মা তার মেয়েকে বলে—
'মা রে, মনে রাখিস...
মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়েছিস, এই পথটা খুব সহজ নয়…
স্বামীর সংসার করতে গেলে,
শ্বশুরবাড়িতে টিকে থাকতে গেলে
প্রতিদিন নিজেকে একটু একটু করে গিলে ফেলতে হয়…
কখনো অন্ধ হয়ে দেখতে না পারার ভান করতে হয়,
কখনো বধির হয়ে না শোনার অভিনয় করতে হয়,
আর কখনো বোবা হয়ে চুপচাপ সহ্য করে যেতে হয় সবকিছু…
এই সমাজ খুব হিসেবি মা রে...
তুই কাঁদলে কেউ পাশে দাঁড়াবে না,
আর তুই যদি প্রতিবাদ করিস,
তোকেই দোষী বানাবে, স্বেচ্ছাচারিণী বলবে…!
তাই শিখে নিস, কখন কাঁদতে হবে চুপচাপ,
আর কখন হাসিমুখে সমস্ত কষ্ট লুকিয়ে যেতে হবে… মেয়ে হয়ে জন্মেছিস
এই কথাটুকু সবসময় মনে রাখিস মা রে…'
এ যেন ভালোবাসার ছায়ায় ঢাকা একটা নিঃশব্দ সতর্কবার্তা
যেখানে মা মেয়েকে শেখায়,
কি করে চোখের জল চেপে, মুখে হাসি রেখে
নিজেকে হারিয়ে ফেলেও সংসার টিকিয়ে রাখতে হয়…

Good night
Alhamdulillah

কখনও কখনও জীবন আমাদের এমন কিছু শিক্ষা দেয়, যা বই পড়ে শেখা যায় না—শুধু অনুভব করতে হয়।"

সবাই ভালো সময়ে পাশে থাকে। আসল বন্ধুত্ব আর ভালোবাসা তখনই বোঝা যায়, যখন খারাপ সময়েও কেউ নিঃশব্দে সাপোর্ট করে যায়। পাশে থাকো, ভরসা দাও — সেটা কারো জন্য নতুন জীবনের আশা হয়ে উঠতে পারে।


#jonosathi

মূর্খলোক সম্পদের জন্য অন্তরের শান্তি বিসর্জন দেয়,আর বুদ্ধিমান ব্যক্তি মনের শান্তির জন্য সম্পদ লুটিয়ে দেয়। — হযরত আলী (রাঃ)

তিন ধরনের লোক বেশি পেরেশানিতে থাকেনঃ-সাহায্যকারি।-দায়িত্বশীল।-যার অন্তর পরিচ্ছন্ন। — হযরত আলী (রাঃ)

Alhamdulillah

1. "তুমি থাকলেই দিনটা রঙিন, হৃদয়ের গানটা সুরে ভরে ওঠে!"


2. "ভালোবাসা মানেই একসাথে হাঁটার প্রতিশ্রুতি, রোদ হোক বা বৃষ্টি।"


3. "তোমার চোখে যে পৃথিবী দেখি, সেটাই আমার স্বপ্নের ঠিকানা।"


4. "ভালোবাসা বলার অপেক্ষা রাখে না, অনুভবেই সব স্পর্শ থাকে।"


5. "তুমি আছো বলেই সবকিছু এত সুন্দর লাগে—ভালোবাসার রঙে ভরা জীবন।"

— এক'জন মানুষ সবচেয়ে বেশী মানসিক শান্তি পায় তার শখের মানুষের কাছে!

আসলে জানেন তো, আমরা অনেক সময় ভেবে নিই—কাউকে খুব কাছে পেলেই, তাদের জীবনেও আমাদের অবস্থান ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে, আমরা অনেক সময়ই শুধু তাদের জীবনের একটি “সময় পার করার” চরিত্র মাত্র।

আমরা মনে করি, আমাদের না থাকলে তাদের জীবন থমকে যাবে। ভাবি, আমাদের জায়গাটা তারা কখনোই কাউকে দেবে না। কিন্তু বাস্তব বলছে—তারা দিব্যি কাটিয়ে দেয়, হাসে, আনন্দ করে অন্য সঙ্গীদের সঙ্গে। আমরা যাদের গুরুত্ব দিই, ভালোবাসি, সবকিছু ভাগ করে নিই—তারাই হয়ত আমাদের জায়গাটা অন্য কাউকে দিয়ে দেয় সহজেই।

সব সম্পর্কেই সমতা থাকে না। আমরা যাদের নিজের ভাবি, তারা হয়ত কখনোই আমাদের ততটা আপন ভাবে না। আমরা হয়ত তাদের গল্পের এক ছোট অধ্যায়, কিন্তু তারা আমাদের পুরো উপন্যাস জুড়ে।

এটাই হয়ত কিছু সম্পর্কের সবচেয়ে কষ্টের কিন্তু নিখুঁত বাস্তবতা।

“ভালবাসা দিতে শিখুন, ভালবাসা ফিরে পাবেন।” — স্বামী বিবেকানন্দ

ঢাকার ব্যস্ত শহরের মাঝেও শান্ত একটা কোণ আছে — ধানমন্ডি লেকের পাড়। এখানেই প্রথম দেখা হয়েছিল অরণ্য আর মেঘলার। অরণ্য তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র, আর মেঘলা সদ্য শুরু করেছে পড়াশোনা। প্রথমবার যখন মেঘলা লেকের ধারে বসে আঁকছিল, অরণ্য পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। হঠাৎ মেঘলার তুলি ছিটকে পড়ল, আর তুলি কুড়োতে গিয়ে ওদের চোখাচোখি।

সেই চোখের মিলন যেন একটা অদৃশ্য সেতু তৈরি করল দুজনের মাঝে। দিন পেরিয়ে গেল, সেই বিকেলটা রোজকার অভ্যাস হয়ে গেল। অরণ্য বই নিয়ে পড়ে, আর মেঘলা ছবি আঁকে। কখন যে পড়া শেষ হয়ে গল্প শুরু হয়, দুজনেই জানত না।

এক বিকেলে বৃষ্টি এল হঠাৎ। মেঘলা আঁকতে গিয়ে ভিজে গেল পুরোপুরি। অরণ্য নিজের ছাতা বাড়িয়ে দিল, আর সেই মুহূর্তে মেঘলা প্রথমবার বুঝল — এই মানুষটার ছায়ায় সে থাকতে চায় সারা জীবন।

কিন্তু জীবন সব সময় সহজ রাস্তা দেয় না। অরণ্যের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেল, তাকে দেশের বাইরে চাকরির জন্য যেতে হল। বিদায়ের দিন, ধানমন্ডি লেকের সেই পুরনো বেঞ্চে দুজন বসেছিল চুপচাপ। মেঘলার চোখ ভেজা, অরণ্য শুধু একটা কথা বলল,
"তুমি অপেক্ষা করবে তো?"
মেঘলা হেসে বলল, "শেষ বিকেল পর্যন্ত।"

বছর দুয়েক কেটে গেল। মেঘলা পেইন্টিংয়ে নাম করল, আর অরণ্য ফিরে এল দেশের মাটিতে। সেই একই লেক, সেই একই বেঞ্চে শেষ বিকেলে দুজনের আবার দেখা হল। হাতে হাত মিলল, আর এইবার আর কোনো বিদায়ের কথা ছিল না।

তারা দুজনেই জানত, এই লেকের পাড়ে শুধু গল্প শুরু হয় না, কখনো কখনো সেখানেই গল্প শেষও হয় — চিরন্তন ভালোবাসার ছোঁয়ায়।