
বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে ছোট-বড় অসংখ্য ফেসবুক পেইজ ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঘটনা বেড়েই চলেছে। অনেকে নিজের অজান্তেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন কিছু আকর্ষণীয় নোটিফিকেশনের মাধ্যমে। চলুন এক নজরে দেখে নেই, কীভাবে এই হ্যাকিং কার্যক্রম চলছে এবং কিভাবে আপনি নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারেন।
কিভাবে হ্যাক হচ্ছে পেইজ ও অ্যাকাউন্ট?
হ্যাকাররা এখন নতুন কৌশল ব্যবহার করছে যাকে বলে ফিশিং (Phishing) নোটিফিকেশন। উদাহরণ হিসেবে নিচের মতো বার্তা আপনার ফেসবুকে আসতে পারে:
Warning: Your account at monetization risk
Free verified badge now accessible for creators
এই নোটিফিকেশন দেখে অনেকেই ভাবছেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ হয়তো সতর্ক করেছে বা সুযোগ দিচ্ছে। ক্লিক করার পর ব্যবহারকারীকে একটি ফেইক ফেসবুক সদৃশ ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আপনার পেইজ/অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চেয়ে একটি ফর্ম দেয়া থাকে।
আপনি যদি সেই ফর্মে আপনার ইমেইল, পাসওয়ার্ড, পেইজ আইডি, Business Manager Access বা অন্য যেকোনো তথ্য দিয়ে দেন – সেখান থেকেই শুরু হয় আপনার বিপদ।
স্ক্যামার কিভাবে এই ফাঁদ তৈরি করছে?
প্রথমেই জেনে নিন, এই নোটিফিকেশনটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পাঠায় না। বরং এটি পাঠায় একটি ফেইক ফেসবুক পেইজ বা অ্যাকাউন্ট যার নাম হয়ত এমন থাকবে:
Free-Verified Badge Now Accessible For Creators
এরা সাধারণত কী করে?
আপনার পেইজে গিয়ে Page Recommendation দেয় বা আপনার পেইজ ট্যাগ করে পোস্ট/নোটিফিকেশন দেয়।
আপনি সেটিকে ফেসবুকের আসল নোটিফিকেশন ভেবে ক্লিক করেন।
এতে আপনি চলে যান হ্যাকারদের বানানো ফেক ওয়েবসাইটে।
এই ফেক ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করা হয়?
স্ক্যামাররা সাধারণত HTML, CSS দিয়ে ফ্রন্টএন্ড তৈরি করে, যেন দেখতে একদম ফেসবুকের মতো লাগে। ব্যাকএন্ড হিসেবে ব্যবহার করে:
Node.js
PHP
Python (Flask/Django)
অথবা যেকোনো সার্ভার ল্যাঙ্গুয়েজ।
তারা ডাটাগুলো নিচের যেকোনো জায়গায় সংরক্ষণ করতে পারে:
ডাটাবেজ (MySQL, MongoDB ইত্যাদি)
JSON ফাইল / TXT ফাইল
Telegram Bot API: সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি; যেখানে আপনি তথ্য সাবমিট করলেই সেটা সরাসরি স্ক্যামারের টেলিগ্রাম চ্যানেলে চলে যায়।
আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা করবেন:
যেকোনো সন্দেহজনক নোটিফিকেশন ক্লিক করার আগে যাচাই করুন।
URL চেক করুন: যদি URL-এ “facebook.com” ছাড়া অন্য কিছু থাকে, তাহলে ৯৯% ফেক।
ফেসবুকের অফিশিয়াল Meta Business Help Center ছাড়া অন্য কোথাও তথ্য সাবমিট করবেন না।
Two-Factor Authentication (2FA) চালু রাখুন সবসময়।
Business Manager Access যতটা সম্ভব সীমিত করে রাখুন।
সন্দেহজনক কোন অ্যাপ/টুল পেইজে যুক্ত থাকলে সাথে সাথে রিমুভ করুন।
ফেসবুকে এখন শুধু পোস্ট করা নয়, বরং নিরাপদ থাকা আরও বড় চ্যালেঞ্জ। একটি ছোট ভুলে আপনি হারাতে পারেন আপনার কষ্টার্জিত ব্যবসা, ব্র্যান্ড বা কমিউনিটি।
সতর্ক থাকুন, পোস্টটি শেয়ার করে অন্যদেরও সতর্ক করুন।
Stay safe, stay smart
#jonosathi #awerness #viral #hack
বর্তমানে ভয়াবহ হারে হ্যাক হচ্ছে ফেসবুক পেইজ ও অ্যাকাউন্ট
বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে ছোট-বড় অসংখ্য ফেসবুক পেইজ ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঘটনা বেড়েই চলেছে। অনেকে নিজের অজান্তেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন কিছু আকর্ষণীয় নোটিফিকেশনের মাধ্যমে। চলুন এক নজরে দেখে নেই, কীভাবে এই হ্যাকিং কার্যক্রম চলছে এবং কিভাবে আপনি নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারেন।
কিভাবে হ্যাক হচ্ছে পেইজ ও অ্যাকাউন্ট?
হ্যাকাররা এখন নতুন কৌশল ব্যবহার করছে যাকে বলে ফিশিং (Phishing) নোটিফিকেশন। উদাহরণ হিসেবে নিচের মতো বার্তা আপনার ফেসবুকে আসতে পারে:
Warning: Your account at monetization risk
Free verified badge now accessible for creators
এই নোটিফিকেশন দেখে অনেকেই ভাবছেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ হয়তো সতর্ক করেছে বা সুযোগ দিচ্ছে। ক্লিক করার পর ব্যবহারকারীকে একটি ফেইক ফেসবুক সদৃশ ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আপনার পেইজ/অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চেয়ে একটি ফর্ম দেয়া থাকে।
আপনি যদি সেই ফর্মে আপনার ইমেইল, পাসওয়ার্ড, পেইজ আইডি, Business Manager Access বা অন্য যেকোনো তথ্য দিয়ে দেন – সেখান থেকেই শুরু হয় আপনার বিপদ।
স্ক্যামার কিভাবে এই ফাঁদ তৈরি করছে?
প্রথমেই জেনে নিন, এই নোটিফিকেশনটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পাঠায় না। বরং এটি পাঠায় একটি ফেইক ফেসবুক পেইজ বা অ্যাকাউন্ট যার নাম হয়ত এমন থাকবে:
Free-Verified Badge Now Accessible For Creators
এরা সাধারণত কী করে?
আপনার পেইজে গিয়ে Page Recommendation দেয় বা আপনার পেইজ ট্যাগ করে পোস্ট/নোটিফিকেশন দেয়।
আপনি সেটিকে ফেসবুকের আসল নোটিফিকেশন ভেবে ক্লিক করেন।
এতে আপনি চলে যান হ্যাকারদের বানানো ফেক ওয়েবসাইটে।
এই ফেক ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করা হয়?
স্ক্যামাররা সাধারণত HTML, CSS দিয়ে ফ্রন্টএন্ড তৈরি করে, যেন দেখতে একদম ফেসবুকের মতো লাগে। ব্যাকএন্ড হিসেবে ব্যবহার করে:
Node.js
PHP
Python (Flask/Django)
অথবা যেকোনো সার্ভার ল্যাঙ্গুয়েজ।
তারা ডাটাগুলো নিচের যেকোনো জায়গায় সংরক্ষণ করতে পারে:
ডাটাবেজ (MySQL, MongoDB ইত্যাদি)
JSON ফাইল / TXT ফাইল
Telegram Bot API: সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি; যেখানে আপনি তথ্য সাবমিট করলেই সেটা সরাসরি স্ক্যামারের টেলিগ্রাম চ্যানেলে চলে যায়।
আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা করবেন:
যেকোনো সন্দেহজনক নোটিফিকেশন ক্লিক করার আগে যাচাই করুন।
URL চেক করুন: যদি URL-এ “facebook.com” ছাড়া অন্য কিছু থাকে, তাহলে ৯৯% ফেক।
ফেসবুকের অফিশিয়াল Meta Business Help Center ছাড়া অন্য কোথাও তথ্য সাবমিট করবেন না।
Two-Factor Authentication (2FA) চালু রাখুন সবসময়।
Business Manager Access যতটা সম্ভব সীমিত করে রাখুন।
সন্দেহজনক কোন অ্যাপ/টুল পেইজে যুক্ত থাকলে সাথে সাথে রিমুভ করুন।
ফেসবুকে এখন শুধু পোস্ট করা নয়, বরং নিরাপদ থাকা আরও বড় চ্যালেঞ্জ। একটি ছোট ভুলে আপনি হারাতে পারেন আপনার কষ্টার্জিত ব্যবসা, ব্র্যান্ড বা কমিউনিটি।
সতর্ক থাকুন, পোস্টটি শেয়ার করে অন্যদেরও সতর্ক করুন।
Stay safe, stay smart
#jonosathi #awerness #viral #hack



·134 Views
·0 Reviews