Search | Jono Sathi - Bangladeshi Social Media Platform

Upgrade to Pro

  • The 7 Sacrifice – Episode 03: "তাঁর নাম রক্তে লেখা"

    রাইহান ঘুম ভেঙে চমকে ওঠে। মাথার ঘাম, বুক ধড়ফড় করছে। স্বপ্নটা যেন একেবারে বাস্তব—বটগাছ, সাতটা ছায়া, আর সেই নারীকণ্ঠ:
    “তুইও পালাতে পারবি না…”

    ভোরের আলো ফোটেনি, তবু সে খাতায় লিখতে শুরু করে—
    “৩টি বলি ইতিমধ্যে… বাকি ৪। কিন্তু কেন আমাকেও সে স্বপ্নে দেখাল?”

    রাইহান বুঝতে পারে, এবার তাকে অতীত খুঁড়ে বের করতে হবে। গ্রামের পুরোনো রেকর্ড, নাম, ইতিহাস—সব।

    পুরোনো রেজিস্ট্রি বইয়ে খোঁজ নিতে নিতে রাইহান এক নামের উপর থেমে যায়।
    নাম: লীনা মণ্ডল (মৃত – ২০ বছর আগে, ১৫ বছর বয়সে)
    মৃত্যুর ধরন: "বলি – তান্ত্রিক উৎসর্গ (গোপন রেকর্ড)"

    আরও পড়তে গিয়ে সে দেখে ৭ জনের নাম—যারা সেই রাতে লীনাকে বলি দিয়েছিল। আশ্চর্যের বিষয়, সেই সাতজনের ছেলে-মেয়ের নামও রয়েছে আলাদাভাবে।

    এখন যারা মারা যাচ্ছে—তারা সেই সাতজনের সন্তান।

    রাইহানের চোখে স্পষ্ট হয়ে ওঠে একটি তালিকা:

    ১. রফিক – মৃত
    ২. সামাদ – মৃত
    ৩. হারুন – মৃত
    ৪. ???
    ৫. ???
    ৬. ???
    ৭. ???

    Scene: নতুন তথ্য — মাহিরা
    রাইহান গ্রামের এক তরুণী মাহিরার দেখা পায়—যার বাবা ছিল সেই সাতজনের একজন।
    মাহিরা জানত না পিতার পাপের ইতিহাস।

    — মাহিরা (কাঁপা গলায়):
    “আমার বাবা অনেক বছর আগে মারা গেছেন… তবুও আমি স্বপ্নে দেখি এক মেয়ে—সে আমার নাম চিৎকার করে ডাকে।”

    — রাইহান:
    “তোমার নামও সেই তালিকায় আছে… তুমি হয়তো পরবর্তী টার্গেট।”

    মাহিরা চুপ করে যায়। চোখে জল, গলায় শঙ্কা। সে বলে,
    “আমার ঘরের দরজায় গতকাল রক্তে লেখা ছিল—‘তোমার নাম রক্তে লেখা’। আমি মুছে ফেলেছি… কিন্তু সে কী ফিরে আসবে?”

    রাইহান সিদ্ধান্ত নেয়, এবার সে শুধু পর্যবেক্ষণ করবে না—প্রতিরোধ করবে।

    রাইহান ও মাহিরা গিয়ে পৌঁছায় গ্রামের বাইরে এক পুরনো কালীমন্দিরে—যেখান থেকে মূল বলির উৎস হয়েছিল।
    মন্দিরের দেয়ালে অদ্ভুত প্রতীক—রক্তমাখা হাতে আঁকা একটি চক্র, আর তার কেন্দ্রে লেখা নাম—“লীনা”।

    এক ভয়ানক আওয়াজ গর্জে ওঠে। বাতাস ঘুরে যায়। মন্দিরের এক পাশে হঠাৎ জ্বলে ওঠে আগুন।

    আত্মা ধীরে ধীরে আবির্ভূত হয়—মাথায় কপাল ফাটা, চোখ আগুনের মতো লাল।

    আত্মা:
    “আমার নাম কেউ ভুলতে পারে না… আমার রক্তে লেখা, তাদের সবার মৃত্যু।”

    রাইহান ও মাহিরা দৌড়ে পালায়।

    এপিসোড ৩ শেষ।
    পরবর্তী পর্ব: “বাঁচতে হলে মরতে হবে”
    #post #horror_story
    The 7 Sacrifice – Episode 03: "তাঁর নাম রক্তে লেখা" রাইহান ঘুম ভেঙে চমকে ওঠে। মাথার ঘাম, বুক ধড়ফড় করছে। স্বপ্নটা যেন একেবারে বাস্তব—বটগাছ, সাতটা ছায়া, আর সেই নারীকণ্ঠ: “তুইও পালাতে পারবি না…” ভোরের আলো ফোটেনি, তবু সে খাতায় লিখতে শুরু করে— “৩টি বলি ইতিমধ্যে… বাকি ৪। কিন্তু কেন আমাকেও সে স্বপ্নে দেখাল?” রাইহান বুঝতে পারে, এবার তাকে অতীত খুঁড়ে বের করতে হবে। গ্রামের পুরোনো রেকর্ড, নাম, ইতিহাস—সব। পুরোনো রেজিস্ট্রি বইয়ে খোঁজ নিতে নিতে রাইহান এক নামের উপর থেমে যায়। নাম: লীনা মণ্ডল (মৃত – ২০ বছর আগে, ১৫ বছর বয়সে) মৃত্যুর ধরন: "বলি – তান্ত্রিক উৎসর্গ (গোপন রেকর্ড)" আরও পড়তে গিয়ে সে দেখে ৭ জনের নাম—যারা সেই রাতে লীনাকে বলি দিয়েছিল। আশ্চর্যের বিষয়, সেই সাতজনের ছেলে-মেয়ের নামও রয়েছে আলাদাভাবে। এখন যারা মারা যাচ্ছে—তারা সেই সাতজনের সন্তান। রাইহানের চোখে স্পষ্ট হয়ে ওঠে একটি তালিকা: ১. রফিক – মৃত ২. সামাদ – মৃত ৩. হারুন – মৃত ৪. ??? ৫. ??? ৬. ??? ৭. ??? Scene: নতুন তথ্য — মাহিরা রাইহান গ্রামের এক তরুণী মাহিরার দেখা পায়—যার বাবা ছিল সেই সাতজনের একজন। মাহিরা জানত না পিতার পাপের ইতিহাস। — মাহিরা (কাঁপা গলায়): “আমার বাবা অনেক বছর আগে মারা গেছেন… তবুও আমি স্বপ্নে দেখি এক মেয়ে—সে আমার নাম চিৎকার করে ডাকে।” — রাইহান: “তোমার নামও সেই তালিকায় আছে… তুমি হয়তো পরবর্তী টার্গেট।” মাহিরা চুপ করে যায়। চোখে জল, গলায় শঙ্কা। সে বলে, “আমার ঘরের দরজায় গতকাল রক্তে লেখা ছিল—‘তোমার নাম রক্তে লেখা’। আমি মুছে ফেলেছি… কিন্তু সে কী ফিরে আসবে?” রাইহান সিদ্ধান্ত নেয়, এবার সে শুধু পর্যবেক্ষণ করবে না—প্রতিরোধ করবে। রাইহান ও মাহিরা গিয়ে পৌঁছায় গ্রামের বাইরে এক পুরনো কালীমন্দিরে—যেখান থেকে মূল বলির উৎস হয়েছিল। মন্দিরের দেয়ালে অদ্ভুত প্রতীক—রক্তমাখা হাতে আঁকা একটি চক্র, আর তার কেন্দ্রে লেখা নাম—“লীনা”। এক ভয়ানক আওয়াজ গর্জে ওঠে। বাতাস ঘুরে যায়। মন্দিরের এক পাশে হঠাৎ জ্বলে ওঠে আগুন। আত্মা ধীরে ধীরে আবির্ভূত হয়—মাথায় কপাল ফাটা, চোখ আগুনের মতো লাল। আত্মা: “আমার নাম কেউ ভুলতে পারে না… আমার রক্তে লেখা, তাদের সবার মৃত্যু।” রাইহান ও মাহিরা দৌড়ে পালায়। এপিসোড ৩ শেষ। পরবর্তী পর্ব: “বাঁচতে হলে মরতে হবে” #post #horror_story
    Love
    Like
    5
    ·112 Views ·0 Reviews