Upgrade to Pro

আপনার অনুমতি নেই
জিলকদ মাসের ফজিলত ✅

জিলকদ (ذو القعدة) হিজরি বছরের একাদশ মাস। এটি ইসলামি বর্ষপঞ্জির চারটি পবিত্র মাসের একটি, যাকে "আশহুরুল হুরুম" (আদরণীয় ও সম্মানিত মাসসমূহ) বলা হয়। এই মাসটি আল্লাহর নিকট অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও সম্মানজনক।

কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন
"নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট মাসের সংখ্যা বারটি, যেদিন থেকে তিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন; এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত।" (সূরা আত-তাওবা, আয়াত ৩৬)

এই চারটি মাসের মধ্যে জিলকদ অন্যতম, বাকি তিনটি হলো— জিলহজ, মহররম ও রজব।

জিলকদ মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব:

১. যুদ্ধ নিষিদ্ধ মাস: ইসলামের আগমনের পূর্ব থেকেই এই মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ করা হারাম গণ্য হতো। ইসলাম এ ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দেয় এবং এই মাসে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখার গুরুত্ব আরোপ করে।

২. ইবাদতের উপযুক্ত সময়: এই মাসে নফল রোজা, দোআ, কুরআন তিলাওয়াত, ইস্তেগফার ও জিকিরে মশগুল থাকা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। বিশেষ করে দুনিয়াবি ব্যস্ততার মাঝেও আত্মশুদ্ধির উত্তম সময় এটি।

৩. হজের প্রস্তুতির মাস: যাঁরা হজ পালন করতে চান, তাঁদের জন্য জিলকদ মাসটি হজের প্রস্তুতি নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই মাসেই হজের সফর শুরু হয় এবং মানুষ মক্কা অভিমুখে যাত্রা করে।

৪. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল: হাদীসে এসেছে, রাসূল (সা.) অধিকাংশ ওমরা জিলকদ মাসেই আদায় করেছেন। তাঁর জীবদ্দশায় মোট চারটি ওমরা ছিল, যার সবগুলোই জিলকদ মাসে।

উপসংহার:

জিলকদ মাস মুসলিমদের জন্য একটি ফজিলতপূর্ণ ও শান্তির বার্তা বহনকারী সময়। এ মাসে গুনাহ থেকে বেঁচে থেকে নেক আমলে আত্মনিয়োগ করাই হোক আমাদের সকলের লক্ষ্য।
জিলকদ মাসের ফজিলত ✅ জিলকদ (ذو القعدة) হিজরি বছরের একাদশ মাস। এটি ইসলামি বর্ষপঞ্জির চারটি পবিত্র মাসের একটি, যাকে "আশহুরুল হুরুম" (আদরণীয় ও সম্মানিত মাসসমূহ) বলা হয়। এই মাসটি আল্লাহর নিকট অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও সম্মানজনক। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন "নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট মাসের সংখ্যা বারটি, যেদিন থেকে তিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন; এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত।" (সূরা আত-তাওবা, আয়াত ৩৬) এই চারটি মাসের মধ্যে জিলকদ অন্যতম, বাকি তিনটি হলো— জিলহজ, মহররম ও রজব। জিলকদ মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব: ১. যুদ্ধ নিষিদ্ধ মাস: ইসলামের আগমনের পূর্ব থেকেই এই মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ করা হারাম গণ্য হতো। ইসলাম এ ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দেয় এবং এই মাসে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখার গুরুত্ব আরোপ করে। ২. ইবাদতের উপযুক্ত সময়: এই মাসে নফল রোজা, দোআ, কুরআন তিলাওয়াত, ইস্তেগফার ও জিকিরে মশগুল থাকা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। বিশেষ করে দুনিয়াবি ব্যস্ততার মাঝেও আত্মশুদ্ধির উত্তম সময় এটি। ৩. হজের প্রস্তুতির মাস: যাঁরা হজ পালন করতে চান, তাঁদের জন্য জিলকদ মাসটি হজের প্রস্তুতি নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই মাসেই হজের সফর শুরু হয় এবং মানুষ মক্কা অভিমুখে যাত্রা করে। ৪. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল: হাদীসে এসেছে, রাসূল (সা.) অধিকাংশ ওমরা জিলকদ মাসেই আদায় করেছেন। তাঁর জীবদ্দশায় মোট চারটি ওমরা ছিল, যার সবগুলোই জিলকদ মাসে। উপসংহার: জিলকদ মাস মুসলিমদের জন্য একটি ফজিলতপূর্ণ ও শান্তির বার্তা বহনকারী সময়। এ মাসে গুনাহ থেকে বেঁচে থেকে নেক আমলে আত্মনিয়োগ করাই হোক আমাদের সকলের লক্ষ্য।
ডোনেট জনসাথী
Love
Like
9
·191 Views ·1 Reviews
Jono Sathi - Bangladeshi Social Media Platform https://jonosathi.com