• সরকারি চাকরিজীবীরা পেলেন ‘বিশেষ সুবিধা’, অন্যরা পেলেন কী

    গতবারের তুলনায় এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় ১৩ লাখ পশু কম কোরবানি হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার ৩৩ লাখ ১০ হাজারের বেশি কোরবানির পশু অবিক্রীত রয়েছে।

    এই চিত্র নিশ্চিতভাবেই আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন। এবার এত পশু কেন অবিক্রীত থেকে গেল, তার ব্যাখ্যা হিসেবে কাউকে কাউকে বলতে শুনছি, ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত অনেকেই কোরবানি দেননি। কিন্তু এটাও বাস্তবতা যে গত ১০ মাসে আওয়ামী লীগের দখলে থাকা হাটবাজার, সেতু থেকে শুরু করে জলমহাল, বালুমহাল, টেন্ডারবাজি, ফুটপাত—সবকিছুর দখল চলে গেছে বিএনপির নেতা–কর্মীদের কাছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নতুন দল এনসিপির নেতা–কর্মীসহ গণ অধিকার পরিষদের অনেক নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতি-কেলেঙ্কারি এবং সরকারি কাজে ভাগ–বাঁটোয়ারা, তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দলের অর্থনৈতিক ভিত্তি আগে থেকেই শক্তিশালী। গত ১০ মাসে তাদের কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্নেই পরিচালিত হয়েছে। ফলে রাজনীতিকে আশ্রয় করে নতুন অর্থনৈতিক শ্রেণি দৃশ্যমানভাবেই উপস্থিত। এরপরও কেন এ বছর এত পশু অবিক্রীত থাকল?

    এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমাদের অর্থনীতির দিকে ফিরে তাকাতে হবে। শেখ হাসিনা যে ক্রোনি ক্যাপিটালিজম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেখানে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আমলাতন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত একটি কুলীন গোষ্ঠীই সবকিছুর নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছিল। নাগরিকেরা সেখানে ছিলেন নিছক কর-ভ্যাট-রাজস্বের জোগানদার। ফলে একদিকে ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর হাতে সম্পদের বড় অংশটা পুঞ্জিভূত হয়েছে আর অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে মানুষের দারিদ্র্য বেড়েছে।

    চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের পতন নিঃসন্দেহে অনন্য এক অর্জন। সব শ্রেণি–পেশার মানুষ পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নেমে এসেছিলেন রাস্তায়। কিন্তু অভ্যুত্থান বিশাল জনপ্রত্যাশা তৈরি করেছিল তার একটা বড় জায়গা ছিল, সাধারণ মানুষ ভেবেছিলেন যে তাঁদের ঘাড়ের ওপর সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে বসা ক্রোনিতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন আসবে। সরকারি সেবা তাঁরা বিনা ঘুষে, বিনা হয়রানিতে পাবেন। পদে পদে চাঁদা দিয়ে, নেতা, পাতিনেতা বা উপনেতাদের খাজনা দিয়ে তাঁদের টিকে থাকার লাইসেন্স কিনতে হবে না।

    অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স ১০ মাস পেরিয়েছে। সরকারপ্রধানের কাছ থেকে নির্বাচনের যে সম্ভাব্য সময়সীমা জানা গেছে, তাতে সরকারের কার্যকাল অর্ধেকটা পেরিয়েছে। কিন্তু এ সময়টাতে বন্দোবস্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলকতা, বহুত্ববাদ বা সংস্কারের মতো কঠিন শব্দগুলো শোনা গেলেও যেসব পরিবর্তন হলে নাগরিকেরা রাষ্ট্রের কাছে সরাসরি ভোগান্তি, হয়রানি, ঘুষ ছাড়া সেবা পেতে পারেন, সেই উদ্যোগগুলো মোটেই দৃশ্যমান নেই।

    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    সরকারি চাকরিজীবীরা পেলেন ‘বিশেষ সুবিধা’, অন্যরা পেলেন কী গতবারের তুলনায় এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় ১৩ লাখ পশু কম কোরবানি হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার ৩৩ লাখ ১০ হাজারের বেশি কোরবানির পশু অবিক্রীত রয়েছে। এই চিত্র নিশ্চিতভাবেই আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন। এবার এত পশু কেন অবিক্রীত থেকে গেল, তার ব্যাখ্যা হিসেবে কাউকে কাউকে বলতে শুনছি, ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত অনেকেই কোরবানি দেননি। কিন্তু এটাও বাস্তবতা যে গত ১০ মাসে আওয়ামী লীগের দখলে থাকা হাটবাজার, সেতু থেকে শুরু করে জলমহাল, বালুমহাল, টেন্ডারবাজি, ফুটপাত—সবকিছুর দখল চলে গেছে বিএনপির নেতা–কর্মীদের কাছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নতুন দল এনসিপির নেতা–কর্মীসহ গণ অধিকার পরিষদের অনেক নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতি-কেলেঙ্কারি এবং সরকারি কাজে ভাগ–বাঁটোয়ারা, তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দলের অর্থনৈতিক ভিত্তি আগে থেকেই শক্তিশালী। গত ১০ মাসে তাদের কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্নেই পরিচালিত হয়েছে। ফলে রাজনীতিকে আশ্রয় করে নতুন অর্থনৈতিক শ্রেণি দৃশ্যমানভাবেই উপস্থিত। এরপরও কেন এ বছর এত পশু অবিক্রীত থাকল? এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমাদের অর্থনীতির দিকে ফিরে তাকাতে হবে। শেখ হাসিনা যে ক্রোনি ক্যাপিটালিজম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেখানে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আমলাতন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত একটি কুলীন গোষ্ঠীই সবকিছুর নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছিল। নাগরিকেরা সেখানে ছিলেন নিছক কর-ভ্যাট-রাজস্বের জোগানদার। ফলে একদিকে ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর হাতে সম্পদের বড় অংশটা পুঞ্জিভূত হয়েছে আর অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে মানুষের দারিদ্র্য বেড়েছে। চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের পতন নিঃসন্দেহে অনন্য এক অর্জন। সব শ্রেণি–পেশার মানুষ পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নেমে এসেছিলেন রাস্তায়। কিন্তু অভ্যুত্থান বিশাল জনপ্রত্যাশা তৈরি করেছিল তার একটা বড় জায়গা ছিল, সাধারণ মানুষ ভেবেছিলেন যে তাঁদের ঘাড়ের ওপর সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে বসা ক্রোনিতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন আসবে। সরকারি সেবা তাঁরা বিনা ঘুষে, বিনা হয়রানিতে পাবেন। পদে পদে চাঁদা দিয়ে, নেতা, পাতিনেতা বা উপনেতাদের খাজনা দিয়ে তাঁদের টিকে থাকার লাইসেন্স কিনতে হবে না। অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স ১০ মাস পেরিয়েছে। সরকারপ্রধানের কাছ থেকে নির্বাচনের যে সম্ভাব্য সময়সীমা জানা গেছে, তাতে সরকারের কার্যকাল অর্ধেকটা পেরিয়েছে। কিন্তু এ সময়টাতে বন্দোবস্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলকতা, বহুত্ববাদ বা সংস্কারের মতো কঠিন শব্দগুলো শোনা গেলেও যেসব পরিবর্তন হলে নাগরিকেরা রাষ্ট্রের কাছে সরাসরি ভোগান্তি, হয়রানি, ঘুষ ছাড়া সেবা পেতে পারেন, সেই উদ্যোগগুলো মোটেই দৃশ্যমান নেই। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • সরকারি চাকরিজীবীরা পেলেন ‘বিশেষ সুবিধা’, অন্যরা পেলেন কী

    গতবারের তুলনায় এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় ১৩ লাখ পশু কম কোরবানি হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার ৩৩ লাখ ১০ হাজারের বেশি কোরবানির পশু অবিক্রীত রয়েছে।

    এই চিত্র নিশ্চিতভাবেই আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন। এবার এত পশু কেন অবিক্রীত থেকে গেল, তার ব্যাখ্যা হিসেবে কাউকে কাউকে বলতে শুনছি, ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত অনেকেই কোরবানি দেননি। কিন্তু এটাও বাস্তবতা যে গত ১০ মাসে আওয়ামী লীগের দখলে থাকা হাটবাজার, সেতু থেকে শুরু করে জলমহাল, বালুমহাল, টেন্ডারবাজি, ফুটপাত—সবকিছুর দখল চলে গেছে বিএনপির নেতা–কর্মীদের কাছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নতুন দল এনসিপির নেতা–কর্মীসহ গণ অধিকার পরিষদের অনেক নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতি-কেলেঙ্কারি এবং সরকারি কাজে ভাগ–বাঁটোয়ারা, তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দলের অর্থনৈতিক ভিত্তি আগে থেকেই শক্তিশালী। গত ১০ মাসে তাদের কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্নেই পরিচালিত হয়েছে। ফলে রাজনীতিকে আশ্রয় করে নতুন অর্থনৈতিক শ্রেণি দৃশ্যমানভাবেই উপস্থিত। এরপরও কেন এ বছর এত পশু অবিক্রীত থাকল?

    এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমাদের অর্থনীতির দিকে ফিরে তাকাতে হবে। শেখ হাসিনা যে ক্রোনি ক্যাপিটালিজম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেখানে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আমলাতন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত একটি কুলীন গোষ্ঠীই সবকিছুর নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছিল। নাগরিকেরা সেখানে ছিলেন নিছক কর-ভ্যাট-রাজস্বের জোগানদার। ফলে একদিকে ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর হাতে সম্পদের বড় অংশটা পুঞ্জিভূত হয়েছে আর অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে মানুষের দারিদ্র্য বেড়েছে।

    চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের পতন নিঃসন্দেহে অনন্য এক অর্জন। সব শ্রেণি–পেশার মানুষ পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নেমে এসেছিলেন রাস্তায়। কিন্তু অভ্যুত্থান বিশাল জনপ্রত্যাশা তৈরি করেছিল তার একটা বড় জায়গা ছিল, সাধারণ মানুষ ভেবেছিলেন যে তাঁদের ঘাড়ের ওপর সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে বসা ক্রোনিতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন আসবে। সরকারি সেবা তাঁরা বিনা ঘুষে, বিনা হয়রানিতে পাবেন। পদে পদে চাঁদা দিয়ে, নেতা, পাতিনেতা বা উপনেতাদের খাজনা দিয়ে তাঁদের টিকে থাকার লাইসেন্স কিনতে হবে না।

    অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স ১০ মাস পেরিয়েছে। সরকারপ্রধানের কাছ থেকে নির্বাচনের যে সম্ভাব্য সময়সীমা জানা গেছে, তাতে সরকারের কার্যকাল অর্ধেকটা পেরিয়েছে। কিন্তু এ সময়টাতে বন্দোবস্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলকতা, বহুত্ববাদ বা সংস্কারের মতো কঠিন শব্দগুলো শোনা গেলেও যেসব পরিবর্তন হলে নাগরিকেরা রাষ্ট্রের কাছে সরাসরি ভোগান্তি, হয়রানি, ঘুষ ছাড়া সেবা পেতে পারেন, সেই উদ্যোগগুলো মোটেই দৃশ্যমান নেই।
    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    সরকারি চাকরিজীবীরা পেলেন ‘বিশেষ সুবিধা’, অন্যরা পেলেন কী গতবারের তুলনায় এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় ১৩ লাখ পশু কম কোরবানি হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার ৩৩ লাখ ১০ হাজারের বেশি কোরবানির পশু অবিক্রীত রয়েছে। এই চিত্র নিশ্চিতভাবেই আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন। এবার এত পশু কেন অবিক্রীত থেকে গেল, তার ব্যাখ্যা হিসেবে কাউকে কাউকে বলতে শুনছি, ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত অনেকেই কোরবানি দেননি। কিন্তু এটাও বাস্তবতা যে গত ১০ মাসে আওয়ামী লীগের দখলে থাকা হাটবাজার, সেতু থেকে শুরু করে জলমহাল, বালুমহাল, টেন্ডারবাজি, ফুটপাত—সবকিছুর দখল চলে গেছে বিএনপির নেতা–কর্মীদের কাছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নতুন দল এনসিপির নেতা–কর্মীসহ গণ অধিকার পরিষদের অনেক নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতি-কেলেঙ্কারি এবং সরকারি কাজে ভাগ–বাঁটোয়ারা, তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দলের অর্থনৈতিক ভিত্তি আগে থেকেই শক্তিশালী। গত ১০ মাসে তাদের কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্নেই পরিচালিত হয়েছে। ফলে রাজনীতিকে আশ্রয় করে নতুন অর্থনৈতিক শ্রেণি দৃশ্যমানভাবেই উপস্থিত। এরপরও কেন এ বছর এত পশু অবিক্রীত থাকল? এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমাদের অর্থনীতির দিকে ফিরে তাকাতে হবে। শেখ হাসিনা যে ক্রোনি ক্যাপিটালিজম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেখানে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আমলাতন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত একটি কুলীন গোষ্ঠীই সবকিছুর নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছিল। নাগরিকেরা সেখানে ছিলেন নিছক কর-ভ্যাট-রাজস্বের জোগানদার। ফলে একদিকে ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর হাতে সম্পদের বড় অংশটা পুঞ্জিভূত হয়েছে আর অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে মানুষের দারিদ্র্য বেড়েছে। চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের পতন নিঃসন্দেহে অনন্য এক অর্জন। সব শ্রেণি–পেশার মানুষ পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নেমে এসেছিলেন রাস্তায়। কিন্তু অভ্যুত্থান বিশাল জনপ্রত্যাশা তৈরি করেছিল তার একটা বড় জায়গা ছিল, সাধারণ মানুষ ভেবেছিলেন যে তাঁদের ঘাড়ের ওপর সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে বসা ক্রোনিতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন আসবে। সরকারি সেবা তাঁরা বিনা ঘুষে, বিনা হয়রানিতে পাবেন। পদে পদে চাঁদা দিয়ে, নেতা, পাতিনেতা বা উপনেতাদের খাজনা দিয়ে তাঁদের টিকে থাকার লাইসেন্স কিনতে হবে না। অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স ১০ মাস পেরিয়েছে। সরকারপ্রধানের কাছ থেকে নির্বাচনের যে সম্ভাব্য সময়সীমা জানা গেছে, তাতে সরকারের কার্যকাল অর্ধেকটা পেরিয়েছে। কিন্তু এ সময়টাতে বন্দোবস্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলকতা, বহুত্ববাদ বা সংস্কারের মতো কঠিন শব্দগুলো শোনা গেলেও যেসব পরিবর্তন হলে নাগরিকেরা রাষ্ট্রের কাছে সরাসরি ভোগান্তি, হয়রানি, ঘুষ ছাড়া সেবা পেতে পারেন, সেই উদ্যোগগুলো মোটেই দৃশ্যমান নেই। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • যে বাংলাদেশি অ্যাপ নেপালে জনপ্রিয়

    ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ততক্ষণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ফ্লাইট ৩৭১ আকাশে উঠে গেছে। গন্তব্য ‘ফেলুদার যত কাণ্ড’ কাঠমান্ডুতে। ১০০ মিনিটের বিমানভ্রমণ শেষে বিমান কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে গন্তব্য হোটেলে। নতুন শহরে ট্যাক্সি কীভাবে খোঁজ পাব, তা চিন্তার সময় বিনা মূল্যের ওয়াই–ফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মুঠোফোনে পাঠাও অ্যাপের নোটিফিকেশন চলে আসে। নেপালে ২০১৮ সাল থেকে কাজ করছে বাংলাদেশের রাইডশেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও। সেই পাঠাও অ্যাপে ভরসা করে কল দিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে সঞ্জয় সঞ্জু নামের এক চালক আমার অর্ডার রিসিভ করে চলে আসেন বিমানবন্দরের পার্কিংয়ে।

    বাংলাদেশি রাইড-শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও দেশের গণ্ডি পেরিয়ে নেপালে বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে। আমাদের পাঠাও রাইডার সঞ্জয়কে বিভিন্ন প্রশ্ন করি। চালকের নেপালি ভাষা ছাড়া কোনো ভাষা জানা নেই। সামান্য হিন্দি আর ইংরেজি ভাষা পুঁজি করে চলে আলাপ। সঞ্জয় জানান, কাঠমান্ডুর ব্যস্ত সড়ক থেকে শুরু করে পর্যটনকেন্দ্র নাগরকোট পর্যন্ত পাঠাও সেবা পাওয়া যায়। নেপালে আগত পর্যটকদের কাছেও পাঠাও একটি নির্ভরযোগ্য নাম। স্থানীয় লোকজন নিজেদের জন্য বিভিন্ন বাইক ও ছোট ছোট ট্যাক্সি ব্যবহার করে। পাঠাও অ্যাপ পর্যটক বা কাঠমান্ডু শহরে যাঁরা নতুন, তাঁদের যাতায়াত সহজ ও সাশ্রয়ী করেছে।
    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    যে বাংলাদেশি অ্যাপ নেপালে জনপ্রিয় ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ততক্ষণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ফ্লাইট ৩৭১ আকাশে উঠে গেছে। গন্তব্য ‘ফেলুদার যত কাণ্ড’ কাঠমান্ডুতে। ১০০ মিনিটের বিমানভ্রমণ শেষে বিমান কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে গন্তব্য হোটেলে। নতুন শহরে ট্যাক্সি কীভাবে খোঁজ পাব, তা চিন্তার সময় বিনা মূল্যের ওয়াই–ফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মুঠোফোনে পাঠাও অ্যাপের নোটিফিকেশন চলে আসে। নেপালে ২০১৮ সাল থেকে কাজ করছে বাংলাদেশের রাইডশেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও। সেই পাঠাও অ্যাপে ভরসা করে কল দিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে সঞ্জয় সঞ্জু নামের এক চালক আমার অর্ডার রিসিভ করে চলে আসেন বিমানবন্দরের পার্কিংয়ে। বাংলাদেশি রাইড-শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও দেশের গণ্ডি পেরিয়ে নেপালে বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে। আমাদের পাঠাও রাইডার সঞ্জয়কে বিভিন্ন প্রশ্ন করি। চালকের নেপালি ভাষা ছাড়া কোনো ভাষা জানা নেই। সামান্য হিন্দি আর ইংরেজি ভাষা পুঁজি করে চলে আলাপ। সঞ্জয় জানান, কাঠমান্ডুর ব্যস্ত সড়ক থেকে শুরু করে পর্যটনকেন্দ্র নাগরকোট পর্যন্ত পাঠাও সেবা পাওয়া যায়। নেপালে আগত পর্যটকদের কাছেও পাঠাও একটি নির্ভরযোগ্য নাম। স্থানীয় লোকজন নিজেদের জন্য বিভিন্ন বাইক ও ছোট ছোট ট্যাক্সি ব্যবহার করে। পাঠাও অ্যাপ পর্যটক বা কাঠমান্ডু শহরে যাঁরা নতুন, তাঁদের যাতায়াত সহজ ও সাশ্রয়ী করেছে। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    Love
    JonoSathi React
    2
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • Best of luck, খেলা হবে আজকে। #বাংলাদেশ #ফুটবল #জনপ্রিয়
    Best of luck, খেলা হবে আজকে। #বাংলাদেশ #ফুটবল #জনপ্রিয়
    Love
    5
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি

    ঢাকা, ২৪ মে ২০২৫: আজ শনিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

    প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

    এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।

    দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এদেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ।

    এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।

    শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার উপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের উপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সকল কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
    উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি ঢাকা, ২৪ মে ২০২৫: আজ শনিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে। দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এদেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে। শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার উপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের উপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সকল কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
    Love
    Like
    5
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
More Results
Jono Sathi – Connecting Bangladesh https://jonosathi.com