আমরা ভুলটা কোথায় করি জানো?
আমরা নিজেরাই নিজেদের চোখ বন্ধ করে রাখি, চোখ খুলে শেষটা দেখার চেষ্টা করি না। আমরা মানতেই চাই না যে, মানুষ বদলায়। আমি বদলাই, তুমিও বদলাও, আর যে মানুষটা একসময় পাশে ছিল—নরম, মায়াবী, ভালো—সে-ও এক সময় বদলায়, বিচ্ছিরিভাবে বদলায়।
আমরা মানতেই চাই না, কিছু মানুষ শুরু থেকেই আমাদের জীবনে সত্যিকারের অনুভূতি নিয়ে আসে না। তারা একদিন চলে যাবেই, সেটা হোক আজ, অথবা কাল। কেবল যাওয়ার আগে রেখে যাবে রক্তাক্ত দগদগে একটা ক্ষত।
হ্যাঁ, তারা একসময় দারুণ ছিল। ওদের অনুভবও ছিল অন্যরকম দারুণ। কিন্তু যেহেতু তারা কখনো সত্যি সত্যি নিজেদের কাছে, নিজেদের প্রতিজ্ঞার কাছে সৎ ছিল না, তাই তারা সময়ের সাথে সাথে বদলায়। এবং তাদের ভেতর থেকে বারণ আসে—"না, এ পথে আর নয়।"
তখন তারা বাহানা খোঁজে, এবং চলে যায়—ব্যথা দিয়ে হোক বা নীরবে—ফারাক খুব একটা পড়ে না।
আরেকটা ভুল কী করি জানো?
আমরা সে মানুষটার বদলে যাবার পরের রূপকে বিচার করি তার পুরোনো স্মৃতির আলোয় দিয়ে।
আমরা নিজেরাই অজুহাত খুঁজি এই মর্মান্তিক শেষটাতে একটু রঙ দিতে, আর কিছুই ঠিক নেই বুঝার পরও তাকে আটকানোর শেষ চেষ্টা করতে থাকি —এর কারণ শুধুমাত্র একটাই, শুরুরটা যে ছিল ভীষণ মধুর।
আমরা ভেঙে পড়া গল্পটার এক নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি—যেখানে সে ভালো ছিল, কাছের ছিল, আপন ছিল, তার চোখে মহব্বত ছিল, প্রেম ছিল, আর ছিল অকৃত্রিম মমতা।
ওইখানে দাঁড়িয়ে থেকে আফসোস করতে করতে তারপর প্রশ্ন করি—“কেন এমন হলো? সে এমন করলো কেন? আমি কি এমনটা পাওয়ার যোগ্য ছিলাম?”
অথচ, সাহস করে একবার যদি শুরুতেই চোখ তুলে শেষটা দেখার চেষ্টা করতাম তাহলে সব প্রশ্নের উত্তর শুরুতেই পেয়ে যেতাম, শেষটার কাছে প্রশ্ন করা লাগতো না।
লেখা: আরিফ হুসাইন
আমরা ভুলটা কোথায় করি জানো?
আমরা নিজেরাই নিজেদের চোখ বন্ধ করে রাখি, চোখ খুলে শেষটা দেখার চেষ্টা করি না। আমরা মানতেই চাই না যে, মানুষ বদলায়। আমি বদলাই, তুমিও বদলাও, আর যে মানুষটা একসময় পাশে ছিল—নরম, মায়াবী, ভালো—সে-ও এক সময় বদলায়, বিচ্ছিরিভাবে বদলায়।
আমরা মানতেই চাই না, কিছু মানুষ শুরু থেকেই আমাদের জীবনে সত্যিকারের অনুভূতি নিয়ে আসে না। তারা একদিন চলে যাবেই, সেটা হোক আজ, অথবা কাল। কেবল যাওয়ার আগে রেখে যাবে রক্তাক্ত দগদগে একটা ক্ষত।
হ্যাঁ, তারা একসময় দারুণ ছিল। ওদের অনুভবও ছিল অন্যরকম দারুণ। কিন্তু যেহেতু তারা কখনো সত্যি সত্যি নিজেদের কাছে, নিজেদের প্রতিজ্ঞার কাছে সৎ ছিল না, তাই তারা সময়ের সাথে সাথে বদলায়। এবং তাদের ভেতর থেকে বারণ আসে—"না, এ পথে আর নয়।"
তখন তারা বাহানা খোঁজে, এবং চলে যায়—ব্যথা দিয়ে হোক বা নীরবে—ফারাক খুব একটা পড়ে না।
আরেকটা ভুল কী করি জানো?
আমরা সে মানুষটার বদলে যাবার পরের রূপকে বিচার করি তার পুরোনো স্মৃতির আলোয় দিয়ে।
আমরা নিজেরাই অজুহাত খুঁজি এই মর্মান্তিক শেষটাতে একটু রঙ দিতে, আর কিছুই ঠিক নেই বুঝার পরও তাকে আটকানোর শেষ চেষ্টা করতে থাকি —এর কারণ শুধুমাত্র একটাই, শুরুরটা যে ছিল ভীষণ মধুর।
আমরা ভেঙে পড়া গল্পটার এক নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি—যেখানে সে ভালো ছিল, কাছের ছিল, আপন ছিল, তার চোখে মহব্বত ছিল, প্রেম ছিল, আর ছিল অকৃত্রিম মমতা।
ওইখানে দাঁড়িয়ে থেকে আফসোস করতে করতে তারপর প্রশ্ন করি—“কেন এমন হলো? সে এমন করলো কেন? আমি কি এমনটা পাওয়ার যোগ্য ছিলাম?”
অথচ, সাহস করে একবার যদি শুরুতেই চোখ তুলে শেষটা দেখার চেষ্টা করতাম তাহলে সব প্রশ্নের উত্তর শুরুতেই পেয়ে যেতাম, শেষটার কাছে প্রশ্ন করা লাগতো না।
লেখা: আরিফ হুসাইন