Security Check
  • জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে ধরা নীহারিকার লুকানো বিস্ময়

    মহাকাশের দূর অন্ধকারে যেন লুকিয়ে ছিল এক বিশাল বিস্ময়। অবশেষে সেই রহস্য উন্মোচন করল নাসা। প্রকাশ করল লাল মাকড়সা নীহারিকা বা ‘রেড স্পাইডার নেবুলা’র এক নতুন, দৃষ্টিনন্দন ছবি।

    জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে ধারণ করা এই ছবিতে প্রথমবার নীহারিকার দুই বিশাল লোব স্পষ্ট দেখা গেছে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ছবিটিকে মজা করে বলেছে ‘কসমিক ক্রিপি-ক্রলি’ (মহাজাগতিক মাকড়সা-সদৃশ গঠন)।

    পৃথিবী থেকে প্রায় ৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরের এই নীহারিকা আসলে একটি ‘প্ল্যানেটারি নেবুলা’। মানে সূর্যের মতো একটি তারার জীবনের শেষ ধাপের অবশিষ্ট গ্যাস-মেঘ। তারাটি জ্বালানি ফুরিয়ে লাল দানবে রূপ নিয়ে শেষ পর্যন্ত বাইরের স্তরগুলো মহাশূন্যে ছুড়ে ফেলে। ভেতরে থাকে সাদা-বামন কেন্দ্র, যেখান থেকে নির্গত অতি বেগুনি আলো গ্যাসকে আলোকিত করে, তৈরি হয় নীহারিকার এই রঙিন দৃশ্য।

    নাসা জানিয়েছে, নীহারিকার লোবগুলো তৈরি হয়েছে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসা গ্যাসের বিশাল চাপের কারণে। এসব লোব H₂ অণুর (দুই হাইড্রোজেন পরমাণুর বন্ধনযুক্ত গ্যাস) নির্গত আলোতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

    ছবিটি ধারণ করেছে জেমস ওয়েবের মূল নিকট-ইনফ্রারেড ক্যামেরা, যা অত্যন্ত উচ্চ রেজোলিউশনের ছবি তুলতে সক্ষম।

    নাসা বলছে, ছবিতে একটি তারা দেখা গেলেও সেখানে আরেকটি সঙ্গী তারা থাকতে পারে। সেই অদৃশ্য তারার মাধ্যাকর্ষণই নীহারিকার সরু কোমর ও দুই পাশে ঘণ্টাঘড়ির মতো আকৃতি তৈরি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    বিজ্ঞানীরা বলছেন, লাল মাকড়সা নীহারিকাটি ভবিষ্যতে আমাদের সূর্যের কী পরিণতি হতে পারে তারই এক ঝলক। প্রায় পাঁচ বিলিয়ন বছর পর সূর্যও একইভাবে বাইরের স্তর ঝরিয়ে একটি প্ল্যানেটারি নীহারিকায় পরিণত হবে।

    বিডিপ্রতিদিন
    জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে ধরা নীহারিকার লুকানো বিস্ময় মহাকাশের দূর অন্ধকারে যেন লুকিয়ে ছিল এক বিশাল বিস্ময়। অবশেষে সেই রহস্য উন্মোচন করল নাসা। প্রকাশ করল লাল মাকড়সা নীহারিকা বা ‘রেড স্পাইডার নেবুলা’র এক নতুন, দৃষ্টিনন্দন ছবি। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে ধারণ করা এই ছবিতে প্রথমবার নীহারিকার দুই বিশাল লোব স্পষ্ট দেখা গেছে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ছবিটিকে মজা করে বলেছে ‘কসমিক ক্রিপি-ক্রলি’ (মহাজাগতিক মাকড়সা-সদৃশ গঠন)। পৃথিবী থেকে প্রায় ৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরের এই নীহারিকা আসলে একটি ‘প্ল্যানেটারি নেবুলা’। মানে সূর্যের মতো একটি তারার জীবনের শেষ ধাপের অবশিষ্ট গ্যাস-মেঘ। তারাটি জ্বালানি ফুরিয়ে লাল দানবে রূপ নিয়ে শেষ পর্যন্ত বাইরের স্তরগুলো মহাশূন্যে ছুড়ে ফেলে। ভেতরে থাকে সাদা-বামন কেন্দ্র, যেখান থেকে নির্গত অতি বেগুনি আলো গ্যাসকে আলোকিত করে, তৈরি হয় নীহারিকার এই রঙিন দৃশ্য। নাসা জানিয়েছে, নীহারিকার লোবগুলো তৈরি হয়েছে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসা গ্যাসের বিশাল চাপের কারণে। এসব লোব H₂ অণুর (দুই হাইড্রোজেন পরমাণুর বন্ধনযুক্ত গ্যাস) নির্গত আলোতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ছবিটি ধারণ করেছে জেমস ওয়েবের মূল নিকট-ইনফ্রারেড ক্যামেরা, যা অত্যন্ত উচ্চ রেজোলিউশনের ছবি তুলতে সক্ষম। নাসা বলছে, ছবিতে একটি তারা দেখা গেলেও সেখানে আরেকটি সঙ্গী তারা থাকতে পারে। সেই অদৃশ্য তারার মাধ্যাকর্ষণই নীহারিকার সরু কোমর ও দুই পাশে ঘণ্টাঘড়ির মতো আকৃতি তৈরি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, লাল মাকড়সা নীহারিকাটি ভবিষ্যতে আমাদের সূর্যের কী পরিণতি হতে পারে তারই এক ঝলক। প্রায় পাঁচ বিলিয়ন বছর পর সূর্যও একইভাবে বাইরের স্তর ঝরিয়ে একটি প্ল্যানেটারি নীহারিকায় পরিণত হবে। বিডিপ্রতিদিন
    Love
    1
    · 1 Comments ·0 Shares ·703 Views ·0 Reviews
  • অ্যান্টার্কটিকার ডুমসডে হিমবাহ নিচ থেকে গলে যাচ্ছে

    রহস্যময় মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা। বরফে ঘেরা এই মহাদেশের বড় বড় হিমবাহ ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, সমুদ্রের পানির নিচের ঝড়ের কারণে অ্যান্টার্কটিকার ডুমসডে হিমবাহ নিচ থেকে গলে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড়ের মতোই খোলা সমুদ্রে যখন বিভিন্ন তাপমাত্রা ও ঘনত্বের পানি একত্রিত হয়, তখন ঘূর্ণমান আবর্ত বা ঝড় তৈরি হয়। এসব ঝড় পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার থোয়েটস হিমবাহ ও পাইন আইল্যান্ড হিমবাহকে নিচ থেকে গলিয়ে দিচ্ছে। থোয়েটস হিমবাহকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডুমসডে হিমবাহ নামে ডাকা হয়।

    বিজ্ঞানীদের মতে, ঘূর্ণমান আবর্ত বা ঝড় সমুদ্রের গভীর থেকে গভীর, উষ্ণ পানিকে হিমবাহের গহ্বরের দিকে টেনে আনে ও শীতল স্বাদুপানিকে দূরে ঠেলে দেয়। বরফের স্তর গলে যাওয়ার এই প্রক্রিয়া সারা বছর ধরেই চলে। এ বছরের জুন থেকে এর মাত্রা বেশি দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, আরভাইনের বিজ্ঞানী ম্যাট্টিয়া পোইনেলি বলেন, সমুদ্রের এমন ঘূর্ণি বা আবর্ত দেখতে হুবহু ঝড়ের মতো ও খুব শক্তিশালী। পৃষ্ঠের কাছাকাছি এসব উল্লম্ব আকারে আঘাত হানে। যেখানে বেশি উষ্ণ পানি থাকবে, সেখানে হিমবাহ বেশি গলবে। ভবিষ্যতে অ্যান্টার্কটিকার বিভিন্ন অঞ্চলে এর প্রভাব দেখা যাবে।

    বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গত কয়েক দশকে বিভিন্ন হিমবাহের পুরুত্ব অনেক কমে গেছে। ডুমসডে হিমবাহটিও উষ্ণায়নের কারণে আকারে ছোট হচ্ছে। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে দুই কিলোমিটারের বেশি গভীরে অবস্থিত। থোয়েটস হিমবাহের ধস হলে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক থেকে দুই মিটার বেড়ে যাবে।

    হিমবাহ সূর্যের রশ্মিকে মহাশূন্যে প্রতিফলিত করে। মূল্যবান স্বাদুপানি সঞ্চয় করে রাখে। আর তাই আকারে বড় হিমবাহগুলো যদি সম্পূর্ণরূপে গলে যায়, তবে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা হঠাৎ বেড়ে যাবে। এর ফলে বিভিন্ন শহরের লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে ও অবকাঠামো ধ্বংস হবে।

    সূত্র: ডেইলি মেইল
    অ্যান্টার্কটিকার ডুমসডে হিমবাহ নিচ থেকে গলে যাচ্ছে রহস্যময় মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা। বরফে ঘেরা এই মহাদেশের বড় বড় হিমবাহ ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, সমুদ্রের পানির নিচের ঝড়ের কারণে অ্যান্টার্কটিকার ডুমসডে হিমবাহ নিচ থেকে গলে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড়ের মতোই খোলা সমুদ্রে যখন বিভিন্ন তাপমাত্রা ও ঘনত্বের পানি একত্রিত হয়, তখন ঘূর্ণমান আবর্ত বা ঝড় তৈরি হয়। এসব ঝড় পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার থোয়েটস হিমবাহ ও পাইন আইল্যান্ড হিমবাহকে নিচ থেকে গলিয়ে দিচ্ছে। থোয়েটস হিমবাহকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডুমসডে হিমবাহ নামে ডাকা হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, ঘূর্ণমান আবর্ত বা ঝড় সমুদ্রের গভীর থেকে গভীর, উষ্ণ পানিকে হিমবাহের গহ্বরের দিকে টেনে আনে ও শীতল স্বাদুপানিকে দূরে ঠেলে দেয়। বরফের স্তর গলে যাওয়ার এই প্রক্রিয়া সারা বছর ধরেই চলে। এ বছরের জুন থেকে এর মাত্রা বেশি দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, আরভাইনের বিজ্ঞানী ম্যাট্টিয়া পোইনেলি বলেন, সমুদ্রের এমন ঘূর্ণি বা আবর্ত দেখতে হুবহু ঝড়ের মতো ও খুব শক্তিশালী। পৃষ্ঠের কাছাকাছি এসব উল্লম্ব আকারে আঘাত হানে। যেখানে বেশি উষ্ণ পানি থাকবে, সেখানে হিমবাহ বেশি গলবে। ভবিষ্যতে অ্যান্টার্কটিকার বিভিন্ন অঞ্চলে এর প্রভাব দেখা যাবে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গত কয়েক দশকে বিভিন্ন হিমবাহের পুরুত্ব অনেক কমে গেছে। ডুমসডে হিমবাহটিও উষ্ণায়নের কারণে আকারে ছোট হচ্ছে। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে দুই কিলোমিটারের বেশি গভীরে অবস্থিত। থোয়েটস হিমবাহের ধস হলে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক থেকে দুই মিটার বেড়ে যাবে। হিমবাহ সূর্যের রশ্মিকে মহাশূন্যে প্রতিফলিত করে। মূল্যবান স্বাদুপানি সঞ্চয় করে রাখে। আর তাই আকারে বড় হিমবাহগুলো যদি সম্পূর্ণরূপে গলে যায়, তবে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা হঠাৎ বেড়ে যাবে। এর ফলে বিভিন্ন শহরের লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে ও অবকাঠামো ধ্বংস হবে। সূত্র: ডেইলি মেইল
    0 Comments ·0 Shares ·591 Views ·0 Reviews
  • স্টারলিংকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দ্রুতগতির স্যাটেলাইট অ্যানটেনা উন্মোচন করল অ্যামাজন

    কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ইন্টারনেট-সেবা দিচ্ছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। স্টারলিংকের বিকল্প হিসেবে স্যাটেলাইটনির্ভর ইন্টারনেট–সেবা চালুর জন্য কাজ করছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনও। স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট–সেবায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে সম্প্রতি ‘লিও আলট্রা’ নামের দ্রুতগতির স্যাটেলাইট অ্যানটেনা উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

    অ্যামাজনের দাবি, লিও আলট্রা এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির স্যাটেলাইট অ্যানটেনা। ২০ বাই ৩০ ইঞ্চি আকারের অ্যানটেনাটির মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ১ গিগাবিট (১০০০ মেগাবিট) তথ্য ডাউনলোড ও ৪০০ মেগাবিট তথ্য আপলোড করা যাবে। পাশাপাশি অ্যানটেনাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসসহ বিভিন্ন ক্লাউড নেটওয়ার্কের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকবে। আকারে ছোট অ্যানটেনাটি ব্যক্তিগত ব্যবহারকারী ও ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে।

    বর্তমানে স্টারলিংকে ১ গিগাবিটের চেয়ে কম ডাউনলোড গতি পাওয়া যায়, যা অ্যামাজনের ঘোষিত সর্বোচ্চ গতির তুলনায় বেশ কম। যদিও স্পেসএক্স জানিয়েছে, নতুন ভি থ্রি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আগামী বছর থেকে স্টারলিংক ব্যবহারকারীরা বর্তমানের চেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট–সেবা পাবেন।

    প্রসঙ্গত, স্যাটেলাইটনির্ভর ইন্টারনেট–সেবা চালুর জন্য মহাকাশে কয়েক হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে অ্যামাজন। এরই মধ্যে অ্যামাজন তাদের প্রথম প্রোটোটাইপ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ইতিমধ্যেই তাদের গ্রামীণ অঞ্চলে ইন্টারনেট–সেবার অ্যামাজনের সঙ্গে চুক্তি করেছে। তাই অ্যামাজনের স্যাটেলাইটনির্ভর ইন্টারনেট–সেবা চালু হলে ভবিষ্যতে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে স্টারলিংক।

    সূত্র: দ্য ভার্জ
    স্টারলিংকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দ্রুতগতির স্যাটেলাইট অ্যানটেনা উন্মোচন করল অ্যামাজন কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ইন্টারনেট-সেবা দিচ্ছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। স্টারলিংকের বিকল্প হিসেবে স্যাটেলাইটনির্ভর ইন্টারনেট–সেবা চালুর জন্য কাজ করছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনও। স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট–সেবায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে সম্প্রতি ‘লিও আলট্রা’ নামের দ্রুতগতির স্যাটেলাইট অ্যানটেনা উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অ্যামাজনের দাবি, লিও আলট্রা এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির স্যাটেলাইট অ্যানটেনা। ২০ বাই ৩০ ইঞ্চি আকারের অ্যানটেনাটির মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ১ গিগাবিট (১০০০ মেগাবিট) তথ্য ডাউনলোড ও ৪০০ মেগাবিট তথ্য আপলোড করা যাবে। পাশাপাশি অ্যানটেনাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসসহ বিভিন্ন ক্লাউড নেটওয়ার্কের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকবে। আকারে ছোট অ্যানটেনাটি ব্যক্তিগত ব্যবহারকারী ও ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে স্টারলিংকে ১ গিগাবিটের চেয়ে কম ডাউনলোড গতি পাওয়া যায়, যা অ্যামাজনের ঘোষিত সর্বোচ্চ গতির তুলনায় বেশ কম। যদিও স্পেসএক্স জানিয়েছে, নতুন ভি থ্রি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আগামী বছর থেকে স্টারলিংক ব্যবহারকারীরা বর্তমানের চেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট–সেবা পাবেন। প্রসঙ্গত, স্যাটেলাইটনির্ভর ইন্টারনেট–সেবা চালুর জন্য মহাকাশে কয়েক হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে অ্যামাজন। এরই মধ্যে অ্যামাজন তাদের প্রথম প্রোটোটাইপ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ইতিমধ্যেই তাদের গ্রামীণ অঞ্চলে ইন্টারনেট–সেবার অ্যামাজনের সঙ্গে চুক্তি করেছে। তাই অ্যামাজনের স্যাটেলাইটনির্ভর ইন্টারনেট–সেবা চালু হলে ভবিষ্যতে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে স্টারলিংক। সূত্র: দ্য ভার্জ
    Like
    1
    · 0 Comments ·0 Shares ·590 Views ·0 Reviews
  • যে বস্তুর সংস্পর্শে এলে দুই দিনের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে -- ২

    দুর্ঘটনার পর ১৯৮৬ সালে ধ্বংসপ্রাপ্ত রিঅ্যাক্টরের নিচের বাষ্প করিডরে পৌঁছাতে সক্ষম হন কর্মীরা। বিভিন্ন যন্ত্রে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সীমার চেয়ে অনেক বেশি বিকিরণের মাত্রা রেকর্ড করা হয়। সরাসরি ভয়ংকর সেই বস্তুর কাছে যাওয়া যায়নি। দূর থেকে ক্যামেরায় ছবি তোলা হয়।

    বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, এলিফ্যান্টস ফুট থেকে আয়নাইজিং বিকিরণ নির্গত হচ্ছে, যা কোষীয় স্তরে মানুষের টিস্যু ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। যখন প্রথম পরিমাপ করা হয়েছিল, তখন বস্তুটি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার রঞ্জেন বিকিরণ নির্গত করত। এই পরিমাণ রঞ্জেন ৪ দশমিক ৫ মিলিয়নেরও বেশি বুকের এক্স-রের সমতুল্য। একজন মানুষকে হত্যা করার জন্য মোটামুটি এক হাজার রঞ্জেন প্রয়োজন। এটি সেই সীমার চেয়ে ১০ গুণ বেশি ছিল। ২০০১ সালে এলিফ্যান্টস ফুট থেকে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৮০০ রঞ্জেন পরিমাপ করা হয়। অনুমান করা হয়, বস্তুটি ১০ হাজার বছর ধরে বিপজ্জনকভাবে তেজস্ক্রিয় থাকবে। তাই অনেকেই এ বস্তুকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক পারমাণবিক বর্জ্য হিসেবে উল্লেখ করেন।

    সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
    যে বস্তুর সংস্পর্শে এলে দুই দিনের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে -- ২ দুর্ঘটনার পর ১৯৮৬ সালে ধ্বংসপ্রাপ্ত রিঅ্যাক্টরের নিচের বাষ্প করিডরে পৌঁছাতে সক্ষম হন কর্মীরা। বিভিন্ন যন্ত্রে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সীমার চেয়ে অনেক বেশি বিকিরণের মাত্রা রেকর্ড করা হয়। সরাসরি ভয়ংকর সেই বস্তুর কাছে যাওয়া যায়নি। দূর থেকে ক্যামেরায় ছবি তোলা হয়। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, এলিফ্যান্টস ফুট থেকে আয়নাইজিং বিকিরণ নির্গত হচ্ছে, যা কোষীয় স্তরে মানুষের টিস্যু ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। যখন প্রথম পরিমাপ করা হয়েছিল, তখন বস্তুটি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার রঞ্জেন বিকিরণ নির্গত করত। এই পরিমাণ রঞ্জেন ৪ দশমিক ৫ মিলিয়নেরও বেশি বুকের এক্স-রের সমতুল্য। একজন মানুষকে হত্যা করার জন্য মোটামুটি এক হাজার রঞ্জেন প্রয়োজন। এটি সেই সীমার চেয়ে ১০ গুণ বেশি ছিল। ২০০১ সালে এলিফ্যান্টস ফুট থেকে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৮০০ রঞ্জেন পরিমাপ করা হয়। অনুমান করা হয়, বস্তুটি ১০ হাজার বছর ধরে বিপজ্জনকভাবে তেজস্ক্রিয় থাকবে। তাই অনেকেই এ বস্তুকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক পারমাণবিক বর্জ্য হিসেবে উল্লেখ করেন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
    0 Comments ·0 Shares ·535 Views ·0 Reviews
  • নতুন ধূমকেতুর ছবিতেই খারিজ হল ‘এলিয়েন নভোযানে’র গুজব -- ৩

    সেই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “আমরা সত্যিই মহাবিশ্বের কোথাও প্রাণের কোনো চিহ্ন রয়েছে কি না তা খুঁজে পেতে খুব আগ্রহী।”

    নাসা বলেছে, পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় ৩আই/অ্যাটলাস এবং আমাদের গ্রহের কাছাকাছিও এটি আসবে না। সবচেয়ে কাছে এলেও পৃথিবী থেকে প্রায় সাড়ে ২৭ কোটি কিলোমিটার দূরেই থাকবে এ ধুমকেতু।

    ফক্স বলেছেন, নাসা হাবল টেলিস্কোপ, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ও মঙ্গলকে ঘিরে থাকা বিভিন্ন স্যাটেলাইটসহ ডজনেরও বেশি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র ব্যবহার করে এই ধুমকেতু নিয়ে গবেষণা করেছেন তারা।

    নতুন ধুমকেতুর বিভিন্ন ছবি অনেক দূর থেকে তোলা। এসব ছবি থেকে ইঙ্গিত মেলে, বস্তুটি কিছুটা ঝাপসা দেখা গেলেও ধূমকেতুর কেন্দ্রে থাকা কণা ও গ্যাসের মেঘ এবং এর কক্ষপথের পেছনের ধূলার লেজের স্পষ্ট দেখা মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি শাটডাউনের কারণে এসব ছবি প্রকাশের কাজ সাময়িকভাবে আটকে ছিল।

    সৌরজগতের ক্ষুদ্র বস্তু নিয়ে কাজ করা নাসার প্রধান বিজ্ঞানী টম স্ট্যাটলার বলেছেন, ধূমকেতুর কেন্দ্রীয় অংশ বা নিউক্লিয়াসের আকার নির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন। তবে হাবল টেলিস্কোপের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তিনি অনুমান করেছেন, ‘এর ব্যাস প্রায় কয়েক হাজার ফুট থেকে কয়েক কিলোমিটার হতে পারে। নিউক্লিয়াসটি দেখতে সম্ভবত গোলাকার আকৃতির’।

    ধূমকেতুটি ঠিক কোথা থেকে এসেছে তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে নাসার বিজ্ঞানীদের অনুমান, আমাদের সৌরজগতের চেয়েও পুরানো কোনো নক্ষত্র সিস্টেম থেকে এসেছে এই ধুমকেতু। আমাদের সৌরজগতের বয়স প্রায় সাড়ে চারশ কোটি বছর।

    Source: bdnews24
    নতুন ধূমকেতুর ছবিতেই খারিজ হল ‘এলিয়েন নভোযানে’র গুজব -- ৩ সেই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “আমরা সত্যিই মহাবিশ্বের কোথাও প্রাণের কোনো চিহ্ন রয়েছে কি না তা খুঁজে পেতে খুব আগ্রহী।” নাসা বলেছে, পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় ৩আই/অ্যাটলাস এবং আমাদের গ্রহের কাছাকাছিও এটি আসবে না। সবচেয়ে কাছে এলেও পৃথিবী থেকে প্রায় সাড়ে ২৭ কোটি কিলোমিটার দূরেই থাকবে এ ধুমকেতু। ফক্স বলেছেন, নাসা হাবল টেলিস্কোপ, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ও মঙ্গলকে ঘিরে থাকা বিভিন্ন স্যাটেলাইটসহ ডজনেরও বেশি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র ব্যবহার করে এই ধুমকেতু নিয়ে গবেষণা করেছেন তারা। নতুন ধুমকেতুর বিভিন্ন ছবি অনেক দূর থেকে তোলা। এসব ছবি থেকে ইঙ্গিত মেলে, বস্তুটি কিছুটা ঝাপসা দেখা গেলেও ধূমকেতুর কেন্দ্রে থাকা কণা ও গ্যাসের মেঘ এবং এর কক্ষপথের পেছনের ধূলার লেজের স্পষ্ট দেখা মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি শাটডাউনের কারণে এসব ছবি প্রকাশের কাজ সাময়িকভাবে আটকে ছিল। সৌরজগতের ক্ষুদ্র বস্তু নিয়ে কাজ করা নাসার প্রধান বিজ্ঞানী টম স্ট্যাটলার বলেছেন, ধূমকেতুর কেন্দ্রীয় অংশ বা নিউক্লিয়াসের আকার নির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন। তবে হাবল টেলিস্কোপের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তিনি অনুমান করেছেন, ‘এর ব্যাস প্রায় কয়েক হাজার ফুট থেকে কয়েক কিলোমিটার হতে পারে। নিউক্লিয়াসটি দেখতে সম্ভবত গোলাকার আকৃতির’। ধূমকেতুটি ঠিক কোথা থেকে এসেছে তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে নাসার বিজ্ঞানীদের অনুমান, আমাদের সৌরজগতের চেয়েও পুরানো কোনো নক্ষত্র সিস্টেম থেকে এসেছে এই ধুমকেতু। আমাদের সৌরজগতের বয়স প্রায় সাড়ে চারশ কোটি বছর। Source: bdnews24
    0 Comments ·0 Shares ·481 Views ·0 Reviews
  • মহাকাশের অস্বাভাবিক নক্ষত্রব্যবস্থার ছবি তুলেছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

    মহাকাশ মানেই যেন মহাবিস্ময়। আবিষ্কারের শেষ নেই সেখানে। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে (ছায়াপথ) থাকা একটি অস্বাভাবিক নক্ষত্রব্যবস্থার ছবি তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। ছবিগুলোতে চার স্তরের বিরল সর্পিল মহাকাশীয় কাঠামো শনাক্ত করা হয়েছে।

    বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৮ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত অ্যাপেপ নক্ষত্র কাঠামোটি মিসরের বিশৃঙ্খলার দেবতা অ্যাপেপের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এত দিন অ্যাপেপ নক্ষত্র কাঠামোতে শুধু একটি আবরণ শনাক্ত করা হয়েছিল। তবে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের তোলা নতুন ছবিতে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। ইনফ্রারেড চিত্রে পুরো কাঠামোতে চারটি আবরণ শনাক্ত করা হয়েছে। এসব আবরণ গত ৭০০ বছরে দুটি উলফ-রেয়েট নক্ষত্র থেকে নির্গত ঘন কার্বন ধূলিকণা দিয়ে তৈরি হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    উলফ-রেয়েট নক্ষত্র সেই সব নক্ষত্রকে বলা হয়, যারা তাদের জীবনের শেষ প্রান্তে আছে। এসব নক্ষত্র অত্যন্ত বিরল। আমাদের গ্যালাক্সিতে এ ধরনের মাত্র এক হাজার নক্ষত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। অ্যাপেপে এ ধরনের দুটি নক্ষত্র রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকোয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ইয়িনুও হান ও রায়ান হোয়াইটের তথ্যমতে, আট হাজার আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র দুটি প্রতি ১৯০ বছরে একবার একে অপরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে।

    জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের তোলা ছবিতে একটি তৃতীয় নক্ষত্রের উপস্থিতিও নিশ্চিত করা গেছে। তৃতীয় নক্ষত্রটি আকারে আমাদের সূর্যের চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ গুণ বড়। তৃতীয় নক্ষত্রের আবরণের মধ্যে একটি গহ্বর রয়েছে, যা দেখতে একটি ফানেলের মতো। ভবিষ্যতে সুপারনোভাতে বিস্ফোরিত হয়ে একটি কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত হতে পারে নক্ষত্রটি।

    সূত্র: এনগ্যাজেট
    মহাকাশের অস্বাভাবিক নক্ষত্রব্যবস্থার ছবি তুলেছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ মহাকাশ মানেই যেন মহাবিস্ময়। আবিষ্কারের শেষ নেই সেখানে। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে (ছায়াপথ) থাকা একটি অস্বাভাবিক নক্ষত্রব্যবস্থার ছবি তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। ছবিগুলোতে চার স্তরের বিরল সর্পিল মহাকাশীয় কাঠামো শনাক্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৮ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত অ্যাপেপ নক্ষত্র কাঠামোটি মিসরের বিশৃঙ্খলার দেবতা অ্যাপেপের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এত দিন অ্যাপেপ নক্ষত্র কাঠামোতে শুধু একটি আবরণ শনাক্ত করা হয়েছিল। তবে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের তোলা নতুন ছবিতে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। ইনফ্রারেড চিত্রে পুরো কাঠামোতে চারটি আবরণ শনাক্ত করা হয়েছে। এসব আবরণ গত ৭০০ বছরে দুটি উলফ-রেয়েট নক্ষত্র থেকে নির্গত ঘন কার্বন ধূলিকণা দিয়ে তৈরি হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। উলফ-রেয়েট নক্ষত্র সেই সব নক্ষত্রকে বলা হয়, যারা তাদের জীবনের শেষ প্রান্তে আছে। এসব নক্ষত্র অত্যন্ত বিরল। আমাদের গ্যালাক্সিতে এ ধরনের মাত্র এক হাজার নক্ষত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। অ্যাপেপে এ ধরনের দুটি নক্ষত্র রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকোয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ইয়িনুও হান ও রায়ান হোয়াইটের তথ্যমতে, আট হাজার আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র দুটি প্রতি ১৯০ বছরে একবার একে অপরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের তোলা ছবিতে একটি তৃতীয় নক্ষত্রের উপস্থিতিও নিশ্চিত করা গেছে। তৃতীয় নক্ষত্রটি আকারে আমাদের সূর্যের চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ গুণ বড়। তৃতীয় নক্ষত্রের আবরণের মধ্যে একটি গহ্বর রয়েছে, যা দেখতে একটি ফানেলের মতো। ভবিষ্যতে সুপারনোভাতে বিস্ফোরিত হয়ে একটি কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত হতে পারে নক্ষত্রটি। সূত্র: এনগ্যাজেট
    Like
    1
    · 0 Comments ·0 Shares ·450 Views ·0 Reviews
  • আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা!

    আমি নাহিদ হাসান নয়ন। আজ থেকে আমিও যুক্ত হলাম জনসাথী (Jonosathi) পরিবারের সাথে। এখানে নতুন কিছু শিখতে এবং সবার সাথে পরিচিত হতে এসেছি। আশা করি সবাই আমাকে সাপোর্ট করবেন এবং ফলো দিয়ে পাশে থাকবেন।

    #NewMember #Jonosathi #NahidHasanNoyon
    আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা! 👋 আমি নাহিদ হাসান নয়ন। আজ থেকে আমিও যুক্ত হলাম জনসাথী (Jonosathi) পরিবারের সাথে। এখানে নতুন কিছু শিখতে এবং সবার সাথে পরিচিত হতে এসেছি। আশা করি সবাই আমাকে সাপোর্ট করবেন এবং ফলো দিয়ে পাশে থাকবেন। ❤️ #NewMember #Jonosathi #NahidHasanNoyon
    Like
    Love
    5
    · 26 Comments ·0 Shares ·591 Views ·1 Reviews
  • বিজ্ঞানীরা কীভাবে বলতে পারেন ভূমিকম্পের উৎপত্তি কোথায় হয়েছে

    ভূমিকম্পের অবস্থান নির্ণয়ের জন্যও সিসমোগ্রাম কাজে আসে। পি তরঙ্গ আর এস তরঙ্গ নিয়ে তখন আলোচনা করা হয়। পি তরঙ্গ এস তরঙ্গের চেয়ে দ্রুতগামী। এ তথ্য বিজ্ঞানীদের বলতে সাহায্য করে ভূমিকম্পের উৎপত্তি কোথায় হয়েছে। বিষয়টি বোঝার জন্য পি ও এস তরঙ্গকে বজ্রপাত ও বজ্রধ্বনির সঙ্গে তুলনা করুন। আলো শব্দের চেয়ে দ্রুত ভ্রমণ করে, তাই একটি বজ্রপাতের সময় আপনি প্রথমে বজ্রপাতের ঝলকানি দেখতে পাবেন এবং তারপর বজ্রধ্বনি শুনতে পাবেন।

    পি তরঙ্গ বজ্রপাতের মতো ও এস তরঙ্গ বজ্রধ্বনির মতো। পি তরঙ্গ দ্রুত ভ্রমণ করে এবং প্রথমে যেখানে আপনি আছেন, সেখানে পৃথিবী কাঁপায়। তারপর এস তরঙ্গ আসে এবং পৃথিবীকে কাঁপায়। আপনি যদি ভূমিকম্পের কাছাকাছি থাকেন, তাহলে পি ও এস তরঙ্গ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আসবে, কিন্তু আপনি যদি দূরে থাকেন, তবে দুটির মধ্যে আরও বেশি সময় থাকবে।

    একটি সিসমোগ্রাফে রেকর্ড করা সিসমোগ্রামে পি ও এস তরঙ্গের মধ্যকার সময়ের ব্যবধান দেখে বিজ্ঞানীরা বলতে পারেন, ভূমিকম্প সেই অবস্থান থেকে কত দূরে হয়েছিল। সিসমোগ্রাফ থেকে ভূমিকম্পটি কোন দিকে হয়েছিল, তা বলা যায় না। শুধু কত দূরে ছিল তা বলা যায়।

    সূত্র: ইউএসজিএস ডট গভ
    বিজ্ঞানীরা কীভাবে বলতে পারেন ভূমিকম্পের উৎপত্তি কোথায় হয়েছে ভূমিকম্পের অবস্থান নির্ণয়ের জন্যও সিসমোগ্রাম কাজে আসে। পি তরঙ্গ আর এস তরঙ্গ নিয়ে তখন আলোচনা করা হয়। পি তরঙ্গ এস তরঙ্গের চেয়ে দ্রুতগামী। এ তথ্য বিজ্ঞানীদের বলতে সাহায্য করে ভূমিকম্পের উৎপত্তি কোথায় হয়েছে। বিষয়টি বোঝার জন্য পি ও এস তরঙ্গকে বজ্রপাত ও বজ্রধ্বনির সঙ্গে তুলনা করুন। আলো শব্দের চেয়ে দ্রুত ভ্রমণ করে, তাই একটি বজ্রপাতের সময় আপনি প্রথমে বজ্রপাতের ঝলকানি দেখতে পাবেন এবং তারপর বজ্রধ্বনি শুনতে পাবেন। পি তরঙ্গ বজ্রপাতের মতো ও এস তরঙ্গ বজ্রধ্বনির মতো। পি তরঙ্গ দ্রুত ভ্রমণ করে এবং প্রথমে যেখানে আপনি আছেন, সেখানে পৃথিবী কাঁপায়। তারপর এস তরঙ্গ আসে এবং পৃথিবীকে কাঁপায়। আপনি যদি ভূমিকম্পের কাছাকাছি থাকেন, তাহলে পি ও এস তরঙ্গ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আসবে, কিন্তু আপনি যদি দূরে থাকেন, তবে দুটির মধ্যে আরও বেশি সময় থাকবে। একটি সিসমোগ্রাফে রেকর্ড করা সিসমোগ্রামে পি ও এস তরঙ্গের মধ্যকার সময়ের ব্যবধান দেখে বিজ্ঞানীরা বলতে পারেন, ভূমিকম্প সেই অবস্থান থেকে কত দূরে হয়েছিল। সিসমোগ্রাফ থেকে ভূমিকম্পটি কোন দিকে হয়েছিল, তা বলা যায় না। শুধু কত দূরে ছিল তা বলা যায়। সূত্র: ইউএসজিএস ডট গভ
    Like
    3
    · 0 Comments ·0 Shares ·515 Views ·0 Reviews
  • একসময় বরফ ছিল চাঁদে

    মহাকাশে চাঁদের বর্তমান ছবি দেখলে মনে হয় শুষ্ক, ধূসর আর জনশূন্য এক পাথুরে উপগ্রহের। বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে ধারণা করছেন, চাঁদের গভীরে কোথাও পানির অস্তিত্ব রয়েছে। আধুনিক অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, চাঁদের মেরু অঞ্চলে বরফের আকারে বিশাল পানির ভান্ডার রয়েছে। সাম্প্রতিক কিছু আবিষ্কার থেকে কয়েক শ কোটি বছর আগে চাঁদ কেমন ছিল, তা নিয়ে তথ্য জানা গেছে। মনে করা হচ্ছে, প্রাচীনকালে চাঁদে কেবল বরফ জমা হয়নি, সেখানে সম্ভবত আকাশ থেকে তুষারপাতের ঘটনা ঘটত একসময়।

    বিজ্ঞানীদের মতে, যখন চাঁদের জন্ম হয়েছিল, তখন এটি পৃথিবীর বর্তমান কক্ষপথ থেকে অনেক কাছাকাছি ছিল। নৈকট্যের কারণে চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে একটি অভূতপূর্ব চৌম্বকীয় সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। ধারণা করা হয়, সেই সময়ে চাঁদও পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের একটি গতিশীল অংশীদার ছিল। চৌম্বকীয় রক্ষাকবচের কারণে তখন চাঁদ নিজের একটি বায়ুমণ্ডল ধরে রাখতে সক্ষম হয়। এই বায়ুমণ্ডল বর্তমান মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডলের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ ঘন ছিল। সূর্যের ক্ষতিকারক সৌরবায়ু থেকে বায়ুমণ্ডল সুরক্ষিত থাকায়, এই বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প ও কার্বন ডাই–অক্সাইড জমা হতে পারত। পরিবেশগত এই পরিস্থিতি বলছে, সেখানে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা কমলে তুষারপাত ঘটত কি না।

    সাম্প্রতিক গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে, সেই সময়ে পৃথিবীর নিকটতম প্রতিবেশী উগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড ও জলীয় বরফের তুষারপাত হওয়া অসম্ভব ছিল না।

    সূত্র: স্পেস
    একসময় বরফ ছিল চাঁদে মহাকাশে চাঁদের বর্তমান ছবি দেখলে মনে হয় শুষ্ক, ধূসর আর জনশূন্য এক পাথুরে উপগ্রহের। বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে ধারণা করছেন, চাঁদের গভীরে কোথাও পানির অস্তিত্ব রয়েছে। আধুনিক অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, চাঁদের মেরু অঞ্চলে বরফের আকারে বিশাল পানির ভান্ডার রয়েছে। সাম্প্রতিক কিছু আবিষ্কার থেকে কয়েক শ কোটি বছর আগে চাঁদ কেমন ছিল, তা নিয়ে তথ্য জানা গেছে। মনে করা হচ্ছে, প্রাচীনকালে চাঁদে কেবল বরফ জমা হয়নি, সেখানে সম্ভবত আকাশ থেকে তুষারপাতের ঘটনা ঘটত একসময়। বিজ্ঞানীদের মতে, যখন চাঁদের জন্ম হয়েছিল, তখন এটি পৃথিবীর বর্তমান কক্ষপথ থেকে অনেক কাছাকাছি ছিল। নৈকট্যের কারণে চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে একটি অভূতপূর্ব চৌম্বকীয় সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। ধারণা করা হয়, সেই সময়ে চাঁদও পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের একটি গতিশীল অংশীদার ছিল। চৌম্বকীয় রক্ষাকবচের কারণে তখন চাঁদ নিজের একটি বায়ুমণ্ডল ধরে রাখতে সক্ষম হয়। এই বায়ুমণ্ডল বর্তমান মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডলের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ ঘন ছিল। সূর্যের ক্ষতিকারক সৌরবায়ু থেকে বায়ুমণ্ডল সুরক্ষিত থাকায়, এই বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প ও কার্বন ডাই–অক্সাইড জমা হতে পারত। পরিবেশগত এই পরিস্থিতি বলছে, সেখানে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা কমলে তুষারপাত ঘটত কি না। সাম্প্রতিক গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে, সেই সময়ে পৃথিবীর নিকটতম প্রতিবেশী উগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড ও জলীয় বরফের তুষারপাত হওয়া অসম্ভব ছিল না। সূত্র: স্পেস
    0 Comments ·0 Shares ·417 Views ·0 Reviews
  • পৃথিবী থেকে ১৮ আলোকবর্ষ দূরে সুপার-আর্থের খোঁজ

    মহাবিশ্বের অন্য কোনো প্রান্তে জীবনের বসবাস আছে কি না, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা ২৪ ঘণ্টা আকাশের নানা কোণে উঁকি দিচ্ছেন। সেই উঁকিতে এবার পৃথিবী থেকে মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরের একটি গ্রহের খোঁজ মিলেছে। পৃথিবীর মতো কিন্তু আকারে বড় বলে এ ধরনের গ্রহ সুপার-আর্থ নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া (ইউসি), আরভিনের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই রোমাঞ্চকর সুপার–আর্থ আবিষ্কার করেছেন।

    নতুন আবিষ্কৃত গ্রহটি তার নক্ষত্রের বাসযোগ্য অঞ্চল থেকে প্রদক্ষিণ করছে। এই অঞ্চলের তাপমাত্রার কারণে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা বেশ। গ্রহটিতে জীবনধারণের উপযোগী পরিবেশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। এই নতুন আবিষ্কৃত গ্রহটি মিল্কিওয়ে ছায়াপথের একটি নিকটবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। এটি পাথুরে বলে মনে করা হচ্ছে। আকারে পৃথিবীর সমান হলেও ওজনে পৃথিবীর চেয়ে বহু গুণ বেশি। গ্রহের বিভিন্ন তথ্য দ্য অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ইউসি আরভিনের পদার্থবিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের বিজ্ঞানী পল রবার্টসনের বলেন, আজকাল নতুন বহির্গ্রহ বা এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করা সাধারণ হয়ে গেছে। নতুন এই গ্রহকে বিশেষ বলা যায়। এর নক্ষত্রটি আমাদের খুব কাছাকাছি অবস্থিত প্রায় ১৮ আলোকবর্ষ দূরে। মহাজাগতিক পরিভাষায়, এই দূরত্বকে প্রায় আমাদের প্রতিবেশে থাকার মতো বলা যায়।

    জিজে ২৫১ সি নামের এই গ্রহ একটি এম-বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে। এই নক্ষত্র মিল্কিওয়েতে সবচেয়ে সাধারণ ও প্রাচীন নক্ষত্রের মধ্যে অন্যতম। এই সব নক্ষত্রের মধ্যে তারার মতো দাগ ও সৌরশিখার মতো তীব্র কার্যকলাপ দেখা যায়। এমন সংকেত দেখে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গ্রহ খোঁজার চেষ্টা করেন। প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, নতুন গ্রহটি স্বল্প দূরত্বের কারণে বেশ আকর্ষণীয়। ভবিষ্যতে সরাসরি চিত্রগ্রহণের সুযোগ রয়েছে গ্রহটির। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার থার্টি মিটার টেলিস্কোপের মতো শক্তিশালী টেলিস্কোপ এমন ক্ষীণ বহির্গ্রহের স্পষ্ট ছবি তুলতে ও পানির সম্ভাব্য উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সক্ষম হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।


    সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো
    পৃথিবী থেকে ১৮ আলোকবর্ষ দূরে সুপার-আর্থের খোঁজ মহাবিশ্বের অন্য কোনো প্রান্তে জীবনের বসবাস আছে কি না, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা ২৪ ঘণ্টা আকাশের নানা কোণে উঁকি দিচ্ছেন। সেই উঁকিতে এবার পৃথিবী থেকে মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরের একটি গ্রহের খোঁজ মিলেছে। পৃথিবীর মতো কিন্তু আকারে বড় বলে এ ধরনের গ্রহ সুপার-আর্থ নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া (ইউসি), আরভিনের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই রোমাঞ্চকর সুপার–আর্থ আবিষ্কার করেছেন। নতুন আবিষ্কৃত গ্রহটি তার নক্ষত্রের বাসযোগ্য অঞ্চল থেকে প্রদক্ষিণ করছে। এই অঞ্চলের তাপমাত্রার কারণে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা বেশ। গ্রহটিতে জীবনধারণের উপযোগী পরিবেশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। এই নতুন আবিষ্কৃত গ্রহটি মিল্কিওয়ে ছায়াপথের একটি নিকটবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। এটি পাথুরে বলে মনে করা হচ্ছে। আকারে পৃথিবীর সমান হলেও ওজনে পৃথিবীর চেয়ে বহু গুণ বেশি। গ্রহের বিভিন্ন তথ্য দ্য অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ইউসি আরভিনের পদার্থবিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের বিজ্ঞানী পল রবার্টসনের বলেন, আজকাল নতুন বহির্গ্রহ বা এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করা সাধারণ হয়ে গেছে। নতুন এই গ্রহকে বিশেষ বলা যায়। এর নক্ষত্রটি আমাদের খুব কাছাকাছি অবস্থিত প্রায় ১৮ আলোকবর্ষ দূরে। মহাজাগতিক পরিভাষায়, এই দূরত্বকে প্রায় আমাদের প্রতিবেশে থাকার মতো বলা যায়। জিজে ২৫১ সি নামের এই গ্রহ একটি এম-বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে। এই নক্ষত্র মিল্কিওয়েতে সবচেয়ে সাধারণ ও প্রাচীন নক্ষত্রের মধ্যে অন্যতম। এই সব নক্ষত্রের মধ্যে তারার মতো দাগ ও সৌরশিখার মতো তীব্র কার্যকলাপ দেখা যায়। এমন সংকেত দেখে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গ্রহ খোঁজার চেষ্টা করেন। প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, নতুন গ্রহটি স্বল্প দূরত্বের কারণে বেশ আকর্ষণীয়। ভবিষ্যতে সরাসরি চিত্রগ্রহণের সুযোগ রয়েছে গ্রহটির। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার থার্টি মিটার টেলিস্কোপের মতো শক্তিশালী টেলিস্কোপ এমন ক্ষীণ বহির্গ্রহের স্পষ্ট ছবি তুলতে ও পানির সম্ভাব্য উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সক্ষম হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো
    0 Comments ·0 Shares ·419 Views ·0 Reviews
  • নভেম্বরে রাতের আকাশে দেখা যাবে মহাজাগতিক সৌন্দর্য

    নভেম্বর মাসটি হবে আকাশপ্রীতি মানুষদের জন্য এক রোমাঞ্চকর সময়। এই পুরো মাস জুড়েই দেখা মিলবে নানা মহাজাগতিক দৃশ্য—উল্কাবৃষ্টি, গ্রহের বিশেষ অবস্থান এবং চাঁদের মনোমুগ্ধকর রূপ।

    মাসের শুরুতেই দেখা দেবে টরিড উল্কাবৃষ্টি। নভেম্বরের ৪-৫ তারিখে দক্ষিণ টরিড উল্কাবৃষ্টি এবং ১১-১২ তারিখে উত্তর টরিড উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে। এই উল্কাগুলো তুলনামূলক ধীরে পড়ে এবং অনেক সময় উজ্জ্বল আগুনের গোলার মতো ঝলক ছড়ায়। প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৫ থেকে ৭টি উল্কা দেখা যেতে পারে।

    এরপর নভেম্বরের ১৭-১৮ তারিখে আকাশে দেখা যাবে লিওনিড উল্কাবৃষ্টি। এই সময় প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৫টি দ্রুতগামী উল্কা দেখা যেতে পারে। ক্ষীয়মাণ চাঁদ থাকার কারণে আকাশ অন্ধকার থাকবে, ফলে উল্কাগুলো আরও স্পষ্টভাবে দেখা যাবে।

    ২১ নভেম্বর দেখা মিলবে আলফা মোনোসেরোটিড উল্কাবৃষ্টি—যা কখনও কখনও প্রতি ঘণ্টায় হাজারেরও বেশি উল্কা প্রদর্শন করে। আর নভেম্বরের ২৮ তারিখে দেখা যাবে অরায়নিড উল্কাবৃষ্টি, যা তুলনামূলক মৃদু উজ্জ্বলতায় জ্বলে।

    গ্রহ পর্যবেক্ষকদের জন্যও এই মাসটি বিশেষ। নভেম্বরের শুরুতে বুধ সূর্যাস্তের পর খালি চোখে দেখা যাবে। কারণ, তখন এটি আকাশে সবচেয়ে উঁচু অবস্থানে থাকবে। নভেম্বর ২৫ তারিখে শুক্র ও বুধ একসঙ্গে আকাশে পাশাপাশি দেখা যাবে।

    অন্যদিকে, নভেম্বর ২১ তারিখে ইউরেনাস পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে থাকবে—যাকে বলে ‘opposition’। এটি দূরবীন দিয়ে সহজে দেখা যাবে, বিশেষত বৃষ নক্ষত্রমণ্ডলের কাছাকাছি এলাকায়।

    নভেম্বর ২৩ তারিখে শনির বলয় প্রায় অদৃশ্য হয়ে যাবে। কারণ, পৃথিবী তখন শনি গ্রহের বলয় সমতলে অবস্থান করবে। সব মিলিয়ে নভেম্বরের রাতের আকাশ হবে উল্কাবৃষ্টি, উজ্জ্বল চাঁদ ও গ্রহরাজির মুগ্ধকর প্রদর্শনী যা জ্যোতির্বিদ ও সাধারণ আকাশপ্রেমীদের কাছে এক চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে।
    নভেম্বরে রাতের আকাশে দেখা যাবে মহাজাগতিক সৌন্দর্য নভেম্বর মাসটি হবে আকাশপ্রীতি মানুষদের জন্য এক রোমাঞ্চকর সময়। এই পুরো মাস জুড়েই দেখা মিলবে নানা মহাজাগতিক দৃশ্য—উল্কাবৃষ্টি, গ্রহের বিশেষ অবস্থান এবং চাঁদের মনোমুগ্ধকর রূপ। মাসের শুরুতেই দেখা দেবে টরিড উল্কাবৃষ্টি। নভেম্বরের ৪-৫ তারিখে দক্ষিণ টরিড উল্কাবৃষ্টি এবং ১১-১২ তারিখে উত্তর টরিড উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে। এই উল্কাগুলো তুলনামূলক ধীরে পড়ে এবং অনেক সময় উজ্জ্বল আগুনের গোলার মতো ঝলক ছড়ায়। প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৫ থেকে ৭টি উল্কা দেখা যেতে পারে। এরপর নভেম্বরের ১৭-১৮ তারিখে আকাশে দেখা যাবে লিওনিড উল্কাবৃষ্টি। এই সময় প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৫টি দ্রুতগামী উল্কা দেখা যেতে পারে। ক্ষীয়মাণ চাঁদ থাকার কারণে আকাশ অন্ধকার থাকবে, ফলে উল্কাগুলো আরও স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। ২১ নভেম্বর দেখা মিলবে আলফা মোনোসেরোটিড উল্কাবৃষ্টি—যা কখনও কখনও প্রতি ঘণ্টায় হাজারেরও বেশি উল্কা প্রদর্শন করে। আর নভেম্বরের ২৮ তারিখে দেখা যাবে অরায়নিড উল্কাবৃষ্টি, যা তুলনামূলক মৃদু উজ্জ্বলতায় জ্বলে। গ্রহ পর্যবেক্ষকদের জন্যও এই মাসটি বিশেষ। নভেম্বরের শুরুতে বুধ সূর্যাস্তের পর খালি চোখে দেখা যাবে। কারণ, তখন এটি আকাশে সবচেয়ে উঁচু অবস্থানে থাকবে। নভেম্বর ২৫ তারিখে শুক্র ও বুধ একসঙ্গে আকাশে পাশাপাশি দেখা যাবে। অন্যদিকে, নভেম্বর ২১ তারিখে ইউরেনাস পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে থাকবে—যাকে বলে ‘opposition’। এটি দূরবীন দিয়ে সহজে দেখা যাবে, বিশেষত বৃষ নক্ষত্রমণ্ডলের কাছাকাছি এলাকায়। নভেম্বর ২৩ তারিখে শনির বলয় প্রায় অদৃশ্য হয়ে যাবে। কারণ, পৃথিবী তখন শনি গ্রহের বলয় সমতলে অবস্থান করবে। সব মিলিয়ে নভেম্বরের রাতের আকাশ হবে উল্কাবৃষ্টি, উজ্জ্বল চাঁদ ও গ্রহরাজির মুগ্ধকর প্রদর্শনী যা জ্যোতির্বিদ ও সাধারণ আকাশপ্রেমীদের কাছে এক চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে।
    Like
    Love
    3
    · 1 Comments ·0 Shares ·418 Views ·0 Reviews
  • বিশাল ব্ল্যাকহোলে বিস্ময়কর আলোকচ্ছটার খোঁজ

    প্রায় ১০ লাখ কোটি সূর্যের আলোর সমান শক্তিশালী এক ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ার বা কৃষ্ণগহ্বর আলোকচ্ছটার সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হচ্ছে, এটি সবচেয়ে বড় আলোকচ্ছটা। নতুন পর্যবেক্ষণ করা ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ারকে এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে বৃহৎ ও সবচেয়ে দূরবর্তী বলা হচ্ছে। এর অবস্থান পৃথিবী থেকে এক হাজার কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। আলোকচ্ছটার শক্তি প্রায় ১০ লাখ কোটি সূর্যের সমান।

    একটি অতিভারী ব্ল্যাকহোল বৃহৎ কোনো নক্ষত্রকে গিলে ফেলছে বলে এই আলোকচ্ছটা তৈরি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির জ্যোতির্বিজ্ঞানী ম্যাথিউ গ্রাহাম বলেন, ‘এই ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ারটি এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে দূরবর্তী। আমাদের সূর্যের ভরের চেয়ে কমপক্ষে ৩০ গুণ বেশি ভরের একটি বিশাল নক্ষত্র অতিভারী ব্ল্যাকহোলের খুব কাছাকাছি চলে আসছে বলে এমন ফ্লেয়ার তৈরি হয়েছে। ব্ল্যাকহোল নক্ষত্রকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে বলে বিশাল পরিমাণ শক্তি নির্গত হচ্ছে।’ বিজ্ঞানী গ্রাহামের মতে, সেখানে বিশাল বিস্ফোরণের তীব্রতা ও স্থায়িত্বের কারণে এত বিশাল ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ার তৈরি হয়েছে। ব্ল্যাকহোল নিয়মিতভাবে নিকটবর্তী পদার্থকে গ্রাস করে থাকলেও এমন বিশাল মাত্রার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এমন বিশাল ফ্লেয়ার আগে যা দেখা গেছে, তার তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। ফ্লেয়ারটি সর্বোচ্চ শিখরে থাকার সময় এখন পর্যন্ত দেখা যেকোনো ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ারের চেয়ে ৩০ গুণ বেশি উজ্জ্বল। দুটি মহাজাগতিক বস্তুর বিশাল আকারের কারণে এমনটা হচ্ছে। সূর্য থেকে কমপক্ষে ৩০ গুণ বেশি ভরের নক্ষত্রকে অতিভারী ব্ল্যাকহোল গ্রাস করেছে। ব্ল্যাকহোলের ভর সূর্যের ভরের ৫০০ মিলিয়ন গুণ বেশি বলা যায়। সাত বছরের বেশি আগে শুরু হওয়া এই বিস্ফোরণ সম্ভবত এখনো চলমান। প্রাথমিকভাবে ২০১৮ সালে তিনটি স্থলভিত্তিক টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জরিপের সময় ফ্লেয়ারের খোঁজ মেলে। তখন এটিকে ব্যতিক্রমী উজ্জ্বল বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০২৩ সালে হাওয়াইয়ের ডব্লিউ এম কেক অবজারভেটরি পর্যবেক্ষণ শুরু করে।

    সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো।
    বিশাল ব্ল্যাকহোলে বিস্ময়কর আলোকচ্ছটার খোঁজ প্রায় ১০ লাখ কোটি সূর্যের আলোর সমান শক্তিশালী এক ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ার বা কৃষ্ণগহ্বর আলোকচ্ছটার সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হচ্ছে, এটি সবচেয়ে বড় আলোকচ্ছটা। নতুন পর্যবেক্ষণ করা ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ারকে এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে বৃহৎ ও সবচেয়ে দূরবর্তী বলা হচ্ছে। এর অবস্থান পৃথিবী থেকে এক হাজার কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। আলোকচ্ছটার শক্তি প্রায় ১০ লাখ কোটি সূর্যের সমান। একটি অতিভারী ব্ল্যাকহোল বৃহৎ কোনো নক্ষত্রকে গিলে ফেলছে বলে এই আলোকচ্ছটা তৈরি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির জ্যোতির্বিজ্ঞানী ম্যাথিউ গ্রাহাম বলেন, ‘এই ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ারটি এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে দূরবর্তী। আমাদের সূর্যের ভরের চেয়ে কমপক্ষে ৩০ গুণ বেশি ভরের একটি বিশাল নক্ষত্র অতিভারী ব্ল্যাকহোলের খুব কাছাকাছি চলে আসছে বলে এমন ফ্লেয়ার তৈরি হয়েছে। ব্ল্যাকহোল নক্ষত্রকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে বলে বিশাল পরিমাণ শক্তি নির্গত হচ্ছে।’ বিজ্ঞানী গ্রাহামের মতে, সেখানে বিশাল বিস্ফোরণের তীব্রতা ও স্থায়িত্বের কারণে এত বিশাল ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ার তৈরি হয়েছে। ব্ল্যাকহোল নিয়মিতভাবে নিকটবর্তী পদার্থকে গ্রাস করে থাকলেও এমন বিশাল মাত্রার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এমন বিশাল ফ্লেয়ার আগে যা দেখা গেছে, তার তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। ফ্লেয়ারটি সর্বোচ্চ শিখরে থাকার সময় এখন পর্যন্ত দেখা যেকোনো ব্ল্যাকহোল ফ্লেয়ারের চেয়ে ৩০ গুণ বেশি উজ্জ্বল। দুটি মহাজাগতিক বস্তুর বিশাল আকারের কারণে এমনটা হচ্ছে। সূর্য থেকে কমপক্ষে ৩০ গুণ বেশি ভরের নক্ষত্রকে অতিভারী ব্ল্যাকহোল গ্রাস করেছে। ব্ল্যাকহোলের ভর সূর্যের ভরের ৫০০ মিলিয়ন গুণ বেশি বলা যায়। সাত বছরের বেশি আগে শুরু হওয়া এই বিস্ফোরণ সম্ভবত এখনো চলমান। প্রাথমিকভাবে ২০১৮ সালে তিনটি স্থলভিত্তিক টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জরিপের সময় ফ্লেয়ারের খোঁজ মেলে। তখন এটিকে ব্যতিক্রমী উজ্জ্বল বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০২৩ সালে হাওয়াইয়ের ডব্লিউ এম কেক অবজারভেটরি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো।
    0 Comments ·0 Shares ·303 Views ·0 Reviews
  • আল্লাহু আকবার
    আল্লাহু আকবার
    Like
    Love
    2
    · 0 Comments ·0 Shares ·502 Views ·0 Reviews
  • সূর্যের কাছাকাছি এসে ধূমকেতুর উজ্জ্বলতা বেড়েছে কয়েকগুণ

    বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের কাছাকাছি আসার পর হঠাৎ করেই আন্তঃনাক্ষত্রিক ধূমকেতু থ্রি-আই/অ্যাটলাস এর উজ্জ্বলতা বেড়ে গেছে এবং এর রং নীলচে হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা নিশ্চিত করেছে, পৃথিবীর জন্য এই ধূমকেতুটি কোনো হুমকি নয়, এটি নিরাপদ দূরত্বেই থাকবে। গত ২৯ অক্টোবর মহাকাশযানের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ধূমকেতুটি সূর্যের সবচেয়ে কাছের অবস্থানে পৌঁছানোর সময় এর উজ্জ্বলতা হঠাৎ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এই অস্বাভাবিক আচরণ বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি কেড়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে এই ধূমকেতুটি প্রথম আবিষ্কৃত হয়। এখন পর্যন্ত এর আচরণের ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি দিতে পারেননি। গবেষকেরা জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর ২০২৫ সালের মধ্যে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ধূমকেতুটির আলো এক লাফে বেড়ে যায়।

    এসটিইআরইও-এ, এসওএইচও ও গোয়েস-১৯ উপগ্রহের যন্ত্রের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য বলছে, ধূমকেতুর উজ্জ্বলতা বেড়ে যাওয়ার পেছনে সূর্যের তাপে গ্যাস নিঃসরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ধূমকেতুটি সূর্যের চেয়ে নীলচে রঙের দেখাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্যের আলো সাধারণত ধূলিকণায় লালচে হয়ে যায়, তাই এর নীলচে হওয়া একেবারেই অস্বাভাবিক ঘটনা।

    হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যাভি লোব বলেছেন, এটি এখন পর্যন্ত এই ধূমকেতুর নবম অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। সাধারণত ধূমকেতুর পৃষ্ঠ অনেক ঠান্ডা হওয়ায় তা সূর্যের তুলনায় লালচে দেখায়। কিন্তু থ্রি -আই/অ্যাটলাসের ক্ষেত্রে তা উল্টো—এটি সূর্যের চেয়েও নীল দেখাচ্ছে।

    লোব আরও জানান, এর আগের আটটি অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে তিনি এই ধূমকেতুকে তার ‘লোব স্কেলে ’ ১০-এর মধ্যে ৪ নম্বর দিয়েছেন, যা ইঙ্গিত করে এটি কোনো প্রযুক্তিনির্ভর উৎস থেকেও আসতে পারে। ধূমকেতুর কক্ষপথ সূর্যের চারপাশে এমনভাবে ঘুরছে যা সাধারণ ধূমকেতুর তুলনায় অনেক ভিন্ন।

    সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন।

    সূর্যের কাছাকাছি এসে ধূমকেতুর উজ্জ্বলতা বেড়েছে কয়েকগুণ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের কাছাকাছি আসার পর হঠাৎ করেই আন্তঃনাক্ষত্রিক ধূমকেতু থ্রি-আই/অ্যাটলাস এর উজ্জ্বলতা বেড়ে গেছে এবং এর রং নীলচে হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা নিশ্চিত করেছে, পৃথিবীর জন্য এই ধূমকেতুটি কোনো হুমকি নয়, এটি নিরাপদ দূরত্বেই থাকবে। গত ২৯ অক্টোবর মহাকাশযানের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ধূমকেতুটি সূর্যের সবচেয়ে কাছের অবস্থানে পৌঁছানোর সময় এর উজ্জ্বলতা হঠাৎ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এই অস্বাভাবিক আচরণ বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি কেড়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে এই ধূমকেতুটি প্রথম আবিষ্কৃত হয়। এখন পর্যন্ত এর আচরণের ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি দিতে পারেননি। গবেষকেরা জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর ২০২৫ সালের মধ্যে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ধূমকেতুটির আলো এক লাফে বেড়ে যায়। এসটিইআরইও-এ, এসওএইচও ও গোয়েস-১৯ উপগ্রহের যন্ত্রের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য বলছে, ধূমকেতুর উজ্জ্বলতা বেড়ে যাওয়ার পেছনে সূর্যের তাপে গ্যাস নিঃসরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ধূমকেতুটি সূর্যের চেয়ে নীলচে রঙের দেখাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্যের আলো সাধারণত ধূলিকণায় লালচে হয়ে যায়, তাই এর নীলচে হওয়া একেবারেই অস্বাভাবিক ঘটনা। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যাভি লোব বলেছেন, এটি এখন পর্যন্ত এই ধূমকেতুর নবম অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। সাধারণত ধূমকেতুর পৃষ্ঠ অনেক ঠান্ডা হওয়ায় তা সূর্যের তুলনায় লালচে দেখায়। কিন্তু থ্রি -আই/অ্যাটলাসের ক্ষেত্রে তা উল্টো—এটি সূর্যের চেয়েও নীল দেখাচ্ছে। লোব আরও জানান, এর আগের আটটি অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে তিনি এই ধূমকেতুকে তার ‘লোব স্কেলে ’ ১০-এর মধ্যে ৪ নম্বর দিয়েছেন, যা ইঙ্গিত করে এটি কোনো প্রযুক্তিনির্ভর উৎস থেকেও আসতে পারে। ধূমকেতুর কক্ষপথ সূর্যের চারপাশে এমনভাবে ঘুরছে যা সাধারণ ধূমকেতুর তুলনায় অনেক ভিন্ন। সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন।
    Like
    1
    · 0 Comments ·0 Shares ·478 Views ·0 Reviews
  • পাঁচ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণযোগ্য কৃত্রিম রক্ত উদ্ভাবন!

    চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক বিপ্লবী অগ্রগতি ঘটেছে—এবার তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম রক্ত, যা নিরাপদভাবে পাঁচ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। প্রচলিত রক্তের মতো এর মেয়াদ সীমিত নয় এবং এটি বিশেষ ফ্রিজিং বা কঠোর তাপমাত্রার ওপর নির্ভরশীল নয়। জরুরি পরিস্থিতিতেও এই কৃত্রিম রক্ত স্থির, নির্ভরযোগ্য এবং ব্যবহারযোগ্য।

    অক্সিজেন পরিবহন করতে সক্ষম এবং সকল রক্ত গ্রুপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, কৃত্রিম রক্ত স্বাস্থ্যসেবার ধরন পুরোপুরি পরিবর্তন করতে পারে। হাসপাতাল, দুর্যোগ মোকাবিলা দল এবং প্রত্যন্ত ক্লিনিকগুলো এখন জীবনরক্ষাকারী রক্ত সরবরাহ নিশ্চিতভাবে রাখতে পারবে, মেয়াদ শেষ বা ঘাটতির চিন্তা ছাড়াই।

    এছাড়া, এটি রক্তদাতার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং অস্ত্রোপচার, দুর্ঘটনা বা মানবিক সংকটের সময় রোগীর সাফল্যের হার বাড়াতে সাহায্য করবে। সর্বজনীন ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হিসেবে কৃত্রিম রক্ত নিশ্চিত করে, জরুরি মুহূর্তেও সাহায্য সদা প্রস্তুত থাকবে।

    সুত্রঃ দৈনিক জনকণ্ঠ।
    পাঁচ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণযোগ্য কৃত্রিম রক্ত উদ্ভাবন! চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক বিপ্লবী অগ্রগতি ঘটেছে—এবার তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম রক্ত, যা নিরাপদভাবে পাঁচ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। প্রচলিত রক্তের মতো এর মেয়াদ সীমিত নয় এবং এটি বিশেষ ফ্রিজিং বা কঠোর তাপমাত্রার ওপর নির্ভরশীল নয়। জরুরি পরিস্থিতিতেও এই কৃত্রিম রক্ত স্থির, নির্ভরযোগ্য এবং ব্যবহারযোগ্য। অক্সিজেন পরিবহন করতে সক্ষম এবং সকল রক্ত গ্রুপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, কৃত্রিম রক্ত স্বাস্থ্যসেবার ধরন পুরোপুরি পরিবর্তন করতে পারে। হাসপাতাল, দুর্যোগ মোকাবিলা দল এবং প্রত্যন্ত ক্লিনিকগুলো এখন জীবনরক্ষাকারী রক্ত সরবরাহ নিশ্চিতভাবে রাখতে পারবে, মেয়াদ শেষ বা ঘাটতির চিন্তা ছাড়াই। এছাড়া, এটি রক্তদাতার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং অস্ত্রোপচার, দুর্ঘটনা বা মানবিক সংকটের সময় রোগীর সাফল্যের হার বাড়াতে সাহায্য করবে। সর্বজনীন ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হিসেবে কৃত্রিম রক্ত নিশ্চিত করে, জরুরি মুহূর্তেও সাহায্য সদা প্রস্তুত থাকবে। সুত্রঃ দৈনিক জনকণ্ঠ।
    Like
    Love
    4
    · 0 Comments ·0 Shares ·351 Views ·0 Reviews
  • দ্বৈত নক্ষত্র সিস্টেমে পৃথিবীর সমান তিনটি গ্রহের সন্ধান

    পৃথিবী থেকে প্রায় ১৯০ আলোকবর্ষ দূরে থাকা টিওআই–২২৬৭ নামের দ্বৈত নক্ষত্র সিস্টেমে পৃথিবীর সমান তিনটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গ্রহগুলোর মধ্যে দুটি গ্রহ একে অপরকে খুব কাছাকাছি কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে। এত দিন ধারণা করা হতো, দ্বৈত নক্ষত্র সিস্টেমে জটিল গ্রহবিন্যাস থাকে না। নতুন গ্রহগুলোর সন্ধান পাওয়ায় সে ধারণা পরিবর্তন হয়েছে।

    বেলজিয়ামের ইউনিভার্সিটি অব লিজের বিজ্ঞানী সেবাস্তিয়ান জুনিগা–ফার্নান্দেজ জানান, এত ছোট দ্বৈত সিস্টেমে তিনটি গ্রহ আবিষ্কার একটি অনন্য বিষয়। টিওআই–২২৬৭ দ্বৈত নক্ষত্র সিস্টেমে এক অনন্য গ্রহবিন্যাস রয়েছে, যেখানে দুটি নক্ষত্রের চারপাশে গ্রহগুলোকে অতিক্রম করতে দেখা যাচ্ছে। এই কাঠামো জটিল পরিবেশে গ্রহ গঠনের মডেল পরীক্ষা করতে সহায়তা করবে।

    বিজ্ঞানী ফ্রান্সিসকো জে পোজোয়েলস জানান, টিওআই–২২৬৭ দ্বৈত নক্ষত্র সিস্টেমটি একটি সত্যিকারের প্রাকৃতিক গবেষণাগার। চরম গতিশীল পরিস্থিতিতে পাথুরে গ্রহ কীভাবে আবির্ভূত হয় ও টিকে থাকতে পারে, তা জানার সুযোগ তৈরি হবে। নতুন এই আবিষ্কার বেশ কয়েকটি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এলাকাটি গ্রহসহ সবচেয়ে সংকুচিত ও শীতলতম নক্ষত্র জুটি হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। এটি প্রথম কোনো সিস্টেম, যেখানে নক্ষত্রের চারপাশেই গ্রহ অতিক্রম করতে দেখা যাচ্ছে।

    টিওআই–২২৬৭ দ্বৈত নক্ষত্র সিস্টেমে থাকা গ্রহগুলো নাসার টেস মহাকাশযান ব্যবহার করে শনাক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে গ্রহগুলোর বিষয়ে আরও তথ্য জানা যাবে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

    সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো।
    দ্বৈত নক্ষত্র সিস্টেমে পৃথিবীর সমান তিনটি গ্রহের সন্ধান পৃথিবী থেকে প্রায় ১৯০ আলোকবর্ষ দূরে থাকা টিওআই–২২৬৭ নামের দ্বৈত নক্ষত্র সিস্টেমে পৃথিবীর সমান তিনটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গ্রহগুলোর মধ্যে দুটি গ্রহ একে অপরকে খুব কাছাকাছি কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে। এত দিন ধারণা করা হতো, দ্বৈত নক্ষত্র সিস্টেমে জটিল গ্রহবিন্যাস থাকে না। নতুন গ্রহগুলোর সন্ধান পাওয়ায় সে ধারণা পরিবর্তন হয়েছে। বেলজিয়ামের ইউনিভার্সিটি অব লিজের বিজ্ঞানী সেবাস্তিয়ান জুনিগা–ফার্নান্দেজ জানান, এত ছোট দ্বৈত সিস্টেমে তিনটি গ্রহ আবিষ্কার একটি অনন্য বিষয়। টিওআই–২২৬৭ দ্বৈত নক্ষত্র সিস্টেমে এক অনন্য গ্রহবিন্যাস রয়েছে, যেখানে দুটি নক্ষত্রের চারপাশে গ্রহগুলোকে অতিক্রম করতে দেখা যাচ্ছে। এই কাঠামো জটিল পরিবেশে গ্রহ গঠনের মডেল পরীক্ষা করতে সহায়তা করবে। বিজ্ঞানী ফ্রান্সিসকো জে পোজোয়েলস জানান, টিওআই–২২৬৭ দ্বৈত নক্ষত্র সিস্টেমটি একটি সত্যিকারের প্রাকৃতিক গবেষণাগার। চরম গতিশীল পরিস্থিতিতে পাথুরে গ্রহ কীভাবে আবির্ভূত হয় ও টিকে থাকতে পারে, তা জানার সুযোগ তৈরি হবে। নতুন এই আবিষ্কার বেশ কয়েকটি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এলাকাটি গ্রহসহ সবচেয়ে সংকুচিত ও শীতলতম নক্ষত্র জুটি হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। এটি প্রথম কোনো সিস্টেম, যেখানে নক্ষত্রের চারপাশেই গ্রহ অতিক্রম করতে দেখা যাচ্ছে। টিওআই–২২৬৭ দ্বৈত নক্ষত্র সিস্টেমে থাকা গ্রহগুলো নাসার টেস মহাকাশযান ব্যবহার করে শনাক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে গ্রহগুলোর বিষয়ে আরও তথ্য জানা যাবে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো।
    Like
    Love
    6
    · 1 Comments ·0 Shares ·383 Views ·0 Reviews
  • সূর্যকে মাত্র ১২৮ দিনে প্রদক্ষিণ করছে একটি গ্রহাণু

    বিজ্ঞানীরা শুক্র গ্রহের কক্ষপথের ভেতরে নতুন এক গ্রহাণু আবিষ্কার করেছেন। এটির ব্যাস প্রায় ৭০০ মিটার। ‘২০২৫ এসসি৭৯’ নামের এই গ্রহাণুটি সূর্যকে মাত্র ১২৮ দিনে একবার প্রদক্ষিণ সম্পন্ন করে। এটি এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া দ্বিতীয় দ্রুতগতির গ্রহাণু এবং দ্বিতীয় যেটি শুক্রের কক্ষপথের ভেতরে পাওয়া গেছে।

    কার্নেগি ইনস্টিটিউশন ফর সায়েন্সের জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্কট এস. শেফার্ড প্রথম এই গ্রহাণুটি দেখতে পান ২০২৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর চিলির ব্ল্যাঙ্কো ৪-মিটার টেলিস্কোপে স্থাপিত ডার্ক এনার্জি ক্যামেরা ব্যবহার করে। পরে জেমিনি ও মাগেলান টেলিস্কোপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে এর অস্তিত্ব নিশ্চিত করা হয়।

    বিজ্ঞানীরা জানান, ২০২৫ এসসি৭৯ বুধের কক্ষপথ অতিক্রম করে এবং সূর্যের উজ্জ্বলতার কারণে পৃথিবী থেকে বেশিরভাগ সময় আড়ালে থাকে। এই গ্রহাণু সূর্যের খুব কাছাকাছি ঘোরায় দূরবীণে দেখা যায় শুধু ভোর কিংবা গোধূলি বেলায়—যখন সূর্য ওঠার বা ডোবার সময় থাকে। এমন গ্রহাণুগুলোকে ‘টুইলাইট অ্যাস্টেরয়েড’ বলা হয়।

    স্কট শেফার্ড বলেন, সবচেয়ে বিপজ্জনক গ্রহাণুগুলোই আসলে সবচেয়ে কঠিনভাবে শনাক্ত করা যায়। বেশিরভাগ গবেষণা রাতের অন্ধকারে করা হয়, কিন্তু সূর্যের কাছাকাছি থাকা এই টুইলাইট গ্রহাণুগুলো কেবল ভোর বা সন্ধ্যায় দেখা যায়। যদি এসব গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধাবিত হয়, তাহলে তা বড় ধরনের বিপদের কারণ হতে পারে।

    বর্তমানে ২০২৫ এসসি৭৯ সূর্যের পেছনে অবস্থান করছে, ফলে এটি কয়েক মাসের জন্য দূরবীণে অদৃশ্য থাকবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে এই গ্রহাণুর গঠন, সূর্যের প্রচণ্ড তাপেও টিকে থাকার ক্ষমতা এবং এর উৎপত্তি সম্পর্কে আরও গবেষণা চালানো হবে।

    শেফার্ডের মতে, সৌরজগতের বেশিরভাগ গ্রহাণু দুটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে অবস্থান করে। তবে মহাকর্ষীয় টানের কারণে কিছু গ্রহাণু কক্ষপথ পরিবর্তন করে সূর্যের কাছাকাছি চলে আসে। তিনি বলেন, এই ধরনের গ্রহাণুর অবস্থান ও গতি বোঝা গেলে আমরা পৃথিবীকে সম্ভাব্য সংঘর্ষের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারব এবং সৌরজগতের ইতিহাস সম্পর্কেও নতুন তথ্য জানতে পারব।
    সূর্যকে মাত্র ১২৮ দিনে প্রদক্ষিণ করছে একটি গ্রহাণু বিজ্ঞানীরা শুক্র গ্রহের কক্ষপথের ভেতরে নতুন এক গ্রহাণু আবিষ্কার করেছেন। এটির ব্যাস প্রায় ৭০০ মিটার। ‘২০২৫ এসসি৭৯’ নামের এই গ্রহাণুটি সূর্যকে মাত্র ১২৮ দিনে একবার প্রদক্ষিণ সম্পন্ন করে। এটি এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া দ্বিতীয় দ্রুতগতির গ্রহাণু এবং দ্বিতীয় যেটি শুক্রের কক্ষপথের ভেতরে পাওয়া গেছে। কার্নেগি ইনস্টিটিউশন ফর সায়েন্সের জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্কট এস. শেফার্ড প্রথম এই গ্রহাণুটি দেখতে পান ২০২৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর চিলির ব্ল্যাঙ্কো ৪-মিটার টেলিস্কোপে স্থাপিত ডার্ক এনার্জি ক্যামেরা ব্যবহার করে। পরে জেমিনি ও মাগেলান টেলিস্কোপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে এর অস্তিত্ব নিশ্চিত করা হয়। বিজ্ঞানীরা জানান, ২০২৫ এসসি৭৯ বুধের কক্ষপথ অতিক্রম করে এবং সূর্যের উজ্জ্বলতার কারণে পৃথিবী থেকে বেশিরভাগ সময় আড়ালে থাকে। এই গ্রহাণু সূর্যের খুব কাছাকাছি ঘোরায় দূরবীণে দেখা যায় শুধু ভোর কিংবা গোধূলি বেলায়—যখন সূর্য ওঠার বা ডোবার সময় থাকে। এমন গ্রহাণুগুলোকে ‘টুইলাইট অ্যাস্টেরয়েড’ বলা হয়। স্কট শেফার্ড বলেন, সবচেয়ে বিপজ্জনক গ্রহাণুগুলোই আসলে সবচেয়ে কঠিনভাবে শনাক্ত করা যায়। বেশিরভাগ গবেষণা রাতের অন্ধকারে করা হয়, কিন্তু সূর্যের কাছাকাছি থাকা এই টুইলাইট গ্রহাণুগুলো কেবল ভোর বা সন্ধ্যায় দেখা যায়। যদি এসব গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধাবিত হয়, তাহলে তা বড় ধরনের বিপদের কারণ হতে পারে। বর্তমানে ২০২৫ এসসি৭৯ সূর্যের পেছনে অবস্থান করছে, ফলে এটি কয়েক মাসের জন্য দূরবীণে অদৃশ্য থাকবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে এই গ্রহাণুর গঠন, সূর্যের প্রচণ্ড তাপেও টিকে থাকার ক্ষমতা এবং এর উৎপত্তি সম্পর্কে আরও গবেষণা চালানো হবে। শেফার্ডের মতে, সৌরজগতের বেশিরভাগ গ্রহাণু দুটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে অবস্থান করে। তবে মহাকর্ষীয় টানের কারণে কিছু গ্রহাণু কক্ষপথ পরিবর্তন করে সূর্যের কাছাকাছি চলে আসে। তিনি বলেন, এই ধরনের গ্রহাণুর অবস্থান ও গতি বোঝা গেলে আমরা পৃথিবীকে সম্ভাব্য সংঘর্ষের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারব এবং সৌরজগতের ইতিহাস সম্পর্কেও নতুন তথ্য জানতে পারব।
    Like
    Love
    3
    · 2 Comments ·0 Shares ·202 Views ·0 Reviews
  • ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে ইউরোপের বাতাস পর্যবেক্ষণ করছে বিজ্ঞানীরা

    ইউরোপের আকাশে দূষণের মাত্রা এখন দেখা যাচ্ছে মহাকাশ থেকেই। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ) সম্প্রতি ৩৬ হাজার কিলোমিটার উঁচু থেকে তোলা কিছু চিত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে ইউরোপজুড়ে নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইডের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার কিছু অঞ্চল বা ‘হটস্পট’ দেখা গেছে। এসব ছবি তোলা হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ‘সেন্টিনেল–৪’ মিশনের মাধ্যমে।

    এই মিশনের যাত্রা শুরু হয়েছে মেটিওস্যাট থার্ড জেনারেশন সাউন্ডার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। এই স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর কক্ষপথে স্থিতিশীল (জিওস্টেশনারি অরবিট) অবস্থানে রয়েছে। এতে বসানো রয়েছে একটি আধুনিক স্পেকট্রোমিটার, যা প্রতি ঘণ্টায় একবার করে ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকার আকাশ পর্যবেক্ষণ করছে।

    ইএসএ জানিয়েছে, সেন্টিনেল–৪ এখনও পরীক্ষামূলক ধাপে রয়েছে। তবু প্রকাশিত প্রাথমিক চিত্রগুলো থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এটি সঠিকভাবে কাজ করছে। ছবিগুলোতে দেখা গেছে, ইতালির পো ভ্যালিতে নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইডের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। আর বলকান অঞ্চল, বুলগেরিয়া ও গ্রিসজুড়ে ওজোনের পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়া প্রাকৃতিক উৎস যেমন মাউন্ট এটনা আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত সালফার ডাই–অক্সাইডও এতে ধরা পড়েছে।

    ইএসএর সেন্টিনেল–৪ মিশনের বিজ্ঞানী বেন ভাইহেলম্যান বলেন, সেন্টিনেল–৪ ইউরোপের প্রথম স্যাটেলাইট মিশন, যা প্রতি ঘণ্টায় বায়ু মানের তথ্য সরবরাহ করবে। এতে করে দূষণের দ্রুত পরিবর্তনগুলো পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস দেওয়া সহজ হবে।

    এ মিশনের আরেক কর্মকর্তা দিদিয়ে মার্টিন বলেন, আমরা প্রথম ফলাফল দেখে খুবই আশাবাদী। সেন্টিনেল–৪ এখন পুরোপুরি সক্রিয় হওয়ার পথে। এটা ইউরোপে বাতাসের মান পরিমাপের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।

    এই স্যাটেলাইটে নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইড, সালফার ডাই–অক্সাইড ও ওজোনের মতো ক্ষতিকর গ্যাস শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এসব গ্যাস মানুষের শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্‌রোগের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। তাই সেন্টিনেল–৪ মিশন ইউরোপজুড়ে বায়ুদূষণ মোকাবিলায় বড় সহায়ক হবে বলে আশা করছে ইএসএ।

    সুত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন।
    ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে ইউরোপের বাতাস পর্যবেক্ষণ করছে বিজ্ঞানীরা ইউরোপের আকাশে দূষণের মাত্রা এখন দেখা যাচ্ছে মহাকাশ থেকেই। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ) সম্প্রতি ৩৬ হাজার কিলোমিটার উঁচু থেকে তোলা কিছু চিত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে ইউরোপজুড়ে নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইডের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার কিছু অঞ্চল বা ‘হটস্পট’ দেখা গেছে। এসব ছবি তোলা হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ‘সেন্টিনেল–৪’ মিশনের মাধ্যমে। এই মিশনের যাত্রা শুরু হয়েছে মেটিওস্যাট থার্ড জেনারেশন সাউন্ডার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। এই স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর কক্ষপথে স্থিতিশীল (জিওস্টেশনারি অরবিট) অবস্থানে রয়েছে। এতে বসানো রয়েছে একটি আধুনিক স্পেকট্রোমিটার, যা প্রতি ঘণ্টায় একবার করে ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকার আকাশ পর্যবেক্ষণ করছে। ইএসএ জানিয়েছে, সেন্টিনেল–৪ এখনও পরীক্ষামূলক ধাপে রয়েছে। তবু প্রকাশিত প্রাথমিক চিত্রগুলো থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এটি সঠিকভাবে কাজ করছে। ছবিগুলোতে দেখা গেছে, ইতালির পো ভ্যালিতে নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইডের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। আর বলকান অঞ্চল, বুলগেরিয়া ও গ্রিসজুড়ে ওজোনের পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়া প্রাকৃতিক উৎস যেমন মাউন্ট এটনা আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত সালফার ডাই–অক্সাইডও এতে ধরা পড়েছে। ইএসএর সেন্টিনেল–৪ মিশনের বিজ্ঞানী বেন ভাইহেলম্যান বলেন, সেন্টিনেল–৪ ইউরোপের প্রথম স্যাটেলাইট মিশন, যা প্রতি ঘণ্টায় বায়ু মানের তথ্য সরবরাহ করবে। এতে করে দূষণের দ্রুত পরিবর্তনগুলো পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস দেওয়া সহজ হবে। এ মিশনের আরেক কর্মকর্তা দিদিয়ে মার্টিন বলেন, আমরা প্রথম ফলাফল দেখে খুবই আশাবাদী। সেন্টিনেল–৪ এখন পুরোপুরি সক্রিয় হওয়ার পথে। এটা ইউরোপে বাতাসের মান পরিমাপের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। এই স্যাটেলাইটে নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইড, সালফার ডাই–অক্সাইড ও ওজোনের মতো ক্ষতিকর গ্যাস শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এসব গ্যাস মানুষের শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্‌রোগের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। তাই সেন্টিনেল–৪ মিশন ইউরোপজুড়ে বায়ুদূষণ মোকাবিলায় বড় সহায়ক হবে বলে আশা করছে ইএসএ। সুত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন।
    Like
    Love
    3
    · 1 Comments ·0 Shares ·195 Views ·0 Reviews
  • ফোনের গ্যালারিতে থাকা ছবিতেও নজর দিচ্ছে ফেসবুক!

    আপনার মোবাইল ফোনে তোলা কিন্তু এখনো ফেসবুকে পোস্ট না করা ছবিগুলোতেও নজর দিচ্ছে ফেসবুকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। সামাজিক মাধ্যমটির মূল প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সব ব্যবহারকারীর জন্য এই নতুন ফিচারটি চালু করা হয়েছে।

    মেটার দাবি, ব্যবহারকারীর সম্মতিতেই ফোনের গ্যালারির ছবি বিশ্লেষণ করবে ফেসবুক। এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফেসবুক থেকে কোলাজ, জন্মদিনের থিম, স্মৃতিচারণ বা নকশা সাজেশনের মতো সৃজনশীল পরামর্শ পেতে পারেন।

    প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পর এখন এটি মূল সংস্করণে এসেছে। ব্যবহারকারীরা একটি নোটিফিকেশন পাবেন— যেখানে লেখা থাকবে, “আপনার গ্যালারির ছবি থেকে সৃজনশীল ধারণা দিতে ফেসবুককে ক্লাউড প্রক্রিয়ায় অনুমতি দিন।” সম্মতি দিলে নির্দিষ্ট সময় পরপর ফোনের কিছু ছবি মেটার ক্লাউড সার্ভারে পাঠানো হবে। সেখানে মেটার এআই সিস্টেম ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে সম্পাদনা, নকশা পরিবর্তন বা পোস্ট করার প্রস্তাব দেবে।

    মেটার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব ছবি বিজ্ঞাপন বা লক্ষ্যভিত্তিক প্রচারের কাজে ব্যবহার করা হবে না। তবে ব্যবহারকারী যদি সম্পাদিত ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন, সেটি মেটার এআই মডেল প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হতে পারে।

    কোম্পানির নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনুমতি পেলে মেটা ছবিতে থাকা মুখ, মানুষ, বস্তুর উপস্থিতি, সময় ও অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারবে। এসব তথ্য থেকে ছবির সারাংশ তৈরি, ছবি পরিবর্তন বা নতুন ছবি তৈরি করার মতো কাজও সম্ভব।

    প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই ফিচারের মাধ্যমে মেটা ব্যবহারকারীদের আচরণ, পছন্দ-অপছন্দ ও ব্যক্তিগত তথ্যের এক বিশাল ভান্ডার তৈরি করবে, যা এআই প্রতিযোগিতায় তাদের এগিয়ে রাখবে। তবে এতে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে।
    ফোনের গ্যালারিতে থাকা ছবিতেও নজর দিচ্ছে ফেসবুক! আপনার মোবাইল ফোনে তোলা কিন্তু এখনো ফেসবুকে পোস্ট না করা ছবিগুলোতেও নজর দিচ্ছে ফেসবুকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। সামাজিক মাধ্যমটির মূল প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সব ব্যবহারকারীর জন্য এই নতুন ফিচারটি চালু করা হয়েছে। মেটার দাবি, ব্যবহারকারীর সম্মতিতেই ফোনের গ্যালারির ছবি বিশ্লেষণ করবে ফেসবুক। এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফেসবুক থেকে কোলাজ, জন্মদিনের থিম, স্মৃতিচারণ বা নকশা সাজেশনের মতো সৃজনশীল পরামর্শ পেতে পারেন। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পর এখন এটি মূল সংস্করণে এসেছে। ব্যবহারকারীরা একটি নোটিফিকেশন পাবেন— যেখানে লেখা থাকবে, “আপনার গ্যালারির ছবি থেকে সৃজনশীল ধারণা দিতে ফেসবুককে ক্লাউড প্রক্রিয়ায় অনুমতি দিন।” সম্মতি দিলে নির্দিষ্ট সময় পরপর ফোনের কিছু ছবি মেটার ক্লাউড সার্ভারে পাঠানো হবে। সেখানে মেটার এআই সিস্টেম ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে সম্পাদনা, নকশা পরিবর্তন বা পোস্ট করার প্রস্তাব দেবে। মেটার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব ছবি বিজ্ঞাপন বা লক্ষ্যভিত্তিক প্রচারের কাজে ব্যবহার করা হবে না। তবে ব্যবহারকারী যদি সম্পাদিত ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন, সেটি মেটার এআই মডেল প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হতে পারে। কোম্পানির নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনুমতি পেলে মেটা ছবিতে থাকা মুখ, মানুষ, বস্তুর উপস্থিতি, সময় ও অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারবে। এসব তথ্য থেকে ছবির সারাংশ তৈরি, ছবি পরিবর্তন বা নতুন ছবি তৈরি করার মতো কাজও সম্ভব। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই ফিচারের মাধ্যমে মেটা ব্যবহারকারীদের আচরণ, পছন্দ-অপছন্দ ও ব্যক্তিগত তথ্যের এক বিশাল ভান্ডার তৈরি করবে, যা এআই প্রতিযোগিতায় তাদের এগিয়ে রাখবে। তবে এতে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে।
    Like
    Love
    4
    · 1 Comments ·0 Shares ·451 Views ·0 Reviews
  • মানুষের পরিবর্তে রোবট ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে অ্যামাজন

    বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অনলাইন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন, যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম নিয়োগদাতা, নিজেদের শীর্ষ নির্বাহীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫ লাখের বেশি মানুষের কাজ রোবটের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করার পথে হাঁটছে বলে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মক্ষেত্রের ধরন বদলে দেওয়া এই কোম্পানিটির কর্মী রয়েছে প্রায় ১৫ লাখ। কোম্পানির অটোমেশন টিমের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে রোবট ব্যবহারের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে নিলে অন্তত ১ লাখ ৬০ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা এড়ানো যাবে।

    গত বছর বোর্ডকে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে অ্যামাজন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, রোবোটিক অটোমেশন তাদের আগামী বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কর্মী যোগ না করেই ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ দেবে। তারা আশা করছেন, ২০৩৩ সালের মধ্যে পণ্যের বিক্রি দ্বিগুণ হবে, অথচ জনবল বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। দ্রুত ডেলিভারির জন্য নকশাকৃত নতুন গুদামগুলোতে অ্যামাজন এমন কাঠামো গড়ে তুলছে, যেখানে মানুষের উপস্থিতি থাকবে ন্যূনতম।

    কোম্পানির রোবোটিকস বিভাগ দীর্ঘ মেয়াদে তাদের মোট কার্যক্রমের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত অটোমেট করার লক্ষ্য স্থির করেছে। তবে নথিতে দেখা যায়, কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের সময় কোম্পানি 'অটোমেশন' বা 'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা' শব্দগুলো এড়িয়ে চলে, বরং 'উন্নত প্রযুক্তি' বা 'কোবট' (collaborative robot) শব্দ ব্যবহার করতে চায়, যা মানব-রোবট সহযোগিতার ভাবনা প্রকাশ করে।

    মানুষের কাজ বা মজুরির ওপর রোবটের প্রভাব নিয়ে করা এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০২০ সাল পর্যন্ত আমেরিকায় একটি রোবট ১ হাজার কর্মীর কাজ করেছে এবং এতে ওই কোম্পানির মজুরির পেছনে খরচ হ্রাস হয়েছে ০.৪২ শতাংশ। একইসঙ্গে এতে ৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান নষ্ট হয়েছে। পাঁচ বছর পর ২০২৫ সালে এসে অনেক কোম্পানি মজুরির পেছনে খরচ কমাতে রোবটে বিনিয়োগ করছে।

    সুত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক।
    মানুষের পরিবর্তে রোবট ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে অ্যামাজন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অনলাইন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন, যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম নিয়োগদাতা, নিজেদের শীর্ষ নির্বাহীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫ লাখের বেশি মানুষের কাজ রোবটের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করার পথে হাঁটছে বলে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মক্ষেত্রের ধরন বদলে দেওয়া এই কোম্পানিটির কর্মী রয়েছে প্রায় ১৫ লাখ। কোম্পানির অটোমেশন টিমের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে রোবট ব্যবহারের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে নিলে অন্তত ১ লাখ ৬০ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা এড়ানো যাবে। গত বছর বোর্ডকে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে অ্যামাজন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, রোবোটিক অটোমেশন তাদের আগামী বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কর্মী যোগ না করেই ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ দেবে। তারা আশা করছেন, ২০৩৩ সালের মধ্যে পণ্যের বিক্রি দ্বিগুণ হবে, অথচ জনবল বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। দ্রুত ডেলিভারির জন্য নকশাকৃত নতুন গুদামগুলোতে অ্যামাজন এমন কাঠামো গড়ে তুলছে, যেখানে মানুষের উপস্থিতি থাকবে ন্যূনতম। কোম্পানির রোবোটিকস বিভাগ দীর্ঘ মেয়াদে তাদের মোট কার্যক্রমের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত অটোমেট করার লক্ষ্য স্থির করেছে। তবে নথিতে দেখা যায়, কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের সময় কোম্পানি 'অটোমেশন' বা 'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা' শব্দগুলো এড়িয়ে চলে, বরং 'উন্নত প্রযুক্তি' বা 'কোবট' (collaborative robot) শব্দ ব্যবহার করতে চায়, যা মানব-রোবট সহযোগিতার ভাবনা প্রকাশ করে। মানুষের কাজ বা মজুরির ওপর রোবটের প্রভাব নিয়ে করা এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০২০ সাল পর্যন্ত আমেরিকায় একটি রোবট ১ হাজার কর্মীর কাজ করেছে এবং এতে ওই কোম্পানির মজুরির পেছনে খরচ হ্রাস হয়েছে ০.৪২ শতাংশ। একইসঙ্গে এতে ৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান নষ্ট হয়েছে। পাঁচ বছর পর ২০২৫ সালে এসে অনেক কোম্পানি মজুরির পেছনে খরচ কমাতে রোবটে বিনিয়োগ করছে। সুত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক।
    Love
    Like
    3
    · 1 Comments ·0 Shares ·432 Views ·0 Reviews
More Results
Upgrade to Pro
Choose the Plan That's Right for You
Jono Sathi - Learn, Share, Earn Halal https://jonosathi.com
jonosathi
0%