• ‘প্লিজ! সব বিষয়ে কথা বলবেন না’ — শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে রনি

    গণ অভ্যুত্থানে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে অনুরোধ জানিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ! প্লিজ! সব বিষয়ে কথা বলবেন না! অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে—আপনি এখনো অনুমান করতে পারছেন না যে, আপনি নিজে এবং আপনার স্নেহধন্য সালমান আনিসুল গং এবং এস আলম গং দেশের কী সর্বনাশ করেছেন!’

    সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে গোলাম মাওলা রনি এ কথা লেখেন।

    তিনি আরো লিখেছেন, ‘দ্বিতীয়ত, আপনি হয়তো মনে করছেন—ড. ইউনুস ব্যর্থ আর দেশবাসী ফুলের মালা নিয়ে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে! কিন্তু বাস্তবতা যে কতটা নির্মম, তা আপনার নিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব নুরুল হুদার গালে জুতার আঘাত এবং গলায় জুতার মালার ঘটনা থেকেই আপনার অনুমান করা উচিত।’

    তিনি যোগ করেন, ‘রাষ্ট্র জনাব হুদার পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশের সুশীল সমাজ রাষ্ট্রীয় সংহতির স্বার্থে নুরুল হুদার পক্ষে কথা বলছেন বটে, কিন্তু আমজনতা এই ঘটনায় খুশি।

    এবং আগামীতে এমন ঘটনা আরও কতটা নির্মম হতে পারে—তা যদি পরখ করতে চান তবে আপনার বেনজির বিপ্লবদেরকে একটু দেশে পাঠিয়ে দেখতে পারেন!’
    রনি বলেন, ‘আপনি যখন নুরুল হুদা সাহেবের পক্ষে বলেন, তখন রাষ্ট্র আর সুশীল সমাজের আর মুখ থাকে না। তারা তখন আমজনতার পক্ষে চলে যেতে বাধ্য হয়। আপনার দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আপনার কথার যে মূল্য রয়েছে, তা সঙ্গে সঙ্গে বুমেরাং হয়ে যায়, যখন আপনি আমজনতার উদ্দেশে কিছু বলার চেষ্টা করেন।’

    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    ‘প্লিজ! সব বিষয়ে কথা বলবেন না’ — শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে রনি গণ অভ্যুত্থানে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে অনুরোধ জানিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ! প্লিজ! সব বিষয়ে কথা বলবেন না! অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে—আপনি এখনো অনুমান করতে পারছেন না যে, আপনি নিজে এবং আপনার স্নেহধন্য সালমান আনিসুল গং এবং এস আলম গং দেশের কী সর্বনাশ করেছেন!’ সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে গোলাম মাওলা রনি এ কথা লেখেন। তিনি আরো লিখেছেন, ‘দ্বিতীয়ত, আপনি হয়তো মনে করছেন—ড. ইউনুস ব্যর্থ আর দেশবাসী ফুলের মালা নিয়ে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে! কিন্তু বাস্তবতা যে কতটা নির্মম, তা আপনার নিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব নুরুল হুদার গালে জুতার আঘাত এবং গলায় জুতার মালার ঘটনা থেকেই আপনার অনুমান করা উচিত।’ তিনি যোগ করেন, ‘রাষ্ট্র জনাব হুদার পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশের সুশীল সমাজ রাষ্ট্রীয় সংহতির স্বার্থে নুরুল হুদার পক্ষে কথা বলছেন বটে, কিন্তু আমজনতা এই ঘটনায় খুশি। এবং আগামীতে এমন ঘটনা আরও কতটা নির্মম হতে পারে—তা যদি পরখ করতে চান তবে আপনার বেনজির বিপ্লবদেরকে একটু দেশে পাঠিয়ে দেখতে পারেন!’ রনি বলেন, ‘আপনি যখন নুরুল হুদা সাহেবের পক্ষে বলেন, তখন রাষ্ট্র আর সুশীল সমাজের আর মুখ থাকে না। তারা তখন আমজনতার পক্ষে চলে যেতে বাধ্য হয়। আপনার দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আপনার কথার যে মূল্য রয়েছে, তা সঙ্গে সঙ্গে বুমেরাং হয়ে যায়, যখন আপনি আমজনতার উদ্দেশে কিছু বলার চেষ্টা করেন।’ #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    JonoSathi React
    Like
    Love
    7
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ


  • গাজায় অতর্কিত হামলায় ৭ ইসরায়েলি সেনা নিহত

    ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীর অতর্কিত হামলায় গাজা উপত্যকার দক্ষিণে খান ইউনিসে সাতজন ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।

    হামলায় একটি সামরিক যানকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়, যার ফলে এতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে পাঠানো একটি উদ্ধারকারী দলও দ্বিতীয় দফা অতর্কিত হামলার শিকার হয়।

    স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গাজার উত্তরে জাবালিয়ায় সাত ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার দাবি করেছে আল-কাসসাম ব্রিগেড। অন্যদিকে, আল-কুদস ব্রিগেড মধ্য খান ইউনিসে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে একটি ইসরায়েলি সামরিক যান ধ্বংস করার ঘোষণা দিয়েছে।

    সংবাদমাধ্যম প্যালেস্টিন ক্রনিকল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা দক্ষিণ খান ইউনিসে একটি বাড়ির ভিতরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে জটিল অভিযান চালিয়েছে। এসময় তারা একটি "ইয়াসিন-১০৫" রকেট এবং একটি আরপিজি নিক্ষেপ করে, যার ফলে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।

    মঙ্গলবার রাত নাগাদ পরিস্থিতি ছিল বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। ইসরায়েলি বাহিনী এখনও হামলার স্থানের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো মধ্য খান ইউনিসে পাঁচটি বিমান হামলা চালিয়েছে। এ বোমাবর্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিল বিস্ফোরক ধ্বংসযজ্ঞ, ভারী হেলিকপ্টার থেকে গুলি এবং কামানের গোলাবর্ষণ। ফলে বহু ফিলিস্তিনি হাতহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি আক্রমণে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ৭৭ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৪৮ জন ফিলিস্তিনি।

    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    গাজায় অতর্কিত হামলায় ৭ ইসরায়েলি সেনা নিহত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীর অতর্কিত হামলায় গাজা উপত্যকার দক্ষিণে খান ইউনিসে সাতজন ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর। হামলায় একটি সামরিক যানকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়, যার ফলে এতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে পাঠানো একটি উদ্ধারকারী দলও দ্বিতীয় দফা অতর্কিত হামলার শিকার হয়। স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গাজার উত্তরে জাবালিয়ায় সাত ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার দাবি করেছে আল-কাসসাম ব্রিগেড। অন্যদিকে, আল-কুদস ব্রিগেড মধ্য খান ইউনিসে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে একটি ইসরায়েলি সামরিক যান ধ্বংস করার ঘোষণা দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম প্যালেস্টিন ক্রনিকল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা দক্ষিণ খান ইউনিসে একটি বাড়ির ভিতরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে জটিল অভিযান চালিয়েছে। এসময় তারা একটি "ইয়াসিন-১০৫" রকেট এবং একটি আরপিজি নিক্ষেপ করে, যার ফলে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাত নাগাদ পরিস্থিতি ছিল বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। ইসরায়েলি বাহিনী এখনও হামলার স্থানের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো মধ্য খান ইউনিসে পাঁচটি বিমান হামলা চালিয়েছে। এ বোমাবর্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিল বিস্ফোরক ধ্বংসযজ্ঞ, ভারী হেলিকপ্টার থেকে গুলি এবং কামানের গোলাবর্ষণ। ফলে বহু ফিলিস্তিনি হাতহত হয়েছে বলে জানা গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি আক্রমণে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ৭৭ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৪৮ জন ফিলিস্তিনি। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    Love
    JonoSathi React
    5
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরানিদের মাঝে হতাশা


    ইসরায়েল ও ইরানের টানা দুই সপ্তাহের পাল্টাপাল্টি বিমান হামলার পর ঘোষণা আসে যুদ্ধবিরতির। মঙ্গলবার ভোরে শুরু হওয়া এই ‘ধাপে ধাপে যুদ্ধবিরতি’ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘোষণায় জানান, এটি একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য। তবে এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরানের বিভিন্ন শহরে সাধারণ মানুষের মাঝে এই বিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে গভীর সংশয়, আতঙ্ক এবং হতাশা বিরাজ করছে।

    ‌বোমার আতঙ্ক থেকে ফিরে

    তেহরানের বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী সাংবাদিক সামানেহ বলেন, “শেষ রাতের (সোমবার রাতের) বোমাবর্ষণ ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর। আমি ভেবেছিলাম, হয়তো আমার প্রিয়জনদের আর কখনো দেখতে পাব না।”

    তিনি জানান, যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তি পেলেও, তা স্থায়ী হবে—এ বিশ্বাস তাঁর নেই। “আমি মনে করেছিলাম ট্রাম্প আমাদের সাথে মনস্তাত্ত্বিক খেলা খেলছেন… ইসরায়েল আর ইরান কীভাবে এত সহজে একমত হলো—তা বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছিল,” বলেন তিনি।

    তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাগচির ওমান থেকে পাঠানো একটি আনুষ্ঠানিক বার্তার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করার পর কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছেন সামানেহ।

    তেহরানের পাশের শহর কারাজে বসবাসকারী ইতিহাস শিক্ষক রাহা বলেন, “এটা কোনো শান্তি নয়, এটা কেবল একটি বিরতি। যারা একদিকে আমাদের সরকার বদলের ডাক দেয়, আবার অন্যদিকে শান্তির কথা বলে—তাদের বিশ্বাস করব কীভাবে?”

    তিনি আরও বলেন, “আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আমেরিকা ও ইসরায়েল। আমাদের মাটিতে বোমা বর্ষণ করে আবার নারীর স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলছে!” “ইসরায়েল আর আমেরিকার হাতে আমাদের পরমাণু স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। কোটি কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হলো—যে অর্থ দিয়ে আমরা দেশ পুনর্গঠন করতে পারতাম।”

    ‌পরমাণু কর্মসূচি ও ক্ষোভ

    আহওয়াজের ৪২ বছর বয়সী প্রকৌশলী হাদি বলেন, “আমরা বারবার বলেছি, আমরা পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চাই না। অথচ ট্রাম্প ২০১৫ সালের চুক্তি থেকে সরে গিয়ে আমাদের যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে।”

    তিনি বলেন, “আমরা অনেক শহীদ হারিয়েছি। এখন সময় এক হওয়ার। আশা করি সরকারও কিছু বিষয়ে নমনীয় হবে—যেমন হিজাব।”

    ‌‘আস্থার জায়গা নেই’

    ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইয়াজদের ২৮ বছর বয়সী নার্স মোহাম্মদ বলেন, “আমি খুশি যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে, কিন্তু বিশ্বাস করতে পারছি না এটা টিকবে।”

    তিনি আরও বলেন, “এই চুক্তির কোনো পক্ষের ওপর আমার বিশ্বাস নেই—না ইরান সরকার, না আমেরিকা, না ইসরায়েল। আমেরিকা এক রাতেই আমাদের কয়েক প্রজন্মের সম্পদ ধ্বংস করে দিল। ইসরায়েল আমাদের বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে।”

    তেহরানে মঙ্গলবারের আগে রাতে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হন। সেখানকার জনগণ যুদ্ধবিরতির খবরে সকাল শুরু করলেও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ও ভয়ের ছায়া এখনো রয়ে গেছে।

    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরানিদের মাঝে হতাশা ইসরায়েল ও ইরানের টানা দুই সপ্তাহের পাল্টাপাল্টি বিমান হামলার পর ঘোষণা আসে যুদ্ধবিরতির। মঙ্গলবার ভোরে শুরু হওয়া এই ‘ধাপে ধাপে যুদ্ধবিরতি’ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘোষণায় জানান, এটি একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য। তবে এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরানের বিভিন্ন শহরে সাধারণ মানুষের মাঝে এই বিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে গভীর সংশয়, আতঙ্ক এবং হতাশা বিরাজ করছে। ‌বোমার আতঙ্ক থেকে ফিরে তেহরানের বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী সাংবাদিক সামানেহ বলেন, “শেষ রাতের (সোমবার রাতের) বোমাবর্ষণ ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর। আমি ভেবেছিলাম, হয়তো আমার প্রিয়জনদের আর কখনো দেখতে পাব না।” তিনি জানান, যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তি পেলেও, তা স্থায়ী হবে—এ বিশ্বাস তাঁর নেই। “আমি মনে করেছিলাম ট্রাম্প আমাদের সাথে মনস্তাত্ত্বিক খেলা খেলছেন… ইসরায়েল আর ইরান কীভাবে এত সহজে একমত হলো—তা বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছিল,” বলেন তিনি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাগচির ওমান থেকে পাঠানো একটি আনুষ্ঠানিক বার্তার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করার পর কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছেন সামানেহ। তেহরানের পাশের শহর কারাজে বসবাসকারী ইতিহাস শিক্ষক রাহা বলেন, “এটা কোনো শান্তি নয়, এটা কেবল একটি বিরতি। যারা একদিকে আমাদের সরকার বদলের ডাক দেয়, আবার অন্যদিকে শান্তির কথা বলে—তাদের বিশ্বাস করব কীভাবে?” তিনি আরও বলেন, “আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আমেরিকা ও ইসরায়েল। আমাদের মাটিতে বোমা বর্ষণ করে আবার নারীর স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলছে!” “ইসরায়েল আর আমেরিকার হাতে আমাদের পরমাণু স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। কোটি কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হলো—যে অর্থ দিয়ে আমরা দেশ পুনর্গঠন করতে পারতাম।” ‌পরমাণু কর্মসূচি ও ক্ষোভ আহওয়াজের ৪২ বছর বয়সী প্রকৌশলী হাদি বলেন, “আমরা বারবার বলেছি, আমরা পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চাই না। অথচ ট্রাম্প ২০১৫ সালের চুক্তি থেকে সরে গিয়ে আমাদের যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “আমরা অনেক শহীদ হারিয়েছি। এখন সময় এক হওয়ার। আশা করি সরকারও কিছু বিষয়ে নমনীয় হবে—যেমন হিজাব।” ‌‘আস্থার জায়গা নেই’ ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইয়াজদের ২৮ বছর বয়সী নার্স মোহাম্মদ বলেন, “আমি খুশি যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে, কিন্তু বিশ্বাস করতে পারছি না এটা টিকবে।” তিনি আরও বলেন, “এই চুক্তির কোনো পক্ষের ওপর আমার বিশ্বাস নেই—না ইরান সরকার, না আমেরিকা, না ইসরায়েল। আমেরিকা এক রাতেই আমাদের কয়েক প্রজন্মের সম্পদ ধ্বংস করে দিল। ইসরায়েল আমাদের বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে।” তেহরানে মঙ্গলবারের আগে রাতে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হন। সেখানকার জনগণ যুদ্ধবিরতির খবরে সকাল শুরু করলেও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ও ভয়ের ছায়া এখনো রয়ে গেছে। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    JonoSathi React
    Love
    3
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • স্টোকসের ইংল্যান্ড যেখানে অনন্য, ভারত যেখানে পাঁচ সেঞ্চুরিতে ‘প্রথম’বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড রান তাড়া করে জয়ের পাশাপাশি রেকর্ড গড়তেও জানে। কাল হেডিংলিতে প্রথম টেস্টের শেষ দিনে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৩৭১ রান তাড়া করে জিতেছে দলটি। অন্যদিকে এক টেস্টে ৫ সেঞ্চুরির পরও হেরে গেছে ভারত। এমন দুর্দান্ত এক টেস্ট শেষে নতুন কী রেকর্ড, কীর্তি হলো, সেটি দেখে নেওয়া যাক—
    স্টোকসের ইংল্যান্ড যেখানে অনন্য, ভারত যেখানে পাঁচ সেঞ্চুরিতে ‘প্রথম’বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড রান তাড়া করে জয়ের পাশাপাশি রেকর্ড গড়তেও জানে। কাল হেডিংলিতে প্রথম টেস্টের শেষ দিনে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৩৭১ রান তাড়া করে জিতেছে দলটি। অন্যদিকে এক টেস্টে ৫ সেঞ্চুরির পরও হেরে গেছে ভারত। এমন দুর্দান্ত এক টেস্ট শেষে নতুন কী রেকর্ড, কীর্তি হলো, সেটি দেখে নেওয়া যাক—
    JonoSathi React
    Like
    Love
    5
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে যা ঘটেছিল


    কাতারের মার্কিন ঘাঁটি আল উদেইদে হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আকস্মিকভাবে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। এর আগে হোয়াইট হাউসে ব্যস্ততা দেখা যায়; শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠকও হয়। এই পটভূমিতেই সিএনএনের এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে সেই সিদ্ধান্তের নেপথ্য কাহিনি।

    হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধবিরতির আগে ট্রাম্প সরাসরি কথা বলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে। একই সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যোগাযোগে ছিলেন। সেখানে মধ্যস্থতার ভূমিকা রাখে কাতার। ট্রাম্প একপর্যায়ে কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানিকে ফোন দেন।

    মার্কিন বাহিনী ইরানে হামলার ৪৮ ঘণ্টা পর তেহরান কাতারের ঘাঁটিতে পাল্টা আঘাত হানে। এরপরই ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে জানান, ইরান ও ইসরায়েল একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, যা ১২ দিনের সংঘাতের ইতি টানবে। তবে যুদ্ধবিরতির পরও পাল্টাপাল্টি অভিযোগে অস্থিরতা বজায় থাকে।

    মার্কিন প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা জানান, ইরান আক্রমণ বন্ধের শর্তে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। ট্রাম্প কাতারের আমিরকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সম্মত করাতে পেরেছে, এখন ইরানকে রাজি করাতে কাতারের সহায়তা প্রয়োজন।

    একটি সূত্র জানায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানির কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আলোচনার পর ইরান সম্মতি দেয়। এরপর ইরান ও কাতারের মধ্যে একাধিক ফোনালাপ হয়, যা যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করতে সহায়তা করে।

    ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, মার্কিন আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার পর শত্রু পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযান শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চলেছে। তিনি আগে বলেছিলেন, ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে ইরান প্রতিক্রিয়া দেখাবে না।

    ট্রাম্প জানান, ইরান ও ইসরায়েল উভয়ই তার সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতির কথা জানায়। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লেখেন, ‘দু’পক্ষ প্রায় একই সময়ে এসে জানায় তারা শান্তি চায়। আমি জানতাম, এটাই সঠিক সময়। মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বই এর আসল বিজয়ী।’

    হোয়াইট হাউসের মতে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলাই যুদ্ধবিরতির পথ খুলে দেয়।

    কূটনৈতিক সূত্র সিএনএনকে জানায়, ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলা তেহরানকে আলোচনায় ফিরিয়ে আনে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সংলাপের সম্ভাবনা তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছিল যুদ্ধকালেও ইরানকে আলোচনায় ফিরিয়ে আনতে। দুই পক্ষের মধ্যে বারবার বার্তা আদান-প্রদান হয়। এমনকি তুরস্কে ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের বৈঠকের চেষ্টাও হয়েছিল, যদিও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে যা ঘটেছিল কাতারের মার্কিন ঘাঁটি আল উদেইদে হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আকস্মিকভাবে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। এর আগে হোয়াইট হাউসে ব্যস্ততা দেখা যায়; শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠকও হয়। এই পটভূমিতেই সিএনএনের এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে সেই সিদ্ধান্তের নেপথ্য কাহিনি। হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধবিরতির আগে ট্রাম্প সরাসরি কথা বলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে। একই সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যোগাযোগে ছিলেন। সেখানে মধ্যস্থতার ভূমিকা রাখে কাতার। ট্রাম্প একপর্যায়ে কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানিকে ফোন দেন। মার্কিন বাহিনী ইরানে হামলার ৪৮ ঘণ্টা পর তেহরান কাতারের ঘাঁটিতে পাল্টা আঘাত হানে। এরপরই ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে জানান, ইরান ও ইসরায়েল একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, যা ১২ দিনের সংঘাতের ইতি টানবে। তবে যুদ্ধবিরতির পরও পাল্টাপাল্টি অভিযোগে অস্থিরতা বজায় থাকে। মার্কিন প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা জানান, ইরান আক্রমণ বন্ধের শর্তে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। ট্রাম্প কাতারের আমিরকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সম্মত করাতে পেরেছে, এখন ইরানকে রাজি করাতে কাতারের সহায়তা প্রয়োজন। একটি সূত্র জানায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানির কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আলোচনার পর ইরান সম্মতি দেয়। এরপর ইরান ও কাতারের মধ্যে একাধিক ফোনালাপ হয়, যা যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করতে সহায়তা করে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, মার্কিন আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার পর শত্রু পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযান শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চলেছে। তিনি আগে বলেছিলেন, ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে ইরান প্রতিক্রিয়া দেখাবে না। ট্রাম্প জানান, ইরান ও ইসরায়েল উভয়ই তার সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতির কথা জানায়। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লেখেন, ‘দু’পক্ষ প্রায় একই সময়ে এসে জানায় তারা শান্তি চায়। আমি জানতাম, এটাই সঠিক সময়। মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বই এর আসল বিজয়ী।’ হোয়াইট হাউসের মতে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলাই যুদ্ধবিরতির পথ খুলে দেয়। কূটনৈতিক সূত্র সিএনএনকে জানায়, ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলা তেহরানকে আলোচনায় ফিরিয়ে আনে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সংলাপের সম্ভাবনা তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছিল যুদ্ধকালেও ইরানকে আলোচনায় ফিরিয়ে আনতে। দুই পক্ষের মধ্যে বারবার বার্তা আদান-প্রদান হয়। এমনকি তুরস্কে ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের বৈঠকের চেষ্টাও হয়েছিল, যদিও তা বাস্তবায়ন হয়নি। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    JonoSathi React
    1
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
More Results
Jono Sathi – Connecting Bangladesh https://jonosathi.com