আমার স্ত্রী শিখা ওর কলেজ লাইফের বন্ধু শাওন এর সাথে স'হবা'স করছে। জানালা দিয়ে রুমের ভেতরে তাকাতেই দেখি একি অবস্থা।


কাল আমার স্ত্রী শিখা এর জন্মদিন ।

তাই একটা শাড়ি কিনে বাসায় আসলাম।

বাসায় এসে দেখি রুমের দরজা ভেতর লক করা।

আমি ওকে ডাক দিবো তখনই আমার মনে হলো

ভেতর থেকে কিছু শব্দ ভেসে আসছে ।

শিখা কি যেন বলছে ।

এবার আমি ওকে না ডেকে জানালার কাছে গেলাম ।

জানালা খোলাই ছিল ।

আমি জানালার কাছে গিয়ে যা দেখলাম তাতো জানেনই।

ওকে ঐ অবস্থায় দেখে আমার সারা শরীরে বিদ্যুৎ খেলে গেল।

আমি তারাতাড়ি বাসার বাইরে চলে এলাম ।

রাস্তার পাশে একটা বেঞ্চে বসে পড়লাম ।

আমার সারা শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছে ।
‌।
হাত পা অবস হয়ে আসছে ।

ওর জন্মদিন নিয়ে আমি অনেকটা এক্সাইটেড ছিলাম ।

কারন
যেই দিনে ওর জন্মদিন ঠিক একই তারিখে আমাদের বিবাহবার্ষিকী।

আর এটা আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী তাই

আমি বেশি এক্সাইটেড।

কিন্তু ,,,
এইমাত্র যা দেখলাম তাতে আমার সমস্ত আনন্দ মাটিতে মিশে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।

হারিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নগুলো ।

যে স্বপ্ন গুলো ছিল খুব সাজানো গোছানো।

দুটি মন একাকার হয়ে এই স্বপ্নগুলো বুঝেছিলাম।

আমার আজ ভাবতে কষ্ট হচ্ছে এই কি আমার সেই শিখা

যে আমার হাতে হাত রেখে বলেছিলো ,,,,,,
আমি শুধু তোমার সুর্য ।

আমি সুর্যের শিখা হয়ে বাঁচতে চাই আজিবন।

আমি তোমার আলোয় আলোকিত হতে চাই ।

দিবে না আমায় সেই অধিকার ।(শিখা)
দিবো তো কিন্তু ,,,,,(আমি)
কিন্তু কি ? (শিখা)
শিখা তুমি জানো আমি অনাথ ।

আমার চারকুলে কেউ নেই।

নেই বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা ।

অনেক কষ্টে লেখাপড়া করেছি। (আমি)
আমার কিছু চাই না শুধু তোমাকে চাই ।

আর তুমি গ্রাজুয়েট কম্পিলিট করেছো ।

তাও আবার নিজের যোগ্যতায় ,,,,

দেখো তোমার একটা চাকরি হয়ে গেলে

আমরা ঠিক মানিয়ে নিতে পারবো।(শিখা)
(এই কথাগুলো মনে পরছে আর চোখ দুটো ঘোলাটে হয়ে আসছে ,

কাঁদতে ভুলে গেছি তাই চোখ দিয়ে পানি ঝরে না।)
শিখার বাবা মা আমাদের সম্পর্কটা জেনে গিয়েছিল ।

তারা শিখাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে চাইলে ও

আমার হাত ধরে চলে আসে যার ফলশ্রুতিতে

ওর বাবা ওকে তার কাছে মৃত বলেছেন

তবুও শিখা আমার সাথে থাকার জন্য চলে আসে।
‌।
আর যেদিন ও সব ছেড়ে চলে আসে

সেইদিন ছিলো ওর জন্মদিন ।

শিখা চলে আসাতে সেদিনই আমরা বিয়ে করে নিয়েছিলাম ।

কয়েকদিনের মধ্যেই আমার একটা চাকরি হয়ে গেল

ভালই কাটছিল আমাদের জীবন ।

কিন্তু
এখন সব এলোমেলো হয়ে গেছে ।

তবে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না শিখা আমার সাথে এরকম করবে ।

কিন্তু এইমাত্র যা দেখলাম তাতো আর মিথ্যা না ।

এর মাশুল শিখাকে দিতেই হবে ।

অপবিত্র হয়ে বেঁচে থাকার কোন অধিকার ওর নেই ।

ও আমার মনটাকে খুন করে ফেলেছে।

আমিও মেরে ফেলবো ওকে ।

না শুধু ওকে নয় ওর বেষ্টফ্রেন্ড শাওনকেও ।

আগে ওকেতো মারি তারপর না হয় আমিও মরবো ।
‌।
কারন এত কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কোন

ইচ্ছেই নেই আমার।

আমি বাসা থেকে বের হয়ে এসেছি ১০ টা বাজে ।

এখন প্রায় ১১ টা বেজে গেছে তার মানে

আমি ১ ঘন্টা ধরে এখানে বসে আছি ।

না বসে থাকলে চলবে না ।

আমি এখন ওদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেবো ।

হ্যাঁ ওরা যেমনটা করেছে ঠিক তেমনই আমি ওদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেবো।

আমি বাসার সামনে আসতেই দেখি শাওন মাত্র বাসা থেকে বের হচ্ছে ।

না আমি আর পারছিনা ও সাজা না পেয়ে চলে

যাবে এটা হতে পারে না ।

আমি একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে গেলাম।

আর চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখতে লাগলাম কিছু পাই কিনা ।

একটা লাঠি দেখতে পেলাম ,,,,,

ওদিকে শাওন বাসার গেটের কাছে পৌঁছে গেছে ।

আমি লাঠিটা তুলে ওর পেছন থেকে

একটা বারি মারলাম ওর মাথা বরাবর।

শাওন অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল ।

আমি শাওনকে নিয়ে গেলাম একটা বিশাল জঙ্গলে ।

সেখানে গিয়ে দেখলাম এখনো শাওনের জ্ঞান ফিরেনি।

আমার জন্য ভালই হলো ।

ওর জ্ঞান ফিরলে বাঁচার জন্য অনেক চেষ্টা করতে পারে

তাই ওকে একটা দরি দিয়ে হাত পা বেঁধে দিলাম ।

এবার একটা গাছের ডাল ভেঙে ওর মাথায়

কয়েকটা বাড়ি দিলাম গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে

শাওন ছটফট করতে লাগলো।

কিন্তু কিছু বলতে পারছে না আর ছুটতেও পারছেনা ।

আমি আরো কয়েকটা বাড়ি দিয়ে ওর মুন্ডুটা গুড়িয়ে দিয়েছি ।

ওর নিথর দেহটা মাটিতে পড়ে আছে ।

আমি ওখান থেকে চলে আসলাম ।

কারন আমি চাই ওর লাশটা শেয়াল কুকুর রা খাক তাই

মাটিচাপাও দেইনি ।

আমার সমস্ত শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছে ।

এবার শিখার পালা ।

শিখাকেও মরতে হবে ।
আজ আমার মাথায় রক্ত চড়ে গেছে ।

সেই ছোট্ট বেলা থেকে কষ্ট পেতে পেতে এতখানি বড় হয়েছি ।

এখনও আমাকে কষ্ট দিতে মন চায় তাইনা ।

আমার ভালবাসাকে অপমান করার শাস্তি পেতে হবে তোমার ।

আমিতো কষ্টে কষ্টে মরে যাব কিন্তু

তোর মত বিশ্বাসঘাতককেও বাঁচতে দেবো না ।

মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি রাত সাড়ে বারোটা বেজে গেছে

আমি মোবাইলের টর্চ জ্বেলে বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছি।

শাওন কে খুন করে মাত্র বাসায় ফিরলাম।

আমার স্ত্রীকে খুন করবো বলে ,,,,,,

আমার যত কষ্ট হোক ওকে আমার মারতেই হবে

তাই আমার রুমের দিকে গেলাম ।

এবার দরজাটা খোলাই ছিল তাই ভেতরে গেলাম ।

কিন্তু রুমে গিয়ে যা দেখলাম

তার জন্য আমি একটুও প্রস্তুত ছিলাম না

দেখি শিখা,,,,,,,,,,,,,,,,
.
.
গল্পঃ অবদান__
পর্বঃ ০১ অধোরা
#highlightseveryone #highlightseveryonefollowers2025highlightseveryonefollowers2025 #highlights2025 #highlight
আমার স্ত্রী শিখা ওর কলেজ লাইফের বন্ধু শাওন এর সাথে স'হবা'স করছে। জানালা দিয়ে রুমের ভেতরে তাকাতেই দেখি একি অবস্থা। । । কাল আমার স্ত্রী শিখা এর জন্মদিন । । তাই একটা শাড়ি কিনে বাসায় আসলাম। । বাসায় এসে দেখি রুমের দরজা ভেতর লক করা। । আমি ওকে ডাক দিবো তখনই আমার মনে হলো । ভেতর থেকে কিছু শব্দ ভেসে আসছে । । শিখা কি যেন বলছে । । এবার আমি ওকে না ডেকে জানালার কাছে গেলাম । । জানালা খোলাই ছিল । । আমি জানালার কাছে গিয়ে যা দেখলাম তাতো জানেনই। । ওকে ঐ অবস্থায় দেখে আমার সারা শরীরে বিদ্যুৎ খেলে গেল। । আমি তারাতাড়ি বাসার বাইরে চলে এলাম । । রাস্তার পাশে একটা বেঞ্চে বসে পড়লাম । । আমার সারা শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছে । ‌। হাত পা অবস হয়ে আসছে । । ওর জন্মদিন নিয়ে আমি অনেকটা এক্সাইটেড ছিলাম । । কারন যেই দিনে ওর জন্মদিন ঠিক একই তারিখে আমাদের বিবাহবার্ষিকী। । আর এটা আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী তাই । আমি বেশি এক্সাইটেড। । কিন্তু ,,, এইমাত্র যা দেখলাম তাতে আমার সমস্ত আনন্দ মাটিতে মিশে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। । হারিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নগুলো । । যে স্বপ্ন গুলো ছিল খুব সাজানো গোছানো। । দুটি মন একাকার হয়ে এই স্বপ্নগুলো বুঝেছিলাম। । আমার আজ ভাবতে কষ্ট হচ্ছে এই কি আমার সেই শিখা । যে আমার হাতে হাত রেখে বলেছিলো ,,,,,, আমি শুধু তোমার সুর্য । । আমি সুর্যের শিখা হয়ে বাঁচতে চাই আজিবন। । আমি তোমার আলোয় আলোকিত হতে চাই । । দিবে না আমায় সেই অধিকার ।(শিখা) দিবো তো কিন্তু ,,,,,(আমি) কিন্তু কি ? (শিখা) শিখা তুমি জানো আমি অনাথ । । আমার চারকুলে কেউ নেই। । নেই বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা । । অনেক কষ্টে লেখাপড়া করেছি। (আমি) আমার কিছু চাই না শুধু তোমাকে চাই । । আর তুমি গ্রাজুয়েট কম্পিলিট করেছো । । তাও আবার নিজের যোগ্যতায় ,,,, । দেখো তোমার একটা চাকরি হয়ে গেলে । আমরা ঠিক মানিয়ে নিতে পারবো।(শিখা) (এই কথাগুলো মনে পরছে আর চোখ দুটো ঘোলাটে হয়ে আসছে , । কাঁদতে ভুলে গেছি তাই চোখ দিয়ে পানি ঝরে না।) শিখার বাবা মা আমাদের সম্পর্কটা জেনে গিয়েছিল । । তারা শিখাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে চাইলে ও । আমার হাত ধরে চলে আসে যার ফলশ্রুতিতে । ওর বাবা ওকে তার কাছে মৃত বলেছেন । তবুও শিখা আমার সাথে থাকার জন্য চলে আসে। ‌। আর যেদিন ও সব ছেড়ে চলে আসে । সেইদিন ছিলো ওর জন্মদিন । । শিখা চলে আসাতে সেদিনই আমরা বিয়ে করে নিয়েছিলাম । । কয়েকদিনের মধ্যেই আমার একটা চাকরি হয়ে গেল । ভালই কাটছিল আমাদের জীবন । । কিন্তু এখন সব এলোমেলো হয়ে গেছে । । তবে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না শিখা আমার সাথে এরকম করবে । । কিন্তু এইমাত্র যা দেখলাম তাতো আর মিথ্যা না । । এর মাশুল শিখাকে দিতেই হবে । । অপবিত্র হয়ে বেঁচে থাকার কোন অধিকার ওর নেই । । ও আমার মনটাকে খুন করে ফেলেছে। । আমিও মেরে ফেলবো ওকে । । না শুধু ওকে নয় ওর বেষ্টফ্রেন্ড শাওনকেও । । আগে ওকেতো মারি তারপর না হয় আমিও মরবো । ‌। কারন এত কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কোন । ইচ্ছেই নেই আমার। । আমি বাসা থেকে বের হয়ে এসেছি ১০ টা বাজে । । এখন প্রায় ১১ টা বেজে গেছে তার মানে । আমি ১ ঘন্টা ধরে এখানে বসে আছি । । না বসে থাকলে চলবে না । । আমি এখন ওদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেবো । । হ্যাঁ ওরা যেমনটা করেছে ঠিক তেমনই আমি ওদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেবো। । আমি বাসার সামনে আসতেই দেখি শাওন মাত্র বাসা থেকে বের হচ্ছে । । না আমি আর পারছিনা ও সাজা না পেয়ে চলে । যাবে এটা হতে পারে না । । আমি একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে গেলাম। । আর চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখতে লাগলাম কিছু পাই কিনা । । একটা লাঠি দেখতে পেলাম ,,,,, । ওদিকে শাওন বাসার গেটের কাছে পৌঁছে গেছে । । আমি লাঠিটা তুলে ওর পেছন থেকে । একটা বারি মারলাম ওর মাথা বরাবর। । শাওন অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল । । আমি শাওনকে নিয়ে গেলাম একটা বিশাল জঙ্গলে । । সেখানে গিয়ে দেখলাম এখনো শাওনের জ্ঞান ফিরেনি। । আমার জন্য ভালই হলো । । ওর জ্ঞান ফিরলে বাঁচার জন্য অনেক চেষ্টা করতে পারে । তাই ওকে একটা দরি দিয়ে হাত পা বেঁধে দিলাম । । এবার একটা গাছের ডাল ভেঙে ওর মাথায় । কয়েকটা বাড়ি দিলাম গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে । শাওন ছটফট করতে লাগলো। । কিন্তু কিছু বলতে পারছে না আর ছুটতেও পারছেনা । । আমি আরো কয়েকটা বাড়ি দিয়ে ওর মুন্ডুটা গুড়িয়ে দিয়েছি । । ওর নিথর দেহটা মাটিতে পড়ে আছে । । আমি ওখান থেকে চলে আসলাম । । কারন আমি চাই ওর লাশটা শেয়াল কুকুর রা খাক তাই । মাটিচাপাও দেইনি । । আমার সমস্ত শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছে । । এবার শিখার পালা । । শিখাকেও মরতে হবে । আজ আমার মাথায় রক্ত চড়ে গেছে । । সেই ছোট্ট বেলা থেকে কষ্ট পেতে পেতে এতখানি বড় হয়েছি । । এখনও আমাকে কষ্ট দিতে মন চায় তাইনা । । আমার ভালবাসাকে অপমান করার শাস্তি পেতে হবে তোমার । । আমিতো কষ্টে কষ্টে মরে যাব কিন্তু । তোর মত বিশ্বাসঘাতককেও বাঁচতে দেবো না । । মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি রাত সাড়ে বারোটা বেজে গেছে । আমি মোবাইলের টর্চ জ্বেলে বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছি। । শাওন কে খুন করে মাত্র বাসায় ফিরলাম। । আমার স্ত্রীকে খুন করবো বলে ,,,,,, । আমার যত কষ্ট হোক ওকে আমার মারতেই হবে । তাই আমার রুমের দিকে গেলাম । । এবার দরজাটা খোলাই ছিল তাই ভেতরে গেলাম । । কিন্তু রুমে গিয়ে যা দেখলাম । তার জন্য আমি একটুও প্রস্তুত ছিলাম না । দেখি শিখা,,,,,,,,,,,,,,,, . . গল্পঃ অবদান__ পর্বঃ ০১ অধোরা #highlightseveryone #highlightseveryonefollowers2025highlightseveryonefollowers2025 #highlights2025 #highlight
Love
1
0 মন্তব্য 0 Shares 150 দেখেছে 0 রিভিউ
Jono Sathi - Bangladeshi Social Media Platform https://jonosathi.com