আবেগকে সহজে নিয়ন্ত্রণ

আবেগ এমন একটা জিনিস, আবেগকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় আবার একই সাথে করাও যায় না। আপনি কি কোনো বিষয় নিয়ে অতি আবেগে পরে যাচ্ছেন, সেটা আগে চিন্তা করুন।
ধরে নিলাম, আপনি একটি ছেলে অথবা মেয়েকে পছন্দ করেন, ভালোবাসেন…তাঁর জন্য আপনার অনেক আবেগ।
এর ফলে আপনি সেই মানুষটির জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন, ফোন দেন, ফেসবুকে তাকে নিয়ে কষ্টের এবং স্বপ্নের স্ট্যাটাস দেন ইত্যাদি।
কিন্তু, বাস্তবিক অর্থে এগুলো শুধুই ধোঁয়া। যা এখন বাতাসে ভাসছে, ঝড়ো বাতাস আসলে উড়ে চলে যাবে, সেই সাথে মিশেও যাবে।
আচ্ছা আরেকটু ক্লিয়ার ভাবে বুঝাই। ধরুন, আপনার হাত অবশ হয়ে আছে। এই অবস্থায় আপনি না দেখে আগুনে হাত রাখলেন। আপনার হাত পু'ড়ে ছারখার হয়ে যাবে কিন্তু আপনি কিছু টেরই পাবেন না। হাত যদি অবশ না থাকত, তাহলে আপনি ব্যথা পেতেন এবং ঠিক সময়মতো হাত সরিয়ে ফেলতে পারতেন। আর এটা হয়ে থাকে অতিরিক্ত আবেগ বা সঠিক আবেগ থেকে বেশি পরিমাণ আবেগ প্রয়োগ করার ফলে ।
ঠিক সে রকমই আপনার মনে রাখা উচিত যে একজন আপনার আবেগের সুযোগ নিয়ে, আপনাকে অবশ রেখে আপনার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে কিন্তু আপনার কোনো ধরনের অনুভূতি হচ্ছে না..!
আপনি যখন কাউকে নিয়ে অতি আবেগে ব্যস্ত। তখন সে আপনাকে কাছে টেনে নিয়ে ক্রিকেট খেলার মতো খেলবে অর্থ্যাৎ কাছে টানবে আবার ছুঁড়ে ফেলে দিবে। যেভাবে ক্রিকেট খেলায় বল-টাকে কাছে এনে ছুড়ে ফেলা হয়৷ যার ফলে আপনার মন প্রতিনিয়ত ভাঙ্গবে।
কারো সামনে অতিরিক্ত আবেগ প্রকাশ করার অর্থ হলো অন্য একজন মানুষের কাছে নিজেকে ধ্বংস করে দেয়ার অ'স্ত্র দিয়ে দেয়া। মাত্রাতিরিক্ত আবেগের কারণে বিষণ্ণতা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন অনেকে। কিন্তু নিজেকে তিলে তিলে বিষণ্ণতার দিকে ঠেলে দেয়া সমাধান নয়। আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে জীবনকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনা সম্ভব। তাই জানতে হবে নিজের আবেগটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়।
আমি আবারও বলি, কোনো মানুষ আবেগের উর্ধ্বে নয়। আবেগ থাকা ভালো, কিন্তু বেশি মাত্রায় আবেগ থাকা এবং আবেগ প্রকাশ করা ভালো নয়। যেসব মানুষ বেশি আবেগপ্রবণ হন তারা জীবনে অনেক বেশি মাত্রায় কষ্ট ভোগ করে থাকেন। আবেগ প্রবণ মানুষ যে কাউকে বেশি মাত্রায় বিশ্বাস করে খুব সহজেই। তখন এই বিশ্বাস ভাঙার কষ্ট টা খুব বাজে প্রভাব ফেলবে আপনার স্বাস্থ্যের উপর। ❤️🩹
✍️ সাইন্টিস্ট মাহফুজ
#emotions

