Upgrade to Pro

  • বাবা বলে ডাকা মানুষটা কাঁদতে পারে না,
    #বাবা
    #বাবারভালোবাসা
    #অন্তরেরকথা
    #ইমোশনালভিডিও
    #MusingsOfSamiul
    বাবা বলে ডাকা মানুষটা কাঁদতে পারে না, #বাবা #বাবারভালোবাসা #অন্তরেরকথা #ইমোশনালভিডিও #MusingsOfSamiul
    ·135 Views ·0 Reviews
  • আমি AI দিয়ে সৃষ্টি করেছি। ছবিটি কপিরাইটেড। অনুগ্রহ করে ছবিটি ব্যবহার করবেন না। আমার ইমেইল: faruk101@proton.me

    I created the photo with AI. The photo is copyrighted. Please do not use the photo. My email: faruk101@proton.me
    আমি AI দিয়ে সৃষ্টি করেছি। ছবিটি কপিরাইটেড। অনুগ্রহ করে ছবিটি ব্যবহার করবেন না। আমার ইমেইল: faruk101@proton.me I created the photo with AI. The photo is copyrighted. Please do not use the photo. My email: faruk101@proton.me
    ·122 Views ·0 Reviews
  • "আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করো, তিনিই সর্বোত্তম কর্মসম্পাদনকারী।"
    — (সূরা আল ইমরান: ১৫৯)
    "আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করো, তিনিই সর্বোত্তম কর্মসম্পাদনকারী।" — (সূরা আল ইমরান: ১৫৯)
    ·68 Views ·0 Reviews
  • আমার লেখা ছড়া
    ...........................................................................................................................................................................
    জান যায়

    দেহ হাড় জিরজিরে
    মুখটা মলিন,
    পথে ঘাটে ফুল বেচে
    কাটে তার দিন।
    ছেঁড়া জামা ছেঁড়া প্যান্ট
    রোদে পোড়া গা,
    ফুল না বেচতে পেলে
    ভাত জোটে না।
    মালিবাগ মৌচাক
    বাংলামটর,
    ফুল নিয়ে সারাদিন
    ছোটাছুটি ওর।
    সিগনালে থামে যেই
    প্রাইভেট কার,
    দরজা লক্ষ্য করে
    ছুটে চলা তার।
    কেউ কেনে, কেউ চায়
    কটমট করে,
    ছোটাছুটি শুরু হয়
    কাকডাকা ভোরে।
    রোদে পুড়ে একাকার
    ঘামে দরদর,
    বৃষ্টিতে ভিজে জ্বরে
    কাঁপে থরথর।
    রয়স মাত্র নয়
    নেই তার কেউ,
    পাড়ি দিতে জান যায়
    জীবনের ঢেউ।
    ........................................................................................................................................................................
    আমি AI দিয়ে সৃষ্টি করেছি। ছবিটি কপিরাইটেড। অনুগ্রহ করে ছবিটি ব্যবহার করবেন না। আমার ইমেইল: faruk101@proton.me

    I created the photo with AI. The photo is copyrighted. Please do not use the photo. My email: faruk101@proton.me
    আমার লেখা ছড়া ........................................................................................................................................................................... জান যায় দেহ হাড় জিরজিরে মুখটা মলিন, পথে ঘাটে ফুল বেচে কাটে তার দিন। ছেঁড়া জামা ছেঁড়া প্যান্ট রোদে পোড়া গা, ফুল না বেচতে পেলে ভাত জোটে না। মালিবাগ মৌচাক বাংলামটর, ফুল নিয়ে সারাদিন ছোটাছুটি ওর। সিগনালে থামে যেই প্রাইভেট কার, দরজা লক্ষ্য করে ছুটে চলা তার। কেউ কেনে, কেউ চায় কটমট করে, ছোটাছুটি শুরু হয় কাকডাকা ভোরে। রোদে পুড়ে একাকার ঘামে দরদর, বৃষ্টিতে ভিজে জ্বরে কাঁপে থরথর। রয়স মাত্র নয় নেই তার কেউ, পাড়ি দিতে জান যায় জীবনের ঢেউ। ........................................................................................................................................................................ আমি AI দিয়ে সৃষ্টি করেছি। ছবিটি কপিরাইটেড। অনুগ্রহ করে ছবিটি ব্যবহার করবেন না। আমার ইমেইল: faruk101@proton.me I created the photo with AI. The photo is copyrighted. Please do not use the photo. My email: faruk101@proton.me
    Like
    Love
    2
    ·274 Views ·0 Reviews
  • সবার ফোনের প্রথম ইমুজি কোনটা কমেন্ট এ দেন,, দেখি কার সাথে কার মিলে যাই
    সবার ফোনের প্রথম ইমুজি কোনটা কমেন্ট এ দেন,, দেখি কার সাথে কার মিলে যাই 😳😳😳
    ·153 Views ·0 Reviews
  • জীবনে বেইমানদের কোন ঠাঁই নেই আমার জীবন আমার কাছে
    জীবনে বেইমানদের কোন ঠাঁই নেই আমার জীবন আমার কাছে 🥰
    ·95 Views ·0 Reviews
  • আমার শখের সব কিছুই বড্ড বড় বে'ইমান.!
    আমার শখের সব কিছুই বড্ড বড় বে'ইমান.!❤️‍🩹
    Like
    1
    ·115 Views ·0 Reviews
  • কোরআন মজিদে মোট ১১৪টি সূরা রয়েছে। নিচে বাংলা ও আরবিতে সূরাগুলোর নাম দেওয়া হলো:

    ১-২০ নং সূরা:
    আল-ফাতিহা (الفاتحة)

    আল-বাকারা (البقرة)

    আল-ইমরান (آل عمران)

    আন-নিসা (النساء)

    আল-মায়িদা (المائدة)

    আল-আন'আম (الأنعام)

    আল-আ'রাফ (الأعراف)

    আল-আনফাল (الأنفال)

    আত-তাওবা (التوبة)

    ইউনুস (يونس)

    হুদ (هود)

    ইউসুফ (يوسف)

    আর-রাদ (الرعد)

    ইবরাহীম (إبراهيم)

    আল-হিজর (الحجر)

    আন-নাহল (النحل)

    আল-ইসরা (الإسراء)

    আল-কাহফ (الكهف)

    মারইয়াম (مريم)

    ত্ব-হা (طه)

    ২১-৪০ নং সূরা:
    আল-আম্বিয়া (الأنبياء)

    আল-হাজ্জ (الحج)

    আল-মুমিনুন (المؤمنون)

    আন-নূর (النور)

    আল-ফুরকান (الفرقان)

    আশ-শু'আরা (الشعراء)

    আন-নামল (النمل)

    আল-কাসাস (القصص)

    আল-আনকাবুত (العنكبوت)

    আর-রুম (الروم)

    লুকমান (لقمان)

    আস-সাজদা (السجدة)

    আল-আহযাব (الأحزاب)

    সাবা (سبأ)

    ফাতির (فاطر)

    ইয়াসীন (يس)

    আস-সাফফাত (الصافات)

    সাদ (ص)

    আয-যুমার (الزمر)

    গাফির (غافر)

    ৪১-৬০ নং সূরা:
    ফুসসিলাত (فصلت)

    আশ-শুরা (الشورى)

    আয-যুখরুফ (الزخرف)

    আদ-দুখান (الدخان)

    আল-জাসিয়া (الجاثية)

    আল-আহকাফ (الأحقاف)

    মুহাম্মদ (محمد)

    আল-ফাতহ (الفتح)

    আল-হুজুরাত (الحجرات)

    কাফ (ق)

    আয-যারিয়াত (الذاريات)

    আত-তূর (الطور)

    আন-নাজম (النجم)

    আল-কামার (القمر)

    আর-রাহমান (الرحمن)

    আল-ওয়াকিয়াহ (الواقعة)

    আল-হাদীদ (الحديد)

    আল-মুজাদিলা (المجادلة)

    আল-হাশর (الحشر)

    আল-মুমতাহিনা (الممتحنة)

    ৬১-৮০ নং সূরা:
    আস-সাফ (الصف)

    আল-জুমু'আ (الجمعة)

    আল-মুনাফিকুন (المنافقون)

    আত-তাগাবুন (التغابن)

    আত-তালাক (الطلاق)

    আত-তাহরীম (التحريم)

    আল-মুলক (الملك)

    আল-কালাম (القلم)

    আল-হাক্কাহ (الحاقة)

    আল-মা'আরিজ (المعارج)

    নূহ (نوح)

    আল-জিন (الجن)

    আল-মুজাম্মিল (المزمل)

    আল-মুদ্দাস্সির (المدثر)

    আল-কিয়ামাহ (القيامة)

    আল-ইনসান (الإنسان)

    আল-মুরসালাত (المرسلات)

    আন-নাবা (النبأ)

    আন-নাযি'আত (النازعات)

    আবাসা (عبس)

    ৮১-১০০ নং সূরা:
    আত-তাকভীর (التكوير)

    আল-ইনফিতার (الانفطار)

    আল-মুতাফফিফীন (المطففين)

    আল-ইনশিকাক (الانشقاق)

    আল-বুরুজ (البروج)

    আত-তারিক (الطارق)

    আল-আ'লা (الأعلى)

    আল-গাশিয়াহ (الغاشية)

    আল-ফাজর (الفجر)

    আল-বালাদ (البلد)

    আশ-শামস (الشمس)

    আল-লাইল (الليل)

    আদ-দুহা (الضحى)

    আল-ইনশিরাহ (الشرح)

    আত-তীন (التين)

    আল-আলাক (العلق)

    আল-কাদর (القدر)

    আল-বাইয়িনাহ (البينة)

    আয-যালযালাহ (الزلزلة)

    আল-আদিয়াত (العاديات)

    ১০১-১১৪ নং সূরা:
    আল-কারি'আহ (القارعة)

    আত-তাকাসুর (التكاثر)

    আল-আসর (العصر)

    আল-হুমাযাহ (الهمزة)

    আল-ফীল (الفيل)

    কুরাইশ (قريش)

    আল-মাউন (الماعون)

    আল-কাওসার (الكوثر)

    আল-কাফিরুন (الكافرون)

    আন-নাসর (النصر)

    আল-মাসাদ (المسد)

    আল-ইখলাস (الإخلاص)

    আল-ফালাক (الفلق)

    আন-নাস (الناس)
    কোরআন মজিদে মোট ১১৪টি সূরা রয়েছে। নিচে বাংলা ও আরবিতে সূরাগুলোর নাম দেওয়া হলো: ১-২০ নং সূরা: আল-ফাতিহা (الفاتحة) আল-বাকারা (البقرة) আল-ইমরান (آل عمران) আন-নিসা (النساء) আল-মায়িদা (المائدة) আল-আন'আম (الأنعام) আল-আ'রাফ (الأعراف) আল-আনফাল (الأنفال) আত-তাওবা (التوبة) ইউনুস (يونس) হুদ (هود) ইউসুফ (يوسف) আর-রাদ (الرعد) ইবরাহীম (إبراهيم) আল-হিজর (الحجر) আন-নাহল (النحل) আল-ইসরা (الإسراء) আল-কাহফ (الكهف) মারইয়াম (مريم) ত্ব-হা (طه) ২১-৪০ নং সূরা: আল-আম্বিয়া (الأنبياء) আল-হাজ্জ (الحج) আল-মুমিনুন (المؤمنون) আন-নূর (النور) আল-ফুরকান (الفرقان) আশ-শু'আরা (الشعراء) আন-নামল (النمل) আল-কাসাস (القصص) আল-আনকাবুত (العنكبوت) আর-রুম (الروم) লুকমান (لقمان) আস-সাজদা (السجدة) আল-আহযাব (الأحزاب) সাবা (سبأ) ফাতির (فاطر) ইয়াসীন (يس) আস-সাফফাত (الصافات) সাদ (ص) আয-যুমার (الزمر) গাফির (غافر) ৪১-৬০ নং সূরা: ফুসসিলাত (فصلت) আশ-শুরা (الشورى) আয-যুখরুফ (الزخرف) আদ-দুখান (الدخان) আল-জাসিয়া (الجاثية) আল-আহকাফ (الأحقاف) মুহাম্মদ (محمد) আল-ফাতহ (الفتح) আল-হুজুরাত (الحجرات) কাফ (ق) আয-যারিয়াত (الذاريات) আত-তূর (الطور) আন-নাজম (النجم) আল-কামার (القمر) আর-রাহমান (الرحمن) আল-ওয়াকিয়াহ (الواقعة) আল-হাদীদ (الحديد) আল-মুজাদিলা (المجادلة) আল-হাশর (الحشر) আল-মুমতাহিনা (الممتحنة) ৬১-৮০ নং সূরা: আস-সাফ (الصف) আল-জুমু'আ (الجمعة) আল-মুনাফিকুন (المنافقون) আত-তাগাবুন (التغابن) আত-তালাক (الطلاق) আত-তাহরীম (التحريم) আল-মুলক (الملك) আল-কালাম (القلم) আল-হাক্কাহ (الحاقة) আল-মা'আরিজ (المعارج) নূহ (نوح) আল-জিন (الجن) আল-মুজাম্মিল (المزمل) আল-মুদ্দাস্সির (المدثر) আল-কিয়ামাহ (القيامة) আল-ইনসান (الإنسان) আল-মুরসালাত (المرسلات) আন-নাবা (النبأ) আন-নাযি'আত (النازعات) আবাসা (عبس) ৮১-১০০ নং সূরা: আত-তাকভীর (التكوير) আল-ইনফিতার (الانفطار) আল-মুতাফফিফীন (المطففين) আল-ইনশিকাক (الانشقاق) আল-বুরুজ (البروج) আত-তারিক (الطارق) আল-আ'লা (الأعلى) আল-গাশিয়াহ (الغاشية) আল-ফাজর (الفجر) আল-বালাদ (البلد) আশ-শামস (الشمس) আল-লাইল (الليل) আদ-দুহা (الضحى) আল-ইনশিরাহ (الشرح) আত-তীন (التين) আল-আলাক (العلق) আল-কাদর (القدر) আল-বাইয়িনাহ (البينة) আয-যালযালাহ (الزلزلة) আল-আদিয়াত (العاديات) ১০১-১১৪ নং সূরা: আল-কারি'আহ (القارعة) আত-তাকাসুর (التكاثر) আল-আসর (العصر) আল-হুমাযাহ (الهمزة) আল-ফীল (الفيل) কুরাইশ (قريش) আল-মাউন (الماعون) আল-কাওসার (الكوثر) আল-কাফিরুন (الكافرون) আন-নাসর (النصر) আল-মাসাদ (المسد) আল-ইখলাস (الإخلاص) আল-ফালাক (الفلق) আন-নাস (الناس)
    ·153 Views ·0 Reviews
  • ইমেশন
    ইমেশন
    Love
    Like
    4
    ·174 Views ·0 Reviews
  • ভাইরাল ভিডিও বানানোর ৭টি কার্যকর কৌশল

    1. হুক (Hook) – প্রথম ৩ সেকেন্ডেই দর্শক ধরুন
    প্রথম ৩–৫ সেকেন্ডে যদি কেউ আকৃষ্ট না হয়, সে স্ক্রল করে চলে যাবে।

    উদাহরণ:
    “আপনি জানেন না, এই ছোট কাজটাই আপনাকে বড়লোক বানাতে পারে!”
    “সকলেই ভুল করছে এই জায়গায়, আপনি করবেন না!”

    2. ট্রেন্ডিং কনটেন্ট ফলো করুন
    TikTok, Facebook Reels, Instagram Reels, YouTube Shorts—এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে যা ট্রেন্ডিং হচ্ছে, সেটা নিয়ে ভিডিও করুন।

    “কীভাবে”, “কেন”, “মাত্র ১ মিনিটে” — এমন শব্দ ব্যবহার করুন।

    3. মানুষের ইমোশন স্পর্শ করুন
    কনটেন্ট যেন মানুষের মন ছুঁয়ে যায়:

    হাসি
    দুঃখ
    অনুপ্রেরণা
    অবাক করা তথ্য

    উদাহরণ: “একজন ভিক্ষুক কীভাবে লাখপতি হলো – শুনে অবাক হবেন!”

    4. শর্ট, শার্প, সিনেমাটিক
    ১৫–৬০ সেকেন্ডের মধ্যে ক্লিয়ার বার্তা দিন।

    কাট-কাট এডিটিং করুন, বোরিং অংশ বাদ দিন।
    সাবটাইটেল/টেক্সট দিন যাতে সাউন্ড ছাড়া দেখলেও বোঝা যায়।

    5. ভাইরাল অডিও ব্যবহার করুন
    প্ল্যাটফর্ম অনুযায়ী ট্রেন্ডিং মিউজিক বা সাউন্ড ব্যবহার করুন।

    ফেসবুক রিল/ইনস্টাগ্রামে মিউজিক যোগ করতে পারেন।

    6. Vertical Format ব্যবহার করুন (9:16)
    মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য এটা সবচেয়ে ভালো।

    রিলস, শর্টস, টিকটক—সবই এই ফরম্যাটে।

    7. Call to Action দিন
    শেষের দিকে বলুন:

    “কমেন্টে লিখুন আপনি কী ভাবছেন”
    “শেয়ার করে অন্যদের জানান”

    “Follow দিন এমন আরো ভিডিওর জন্য”
    🎯 ভাইরাল ভিডিও বানানোর ৭টি কার্যকর কৌশল 1. 📌 হুক (Hook) – প্রথম ৩ সেকেন্ডেই দর্শক ধরুন প্রথম ৩–৫ সেকেন্ডে যদি কেউ আকৃষ্ট না হয়, সে স্ক্রল করে চলে যাবে। উদাহরণ: “আপনি জানেন না, এই ছোট কাজটাই আপনাকে বড়লোক বানাতে পারে!” “সকলেই ভুল করছে এই জায়গায়, আপনি করবেন না!” 2. 🔥 ট্রেন্ডিং কনটেন্ট ফলো করুন TikTok, Facebook Reels, Instagram Reels, YouTube Shorts—এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে যা ট্রেন্ডিং হচ্ছে, সেটা নিয়ে ভিডিও করুন। “কীভাবে”, “কেন”, “মাত্র ১ মিনিটে” — এমন শব্দ ব্যবহার করুন। 3. 🧠 মানুষের ইমোশন স্পর্শ করুন কনটেন্ট যেন মানুষের মন ছুঁয়ে যায়: হাসি দুঃখ অনুপ্রেরণা অবাক করা তথ্য উদাহরণ: “একজন ভিক্ষুক কীভাবে লাখপতি হলো – শুনে অবাক হবেন!” 4. 🎥 শর্ট, শার্প, সিনেমাটিক ১৫–৬০ সেকেন্ডের মধ্যে ক্লিয়ার বার্তা দিন। কাট-কাট এডিটিং করুন, বোরিং অংশ বাদ দিন। সাবটাইটেল/টেক্সট দিন যাতে সাউন্ড ছাড়া দেখলেও বোঝা যায়। 5. 🎵 ভাইরাল অডিও ব্যবহার করুন প্ল্যাটফর্ম অনুযায়ী ট্রেন্ডিং মিউজিক বা সাউন্ড ব্যবহার করুন। ফেসবুক রিল/ইনস্টাগ্রামে মিউজিক যোগ করতে পারেন। 6. 📱 Vertical Format ব্যবহার করুন (9:16) মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য এটা সবচেয়ে ভালো। রিলস, শর্টস, টিকটক—সবই এই ফরম্যাটে। 7. 🗣️ Call to Action দিন শেষের দিকে বলুন: “কমেন্টে লিখুন আপনি কী ভাবছেন” “শেয়ার করে অন্যদের জানান” “Follow দিন এমন আরো ভিডিওর জন্য”
    Like
    Love
    6
    ·174 Views ·0 Reviews
  • (এক)

    শুভ বলে উঠল,চল শক্তি এবার শুয়ে পড়া যাক।রাত অনেকটা হল।

    শক্তি সাবধানে এদিক,ওদিক তাকিয়ে টিভিটা বন্ধ করে দিল।

    তারপর শুভকে ডাকল,শোন।

    শুভ সামনে আসার পর বলল,প্যাকেটটা কোথায় রেখেছিস?

    শুভ চোখদুটো বড়,বড় করে বলে উঠল,তোর কী মাথা খারাপ হয়ে গেছে? আমি তোকে আসার আগেই বলেছিলাম।ওসব বাজে জিনিস এখানে একদম চলবে না। তখন কী বলেছিলি মনে আছে?

    শক্তি বলে উঠল, সব মনে আছে।তোর মত অত শর্ট মেমোরি আমার নয়।ক্যামেস্ট্রিতে দু নাম্বার হলেও তোর থেকে বেশি পেয়েছি।আরে ইয়্যার আমি কী তোদের বাড়িতে খাচ্ছি নাকি? চল বাইরে।মাঠের দিকে খোলা হাওয়ায় একটু পায়চারি করে আসি।বিহু তিনবার কল করেছিল।ঠিক মত কথাও বলতে পারিনি।তোদের এইটুকু ঘরে ..এত মানুষের সব সময় আসা-যাওয়া! পাশ থেকে কে কি আওয়াজ দিয়ে চলে যাবে।সেই ভয়ে পরে করব বলে পাস কাটিয়ে গেছি।একবার ওর সাথেও খুলে কথা বলা হবে।

    শুভ একটু হেসে জবাব দিল,তোর মাথা,টাথা খারাপ হলেও আমার তো ঠিক আছে। এই সময় আর বাইরে?

    আমাদের গাঁয়ের কথা জানিস কিছু?চুপচাপ সিগারেটের কথা ভুলে শুয়ে পড়।



    ----কেনরে তোদের গায়ে কী রাতের বেলায় আমজাদ খান ঘোড়ায় চেপে ডাকাতি করতে আসে?

    ----তার থেকেও ভয়ঙ্কর!

    ---তাহলে নিশ্চয়ই সানি লিওন হবে?

    ----ইয়ার্কি না শক্তি।আমাদের গাঁয়ে রাত নটার পর আর কেউ বাইরে ঘোরে না। বছর তিনেক হল ভূতের উপদ্রব বেড়েছে।সেই ভয়ে রাতের বেলায় কেউ বাইরে বেরোই না। অনেকেই সেই ভূতের দেখা পেয়েছে।



    শক্তি কথাটা শুনে একটু হেসে বলে উঠল, আরে কিচ্ছু হবে না শুভ।তুই না সায়েন্সের স্টুডেন্ট! এসব ফালতু জিনিসেকে কবে থেকে বিশ্বাস করতে শুরু করলি?

    ---ফালতু! তোর কী মনে হয়,আমি ফালতু বকছি?আরে বাবা...আমার কাকু নিজের চোখে দু-দুবার দেখেছে।একবার তো বাড়ি এসেই দুম করে উঠোনে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।ভাগ্যিস সেদিন আমি হোস্টেল থেকে বাড়ি ফিরেছিলাম তাই রেহায়।মুখে জলের ঝাপটা আর নার্ভ পয়েন্টে আকুপাংচার করে জ্ঞান ফেরায়।তারপর নিজের মুখে আমি সব কথা সেদিন শুনেছিলাম। দ্যাখ শক্তি তুই সাধ করে আমাদের বাড়ি একদিন ঘুরতে এসেছিস।জেনেশুনে তোকে বিপদে ফেলতে পারিনা।আর আমারো শুধু,শুধু ঝুঁকি নেওয়ার কোন ইচ্ছে নেই।একটা রাত সিগারেট না খেয়ে অনায়াসে থাকা যায়।আমি তো সাতদিন পর্যন্ত থেকেছি।আর বিহুকে বোঝানোর দায়িত্ব আমার উপর ছেড়ে দে। চল এবার শুয়ে পড়ি।

    ----তাহলে চল ছাদে গিয়ে দু টান মেরে আসি।

    ----ওখানে দাদু আর বাবা ঘুমোচ্ছে।সারা গ্রীষ্মকাল ওখানেই ঘুমোয়।আর বাথরুমে তো একদম চলবে না। কে,কোন সময় ঢুকবে..কোন ঠিক আছে কী?..ভস..ভস গন্ধ বেরুবে।ও সব বেহায়াগিরী ছাড়।চল গিয়ে শুয়ে পড়ি।একবার চোখ লাগলেই সকাল।তারপর আমি তোকে পুকুর পাড়ে নিয়ে যাব ।যতগুলো ইচ্ছে টানবি।



    (দুই)

    শক্তি মোবাইলের সুইচ টিপে একবার সময়টা দেখে নিল।

    বারোটা পনেরো।পাশেই শুভ মড়ার মত শুয়ে আছে।ঘর্ ঘর্ করে নাক ডাকছে।

    শুধু তার দুচোখে ঘুম নেই। সিগারেটের নেশাটা মস্তিস্কের স্নায়ুগুলোকে শিথিল হতে দিচ্ছে না।

    তাই এখনো অব্দি দু চোখ এক হল না।

    শক্তি বুঝে গেল।সিগারেটের ধোঁয়া অল্প না পেলে তার ঘুম আর আসবে না।

    তাই সাবধানে আস্তে করে ওঠে পড়ল।ফ্ল্যাসটা না জ্বেলে শুধু স্ক্রীনের আলোতে শুভর জিন্সের পকেটদুটো ঘাঁটল।প্যাকেটটা হাতে লাগল না।

    এবার সে উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে বালিসের তলায় ধীরে, ধীরে হাতটা বোলাল।প্যাকেট এবং মাচিস দুটোই পাওয়া গেল।

    শক্তি মনে মনে অল্প হাসল।

    তারপর পা টিপে,টিপে সদর দরজার লকটা নিঃশব্দে খুলে পরে সেটা আলতো ভেঁজিয়ে দিয়ে মনের আনন্দে বাইরে বেরিয়ে পড়ল।

    বাইরের বাতাসটা একটু ঠান্ডা হয়ে এসেছে।

    এলোমেলা ঝাপটা মারছে।বেশ সুন্দর একটা অনুভূতি ফুটে উঠল শক্তির সারা গায়ে।

    চাঁদটা অর্ধেক হয়ে এসেছে।তবু জ্যোৎস্নাটা এখনো বেশ উজ্বল আছে।

    একেবারে দিন বলেই মনে হচ্ছে।

    কিছুদূর হেঁটে যেতেই গ্রামের শেষ প্রান্তে একটা কালভার্ট পাওয়া গেল।উচু মত করা আছে।বসার একদম উপযুক্ত জায়গা।

    শক্তি পকেট থেকে সিগারেট বের করে ধরাল।দু টান দিয়েছে।

    তারপরেই বিহুর কথা মনে পড়ে গেল।রাতও হয়েছে।আজ আর থাক।ওকে অসময়ে জাগিয়ে তোলাটা ভাল হবে না।

    সিগারেটের প্রথম ছাঁইটা আঙুল ঠুকে ফেলতে গিয়ে প্রথম শব্দটা কানে এল।

    প্রথমে ভাবল নিশ্চয়ই আশেপাশে কোথাও ইঁদুর চেঁচাচ্ছে।সেই রকম ধরণের একটা চি,চি আওয়াজ আসছে।

    তারপরেই বুঝল।না,তা নয়।কারণ ডাকটা ক্রমশ জোরে শোনা যাচ্ছে।

    তখনি একটা বিকট শব্দ তার কানের পর্দায় এসে ধাক্কা খেল।

    সম্ভবত রাতচরা পাখিদের মধ্যে ঝগড়ার কারণে হবে।

    পিছন ফিরে যেই তাকিয়েছে,এমনি তার হাত,পা ঠান্ডা হয়ে এল।

    সত্যি সত্যিই একটা প্রকান্ড মূর্তি হাত দশেক দূরত্বেই একদম খাঁড়া দাঁড়িয়ে আছে।শুধু অবয়বটুকুই সে বুঝতে পারল।হাত,পা,মুখ আছে কিনা জানা নেই।

    ভয়ে গলাটা শুকিয়ে আসছে ঠিক,তবু হিম্মতটুকু পুরোপুরি হারায়নি।

    নিজেকে বোঝাল। নিশ্চয়ই কোন কাপড়,টাপড় টাঙানো আছে।

    সেটা জ্যোৎস্নার আলোয় অন্য রূপ ধারণ করেছে।

    হাতের সিগারেটটাই আর একটা টান দিয়ে শক্তি, মূর্তিটার দিকে ধীর পায়ে অগ্রসর হতে লাগল।

    যত ভয় পাচ্ছে..তত ঘন,ঘন সিগারেটে টান দিচ্ছে।সামনে যেতেই সিগারেটের আগুনটা ছ্যাত করে আঙুলের ডগায় লাগল।

    মোক্ষম সময়ে শেষ হয়ে গেল।

    আর একটা ধরাতে গিয়ে দেখল অবয়বটা নড়ছে।

    ঝপাত করে একটা পর্দা আকাশে ওড়ে গেল।তার ভেতর থেকে বীভৎস একটা ছায়ামূর্তি বেরিয়ে এল।

    শক্তি ছুটতে গিয়ে টাল খেয়ে ধড়াম করে শুকনো মাটিতে পড়ে গেল।সম্ভবত অজ্ঞান হয়ে গেছে।



    (তিন)

    দু হাতের তালির শব্দ পেয়ে মানুষটা মোমবাতির আলোয় ঘুরে দাঁড়াল।

    প্রায় ছ ফুট উচ্চতা।তাগড়ায় চেহারা।এক মাথা ঝাঁকড়া চুল।

    শক্তি হাততালি থামিয়ে বলে উঠল, আর একটা সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছে ছিল।কিন্তু আপনার তো আবার সিগারেটের ধোঁয়া সহ্য হয় না।...কী ঠিক বলেছি তো?

    লোকটা জড়ানো গলায় বলে উঠল,আ...আ....পনি!!..এখানে কী করে এলেন?

    ----প্রথমেই বলে রাখি।আমি কিন্তু শহরে বড় হয়েছি।আর ভূতকে আমি কোন কালেই ভয় পাই না।আমি বিজ্ঞানের ছাত্র বলে বলছি না। আসলে ওসব আমার ধাতে নেয়।আমি যেমন ভগবান আছে বলি বিশ্বাস করি না।তেমনি ভূতকেও না।

    ভূত যে সিগারেটের ধোঁয়ায় কাশে এটা আমার ঠিক ধারণা ছিল না।

    তাই ইচ্ছে করেই অজ্ঞান হওয়ার নাটক করে দুম করে পড়ে গেলাম।ঠিক তার পরের দৃশ্যগুলো দেখার জন্য।

    তারপর পিছু নিয়ে এখানে এসে পৌঁছলাম।তা ভূতবাবু, কেন করেন এসব? একটু খুলে বলবেন কী?



    লোকটা বুঝে গেল।আর লুকিয়ে কোন লাভ হবে না। একদম হাতে,নাতে ধরা পড়ে গেছে।

    তাই শান্ত গলায় বলে উঠল, আমার নাম মিলন চৌধুরি।বাংলায় এম.এ করেছি।তারপর অনেকদিন যাবৎ বেকার বসে ছিলাম।এই কয়েক বছর আগে ব্লক অফিসে একটা ছোটখাটো কাজ পেয়েছি।বাড়িতে একা থাকি।মা,বাবা কেউ বেঁচে নেই। বিয়েও করিনি।বেকার ছিলাম তাই।

    আসলে শিক্ষিত বলেই কষ্ট হত। জন্মভূমির বেহাল অবস্থা দেখে।

    কয়েক বছর আগে গ্রামটা একেবারে নরকপুরি হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

    রাত হলেই কুপির আলোয় ঝোঁপে,ঝাড়ে সর্বত্র জুয়াখেলার আসর বসত।তারসাথে চলত চোলায় মদের ঠেক।

    ঘরে,ঘরে অশান্তি লেগেই ছিল।তাছাড়া মানুষজন রাতের অন্ধকারে রাস্তার দুদিকে মল ত্যাগ করে একেবারে যাচ্ছে তাই অবস্থা করে রেখেছিল। আমি ব্লক থেকে বি.ডি.ও সাহেবকে ডেকে গ্রামের সমস্ত পরিস্থিতি দেখায়।উনি ঘরে,ঘরে শৌচালয় করার ডাক দিলেন।কেউ আর এগিয়ে এলেন না।

    মাইকে করে ঘোষণা করা হল।যাতে রাতে জুয়ো এবং মদের আড্ডা বন্ধ করা হয়।

    কেউ কানে তুললেন না।

    তখনি আমি একদিন গভীরভাবে চিন্তা করতে বসলাম।কী ভাবে জন্মভূমির এই জঞ্জালকে সাফায় করব?

    তখনি হঠাৎ মাথার মধ্যে বুদ্ধিটা খেলে গেল।

    মানুষ বিনম্র মানাকে উপেক্ষা করে।কিন্তু ভূতের ভয়কে উপেক্ষা করার সাহস কারু নেয়। তাই আমি ঠিক করলাম।এবার থেকে আমি ভূত হব।

    তাই পরের রাত থেকেই আমি নেমে পড়লাম।

    বিভিন্ন রকম ভূতের বই পড়ে ভূত সম্বন্ধে নানা ধারণা জোগাড় করে ফেললাম।সেইমত সবাইকে ভয় দেখাতাম।ভূতকে আমি বিশ্বাস করি না।তবে মানুষের নৈতিক অধঃপতনকে অবশ্যই করি।যা ভূতের ভয় থেকে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর!

    কিন্তু গাঁয়ের সাধারণ মানুষ সেসব বোঝেন না। তাই এসব করতে বাধ্য হয়েছি।

    তার ফলে আজ গ্রামের প্রত্যেক ঘরে পায়খানা,বাথরুম হয়েছে। এখন রাত কেন দিনের বেলাতেও অনেকেই মাঠে পায়খানা করেন না। ভূতের ভয়ে,জুয়ো,মদ সব বন্ধ হয়ে গেছে। এখন অন্য গ্রামে বসে।

    এখন যা পরিস্থিতি সব গাঁয়ে আমার মত একজন করে শিক্ষিত,বিবেকবান ভুতের খুব দরকার।

    কিন্তু কে করবে এসব? জীবনের ঝুঁকি নিয়ে? রাতের ঘুম বিসর্জণ দিয়ে?শুধু আমার মত একজন পাগল ছাড়া?

    আপনি অনায়াসে সত্য ঘটনাটা সবাইকে জানাতে পারেন।তবে ভেবে দেখুন...তার ফলটা কিন্তু এই গ্রামের পক্ষে মোটেও ভাল হবে না।



    (চার)

    কানে,কানে খবরটা এই ভর রাতেও চাউর হয়ে গেল।

    শুভদের বাড়ি ঘুরতে আসা শহুরে ছেলেটাকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঠিক ভূতে টেনেছে!

    তাই এই রাত তিনটের সময় সকলে লাইট নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে শক্তিকে খুঁজতে বেরিয়েছেন।

    জানলার ফাঁকে গ্রামবাসিদের হৈ চৈ শব্দ শুনে মিলন এবং শক্তি বাইরে তাকিয়ে দেখল।সকলেই শক্তিকে খুঁজছেন।

    ব্যাপারটা বুঝতে পেরে মিলন বলে উঠল, আপনার আর ভেতরে থাকাটা ভাল হবে না। চলুন দেখা দিই।

    শক্তি শান্ত গলায় বলল,ঠিক বলেছেন।আসুন তাহলে।

    বাইরে বেরুতেই একজনের নজরে পড়ে গেল।তিনিই চিৎকার করে সকলকে ডাকলেন।

    শুভ হাঁপাতে,হাঁপাতে বলে উঠল,কোথায় ছিলি এত রাতে? তোকে আমি কত করে মানা করলাম।বেরুবি না। কেন এলি তুই বাইরে?

    শক্তি বলে উঠল,আমাকে ডাক পাড়ছিল তো।শক্তি আয়...শক্তি আয় বলে ।আমি ভাবলাম..কেউ বোধ হয় বিপদে পড়ে আমাকে সাহায্য করার জন্য ডাকছেন? তাই আমি বেরুলাম।

    তখনি এই ভদ্রলোক বাইরে আমাকে দেখে থামালেন।নিজের কাছে ডেকে বসালেন।তারপর সব কথা খুলে বললেন।আমাকে নাকি ভূতে পেয়েছে।তাই উনি আমাকে কোথাও যেতে দিলেন না। নিজের কাছে টেনে বসিয়ে রাখলেন।

    সবাই বলে উঠলেন,যাক এই যাত্রায় বড় বেঁচে গেছো।মিলনের দয়ায়।জানো না তো বাপু...এই গ্রামে ইয়া লম্বা,তাগড়ায় চেহারার এক দাপুটে ভূত আছে। সম্ভবত কোন অতৃপ্ত জমিদারের আত্মা,টাত্মা হবে বোধ হয়।

    তখনি সবাইকে অবাক করে দিয়ে শক্তি টুক করে মিলনের পা ছুঁয়ে একটা প্রণাম করে বলে উঠল,প্রথম কোন দেবতার আজ দেখা পেলাম।ভাল থাকবেন।

    -----সমাপ্ত----


    (এক) শুভ বলে উঠল,চল শক্তি এবার শুয়ে পড়া যাক।রাত অনেকটা হল। শক্তি সাবধানে এদিক,ওদিক তাকিয়ে টিভিটা বন্ধ করে দিল। তারপর শুভকে ডাকল,শোন। শুভ সামনে আসার পর বলল,প্যাকেটটা কোথায় রেখেছিস? শুভ চোখদুটো বড়,বড় করে বলে উঠল,তোর কী মাথা খারাপ হয়ে গেছে? আমি তোকে আসার আগেই বলেছিলাম।ওসব বাজে জিনিস এখানে একদম চলবে না। তখন কী বলেছিলি মনে আছে? শক্তি বলে উঠল, সব মনে আছে।তোর মত অত শর্ট মেমোরি আমার নয়।ক্যামেস্ট্রিতে দু নাম্বার হলেও তোর থেকে বেশি পেয়েছি।আরে ইয়্যার আমি কী তোদের বাড়িতে খাচ্ছি নাকি? চল বাইরে।মাঠের দিকে খোলা হাওয়ায় একটু পায়চারি করে আসি।বিহু তিনবার কল করেছিল।ঠিক মত কথাও বলতে পারিনি।তোদের এইটুকু ঘরে ..এত মানুষের সব সময় আসা-যাওয়া! পাশ থেকে কে কি আওয়াজ দিয়ে চলে যাবে।সেই ভয়ে পরে করব বলে পাস কাটিয়ে গেছি।একবার ওর সাথেও খুলে কথা বলা হবে। শুভ একটু হেসে জবাব দিল,তোর মাথা,টাথা খারাপ হলেও আমার তো ঠিক আছে। এই সময় আর বাইরে? আমাদের গাঁয়ের কথা জানিস কিছু?চুপচাপ সিগারেটের কথা ভুলে শুয়ে পড়। ----কেনরে তোদের গায়ে কী রাতের বেলায় আমজাদ খান ঘোড়ায় চেপে ডাকাতি করতে আসে? ----তার থেকেও ভয়ঙ্কর! ---তাহলে নিশ্চয়ই সানি লিওন হবে? ----ইয়ার্কি না শক্তি।আমাদের গাঁয়ে রাত নটার পর আর কেউ বাইরে ঘোরে না। বছর তিনেক হল ভূতের উপদ্রব বেড়েছে।সেই ভয়ে রাতের বেলায় কেউ বাইরে বেরোই না। অনেকেই সেই ভূতের দেখা পেয়েছে। শক্তি কথাটা শুনে একটু হেসে বলে উঠল, আরে কিচ্ছু হবে না শুভ।তুই না সায়েন্সের স্টুডেন্ট! এসব ফালতু জিনিসেকে কবে থেকে বিশ্বাস করতে শুরু করলি? ---ফালতু! তোর কী মনে হয়,আমি ফালতু বকছি?আরে বাবা...আমার কাকু নিজের চোখে দু-দুবার দেখেছে।একবার তো বাড়ি এসেই দুম করে উঠোনে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।ভাগ্যিস সেদিন আমি হোস্টেল থেকে বাড়ি ফিরেছিলাম তাই রেহায়।মুখে জলের ঝাপটা আর নার্ভ পয়েন্টে আকুপাংচার করে জ্ঞান ফেরায়।তারপর নিজের মুখে আমি সব কথা সেদিন শুনেছিলাম। দ্যাখ শক্তি তুই সাধ করে আমাদের বাড়ি একদিন ঘুরতে এসেছিস।জেনেশুনে তোকে বিপদে ফেলতে পারিনা।আর আমারো শুধু,শুধু ঝুঁকি নেওয়ার কোন ইচ্ছে নেই।একটা রাত সিগারেট না খেয়ে অনায়াসে থাকা যায়।আমি তো সাতদিন পর্যন্ত থেকেছি।আর বিহুকে বোঝানোর দায়িত্ব আমার উপর ছেড়ে দে। চল এবার শুয়ে পড়ি। ----তাহলে চল ছাদে গিয়ে দু টান মেরে আসি। ----ওখানে দাদু আর বাবা ঘুমোচ্ছে।সারা গ্রীষ্মকাল ওখানেই ঘুমোয়।আর বাথরুমে তো একদম চলবে না। কে,কোন সময় ঢুকবে..কোন ঠিক আছে কী?..ভস..ভস গন্ধ বেরুবে।ও সব বেহায়াগিরী ছাড়।চল গিয়ে শুয়ে পড়ি।একবার চোখ লাগলেই সকাল।তারপর আমি তোকে পুকুর পাড়ে নিয়ে যাব ।যতগুলো ইচ্ছে টানবি। (দুই) শক্তি মোবাইলের সুইচ টিপে একবার সময়টা দেখে নিল। বারোটা পনেরো।পাশেই শুভ মড়ার মত শুয়ে আছে।ঘর্ ঘর্ করে নাক ডাকছে। শুধু তার দুচোখে ঘুম নেই। সিগারেটের নেশাটা মস্তিস্কের স্নায়ুগুলোকে শিথিল হতে দিচ্ছে না। তাই এখনো অব্দি দু চোখ এক হল না। শক্তি বুঝে গেল।সিগারেটের ধোঁয়া অল্প না পেলে তার ঘুম আর আসবে না। তাই সাবধানে আস্তে করে ওঠে পড়ল।ফ্ল্যাসটা না জ্বেলে শুধু স্ক্রীনের আলোতে শুভর জিন্সের পকেটদুটো ঘাঁটল।প্যাকেটটা হাতে লাগল না। এবার সে উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে বালিসের তলায় ধীরে, ধীরে হাতটা বোলাল।প্যাকেট এবং মাচিস দুটোই পাওয়া গেল। শক্তি মনে মনে অল্প হাসল। তারপর পা টিপে,টিপে সদর দরজার লকটা নিঃশব্দে খুলে পরে সেটা আলতো ভেঁজিয়ে দিয়ে মনের আনন্দে বাইরে বেরিয়ে পড়ল। বাইরের বাতাসটা একটু ঠান্ডা হয়ে এসেছে। এলোমেলা ঝাপটা মারছে।বেশ সুন্দর একটা অনুভূতি ফুটে উঠল শক্তির সারা গায়ে। চাঁদটা অর্ধেক হয়ে এসেছে।তবু জ্যোৎস্নাটা এখনো বেশ উজ্বল আছে। একেবারে দিন বলেই মনে হচ্ছে। কিছুদূর হেঁটে যেতেই গ্রামের শেষ প্রান্তে একটা কালভার্ট পাওয়া গেল।উচু মত করা আছে।বসার একদম উপযুক্ত জায়গা। শক্তি পকেট থেকে সিগারেট বের করে ধরাল।দু টান দিয়েছে। তারপরেই বিহুর কথা মনে পড়ে গেল।রাতও হয়েছে।আজ আর থাক।ওকে অসময়ে জাগিয়ে তোলাটা ভাল হবে না। সিগারেটের প্রথম ছাঁইটা আঙুল ঠুকে ফেলতে গিয়ে প্রথম শব্দটা কানে এল। প্রথমে ভাবল নিশ্চয়ই আশেপাশে কোথাও ইঁদুর চেঁচাচ্ছে।সেই রকম ধরণের একটা চি,চি আওয়াজ আসছে। তারপরেই বুঝল।না,তা নয়।কারণ ডাকটা ক্রমশ জোরে শোনা যাচ্ছে। তখনি একটা বিকট শব্দ তার কানের পর্দায় এসে ধাক্কা খেল। সম্ভবত রাতচরা পাখিদের মধ্যে ঝগড়ার কারণে হবে। পিছন ফিরে যেই তাকিয়েছে,এমনি তার হাত,পা ঠান্ডা হয়ে এল। সত্যি সত্যিই একটা প্রকান্ড মূর্তি হাত দশেক দূরত্বেই একদম খাঁড়া দাঁড়িয়ে আছে।শুধু অবয়বটুকুই সে বুঝতে পারল।হাত,পা,মুখ আছে কিনা জানা নেই। ভয়ে গলাটা শুকিয়ে আসছে ঠিক,তবু হিম্মতটুকু পুরোপুরি হারায়নি। নিজেকে বোঝাল। নিশ্চয়ই কোন কাপড়,টাপড় টাঙানো আছে। সেটা জ্যোৎস্নার আলোয় অন্য রূপ ধারণ করেছে। হাতের সিগারেটটাই আর একটা টান দিয়ে শক্তি, মূর্তিটার দিকে ধীর পায়ে অগ্রসর হতে লাগল। যত ভয় পাচ্ছে..তত ঘন,ঘন সিগারেটে টান দিচ্ছে।সামনে যেতেই সিগারেটের আগুনটা ছ্যাত করে আঙুলের ডগায় লাগল। মোক্ষম সময়ে শেষ হয়ে গেল। আর একটা ধরাতে গিয়ে দেখল অবয়বটা নড়ছে। ঝপাত করে একটা পর্দা আকাশে ওড়ে গেল।তার ভেতর থেকে বীভৎস একটা ছায়ামূর্তি বেরিয়ে এল। শক্তি ছুটতে গিয়ে টাল খেয়ে ধড়াম করে শুকনো মাটিতে পড়ে গেল।সম্ভবত অজ্ঞান হয়ে গেছে। (তিন) দু হাতের তালির শব্দ পেয়ে মানুষটা মোমবাতির আলোয় ঘুরে দাঁড়াল। প্রায় ছ ফুট উচ্চতা।তাগড়ায় চেহারা।এক মাথা ঝাঁকড়া চুল। শক্তি হাততালি থামিয়ে বলে উঠল, আর একটা সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছে ছিল।কিন্তু আপনার তো আবার সিগারেটের ধোঁয়া সহ্য হয় না।...কী ঠিক বলেছি তো? লোকটা জড়ানো গলায় বলে উঠল,আ...আ....পনি!!..এখানে কী করে এলেন? ----প্রথমেই বলে রাখি।আমি কিন্তু শহরে বড় হয়েছি।আর ভূতকে আমি কোন কালেই ভয় পাই না।আমি বিজ্ঞানের ছাত্র বলে বলছি না। আসলে ওসব আমার ধাতে নেয়।আমি যেমন ভগবান আছে বলি বিশ্বাস করি না।তেমনি ভূতকেও না। ভূত যে সিগারেটের ধোঁয়ায় কাশে এটা আমার ঠিক ধারণা ছিল না। তাই ইচ্ছে করেই অজ্ঞান হওয়ার নাটক করে দুম করে পড়ে গেলাম।ঠিক তার পরের দৃশ্যগুলো দেখার জন্য। তারপর পিছু নিয়ে এখানে এসে পৌঁছলাম।তা ভূতবাবু, কেন করেন এসব? একটু খুলে বলবেন কী? লোকটা বুঝে গেল।আর লুকিয়ে কোন লাভ হবে না। একদম হাতে,নাতে ধরা পড়ে গেছে। তাই শান্ত গলায় বলে উঠল, আমার নাম মিলন চৌধুরি।বাংলায় এম.এ করেছি।তারপর অনেকদিন যাবৎ বেকার বসে ছিলাম।এই কয়েক বছর আগে ব্লক অফিসে একটা ছোটখাটো কাজ পেয়েছি।বাড়িতে একা থাকি।মা,বাবা কেউ বেঁচে নেই। বিয়েও করিনি।বেকার ছিলাম তাই। আসলে শিক্ষিত বলেই কষ্ট হত। জন্মভূমির বেহাল অবস্থা দেখে। কয়েক বছর আগে গ্রামটা একেবারে নরকপুরি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রাত হলেই কুপির আলোয় ঝোঁপে,ঝাড়ে সর্বত্র জুয়াখেলার আসর বসত।তারসাথে চলত চোলায় মদের ঠেক। ঘরে,ঘরে অশান্তি লেগেই ছিল।তাছাড়া মানুষজন রাতের অন্ধকারে রাস্তার দুদিকে মল ত্যাগ করে একেবারে যাচ্ছে তাই অবস্থা করে রেখেছিল। আমি ব্লক থেকে বি.ডি.ও সাহেবকে ডেকে গ্রামের সমস্ত পরিস্থিতি দেখায়।উনি ঘরে,ঘরে শৌচালয় করার ডাক দিলেন।কেউ আর এগিয়ে এলেন না। মাইকে করে ঘোষণা করা হল।যাতে রাতে জুয়ো এবং মদের আড্ডা বন্ধ করা হয়। কেউ কানে তুললেন না। তখনি আমি একদিন গভীরভাবে চিন্তা করতে বসলাম।কী ভাবে জন্মভূমির এই জঞ্জালকে সাফায় করব? তখনি হঠাৎ মাথার মধ্যে বুদ্ধিটা খেলে গেল। মানুষ বিনম্র মানাকে উপেক্ষা করে।কিন্তু ভূতের ভয়কে উপেক্ষা করার সাহস কারু নেয়। তাই আমি ঠিক করলাম।এবার থেকে আমি ভূত হব। তাই পরের রাত থেকেই আমি নেমে পড়লাম। বিভিন্ন রকম ভূতের বই পড়ে ভূত সম্বন্ধে নানা ধারণা জোগাড় করে ফেললাম।সেইমত সবাইকে ভয় দেখাতাম।ভূতকে আমি বিশ্বাস করি না।তবে মানুষের নৈতিক অধঃপতনকে অবশ্যই করি।যা ভূতের ভয় থেকে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর! কিন্তু গাঁয়ের সাধারণ মানুষ সেসব বোঝেন না। তাই এসব করতে বাধ্য হয়েছি। তার ফলে আজ গ্রামের প্রত্যেক ঘরে পায়খানা,বাথরুম হয়েছে। এখন রাত কেন দিনের বেলাতেও অনেকেই মাঠে পায়খানা করেন না। ভূতের ভয়ে,জুয়ো,মদ সব বন্ধ হয়ে গেছে। এখন অন্য গ্রামে বসে। এখন যা পরিস্থিতি সব গাঁয়ে আমার মত একজন করে শিক্ষিত,বিবেকবান ভুতের খুব দরকার। কিন্তু কে করবে এসব? জীবনের ঝুঁকি নিয়ে? রাতের ঘুম বিসর্জণ দিয়ে?শুধু আমার মত একজন পাগল ছাড়া? আপনি অনায়াসে সত্য ঘটনাটা সবাইকে জানাতে পারেন।তবে ভেবে দেখুন...তার ফলটা কিন্তু এই গ্রামের পক্ষে মোটেও ভাল হবে না। (চার) কানে,কানে খবরটা এই ভর রাতেও চাউর হয়ে গেল। শুভদের বাড়ি ঘুরতে আসা শহুরে ছেলেটাকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঠিক ভূতে টেনেছে! তাই এই রাত তিনটের সময় সকলে লাইট নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে শক্তিকে খুঁজতে বেরিয়েছেন। জানলার ফাঁকে গ্রামবাসিদের হৈ চৈ শব্দ শুনে মিলন এবং শক্তি বাইরে তাকিয়ে দেখল।সকলেই শক্তিকে খুঁজছেন। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে মিলন বলে উঠল, আপনার আর ভেতরে থাকাটা ভাল হবে না। চলুন দেখা দিই। শক্তি শান্ত গলায় বলল,ঠিক বলেছেন।আসুন তাহলে। বাইরে বেরুতেই একজনের নজরে পড়ে গেল।তিনিই চিৎকার করে সকলকে ডাকলেন। শুভ হাঁপাতে,হাঁপাতে বলে উঠল,কোথায় ছিলি এত রাতে? তোকে আমি কত করে মানা করলাম।বেরুবি না। কেন এলি তুই বাইরে? শক্তি বলে উঠল,আমাকে ডাক পাড়ছিল তো।শক্তি আয়...শক্তি আয় বলে ।আমি ভাবলাম..কেউ বোধ হয় বিপদে পড়ে আমাকে সাহায্য করার জন্য ডাকছেন? তাই আমি বেরুলাম। তখনি এই ভদ্রলোক বাইরে আমাকে দেখে থামালেন।নিজের কাছে ডেকে বসালেন।তারপর সব কথা খুলে বললেন।আমাকে নাকি ভূতে পেয়েছে।তাই উনি আমাকে কোথাও যেতে দিলেন না। নিজের কাছে টেনে বসিয়ে রাখলেন। সবাই বলে উঠলেন,যাক এই যাত্রায় বড় বেঁচে গেছো।মিলনের দয়ায়।জানো না তো বাপু...এই গ্রামে ইয়া লম্বা,তাগড়ায় চেহারার এক দাপুটে ভূত আছে। সম্ভবত কোন অতৃপ্ত জমিদারের আত্মা,টাত্মা হবে বোধ হয়। তখনি সবাইকে অবাক করে দিয়ে শক্তি টুক করে মিলনের পা ছুঁয়ে একটা প্রণাম করে বলে উঠল,প্রথম কোন দেবতার আজ দেখা পেলাম।ভাল থাকবেন। -----সমাপ্ত----
    Love
    Like
    9
    ·246 Views ·0 Reviews
  • কোরআন তিলাওয়াত শোনা: ইবনে মাস’ঊদ (রা.)-কে নবীজি (সা.) বলেছিলেন, ‘আমার কোরআন তিলাওয়াত কররে শোনাও।’ ইবনে মাস’ঊদ বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল, আমি আপনাকে কোরআন শোনাব, অথচ কোরআন আপনার ওপর নাজিল হয়েছে?’ নবীজি উত্তর দিলেন, ‘আমি অন্যদের কাছে কোরআন শুনতে ভালোবাসি।’ ইবনে মাস’ঊদ (রা.) তখন সুরা নিসা তিলাওয়াত শুরু করেন। ৪১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত এলে আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, ‘এখন থামো।’ ইবনে মাস’ঊদ (রা.) বলেন, ‘আমি তাঁর দিকে তাকালাম, দেখলাম তাঁর চোখ অশ্রুতে ভিজে গেছে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫,০৪৯, ৫,০৫০, ৫,০৫৫ ও সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮০০)কোরআন শুনে যদি অন্তর নরম না হয়, তাহলে ‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম’ বলুন, কারণ শয়তান কোরআন শোনার মধ্যে আপনাকে বিরক্ত করতে পছন্দ করে, আর তারপর ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ বলুন, যা আপনি অধিকাংশ ভালো কাজের শুরুতে বলেন। এরপর সুরটি আবার শুনুন।
    স্মরণ করুন, আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমাদের জন্য কি এখনো সেই সময় আসেনি, যখন বিশ্বাসীরা আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য অবতীর্ণ হয়েছে, তার কারণে বিনীত ও নরম হৃদয় হবে? যেন তারা তাদের পূর্ববর্তী সেই লোকদের মতো না হয়, যাদের কিতাব দেওয়া হয়েছিল; অতঃপর দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ায় তাদের হৃদয় কঠোর হয়ে গিয়েছিল এবং তাদের অনেকেই ছিল অবাধ্য।’ (সুরা হাদিদ, আয়াত: ১৬)
    ২. প্রতিদিন এক মিনিট ব্যায়াম: আল্লাহর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুন। কখনো কি ভেবেছেন যে আল্লাহ আপনাকে কতটা যত্ন নেন, কীভাবে তিনি বারবার আপনাকে আপনার প্রত্যাশা পূরণ করেন? আপনি কি কখনো তাঁর শক্তি এবং আপনার দুর্বলতা, আপনার মৃত্যু এবং তাঁর চিরকালীন জীবন নিয়ে চিন্তা করেছেন? একা বসে এক মিনিটের জন্য ভাবুন, সেই মুহূর্তের কথা যখন আপনাকে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে।
    সালমান ফারসি (রা.) বলেন, ‘তিনটি বিষয় আমাকে কাঁদায়: আমাদের প্রিয় মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর সাহাবিদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার যন্ত্রণা; মৃত্যুর যন্ত্রণা শুরুর ভয় এবং আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে থাকার ভয়: সেখানে আমি জানি না, আমি জাহান্নামে চলে যাব নাকি জান্নাতে।’ (ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন, ইমাম গাজালি
    কোরআন তিলাওয়াত শোনা: ইবনে মাস’ঊদ (রা.)-কে নবীজি (সা.) বলেছিলেন, ‘আমার কোরআন তিলাওয়াত কররে শোনাও।’ ইবনে মাস’ঊদ বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল, আমি আপনাকে কোরআন শোনাব, অথচ কোরআন আপনার ওপর নাজিল হয়েছে?’ নবীজি উত্তর দিলেন, ‘আমি অন্যদের কাছে কোরআন শুনতে ভালোবাসি।’ ইবনে মাস’ঊদ (রা.) তখন সুরা নিসা তিলাওয়াত শুরু করেন। ৪১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত এলে আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, ‘এখন থামো।’ ইবনে মাস’ঊদ (রা.) বলেন, ‘আমি তাঁর দিকে তাকালাম, দেখলাম তাঁর চোখ অশ্রুতে ভিজে গেছে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫,০৪৯, ৫,০৫০, ৫,০৫৫ ও সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮০০)কোরআন শুনে যদি অন্তর নরম না হয়, তাহলে ‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম’ বলুন, কারণ শয়তান কোরআন শোনার মধ্যে আপনাকে বিরক্ত করতে পছন্দ করে, আর তারপর ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ বলুন, যা আপনি অধিকাংশ ভালো কাজের শুরুতে বলেন। এরপর সুরটি আবার শুনুন। স্মরণ করুন, আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমাদের জন্য কি এখনো সেই সময় আসেনি, যখন বিশ্বাসীরা আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য অবতীর্ণ হয়েছে, তার কারণে বিনীত ও নরম হৃদয় হবে? যেন তারা তাদের পূর্ববর্তী সেই লোকদের মতো না হয়, যাদের কিতাব দেওয়া হয়েছিল; অতঃপর দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ায় তাদের হৃদয় কঠোর হয়ে গিয়েছিল এবং তাদের অনেকেই ছিল অবাধ্য।’ (সুরা হাদিদ, আয়াত: ১৬) ২. প্রতিদিন এক মিনিট ব্যায়াম: আল্লাহর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুন। কখনো কি ভেবেছেন যে আল্লাহ আপনাকে কতটা যত্ন নেন, কীভাবে তিনি বারবার আপনাকে আপনার প্রত্যাশা পূরণ করেন? আপনি কি কখনো তাঁর শক্তি এবং আপনার দুর্বলতা, আপনার মৃত্যু এবং তাঁর চিরকালীন জীবন নিয়ে চিন্তা করেছেন? একা বসে এক মিনিটের জন্য ভাবুন, সেই মুহূর্তের কথা যখন আপনাকে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে। সালমান ফারসি (রা.) বলেন, ‘তিনটি বিষয় আমাকে কাঁদায়: আমাদের প্রিয় মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর সাহাবিদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার যন্ত্রণা; মৃত্যুর যন্ত্রণা শুরুর ভয় এবং আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে থাকার ভয়: সেখানে আমি জানি না, আমি জাহান্নামে চলে যাব নাকি জান্নাতে।’ (ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন, ইমাম গাজালি
    Love
    Like
    4
    ·95 Views ·0 Reviews
More Results
Jono Sathi - Bangladeshi Social Media Platform https://jonosathi.com