ষষ্ঠ পর্ব: “আবার দেখা, আবার শুরু”
দু’দিন ধরে মিয়া আর জাহাঙ্গীরের কোনো কথা হয়নি। না মেসেজ, না ফোন। দু’জনেই নিজের মতো করে ভাবছিল, নিজেদের যুদ্ধ করছিল মনের ভেতর। তবে মিয়ার মনে একটা অস্থিরতা ছিল—জাহাঙ্গীর কি অভিমান করে চলে যাবে?
তৃতীয় দিন, হঠাৎ এক সন্ধ্যায় মিয়া জাহাঙ্গীরকে মেসেজ পাঠাল:
"আজ দেখা করবে? একটু কথা বলতে চাই..."
কিছু সময় পর জবাব এলো:
"হ্যাঁ, আমি আছি। সেই ক্যাফেতেই?"
মিয়ার মনটা দৌড়ে উঠল। এতদিন পর একসাথে বসবে, কিন্তু জানে না জাহাঙ্গীরের অভিমান কেমন আছে। সেজন্য সে আজ একটু বেশি করে আয়নায় তাকিয়েছিল, নিজেকে একটু পরিপাটি করে সাজিয়েছিল—যদিও মুখে গম্ভীরতা, কিন্তু চোখে একরকম অনুতাপ।
ক্যাফেতে ঢুকে মিয়া প্রথমেই জাহাঙ্গীরকে দেখে বলল,
"তুমি খুব অভিমান করেছো, তাই না?"
জাহাঙ্গীর হেসে বলল,
"তোমার চোখে আজ শান্তি দেখছি। হয়তো তুমি নিজেকে জয় করে ফেলেছো কিছুটা।"
মিয়া আস্তে আস্তে বলল,
"হ্যাঁ, আমি ভেবেছি অনেক। বুঝেছি, ভয়টা না বললে ভালোবাসার কোনো মানেই থাকে না। আর তুমি তো ছিলে, আমার সব শুনতে রাজি ছিলে, আমিই চুপ থেকেছি।"
"তাই বলে চুপ করে থাকলে কি সব ঠিক হয়ে যায়?" জাহাঙ্গীর একটু অভিমান নিয়ে বলল।
"না, হয় না। তাই আজ এলাম, সব বলতে। আমি ফিরে আসতে চেয়েছি তোমার কাছেই। তোমাকে হারানোর ভয়টাই সবচেয়ে বেশি কেটেছে আমাকে।"
এই কথাগুলো শুনে জাহাঙ্গীরের মুখে মৃদু হাসি ফুটে উঠল। সে মিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,
"আমি বলেছিলাম না, আমি থাকব? শুধু বলো, আর কিছু লুকাবে না তো?"
"না, আজ থেকে সব বলব। আমার ভয়, ভালোবাসা, কষ্ট, আনন্দ—সব কিছু। কারণ আমি চাই না, আমাদের মাঝে আর কখনও নীরবতা এসে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়।"
ক্যাফেতে বাজছিল হালকা সুরেলা গান। সেই সুরের ভেতর দিয়ে তারা নিজেদের ভালোবাসাকে যেন নতুনভাবে চিনল। আজ, প্রথমবারের মতো, মিয়া নিজের হাত থেকে জাহাঙ্গীরের হাতে হাত রাখল। নিঃশব্দে এক প্রতিশ্রুতি দিল—
"তুমি ছিলে, আছো, থাকবেই। আর এবার, আমি সত্যিই তোমার পাশে থাকতে চাই, ভয়হীন হয়ে।"
জাহাঙ্গীর তার দিকে তাকিয়ে বলল,
"তবে চল শুরু করি নতুন করে, আবার এক নতুন অধ্যায়। যেখানে আমরা শুধু কথা বলব না, বোঝাবো… ভালোবাসা দিয়ে, চোখে চোখ রেখে।" 👁️🗨️
সেদিন তাদের মাঝে কোনো দীর্ঘ আলাপ ছিল না, তবুও মনের ভাষায় তারা যেন বলে ফেলেছিল হাজারটা কথা।
ষষ্ঠ পর্ব: “আবার দেখা, আবার শুরু” 🌤️💞
দু’দিন ধরে মিয়া আর জাহাঙ্গীরের কোনো কথা হয়নি। না মেসেজ, না ফোন। দু’জনেই নিজের মতো করে ভাবছিল, নিজেদের যুদ্ধ করছিল মনের ভেতর। তবে মিয়ার মনে একটা অস্থিরতা ছিল—জাহাঙ্গীর কি অভিমান করে চলে যাবে?
তৃতীয় দিন, হঠাৎ এক সন্ধ্যায় মিয়া জাহাঙ্গীরকে মেসেজ পাঠাল:
"আজ দেখা করবে? একটু কথা বলতে চাই..."
কিছু সময় পর জবাব এলো:
"হ্যাঁ, আমি আছি। সেই ক্যাফেতেই?" ☕
মিয়ার মনটা দৌড়ে উঠল। এতদিন পর একসাথে বসবে, কিন্তু জানে না জাহাঙ্গীরের অভিমান কেমন আছে। সেজন্য সে আজ একটু বেশি করে আয়নায় তাকিয়েছিল, নিজেকে একটু পরিপাটি করে সাজিয়েছিল—যদিও মুখে গম্ভীরতা, কিন্তু চোখে একরকম অনুতাপ।
ক্যাফেতে ঢুকে মিয়া প্রথমেই জাহাঙ্গীরকে দেখে বলল,
"তুমি খুব অভিমান করেছো, তাই না?"
জাহাঙ্গীর হেসে বলল,
"তোমার চোখে আজ শান্তি দেখছি। হয়তো তুমি নিজেকে জয় করে ফেলেছো কিছুটা।"
মিয়া আস্তে আস্তে বলল,
"হ্যাঁ, আমি ভেবেছি অনেক। বুঝেছি, ভয়টা না বললে ভালোবাসার কোনো মানেই থাকে না। আর তুমি তো ছিলে, আমার সব শুনতে রাজি ছিলে, আমিই চুপ থেকেছি।"
"তাই বলে চুপ করে থাকলে কি সব ঠিক হয়ে যায়?" জাহাঙ্গীর একটু অভিমান নিয়ে বলল।
"না, হয় না। তাই আজ এলাম, সব বলতে। আমি ফিরে আসতে চেয়েছি তোমার কাছেই। তোমাকে হারানোর ভয়টাই সবচেয়ে বেশি কেটেছে আমাকে।"
এই কথাগুলো শুনে জাহাঙ্গীরের মুখে মৃদু হাসি ফুটে উঠল। সে মিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,
"আমি বলেছিলাম না, আমি থাকব? শুধু বলো, আর কিছু লুকাবে না তো?"
"না, আজ থেকে সব বলব। আমার ভয়, ভালোবাসা, কষ্ট, আনন্দ—সব কিছু। কারণ আমি চাই না, আমাদের মাঝে আর কখনও নীরবতা এসে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়।" 🧱❌
ক্যাফেতে বাজছিল হালকা সুরেলা গান। সেই সুরের ভেতর দিয়ে তারা নিজেদের ভালোবাসাকে যেন নতুনভাবে চিনল। আজ, প্রথমবারের মতো, মিয়া নিজের হাত থেকে জাহাঙ্গীরের হাতে হাত রাখল। নিঃশব্দে এক প্রতিশ্রুতি দিল—
"তুমি ছিলে, আছো, থাকবেই। আর এবার, আমি সত্যিই তোমার পাশে থাকতে চাই, ভয়হীন হয়ে।" 🌸
জাহাঙ্গীর তার দিকে তাকিয়ে বলল,
"তবে চল শুরু করি নতুন করে, আবার এক নতুন অধ্যায়। যেখানে আমরা শুধু কথা বলব না, বোঝাবো… ভালোবাসা দিয়ে, চোখে চোখ রেখে।" 👁️🗨️
সেদিন তাদের মাঝে কোনো দীর্ঘ আলাপ ছিল না, তবুও মনের ভাষায় তারা যেন বলে ফেলেছিল হাজারটা কথা।
·49 Views
·0 Προεπισκόπηση