পলাশ যে কারণে মরল!!
সন্তান জন্ম দিয়ে যদি সেই সন্তানের উপার্জনে একটু আশ্রয় পাওয়া না যায়, তার ঘরে মাথা গুঁজে দুদিন শান্তিতে থাকা না যায় — সেটা এক জন মায়ের জন্য যেমন অপমান, তেমনি সন্তানের জন্যও এক গভীর লজ্জা। সেই লজ্জিত মুখ হয়তো কারও সামনে আর তুলতে পারবে না বলেই, পলাশ সাহা বেছে নিয়েছিল এমন এক চিরস্থায়ী নিরবতা।
শিক্ষিত, ভদ্র সমাজের মানুষগুলো সংসারের অশান্তি প্রকাশ করতে পারে না— আবার নিঃশব্দে সেই বিষও গিলে ফেলতে পারে না। ভাই, আমি অনুভব করতে পারছি তোমার তখনকার মানসিক অবস্থাটা কেমন ছিল। তুমি চেয়েছিলে দুজনকেই আগলে রাখতে — একজন ছিল তোমার নাড়ি ছেঁড়া ধন, আরেকজন সারা জীবনের ভালোবাসা। তুমি চেয়েছিলে সবকিছু ব্যালেন্স করে একটা সুখী সংসার গড়ে তুলতে।
কিন্তু এই সমাজের আজকের চিত্রটা বড় নির্মম। অনেকের কাছে এখন শুধু "জামাইয়ের টাকা" দরকার, জামাই নয়। বরং কিছু কিছু জায়গায় জামাইয়ের উপস্থিতিও যেন অপ্রয়োজনীয়, শুধু ইনকামটা পৌঁছালেই হলো। আর এর পেছনে ইন্ধন জোগান অনেক সময় সেই মেয়েদের মায়েরাই— যারা নিজের সংসারের অতৃপ্তি মেটাতে চায় মেয়ের সংসারে দখল বসিয়ে।
ভাই, তোমার চলে যাওয়ায় সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে তোমার মায়ের। সেই মা, যিনি তোমার মুখের হাসির জন্য নিজের সমস্ত সুখ বিসর্জন দিয়েছিলেন। আজ তিনিই হয়তো নিঃসঙ্গ, নিঃস্ব, আর সমাজের ভণ্ড বিচার-ব্যবস্থার সামনে অসহায়।
ভাবতে ঘৃণা লাগে — একজন মা তার সন্তানের ইনকাম খেতে পারবে না, কিন্তু একজন বউ নিজের মা-বাবাসহ পুরো গোষ্ঠীকে তার স্বামীর উপার্জন খাওয়াবে? এ কেমন সামাজিক ভারসাম্য?
পলাশ যে কারণে মরল!!
সন্তান জন্ম দিয়ে যদি সেই সন্তানের উপার্জনে একটু আশ্রয় পাওয়া না যায়, তার ঘরে মাথা গুঁজে দুদিন শান্তিতে থাকা না যায় — সেটা এক জন মায়ের জন্য যেমন অপমান, তেমনি সন্তানের জন্যও এক গভীর লজ্জা। সেই লজ্জিত মুখ হয়তো কারও সামনে আর তুলতে পারবে না বলেই, পলাশ সাহা বেছে নিয়েছিল এমন এক চিরস্থায়ী নিরবতা।
শিক্ষিত, ভদ্র সমাজের মানুষগুলো সংসারের অশান্তি প্রকাশ করতে পারে না— আবার নিঃশব্দে সেই বিষও গিলে ফেলতে পারে না। ভাই, আমি অনুভব করতে পারছি তোমার তখনকার মানসিক অবস্থাটা কেমন ছিল। তুমি চেয়েছিলে দুজনকেই আগলে রাখতে — একজন ছিল তোমার নাড়ি ছেঁড়া ধন, আরেকজন সারা জীবনের ভালোবাসা। তুমি চেয়েছিলে সবকিছু ব্যালেন্স করে একটা সুখী সংসার গড়ে তুলতে।
কিন্তু এই সমাজের আজকের চিত্রটা বড় নির্মম। অনেকের কাছে এখন শুধু "জামাইয়ের টাকা" দরকার, জামাই নয়। বরং কিছু কিছু জায়গায় জামাইয়ের উপস্থিতিও যেন অপ্রয়োজনীয়, শুধু ইনকামটা পৌঁছালেই হলো। আর এর পেছনে ইন্ধন জোগান অনেক সময় সেই মেয়েদের মায়েরাই— যারা নিজের সংসারের অতৃপ্তি মেটাতে চায় মেয়ের সংসারে দখল বসিয়ে।
ভাই, তোমার চলে যাওয়ায় সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে তোমার মায়ের। সেই মা, যিনি তোমার মুখের হাসির জন্য নিজের সমস্ত সুখ বিসর্জন দিয়েছিলেন। আজ তিনিই হয়তো নিঃসঙ্গ, নিঃস্ব, আর সমাজের ভণ্ড বিচার-ব্যবস্থার সামনে অসহায়।
ভাবতে ঘৃণা লাগে — একজন মা তার সন্তানের ইনকাম খেতে পারবে না, কিন্তু একজন বউ নিজের মা-বাবাসহ পুরো গোষ্ঠীকে তার স্বামীর উপার্জন খাওয়াবে? এ কেমন সামাজিক ভারসাম্য?