• আমার স্ত্রী শিখা ওর কলেজ লাইফের বন্ধু শাওন এর সাথে স'হবা'স করছে। জানালা দিয়ে রুমের ভেতরে তাকাতেই দেখি একি অবস্থা।


    কাল আমার স্ত্রী শিখা এর জন্মদিন ।

    তাই একটা শাড়ি কিনে বাসায় আসলাম।

    বাসায় এসে দেখি রুমের দরজা ভেতর লক করা।

    আমি ওকে ডাক দিবো তখনই আমার মনে হলো

    ভেতর থেকে কিছু শব্দ ভেসে আসছে ।

    শিখা কি যেন বলছে ।

    এবার আমি ওকে না ডেকে জানালার কাছে গেলাম ।

    জানালা খোলাই ছিল ।

    আমি জানালার কাছে গিয়ে যা দেখলাম তাতো জানেনই।

    ওকে ঐ অবস্থায় দেখে আমার সারা শরীরে বিদ্যুৎ খেলে গেল।

    আমি তারাতাড়ি বাসার বাইরে চলে এলাম ।

    রাস্তার পাশে একটা বেঞ্চে বসে পড়লাম ।

    আমার সারা শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছে ।
    ‌।
    হাত পা অবস হয়ে আসছে ।

    ওর জন্মদিন নিয়ে আমি অনেকটা এক্সাইটেড ছিলাম ।

    কারন
    যেই দিনে ওর জন্মদিন ঠিক একই তারিখে আমাদের বিবাহবার্ষিকী।

    আর এটা আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী তাই

    আমি বেশি এক্সাইটেড।

    কিন্তু ,,,
    এইমাত্র যা দেখলাম তাতে আমার সমস্ত আনন্দ মাটিতে মিশে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।

    হারিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নগুলো ।

    যে স্বপ্ন গুলো ছিল খুব সাজানো গোছানো।

    দুটি মন একাকার হয়ে এই স্বপ্নগুলো বুঝেছিলাম।

    আমার আজ ভাবতে কষ্ট হচ্ছে এই কি আমার সেই শিখা

    যে আমার হাতে হাত রেখে বলেছিলো ,,,,,,
    আমি শুধু তোমার সুর্য ।

    আমি সুর্যের শিখা হয়ে বাঁচতে চাই আজিবন।

    আমি তোমার আলোয় আলোকিত হতে চাই ।

    দিবে না আমায় সেই অধিকার ।(শিখা)
    দিবো তো কিন্তু ,,,,,(আমি)
    কিন্তু কি ? (শিখা)
    শিখা তুমি জানো আমি অনাথ ।

    আমার চারকুলে কেউ নেই।

    নেই বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা ।

    অনেক কষ্টে লেখাপড়া করেছি। (আমি)
    আমার কিছু চাই না শুধু তোমাকে চাই ।

    আর তুমি গ্রাজুয়েট কম্পিলিট করেছো ।

    তাও আবার নিজের যোগ্যতায় ,,,,

    দেখো তোমার একটা চাকরি হয়ে গেলে

    আমরা ঠিক মানিয়ে নিতে পারবো।(শিখা)
    (এই কথাগুলো মনে পরছে আর চোখ দুটো ঘোলাটে হয়ে আসছে ,

    কাঁদতে ভুলে গেছি তাই চোখ দিয়ে পানি ঝরে না।)
    শিখার বাবা মা আমাদের সম্পর্কটা জেনে গিয়েছিল ।

    তারা শিখাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে চাইলে ও

    আমার হাত ধরে চলে আসে যার ফলশ্রুতিতে

    ওর বাবা ওকে তার কাছে মৃত বলেছেন

    তবুও শিখা আমার সাথে থাকার জন্য চলে আসে।
    ‌।
    আর যেদিন ও সব ছেড়ে চলে আসে

    সেইদিন ছিলো ওর জন্মদিন ।

    শিখা চলে আসাতে সেদিনই আমরা বিয়ে করে নিয়েছিলাম ।

    কয়েকদিনের মধ্যেই আমার একটা চাকরি হয়ে গেল

    ভালই কাটছিল আমাদের জীবন ।

    কিন্তু
    এখন সব এলোমেলো হয়ে গেছে ।

    তবে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না শিখা আমার সাথে এরকম করবে ।

    কিন্তু এইমাত্র যা দেখলাম তাতো আর মিথ্যা না ।

    এর মাশুল শিখাকে দিতেই হবে ।

    অপবিত্র হয়ে বেঁচে থাকার কোন অধিকার ওর নেই ।

    ও আমার মনটাকে খুন করে ফেলেছে।

    আমিও মেরে ফেলবো ওকে ।

    না শুধু ওকে নয় ওর বেষ্টফ্রেন্ড শাওনকেও ।

    আগে ওকেতো মারি তারপর না হয় আমিও মরবো ।
    ‌।
    কারন এত কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কোন

    ইচ্ছেই নেই আমার।

    আমি বাসা থেকে বের হয়ে এসেছি ১০ টা বাজে ।

    এখন প্রায় ১১ টা বেজে গেছে তার মানে

    আমি ১ ঘন্টা ধরে এখানে বসে আছি ।

    না বসে থাকলে চলবে না ।

    আমি এখন ওদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেবো ।

    হ্যাঁ ওরা যেমনটা করেছে ঠিক তেমনই আমি ওদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেবো।

    আমি বাসার সামনে আসতেই দেখি শাওন মাত্র বাসা থেকে বের হচ্ছে ।

    না আমি আর পারছিনা ও সাজা না পেয়ে চলে

    যাবে এটা হতে পারে না ।

    আমি একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে গেলাম।

    আর চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখতে লাগলাম কিছু পাই কিনা ।

    একটা লাঠি দেখতে পেলাম ,,,,,

    ওদিকে শাওন বাসার গেটের কাছে পৌঁছে গেছে ।

    আমি লাঠিটা তুলে ওর পেছন থেকে

    একটা বারি মারলাম ওর মাথা বরাবর।

    শাওন অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল ।

    আমি শাওনকে নিয়ে গেলাম একটা বিশাল জঙ্গলে ।

    সেখানে গিয়ে দেখলাম এখনো শাওনের জ্ঞান ফিরেনি।

    আমার জন্য ভালই হলো ।

    ওর জ্ঞান ফিরলে বাঁচার জন্য অনেক চেষ্টা করতে পারে

    তাই ওকে একটা দরি দিয়ে হাত পা বেঁধে দিলাম ।

    এবার একটা গাছের ডাল ভেঙে ওর মাথায়

    কয়েকটা বাড়ি দিলাম গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে

    শাওন ছটফট করতে লাগলো।

    কিন্তু কিছু বলতে পারছে না আর ছুটতেও পারছেনা ।

    আমি আরো কয়েকটা বাড়ি দিয়ে ওর মুন্ডুটা গুড়িয়ে দিয়েছি ।

    ওর নিথর দেহটা মাটিতে পড়ে আছে ।

    আমি ওখান থেকে চলে আসলাম ।

    কারন আমি চাই ওর লাশটা শেয়াল কুকুর রা খাক তাই

    মাটিচাপাও দেইনি ।

    আমার সমস্ত শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছে ।

    এবার শিখার পালা ।

    শিখাকেও মরতে হবে ।
    আজ আমার মাথায় রক্ত চড়ে গেছে ।

    সেই ছোট্ট বেলা থেকে কষ্ট পেতে পেতে এতখানি বড় হয়েছি ।

    এখনও আমাকে কষ্ট দিতে মন চায় তাইনা ।

    আমার ভালবাসাকে অপমান করার শাস্তি পেতে হবে তোমার ।

    আমিতো কষ্টে কষ্টে মরে যাব কিন্তু

    তোর মত বিশ্বাসঘাতককেও বাঁচতে দেবো না ।

    মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি রাত সাড়ে বারোটা বেজে গেছে

    আমি মোবাইলের টর্চ জ্বেলে বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছি।

    শাওন কে খুন করে মাত্র বাসায় ফিরলাম।

    আমার স্ত্রীকে খুন করবো বলে ,,,,,,

    আমার যত কষ্ট হোক ওকে আমার মারতেই হবে

    তাই আমার রুমের দিকে গেলাম ।

    এবার দরজাটা খোলাই ছিল তাই ভেতরে গেলাম ।

    কিন্তু রুমে গিয়ে যা দেখলাম

    তার জন্য আমি একটুও প্রস্তুত ছিলাম না

    দেখি শিখা,,,,,,,,,,,,,,,,
    .
    .
    গল্পঃ অবদান__
    পর্বঃ ০১ অধোরা
    #highlightseveryone #highlightseveryonefollowers2025highlightseveryonefollowers2025 #highlights2025 #highlight
    আমার স্ত্রী শিখা ওর কলেজ লাইফের বন্ধু শাওন এর সাথে স'হবা'স করছে। জানালা দিয়ে রুমের ভেতরে তাকাতেই দেখি একি অবস্থা। । । কাল আমার স্ত্রী শিখা এর জন্মদিন । । তাই একটা শাড়ি কিনে বাসায় আসলাম। । বাসায় এসে দেখি রুমের দরজা ভেতর লক করা। । আমি ওকে ডাক দিবো তখনই আমার মনে হলো । ভেতর থেকে কিছু শব্দ ভেসে আসছে । । শিখা কি যেন বলছে । । এবার আমি ওকে না ডেকে জানালার কাছে গেলাম । । জানালা খোলাই ছিল । । আমি জানালার কাছে গিয়ে যা দেখলাম তাতো জানেনই। । ওকে ঐ অবস্থায় দেখে আমার সারা শরীরে বিদ্যুৎ খেলে গেল। । আমি তারাতাড়ি বাসার বাইরে চলে এলাম । । রাস্তার পাশে একটা বেঞ্চে বসে পড়লাম । । আমার সারা শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছে । ‌। হাত পা অবস হয়ে আসছে । । ওর জন্মদিন নিয়ে আমি অনেকটা এক্সাইটেড ছিলাম । । কারন যেই দিনে ওর জন্মদিন ঠিক একই তারিখে আমাদের বিবাহবার্ষিকী। । আর এটা আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী তাই । আমি বেশি এক্সাইটেড। । কিন্তু ,,, এইমাত্র যা দেখলাম তাতে আমার সমস্ত আনন্দ মাটিতে মিশে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। । হারিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নগুলো । । যে স্বপ্ন গুলো ছিল খুব সাজানো গোছানো। । দুটি মন একাকার হয়ে এই স্বপ্নগুলো বুঝেছিলাম। । আমার আজ ভাবতে কষ্ট হচ্ছে এই কি আমার সেই শিখা । যে আমার হাতে হাত রেখে বলেছিলো ,,,,,, আমি শুধু তোমার সুর্য । । আমি সুর্যের শিখা হয়ে বাঁচতে চাই আজিবন। । আমি তোমার আলোয় আলোকিত হতে চাই । । দিবে না আমায় সেই অধিকার ।(শিখা) দিবো তো কিন্তু ,,,,,(আমি) কিন্তু কি ? (শিখা) শিখা তুমি জানো আমি অনাথ । । আমার চারকুলে কেউ নেই। । নেই বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা । । অনেক কষ্টে লেখাপড়া করেছি। (আমি) আমার কিছু চাই না শুধু তোমাকে চাই । । আর তুমি গ্রাজুয়েট কম্পিলিট করেছো । । তাও আবার নিজের যোগ্যতায় ,,,, । দেখো তোমার একটা চাকরি হয়ে গেলে । আমরা ঠিক মানিয়ে নিতে পারবো।(শিখা) (এই কথাগুলো মনে পরছে আর চোখ দুটো ঘোলাটে হয়ে আসছে , । কাঁদতে ভুলে গেছি তাই চোখ দিয়ে পানি ঝরে না।) শিখার বাবা মা আমাদের সম্পর্কটা জেনে গিয়েছিল । । তারা শিখাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে চাইলে ও । আমার হাত ধরে চলে আসে যার ফলশ্রুতিতে । ওর বাবা ওকে তার কাছে মৃত বলেছেন । তবুও শিখা আমার সাথে থাকার জন্য চলে আসে। ‌। আর যেদিন ও সব ছেড়ে চলে আসে । সেইদিন ছিলো ওর জন্মদিন । । শিখা চলে আসাতে সেদিনই আমরা বিয়ে করে নিয়েছিলাম । । কয়েকদিনের মধ্যেই আমার একটা চাকরি হয়ে গেল । ভালই কাটছিল আমাদের জীবন । । কিন্তু এখন সব এলোমেলো হয়ে গেছে । । তবে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না শিখা আমার সাথে এরকম করবে । । কিন্তু এইমাত্র যা দেখলাম তাতো আর মিথ্যা না । । এর মাশুল শিখাকে দিতেই হবে । । অপবিত্র হয়ে বেঁচে থাকার কোন অধিকার ওর নেই । । ও আমার মনটাকে খুন করে ফেলেছে। । আমিও মেরে ফেলবো ওকে । । না শুধু ওকে নয় ওর বেষ্টফ্রেন্ড শাওনকেও । । আগে ওকেতো মারি তারপর না হয় আমিও মরবো । ‌। কারন এত কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কোন । ইচ্ছেই নেই আমার। । আমি বাসা থেকে বের হয়ে এসেছি ১০ টা বাজে । । এখন প্রায় ১১ টা বেজে গেছে তার মানে । আমি ১ ঘন্টা ধরে এখানে বসে আছি । । না বসে থাকলে চলবে না । । আমি এখন ওদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেবো । । হ্যাঁ ওরা যেমনটা করেছে ঠিক তেমনই আমি ওদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেবো। । আমি বাসার সামনে আসতেই দেখি শাওন মাত্র বাসা থেকে বের হচ্ছে । । না আমি আর পারছিনা ও সাজা না পেয়ে চলে । যাবে এটা হতে পারে না । । আমি একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে গেলাম। । আর চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখতে লাগলাম কিছু পাই কিনা । । একটা লাঠি দেখতে পেলাম ,,,,, । ওদিকে শাওন বাসার গেটের কাছে পৌঁছে গেছে । । আমি লাঠিটা তুলে ওর পেছন থেকে । একটা বারি মারলাম ওর মাথা বরাবর। । শাওন অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল । । আমি শাওনকে নিয়ে গেলাম একটা বিশাল জঙ্গলে । । সেখানে গিয়ে দেখলাম এখনো শাওনের জ্ঞান ফিরেনি। । আমার জন্য ভালই হলো । । ওর জ্ঞান ফিরলে বাঁচার জন্য অনেক চেষ্টা করতে পারে । তাই ওকে একটা দরি দিয়ে হাত পা বেঁধে দিলাম । । এবার একটা গাছের ডাল ভেঙে ওর মাথায় । কয়েকটা বাড়ি দিলাম গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে । শাওন ছটফট করতে লাগলো। । কিন্তু কিছু বলতে পারছে না আর ছুটতেও পারছেনা । । আমি আরো কয়েকটা বাড়ি দিয়ে ওর মুন্ডুটা গুড়িয়ে দিয়েছি । । ওর নিথর দেহটা মাটিতে পড়ে আছে । । আমি ওখান থেকে চলে আসলাম । । কারন আমি চাই ওর লাশটা শেয়াল কুকুর রা খাক তাই । মাটিচাপাও দেইনি । । আমার সমস্ত শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছে । । এবার শিখার পালা । । শিখাকেও মরতে হবে । আজ আমার মাথায় রক্ত চড়ে গেছে । । সেই ছোট্ট বেলা থেকে কষ্ট পেতে পেতে এতখানি বড় হয়েছি । । এখনও আমাকে কষ্ট দিতে মন চায় তাইনা । । আমার ভালবাসাকে অপমান করার শাস্তি পেতে হবে তোমার । । আমিতো কষ্টে কষ্টে মরে যাব কিন্তু । তোর মত বিশ্বাসঘাতককেও বাঁচতে দেবো না । । মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি রাত সাড়ে বারোটা বেজে গেছে । আমি মোবাইলের টর্চ জ্বেলে বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছি। । শাওন কে খুন করে মাত্র বাসায় ফিরলাম। । আমার স্ত্রীকে খুন করবো বলে ,,,,,, । আমার যত কষ্ট হোক ওকে আমার মারতেই হবে । তাই আমার রুমের দিকে গেলাম । । এবার দরজাটা খোলাই ছিল তাই ভেতরে গেলাম । । কিন্তু রুমে গিয়ে যা দেখলাম । তার জন্য আমি একটুও প্রস্তুত ছিলাম না । দেখি শিখা,,,,,,,,,,,,,,,, . . গল্পঃ অবদান__ পর্বঃ ০১ অধোরা #highlightseveryone #highlightseveryonefollowers2025highlightseveryonefollowers2025 #highlights2025 #highlight
    Love
    1
    0 মন্তব্য 0 Shares 151 দেখেছে 0 রিভিউ
  • জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বিয়ে প্রতি রাতের ৩০ মিনিটের জন্য না। বাকি ২৩ ঘন্টা ৩০ মিনিটের কথাটাও মাথায় রাখা উচিত। নয়তো জীবনটা তছনছ হয়ে যাবে।

    বিয়ে কেন করে সেটা না জেনেই অনেকে বিয়ে করছে। কেউ বিয়ে করছে নিজের বিলাসী শখ পূরণ করতে। কেউ বিয়ে করছে সামাজিক স্ট্যাটাস তৈরি করতে। কেউ বিয়ে করছে আবেগে। কেউ বিয়ে করছে খুশিতে। কেউ বিয়ে করছে ঠ্যালায় পড়ে। কেউ বিয়ে করছে ট্রেন্ডি হতে।

    নিজেকে মূল্যায়ন না করে যার-তার সাথে ঘর বাঁধার মাশুল চড়া মূল্যে দিতে হয় এক সময়।

    বিয়ে একটা প্রয়োজনীয়তা। প্রথম প্রয়োজন বৈধ উপায়ে যৌ*ন চাহিদা পূরণ করা। এরপর একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু পাওয়া। একজন সোল মেট পাওয়া।

    মানসিকতা না মিললে, চিন্তা-চেতনার মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকলে, জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এক না হলে গলার কাঁটা নিয়ে সারাটা জীবন পার করতে হয়। যারা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন, তারা একসময় বিচ্ছেদের মতো জীবন অচল করে দেওয়া সিদ্ধান্তের পথে পা বাড়ান।

    কেউ কারো মতো হুবুহু হতে পারবে না। এ কথা যেমন সত্য। আবার একে অপরের হৃদয়টা বুঝতে না পারলে দুজনের মধ্যে দূরত্ব যে সৃষ্টি হবে, সেটাও কিন্তু সত্য। তাই মাথার ওপরের পাখাটা ধীরে চলবে নাকি দ্রুত গতিতে, রাতের খাবার কি দেরি করে খাবে নাকি আগেভাগে, খাবারের ঝাল কিংবা লবন কমবেশি করার ব্যাপারে একে অপরকে স্যাক্রিফাইস করতেই পারে। তবে তার মানে এই নয় যে দুজন মানুষ আলাদা দুই জগতের বাসিন্দা। দুজনের মৌলিক চাওয়া-পাওয়া একেবারেই ভিন্ন হবে।

    চোখের ভালো লাগার একটা বিষয়ও কিন্তু আছে। এটা মৌলিক চাহিদা। সঙ্গীকে যদি ভালো নাই লাগে, তখন বিয়েটা অর্থহীন হয়ে যায়। কাঁধের ওপর স্রেফ 'বিবাহিত' তকমাটাই থাকে; সঙ্গীর হাতটা পাওয়া যায় না।

    অথচ কান্না করার জন্য সঙ্গীর কাঁধে মাথা রাখাটা প্রাপ্য অধিকার। বুকের মধ্যে জড়িয়ে নিয়ে সকল দুঃখগুলো এক নিমিষেই পানি করে ফেলার জন্য কোনো অনুমতি বা পরিবেশের জন্য অপেক্ষা করতে যেন না হয়, সেটার নিশ্চয়তা থাকতে হয়। একে অপরকে ঠিক সেভাবেই বুঝবে, যেমনটা তারা নিজেকে বুঝে।

    বিয়ের আগে কারো মনের ভেতরে গিয়ে তো আর এসব যাচাই করা যায় না। তাহলে উপায় কি? সংসার জীবন তো তাহলে আর হবে না।

    না, ব্যাপারটা সেরকম না।

    ভালোবাসা মানে শুধু পাওয়া না। ভালোবাসলে ত্যাগও করতে হয়। নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসার উদাহরণ হলো, জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর সন্তুষ্টির জন্য নিজের পছন্দকে বিসর্জন দেওয়া। তবে তার মানে এই নয় যে, অন্যায়, ভুল ও অযৌক্তিক আবদারগুলোকেও প্রশ্রয় দিতে হবে।

    দু'জনের চাওয়া-পাওয়ার মাঝে ভারসাম্যপূর্ণ সমন্বয় করে নিতে হবে। আলোচনায় বসে এসব নিয়ে চুক্তি করবে? উঁহু। তা না। যা হবে নিঃশব্দে। দুজনের ভেতরে আরো দুটো সত্তা আছে। কথা হবে ওই দুটো সত্তার মাঝে। এর নাম নীরব ভালোবাসা। তারা সংসার করছে। দৈনন্দিন জীবনে আট/দশটা দম্পতি যা করে তারাও তাই করছে। তবে দুজনের ভেতরেই নীরব প্রচেষ্টা চলছে–কীভাবে সঙ্গী/সঙ্গিনীকে সুখি, সন্তুষ্ট রাখা যায়। সে কি ভালোবাসে, তার পছন্দ-অপছন্দ, সঙ্গী/সঙ্গীনির কাছে তার চাওয়াটা কি ইত্যাদি।

    ভালোবাসা দেওয়ার অনেকগুলো ধরণ। কিছু ধরণের ভালোবাসা চেয়ে নিতেই মজা। 'সে শুধুই আমার'-এর অধিকার খাটানোর একটা তৃপ্তি কাজ করে। আবার কিছু ধরণের ভালোবাসা চেয়ে নেওয়ার মধ্যে তৃপ্তি নেই। মনে চায় সে নিজে থেকে আমার চাওয়াটা বুঝে নিক।

    দু'জনের বোঝাপড়াটা এমন হবে যে–কোনটা রাগ আর কোনটা অভিমান, কোনটা মন খারাপ আর কোনটা মনের কষ্ট; মুখে না বললেও অপরজন বুঝে নেবে।

    এটা দীর্ঘ সময় নিয়ে ধীরে ধীরে আয়ত্ত করতে হয়। ভালোবাসার সংসার চর্চা করার বিষয়। এটা কোনো প্রতিযোগিতা না। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতিযোগী না; বরং দুই দেহ এক হৃদয়।
    সংগৃহিত
    #highlight #highlightseveryonefollowers2025highlightseveryonefollowers2025 Martand Singha #everyonehighlightsfollowerseveryonehighlightsfollowerseveryone #everyonefollowers #love #ভাইরাল #photochallenge
    জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বিয়ে প্রতি রাতের ৩০ মিনিটের জন্য না। বাকি ২৩ ঘন্টা ৩০ মিনিটের কথাটাও মাথায় রাখা উচিত। নয়তো জীবনটা তছনছ হয়ে যাবে। বিয়ে কেন করে সেটা না জেনেই অনেকে বিয়ে করছে। কেউ বিয়ে করছে নিজের বিলাসী শখ পূরণ করতে। কেউ বিয়ে করছে সামাজিক স্ট্যাটাস তৈরি করতে। কেউ বিয়ে করছে আবেগে। কেউ বিয়ে করছে খুশিতে। কেউ বিয়ে করছে ঠ্যালায় পড়ে। কেউ বিয়ে করছে ট্রেন্ডি হতে। নিজেকে মূল্যায়ন না করে যার-তার সাথে ঘর বাঁধার মাশুল চড়া মূল্যে দিতে হয় এক সময়। বিয়ে একটা প্রয়োজনীয়তা। প্রথম প্রয়োজন বৈধ উপায়ে যৌ*ন চাহিদা পূরণ করা। এরপর একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু পাওয়া। একজন সোল মেট পাওয়া। মানসিকতা না মিললে, চিন্তা-চেতনার মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকলে, জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এক না হলে গলার কাঁটা নিয়ে সারাটা জীবন পার করতে হয়। যারা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন, তারা একসময় বিচ্ছেদের মতো জীবন অচল করে দেওয়া সিদ্ধান্তের পথে পা বাড়ান। কেউ কারো মতো হুবুহু হতে পারবে না। এ কথা যেমন সত্য। আবার একে অপরের হৃদয়টা বুঝতে না পারলে দুজনের মধ্যে দূরত্ব যে সৃষ্টি হবে, সেটাও কিন্তু সত্য। তাই মাথার ওপরের পাখাটা ধীরে চলবে নাকি দ্রুত গতিতে, রাতের খাবার কি দেরি করে খাবে নাকি আগেভাগে, খাবারের ঝাল কিংবা লবন কমবেশি করার ব্যাপারে একে অপরকে স্যাক্রিফাইস করতেই পারে। তবে তার মানে এই নয় যে দুজন মানুষ আলাদা দুই জগতের বাসিন্দা। দুজনের মৌলিক চাওয়া-পাওয়া একেবারেই ভিন্ন হবে। চোখের ভালো লাগার একটা বিষয়ও কিন্তু আছে। এটা মৌলিক চাহিদা। সঙ্গীকে যদি ভালো নাই লাগে, তখন বিয়েটা অর্থহীন হয়ে যায়। কাঁধের ওপর স্রেফ 'বিবাহিত' তকমাটাই থাকে; সঙ্গীর হাতটা পাওয়া যায় না। অথচ কান্না করার জন্য সঙ্গীর কাঁধে মাথা রাখাটা প্রাপ্য অধিকার। বুকের মধ্যে জড়িয়ে নিয়ে সকল দুঃখগুলো এক নিমিষেই পানি করে ফেলার জন্য কোনো অনুমতি বা পরিবেশের জন্য অপেক্ষা করতে যেন না হয়, সেটার নিশ্চয়তা থাকতে হয়। একে অপরকে ঠিক সেভাবেই বুঝবে, যেমনটা তারা নিজেকে বুঝে। বিয়ের আগে কারো মনের ভেতরে গিয়ে তো আর এসব যাচাই করা যায় না। তাহলে উপায় কি? সংসার জীবন তো তাহলে আর হবে না। না, ব্যাপারটা সেরকম না। ভালোবাসা মানে শুধু পাওয়া না। ভালোবাসলে ত্যাগও করতে হয়। নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসার উদাহরণ হলো, জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর সন্তুষ্টির জন্য নিজের পছন্দকে বিসর্জন দেওয়া। তবে তার মানে এই নয় যে, অন্যায়, ভুল ও অযৌক্তিক আবদারগুলোকেও প্রশ্রয় দিতে হবে। দু'জনের চাওয়া-পাওয়ার মাঝে ভারসাম্যপূর্ণ সমন্বয় করে নিতে হবে। আলোচনায় বসে এসব নিয়ে চুক্তি করবে? উঁহু। তা না। যা হবে নিঃশব্দে। দুজনের ভেতরে আরো দুটো সত্তা আছে। কথা হবে ওই দুটো সত্তার মাঝে। এর নাম নীরব ভালোবাসা। তারা সংসার করছে। দৈনন্দিন জীবনে আট/দশটা দম্পতি যা করে তারাও তাই করছে। তবে দুজনের ভেতরেই নীরব প্রচেষ্টা চলছে–কীভাবে সঙ্গী/সঙ্গিনীকে সুখি, সন্তুষ্ট রাখা যায়। সে কি ভালোবাসে, তার পছন্দ-অপছন্দ, সঙ্গী/সঙ্গীনির কাছে তার চাওয়াটা কি ইত্যাদি। ভালোবাসা দেওয়ার অনেকগুলো ধরণ। কিছু ধরণের ভালোবাসা চেয়ে নিতেই মজা। 'সে শুধুই আমার'-এর অধিকার খাটানোর একটা তৃপ্তি কাজ করে। আবার কিছু ধরণের ভালোবাসা চেয়ে নেওয়ার মধ্যে তৃপ্তি নেই। মনে চায় সে নিজে থেকে আমার চাওয়াটা বুঝে নিক। দু'জনের বোঝাপড়াটা এমন হবে যে–কোনটা রাগ আর কোনটা অভিমান, কোনটা মন খারাপ আর কোনটা মনের কষ্ট; মুখে না বললেও অপরজন বুঝে নেবে। এটা দীর্ঘ সময় নিয়ে ধীরে ধীরে আয়ত্ত করতে হয়। ভালোবাসার সংসার চর্চা করার বিষয়। এটা কোনো প্রতিযোগিতা না। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতিযোগী না; বরং দুই দেহ এক হৃদয়। সংগৃহিত #highlight #highlightseveryonefollowers2025highlightseveryonefollowers2025 Martand Singha #everyonehighlightsfollowerseveryonehighlightsfollowerseveryone #everyonefollowers #love #ভাইরাল #photochallenge
    Like
    Love
    2
    0 মন্তব্য 0 Shares 277 দেখেছে 0 রিভিউ
  • Inter milan 4- 3 Barcelona (7-6)
    Full highlights



    #barcelona #InterMilan #barcavsmilan #UCLsemiFinals #barca
    #InterMilan #InterVsBarca #intervsbarcahighligts #raphinhabarcelona #futbol #barcavsmadridhighlights #LautaroMartinez #argentina

    #ViscaBarca #HalaMadrid #barcavsmadrid #CopaDelReyFinal #barcelona #barca #realmadrid #pedrigoal #Mbappe #madrid #BarcaVsRealMadrid #barcavsmadridhighlights #highlightseveryonefollowers2025 #footballhighlights #fotball #barcafans #Barcelona #UCLsemiFinals #FCBarcelona #futbol #football
    Inter milan 4- 3 Barcelona (7-6) Full highlights #barcelona #InterMilan #barcavsmilan #UCLsemiFinals #barca #InterMilan #InterVsBarca #intervsbarcahighligts #raphinhabarcelona #futbol #barcavsmadridhighlights #LautaroMartinez #argentina #ViscaBarca #HalaMadrid #barcavsmadrid #CopaDelReyFinal #barcelona #barca #realmadrid #pedrigoal #Mbappe #madrid #BarcaVsRealMadrid #barcavsmadridhighlights #highlightseveryonefollowers2025 #footballhighlights #fotball #barcafans #Barcelona #UCLsemiFinals #FCBarcelona #futbol #football
    Love
    Like
    Haha
    11
    0 মন্তব্য 0 Shares 690 দেখেছে 0 রিভিউ
  • তাকিয়ে থাকার মাঝে যে নিরব প্রেম লুকিয়ে থাকে, তা শব্দে বলা যায় না!'🖤🌸 Mostafijar Rahmant@topfanshighlightseveryonefollowers2025
    তাকিয়ে থাকার মাঝে যে নিরব প্রেম লুকিয়ে থাকে, তা শব্দে বলা যায় না!'🖤🌸 Mostafijar Rahmant@topfanshighlightseveryonefollowers2025
    Love
    Like
    5
    0 মন্তব্য 0 Shares 148 দেখেছে 0 রিভিউ
Jono Sathi - Bangladeshi Social Media Platform https://jonosathi.com