Search | Jono Sathi - Bangladeshi Social Media Platform

Upgrade to Pro

  • একটা ব্যাঙকে যদি আপনি ঠাণ্ডা পানির পাত্রে রাখেন, আর সেই পাত্রটিকে ধীরে ধীরে গরম করতে থাকেন—ব্যাঙটি কিন্তু তাড়াতাড়ি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় না। সে চুপচাপ পানিতে বসে থাকে, আর নিজের শরীরের তাপমাত্রা পানির সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে থাকে।

    ধীরে ধীরে পানি গরম হতে থাকে, আর ব্যাঙও ধীরে ধীরে তার শরীরের ভেতর সেই উত্তাপ সহ্য করতে থাকে। সে ভাবে, "এটা তো এখনো সহ্য করা যাচ্ছে।"

    কিন্তু সমস্যা তখনই শুরু হয়। পানির তাপ এক সময় এত বেশি হয়ে যায় যে, তখন আর সহ্য করা যায় না। ব্যাঙ তখন বুঝতে পারে, "এখন আমার লাফ দিয়ে বাঁচা দরকার!"

    কিন্তু হায়! তখন আর তার শরীরে কোনো শক্তি অবশিষ্ট নেই। কারণ সে তার সমস্ত শক্তি খরচ করে ফেলেছে আগের তাপমাত্রাগুলো সহ্য করার জন্য! তাই সে চাইলেও আর লাফিয়ে বের হতে পারে না। ধীরে ধীরে সে পানিতে সেদ্ধ হয়ে মারা যায়…

    আপনি কি জানেন—ব্যাঙটা আসলে মারা যায়নি পানির তাপে, বরং মারা গেছে সময়মতো সিদ্ধান্ত না নিতে পারায়!

    এই ঘটনাটাকেই বলা হয় "Boiling Frog Syndrome"।

    এই গল্প আমাদের জীবনের সঙ্গেও হুবহু মিলে যায়।
    আমরা অনেক সময় একের পর এক অন্যায়, অবহেলা কিংবা কষ্ট সহ্য করতে থাকি—ভাবি, “এখন না হয় মেনে নিচ্ছি, পরে কিছু একটা করব।”

    কিন্তু যে সমস্যা শুরুতেই ঠেকানো যেতো, তা ধীরে ধীরে এমন ভয়াবহ রূপ নেয় যে তখন আর কিছুই করার থাকে না।
    তখন আমাদের মনের শক্তিটাও থাকে না, সাহসটাও ক্ষয়ে যায়।

    শিক্ষনীয়:
    তাই, জীবনে কখনো এমন পর্যায়ে পৌঁছাবেন না যেখানে লাফ দেওয়ার মতো শক্তিটুকুও থাকবে না।
    সময় থাকতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করুন, প্রতিবাদ করুন, নিজের সম্মানকে রক্ষা করুন।
    না হলে একদিন হয়তো আপনিও সেই “সেদ্ধ ব্যাঙ” হয়ে যাবেন, যে বাঁচতে চেয়েও বাঁচতে পারল না…
    একটা ব্যাঙকে যদি আপনি ঠাণ্ডা পানির পাত্রে রাখেন, আর সেই পাত্রটিকে ধীরে ধীরে গরম করতে থাকেন—ব্যাঙটি কিন্তু তাড়াতাড়ি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় না। সে চুপচাপ পানিতে বসে থাকে, আর নিজের শরীরের তাপমাত্রা পানির সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে থাকে। ধীরে ধীরে পানি গরম হতে থাকে, আর ব্যাঙও ধীরে ধীরে তার শরীরের ভেতর সেই উত্তাপ সহ্য করতে থাকে। সে ভাবে, "এটা তো এখনো সহ্য করা যাচ্ছে।" কিন্তু সমস্যা তখনই শুরু হয়। পানির তাপ এক সময় এত বেশি হয়ে যায় যে, তখন আর সহ্য করা যায় না। ব্যাঙ তখন বুঝতে পারে, "এখন আমার লাফ দিয়ে বাঁচা দরকার!" কিন্তু হায়! তখন আর তার শরীরে কোনো শক্তি অবশিষ্ট নেই। কারণ সে তার সমস্ত শক্তি খরচ করে ফেলেছে আগের তাপমাত্রাগুলো সহ্য করার জন্য! তাই সে চাইলেও আর লাফিয়ে বের হতে পারে না। ধীরে ধীরে সে পানিতে সেদ্ধ হয়ে মারা যায়… আপনি কি জানেন—ব্যাঙটা আসলে মারা যায়নি পানির তাপে, বরং মারা গেছে সময়মতো সিদ্ধান্ত না নিতে পারায়! এই ঘটনাটাকেই বলা হয় "Boiling Frog Syndrome"। এই গল্প আমাদের জীবনের সঙ্গেও হুবহু মিলে যায়। আমরা অনেক সময় একের পর এক অন্যায়, অবহেলা কিংবা কষ্ট সহ্য করতে থাকি—ভাবি, “এখন না হয় মেনে নিচ্ছি, পরে কিছু একটা করব।” কিন্তু যে সমস্যা শুরুতেই ঠেকানো যেতো, তা ধীরে ধীরে এমন ভয়াবহ রূপ নেয় যে তখন আর কিছুই করার থাকে না। তখন আমাদের মনের শক্তিটাও থাকে না, সাহসটাও ক্ষয়ে যায়। 🌻শিক্ষনীয়: তাই, জীবনে কখনো এমন পর্যায়ে পৌঁছাবেন না যেখানে লাফ দেওয়ার মতো শক্তিটুকুও থাকবে না। সময় থাকতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করুন, প্রতিবাদ করুন, নিজের সম্মানকে রক্ষা করুন। না হলে একদিন হয়তো আপনিও সেই “সেদ্ধ ব্যাঙ” হয়ে যাবেন, যে বাঁচতে চেয়েও বাঁচতে পারল না…
    Love
    1
    ·38 Views ·0 Reviews
  • জীবন হলো একটা অজানা গল্পের বইয়ের
    মতো....!!
    পরের পৃষ্ঠায় কি লেখা আছে তা কেউ জানে
    না...!!
    জীবন হলো একটা অজানা গল্পের বইয়ের মতো....!!😊❤️ পরের পৃষ্ঠায় কি লেখা আছে তা কেউ জানে না...!!❤️🌸
    Like
    Love
    2
    ·40 Views ·0 Reviews
  • You must be 18+ to view this content
    · Views ·0 Reviews
  • “মুখোশের আড়াল”

    এলিজা ছোট শহরের এক শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাস করত। সবাই জানত, সে খুব বিনয়ী এবং সজ্জন, কিন্তু এলিজার মধ্যে কিছু ছিল যা কেউ বুঝতে পারত না। সে সবসময় তার মুখে একটি মিষ্টি হাসি রেখে সবাইকে স্বাগত জানাত। কিন্তু একদিন, তার এক বন্ধু, সিমি, লক্ষ্য করল—এলিজা যখনই একা থাকে, তার চোখে একটি অদ্ভুত দুঃখ দেখা যায়।

    একদিন সিমি সাহস করে এলিজার কাছে গিয়ে বলল, “তুমি কখনও আমাদের সামনে তোমার মন খুলে বলো না কেন?” এলিজা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলল, “অনেক কিছু বলার থাকে, কিন্তু আমি জানি না, কেউ আমার কথা শুনবে কিনা। আমার হাসির আড়ালে কিছু দুঃখ লুকিয়ে থাকে, সিমি।"

    সিমি চুপচাপ থেকে বলল, "তোমার যেকোনো দুঃখ আমি শুনতে প্রস্তুত আছি।"

    এলিজা মুচকি হাসল, “ঠিক আছে, একদিন যখন তুমি একা থাকো, আমাকে ডাকবে। তখন আমি তোমার পাশে দাঁড়াবো।” আর তখনই সিমি বুঝতে পারল, অনেক সময় হাসি ও মুখোশের আড়ালে বড় কিছু গল্প লুকিয়ে থাকে।
    “মুখোশের আড়াল” এলিজা ছোট শহরের এক শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাস করত। সবাই জানত, সে খুব বিনয়ী এবং সজ্জন, কিন্তু এলিজার মধ্যে কিছু ছিল যা কেউ বুঝতে পারত না। সে সবসময় তার মুখে একটি মিষ্টি হাসি রেখে সবাইকে স্বাগত জানাত। কিন্তু একদিন, তার এক বন্ধু, সিমি, লক্ষ্য করল—এলিজা যখনই একা থাকে, তার চোখে একটি অদ্ভুত দুঃখ দেখা যায়। একদিন সিমি সাহস করে এলিজার কাছে গিয়ে বলল, “তুমি কখনও আমাদের সামনে তোমার মন খুলে বলো না কেন?” এলিজা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলল, “অনেক কিছু বলার থাকে, কিন্তু আমি জানি না, কেউ আমার কথা শুনবে কিনা। আমার হাসির আড়ালে কিছু দুঃখ লুকিয়ে থাকে, সিমি।" সিমি চুপচাপ থেকে বলল, "তোমার যেকোনো দুঃখ আমি শুনতে প্রস্তুত আছি।" এলিজা মুচকি হাসল, “ঠিক আছে, একদিন যখন তুমি একা থাকো, আমাকে ডাকবে। তখন আমি তোমার পাশে দাঁড়াবো।” আর তখনই সিমি বুঝতে পারল, অনেক সময় হাসি ও মুখোশের আড়ালে বড় কিছু গল্প লুকিয়ে থাকে।
    Love
    Angry
    6
    ·68 Views ·0 Reviews
  • গল্প: “অদৃশ্য বন্ধুত্ব”

    রাহুল একেবারে নির্জন এক জায়গায় থাকত, যেখানে মানুষ খুব কম আসত। তার স্কুল ছিল দূরে, আর বন্ধুদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না। তবে, রাহুলের একটি অদ্ভুত অভ্যাস ছিল—সে প্রতিদিন বিকেলে মন্দিরের পাশে একটি পুরনো কাঠের বেঞ্চে বসে থাকত এবং দূরের পাহাড়গুলো দেখত।

    একদিন, সে যেমনই বেঞ্চে বসে ছিল, দেখতে পেল, কেউ তাকে একদৃষ্টিতে দেখছে। প্রথমে সে ভেবেছিল, হয়তো তার চোখের ভুল। কিন্তু হঠাৎ এক তরুণী মেয়ে এসে তার পাশে বসে বলল, "তুমি কি এখানেই বসে থাকো সবসময়?"

    রাহুল অবাক হয়ে বলল, "তুমি কে?"

    মেয়েটি মুচকি হাসি দিয়ে বলল, "আমার নাম নীরা, আমি নতুন এখানে এসেছি। তুমি কেন এত একা?"

    রাহুল প্রথমে কিছুটা আশ্চর্য হয়েছিল, কারণ সে কখনো এই জায়গায় কাউকে দেখেনি। তবে, সে জানত, নীরা কিছু একটা আলাদা। তার সঙ্গে কথা বলার পর, রাহুল অনুভব করল, একে অপরকে জানার মধ্যে কিছু অদ্ভুত শান্তি ছিল। তারা প্রায় প্রতিদিন বিকেলে ওই বেঞ্চে বসে গল্প করত। সময় দ্রুত চলে যেত।

    একদিন, রাহুল খেয়াল করল, নীরা আর নেই। সে খুব চিন্তিত হয়ে পড়ল। অনেক খুঁজেও নীরা কোথাও পাওয়া গেল না। কয়েকদিন পর, সে জানতে পারল, নীরা এক মাস আগে এখান থেকে চলে গিয়েছিল। কিন্তু, তার সঙ্গে সেই অদ্ভুত বন্ধুত্বটা রাহুলের মনে আজও বেঁচে ছিল।

    রাহুল তখন বুঝতে পারল, কিছু মানুষ আমাদের জীবনে কখনো থাকে না, কিন্তু তাদের প্রভাব, তাদের কথাগুলি, ওরা চলে যাওয়ার পরেও আমাদের হৃদয়ে জায়গা করে যায়।
    গল্প: “অদৃশ্য বন্ধুত্ব” রাহুল একেবারে নির্জন এক জায়গায় থাকত, যেখানে মানুষ খুব কম আসত। তার স্কুল ছিল দূরে, আর বন্ধুদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না। তবে, রাহুলের একটি অদ্ভুত অভ্যাস ছিল—সে প্রতিদিন বিকেলে মন্দিরের পাশে একটি পুরনো কাঠের বেঞ্চে বসে থাকত এবং দূরের পাহাড়গুলো দেখত। একদিন, সে যেমনই বেঞ্চে বসে ছিল, দেখতে পেল, কেউ তাকে একদৃষ্টিতে দেখছে। প্রথমে সে ভেবেছিল, হয়তো তার চোখের ভুল। কিন্তু হঠাৎ এক তরুণী মেয়ে এসে তার পাশে বসে বলল, "তুমি কি এখানেই বসে থাকো সবসময়?" রাহুল অবাক হয়ে বলল, "তুমি কে?" মেয়েটি মুচকি হাসি দিয়ে বলল, "আমার নাম নীরা, আমি নতুন এখানে এসেছি। তুমি কেন এত একা?" রাহুল প্রথমে কিছুটা আশ্চর্য হয়েছিল, কারণ সে কখনো এই জায়গায় কাউকে দেখেনি। তবে, সে জানত, নীরা কিছু একটা আলাদা। তার সঙ্গে কথা বলার পর, রাহুল অনুভব করল, একে অপরকে জানার মধ্যে কিছু অদ্ভুত শান্তি ছিল। তারা প্রায় প্রতিদিন বিকেলে ওই বেঞ্চে বসে গল্প করত। সময় দ্রুত চলে যেত। একদিন, রাহুল খেয়াল করল, নীরা আর নেই। সে খুব চিন্তিত হয়ে পড়ল। অনেক খুঁজেও নীরা কোথাও পাওয়া গেল না। কয়েকদিন পর, সে জানতে পারল, নীরা এক মাস আগে এখান থেকে চলে গিয়েছিল। কিন্তু, তার সঙ্গে সেই অদ্ভুত বন্ধুত্বটা রাহুলের মনে আজও বেঁচে ছিল। রাহুল তখন বুঝতে পারল, কিছু মানুষ আমাদের জীবনে কখনো থাকে না, কিন্তু তাদের প্রভাব, তাদের কথাগুলি, ওরা চলে যাওয়ার পরেও আমাদের হৃদয়ে জায়গা করে যায়।
    Love
    Wow
    Angry
    6
    ·71 Views ·0 Reviews
  • গল্প: “অদৃশ্য বন্ধুত্ব”

    রাহুল একেবারে নির্জন এক জায়গায় থাকত, যেখানে মানুষ খুব কম আসত। তার স্কুল ছিল দূরে, আর বন্ধুদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না। তবে, রাহুলের একটি অদ্ভুত অভ্যাস ছিল—সে প্রতিদিন বিকেলে মন্দিরের পাশে একটি পুরনো কাঠের বেঞ্চে বসে থাকত এবং দূরের পাহাড়গুলো দেখত।

    একদিন, সে যেমনই বেঞ্চে বসে ছিল, দেখতে পেল, কেউ তাকে একদৃষ্টিতে দেখছে। প্রথমে সে ভেবেছিল, হয়তো তার চোখের ভুল। কিন্তু হঠাৎ এক তরুণী মেয়ে এসে তার পাশে বসে বলল, "তুমি কি এখানেই বসে থাকো সবসময়?"

    রাহুল অবাক হয়ে বলল, "তুমি কে?"

    মেয়েটি মুচকি হাসি দিয়ে বলল, "আমার নাম নীরা, আমি নতুন এখানে এসেছি। তুমি কেন এত একা?"

    রাহুল প্রথমে কিছুটা আশ্চর্য হয়েছিল, কারণ সে কখনো এই জায়গায় কাউকে দেখেনি। তবে, সে জানত, নীরা কিছু একটা আলাদা। তার সঙ্গে কথা বলার পর, রাহুল অনুভব করল, একে অপরকে জানার মধ্যে কিছু অদ্ভুত শান্তি ছিল। তারা প্রায় প্রতিদিন বিকেলে ওই বেঞ্চে বসে গল্প করত। সময় দ্রুত চলে যেত।

    একদিন, রাহুল খেয়াল করল, নীরা আর নেই। সে খুব চিন্তিত হয়ে পড়ল। অনেক খুঁজেও নীরা কোথাও পাওয়া গেল না। কয়েকদিন পর, সে জানতে পারল, নীরা এক মাস আগে এখান থেকে চলে গিয়েছিল। কিন্তু, তার সঙ্গে সেই অদ্ভুত বন্ধুত্বটা রাহুলের মনে আজও বেঁচে ছিল।

    রাহুল তখন বুঝতে পারল, কিছু মানুষ আমাদের জীবনে কখনো থাকে না, কিন্তু তাদের প্রভাব, তাদের কথাগুলি, ওরা চলে যাওয়ার পরেও আমাদের হৃদয়ে জায়গা করে যায়।
    গল্প: “অদৃশ্য বন্ধুত্ব” রাহুল একেবারে নির্জন এক জায়গায় থাকত, যেখানে মানুষ খুব কম আসত। তার স্কুল ছিল দূরে, আর বন্ধুদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না। তবে, রাহুলের একটি অদ্ভুত অভ্যাস ছিল—সে প্রতিদিন বিকেলে মন্দিরের পাশে একটি পুরনো কাঠের বেঞ্চে বসে থাকত এবং দূরের পাহাড়গুলো দেখত। একদিন, সে যেমনই বেঞ্চে বসে ছিল, দেখতে পেল, কেউ তাকে একদৃষ্টিতে দেখছে। প্রথমে সে ভেবেছিল, হয়তো তার চোখের ভুল। কিন্তু হঠাৎ এক তরুণী মেয়ে এসে তার পাশে বসে বলল, "তুমি কি এখানেই বসে থাকো সবসময়?" রাহুল অবাক হয়ে বলল, "তুমি কে?" মেয়েটি মুচকি হাসি দিয়ে বলল, "আমার নাম নীরা, আমি নতুন এখানে এসেছি। তুমি কেন এত একা?" রাহুল প্রথমে কিছুটা আশ্চর্য হয়েছিল, কারণ সে কখনো এই জায়গায় কাউকে দেখেনি। তবে, সে জানত, নীরা কিছু একটা আলাদা। তার সঙ্গে কথা বলার পর, রাহুল অনুভব করল, একে অপরকে জানার মধ্যে কিছু অদ্ভুত শান্তি ছিল। তারা প্রায় প্রতিদিন বিকেলে ওই বেঞ্চে বসে গল্প করত। সময় দ্রুত চলে যেত। একদিন, রাহুল খেয়াল করল, নীরা আর নেই। সে খুব চিন্তিত হয়ে পড়ল। অনেক খুঁজেও নীরা কোথাও পাওয়া গেল না। কয়েকদিন পর, সে জানতে পারল, নীরা এক মাস আগে এখান থেকে চলে গিয়েছিল। কিন্তু, তার সঙ্গে সেই অদ্ভুত বন্ধুত্বটা রাহুলের মনে আজও বেঁচে ছিল। রাহুল তখন বুঝতে পারল, কিছু মানুষ আমাদের জীবনে কখনো থাকে না, কিন্তু তাদের প্রভাব, তাদের কথাগুলি, ওরা চলে যাওয়ার পরেও আমাদের হৃদয়ে জায়গা করে যায়।
    Love
    Angry
    Like
    5
    ·61 Views ·0 Reviews
  • Parit1

    কিশোরী মিথিলা গ্রামের এক সাধারণ পরিবারে জন্ম নিয়েছিল। তার বাবা ছিলেন একজন কৃষক, আর মা গৃহিণী। গ্রামে এতটুকু শান্তিপূর্ণ জীবন কাটানো মিথিলার খুব একটা বিশেষ কিছু চাইত না, তবে মনের মধ্যে এক অসম্ভব ইচ্ছা ছিল, একটি নতুন দিগন্তে পা রাখার। কিশোরী বয়সে, সে কখনো ভাবতেও পারেনি যে, তার জীবন একদিন এমন মোড় নিবে।

    মিথিলার পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিল সে। পড়াশোনায় সবসময় ভালো ছিল, কিন্তু গ্রামের সাধারণ স্কুলে পড়তে গিয়ে তার মেধা তেমন উজ্জ্বল হতে পারছিল না। তবে, তার মধ্যে কিছু আলাদা করার ক্ষমতা ছিল। তার মেধা এবং আন্তরিকতা শিক্ষক ও সহপাঠীদের নজর কাড়ত। কিন্তু মিথিলা জানত, তার মতো একজন গ্রামের সাধারণ মেয়ের জন্য সুযোগ খুব কম। তবুও, কখনো হাল ছাড়ত না সে। বইয়ের পাতায় চোখ রেখে স্বপ্ন দেখত, কখনো বড় কিছু করবে, তবে কী করবে তা সে নিজেও জানত না।

    একদিন, গ্রামের এক প্রখ্যাত শিক্ষক, স্যার রহমান, তার বাড়িতে আসেন। স্যার রহমান ছিলেন একজন শিক্ষিত ও আধুনিক মানুষ, যিনি নতুন শিক্ষার উপায় সম্পর্কে সবার কাছে বার্তা পৌঁছাতে চেয়েছিলেন। তিনি মিথিলাকে বিশেষভাবে ভালোবাসতেন এবং তার মেধা সম্পর্কে খুবই উচ্চ ধারণা রাখতেন। একদিন, স্যার রহমান মিথিলাকে বলেন, "তুমি যদি একটু চেষ্টা কর, তাহলে তোমার জীবন বদলে যেতে পারে।"

    এই কথা শুনে মিথিলার হৃদয়ে নতুন আশার আলো জ্বলে উঠল। স্যার রহমানের কথা তার মনে গেঁথে গিয়েছিল। সে বুঝতে পারল, তার স্বপ্নের দিগন্ত শুধুমাত্র তার মেধা ও পড়াশোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তার ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ় বিশ্বাসের মধ্যেই এটি নিহিত।

    এটি ছিল মিথিলার জীবনের সেই মোড়, যেখান থেকে তার গল্প শুরু হয়েছিল। তার মনের মধ্যে দৃঢ় সংকল্প ছিল, সে জীবনে কিছু একটা বড় করবে। সে ধীরে ধীরে শহরের বিভিন্ন শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করল। তার পরিশ্রম ও জ্ঞান সবার নজর কাড়ল। তবে, শহরের দিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার পরিবারের সদস্যরা কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন। তার মা-বাবা খুবই সাধারণ মানুষ ছিলেন, এবং তারা বুঝতে পারছিলেন না, শহরে গিয়ে মিথিলা কেমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।

    Parit1 কিশোরী মিথিলা গ্রামের এক সাধারণ পরিবারে জন্ম নিয়েছিল। তার বাবা ছিলেন একজন কৃষক, আর মা গৃহিণী। গ্রামে এতটুকু শান্তিপূর্ণ জীবন কাটানো মিথিলার খুব একটা বিশেষ কিছু চাইত না, তবে মনের মধ্যে এক অসম্ভব ইচ্ছা ছিল, একটি নতুন দিগন্তে পা রাখার। কিশোরী বয়সে, সে কখনো ভাবতেও পারেনি যে, তার জীবন একদিন এমন মোড় নিবে। মিথিলার পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিল সে। পড়াশোনায় সবসময় ভালো ছিল, কিন্তু গ্রামের সাধারণ স্কুলে পড়তে গিয়ে তার মেধা তেমন উজ্জ্বল হতে পারছিল না। তবে, তার মধ্যে কিছু আলাদা করার ক্ষমতা ছিল। তার মেধা এবং আন্তরিকতা শিক্ষক ও সহপাঠীদের নজর কাড়ত। কিন্তু মিথিলা জানত, তার মতো একজন গ্রামের সাধারণ মেয়ের জন্য সুযোগ খুব কম। তবুও, কখনো হাল ছাড়ত না সে। বইয়ের পাতায় চোখ রেখে স্বপ্ন দেখত, কখনো বড় কিছু করবে, তবে কী করবে তা সে নিজেও জানত না। একদিন, গ্রামের এক প্রখ্যাত শিক্ষক, স্যার রহমান, তার বাড়িতে আসেন। স্যার রহমান ছিলেন একজন শিক্ষিত ও আধুনিক মানুষ, যিনি নতুন শিক্ষার উপায় সম্পর্কে সবার কাছে বার্তা পৌঁছাতে চেয়েছিলেন। তিনি মিথিলাকে বিশেষভাবে ভালোবাসতেন এবং তার মেধা সম্পর্কে খুবই উচ্চ ধারণা রাখতেন। একদিন, স্যার রহমান মিথিলাকে বলেন, "তুমি যদি একটু চেষ্টা কর, তাহলে তোমার জীবন বদলে যেতে পারে।" এই কথা শুনে মিথিলার হৃদয়ে নতুন আশার আলো জ্বলে উঠল। স্যার রহমানের কথা তার মনে গেঁথে গিয়েছিল। সে বুঝতে পারল, তার স্বপ্নের দিগন্ত শুধুমাত্র তার মেধা ও পড়াশোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তার ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ় বিশ্বাসের মধ্যেই এটি নিহিত। এটি ছিল মিথিলার জীবনের সেই মোড়, যেখান থেকে তার গল্প শুরু হয়েছিল। তার মনের মধ্যে দৃঢ় সংকল্প ছিল, সে জীবনে কিছু একটা বড় করবে। সে ধীরে ধীরে শহরের বিভিন্ন শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করল। তার পরিশ্রম ও জ্ঞান সবার নজর কাড়ল। তবে, শহরের দিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার পরিবারের সদস্যরা কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন। তার মা-বাবা খুবই সাধারণ মানুষ ছিলেন, এবং তারা বুঝতে পারছিলেন না, শহরে গিয়ে মিথিলা কেমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।
    Angry
    Like
    Love
    4
    ·61 Views ·0 Reviews
  • এই কথা আলমগীরের মনের মধ্যে গভীরভাবে গেঁথে গেল। পরের দিন থেকেই সে নতুনভাবে তার জীবন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল। সে কেবল কৃষক নয়, একজন শিক্ষার্থীও হতে চায়, এবং কৃষির নতুন প্রযুক্তি শিখে নিজের গ্রামকে উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করতে চায়।

    প্রথমে, সে স্থানীয় একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কৃষির আধুনিক পদ্ধতিগুলি শিখল। ধীরে ধীরে সে নানা ধরনের নতুন প্রযুক্তি কাজে লাগাতে শুরু করল। তার জমিতে ভালো ফলন হতে লাগল। তার সাফল্য দেখে অন্য গ্রামবাসীরা তার কাছ থেকে পরামর্শ নিতে আসত।

    একদিন, গ্রামের সবচেয়ে বড় জমির মালিক তাকে ডাকলেন। তিনি বললেন, “আলমগীর, তুমি তো সত্যিই অনেক কিছু শিখেছ। আমি চাই, তুমি আমার জমিতেও এই নতুন পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করো।” আলমগীর বিনম্রভাবে উত্তর দিল, “ধন্যবাদ, কিন্তু আমি তো এই জ্ঞান আপনাদের জন্যই শিখেছি।”

    তবে, এর মাধ্যমে তার জীবনে আরও একটি বড় পরিবর্তন এলো। আলমগীরের কঠোর পরিশ্রম ও ধারাবাহিকতা তার গ্রামকেও বদলে দিল। কৃষির আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে গ্রামটি উন্নতি করতে শুরু করল। মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হলো।

    আলমগীরের গল্প ছিল এক নতুন সূর্যের আলো, যে আলোর মাধ্যমে একটি ছোট গ্রাম বড় পরিবর্তন পেতে শুরু করেছিল। তার জীবনের ছোট্ট একটি সিদ্ধান্ত তাকে কেবল নিজের জীবনে নয়, পুরো গ্রামে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করেছিল।
    এই কথা আলমগীরের মনের মধ্যে গভীরভাবে গেঁথে গেল। পরের দিন থেকেই সে নতুনভাবে তার জীবন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল। সে কেবল কৃষক নয়, একজন শিক্ষার্থীও হতে চায়, এবং কৃষির নতুন প্রযুক্তি শিখে নিজের গ্রামকে উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করতে চায়। প্রথমে, সে স্থানীয় একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কৃষির আধুনিক পদ্ধতিগুলি শিখল। ধীরে ধীরে সে নানা ধরনের নতুন প্রযুক্তি কাজে লাগাতে শুরু করল। তার জমিতে ভালো ফলন হতে লাগল। তার সাফল্য দেখে অন্য গ্রামবাসীরা তার কাছ থেকে পরামর্শ নিতে আসত। একদিন, গ্রামের সবচেয়ে বড় জমির মালিক তাকে ডাকলেন। তিনি বললেন, “আলমগীর, তুমি তো সত্যিই অনেক কিছু শিখেছ। আমি চাই, তুমি আমার জমিতেও এই নতুন পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করো।” আলমগীর বিনম্রভাবে উত্তর দিল, “ধন্যবাদ, কিন্তু আমি তো এই জ্ঞান আপনাদের জন্যই শিখেছি।” তবে, এর মাধ্যমে তার জীবনে আরও একটি বড় পরিবর্তন এলো। আলমগীরের কঠোর পরিশ্রম ও ধারাবাহিকতা তার গ্রামকেও বদলে দিল। কৃষির আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে গ্রামটি উন্নতি করতে শুরু করল। মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হলো। আলমগীরের গল্প ছিল এক নতুন সূর্যের আলো, যে আলোর মাধ্যমে একটি ছোট গ্রাম বড় পরিবর্তন পেতে শুরু করেছিল। তার জীবনের ছোট্ট একটি সিদ্ধান্ত তাকে কেবল নিজের জীবনে নয়, পুরো গ্রামে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করেছিল।
    Love
    Haha
    Angry
    4
    ·65 Views ·0 Reviews
  • গল্প: "মায়ের চাদর"

    শফিক ছোটবেলায় খুব দুষ্ট ছিল, কিন্তু মায়ের চাওয়ায় কখনো না করত না। মা যখন বলতেন, “এই চাদরটা শুধু আমার না, তোর দাদীর, তারও আগের দিদিমার। অনেক বছর ধরে ভালোবাসা ধরে রেখেছে,” তখন শফিক চাদরটা গায়ে জড়িয়ে অনুভব করত এক অদ্ভুত শান্তি।

    সময় গড়িয়ে যায়। মা বয়সের ভারে নুয়ে পড়েন। শফিক শহরে বড় চাকরি পায়, ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মাসে মাসে টাকা পাঠালেও মায়ের কণ্ঠস্বর দিনে দিনে যেন নিঃশব্দ হতে থাকে।

    একদিন খবর এলো — “মা নেই।”

    গ্রামে ফিরে শফিক প্রথমবার নিজের ঘরে সেই পুরনো চাদরটা দেখে স্তব্ধ হয়ে গেল। ধুলো-মলিন চাদরটার ভাঁজে এখনো যেন লুকিয়ে আছে মায়ের গন্ধ।

    চাদরটা গায়ে জড়িয়ে শফিক চুপচাপ বসে থাকে। তার হৃদয়ে একটাই অনুভব—
    ভালোবাসা কখনো পুরনো হয় না। শুধু আমরা হয়ে যাই।

    #jonosathi
    #muhammad_naim
    গল্প: "মায়ের চাদর" শফিক ছোটবেলায় খুব দুষ্ট ছিল, কিন্তু মায়ের চাওয়ায় কখনো না করত না। মা যখন বলতেন, “এই চাদরটা শুধু আমার না, তোর দাদীর, তারও আগের দিদিমার। অনেক বছর ধরে ভালোবাসা ধরে রেখেছে,” তখন শফিক চাদরটা গায়ে জড়িয়ে অনুভব করত এক অদ্ভুত শান্তি। সময় গড়িয়ে যায়। মা বয়সের ভারে নুয়ে পড়েন। শফিক শহরে বড় চাকরি পায়, ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মাসে মাসে টাকা পাঠালেও মায়ের কণ্ঠস্বর দিনে দিনে যেন নিঃশব্দ হতে থাকে। একদিন খবর এলো — “মা নেই।” গ্রামে ফিরে শফিক প্রথমবার নিজের ঘরে সেই পুরনো চাদরটা দেখে স্তব্ধ হয়ে গেল। ধুলো-মলিন চাদরটার ভাঁজে এখনো যেন লুকিয়ে আছে মায়ের গন্ধ। চাদরটা গায়ে জড়িয়ে শফিক চুপচাপ বসে থাকে। তার হৃদয়ে একটাই অনুভব— ভালোবাসা কখনো পুরনো হয় না। শুধু আমরা হয়ে যাই। #jonosathi #muhammad_naim
    Love
    Like
    9
    ·104 Views ·0 Reviews
  • রফিক একজন সাধারণ গার্মেন্টস কর্মী। প্রতিদিন সকালে ছেঁড়া জুতা পায়ে বাস ধরে কারখানায় যায়। তিন সন্তান, এক স্ত্রী — সংসার চলে ঠিক যেন রশির টানাটানি।

    তার বড় ছেলে মেহেদী বরাবরই ভালো ছাত্র। কিন্তু ইন্টার পাশ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি জোগাড় করতে পারেনি। একদিন সে বলল,
    “আব্বা, আর পড়া লাগবে না। একটা দোকানে চাকরি পাইছি।”
    রফিক চুপচাপ শুনলো, কিছু বলল না।

    সেদিন রাত ২টায়, ছেলে ঘুমিয়ে গেলে রফিক স্ত্রীর পাশে বসে বলল,
    “আমি কাল জুতাটাও বিক্রি করবো। মেহেদীর ফরম ফিলাপ করতে হবে।”
    স্ত্রী চমকে উঠে, “ছেঁড়া জুতা কে কিনবে?”
    রফিক মুচকি হেসে বলল, “পুরান মাল নিচ্ছে এমন এক লোক পেয়েছি... দাম যা পায় দিবো।”

    পরদিন রফিক খালি পায়ে কারখানায় গেল। পকেটে মাত্র ১২০০ টাকা — ছেলের স্বপ্নের দাম।

    মেহেদী কিছুই জানত না। তার ফরম ফিলাপ হয়ে গেল। সে ভর্তি হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

    বছরখানেক পর সে জানলো পুরো কাহিনী। বাবার সেই ছেঁড়া জুতার গল্প শুনে তার চোখে পানি চলে আসে।

    এরপর?
    আজ মেহেদী একজন বিসিএস ক্যাডার। তার ঘরে এখনও সেই ছেঁড়া জুতার বাক্স রাখা — বাবার আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে।
    রফিক একজন সাধারণ গার্মেন্টস কর্মী। প্রতিদিন সকালে ছেঁড়া জুতা পায়ে বাস ধরে কারখানায় যায়। তিন সন্তান, এক স্ত্রী — সংসার চলে ঠিক যেন রশির টানাটানি। তার বড় ছেলে মেহেদী বরাবরই ভালো ছাত্র। কিন্তু ইন্টার পাশ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি জোগাড় করতে পারেনি। একদিন সে বলল, “আব্বা, আর পড়া লাগবে না। একটা দোকানে চাকরি পাইছি।” রফিক চুপচাপ শুনলো, কিছু বলল না। সেদিন রাত ২টায়, ছেলে ঘুমিয়ে গেলে রফিক স্ত্রীর পাশে বসে বলল, “আমি কাল জুতাটাও বিক্রি করবো। মেহেদীর ফরম ফিলাপ করতে হবে।” স্ত্রী চমকে উঠে, “ছেঁড়া জুতা কে কিনবে?” রফিক মুচকি হেসে বলল, “পুরান মাল নিচ্ছে এমন এক লোক পেয়েছি... দাম যা পায় দিবো।” পরদিন রফিক খালি পায়ে কারখানায় গেল। পকেটে মাত্র ১২০০ টাকা — ছেলের স্বপ্নের দাম। মেহেদী কিছুই জানত না। তার ফরম ফিলাপ হয়ে গেল। সে ভর্তি হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বছরখানেক পর সে জানলো পুরো কাহিনী। বাবার সেই ছেঁড়া জুতার গল্প শুনে তার চোখে পানি চলে আসে। এরপর? আজ মেহেদী একজন বিসিএস ক্যাডার। তার ঘরে এখনও সেই ছেঁড়া জুতার বাক্স রাখা — বাবার আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে।
    Love
    Angry
    4
    ·66 Views ·0 Reviews
  • কল্পনা ফুরিয়ে গেলেই গল্প শেষ!
    #foryou #trending #viral #fry #trend #jonosathi Jono Sathi
    কল্পনা ফুরিয়ে গেলেই গল্প শেষ!🙂 #foryou #trending #viral #fry #trend #jonosathi [Jonosathi]
    Love
    Haha
    Sad
    Like
    Angry
    11
    ·91 Views ·0 Reviews
  • আল্লাহ আমাদের থেকে কী চান? আদম (আঃ) ও ইবলিসের গল্প থেকে জীবনের শিক্ষা
    আচ্ছা, আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি যে আল্লাহ আমাদের কাছে কী চান? কি আসলেই আল্লাহ চান আমরা সবাই পুরোপুরি দ্বীন পালন করি? একশত শতাংশ সমস্ত ফরজ এবং ওয়াজিব পালন করি এবং কখনো হারাম কাজ করবো না? কি আল্লাহ চাইতেন আমাদেরকে একদম নিখুঁত বানাতে? তিনি কি পারতেন না? আল্লাহ কি পারফেকশনিজমের পেছনে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু দেখেন? (আসলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা-ই ভালো জানেন তিনি আসলে আমাদের থেকে কী প্রত্যাশা করেন। আমি যা বলছি, সেটা আপনাদের বুঝতে সাহায্য করার জন্য।)
    আসুন, মানব সৃষ্টির সূচনা থেকে শুরু করি। তখন, মালাইকাগণ আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন, তারা সবসময় আল্লাহর ইবাদত করে চলছিলেন। আল্লাহ জ্বীন জাতিকেও সৃষ্টি করেছিলেন, যার একজন সদস্য ইবলিসও ছিল, এবং সে দীর্ঘ বহু বছর ধরে আল্লাহর ইবাদত করছিল। তো, একসময় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা মানুষের সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি মালাইকাগণের সাথে আলোচনা করেন, এবং মালাইকাগণ বলেন, "হে আল্লাহ, আমাদের তো সবকিছুই আছে, কিন্তু মানুষ তো মাটি থেকে তৈরি, তারা তো আর সঠিকভাবে ইবাদত করবে না, পৃথিবীতে অশান্তি করবে, রক্তপাত করবে।" আল্লাহর উত্তরে তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই আমি যা জানি, তোমরা তা জানো না।”

    তাহলে, আসুন দেখি আদম (আঃ) কেন এমন গুরুত্বপূর্ণ। আদমের এমন কোন বিশেষ গুণ ছিলো, যা অন্যদের মধ্যে ছিল না? কেন আল্লাহ আদমকে এত সম্মান দিয়েছেন?

    আল্লাহ যখন আদমকে সৃষ্টি করলেন, তখন সব মালাইকা এবং ইবলিসকে আদমকে সিজদাহ করতে নির্দেশ দেন। মালাইকাগণ এই নির্দেশ পালন করলেও, ইবলিস সিজদা করতে অস্বীকার করে। কারণ সে ভাবতো, “আদম তো মাটি থেকে তৈরি, আর আমি তো আগুন থেকে সৃষ্টি, মাটির তৈরি কাউকে সিজদা করে সম্মান দিতে কি ঠিক হবে?”

    আল্লাহ যখন ইবলিসকে প্রশ্ন করেন কেন সে আদমকে সিজদা করতে অস্বীকার করেছে, ইবলিস তখন আল্লাহর আদেশ অমান্য করে যুক্তি প্রদর্শন করে এবং তার সিদ্ধান্তে অবিচল থাকে।

    এখন আসুন দেখি আদম (আঃ) কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

    see more: https://prowithjubaer.blogspot.com/2025/04/allah-amader-kachhe-ki-chan-adam-ebong-iblis-theke-shikkha.html

    আল্লাহ আমাদের থেকে কী চান? আদম (আঃ) ও ইবলিসের গল্প থেকে জীবনের শিক্ষা আচ্ছা, আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি যে আল্লাহ আমাদের কাছে কী চান? কি আসলেই আল্লাহ চান আমরা সবাই পুরোপুরি দ্বীন পালন করি? একশত শতাংশ সমস্ত ফরজ এবং ওয়াজিব পালন করি এবং কখনো হারাম কাজ করবো না? কি আল্লাহ চাইতেন আমাদেরকে একদম নিখুঁত বানাতে? তিনি কি পারতেন না? আল্লাহ কি পারফেকশনিজমের পেছনে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু দেখেন? (আসলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা-ই ভালো জানেন তিনি আসলে আমাদের থেকে কী প্রত্যাশা করেন। আমি যা বলছি, সেটা আপনাদের বুঝতে সাহায্য করার জন্য।) আসুন, মানব সৃষ্টির সূচনা থেকে শুরু করি। তখন, মালাইকাগণ আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন, তারা সবসময় আল্লাহর ইবাদত করে চলছিলেন। আল্লাহ জ্বীন জাতিকেও সৃষ্টি করেছিলেন, যার একজন সদস্য ইবলিসও ছিল, এবং সে দীর্ঘ বহু বছর ধরে আল্লাহর ইবাদত করছিল। তো, একসময় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা মানুষের সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি মালাইকাগণের সাথে আলোচনা করেন, এবং মালাইকাগণ বলেন, "হে আল্লাহ, আমাদের তো সবকিছুই আছে, কিন্তু মানুষ তো মাটি থেকে তৈরি, তারা তো আর সঠিকভাবে ইবাদত করবে না, পৃথিবীতে অশান্তি করবে, রক্তপাত করবে।" আল্লাহর উত্তরে তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই আমি যা জানি, তোমরা তা জানো না।” তাহলে, আসুন দেখি আদম (আঃ) কেন এমন গুরুত্বপূর্ণ। আদমের এমন কোন বিশেষ গুণ ছিলো, যা অন্যদের মধ্যে ছিল না? কেন আল্লাহ আদমকে এত সম্মান দিয়েছেন? আল্লাহ যখন আদমকে সৃষ্টি করলেন, তখন সব মালাইকা এবং ইবলিসকে আদমকে সিজদাহ করতে নির্দেশ দেন। মালাইকাগণ এই নির্দেশ পালন করলেও, ইবলিস সিজদা করতে অস্বীকার করে। কারণ সে ভাবতো, “আদম তো মাটি থেকে তৈরি, আর আমি তো আগুন থেকে সৃষ্টি, মাটির তৈরি কাউকে সিজদা করে সম্মান দিতে কি ঠিক হবে?” আল্লাহ যখন ইবলিসকে প্রশ্ন করেন কেন সে আদমকে সিজদা করতে অস্বীকার করেছে, ইবলিস তখন আল্লাহর আদেশ অমান্য করে যুক্তি প্রদর্শন করে এবং তার সিদ্ধান্তে অবিচল থাকে। এখন আসুন দেখি আদম (আঃ) কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। see more: https://prowithjubaer.blogspot.com/2025/04/allah-amader-kachhe-ki-chan-adam-ebong-iblis-theke-shikkha.html
    Love
    5
    ·66 Views ·0 Reviews
More Results