জামাত বিএনপি এনসিপি বুঝি না।
কোন ধরণের চেতনাবাজির সাথে আমি নাই।
এই চেতনা দিয়েই আমার এলাকার সবচে নিরীহ, আমার দেখা এখন পর্যন্ত ফেরেশতার মতো মানুষ, হাফিজুর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
হাফিজুর ভাই তখন শিবির করতো, আমি তখন নতুন নতুন ছাত্র ইউনিয়নের মিটিং এ যাওয়া শুরু করেছি। ধর্মীয় রাজনীতি মুক্ত দেশের স্বপ্ন দেখতাম।
বাট হাফিজুর ভাইকে এক মুহূর্তের জন্যও অপছন্দ করতে পারিনি।
উনার সাথে আমার শেষ দেখা হয়েছিলো রাজশাহী সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে।
দেখা হওয়ার পর হাতের বই রেখে উনার সাথে আড্ডা দিতে দিতে মালোপাড়ার এদিকে চলে আসলাম।
হাফিজুর ভাই নতুন একটা ফ্ল্যাট নিসে। এডমিশন কোচিং করানোর জন্য।
ঘুরে ঘুরে দেখাইলো। উনি রাজশাহী ইউনিভার্সিটির পাবলিক এডমিনে পড়েন তখন।
কত স্বপ্ন!!
আমরা খুশি হলাম। যাক, পলিটিকাল ঝগড়া গন্ডগোল করার একটা জায়গা হলো বলে।
হাফিজুর ভাইকে আমি রাজাকার বলে গালি দিছি অনেকবার।
বয়স কম।রক্ত গরম। প্রচুর তর্ক করতাম। ভাই আমার সাথে তর্কে কোনদিন জিতেন নাই।ইচ্ছা করেই হাইরা যাইতেন।
আর হাসতেন।
সেই হাফিজুর ভাইকে একদিন সকালে পুলিশ তুলে নিয়ে গেল।
চারদিন পর মৃত ফেরত দিলো।
ক্যান্সারের রোগী ছিলো। ওষুধটাও খাইতে দেয় নাই। বড় ভাই ওষুধ নিয়ে জেলগেটে গেছিলো। দিতে দেয় নাই।
আমার আব্বুকে আমি কোনদিন কারো মৃত্যুতে কানতে দেখিনি।
খুবই শক্ত মানুষ।
হাফিজুর ভাইয়ের মৃত্যুর পর আব্বুকে আমি কানতে দেখছিলাম। বলছিলো, এতো ভালো একটা মানুষকেও এমনে মাইরা ফেলা যায়? এইটা কোন দেশ না জঙ্গল?
সবচে দুঃখের ব্যাপার কী জানেন?
যেই মামলাতে উনাকে তুলে নিয়ে মেরে দেওয়া হয়েছিলো, সেই মামলার রায় হয়েছে। সেই রায়ের কোথাও আমার ভাইটার নাম নাই।
জাস্ট নিরীহ একটা ছেলেকে তুলে নিয়ে মেরে ফেলেছে।
কেন? কারণ সে চেতনা ধারণ করে না।
সেই থেকে এই চেতনা আমি ঘৃণা করি।
আমি ছোট মানুষ, আইন কম বুঝি, রাজনীতিও কম বুঝি। শুধু এইটুক বুঝি, এই চেতনার স্কুইড গেম আমার দেখা সবচে ভালো মানুষটারে তুলে নিয়ে মেরে ফেলছে।
এরপর থেকে এই চেতনা আমি ঘৃণা করি ।
এই বাইনারি আমি ঘৃণা করি।
আমি মুক্তিযুদ্ধকে ওউন করা মানুষ। ৭১ এর আগের শেখ মুজিব, ৭১ এর জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফ, কর্ণেল তাহের, ভাসানীরা আমার হিরো। আমার সবচে প্রিয় বইগুলোর একটার নাম জোছনা ও জননীর গল্প। আমার প্রিয় মুভির নাম শ্যামল ছায়া, আগুনের পরশমনি।
আমি গণহত্যার পক্ষে থাকা সবার বিচার চাই। আমি গণহত্যার পক্ষে থাকা কারো রাজনীতি করতে দেওয়ার পক্ষেও না।
বাট আমি এই চেতনা ব্যবসার বিরুদ্ধে।
যেই চেতনা আমার ২১ বছরের নিরীহ ভাইটাকে রাজাকার বলে আমার কাছে থেকে নিয়ে গেছে, সেই চেতনার ব্যবসাকে আমি আজীবন ঘৃণা করে যাবো।
সে আমার যত কাছের মানুষই সেই চেতনার ব্যবসা করুক না কেন!!
#Sadiqur Rahman Khan
কোন ধরণের চেতনাবাজির সাথে আমি নাই।
এই চেতনা দিয়েই আমার এলাকার সবচে নিরীহ, আমার দেখা এখন পর্যন্ত ফেরেশতার মতো মানুষ, হাফিজুর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
হাফিজুর ভাই তখন শিবির করতো, আমি তখন নতুন নতুন ছাত্র ইউনিয়নের মিটিং এ যাওয়া শুরু করেছি। ধর্মীয় রাজনীতি মুক্ত দেশের স্বপ্ন দেখতাম।
বাট হাফিজুর ভাইকে এক মুহূর্তের জন্যও অপছন্দ করতে পারিনি।
উনার সাথে আমার শেষ দেখা হয়েছিলো রাজশাহী সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে।
দেখা হওয়ার পর হাতের বই রেখে উনার সাথে আড্ডা দিতে দিতে মালোপাড়ার এদিকে চলে আসলাম।
হাফিজুর ভাই নতুন একটা ফ্ল্যাট নিসে। এডমিশন কোচিং করানোর জন্য।
ঘুরে ঘুরে দেখাইলো। উনি রাজশাহী ইউনিভার্সিটির পাবলিক এডমিনে পড়েন তখন।
কত স্বপ্ন!!
আমরা খুশি হলাম। যাক, পলিটিকাল ঝগড়া গন্ডগোল করার একটা জায়গা হলো বলে।
হাফিজুর ভাইকে আমি রাজাকার বলে গালি দিছি অনেকবার।
বয়স কম।রক্ত গরম। প্রচুর তর্ক করতাম। ভাই আমার সাথে তর্কে কোনদিন জিতেন নাই।ইচ্ছা করেই হাইরা যাইতেন।
আর হাসতেন।
সেই হাফিজুর ভাইকে একদিন সকালে পুলিশ তুলে নিয়ে গেল।
চারদিন পর মৃত ফেরত দিলো।
ক্যান্সারের রোগী ছিলো। ওষুধটাও খাইতে দেয় নাই। বড় ভাই ওষুধ নিয়ে জেলগেটে গেছিলো। দিতে দেয় নাই।
আমার আব্বুকে আমি কোনদিন কারো মৃত্যুতে কানতে দেখিনি।
খুবই শক্ত মানুষ।
হাফিজুর ভাইয়ের মৃত্যুর পর আব্বুকে আমি কানতে দেখছিলাম। বলছিলো, এতো ভালো একটা মানুষকেও এমনে মাইরা ফেলা যায়? এইটা কোন দেশ না জঙ্গল?
সবচে দুঃখের ব্যাপার কী জানেন?
যেই মামলাতে উনাকে তুলে নিয়ে মেরে দেওয়া হয়েছিলো, সেই মামলার রায় হয়েছে। সেই রায়ের কোথাও আমার ভাইটার নাম নাই।
জাস্ট নিরীহ একটা ছেলেকে তুলে নিয়ে মেরে ফেলেছে।
কেন? কারণ সে চেতনা ধারণ করে না।
সেই থেকে এই চেতনা আমি ঘৃণা করি।
আমি ছোট মানুষ, আইন কম বুঝি, রাজনীতিও কম বুঝি। শুধু এইটুক বুঝি, এই চেতনার স্কুইড গেম আমার দেখা সবচে ভালো মানুষটারে তুলে নিয়ে মেরে ফেলছে।
এরপর থেকে এই চেতনা আমি ঘৃণা করি ।
এই বাইনারি আমি ঘৃণা করি।
আমি মুক্তিযুদ্ধকে ওউন করা মানুষ। ৭১ এর আগের শেখ মুজিব, ৭১ এর জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফ, কর্ণেল তাহের, ভাসানীরা আমার হিরো। আমার সবচে প্রিয় বইগুলোর একটার নাম জোছনা ও জননীর গল্প। আমার প্রিয় মুভির নাম শ্যামল ছায়া, আগুনের পরশমনি।
আমি গণহত্যার পক্ষে থাকা সবার বিচার চাই। আমি গণহত্যার পক্ষে থাকা কারো রাজনীতি করতে দেওয়ার পক্ষেও না।
বাট আমি এই চেতনা ব্যবসার বিরুদ্ধে।
যেই চেতনা আমার ২১ বছরের নিরীহ ভাইটাকে রাজাকার বলে আমার কাছে থেকে নিয়ে গেছে, সেই চেতনার ব্যবসাকে আমি আজীবন ঘৃণা করে যাবো।
সে আমার যত কাছের মানুষই সেই চেতনার ব্যবসা করুক না কেন!!
#Sadiqur Rahman Khan
জামাত বিএনপি এনসিপি বুঝি না।
কোন ধরণের চেতনাবাজির সাথে আমি নাই।
এই চেতনা দিয়েই আমার এলাকার সবচে নিরীহ, আমার দেখা এখন পর্যন্ত ফেরেশতার মতো মানুষ, হাফিজুর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
হাফিজুর ভাই তখন শিবির করতো, আমি তখন নতুন নতুন ছাত্র ইউনিয়নের মিটিং এ যাওয়া শুরু করেছি। ধর্মীয় রাজনীতি মুক্ত দেশের স্বপ্ন দেখতাম।
বাট হাফিজুর ভাইকে এক মুহূর্তের জন্যও অপছন্দ করতে পারিনি।
উনার সাথে আমার শেষ দেখা হয়েছিলো রাজশাহী সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে।
দেখা হওয়ার পর হাতের বই রেখে উনার সাথে আড্ডা দিতে দিতে মালোপাড়ার এদিকে চলে আসলাম।
হাফিজুর ভাই নতুন একটা ফ্ল্যাট নিসে। এডমিশন কোচিং করানোর জন্য।
ঘুরে ঘুরে দেখাইলো। উনি রাজশাহী ইউনিভার্সিটির পাবলিক এডমিনে পড়েন তখন।
কত স্বপ্ন!!
আমরা খুশি হলাম। যাক, পলিটিকাল ঝগড়া গন্ডগোল করার একটা জায়গা হলো বলে।
হাফিজুর ভাইকে আমি রাজাকার বলে গালি দিছি অনেকবার।
বয়স কম।রক্ত গরম। প্রচুর তর্ক করতাম। ভাই আমার সাথে তর্কে কোনদিন জিতেন নাই।ইচ্ছা করেই হাইরা যাইতেন।
আর হাসতেন।
সেই হাফিজুর ভাইকে একদিন সকালে পুলিশ তুলে নিয়ে গেল।
চারদিন পর মৃত ফেরত দিলো।
ক্যান্সারের রোগী ছিলো। ওষুধটাও খাইতে দেয় নাই। বড় ভাই ওষুধ নিয়ে জেলগেটে গেছিলো। দিতে দেয় নাই।
আমার আব্বুকে আমি কোনদিন কারো মৃত্যুতে কানতে দেখিনি।
খুবই শক্ত মানুষ।
হাফিজুর ভাইয়ের মৃত্যুর পর আব্বুকে আমি কানতে দেখছিলাম। বলছিলো, এতো ভালো একটা মানুষকেও এমনে মাইরা ফেলা যায়? এইটা কোন দেশ না জঙ্গল?
সবচে দুঃখের ব্যাপার কী জানেন?
যেই মামলাতে উনাকে তুলে নিয়ে মেরে দেওয়া হয়েছিলো, সেই মামলার রায় হয়েছে। সেই রায়ের কোথাও আমার ভাইটার নাম নাই।
জাস্ট নিরীহ একটা ছেলেকে তুলে নিয়ে মেরে ফেলেছে।
কেন? কারণ সে চেতনা ধারণ করে না।
সেই থেকে এই চেতনা আমি ঘৃণা করি।
আমি ছোট মানুষ, আইন কম বুঝি, রাজনীতিও কম বুঝি। শুধু এইটুক বুঝি, এই চেতনার স্কুইড গেম আমার দেখা সবচে ভালো মানুষটারে তুলে নিয়ে মেরে ফেলছে।
এরপর থেকে এই চেতনা আমি ঘৃণা করি ।
এই বাইনারি আমি ঘৃণা করি।
আমি মুক্তিযুদ্ধকে ওউন করা মানুষ। ৭১ এর আগের শেখ মুজিব, ৭১ এর জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফ, কর্ণেল তাহের, ভাসানীরা আমার হিরো। আমার সবচে প্রিয় বইগুলোর একটার নাম জোছনা ও জননীর গল্প। আমার প্রিয় মুভির নাম শ্যামল ছায়া, আগুনের পরশমনি।
আমি গণহত্যার পক্ষে থাকা সবার বিচার চাই। আমি গণহত্যার পক্ষে থাকা কারো রাজনীতি করতে দেওয়ার পক্ষেও না।
বাট আমি এই চেতনা ব্যবসার বিরুদ্ধে।
যেই চেতনা আমার ২১ বছরের নিরীহ ভাইটাকে রাজাকার বলে আমার কাছে থেকে নিয়ে গেছে, সেই চেতনার ব্যবসাকে আমি আজীবন ঘৃণা করে যাবো।
সে আমার যত কাছের মানুষই সেই চেতনার ব্যবসা করুক না কেন!!
#Sadiqur Rahman Khan


1 Comments
·637 Views
·0 Reviews