ঢাকার ব্যস্ত শহরের মাঝেও শান্ত একটা কোণ আছে — ধানমন্ডি লেকের পাড়। এখানেই প্রথম দেখা হয়েছিল অরণ্য আর মেঘলার। অরণ্য তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র, আর মেঘলা সদ্য শুরু করেছে পড়াশোনা। প্রথমবার যখন মেঘলা লেকের ধারে বসে আঁকছিল, অরণ্য পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। হঠাৎ মেঘলার তুলি ছিটকে পড়ল, আর তুলি কুড়োতে গিয়ে ওদের চোখাচোখি।

সেই চোখের মিলন যেন একটা অদৃশ্য সেতু তৈরি করল দুজনের মাঝে। দিন পেরিয়ে গেল, সেই বিকেলটা রোজকার অভ্যাস হয়ে গেল। অরণ্য বই নিয়ে পড়ে, আর মেঘলা ছবি আঁকে। কখন যে পড়া শেষ হয়ে গল্প শুরু হয়, দুজনেই জানত না।

এক বিকেলে বৃষ্টি এল হঠাৎ। মেঘলা আঁকতে গিয়ে ভিজে গেল পুরোপুরি। অরণ্য নিজের ছাতা বাড়িয়ে দিল, আর সেই মুহূর্তে মেঘলা প্রথমবার বুঝল — এই মানুষটার ছায়ায় সে থাকতে চায় সারা জীবন।

কিন্তু জীবন সব সময় সহজ রাস্তা দেয় না। অরণ্যের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেল, তাকে দেশের বাইরে চাকরির জন্য যেতে হল। বিদায়ের দিন, ধানমন্ডি লেকের সেই পুরনো বেঞ্চে দুজন বসেছিল চুপচাপ। মেঘলার চোখ ভেজা, অরণ্য শুধু একটা কথা বলল,
"তুমি অপেক্ষা করবে তো?"
মেঘলা হেসে বলল, "শেষ বিকেল পর্যন্ত।"

বছর দুয়েক কেটে গেল। মেঘলা পেইন্টিংয়ে নাম করল, আর অরণ্য ফিরে এল দেশের মাটিতে। সেই একই লেক, সেই একই বেঞ্চে শেষ বিকেলে দুজনের আবার দেখা হল। হাতে হাত মিলল, আর এইবার আর কোনো বিদায়ের কথা ছিল না।

তারা দুজনেই জানত, এই লেকের পাড়ে শুধু গল্প শুরু হয় না, কখনো কখনো সেখানেই গল্প শেষও হয় — চিরন্তন ভালোবাসার ছোঁয়ায়।
ঢাকার ব্যস্ত শহরের মাঝেও শান্ত একটা কোণ আছে — ধানমন্ডি লেকের পাড়। এখানেই প্রথম দেখা হয়েছিল অরণ্য আর মেঘলার। অরণ্য তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র, আর মেঘলা সদ্য শুরু করেছে পড়াশোনা। প্রথমবার যখন মেঘলা লেকের ধারে বসে আঁকছিল, অরণ্য পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। হঠাৎ মেঘলার তুলি ছিটকে পড়ল, আর তুলি কুড়োতে গিয়ে ওদের চোখাচোখি। সেই চোখের মিলন যেন একটা অদৃশ্য সেতু তৈরি করল দুজনের মাঝে। দিন পেরিয়ে গেল, সেই বিকেলটা রোজকার অভ্যাস হয়ে গেল। অরণ্য বই নিয়ে পড়ে, আর মেঘলা ছবি আঁকে। কখন যে পড়া শেষ হয়ে গল্প শুরু হয়, দুজনেই জানত না। এক বিকেলে বৃষ্টি এল হঠাৎ। মেঘলা আঁকতে গিয়ে ভিজে গেল পুরোপুরি। অরণ্য নিজের ছাতা বাড়িয়ে দিল, আর সেই মুহূর্তে মেঘলা প্রথমবার বুঝল — এই মানুষটার ছায়ায় সে থাকতে চায় সারা জীবন। কিন্তু জীবন সব সময় সহজ রাস্তা দেয় না। অরণ্যের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেল, তাকে দেশের বাইরে চাকরির জন্য যেতে হল। বিদায়ের দিন, ধানমন্ডি লেকের সেই পুরনো বেঞ্চে দুজন বসেছিল চুপচাপ। মেঘলার চোখ ভেজা, অরণ্য শুধু একটা কথা বলল, "তুমি অপেক্ষা করবে তো?" মেঘলা হেসে বলল, "শেষ বিকেল পর্যন্ত।" বছর দুয়েক কেটে গেল। মেঘলা পেইন্টিংয়ে নাম করল, আর অরণ্য ফিরে এল দেশের মাটিতে। সেই একই লেক, সেই একই বেঞ্চে শেষ বিকেলে দুজনের আবার দেখা হল। হাতে হাত মিলল, আর এইবার আর কোনো বিদায়ের কথা ছিল না। তারা দুজনেই জানত, এই লেকের পাড়ে শুধু গল্প শুরু হয় না, কখনো কখনো সেখানেই গল্প শেষও হয় — চিরন্তন ভালোবাসার ছোঁয়ায়।
Love
Like
5
· 1 Comments ·0 Shares ·196 Views ·0 Reviews
Jono Sathi – Connecting Bangladesh https://jonosathi.com