

-
এক গ্রামে ছিল একটি ছোট ছেলে, তার নাম হোসেন। বয়স মাত্র সাত, কিন্তু ঈমানে ছিল অনেক বড়। হোসেনের বাবা একজন কৃষক ছিলেন, কিন্তু তাদের খুব কষ্টে দিন চলত।
একদিন গ্রামের মসজিদের ইমাম সাহেব ঘোষণা দিলেন:
> “আমাদের মসজিদের ছাদ ফুঁটে গেছে, বৃষ্টি এলেই ভিজে যায়। যার যা আছে, আল্লাহর রাস্তায় দান করুন।”
হোসেনের মনে গভীর দাগ কাটল। কিন্তু তার কাছে টাকা ছিল না। বাড়িতে গিয়ে সে অনেক ভাবল। এরপর নিজের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস — এক থলে খেজুর, যা সে অনেকদিন ধরে জমিয়ে রেখেছিল — নিয়ে মসজিদে গেল।
সে ইমাম সাহেবকে বলল, “আমার কাছে টাকা নেই, কিন্তু এই খেজুরগুলো আমি আল্লাহর জন্য দান করতে চাই।”
ইমাম সাহেব চোখ ভেজা হাসি নিয়ে খেজুরগুলো নিয়ে নিলেন।
রাতের বেলা হোসেন স্বপ্ন দেখল — সে জান্নাতে একটি বিশাল খেজুর গাছের নিচে খেলছে। গাছটি ছিল সোনার পাতায় ভরা, আর তার গায়ে লেখা:
"এই গাছ হোসেনের, কারণ সে দান করেছিল আল্লাহর রাস্তায়"।
পরদিন সকালেই গ্রামের এক ধনী লোক মসজিদে এসে বললেন,
“গত রাতে আমি স্বপ্নে দেখলাম, এক ছোট ছেলে খেজুর দিচ্ছে, আর ফেরেশতারা তা তুলে নিচ্ছে। আমি মসজিদের সব কাজের খরচ দিতে চাই!”
এই ঘটনা জানার পর সবাই অবাক হয়ে হোসেনকে দেখল। সবাই বুঝে গেল — আল্লাহ যার দানকে কবুল করেন, তার প্রতিদান অনেক গুণ বেশি হয়।
---
🧠 গল্প থেকে শিক্ষা:
ছোট দানও আল্লাহর কাছে অনেক বড় হতে পারে।
নিয়ত যদি খাঁটি হয়, আল্লাহ কখনো তা বিফল হতে দেন না।
শিশুদেরও ইসলামি আদর্শে বড় হওয়ার শিক্ষা দেওয়া দরকার।এক গ্রামে ছিল একটি ছোট ছেলে, তার নাম হোসেন। বয়স মাত্র সাত, কিন্তু ঈমানে ছিল অনেক বড়। হোসেনের বাবা একজন কৃষক ছিলেন, কিন্তু তাদের খুব কষ্টে দিন চলত। একদিন গ্রামের মসজিদের ইমাম সাহেব ঘোষণা দিলেন: > “আমাদের মসজিদের ছাদ ফুঁটে গেছে, বৃষ্টি এলেই ভিজে যায়। যার যা আছে, আল্লাহর রাস্তায় দান করুন।” হোসেনের মনে গভীর দাগ কাটল। কিন্তু তার কাছে টাকা ছিল না। বাড়িতে গিয়ে সে অনেক ভাবল। এরপর নিজের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস — এক থলে খেজুর, যা সে অনেকদিন ধরে জমিয়ে রেখেছিল — নিয়ে মসজিদে গেল। সে ইমাম সাহেবকে বলল, “আমার কাছে টাকা নেই, কিন্তু এই খেজুরগুলো আমি আল্লাহর জন্য দান করতে চাই।” ইমাম সাহেব চোখ ভেজা হাসি নিয়ে খেজুরগুলো নিয়ে নিলেন। রাতের বেলা হোসেন স্বপ্ন দেখল — সে জান্নাতে একটি বিশাল খেজুর গাছের নিচে খেলছে। গাছটি ছিল সোনার পাতায় ভরা, আর তার গায়ে লেখা: "এই গাছ হোসেনের, কারণ সে দান করেছিল আল্লাহর রাস্তায়"। পরদিন সকালেই গ্রামের এক ধনী লোক মসজিদে এসে বললেন, “গত রাতে আমি স্বপ্নে দেখলাম, এক ছোট ছেলে খেজুর দিচ্ছে, আর ফেরেশতারা তা তুলে নিচ্ছে। আমি মসজিদের সব কাজের খরচ দিতে চাই!” এই ঘটনা জানার পর সবাই অবাক হয়ে হোসেনকে দেখল। সবাই বুঝে গেল — আল্লাহ যার দানকে কবুল করেন, তার প্রতিদান অনেক গুণ বেশি হয়। --- 🧠 গল্প থেকে শিক্ষা: ছোট দানও আল্লাহর কাছে অনেক বড় হতে পারে। নিয়ত যদি খাঁটি হয়, আল্লাহ কখনো তা বিফল হতে দেন না। শিশুদেরও ইসলামি আদর্শে বড় হওয়ার শিক্ষা দেওয়া দরকার। -
গল্পের নাম: "অসহায়ের দোয়া"
গল্প:
রায়হান ছিল এক বুদ্ধিমান ছাত্র। স্কুলে ভালো রেজাল্ট করলেও সে গরিব ছিল। তার পায়ে জুতো ছিল না, আর জামাটাও ছিল পুরনো। অনেকে তাকে উপহাস করত, কিন্তু সে কখনো কাউকে বদদোয়া দিত না। সবসময় বলত,
— "আল্লাহ সব দেখেন। আমি শুধু তাঁর কাছেই চাই।"
একদিন রায়হান ক্লাসে টিফিন না খেয়ে বসে ছিল। তার এক সহপাঠী হাসতে হাসতে বলল,
— "তোর তো টিফিন কেনার সামর্থ্যই নেই!"
রায়হান কষ্ট পেল, কিন্তু কিছু বলল না। শুধু মনে মনে বলল,
— “হে আল্লাহ, আমাকে এমন অবস্থায় পৌঁছে দাও, যেন কেউ আর আমাকে হেয় করতে না পারে।”
বছর পেরিয়ে গেল। রায়হান পরিশ্রম করে লেখাপড়া চালিয়ে গেল। পরে সে বড় এক ডাক্তার হলো। একদিন সেই সহপাঠী অসুস্থ হয়ে রায়হানের ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে এলো। লজ্জায় মাথা নিচু করে বলল,
— “তুই রায়হান? আমি তোকে চিনতেই পারিনি…”
রায়হান হেসে বলল,
— “হ্যাঁ ভাই, আমি তোকে ভুলিনি। তবে আমি তোকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আল্লাহই আমাকে মর্যাদা দিয়েছেন।”
গল্পের শিক্ষণীয় বিষয়:
> "আল্লাহ নিপীড়িতের দোয়া কখনো ফেরান না।"
— হাদিস (বুখারি)
“মজলুমের দোয়া এবং অসহায়ের কান্না আকাশ চিরে সোজা আল্লাহর দরবারে পৌঁছে যায়।”
#গল্পগল্পের নাম: "অসহায়ের দোয়া" গল্প: রায়হান ছিল এক বুদ্ধিমান ছাত্র। স্কুলে ভালো রেজাল্ট করলেও সে গরিব ছিল। তার পায়ে জুতো ছিল না, আর জামাটাও ছিল পুরনো। অনেকে তাকে উপহাস করত, কিন্তু সে কখনো কাউকে বদদোয়া দিত না। সবসময় বলত, — "আল্লাহ সব দেখেন। আমি শুধু তাঁর কাছেই চাই।" একদিন রায়হান ক্লাসে টিফিন না খেয়ে বসে ছিল। তার এক সহপাঠী হাসতে হাসতে বলল, — "তোর তো টিফিন কেনার সামর্থ্যই নেই!" রায়হান কষ্ট পেল, কিন্তু কিছু বলল না। শুধু মনে মনে বলল, — “হে আল্লাহ, আমাকে এমন অবস্থায় পৌঁছে দাও, যেন কেউ আর আমাকে হেয় করতে না পারে।” বছর পেরিয়ে গেল। রায়হান পরিশ্রম করে লেখাপড়া চালিয়ে গেল। পরে সে বড় এক ডাক্তার হলো। একদিন সেই সহপাঠী অসুস্থ হয়ে রায়হানের ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে এলো। লজ্জায় মাথা নিচু করে বলল, — “তুই রায়হান? আমি তোকে চিনতেই পারিনি…” রায়হান হেসে বলল, — “হ্যাঁ ভাই, আমি তোকে ভুলিনি। তবে আমি তোকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আল্লাহই আমাকে মর্যাদা দিয়েছেন।” গল্পের শিক্ষণীয় বিষয়: > "আল্লাহ নিপীড়িতের দোয়া কখনো ফেরান না।" — হাদিস (বুখারি) “মজলুমের দোয়া এবং অসহায়ের কান্না আকাশ চিরে সোজা আল্লাহর দরবারে পৌঁছে যায়।” #গল্প
আরও গল্প দেখো