আমার স্ত্রী শিখা ওর কলেজ লাইফের বন্ধু শাওন এর সাথে স'হবা'স করছে। জানালা দিয়ে রুমের ভেতরে তাকাতেই দেখি একি অবস্থা।
।
।
কাল আমার স্ত্রী শিখা এর জন্মদিন ।
।
তাই একটা শাড়ি কিনে বাসায় আসলাম।
।
বাসায় এসে দেখি রুমের দরজা ভেতর লক করা।
।
আমি ওকে ডাক দিবো তখনই আমার মনে হলো
।
ভেতর থেকে কিছু শব্দ ভেসে আসছে ।
।
শিখা কি যেন বলছে ।
।
এবার আমি ওকে না ডেকে জানালার কাছে গেলাম ।
।
জানালা খোলাই ছিল ।
।
আমি জানালার কাছে গিয়ে যা দেখলাম তাতো জানেনই।
।
ওকে ঐ অবস্থায় দেখে আমার সারা শরীরে বিদ্যুৎ খেলে গেল।
।
আমি তারাতাড়ি বাসার বাইরে চলে এলাম ।
।
রাস্তার পাশে একটা বেঞ্চে বসে পড়লাম ।
।
আমার সারা শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছে ।
।
হাত পা অবস হয়ে আসছে ।
।
ওর জন্মদিন নিয়ে আমি অনেকটা এক্সাইটেড ছিলাম ।
।
কারন
যেই দিনে ওর জন্মদিন ঠিক একই তারিখে আমাদের বিবাহবার্ষিকী।
।
আর এটা আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী তাই
।
আমি বেশি এক্সাইটেড।
।
কিন্তু ,,,
এইমাত্র যা দেখলাম তাতে আমার সমস্ত আনন্দ মাটিতে মিশে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।
।
হারিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নগুলো ।
।
যে স্বপ্ন গুলো ছিল খুব সাজানো গোছানো।
।
দুটি মন একাকার হয়ে এই স্বপ্নগুলো বুঝেছিলাম।
।
আমার আজ ভাবতে কষ্ট হচ্ছে এই কি আমার সেই শিখা
।
যে আমার হাতে হাত রেখে বলেছিলো ,,,,,,
আমি শুধু তোমার সুর্য ।
।
আমি সুর্যের শিখা হয়ে বাঁচতে চাই আজিবন।
।
আমি তোমার আলোয় আলোকিত হতে চাই ।
।
দিবে না আমায় সেই অধিকার ।(শিখা)
দিবো তো কিন্তু ,,,,,(আমি)
কিন্তু কি ? (শিখা)
শিখা তুমি জানো আমি অনাথ ।
।
আমার চারকুলে কেউ নেই।
।
নেই বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা ।
।
অনেক কষ্টে লেখাপড়া করেছি। (আমি)
আমার কিছু চাই না শুধু তোমাকে চাই ।
।
আর তুমি গ্রাজুয়েট কম্পিলিট করেছো ।
।
তাও আবার নিজের যোগ্যতায় ,,,,
।
দেখো তোমার একটা চাকরি হয়ে গেলে
।
আমরা ঠিক মানিয়ে নিতে পারবো।(শিখা)
(এই কথাগুলো মনে পরছে আর চোখ দুটো ঘোলাটে হয়ে আসছে ,
।
কাঁদতে ভুলে গেছি তাই চোখ দিয়ে পানি ঝরে না।)
শিখার বাবা মা আমাদের সম্পর্কটা জেনে গিয়েছিল ।
।
তারা শিখাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে চাইলে ও
।
আমার হাত ধরে চলে আসে যার ফলশ্রুতিতে
।
ওর বাবা ওকে তার কাছে মৃত বলেছেন
।
তবুও শিখা আমার সাথে থাকার জন্য চলে আসে।
।
আর যেদিন ও সব ছেড়ে চলে আসে
।
সেইদিন ছিলো ওর জন্মদিন ।
।
শিখা চলে আসাতে সেদিনই আমরা বিয়ে করে নিয়েছিলাম ।
।
কয়েকদিনের মধ্যেই আমার একটা চাকরি হয়ে গেল
।
ভালই কাটছিল আমাদের জীবন ।
।
কিন্তু
এখন সব এলোমেলো হয়ে গেছে ।
।
তবে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না শিখা আমার সাথে এরকম করবে ।
।
কিন্তু এইমাত্র যা দেখলাম তাতো আর মিথ্যা না ।
।
এর মাশুল শিখাকে দিতেই হবে ।
।
অপবিত্র হয়ে বেঁচে থাকার কোন অধিকার ওর নেই ।
।
ও আমার মনটাকে খুন করে ফেলেছে।
।
আমিও মেরে ফেলবো ওকে ।
।
না শুধু ওকে নয় ওর বেষ্টফ্রেন্ড শাওনকেও ।
।
আগে ওকেতো মারি তারপর না হয় আমিও মরবো ।
।
কারন এত কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কোন
।
ইচ্ছেই নেই আমার।
।
আমি বাসা থেকে বের হয়ে এসেছি ১০ টা বাজে ।
।
এখন প্রায় ১১ টা বেজে গেছে তার মানে
।
আমি ১ ঘন্টা ধরে এখানে বসে আছি ।
।
না বসে থাকলে চলবে না ।
।
আমি এখন ওদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেবো ।
।
হ্যাঁ ওরা যেমনটা করেছে ঠিক তেমনই আমি ওদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেবো।
।
আমি বাসার সামনে আসতেই দেখি শাওন মাত্র বাসা থেকে বের হচ্ছে ।
।
না আমি আর পারছিনা ও সাজা না পেয়ে চলে
।
যাবে এটা হতে পারে না ।
।
আমি একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে গেলাম।
।
আর চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখতে লাগলাম কিছু পাই কিনা ।
।
একটা লাঠি দেখতে পেলাম ,,,,,
।
ওদিকে শাওন বাসার গেটের কাছে পৌঁছে গেছে ।
।
আমি লাঠিটা তুলে ওর পেছন থেকে
।
একটা বারি মারলাম ওর মাথা বরাবর।
।
শাওন অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল ।
।
আমি শাওনকে নিয়ে গেলাম একটা বিশাল জঙ্গলে ।
।
সেখানে গিয়ে দেখলাম এখনো শাওনের জ্ঞান ফিরেনি।
।
আমার জন্য ভালই হলো ।
।
ওর জ্ঞান ফিরলে বাঁচার জন্য অনেক চেষ্টা করতে পারে
।
তাই ওকে একটা দরি দিয়ে হাত পা বেঁধে দিলাম ।
।
এবার একটা গাছের ডাল ভেঙে ওর মাথায়
।
কয়েকটা বাড়ি দিলাম গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে
।
শাওন ছটফট করতে লাগলো।
।
কিন্তু কিছু বলতে পারছে না আর ছুটতেও পারছেনা ।
।
আমি আরো কয়েকটা বাড়ি দিয়ে ওর মুন্ডুটা গুড়িয়ে দিয়েছি ।
।
ওর নিথর দেহটা মাটিতে পড়ে আছে ।
।
আমি ওখান থেকে চলে আসলাম ।
।
কারন আমি চাই ওর লাশটা শেয়াল কুকুর রা খাক তাই
।
মাটিচাপাও দেইনি ।
।
আমার সমস্ত শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছে ।
।
এবার শিখার পালা ।
।
শিখাকেও মরতে হবে ।
আজ আমার মাথায় রক্ত চড়ে গেছে ।
।
সেই ছোট্ট বেলা থেকে কষ্ট পেতে পেতে এতখানি বড় হয়েছি ।
।
এখনও আমাকে কষ্ট দিতে মন চায় তাইনা ।
।
আমার ভালবাসাকে অপমান করার শাস্তি পেতে হবে তোমার ।
।
আমিতো কষ্টে কষ্টে মরে যাব কিন্তু
।
তোর মত বিশ্বাসঘাতককেও বাঁচতে দেবো না ।
।
মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি রাত সাড়ে বারোটা বেজে গেছে
।
আমি মোবাইলের টর্চ জ্বেলে বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছি।
।
শাওন কে খুন করে মাত্র বাসায় ফিরলাম।
।
আমার স্ত্রীকে খুন করবো বলে ,,,,,,
।
আমার যত কষ্ট হোক ওকে আমার মারতেই হবে
।
তাই আমার রুমের দিকে গেলাম ।
।
এবার দরজাটা খোলাই ছিল তাই ভেতরে গেলাম ।
।
কিন্তু রুমে গিয়ে যা দেখলাম
।
তার জন্য আমি একটুও প্রস্তুত ছিলাম না
।
দেখি শিখা,,,,,,,,,,,,,,,,
.
.
গল্পঃ অবদান__
পর্বঃ ০১ অধোরা
#highlightseveryone #highlightseveryonefollowers2025highlightseveryonefollowers2025 #highlights2025 #highlight
।
।
কাল আমার স্ত্রী শিখা এর জন্মদিন ।
।
তাই একটা শাড়ি কিনে বাসায় আসলাম।
।
বাসায় এসে দেখি রুমের দরজা ভেতর লক করা।
।
আমি ওকে ডাক দিবো তখনই আমার মনে হলো
।
ভেতর থেকে কিছু শব্দ ভেসে আসছে ।
।
শিখা কি যেন বলছে ।
।
এবার আমি ওকে না ডেকে জানালার কাছে গেলাম ।
।
জানালা খোলাই ছিল ।
।
আমি জানালার কাছে গিয়ে যা দেখলাম তাতো জানেনই।
।
ওকে ঐ অবস্থায় দেখে আমার সারা শরীরে বিদ্যুৎ খেলে গেল।
।
আমি তারাতাড়ি বাসার বাইরে চলে এলাম ।
।
রাস্তার পাশে একটা বেঞ্চে বসে পড়লাম ।
।
আমার সারা শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছে ।
।
হাত পা অবস হয়ে আসছে ।
।
ওর জন্মদিন নিয়ে আমি অনেকটা এক্সাইটেড ছিলাম ।
।
কারন
যেই দিনে ওর জন্মদিন ঠিক একই তারিখে আমাদের বিবাহবার্ষিকী।
।
আর এটা আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী তাই
।
আমি বেশি এক্সাইটেড।
।
কিন্তু ,,,
এইমাত্র যা দেখলাম তাতে আমার সমস্ত আনন্দ মাটিতে মিশে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।
।
হারিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নগুলো ।
।
যে স্বপ্ন গুলো ছিল খুব সাজানো গোছানো।
।
দুটি মন একাকার হয়ে এই স্বপ্নগুলো বুঝেছিলাম।
।
আমার আজ ভাবতে কষ্ট হচ্ছে এই কি আমার সেই শিখা
।
যে আমার হাতে হাত রেখে বলেছিলো ,,,,,,
আমি শুধু তোমার সুর্য ।
।
আমি সুর্যের শিখা হয়ে বাঁচতে চাই আজিবন।
।
আমি তোমার আলোয় আলোকিত হতে চাই ।
।
দিবে না আমায় সেই অধিকার ।(শিখা)
দিবো তো কিন্তু ,,,,,(আমি)
কিন্তু কি ? (শিখা)
শিখা তুমি জানো আমি অনাথ ।
।
আমার চারকুলে কেউ নেই।
।
নেই বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা ।
।
অনেক কষ্টে লেখাপড়া করেছি। (আমি)
আমার কিছু চাই না শুধু তোমাকে চাই ।
।
আর তুমি গ্রাজুয়েট কম্পিলিট করেছো ।
।
তাও আবার নিজের যোগ্যতায় ,,,,
।
দেখো তোমার একটা চাকরি হয়ে গেলে
।
আমরা ঠিক মানিয়ে নিতে পারবো।(শিখা)
(এই কথাগুলো মনে পরছে আর চোখ দুটো ঘোলাটে হয়ে আসছে ,
।
কাঁদতে ভুলে গেছি তাই চোখ দিয়ে পানি ঝরে না।)
শিখার বাবা মা আমাদের সম্পর্কটা জেনে গিয়েছিল ।
।
তারা শিখাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে চাইলে ও
।
আমার হাত ধরে চলে আসে যার ফলশ্রুতিতে
।
ওর বাবা ওকে তার কাছে মৃত বলেছেন
।
তবুও শিখা আমার সাথে থাকার জন্য চলে আসে।
।
আর যেদিন ও সব ছেড়ে চলে আসে
।
সেইদিন ছিলো ওর জন্মদিন ।
।
শিখা চলে আসাতে সেদিনই আমরা বিয়ে করে নিয়েছিলাম ।
।
কয়েকদিনের মধ্যেই আমার একটা চাকরি হয়ে গেল
।
ভালই কাটছিল আমাদের জীবন ।
।
কিন্তু
এখন সব এলোমেলো হয়ে গেছে ।
।
তবে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না শিখা আমার সাথে এরকম করবে ।
।
কিন্তু এইমাত্র যা দেখলাম তাতো আর মিথ্যা না ।
।
এর মাশুল শিখাকে দিতেই হবে ।
।
অপবিত্র হয়ে বেঁচে থাকার কোন অধিকার ওর নেই ।
।
ও আমার মনটাকে খুন করে ফেলেছে।
।
আমিও মেরে ফেলবো ওকে ।
।
না শুধু ওকে নয় ওর বেষ্টফ্রেন্ড শাওনকেও ।
।
আগে ওকেতো মারি তারপর না হয় আমিও মরবো ।
।
কারন এত কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কোন
।
ইচ্ছেই নেই আমার।
।
আমি বাসা থেকে বের হয়ে এসেছি ১০ টা বাজে ।
।
এখন প্রায় ১১ টা বেজে গেছে তার মানে
।
আমি ১ ঘন্টা ধরে এখানে বসে আছি ।
।
না বসে থাকলে চলবে না ।
।
আমি এখন ওদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেবো ।
।
হ্যাঁ ওরা যেমনটা করেছে ঠিক তেমনই আমি ওদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেবো।
।
আমি বাসার সামনে আসতেই দেখি শাওন মাত্র বাসা থেকে বের হচ্ছে ।
।
না আমি আর পারছিনা ও সাজা না পেয়ে চলে
।
যাবে এটা হতে পারে না ।
।
আমি একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে গেলাম।
।
আর চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখতে লাগলাম কিছু পাই কিনা ।
।
একটা লাঠি দেখতে পেলাম ,,,,,
।
ওদিকে শাওন বাসার গেটের কাছে পৌঁছে গেছে ।
।
আমি লাঠিটা তুলে ওর পেছন থেকে
।
একটা বারি মারলাম ওর মাথা বরাবর।
।
শাওন অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল ।
।
আমি শাওনকে নিয়ে গেলাম একটা বিশাল জঙ্গলে ।
।
সেখানে গিয়ে দেখলাম এখনো শাওনের জ্ঞান ফিরেনি।
।
আমার জন্য ভালই হলো ।
।
ওর জ্ঞান ফিরলে বাঁচার জন্য অনেক চেষ্টা করতে পারে
।
তাই ওকে একটা দরি দিয়ে হাত পা বেঁধে দিলাম ।
।
এবার একটা গাছের ডাল ভেঙে ওর মাথায়
।
কয়েকটা বাড়ি দিলাম গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে
।
শাওন ছটফট করতে লাগলো।
।
কিন্তু কিছু বলতে পারছে না আর ছুটতেও পারছেনা ।
।
আমি আরো কয়েকটা বাড়ি দিয়ে ওর মুন্ডুটা গুড়িয়ে দিয়েছি ।
।
ওর নিথর দেহটা মাটিতে পড়ে আছে ।
।
আমি ওখান থেকে চলে আসলাম ।
।
কারন আমি চাই ওর লাশটা শেয়াল কুকুর রা খাক তাই
।
মাটিচাপাও দেইনি ।
।
আমার সমস্ত শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছে ।
।
এবার শিখার পালা ।
।
শিখাকেও মরতে হবে ।
আজ আমার মাথায় রক্ত চড়ে গেছে ।
।
সেই ছোট্ট বেলা থেকে কষ্ট পেতে পেতে এতখানি বড় হয়েছি ।
।
এখনও আমাকে কষ্ট দিতে মন চায় তাইনা ।
।
আমার ভালবাসাকে অপমান করার শাস্তি পেতে হবে তোমার ।
।
আমিতো কষ্টে কষ্টে মরে যাব কিন্তু
।
তোর মত বিশ্বাসঘাতককেও বাঁচতে দেবো না ।
।
মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি রাত সাড়ে বারোটা বেজে গেছে
।
আমি মোবাইলের টর্চ জ্বেলে বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছি।
।
শাওন কে খুন করে মাত্র বাসায় ফিরলাম।
।
আমার স্ত্রীকে খুন করবো বলে ,,,,,,
।
আমার যত কষ্ট হোক ওকে আমার মারতেই হবে
।
তাই আমার রুমের দিকে গেলাম ।
।
এবার দরজাটা খোলাই ছিল তাই ভেতরে গেলাম ।
।
কিন্তু রুমে গিয়ে যা দেখলাম
।
তার জন্য আমি একটুও প্রস্তুত ছিলাম না
।
দেখি শিখা,,,,,,,,,,,,,,,,
.
.
গল্পঃ অবদান__
পর্বঃ ০১ অধোরা
#highlightseveryone #highlightseveryonefollowers2025highlightseveryonefollowers2025 #highlights2025 #highlight
আমার স্ত্রী শিখা ওর কলেজ লাইফের বন্ধু শাওন এর সাথে স'হবা'স করছে। জানালা দিয়ে রুমের ভেতরে তাকাতেই দেখি একি অবস্থা।
।
।
কাল আমার স্ত্রী শিখা এর জন্মদিন ।
।
তাই একটা শাড়ি কিনে বাসায় আসলাম।
।
বাসায় এসে দেখি রুমের দরজা ভেতর লক করা।
।
আমি ওকে ডাক দিবো তখনই আমার মনে হলো
।
ভেতর থেকে কিছু শব্দ ভেসে আসছে ।
।
শিখা কি যেন বলছে ।
।
এবার আমি ওকে না ডেকে জানালার কাছে গেলাম ।
।
জানালা খোলাই ছিল ।
।
আমি জানালার কাছে গিয়ে যা দেখলাম তাতো জানেনই।
।
ওকে ঐ অবস্থায় দেখে আমার সারা শরীরে বিদ্যুৎ খেলে গেল।
।
আমি তারাতাড়ি বাসার বাইরে চলে এলাম ।
।
রাস্তার পাশে একটা বেঞ্চে বসে পড়লাম ।
।
আমার সারা শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছে ।
।
হাত পা অবস হয়ে আসছে ।
।
ওর জন্মদিন নিয়ে আমি অনেকটা এক্সাইটেড ছিলাম ।
।
কারন
যেই দিনে ওর জন্মদিন ঠিক একই তারিখে আমাদের বিবাহবার্ষিকী।
।
আর এটা আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী তাই
।
আমি বেশি এক্সাইটেড।
।
কিন্তু ,,,
এইমাত্র যা দেখলাম তাতে আমার সমস্ত আনন্দ মাটিতে মিশে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।
।
হারিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নগুলো ।
।
যে স্বপ্ন গুলো ছিল খুব সাজানো গোছানো।
।
দুটি মন একাকার হয়ে এই স্বপ্নগুলো বুঝেছিলাম।
।
আমার আজ ভাবতে কষ্ট হচ্ছে এই কি আমার সেই শিখা
।
যে আমার হাতে হাত রেখে বলেছিলো ,,,,,,
আমি শুধু তোমার সুর্য ।
।
আমি সুর্যের শিখা হয়ে বাঁচতে চাই আজিবন।
।
আমি তোমার আলোয় আলোকিত হতে চাই ।
।
দিবে না আমায় সেই অধিকার ।(শিখা)
দিবো তো কিন্তু ,,,,,(আমি)
কিন্তু কি ? (শিখা)
শিখা তুমি জানো আমি অনাথ ।
।
আমার চারকুলে কেউ নেই।
।
নেই বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা ।
।
অনেক কষ্টে লেখাপড়া করেছি। (আমি)
আমার কিছু চাই না শুধু তোমাকে চাই ।
।
আর তুমি গ্রাজুয়েট কম্পিলিট করেছো ।
।
তাও আবার নিজের যোগ্যতায় ,,,,
।
দেখো তোমার একটা চাকরি হয়ে গেলে
।
আমরা ঠিক মানিয়ে নিতে পারবো।(শিখা)
(এই কথাগুলো মনে পরছে আর চোখ দুটো ঘোলাটে হয়ে আসছে ,
।
কাঁদতে ভুলে গেছি তাই চোখ দিয়ে পানি ঝরে না।)
শিখার বাবা মা আমাদের সম্পর্কটা জেনে গিয়েছিল ।
।
তারা শিখাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে চাইলে ও
।
আমার হাত ধরে চলে আসে যার ফলশ্রুতিতে
।
ওর বাবা ওকে তার কাছে মৃত বলেছেন
।
তবুও শিখা আমার সাথে থাকার জন্য চলে আসে।
।
আর যেদিন ও সব ছেড়ে চলে আসে
।
সেইদিন ছিলো ওর জন্মদিন ।
।
শিখা চলে আসাতে সেদিনই আমরা বিয়ে করে নিয়েছিলাম ।
।
কয়েকদিনের মধ্যেই আমার একটা চাকরি হয়ে গেল
।
ভালই কাটছিল আমাদের জীবন ।
।
কিন্তু
এখন সব এলোমেলো হয়ে গেছে ।
।
তবে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না শিখা আমার সাথে এরকম করবে ।
।
কিন্তু এইমাত্র যা দেখলাম তাতো আর মিথ্যা না ।
।
এর মাশুল শিখাকে দিতেই হবে ।
।
অপবিত্র হয়ে বেঁচে থাকার কোন অধিকার ওর নেই ।
।
ও আমার মনটাকে খুন করে ফেলেছে।
।
আমিও মেরে ফেলবো ওকে ।
।
না শুধু ওকে নয় ওর বেষ্টফ্রেন্ড শাওনকেও ।
।
আগে ওকেতো মারি তারপর না হয় আমিও মরবো ।
।
কারন এত কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কোন
।
ইচ্ছেই নেই আমার।
।
আমি বাসা থেকে বের হয়ে এসেছি ১০ টা বাজে ।
।
এখন প্রায় ১১ টা বেজে গেছে তার মানে
।
আমি ১ ঘন্টা ধরে এখানে বসে আছি ।
।
না বসে থাকলে চলবে না ।
।
আমি এখন ওদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেবো ।
।
হ্যাঁ ওরা যেমনটা করেছে ঠিক তেমনই আমি ওদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেবো।
।
আমি বাসার সামনে আসতেই দেখি শাওন মাত্র বাসা থেকে বের হচ্ছে ।
।
না আমি আর পারছিনা ও সাজা না পেয়ে চলে
।
যাবে এটা হতে পারে না ।
।
আমি একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে গেলাম।
।
আর চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখতে লাগলাম কিছু পাই কিনা ।
।
একটা লাঠি দেখতে পেলাম ,,,,,
।
ওদিকে শাওন বাসার গেটের কাছে পৌঁছে গেছে ।
।
আমি লাঠিটা তুলে ওর পেছন থেকে
।
একটা বারি মারলাম ওর মাথা বরাবর।
।
শাওন অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল ।
।
আমি শাওনকে নিয়ে গেলাম একটা বিশাল জঙ্গলে ।
।
সেখানে গিয়ে দেখলাম এখনো শাওনের জ্ঞান ফিরেনি।
।
আমার জন্য ভালই হলো ।
।
ওর জ্ঞান ফিরলে বাঁচার জন্য অনেক চেষ্টা করতে পারে
।
তাই ওকে একটা দরি দিয়ে হাত পা বেঁধে দিলাম ।
।
এবার একটা গাছের ডাল ভেঙে ওর মাথায়
।
কয়েকটা বাড়ি দিলাম গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে
।
শাওন ছটফট করতে লাগলো।
।
কিন্তু কিছু বলতে পারছে না আর ছুটতেও পারছেনা ।
।
আমি আরো কয়েকটা বাড়ি দিয়ে ওর মুন্ডুটা গুড়িয়ে দিয়েছি ।
।
ওর নিথর দেহটা মাটিতে পড়ে আছে ।
।
আমি ওখান থেকে চলে আসলাম ।
।
কারন আমি চাই ওর লাশটা শেয়াল কুকুর রা খাক তাই
।
মাটিচাপাও দেইনি ।
।
আমার সমস্ত শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছে ।
।
এবার শিখার পালা ।
।
শিখাকেও মরতে হবে ।
আজ আমার মাথায় রক্ত চড়ে গেছে ।
।
সেই ছোট্ট বেলা থেকে কষ্ট পেতে পেতে এতখানি বড় হয়েছি ।
।
এখনও আমাকে কষ্ট দিতে মন চায় তাইনা ।
।
আমার ভালবাসাকে অপমান করার শাস্তি পেতে হবে তোমার ।
।
আমিতো কষ্টে কষ্টে মরে যাব কিন্তু
।
তোর মত বিশ্বাসঘাতককেও বাঁচতে দেবো না ।
।
মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি রাত সাড়ে বারোটা বেজে গেছে
।
আমি মোবাইলের টর্চ জ্বেলে বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছি।
।
শাওন কে খুন করে মাত্র বাসায় ফিরলাম।
।
আমার স্ত্রীকে খুন করবো বলে ,,,,,,
।
আমার যত কষ্ট হোক ওকে আমার মারতেই হবে
।
তাই আমার রুমের দিকে গেলাম ।
।
এবার দরজাটা খোলাই ছিল তাই ভেতরে গেলাম ।
।
কিন্তু রুমে গিয়ে যা দেখলাম
।
তার জন্য আমি একটুও প্রস্তুত ছিলাম না
।
দেখি শিখা,,,,,,,,,,,,,,,,
.
.
গল্পঃ অবদান__
পর্বঃ ০১ অধোরা
#highlightseveryone #highlightseveryonefollowers2025highlightseveryonefollowers2025 #highlights2025 #highlight
