গ্রামের প্রান্তে একটি পুরনো, ভাঙা বাড়ি ছিল, যা রাতের আঁধারে এক আতঙ্কের নাম। বলা হয়, যারা সেখানে রাত কাটিয়েছে, তারা আর কখনো ফিরে আসেনি—শুধু তাদের ভয়ংকর চিৎকার বাতাসে ভেসে এসেছে।

এক রাত, পাঁচ বন্ধু সাহস করে সেই বাড়ির দিকে এগিয়ে গেল। তারা জানতো না, বাড়ির ভিতরে এক অন্ধকার শক্তি তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। ঘরের ভিতরে ঢুকে এক অদ্ভুত ঠাণ্ডা বাতাস তাদের মুখে লাগলো। সেখানকার বাতাসে একটি অদ্ভুত গন্ধ ছিল, যেন মৃতের গন্ধ।

হঠাৎ, একটি অদৃশ্য শক্তি তাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াতে লাগলো। তারা শুনতে পেল একটি নারীর কণ্ঠস্বর, "কেন এসেছ, তোমরা? এই বাড়ি তোমাদের জন্য নয়!"

সবার হৃদয় দোল খেয়ে উঠলো। একজন বন্ধু, রাহুল, সাহস করে বললো, "আমরা এখানে কোন ক্ষতি করতে আসিনি, শুধু দেখতে এসেছি!"

কিন্তু তার কথা বলার সাথে সাথে, ঘরটি ধীরে ধীরে অন্ধকার হয়ে যেতে লাগলো। দেওয়ালে অদ্ভুত ছায়া নাচতে শুরু করলো, যেন কিছু অশরীরী তাদের প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়বে।

হঠাৎ, এক ভয়ংকর চিৎকার উঠলো। একজন বন্ধু, সোহেল, পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখলো, একটি সাদা পোশাক পরা নারী তাদের দিকে এগিয়ে আসছে, তার চোখে অসীম ক্রোধ। "তোমরা এখানে আসার সাহস কিভাবে করেছ?" সে চিৎকার করলো।

দুর্গন্ধ এবং ভয়ের মধ্যে, তারা বুঝতে পারলো যে, এই বাড়িতে তাদের জন্য কিছুই ঠিক নেই। তাদের পালানোর চেষ্টা করতেই, দরজাটি হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেল। তারা trapped হয়ে পড়লো, এবং অশরীরী শক্তি তাদের চারপাশে ঘিরে ধরলো।

এখন তাদের একমাত্র আশা, একত্রে থাকা এবং সেই ভয়াবহ ভূতের মুখোমুখি হওয়া। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তারা কি পারবে সেই অন্ধকার শক্তির মোকাবেলা করতে?