• নিজের ছেলের কিডনি দিয়ে দুই রোগীর জীবন বাঁচালেন চিকিৎসক মা
    পাকিস্তানের করাচির একজন নারী চিকিৎসক (নেফ্রোলজিস্ট) তার ২৩ বছর বয়সি একমাত্র ছেলের উভয় কিডনি দান করেছেন, যার ফলে রক্ষা পেয়েছে কিডনি প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় থাকা দুই রোগীর জীবন। জানা যায়, মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনার পর ওই চিকিৎসকের ছেলেকে ‘ব্রেন ডেড’ ঘোষণা করা হয়েছিল
    দ্য নিউজের বরাতে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভি এ খবর দিয়েছে।
    প্রতিবেদন মতে, দুর্ঘটনার শিকার সৈয়দ সুলতান জাফর (২৩) জিয়াউদ্দিন মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কলেজের একজন ডেন্টাল শিক্ষার্থী ছিলেন, যিনি সিন্ধু ইনস্টিটিউট অব ইউরোলজি অ্যান্ড ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন (এসআইইউটি)-এর কনসালট্যান্ট নেফ্রোলজিস্ট এবং সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহার আফরোজের একমাত্র ছেলে।

    সুলতান জাফর পাকিস্তানের অত্যন্ত সম্মানিত দুই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ - অধ্যাপক টিপু সুলতান এবং অধ্যাপক ডা. শেরশাহ সৈয়দের নাতি।

    অধ্যাপক টিপুর মতে, মৃতের বাবা সৈয়দ ফুরকান জাফর কয়েক বছর আগে লিভার ক্যান্সারে মারা যান এবং তাকে কোহি গোথে সমাহিত করা হয়েছে, যেখানে পরিবারটি একটি দাতব্য হাসপাতাল পরিচালনা করে। সুলতান জাফরকে তার বাবার পাশে সমাহিত করা হবে।
    পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে অধ্যাপক টিপু সুলতান বলেন, গত বুধবার সকালে করাচির একটি বেসরকারি হাউজিং সোসাইটিতে বন্ধুদের সাথে গাড়ি চালানোর সময় সুলতান জাফর এক মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হন।

    তিনি আরও বলেন, ‘মাথায় একাধিক আঘাতের কারণে জাফরকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পৌঁছানোর পর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ইনটিউবেশন করা হয় এবং প্রাথমিক অস্ত্রোপচারের পর মস্তিষ্ক থেকে জমাট বাঁধা রক্ত অপসারণের জন্য আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।’

    অধ্যাপক টিপুর মতে, ‘সুলতানকে পরে আবারও অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় আরেকটি ক্র্যানিওটমির জন্য। আমরা সেই দিনগুলো ক্রমাগত ভয় এবং যন্ত্রণার মধ্যে কাটিয়েছি।’

    সুলতান জাফরের প্রাথমিকভাবে উন্নতির লক্ষণ দেখা যায় এবং তাকে নার্সিং কেয়ারের জন্য একটি ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই তার অবস্থার অবনতি ঘটে। অধ্যাপক টিপু বলেন, ‘জাফরের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং তাকে আবার আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। পুনরায় ইনটিউবেশন করা হলেও তার চোখের পাতাগুলো স্থির হয়ে যায়।’

    অধ্যাপক টিপু কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,
    আমরা যা পার করেছি তা বর্ণনা করার মতো কোনো শব্দ নেই। পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আইসিইউর বাইরে দীর্ঘ আলোচনার পর, মাহার আফরোজ (জাফরের মা) তার জীবনের সবচেয়ে নিঃস্বার্থ এবং সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন - ছেলের অঙ্গ দান করার - যাতে অন্যরা বাঁচতে পারে।


    জানা গেছে, ডা. আফরোজ ব্যক্তিগতভাবে তার ছেলের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে এসআইইউটি-তে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।
    অধ্যাপক টিপু বলেন, ‘তিনি (মাহার আফরোজ) একজন নেফ্রোলজিস্ট যিনি অঙ্গদাতার অভাবে প্রতিদিন রোগীদের মৃত্যু দেখতে পান।’

    জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসআইইউটি-তে জাফরের উভয় কিডনিই বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষায় থাকা দুই রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে তার অন্যান্য অঙ্গ সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি।

    সূত্র: জিও নিউজ
    নিজের ছেলের কিডনি দিয়ে দুই রোগীর জীবন বাঁচালেন চিকিৎসক মা পাকিস্তানের করাচির একজন নারী চিকিৎসক (নেফ্রোলজিস্ট) তার ২৩ বছর বয়সি একমাত্র ছেলের উভয় কিডনি দান করেছেন, যার ফলে রক্ষা পেয়েছে কিডনি প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় থাকা দুই রোগীর জীবন। জানা যায়, মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনার পর ওই চিকিৎসকের ছেলেকে ‘ব্রেন ডেড’ ঘোষণা করা হয়েছিল দ্য নিউজের বরাতে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভি এ খবর দিয়েছে। প্রতিবেদন মতে, দুর্ঘটনার শিকার সৈয়দ সুলতান জাফর (২৩) জিয়াউদ্দিন মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কলেজের একজন ডেন্টাল শিক্ষার্থী ছিলেন, যিনি সিন্ধু ইনস্টিটিউট অব ইউরোলজি অ্যান্ড ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন (এসআইইউটি)-এর কনসালট্যান্ট নেফ্রোলজিস্ট এবং সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহার আফরোজের একমাত্র ছেলে। সুলতান জাফর পাকিস্তানের অত্যন্ত সম্মানিত দুই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ - অধ্যাপক টিপু সুলতান এবং অধ্যাপক ডা. শেরশাহ সৈয়দের নাতি। অধ্যাপক টিপুর মতে, মৃতের বাবা সৈয়দ ফুরকান জাফর কয়েক বছর আগে লিভার ক্যান্সারে মারা যান এবং তাকে কোহি গোথে সমাহিত করা হয়েছে, যেখানে পরিবারটি একটি দাতব্য হাসপাতাল পরিচালনা করে। সুলতান জাফরকে তার বাবার পাশে সমাহিত করা হবে। পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে অধ্যাপক টিপু সুলতান বলেন, গত বুধবার সকালে করাচির একটি বেসরকারি হাউজিং সোসাইটিতে বন্ধুদের সাথে গাড়ি চালানোর সময় সুলতান জাফর এক মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি আরও বলেন, ‘মাথায় একাধিক আঘাতের কারণে জাফরকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পৌঁছানোর পর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ইনটিউবেশন করা হয় এবং প্রাথমিক অস্ত্রোপচারের পর মস্তিষ্ক থেকে জমাট বাঁধা রক্ত অপসারণের জন্য আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।’ অধ্যাপক টিপুর মতে, ‘সুলতানকে পরে আবারও অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় আরেকটি ক্র্যানিওটমির জন্য। আমরা সেই দিনগুলো ক্রমাগত ভয় এবং যন্ত্রণার মধ্যে কাটিয়েছি।’ সুলতান জাফরের প্রাথমিকভাবে উন্নতির লক্ষণ দেখা যায় এবং তাকে নার্সিং কেয়ারের জন্য একটি ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই তার অবস্থার অবনতি ঘটে। অধ্যাপক টিপু বলেন, ‘জাফরের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং তাকে আবার আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। পুনরায় ইনটিউবেশন করা হলেও তার চোখের পাতাগুলো স্থির হয়ে যায়।’ অধ্যাপক টিপু কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা যা পার করেছি তা বর্ণনা করার মতো কোনো শব্দ নেই। পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আইসিইউর বাইরে দীর্ঘ আলোচনার পর, মাহার আফরোজ (জাফরের মা) তার জীবনের সবচেয়ে নিঃস্বার্থ এবং সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন - ছেলের অঙ্গ দান করার - যাতে অন্যরা বাঁচতে পারে। জানা গেছে, ডা. আফরোজ ব্যক্তিগতভাবে তার ছেলের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে এসআইইউটি-তে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। অধ্যাপক টিপু বলেন, ‘তিনি (মাহার আফরোজ) একজন নেফ্রোলজিস্ট যিনি অঙ্গদাতার অভাবে প্রতিদিন রোগীদের মৃত্যু দেখতে পান।’ জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসআইইউটি-তে জাফরের উভয় কিডনিই বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষায় থাকা দুই রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে তার অন্যান্য অঙ্গ সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। সূত্র: জিও নিউজ
    0 Comments ·0 Shares ·42 Views ·0 Reviews
  • জন সাথীর ম্যানেজমেন্ট খুবই দুর্বল 😌😌
    জন সাথীর ম্যানেজমেন্ট খুবই দুর্বল 😌😌
    Love
    JonoSathi React
    Like
    7
    · 0 Comments ·0 Shares ·176 Views ·0 Reviews
  • লেক ভিক্টোরিয়ার বুকে ভেসে থাকা মিগিংগো দ্বীপটি যেন এক জীবন্ত বিস্ময়! মাত্র ০.০০০৮ বর্গমাইল (প্রায় ০.৫ একর) আয়তনের এই ছোট্ট পাথরের টুকরাটিই পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ স্থান। ২০০৯ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, এর জনসংখ্যা ছিল ১৩১ জন, যাদের বেশিরভাগই জেলে ও ব্যবসায়ী। ভাবুন তো, এর জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৬৫,৫০০ জনেরও বেশি – যা হংকংয়ের চেয়েও তিনগুণ বেশি!

    আশ্চর্যজনকভাবে, নব্বইয়ের দশকের আগেও মিগিংগো দ্বীপটি লেক ভিক্টোরিয়ার জলের নিচে ছিল! হ্রদের জলস্তর নামতে শুরু করলে এটি একটি পাথরের টুকরা হিসেবে ভেসে ওঠে। ১৯৯১ সালে কেনিয়ার দুই জেলে প্রথম এখানে বসতি স্থাপন করেন, যদিও উগান্ডাও পরে বসতি স্থাপনের দাবি করে।

    কিন্তু কেন এই ছোট্ট পাথরের টুকরায় এত মানুষের ভিড়? এর আসল মূল্য তার পাথুরে জমিতে নয়, বরং এর চারপাশের জলে থাকা “নাইল পার্চ মাছের” অফুরন্ত ভাণ্ডারে। অন্যান্য এলাকায় মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায়, এই সমৃদ্ধ মাছের ভাণ্ডারই হাজার হাজার জেলে ও ব্যবসায়ীকে এই ছোট্ট দ্বীপে টেনে এনেছে।

    এই ক্ষুদ্র দ্বীপটিই কেনিয়া ও উগান্ডার মধ্যে এক বড় সীমান্ত বিবাদের জন্ম দিয়েছে, যা ২০০৮-২০০৯ সালে প্রায় যুদ্ধ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। যদিও জরিপে দ্বীপটি কেনিয়ার অংশে পড়েছে, তবে এর আশেপাশের বেশিরভাগ লাভজনক মাছ ধরার জলসীমা উগান্ডার অন্তর্গত। তাই এই বিবাদ আসলে দ্বীপের মালিকানা নিয়ে নয়, বরং নাইল পার্চ মাছ ধরার অধিকার নিয়েই। ২০০৯ সালে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে যৌথ প্রশাসন ও মাছ ধরার সুযোগ ভাগ করে নেওয়ার একটি চুক্তি হলেও, উত্তেজনা আজও বিদ্যমান।

    চরম ঘনবসতি, সীমিত স্থান এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের অভাব (দ্বীপে কোনো প্রাকৃতিক গাছপালা নেই) সত্ত্বেও, মিগিংগো একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্ষুদ্র নগরীর রূপ নিয়েছে। এখানে মানুষজন গাদাগাদি করে থাকলেও, তারা নিজেদের মতো করে জীবনযাপন করছে, যা মানুষের অবিশ্বাস্য সহনশীলতা ও প্রতিকূলতার সাথে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকে তুলে ধরে।

    মিগিংগো দ্বীপটি শুধু লেক ভিক্টোরিয়ার একটি অদ্ভুত ঘটনা নয়, এটি সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ, মানুষের উদ্ভাবনী শক্তি, এবং জটিল আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এক অনন্য উদাহরণ। এই ছোট্ট পাথরের টুকরাটি প্রমাণ করে, কীভাবে পরিবেশগত পরিবর্তন, অর্থনৈতিক চাপ এবং সীমান্ত বিবাদ একসাথে মিলে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।

    অনুবাদ: AH Abubakkar Siddique
    লেক ভিক্টোরিয়ার বুকে ভেসে থাকা মিগিংগো দ্বীপটি যেন এক জীবন্ত বিস্ময়! মাত্র ০.০০০৮ বর্গমাইল (প্রায় ০.৫ একর) আয়তনের এই ছোট্ট পাথরের টুকরাটিই পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ স্থান। ২০০৯ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, এর জনসংখ্যা ছিল ১৩১ জন, যাদের বেশিরভাগই জেলে ও ব্যবসায়ী। ভাবুন তো, এর জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৬৫,৫০০ জনেরও বেশি – যা হংকংয়ের চেয়েও তিনগুণ বেশি! আশ্চর্যজনকভাবে, নব্বইয়ের দশকের আগেও মিগিংগো দ্বীপটি লেক ভিক্টোরিয়ার জলের নিচে ছিল! হ্রদের জলস্তর নামতে শুরু করলে এটি একটি পাথরের টুকরা হিসেবে ভেসে ওঠে। ১৯৯১ সালে কেনিয়ার দুই জেলে প্রথম এখানে বসতি স্থাপন করেন, যদিও উগান্ডাও পরে বসতি স্থাপনের দাবি করে। কিন্তু কেন এই ছোট্ট পাথরের টুকরায় এত মানুষের ভিড়? এর আসল মূল্য তার পাথুরে জমিতে নয়, বরং এর চারপাশের জলে থাকা “নাইল পার্চ মাছের” অফুরন্ত ভাণ্ডারে। অন্যান্য এলাকায় মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায়, এই সমৃদ্ধ মাছের ভাণ্ডারই হাজার হাজার জেলে ও ব্যবসায়ীকে এই ছোট্ট দ্বীপে টেনে এনেছে। এই ক্ষুদ্র দ্বীপটিই কেনিয়া ও উগান্ডার মধ্যে এক বড় সীমান্ত বিবাদের জন্ম দিয়েছে, যা ২০০৮-২০০৯ সালে প্রায় যুদ্ধ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। যদিও জরিপে দ্বীপটি কেনিয়ার অংশে পড়েছে, তবে এর আশেপাশের বেশিরভাগ লাভজনক মাছ ধরার জলসীমা উগান্ডার অন্তর্গত। তাই এই বিবাদ আসলে দ্বীপের মালিকানা নিয়ে নয়, বরং নাইল পার্চ মাছ ধরার অধিকার নিয়েই। ২০০৯ সালে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে যৌথ প্রশাসন ও মাছ ধরার সুযোগ ভাগ করে নেওয়ার একটি চুক্তি হলেও, উত্তেজনা আজও বিদ্যমান। চরম ঘনবসতি, সীমিত স্থান এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের অভাব (দ্বীপে কোনো প্রাকৃতিক গাছপালা নেই) সত্ত্বেও, মিগিংগো একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্ষুদ্র নগরীর রূপ নিয়েছে। এখানে মানুষজন গাদাগাদি করে থাকলেও, তারা নিজেদের মতো করে জীবনযাপন করছে, যা মানুষের অবিশ্বাস্য সহনশীলতা ও প্রতিকূলতার সাথে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকে তুলে ধরে। মিগিংগো দ্বীপটি শুধু লেক ভিক্টোরিয়ার একটি অদ্ভুত ঘটনা নয়, এটি সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ, মানুষের উদ্ভাবনী শক্তি, এবং জটিল আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এক অনন্য উদাহরণ। এই ছোট্ট পাথরের টুকরাটি প্রমাণ করে, কীভাবে পরিবেশগত পরিবর্তন, অর্থনৈতিক চাপ এবং সীমান্ত বিবাদ একসাথে মিলে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে। অনুবাদ: AH Abubakkar Siddique
    Like
    Love
    Haha
    Wow
    6
    · 0 Comments ·0 Shares ·170 Views ·0 Reviews
  • মাউন্ট এভারেস্ট: যেখানে স্বপ্ন ছুঁতে গিয়ে অনেকেই চিরতরে থেমে যান... 🏔️

    মাউন্ট এভারেস্ট: পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। এখানে প্রতিটি পদক্ষেপ একেকটা চ্যালেঞ্জ, আর প্রতিটি নিশ্বাস যেন মৃত্যুর হাতছানি।
    মাউন্ট এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে পর্বতারোহীদের অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। তীব্র ঠান্ডা, অক্সিজেনের অভাব, হিমবাহ ও তুষারঝড়, প্রতিটি মুহূর্তে জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে।
    তাছাড়া পথ হারানো, ফ্রস্টবাইট এবং ধস, সবকিছু মিলিয়ে এই যাত্রা শুধু শারীরিক নয়, মানসিক শক্তিরও কঠিন পরীক্ষা।

    এই শৃঙ্গে উঠতে গিয়ে বহু মানুষ তাদের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। আর এই হারানো প্রাণগুলো এখন বরফ ঢাকা পাহাড়ের বুকে চিরন্তন সাক্ষী হয়ে আছে।

    ৮,০০০ মিটার উচ্চতার ওপরে একটি ভয়ঙ্কর এলাকা আছে, যাকে বলা হয় "Death Zone". যেখানে বাতাসে অক্সিজেন এতটাই কম যে মানবদেহ ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। শরীর দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়।
    এভারেস্ট অভিযানের সবচেয়ে বিপজ্জনক এই অংশেই বহু পর্বতারোহী চিরতরে থেমে গেছেন।
    আর এখানে তাপমাত্রা এতই কম যে মৃ'তদেহগুলো কখনোই পচে না, তারা রয়ে যায় বরফে মোড়ানো অবস্থায়, একেবারে জীবন্তের মত।

    বছরের পর বছর ধরে অনেক মৃতদেহই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি বরং সেগুলোকেই পর্বতারোহীরা পথচিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করে।

    ঠিক যেমন এক বিখ্যাত মৃতদেহ, যার নাম হয়ে গেছে "Green Boots"।
    "Green Boots" ছিলেন একজন ভারতীয় পর্বতারোহী, নাম ৎসেওয়াং পালজোর(Tsewang Paljor)।
    ১৯৯৬ সালে এভারেস্টে এক ভয়াবহ ঝড়ে তিনি প্রাণ হারান।
    তার পরনে ছিল সবুজ রঙের ট্রেকিং বুট, যা দেখে অন্যান্য পর্বতারোহীরা তাকে চিনে নেন।
    তার দেহ একটি ছোট গুহার মত জায়গায় ঠান্ডায় জমে যায়।

    পরে সেই জায়গাটিই হয়ে ওঠে রুটের একটি 'নেভিগেশন পয়েন্ট', যেখানে প্রতিদিন শত শত ক্লাইম্বার থামে, বিশ্রাম নেয়, আবার এগিয়ে যায়... তার পাশ দিয়ে হেঁটে যায়... অথচ সে রয়ে যায় চিরকাল নিঃসঙ্গ, শীতল, নীরব।

    এইরকম বহু গল্প লুকিয়ে আছে হিমশীতল বরফের নিচে।
    কেউ স্বপ্ন দেখেছিলেন পতাকা গেড়ে আসবেন, কেউ নিজের সীমা ছাড়িয়ে জয় করতে চেয়েছিলেন নিজেকে।
    কিন্তু পাহাড়ের নীরবতা অনেকের স্বপ্নের চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়ায়।
    কিছু মানুষ চূড়া ছুঁতে পারলেও ফিরে আসেন না। আর কিছু মানুষ চূড়ার কাছাকাছি গিয়েই চিরদিনের জন্য থেমে যান।

    তাদের কেউ কেউ নামহীন, কেউ কেউ পরিচিত শুধুই বুটের রঙ, জ্যাকেটের ছাপ কিংবা গ্লাভসের আকৃতিতে।
    কিন্তু প্রত্যেকেই ছিলেন সাহস, অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর স্বপ্নের প্রতীক।

    এভারেস্ট শুধু পাহাড় নয় এটা এক বিশাল কবরস্থান, যেখানে প্রতিটি জমাটবাঁধা দেহ এক একটি অসমাপ্ত গল্পের নাম।

    এভারেস্ট জয় মানে শুধু শিখর ছোঁয়া নয়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, সীমা অতিক্রম করার চেষ্টায় আত্মোৎসর্গ করা।
    আর যারা ফিরে আসেন না, তারা থেকেও যান এই পর্বতের শরীরে একেকটি চিহ্ন হয়ে। 🥹

    তারা হয়ত কথা বলেন না, কিন্তু তাদের নিঃশব্দ উপস্থিতিই বলে দেয় কতটা দুঃসাহসিক ছিল তাদের স্বপ্ন।

    তাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। 🩷

    #collected
    মাউন্ট এভারেস্ট: যেখানে স্বপ্ন ছুঁতে গিয়ে অনেকেই চিরতরে থেমে যান... 🏔️ মাউন্ট এভারেস্ট: পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। এখানে প্রতিটি পদক্ষেপ একেকটা চ্যালেঞ্জ, আর প্রতিটি নিশ্বাস যেন মৃত্যুর হাতছানি। মাউন্ট এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে পর্বতারোহীদের অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। তীব্র ঠান্ডা, অক্সিজেনের অভাব, হিমবাহ ও তুষারঝড়, প্রতিটি মুহূর্তে জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে। তাছাড়া পথ হারানো, ফ্রস্টবাইট এবং ধস, সবকিছু মিলিয়ে এই যাত্রা শুধু শারীরিক নয়, মানসিক শক্তিরও কঠিন পরীক্ষা। এই শৃঙ্গে উঠতে গিয়ে বহু মানুষ তাদের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। আর এই হারানো প্রাণগুলো এখন বরফ ঢাকা পাহাড়ের বুকে চিরন্তন সাক্ষী হয়ে আছে। ৮,০০০ মিটার উচ্চতার ওপরে একটি ভয়ঙ্কর এলাকা আছে, যাকে বলা হয় "Death Zone". যেখানে বাতাসে অক্সিজেন এতটাই কম যে মানবদেহ ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। শরীর দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। এভারেস্ট অভিযানের সবচেয়ে বিপজ্জনক এই অংশেই বহু পর্বতারোহী চিরতরে থেমে গেছেন। আর এখানে তাপমাত্রা এতই কম যে মৃ'তদেহগুলো কখনোই পচে না, তারা রয়ে যায় বরফে মোড়ানো অবস্থায়, একেবারে জীবন্তের মত। বছরের পর বছর ধরে অনেক মৃতদেহই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি বরং সেগুলোকেই পর্বতারোহীরা পথচিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করে। ঠিক যেমন এক বিখ্যাত মৃতদেহ, যার নাম হয়ে গেছে "Green Boots"। "Green Boots" ছিলেন একজন ভারতীয় পর্বতারোহী, নাম ৎসেওয়াং পালজোর(Tsewang Paljor)। ১৯৯৬ সালে এভারেস্টে এক ভয়াবহ ঝড়ে তিনি প্রাণ হারান। তার পরনে ছিল সবুজ রঙের ট্রেকিং বুট, যা দেখে অন্যান্য পর্বতারোহীরা তাকে চিনে নেন। তার দেহ একটি ছোট গুহার মত জায়গায় ঠান্ডায় জমে যায়। পরে সেই জায়গাটিই হয়ে ওঠে রুটের একটি 'নেভিগেশন পয়েন্ট', যেখানে প্রতিদিন শত শত ক্লাইম্বার থামে, বিশ্রাম নেয়, আবার এগিয়ে যায়... তার পাশ দিয়ে হেঁটে যায়... অথচ সে রয়ে যায় চিরকাল নিঃসঙ্গ, শীতল, নীরব। এইরকম বহু গল্প লুকিয়ে আছে হিমশীতল বরফের নিচে। কেউ স্বপ্ন দেখেছিলেন পতাকা গেড়ে আসবেন, কেউ নিজের সীমা ছাড়িয়ে জয় করতে চেয়েছিলেন নিজেকে। কিন্তু পাহাড়ের নীরবতা অনেকের স্বপ্নের চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়ায়। কিছু মানুষ চূড়া ছুঁতে পারলেও ফিরে আসেন না। আর কিছু মানুষ চূড়ার কাছাকাছি গিয়েই চিরদিনের জন্য থেমে যান। তাদের কেউ কেউ নামহীন, কেউ কেউ পরিচিত শুধুই বুটের রঙ, জ্যাকেটের ছাপ কিংবা গ্লাভসের আকৃতিতে। কিন্তু প্রত্যেকেই ছিলেন সাহস, অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর স্বপ্নের প্রতীক। এভারেস্ট শুধু পাহাড় নয় এটা এক বিশাল কবরস্থান, যেখানে প্রতিটি জমাটবাঁধা দেহ এক একটি অসমাপ্ত গল্পের নাম। এভারেস্ট জয় মানে শুধু শিখর ছোঁয়া নয়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, সীমা অতিক্রম করার চেষ্টায় আত্মোৎসর্গ করা। আর যারা ফিরে আসেন না, তারা থেকেও যান এই পর্বতের শরীরে একেকটি চিহ্ন হয়ে। 🥹 তারা হয়ত কথা বলেন না, কিন্তু তাদের নিঃশব্দ উপস্থিতিই বলে দেয় কতটা দুঃসাহসিক ছিল তাদের স্বপ্ন। তাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। 🩷 #collected
    Like
    1
    · 0 Comments ·0 Shares ·192 Views ·0 Reviews
  • AI কি মানুষের চাকরি নিয়ে নেবে?
    AI কাজ সহজ করছে, কিন্তু সব চাকরি নিচ্ছে না।
    বরং নতুন নতুন স্কিল চাওয়া শুরু হয়েছে:
    ✅ AI টুল ম্যানেজমেন্ট
    ✅ ডেটা বিশ্লেষণ
    ✅ প্রম্পট ডিজাইন
    চাকরি হারানোর ভয় না পেয়ে — AI শেখা শুরু করো।

    🔖 #AIJobs #FutureOfWork #LearnAI

    📱 পোস্ট ৭: মোবাইলে ব্যবহারের
    AI কি মানুষের চাকরি নিয়ে নেবে? AI কাজ সহজ করছে, কিন্তু সব চাকরি নিচ্ছে না। বরং নতুন নতুন স্কিল চাওয়া শুরু হয়েছে: ✅ AI টুল ম্যানেজমেন্ট ✅ ডেটা বিশ্লেষণ ✅ প্রম্পট ডিজাইন চাকরি হারানোর ভয় না পেয়ে — AI শেখা শুরু করো। 🔖 #AIJobs #FutureOfWork #LearnAI 📱 পোস্ট ৭: মোবাইলে ব্যবহারের
    JonoSathi React
    Love
    Sad
    4
    · 0 Comments ·0 Shares ·146 Views ·0 Reviews
More Results
Jono Sathi – Connecting Bangladesh https://jonosathi.com