Upgrade to Pro

আপনার অনুমতি নেই
MD. KHOKON
Pinned Post
যে ঠকায়, সে অন্য জায়গায় ঠকে। যে কাঁদায়, সে অন্য জায়গায় কাঁদে, সবার বিচার হবেই, অপেক্ষা শুধু সঠিক সময়ের!! 😰
যে ঠকায়, সে অন্য জায়গায় ঠকে। যে কাঁদায়, সে অন্য জায়গায় কাঁদে, সবার বিচার হবেই, অপেক্ষা শুধু সঠিক সময়ের!! 😰
ডোনেট জনসাথী
Love
1
·72 দেখেছে ·0 রিভিউ

  • রিস্ক মানেই জীবন

    মরলে লাশ

    বাঁচলে ইতিহাস
    রিস্ক মানেই জীবন মরলে লাশ বাঁচলে ইতিহাস
    ডোনেট জনসাথী
    Love
    2
    ·115 দেখেছে ·0 রিভিউ
  • ডোনেট জনসাথী
    Like
    Love
    2
    ·89 দেখেছে ·0 রিভিউ
  • #স্যার_যখন_রোমান্টিক_বর (৮)
    #স্বপ্নীল_আজিম
    এই ইরা,”
    “হুম,”
    “লক্ষ্মী বউ আমার উঠ,সকাল হয়ে গেছে”
    “এত তাড়াতাড়ি কেন আরেকটু ঘুমায়”
    “রাতে কি করেছ হুম কোন কথা শুনতে চায়
    নি উঠ বলছি এই কথা বলে আমাকে টে*নে
    উঠালেন।”

    “আহহারে,আমার এত সুন্দর ঘুমটাও কি
    উনার সহ্য হয় না।শেষ পর্যন্ত জোর করে
    আমাকে উঠিয়েই ছাড়ল”
    “যাও,ফ্রেস হয়ে নাস্তার টেবিলে
    আস,hurry up.”
    “আচ্ছা”
    .
    .
    নাস্তার টেবিলে গিয়ে দেখি আমার
    শাশুড়িমাও ঘুম থেকে উঠে নাস্তা
    বানিয়ে টেবিলে সাজাচ্ছেন।
    “আরে ইরা আয় আয় বস।বল কি খাবি আমি
    নিজ হাতে তোর পছন্দের সব খাবার
    বানিয়েছি”

    “মা,ওর জন্য পছন্দের খাবার বানিয়েছ
    ভালো কথা। কিন্তু ওকে বল তাড়াতাড়ি
    নাস্তা শেষ করতে”
    “কেন রে,আস্তে ধীরে খাক না মেয়েটা
    এইরকম কেন করছিস?”

    “করছি কারণ তোমার মেয়েটা
    পড়ালেখায় একনম্বর ফাঁ*কিবাজ।কালকে
    ম্যাথ দেখতে বলে গিয়েছিলাম। আমি
    জানি আপনার এই গুণধর মেয়ে বই একটু
    খুলেও দেখিনি।ইরা আমাদের কথা না
    শুনে তাড়াতাড়ি নাস্তা শেষ কর”

    “শ*য়তানটার ম্যাথের কথা এখনো মনে
    আছে।ইরা তুই শেষ”
    “হয়েছে টাইম ওভার।আর নাস্তা করা
    লাগবে না।যা খেয়েছ তাই যথেষ্ট। চল
    রুমে চল,তোমাকে আজকে ম্যাথ করাব”
    .
    .
    “আপনার না আজকে ভার্সিটি যেতে
    হবে।”
    অনেক দেরি আছে আমার সেখানে
    যেতে।তোমাকে পড়িয়ে তারপর
    ভার্সিটিতে যাব।চল বলছি,এই বলে আমার
    হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলেন রুমে আর
    এইদিকে আমার ভ*য়ে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে।
    ম্যাথে আমি একদম কাঁচা কি করে যে এই
    শয়তান আর রা*ক্ষসটাকে ম্যাথ করে দিব
    তা বুঝতে পারছি না।

    আমাকে সারাদিন
    ম্যাথ বুঝালোও স্যারের সব কথা আমার
    মাথার উপর দিয়ে চলে যায়।এখনকার
    মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়া পড়া আর লেকচার
    আমি এখনি ভুলে যায়। ভ*য় লাগছে শেষে
    স্যার রে*গে গিয়ে আমাকে আবার লাঠি
    দিয়ে না মারা শুরু করে দেয়।এইসব
    ভাবতেই অটোমেটিক আমার চোখ দিয়ে
    পানি পড়ছে। যার ভ*য় আমি শুধু ক্লাসে
    পেতাম এখন সে ক্লাস +বাসা!!

    দুইজায়গায় আমাকে ম্যাথ করে শেষ করে
    দিবে”
    “ইরা এমা কাঁদছ কেন?কি হয়েছে দেখি
    আমার লক্ষ্মী বউটা কাঁদছে কেন?
    আমাকে বল কি হয়েছে”
    …..
    “ও বুঝেছি এইজন্য কাঁদতে হয়।কাছে এসে
    আমার চোখের পানি মুছে দিলেন।
    আমাকে তার বু*কে টেনে নিয়ে চুলে বিলি
    কে*টে দিচ্ছেন আর বলছেন ইরা ম্যাথকে
    এত ভ*য় পাও কেন বলত?কিচ্ছু হবে না,

    দেখ
    আমি জানি তুমি ম্যাথে দুর্বল তার মানে
    এই নয় যে তোমাকে দিয়ে ম্যাথ হবে না।
    তুমি একটু চেষ্টা করবে দেখবে ম্যাথ
    করতে কত সোজা লাগে।তখন দেখবে তুমি
    ম্যাথকে ভ*য় পাচ্ছো না,ম্যাথ তোমাকে
    উল্টো ভ*য় পাচ্ছে।আর আমিতো আছি।
    আমি থাকতে ম্যাথকে ভ*য় একদম পাবে
    না।তুমি যতক্ষণ না পর্যন্ত আমার পড়া
    বুঝতে পারছ আমি ততক্ষণ পর্যন্ত
    তোমাকে ম্যাথ বুঝাতে থাকব।ম্যাথ না
    পারার জন্য তোমাকে কখনো বকব না
    কিন্তু ফাঁকিবাজি করলে ব*কাতো খেতে
    হবেই।

    তোমাকে সারাদিনও ম্যাথ বুঝাতে
    আমার একটু ক্লান্তি লাগবে না।নিজের
    আপনজনের জন্য করছি এইসব তাই একটু কষ্ট
    করার দরকার হলে করে নিব।আমি আমার
    দিক দিয়ে চেষ্টা করব আর তুমি তোমার
    দিক দিয়ে।দেখবে ম্যাথ করার কৌশল
    তোমার মাথায় একটু একটু করে ঢুকছে।আর
    কাঁদে না লক্ষ্মীটি।আস ম্যাথ করতে বসি”
    .
    .
    স্যারের কথা শুনে মনটা ভালো হয়ে গেল।
    তার কথামতো পড়তে বসলাম।অনেকগুলো
    সূত্র দিয়ে আমাকে ম্যাথ বুঝালেন আর
    খাতায় করিয়ে দিলেন কিন্তু
    ফাটাপোড়া কপাল সব আমার মাথার উপর
    দিয়ে চলে গেল।

    “ইরা তোমার হাতটা দেখি।ব্যান্ডেজ
    খুলে আমার বাম হাতের ক্ষতটা দেখলেন।
    এইতো তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাচ্ছে।
    ড্রয়ার থেকে ফাস্ট এড বক্স এনে নতুন
    করে আমার হাতে ব্যান্ডেজ করে দিলেন।

    ইরা তোমার হাতের ব্যান্ডেজ তো
    মায়ের চোখে পড়ার কথা!”
    “আমি কাপড় দিয়ে হাত ঢেকে
    রেখেছিলাম তাই খেয়াল করেননি”
    “ও,আচ্ছা”
    “ইরা তুমি আমার করিয়ে দেওয়া
    ম্যাথগুলো দেখতে থাক আমি এখনি
    আসছি”
    “আচ্ছা”
    .
    .
    কিছুক্ষণ পরে তিনি নাস্তা নিয়ে এলেন।
    কি ব্যাপার ম্যাথগুলো দেখছ,
    “হুম দেখছি”(আর বুঝার চেষ্টা করছি মাথা
    ফে*টে যাচ্ছে তারপরেও কিছু মাথায়
    ঢুকছে না)

    “এইতো লক্ষ্মী বউটা আমার।একটু চেষ্টা
    কর দেখবে আস্তে আস্তে মাথায় ঢুকবে।
    না বুঝলে আমাকে বারবার জিজ্ঞাস
    করবে ঠিকাছে।”
    “আচ্ছা”
    “আচ্ছা হা কর সকালে তেমন কিছু
    খাওনি,এখন খেয়ে নাও”
    “আপনি আমাকে দেন আমি হাত দিয়ে
    খেয়ে নিব

    “দেখ আমি যখন তোমাকে নিজ হাতে
    খাইয়ে দিতে চাইব তখন এই কথা আর
    বলবে না যে তুমি নিজ হাতে খেতে
    পারবে বা খেয়ে নিবে।আমি খাইয়ে
    দিতে চাইলে চুপচাপ কোন উল্টাপাল্টা
    কথা না বলে খেয়ে নিবে এটা আমার
    শেষ কথা। আমাকে বারবার যাতে এই
    কথাটা তোমার মাথায় ঢুকিয়ে দিতে না
    হয়, বুঝতে পেরেছে”
    “হুম”

    “এই তো লক্ষ্মী মেয়ে।নাও হা কর”
    চুপচাপ উনার কথা বাধ্য হয়ে পূরণ করলাম।
    এরপর উনি মেডিসিন খাইয়ে দিলেন।
    .
    .
    “ইরা আমার আসতে আসতে বিকেল হয়ে
    যাবে।এখন তুমি এই ঘরের বউ তোমার
    হাতে অনেক দায়িত্ব।তাই বাসায় মাকে
    টাইম দিবে,মাকে তো তুমি আগে থেকে
    চিন ওনি তোমাকে নিজের মেয়ের মতন
    দেখেন। তাই তোমাকে দিয়ে উনি কোন
    কাজ করাবেন না কিন্তু তারপরেও মা যে
    কয়দিন এখানে আছে একটু একটু করে
    রান্নার কাজটা ওনার কাছ থেকে শিখে
    নিও।

    আর হ্যা পড়ার কথা খবরদার
    ভুলবেনা,আজকে যা পড়িয়েছি আর
    দেখিয়েছি তা বাসায় আবারও দেখবে
    আর করবে।মা এখান থেকে চলে গেলে
    আবার তোমাকে ভার্সিটি গিয়ে ক্লাস
    শুরু করতে হবে।আমার কথা মাথায় ঢুকেছে”
    “জ্বী,স্যার ঢুকেছে”
    “কি!What স্যার”(রে*গে গিয়ে)

    “সরি সরি আমার মনে ছিলনা যে আমি
    এখন বাসায় আছি।কিছুক্ষণের জন্য মনে
    হল আমি ক্লাসরুমে আছি আর আপনি
    আমার ক্লাস নিচ্ছেন তাই মুখ ফুসকে এই
    কথা…”

    “প্লিজ ইরা একটু চেষ্টা কর এই স্যার বলে
    ডাকা*টা বন্ধ কর।তুমি বারবার কেন এই
    কথাটা ভুলে যাও যে আমি তোমার
    হাজবেন্ড”
    …..
    “আশা করি তোমার এই ধরণের ভুল
    তাড়াতাড়ি সংশোধন হয়ে যাবে।
    আমাকে মন থেকে তোমার স্বামী
    হিসেবে মানলে আর আমাকে স্বামীর
    চোখে দেখার চেষ্টা করলে দেখবে
    তখন
    তোমার মুখ দিয়ে স্যার শব্দটা আর আসবে
    না।”

    …….(এত সহজ এমনভাবে কাউকে বিয়ে
    করে তাকে মন থেকে স্বামী হিসেবে
    মেনে নেওয়া।এই বিষয়টা স্যার যতটা
    সহজ করে দেখছেন ততটা সহজ না।উনাকে
    স্বামী হিসেবে মেনে নেওয়া আমার
    কাছে ম্যাথের মতনি অনেক কঠিন।
    উনাকে তো ভালবাসিই না তাহলে কেমন
    করে!?উনি ম্যাথের মতন কঠিন বিষয় সহজে
    বুঝে গেলেও কিন্তু একটা নারীর মন কি
    চাই এত সহজে তা বুঝতে পারবেন না।

    আমার মন কি চায়,এই মনের অবস্থা এখন
    কেমন সেটা বুঝলে হয়ত এই কথাটা তিনি
    কখনো….)
    “যা ভাবছ ভাব।তোমার ভাবনা নিয়ে
    আজকে কিছু বলব না।কিন্তু এই বিষয়
    নিয়ে তোমার ভাবনার উত্তর যাতে
    পজিটিভ হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে।

    হুম,আচ্ছা আমার লক্ষ্মী বউ আসি তাহলে।
    মার আর নিজের খেয়াল রেখো ঠিকাছে
    এই বলে আমার কপালে কালকের মতন করে
    ভালবাসার পরশ দিয়ে দিলেন”
    “আচ্ছা,”

    সঠিক মানুষের ভালোবাসা মানুষকে পূর্ণতা দান করে।

    চলবে????????
    #স্যার_যখন_রোমান্টিক_বর (৮) #স্বপ্নীল_আজিম এই ইরা,” “হুম,” “লক্ষ্মী বউ আমার উঠ,সকাল হয়ে গেছে” “এত তাড়াতাড়ি কেন আরেকটু ঘুমায়” “রাতে কি করেছ হুম কোন কথা শুনতে চায় নি উঠ বলছি এই কথা বলে আমাকে টে*নে উঠালেন।” “আহহারে,আমার এত সুন্দর ঘুমটাও কি উনার সহ্য হয় না।শেষ পর্যন্ত জোর করে আমাকে উঠিয়েই ছাড়ল” “যাও,ফ্রেস হয়ে নাস্তার টেবিলে আস,hurry up.” “আচ্ছা” . . নাস্তার টেবিলে গিয়ে দেখি আমার শাশুড়িমাও ঘুম থেকে উঠে নাস্তা বানিয়ে টেবিলে সাজাচ্ছেন। “আরে ইরা আয় আয় বস।বল কি খাবি আমি নিজ হাতে তোর পছন্দের সব খাবার বানিয়েছি” “মা,ওর জন্য পছন্দের খাবার বানিয়েছ ভালো কথা। কিন্তু ওকে বল তাড়াতাড়ি নাস্তা শেষ করতে” “কেন রে,আস্তে ধীরে খাক না মেয়েটা এইরকম কেন করছিস?” “করছি কারণ তোমার মেয়েটা পড়ালেখায় একনম্বর ফাঁ*কিবাজ।কালকে ম্যাথ দেখতে বলে গিয়েছিলাম। আমি জানি আপনার এই গুণধর মেয়ে বই একটু খুলেও দেখিনি।ইরা আমাদের কথা না শুনে তাড়াতাড়ি নাস্তা শেষ কর” “শ*য়তানটার ম্যাথের কথা এখনো মনে আছে।ইরা তুই শেষ” “হয়েছে টাইম ওভার।আর নাস্তা করা লাগবে না।যা খেয়েছ তাই যথেষ্ট। চল রুমে চল,তোমাকে আজকে ম্যাথ করাব” . . “আপনার না আজকে ভার্সিটি যেতে হবে।” অনেক দেরি আছে আমার সেখানে যেতে।তোমাকে পড়িয়ে তারপর ভার্সিটিতে যাব।চল বলছি,এই বলে আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলেন রুমে আর এইদিকে আমার ভ*য়ে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। ম্যাথে আমি একদম কাঁচা কি করে যে এই শয়তান আর রা*ক্ষসটাকে ম্যাথ করে দিব তা বুঝতে পারছি না। আমাকে সারাদিন ম্যাথ বুঝালোও স্যারের সব কথা আমার মাথার উপর দিয়ে চলে যায়।এখনকার মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়া পড়া আর লেকচার আমি এখনি ভুলে যায়। ভ*য় লাগছে শেষে স্যার রে*গে গিয়ে আমাকে আবার লাঠি দিয়ে না মারা শুরু করে দেয়।এইসব ভাবতেই অটোমেটিক আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। যার ভ*য় আমি শুধু ক্লাসে পেতাম এখন সে ক্লাস +বাসা!! দুইজায়গায় আমাকে ম্যাথ করে শেষ করে দিবে” “ইরা এমা কাঁদছ কেন?কি হয়েছে দেখি আমার লক্ষ্মী বউটা কাঁদছে কেন? আমাকে বল কি হয়েছে” ….. “ও বুঝেছি এইজন্য কাঁদতে হয়।কাছে এসে আমার চোখের পানি মুছে দিলেন। আমাকে তার বু*কে টেনে নিয়ে চুলে বিলি কে*টে দিচ্ছেন আর বলছেন ইরা ম্যাথকে এত ভ*য় পাও কেন বলত?কিচ্ছু হবে না, দেখ আমি জানি তুমি ম্যাথে দুর্বল তার মানে এই নয় যে তোমাকে দিয়ে ম্যাথ হবে না। তুমি একটু চেষ্টা করবে দেখবে ম্যাথ করতে কত সোজা লাগে।তখন দেখবে তুমি ম্যাথকে ভ*য় পাচ্ছো না,ম্যাথ তোমাকে উল্টো ভ*য় পাচ্ছে।আর আমিতো আছি। আমি থাকতে ম্যাথকে ভ*য় একদম পাবে না।তুমি যতক্ষণ না পর্যন্ত আমার পড়া বুঝতে পারছ আমি ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাকে ম্যাথ বুঝাতে থাকব।ম্যাথ না পারার জন্য তোমাকে কখনো বকব না কিন্তু ফাঁকিবাজি করলে ব*কাতো খেতে হবেই। তোমাকে সারাদিনও ম্যাথ বুঝাতে আমার একটু ক্লান্তি লাগবে না।নিজের আপনজনের জন্য করছি এইসব তাই একটু কষ্ট করার দরকার হলে করে নিব।আমি আমার দিক দিয়ে চেষ্টা করব আর তুমি তোমার দিক দিয়ে।দেখবে ম্যাথ করার কৌশল তোমার মাথায় একটু একটু করে ঢুকছে।আর কাঁদে না লক্ষ্মীটি।আস ম্যাথ করতে বসি” . . স্যারের কথা শুনে মনটা ভালো হয়ে গেল। তার কথামতো পড়তে বসলাম।অনেকগুলো সূত্র দিয়ে আমাকে ম্যাথ বুঝালেন আর খাতায় করিয়ে দিলেন কিন্তু ফাটাপোড়া কপাল সব আমার মাথার উপর দিয়ে চলে গেল। “ইরা তোমার হাতটা দেখি।ব্যান্ডেজ খুলে আমার বাম হাতের ক্ষতটা দেখলেন। এইতো তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাচ্ছে। ড্রয়ার থেকে ফাস্ট এড বক্স এনে নতুন করে আমার হাতে ব্যান্ডেজ করে দিলেন। ইরা তোমার হাতের ব্যান্ডেজ তো মায়ের চোখে পড়ার কথা!” “আমি কাপড় দিয়ে হাত ঢেকে রেখেছিলাম তাই খেয়াল করেননি” “ও,আচ্ছা” “ইরা তুমি আমার করিয়ে দেওয়া ম্যাথগুলো দেখতে থাক আমি এখনি আসছি” “আচ্ছা” . . কিছুক্ষণ পরে তিনি নাস্তা নিয়ে এলেন। কি ব্যাপার ম্যাথগুলো দেখছ, “হুম দেখছি”(আর বুঝার চেষ্টা করছি মাথা ফে*টে যাচ্ছে তারপরেও কিছু মাথায় ঢুকছে না) “এইতো লক্ষ্মী বউটা আমার।একটু চেষ্টা কর দেখবে আস্তে আস্তে মাথায় ঢুকবে। না বুঝলে আমাকে বারবার জিজ্ঞাস করবে ঠিকাছে।” “আচ্ছা” “আচ্ছা হা কর সকালে তেমন কিছু খাওনি,এখন খেয়ে নাও” “আপনি আমাকে দেন আমি হাত দিয়ে খেয়ে নিব “দেখ আমি যখন তোমাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিতে চাইব তখন এই কথা আর বলবে না যে তুমি নিজ হাতে খেতে পারবে বা খেয়ে নিবে।আমি খাইয়ে দিতে চাইলে চুপচাপ কোন উল্টাপাল্টা কথা না বলে খেয়ে নিবে এটা আমার শেষ কথা। আমাকে বারবার যাতে এই কথাটা তোমার মাথায় ঢুকিয়ে দিতে না হয়, বুঝতে পেরেছে” “হুম” “এই তো লক্ষ্মী মেয়ে।নাও হা কর” চুপচাপ উনার কথা বাধ্য হয়ে পূরণ করলাম। এরপর উনি মেডিসিন খাইয়ে দিলেন। . . “ইরা আমার আসতে আসতে বিকেল হয়ে যাবে।এখন তুমি এই ঘরের বউ তোমার হাতে অনেক দায়িত্ব।তাই বাসায় মাকে টাইম দিবে,মাকে তো তুমি আগে থেকে চিন ওনি তোমাকে নিজের মেয়ের মতন দেখেন। তাই তোমাকে দিয়ে উনি কোন কাজ করাবেন না কিন্তু তারপরেও মা যে কয়দিন এখানে আছে একটু একটু করে রান্নার কাজটা ওনার কাছ থেকে শিখে নিও। আর হ্যা পড়ার কথা খবরদার ভুলবেনা,আজকে যা পড়িয়েছি আর দেখিয়েছি তা বাসায় আবারও দেখবে আর করবে।মা এখান থেকে চলে গেলে আবার তোমাকে ভার্সিটি গিয়ে ক্লাস শুরু করতে হবে।আমার কথা মাথায় ঢুকেছে” “জ্বী,স্যার ঢুকেছে” “কি!What স্যার”(রে*গে গিয়ে) “সরি সরি আমার মনে ছিলনা যে আমি এখন বাসায় আছি।কিছুক্ষণের জন্য মনে হল আমি ক্লাসরুমে আছি আর আপনি আমার ক্লাস নিচ্ছেন তাই মুখ ফুসকে এই কথা…” “প্লিজ ইরা একটু চেষ্টা কর এই স্যার বলে ডাকা*টা বন্ধ কর।তুমি বারবার কেন এই কথাটা ভুলে যাও যে আমি তোমার হাজবেন্ড” ….. “আশা করি তোমার এই ধরণের ভুল তাড়াতাড়ি সংশোধন হয়ে যাবে। আমাকে মন থেকে তোমার স্বামী হিসেবে মানলে আর আমাকে স্বামীর চোখে দেখার চেষ্টা করলে দেখবে তখন তোমার মুখ দিয়ে স্যার শব্দটা আর আসবে না।” …….(এত সহজ এমনভাবে কাউকে বিয়ে করে তাকে মন থেকে স্বামী হিসেবে মেনে নেওয়া।এই বিষয়টা স্যার যতটা সহজ করে দেখছেন ততটা সহজ না।উনাকে স্বামী হিসেবে মেনে নেওয়া আমার কাছে ম্যাথের মতনি অনেক কঠিন। উনাকে তো ভালবাসিই না তাহলে কেমন করে!?উনি ম্যাথের মতন কঠিন বিষয় সহজে বুঝে গেলেও কিন্তু একটা নারীর মন কি চাই এত সহজে তা বুঝতে পারবেন না। আমার মন কি চায়,এই মনের অবস্থা এখন কেমন সেটা বুঝলে হয়ত এই কথাটা তিনি কখনো….) “যা ভাবছ ভাব।তোমার ভাবনা নিয়ে আজকে কিছু বলব না।কিন্তু এই বিষয় নিয়ে তোমার ভাবনার উত্তর যাতে পজিটিভ হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে। হুম,আচ্ছা আমার লক্ষ্মী বউ আসি তাহলে। মার আর নিজের খেয়াল রেখো ঠিকাছে এই বলে আমার কপালে কালকের মতন করে ভালবাসার পরশ দিয়ে দিলেন” “আচ্ছা,” সঠিক মানুষের ভালোবাসা মানুষকে পূর্ণতা দান করে। চলবে????????
    ডোনেট জনসাথী
    Like
    Love
    3
    ·110 দেখেছে ·0 রিভিউ
  • অনুভূতি গুলো মাটির সাথে মিশে গেছে,,! 💔🫀
    অনুভূতি গুলো মাটির সাথে মিশে গেছে,,! 💔🫀
    ডোনেট জনসাথী
    Love
    1
    ·107 দেখেছে ·0 রিভিউ


  • “একজন মৃত মানুষও যদি কথা বলতে পারত…”

    ---

    রোশনি এবার নিজেই পুরো ঘটনা বিশ্লেষণ করতে বসে। রাত গভীর। ল্যাপটপে অনন্যা আর রুদ্রের কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিং প্লে করে:

    🎧

    > রুদ্র: “ও যদি বুঝে ফেলে আমরা দুজনেই একই দলের, তাহলে সমস্যা হবে।”
    অনন্যা: “তাকে বিশ্বাস করাও আমাদের প্ল্যানের অংশ।”

    রোশনি ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে—এত সহজে ওদের মুখোশ ফেলা যাবে না।

    ---

    🕵️‍♀️ প্ল্যান B:

    সে যোগাযোগ করে তার বাবার এক পুরনো সোর্স, একজন অবসরপ্রাপ্ত RAW অফিসার, মিস্টার চৌধুরীর সঙ্গে।

    > “তোমার বাবার সঙ্গে শেষবার দেখা হওয়ার পর আমি বুঝেছিলাম, তিনি কিছু বড় কিছু নিয়ে কাজ করছিলেন… কিন্তু আজ তুমি যা বললে, তাতে অনেক কিছু মিলছে।”

    মিস্টার চৌধুরী রোশনিকে একটা ঠিকানা দেন—শিয়ালদহের পাশে পুরনো একটা বাড়ি। বলেন, “সেখানে তোমার বাবা মৃত্যুর আগের দিন গিয়েছিলেন। হয়ত কোনো প্রমাণ আছে।”

    ---

    🏚️ রোশনি যায় সেই বাড়িতে—একটা পরিত্যক্ত, ধ্বংসপ্রায় দালান।

    ভিতরে ঢোকার সাথে সাথে ছাদের দিকে ক্যামেরা ঘোরে—কেউ একজন স্নাইপার রাইফেল হাতে দেখছে।

    ---

    ভবনের ভেতরে পুরনো কাগজ, একটি ছেঁড়া ডায়েরি, আর একটা অজানা ফাইল খুঁজে পায় রোশনি।

    📓 ডায়েরির মধ্যে লেখা:

    > “আমার পেছনে কেউ লাগিয়ে দিয়েছে। রুদ্রের ওপর সন্দেহ হচ্ছে… আর অনন্যা খুব বেশি জানতে চাইছে। আমি আর কারো ওপর ভরসা করতে পারছি না।”

    রোশনি বুঝে যায়—তার বাবা মৃত্যুর আগে অনন্যা ও রুদ্রের ভূমিকা ধরতে পেরেছিলেন।

    ---

    📞 হঠাৎ রোশনি ফোন পায়।

    অজানা পুরুষ কণ্ঠ:

    > “তুমি যত খোঁজ করবে, ততই গভীরে যাবে। মনে রেখো, একটা খেলা শুরু করেছো তুমি… শেষ করতে পারবে তো?”

    ফোন কেটে যায়।

    ---

    🧠 টুইস্ট:

    রোশনি যে বাড়িতে গিয়েছিল, সেটা আসলে ফাঁদ ছিল! সে বুঝতে পারে, কিন্তু তখন অনেক দেরি…

    ❗ বাড়ির নিচতলায় সে খুঁজে পায় একটা লাশ—একজন মেয়ের। চেহারা পচে গেছে, কিন্তু হাতে আঁকা একটা ছোট উল্কি দেখে রোশনি চিনতে পারে…

    > “এ তো বাবার অফিসের জুনিয়র রিপোর্টার—সাবমীরা!”

    সাবমীরা, যাকে সবাই বলত সে আত্মহত্যা করেছে! কিন্তু রোশনি এখন জানে—এটা ছিল মিথ্যা, ওকে খুন করা হয়েছিল।

    ---

    রোশনি কেঁপে ওঠে।

    হঠাৎ পেছন থেকে কারো পায়ের শব্দ… সে মোবাইল বের করে ভিডিও চালু করে…

    কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই—

    💥 কেউ মাথার পেছনে আঘাত করে।

    সব অন্ধকার…

    ---

    🎬 শেষ দৃশ্য:

    রোশনি চোখ খুলে দেখে— একটা পুরনো ঘরে হাত বাঁধা অবস্থায় বসে আছে। তার সামনে রুদ্র, আর অনন্যা।

    অনন্যা এগিয়ে আসে, ঠোঁটে একটুকু হাসি:

    > “তুমি সত্যটা খুঁজছিলে তো, রোশনি? এবার পুরোটা জানতে পারো… কিন্তু বাঁচবে কি না, সেটাই প্রশ্ন।”

    ---

    🔔 পরের পর্বে:
    রোশনি কি পারবে সেখান থেকে পালাতে? অনন্যা আর রুদ্রের আসল লক্ষ্য কি?
    আর… সাবমীর মৃত্যু নিয়ে কী ভয়ানক সত্য লুকিয়ে আছে?

    👥
    “একজন মৃত মানুষও যদি কথা বলতে পারত…” --- রোশনি এবার নিজেই পুরো ঘটনা বিশ্লেষণ করতে বসে। রাত গভীর। ল্যাপটপে অনন্যা আর রুদ্রের কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিং প্লে করে: 🎧 > রুদ্র: “ও যদি বুঝে ফেলে আমরা দুজনেই একই দলের, তাহলে সমস্যা হবে।” অনন্যা: “তাকে বিশ্বাস করাও আমাদের প্ল্যানের অংশ।” রোশনি ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে—এত সহজে ওদের মুখোশ ফেলা যাবে না। --- 🕵️‍♀️ প্ল্যান B: সে যোগাযোগ করে তার বাবার এক পুরনো সোর্স, একজন অবসরপ্রাপ্ত RAW অফিসার, মিস্টার চৌধুরীর সঙ্গে। > “তোমার বাবার সঙ্গে শেষবার দেখা হওয়ার পর আমি বুঝেছিলাম, তিনি কিছু বড় কিছু নিয়ে কাজ করছিলেন… কিন্তু আজ তুমি যা বললে, তাতে অনেক কিছু মিলছে।” মিস্টার চৌধুরী রোশনিকে একটা ঠিকানা দেন—শিয়ালদহের পাশে পুরনো একটা বাড়ি। বলেন, “সেখানে তোমার বাবা মৃত্যুর আগের দিন গিয়েছিলেন। হয়ত কোনো প্রমাণ আছে।” --- 🏚️ রোশনি যায় সেই বাড়িতে—একটা পরিত্যক্ত, ধ্বংসপ্রায় দালান। ভিতরে ঢোকার সাথে সাথে ছাদের দিকে ক্যামেরা ঘোরে—কেউ একজন স্নাইপার রাইফেল হাতে দেখছে। --- ভবনের ভেতরে পুরনো কাগজ, একটি ছেঁড়া ডায়েরি, আর একটা অজানা ফাইল খুঁজে পায় রোশনি। 📓 ডায়েরির মধ্যে লেখা: > “আমার পেছনে কেউ লাগিয়ে দিয়েছে। রুদ্রের ওপর সন্দেহ হচ্ছে… আর অনন্যা খুব বেশি জানতে চাইছে। আমি আর কারো ওপর ভরসা করতে পারছি না।” রোশনি বুঝে যায়—তার বাবা মৃত্যুর আগে অনন্যা ও রুদ্রের ভূমিকা ধরতে পেরেছিলেন। --- 📞 হঠাৎ রোশনি ফোন পায়। অজানা পুরুষ কণ্ঠ: > “তুমি যত খোঁজ করবে, ততই গভীরে যাবে। মনে রেখো, একটা খেলা শুরু করেছো তুমি… শেষ করতে পারবে তো?” ফোন কেটে যায়। --- 🧠 টুইস্ট: রোশনি যে বাড়িতে গিয়েছিল, সেটা আসলে ফাঁদ ছিল! সে বুঝতে পারে, কিন্তু তখন অনেক দেরি… ❗ বাড়ির নিচতলায় সে খুঁজে পায় একটা লাশ—একজন মেয়ের। চেহারা পচে গেছে, কিন্তু হাতে আঁকা একটা ছোট উল্কি দেখে রোশনি চিনতে পারে… > “এ তো বাবার অফিসের জুনিয়র রিপোর্টার—সাবমীরা!” সাবমীরা, যাকে সবাই বলত সে আত্মহত্যা করেছে! কিন্তু রোশনি এখন জানে—এটা ছিল মিথ্যা, ওকে খুন করা হয়েছিল। --- রোশনি কেঁপে ওঠে। হঠাৎ পেছন থেকে কারো পায়ের শব্দ… সে মোবাইল বের করে ভিডিও চালু করে… কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই— 💥 কেউ মাথার পেছনে আঘাত করে। সব অন্ধকার… --- 🎬 শেষ দৃশ্য: রোশনি চোখ খুলে দেখে— একটা পুরনো ঘরে হাত বাঁধা অবস্থায় বসে আছে। তার সামনে রুদ্র, আর অনন্যা। অনন্যা এগিয়ে আসে, ঠোঁটে একটুকু হাসি: > “তুমি সত্যটা খুঁজছিলে তো, রোশনি? এবার পুরোটা জানতে পারো… কিন্তু বাঁচবে কি না, সেটাই প্রশ্ন।” --- 🔔 পরের পর্বে: রোশনি কি পারবে সেখান থেকে পালাতে? অনন্যা আর রুদ্রের আসল লক্ষ্য কি? আর… সাবমীর মৃত্যু নিয়ে কী ভয়ানক সত্য লুকিয়ে আছে? 👥
    ডোনেট জনসাথী
    Like
    Love
    2
    ·134 দেখেছে ·0 রিভিউ
More Stories
Jono Sathi - Bangladeshi Social Media Platform https://jonosathi.com