• ইসলামপন্থীদের ঐক্য ও দায়িত্বশীল ভূমিকা সময়ের দাবি : মামুনুল হক

    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, ‌‘রাজনীতিতে মতভিন্নতা থাকবে, কিন্তু তা যেন সংঘাতে রূপ না নেয়। ইসলামী দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি ও সংঘর্ষ দেশের স্বাধীনতা, ঈমানি পরিচয় ও মানুষের ভোটাধিকারের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। বাংলাদেশে আবারও যেন কোনো একদলীয় দুঃশাসনের ছায়া ঘনিয়ে না আসে —এই জন্য ইসলামপন্থীদের ঐক্য এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা সময়ের দাবি।’

    গতকাল বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদ পুনর্মিলনী ও সংবর্ধনা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস রিয়াদ মহানগর শাখার উদ্যোগে স্থানীয় এক কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এই ঈদ পুনর্মিলনী ও সংবর্ধনা সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রিয়াদ মহানগর শাখার সভাপতি ও দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা হুসাইন হাবীবুর রহমান। পরিচালনা করেন রিয়াদ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ হাদী, ঢাকা জেলা উত্তরের সহসভাপতি মাওলানা নূর মোহাম্মদ এবং সৌদি আরবে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল।

    পবিত্র হজ পালনের অংশ হিসেবে মক্কা ও মদিনা সফরকালে এই সমাবেশে অংশ নেন নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ সমমনা ইসলামী দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি প্রবাসীদের মাঝে এক অনন্য ঐক্যের চিত্র ফুটিয়ে তোলে।

    মামুনুল হক বলেন, রিয়াদে আজকের এই সমাবেশ যেন প্রবাসে এক খণ্ড বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে। এই মিলনমেলা আমাদের প্রমাণ করে দেয়, বাংলাদেশি মুসলমানরা চেতনাগতভাবে এখনও ঐক্যবদ্ধ। ইসলামী শক্তির মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহনশীলতা ও সহযোগিতার পরিবেশ বজায় থাকলে ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রাম সফল হবে, ইনশাআল্লাহ।

    আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্ব মুসলিম আজ ফিলিস্তিন থেকে কাশ্মীর, আরাকান থেকে চাদ-নাইজার পর্যন্ত নির্যাতিত ও পরাধীন। অথচ মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ঐক্যবদ্ধ নয়। বাংলাদেশ যেন অন্তত এই বিভাজনের অংশ না হয়। আমাদের পররাষ্ট্রনীতিকে হতে হবে সাহসী, ন্যায়ের পক্ষে—যেখানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা, মসজিদে আকসার মুক্তি ও ইসলামি উম্মাহর স্বার্থ অগ্রাধিকার পায়।

    মাওলানা মামুনুল হক আরও বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস দেশীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক ইসলামি মূল্যবোধভিত্তিক পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর। আমরা দেশে বৃহত্তর ইসলামপন্থীদের ঐক্য চাই, চাই শান্তিপূর্ণ, পরমতসহিষ্ণু এবং ইসলামী আদর্শসম্মত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।

    তিনি বলেন, এই রিয়াদ সমাবেশের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে নতুন প্রেরণা জেগে উঠেছে। ইনশাআল্লাহ, আগামী দিনে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রবাস কেন্দ্রিক শহরগুলোতেও সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামো আরো শক্তিশালী ও গতিশীল করা হবে।

    যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বলেন, প্রবাসীদের হৃদয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জন্য ভালোবাসা, আস্থা ও দায়িত্ববোধ ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির জন্য আশার আলো হয়ে উঠবে—এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

    উল্লেখ্য, এর আগে ১০ জুন মক্কা মুকাররমায় হেফাজতে ইসলাম এবং ১১ জুন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মক্কা মহানগরীর উদ্যোগেও ঈদ পুনর্মিলনী আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। মাওলানা মামুনুল হক এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    ইসলামপন্থীদের ঐক্য ও দায়িত্বশীল ভূমিকা সময়ের দাবি : মামুনুল হক বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, ‌‘রাজনীতিতে মতভিন্নতা থাকবে, কিন্তু তা যেন সংঘাতে রূপ না নেয়। ইসলামী দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি ও সংঘর্ষ দেশের স্বাধীনতা, ঈমানি পরিচয় ও মানুষের ভোটাধিকারের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। বাংলাদেশে আবারও যেন কোনো একদলীয় দুঃশাসনের ছায়া ঘনিয়ে না আসে —এই জন্য ইসলামপন্থীদের ঐক্য এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা সময়ের দাবি।’ গতকাল বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদ পুনর্মিলনী ও সংবর্ধনা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস রিয়াদ মহানগর শাখার উদ্যোগে স্থানীয় এক কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এই ঈদ পুনর্মিলনী ও সংবর্ধনা সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রিয়াদ মহানগর শাখার সভাপতি ও দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা হুসাইন হাবীবুর রহমান। পরিচালনা করেন রিয়াদ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ হাদী, ঢাকা জেলা উত্তরের সহসভাপতি মাওলানা নূর মোহাম্মদ এবং সৌদি আরবে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল। পবিত্র হজ পালনের অংশ হিসেবে মক্কা ও মদিনা সফরকালে এই সমাবেশে অংশ নেন নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ সমমনা ইসলামী দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি প্রবাসীদের মাঝে এক অনন্য ঐক্যের চিত্র ফুটিয়ে তোলে। মামুনুল হক বলেন, রিয়াদে আজকের এই সমাবেশ যেন প্রবাসে এক খণ্ড বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে। এই মিলনমেলা আমাদের প্রমাণ করে দেয়, বাংলাদেশি মুসলমানরা চেতনাগতভাবে এখনও ঐক্যবদ্ধ। ইসলামী শক্তির মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহনশীলতা ও সহযোগিতার পরিবেশ বজায় থাকলে ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রাম সফল হবে, ইনশাআল্লাহ। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্ব মুসলিম আজ ফিলিস্তিন থেকে কাশ্মীর, আরাকান থেকে চাদ-নাইজার পর্যন্ত নির্যাতিত ও পরাধীন। অথচ মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ঐক্যবদ্ধ নয়। বাংলাদেশ যেন অন্তত এই বিভাজনের অংশ না হয়। আমাদের পররাষ্ট্রনীতিকে হতে হবে সাহসী, ন্যায়ের পক্ষে—যেখানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা, মসজিদে আকসার মুক্তি ও ইসলামি উম্মাহর স্বার্থ অগ্রাধিকার পায়। মাওলানা মামুনুল হক আরও বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস দেশীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক ইসলামি মূল্যবোধভিত্তিক পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর। আমরা দেশে বৃহত্তর ইসলামপন্থীদের ঐক্য চাই, চাই শান্তিপূর্ণ, পরমতসহিষ্ণু এবং ইসলামী আদর্শসম্মত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। তিনি বলেন, এই রিয়াদ সমাবেশের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে নতুন প্রেরণা জেগে উঠেছে। ইনশাআল্লাহ, আগামী দিনে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রবাস কেন্দ্রিক শহরগুলোতেও সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামো আরো শক্তিশালী ও গতিশীল করা হবে। যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বলেন, প্রবাসীদের হৃদয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জন্য ভালোবাসা, আস্থা ও দায়িত্ববোধ ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির জন্য আশার আলো হয়ে উঠবে—এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। উল্লেখ্য, এর আগে ১০ জুন মক্কা মুকাররমায় হেফাজতে ইসলাম এবং ১১ জুন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মক্কা মহানগরীর উদ্যোগেও ঈদ পুনর্মিলনী আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। মাওলানা মামুনুল হক এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    Like
    JonoSathi React
    Love
    5
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান— ইসরায়েলকে ইরানের জবাবের পথ কী?
    ইরানে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে দেশটির শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৭০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ধ্বংস করেছে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি ও পারমাণবিক স্থাপনা। এমন হামলায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ইরান। এখন প্রশ্ন— পাল্টা জবাবে ইরানের হাতে কী আছে? তাদের সামরিক ভাণ্ডারে কী ধরনের অস্ত্র রয়েছে, যা দিয়ে ইসরায়েলকে জবাব দেওয়া সম্ভব? এ নিয়েই সিএনএনের একটি বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো—

    ইসরায়েলি আগ্রাসনের পাল্টা জবাব দিতে ইরানের হাতে যে সামরিক শক্তি আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হলো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান IISS-এর ‘মিলিটারি ব্যালান্স ২০২৫’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অ্যারোস্পেস ইউনিটের হাতে আছে ১০০টিরও বেশি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ১,০০০ কিলোমিটার বা তার চেয়েও বেশি দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম— অর্থাৎ ইসরায়েল এদের আওতার মধ্যেই।

    ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রভাণ্ডারে রয়েছে দুটি ধরনের প্রযুক্তি— সলিড ফুয়েল চালিত ক্ষেপণাস্ত্র ও লিকুইড ফুয়েল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। লিকুইড ফুয়েল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে সাধারণত বেশি বিস্ফোরক বহন করা যায় (প্রায় ১,২০০ কেজি), তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগে জ্বালানি ভরার জন্য। অপরদিকে, সলিড ফুয়েলের ক্ষেপণাস্ত্র দ্রুত ছোড়া যায়, যদিও এদের বিস্ফোরণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম (প্রায় ৫০০ কেজি)।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান থেকে ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মাত্র ১৫ মিনিটেই ইসরায়েলে পৌঁছাতে পারে।

    তবে ক্ষেপণাস্ত্রই একমাত্র অস্ত্র নয়। ইরানের হাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও, যেগুলো ইসরায়েল পর্যন্ত পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা সময় নিতে পারে। যদিও এদের বিস্ফোরক ক্ষমতা কম এবং ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে এগুলো সহজেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

    ২০২৪ সালের অক্টোবরেও ইরান প্রায় ২০০টি ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইসরায়েলের দিকে। তবে সেগুলোর অধিকাংশই আকাশেই ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের যৌথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ফলে ক্ষয়ক্ষতি ছিল সামান্য।

    ইরানের বিমানবাহিনীতে রয়েছে ২৬৫টি যুদ্ধবিমান। তবে এগুলোর বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত পুরনো যুদ্ধবিমান, যেগুলো স্নায়ু যুদ্ধের সময়ের। এসব বিমান দিয়ে ইসরায়েলে পৌঁছাতে হলে আকাশপথে জ্বালানি ভরার প্রয়োজন হয়। অথচ ইরানের হাতে এমন রিফুয়েলিং বিমানের সংখ্যা ৫-এরও কম।

    সব মিলিয়ে ইরানের জবাবদিহি সক্ষমতা যথেষ্ট থাকলেও প্রতিক্রিয়ার বাস্তব ফলাফল নির্ভর করছে সময়, কৌশল ও প্রতিপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর।
    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান— ইসরায়েলকে ইরানের জবাবের পথ কী? ইরানে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে দেশটির শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৭০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ধ্বংস করেছে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি ও পারমাণবিক স্থাপনা। এমন হামলায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ইরান। এখন প্রশ্ন— পাল্টা জবাবে ইরানের হাতে কী আছে? তাদের সামরিক ভাণ্ডারে কী ধরনের অস্ত্র রয়েছে, যা দিয়ে ইসরায়েলকে জবাব দেওয়া সম্ভব? এ নিয়েই সিএনএনের একটি বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো— ইসরায়েলি আগ্রাসনের পাল্টা জবাব দিতে ইরানের হাতে যে সামরিক শক্তি আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হলো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান IISS-এর ‘মিলিটারি ব্যালান্স ২০২৫’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অ্যারোস্পেস ইউনিটের হাতে আছে ১০০টিরও বেশি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ১,০০০ কিলোমিটার বা তার চেয়েও বেশি দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম— অর্থাৎ ইসরায়েল এদের আওতার মধ্যেই। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রভাণ্ডারে রয়েছে দুটি ধরনের প্রযুক্তি— সলিড ফুয়েল চালিত ক্ষেপণাস্ত্র ও লিকুইড ফুয়েল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। লিকুইড ফুয়েল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে সাধারণত বেশি বিস্ফোরক বহন করা যায় (প্রায় ১,২০০ কেজি), তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগে জ্বালানি ভরার জন্য। অপরদিকে, সলিড ফুয়েলের ক্ষেপণাস্ত্র দ্রুত ছোড়া যায়, যদিও এদের বিস্ফোরণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম (প্রায় ৫০০ কেজি)। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান থেকে ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মাত্র ১৫ মিনিটেই ইসরায়েলে পৌঁছাতে পারে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রই একমাত্র অস্ত্র নয়। ইরানের হাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও, যেগুলো ইসরায়েল পর্যন্ত পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা সময় নিতে পারে। যদিও এদের বিস্ফোরক ক্ষমতা কম এবং ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে এগুলো সহজেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। ২০২৪ সালের অক্টোবরেও ইরান প্রায় ২০০টি ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইসরায়েলের দিকে। তবে সেগুলোর অধিকাংশই আকাশেই ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের যৌথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ফলে ক্ষয়ক্ষতি ছিল সামান্য। ইরানের বিমানবাহিনীতে রয়েছে ২৬৫টি যুদ্ধবিমান। তবে এগুলোর বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত পুরনো যুদ্ধবিমান, যেগুলো স্নায়ু যুদ্ধের সময়ের। এসব বিমান দিয়ে ইসরায়েলে পৌঁছাতে হলে আকাশপথে জ্বালানি ভরার প্রয়োজন হয়। অথচ ইরানের হাতে এমন রিফুয়েলিং বিমানের সংখ্যা ৫-এরও কম। সব মিলিয়ে ইরানের জবাবদিহি সক্ষমতা যথেষ্ট থাকলেও প্রতিক্রিয়ার বাস্তব ফলাফল নির্ভর করছে সময়, কৌশল ও প্রতিপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    Like
    Love
    JonoSathi React
    3
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • জাতিসংঘকে দেওয়া চিঠিতে ইরান — ‘গভীর অনুতাপ করবে ইসরায়েল

    ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কঠোর ভাষা ব্যবহার করে চিঠি দিয়েছে ইরান। শুক্রবার ওই চিঠিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ‘ইসরায়েল তার বেপরোয়া আগ্রাসনের জন্য গভীর অনুশোচনায় পড়বে।’

    চিঠিতে আরাগচি জাতিসংঘকে অনতিবিলম্বে একটি জরুরি বৈঠক আহ্বানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইসরায়েলের এই নগ্ন ও বেআইনি হামলা আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের ঘোরতর লঙ্ঘন। সেই সঙ্গে তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানান, এই আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েলকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।

    আরাগচি আরও বলেন, ইসরায়েল এখন বিশ্বের সবচেয়ে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তারা সব সীমা অতিক্রম করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তবে এসব অপরাধের পুনরাবৃত্তি হবেই।

    তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরান আইনসম্মত ও উপযুক্ত মাত্রায় এর জবাব দেবে। আমাদের সার্বভৌমত্ব, জনগণ ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় কোনো আপস করা হবে না।

    এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক স্টেট ডিপার্টমেন্ট উপদেষ্টা ভালি নাসর সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ইরানের আর পিছু হটার উপায় নেই। এই হামলার প্রতিশোধ নিতেই হবে। নইলে আন্তর্জাতিক মহলে তাদের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

    তিনি আরও বলেন, এটা যদি ইরানকে আলোচনার টেবিলে আনতে ব্যবহৃত কোনো কৌশল হয়ে থাকে, তাহলে তা ব্যর্থ হবে। এখন আর কথায় নয়, অস্ত্র দিয়েই হবে প্রতিক্রিয়া।

    ওমানে আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু আলোচনা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এবার আগুন নেভানোর চেয়ে আগুন আরও জ্বলবে বলেই আশঙ্কা।
    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    জাতিসংঘকে দেওয়া চিঠিতে ইরান — ‘গভীর অনুতাপ করবে ইসরায়েল ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কঠোর ভাষা ব্যবহার করে চিঠি দিয়েছে ইরান। শুক্রবার ওই চিঠিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ‘ইসরায়েল তার বেপরোয়া আগ্রাসনের জন্য গভীর অনুশোচনায় পড়বে।’ চিঠিতে আরাগচি জাতিসংঘকে অনতিবিলম্বে একটি জরুরি বৈঠক আহ্বানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইসরায়েলের এই নগ্ন ও বেআইনি হামলা আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের ঘোরতর লঙ্ঘন। সেই সঙ্গে তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানান, এই আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েলকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। আরাগচি আরও বলেন, ইসরায়েল এখন বিশ্বের সবচেয়ে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তারা সব সীমা অতিক্রম করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তবে এসব অপরাধের পুনরাবৃত্তি হবেই। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরান আইনসম্মত ও উপযুক্ত মাত্রায় এর জবাব দেবে। আমাদের সার্বভৌমত্ব, জনগণ ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় কোনো আপস করা হবে না। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক স্টেট ডিপার্টমেন্ট উপদেষ্টা ভালি নাসর সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ইরানের আর পিছু হটার উপায় নেই। এই হামলার প্রতিশোধ নিতেই হবে। নইলে আন্তর্জাতিক মহলে তাদের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি আরও বলেন, এটা যদি ইরানকে আলোচনার টেবিলে আনতে ব্যবহৃত কোনো কৌশল হয়ে থাকে, তাহলে তা ব্যর্থ হবে। এখন আর কথায় নয়, অস্ত্র দিয়েই হবে প্রতিক্রিয়া। ওমানে আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু আলোচনা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এবার আগুন নেভানোর চেয়ে আগুন আরও জ্বলবে বলেই আশঙ্কা। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    JonoSathi React
    Like
    3
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে: মির্জা ফখরুল

    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের মধ্য দিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১৩ জুন) বৈঠক নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার এ কথা বলেন তিনি।

    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে: মির্জা ফখরুল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের মধ্য দিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১৩ জুন) বৈঠক নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার এ কথা বলেন তিনি। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    Like
    Love
    JonoSathi React
    3
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব তারেক রহমানের

    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী রমজান মাসের আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার করা গেলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেই নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।

    Advertisement

    লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় এই বৈঠক শুরু হয় এবং বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিট (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত চলে।

    দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ।

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। ‌দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও মনে করেন ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়।
    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব তারেক রহমানের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী রমজান মাসের আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার করা গেলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেই নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। Advertisement লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় এই বৈঠক শুরু হয় এবং বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিট (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত চলে। দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। ‌দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও মনে করেন ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    Like
    JonoSathi React
    2
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
More Results
Jono Sathi – Bangladesh’s Ethical Social Network to Connect & Earn https://jonosathi.com