Sponsored
**মিথ্যা ভালোবাসার আঘাত**
#শখের_লেখক

### **অধ্যায় ১: প্রথম দেখা**
রাফি একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে, চোখে স্বপ্ন আর হৃদয়ে ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষা। সে খুব সহজ-সরল, সৎ ও দয়ালু। অন্যদিকে, তিশা উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে। সে স্মার্ট, সুন্দরী, কিন্তু বাস্তবে একটু আত্মকেন্দ্রিক। সে ভালোবাসাকে গুরুত্ব দেয় না, বরং এটাকে সুবিধা আদায়ের মাধ্যম হিসেবে দেখে।

তিশার সঙ্গে রাফির পরিচয় হয় এক ক্লাসে। প্রথমে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তিশার হাসি, কথা বলা, জীবনধারা—সবকিছুই রাফিকে মোহিত করে। কিছুদিনের মধ্যেই তিশা তার মিষ্টি কথায় রাফিকে নিজের প্রতি দুর্বল করে ফেলে।

### **অধ্যায় ২: প্রেমের ছলনা**
তিশা রাফির প্রতি কৃত্রিম ভালোবাসা দেখাতে শুরু করে। সে বলে, “তুমি না থাকলে আমার জীবন অর্থহীন লাগে।” রাফি এসব কথা শুনে তিশার প্রতি আরও বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। সে তার সাধ্যের সবকিছু দিয়ে তিশার খুশির জন্য চেষ্টা করে। রাফি তার সঞ্চিত টাকা খরচ করে তিশার জন্য উপহার কেনে, তার পাশে থাকার জন্য নিজের সব দায়িত্ব ভুলে যায়।

কিন্তু তিশার জন্য এসব ছিল শুধু একটা খেলা। তার মনে সত্যিকারের ভালোবাসা কখনোই ছিল না। সে শুধু রাফির যত্ন আর ভালোবাসাকে নিজের সুবিধার জন্য ব্যবহার করছিল।

### **অধ্যায় ৩: পরিবর্তন শুরু**
কিছুদিন পর, তিশার আচরণ বদলে যেতে শুরু করে। সে ধীরে ধীরে রাফির প্রতি উদাসীন হয়ে পড়ে। প্রথমদিকে ফোন না ধরার অজুহাত দিতো, পরে মেসেজের উত্তরও দিতো না। রাফি চিন্তিত হয়ে পড়ে। সে ভাবে, হয়তো তিশার কোনো সমস্যা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন।

তিশার জীবনে নতুন একজন এসেছে—রনি, একজন ধনী ব্যবসায়ীর ছেলে। তার গাড়ি আছে, টাকার অভাব নেই, এবং সবকিছুতেই বিলাসিতা। তিশা বুঝতে পারে, রনির সাথে থাকলে সে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবে। তাই সে ধীরে ধীরে রাফিকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে।

### **অধ্যায় ৪: ছেড়ে যাওয়া**
একদিন রাফি হঠাৎ ক্যাম্পাসের সামনে দেখে, তিশা রনির সাথে হাত ধরে হাঁটছে। সে বিশ্বাস করতে পারে না। তার হৃদয়ে হাজারটা প্রশ্ন জমা হয়, কিন্তু উত্তর নেই।

রাফি তিশার কাছে গিয়ে জানতে চায়, “তুমি এভাবে বদলে গেলে কেন? আমি কি তোমার জন্য কিছুই ছিলাম না?”

তিশা হেসে উত্তর দেয়, “রাফি, তুমি খুব ভালো ছেলে, কিন্তু আমার জীবন অন্যভাবে গড়তে হবে। তোমার মতো সাধারণ একজনের সাথে আমি থাকতে পারবো না। এটা বাস্তবতা, মেনে নাও।”

এই কথাগুলো শুনে রাফির মনে বজ্রপাত হয়। সে বুঝতে পারে, যার জন্য সে নিজের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছিল, সে কখনোই তাকে সত্যিকারের ভালোবাসেনি।

### **অধ্যায় ৫: কষ্ট, ভেঙে পড়া ও পুনর্জন্ম**
রাফি গভীর হতাশায় ডুবে যায়। খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয়, পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে না। প্রতিদিন রাতে তিশার কথাগুলো তার কানে বাজে। সে ভাবে, ভালোবাসা কি আসলেই এত নিষ্ঠুর?

কিন্তু কিছুদিন পর, সে বুঝতে পারে, তার জীবন থেমে থাকার জন্য নয়। সে নতুন করে বাঁচতে শিখে। সে বুঝতে পারে, যে মানুষ ভালোবাসাকে খেলনা ভাবে, তার জন্য কষ্ট পাওয়া বৃথা।

রাফি পড়াশোনায় মনোযোগ দেয়, নিজের ক্যারিয়ার গড়তে শুরু করে। কয়েক বছর পর, সে প্রতিষ্ঠিত হয়।

অন্যদিকে, তিশা রনির কাছ থেকেও প্রতারিত হয়। একদিন সে রাফিকে দেখে, যে তখন সফল মানুষ। সে রাফির কাছে ফিরে যেতে চায়, কিন্তু ততদিনে রাফির জীবনে ভালোবাসার নতুন সংজ্ঞা তৈরি হয়ে গেছে।

### **শেষ কথা**
ভালোবাসা যখন সত্য হয়, তখন সেটি আত্মত্যাগের উপর গড়ে ওঠে। কিন্তু যখন এটি স্বার্থের জন্য হয়, তখন একসময় তার মূল্য হারিয়ে ফেলে। রাফির কষ্ট, তার ভালোবাসার সাথে করা প্রতারণা তাকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছিল। সে শিখেছিল, জীবন কখনো থেমে থাকে না।

এইরকম গল্প পেতে অবশ্যই আইডিতে ফলো দিয়ে পাশেই থাকুন
**মিথ্যা ভালোবাসার আঘাত** #শখের_লেখক ### **অধ্যায় ১: প্রথম দেখা** রাফি একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে, চোখে স্বপ্ন আর হৃদয়ে ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষা। সে খুব সহজ-সরল, সৎ ও দয়ালু। অন্যদিকে, তিশা উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে। সে স্মার্ট, সুন্দরী, কিন্তু বাস্তবে একটু আত্মকেন্দ্রিক। সে ভালোবাসাকে গুরুত্ব দেয় না, বরং এটাকে সুবিধা আদায়ের মাধ্যম হিসেবে দেখে। তিশার সঙ্গে রাফির পরিচয় হয় এক ক্লাসে। প্রথমে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তিশার হাসি, কথা বলা, জীবনধারা—সবকিছুই রাফিকে মোহিত করে। কিছুদিনের মধ্যেই তিশা তার মিষ্টি কথায় রাফিকে নিজের প্রতি দুর্বল করে ফেলে। ### **অধ্যায় ২: প্রেমের ছলনা** তিশা রাফির প্রতি কৃত্রিম ভালোবাসা দেখাতে শুরু করে। সে বলে, “তুমি না থাকলে আমার জীবন অর্থহীন লাগে।” রাফি এসব কথা শুনে তিশার প্রতি আরও বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। সে তার সাধ্যের সবকিছু দিয়ে তিশার খুশির জন্য চেষ্টা করে। রাফি তার সঞ্চিত টাকা খরচ করে তিশার জন্য উপহার কেনে, তার পাশে থাকার জন্য নিজের সব দায়িত্ব ভুলে যায়। কিন্তু তিশার জন্য এসব ছিল শুধু একটা খেলা। তার মনে সত্যিকারের ভালোবাসা কখনোই ছিল না। সে শুধু রাফির যত্ন আর ভালোবাসাকে নিজের সুবিধার জন্য ব্যবহার করছিল। ### **অধ্যায় ৩: পরিবর্তন শুরু** কিছুদিন পর, তিশার আচরণ বদলে যেতে শুরু করে। সে ধীরে ধীরে রাফির প্রতি উদাসীন হয়ে পড়ে। প্রথমদিকে ফোন না ধরার অজুহাত দিতো, পরে মেসেজের উত্তরও দিতো না। রাফি চিন্তিত হয়ে পড়ে। সে ভাবে, হয়তো তিশার কোনো সমস্যা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। তিশার জীবনে নতুন একজন এসেছে—রনি, একজন ধনী ব্যবসায়ীর ছেলে। তার গাড়ি আছে, টাকার অভাব নেই, এবং সবকিছুতেই বিলাসিতা। তিশা বুঝতে পারে, রনির সাথে থাকলে সে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবে। তাই সে ধীরে ধীরে রাফিকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। ### **অধ্যায় ৪: ছেড়ে যাওয়া** একদিন রাফি হঠাৎ ক্যাম্পাসের সামনে দেখে, তিশা রনির সাথে হাত ধরে হাঁটছে। সে বিশ্বাস করতে পারে না। তার হৃদয়ে হাজারটা প্রশ্ন জমা হয়, কিন্তু উত্তর নেই। রাফি তিশার কাছে গিয়ে জানতে চায়, “তুমি এভাবে বদলে গেলে কেন? আমি কি তোমার জন্য কিছুই ছিলাম না?” তিশা হেসে উত্তর দেয়, “রাফি, তুমি খুব ভালো ছেলে, কিন্তু আমার জীবন অন্যভাবে গড়তে হবে। তোমার মতো সাধারণ একজনের সাথে আমি থাকতে পারবো না। এটা বাস্তবতা, মেনে নাও।” এই কথাগুলো শুনে রাফির মনে বজ্রপাত হয়। সে বুঝতে পারে, যার জন্য সে নিজের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছিল, সে কখনোই তাকে সত্যিকারের ভালোবাসেনি। ### **অধ্যায় ৫: কষ্ট, ভেঙে পড়া ও পুনর্জন্ম** রাফি গভীর হতাশায় ডুবে যায়। খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয়, পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে না। প্রতিদিন রাতে তিশার কথাগুলো তার কানে বাজে। সে ভাবে, ভালোবাসা কি আসলেই এত নিষ্ঠুর? কিন্তু কিছুদিন পর, সে বুঝতে পারে, তার জীবন থেমে থাকার জন্য নয়। সে নতুন করে বাঁচতে শিখে। সে বুঝতে পারে, যে মানুষ ভালোবাসাকে খেলনা ভাবে, তার জন্য কষ্ট পাওয়া বৃথা। রাফি পড়াশোনায় মনোযোগ দেয়, নিজের ক্যারিয়ার গড়তে শুরু করে। কয়েক বছর পর, সে প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে, তিশা রনির কাছ থেকেও প্রতারিত হয়। একদিন সে রাফিকে দেখে, যে তখন সফল মানুষ। সে রাফির কাছে ফিরে যেতে চায়, কিন্তু ততদিনে রাফির জীবনে ভালোবাসার নতুন সংজ্ঞা তৈরি হয়ে গেছে। ### **শেষ কথা** ভালোবাসা যখন সত্য হয়, তখন সেটি আত্মত্যাগের উপর গড়ে ওঠে। কিন্তু যখন এটি স্বার্থের জন্য হয়, তখন একসময় তার মূল্য হারিয়ে ফেলে। রাফির কষ্ট, তার ভালোবাসার সাথে করা প্রতারণা তাকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছিল। সে শিখেছিল, জীবন কখনো থেমে থাকে না। এইরকম গল্প পেতে অবশ্যই আইডিতে ফলো দিয়ে পাশেই থাকুন 🥰
Love
1
· 0 Comments ·0 Shares ·109 Views ·0 Reviews
Sponsored
Jono Sathi - Bangladeshi Social Media Platform https://jonosathi.com