বাংলাদেশের কৃতী সন্তান, বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রমিত ঘোষ এবং তাঁর দল পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন, যা পদার্থবিজ্ঞানের একটি মৌলিক নীতি, কির্চফের তাপ বিকিরণ সূত্রকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
১৮৬০ সালে প্রণীত এই সূত্র অনুযায়ী, কোনো বস্তু তাপীয় ভারসাম্যে থাকলে, সেটি যে পরিমাণ তাপ শোষণ করে, ঠিক সেই পরিমাণ তাপই বিকিরণ করে। সহজ কথায়, “যা ভালো শোষক, তা ভালো বিকিরকও।”
প্রমিত ঘোষ ও তাঁর দল মাত্র ২ মাইক্রোমিটার পুরু একটি বিশেষ মেটামেটেরিয়াল (metamaterial) তৈরি করেছেন, যা পাঁচটি সেমিকন্ডাক্টর স্তর দিয়ে গঠিত। এই মেটামেটেরিয়ালটি তার শোষণ ক্ষমতার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি তাপ বিকিরণ করতে সক্ষম হয়েছে, যা কির্চফের সূত্রের বিপরীত। এই অভূতপূর্ব পর্যবেক্ষণ সম্ভব হয়েছে তাঁদের নিজস্ব নকশাকৃত ‘অ্যাঙ্গেল-রিসলভড ম্যাগনেটিক থার্মাল এমিশন স্পেকট্রোফটোমিটার’ (ARMTES) এবং একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র প্রয়োগের মাধ্যমে।
এই আবিষ্কার সৌর প্যানেল, ইনফ্রারেড সেন্সর, তাপ ব্যাটারি এবং উন্নত তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাতে পারে। এটি শক্তি সংগ্রহ ও তাপ স্থানান্তরে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, কারণ এটি সৌর প্যানেলের মতো সিস্টেমে তাপ অপচয় কমিয়ে কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করবে ।
বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রমিত ঘোষের এই অর্জন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মহলে বাংলাদেশের মেধা ও সক্ষমতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি দেশের তরুণ বিজ্ঞানীদের জন্য এক বিশাল অনুপ্রেরণা!
এই যুগান্তকারী গবেষণাটি ‘ফিজিক্যাল রিভিউ লেটার্স’ (Physical Review Letters) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
অনুবাদ: AH Abubakkar Siddique
সূত্র:
১. Penn State University Press Release
২. Physical Review Letters
Read more
বাংলাদেশের কৃতী সন্তান, বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রমিত ঘোষ এবং তাঁর দল পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন, যা পদার্থবিজ্ঞানের একটি মৌলিক নীতি, কির্চফের তাপ বিকিরণ সূত্রকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
১৮৬০ সালে প্রণীত এই সূত্র অনুযায়ী, কোনো বস্তু তাপীয় ভারসাম্যে থাকলে, সেটি যে পরিমাণ তাপ শোষণ করে, ঠিক সেই পরিমাণ তাপই বিকিরণ করে। সহজ কথায়, “যা ভালো শোষক, তা ভালো বিকিরকও।”
প্রমিত ঘোষ ও তাঁর দল মাত্র ২ মাইক্রোমিটার পুরু একটি বিশেষ মেটামেটেরিয়াল (metamaterial) তৈরি করেছেন, যা পাঁচটি সেমিকন্ডাক্টর স্তর দিয়ে গঠিত। এই মেটামেটেরিয়ালটি তার শোষণ ক্ষমতার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি তাপ বিকিরণ করতে সক্ষম হয়েছে, যা কির্চফের সূত্রের বিপরীত। এই অভূতপূর্ব পর্যবেক্ষণ সম্ভব হয়েছে তাঁদের নিজস্ব নকশাকৃত ‘অ্যাঙ্গেল-রিসলভড ম্যাগনেটিক থার্মাল এমিশন স্পেকট্রোফটোমিটার’ (ARMTES) এবং একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র প্রয়োগের মাধ্যমে।
এই আবিষ্কার সৌর প্যানেল, ইনফ্রারেড সেন্সর, তাপ ব্যাটারি এবং উন্নত তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাতে পারে। এটি শক্তি সংগ্রহ ও তাপ স্থানান্তরে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, কারণ এটি সৌর প্যানেলের মতো সিস্টেমে তাপ অপচয় কমিয়ে কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করবে ।
বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রমিত ঘোষের এই অর্জন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মহলে বাংলাদেশের মেধা ও সক্ষমতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি দেশের তরুণ বিজ্ঞানীদের জন্য এক বিশাল অনুপ্রেরণা!
এই যুগান্তকারী গবেষণাটি ‘ফিজিক্যাল রিভিউ লেটার্স’ (Physical Review Letters) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
অনুবাদ: AH Abubakkar Siddique
সূত্র:
১. Penn State University Press Release
২. Physical Review Letters