• বিদেশে শ্রমবাজার সম্প্রসারণসহ ৯ বিষয়ে সুপারিশের জন্য নতুন উপদেষ্টা কমিটি

    বিদেশে শ্রমবাজার সম্প্রসারণসহ ৯ বিষয়ে সুপারিশের জন্য ১১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল রোববার ‘বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। একই প্রজ্ঞাপনে ২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল জারি হওয়া প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে।

    প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে আহ্বায়ক করে গঠিত এ কমিটিতে ১১ জন উপদেষ্টা রয়েছেন। তাঁরা হলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আগের সরকারের একই কমিটি ছিল ১৩ সদস্যের
    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    বিদেশে শ্রমবাজার সম্প্রসারণসহ ৯ বিষয়ে সুপারিশের জন্য নতুন উপদেষ্টা কমিটি বিদেশে শ্রমবাজার সম্প্রসারণসহ ৯ বিষয়ে সুপারিশের জন্য ১১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল রোববার ‘বাংলাদেশিদের বিদেশে নিয়োগ–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। একই প্রজ্ঞাপনে ২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল জারি হওয়া প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে আহ্বায়ক করে গঠিত এ কমিটিতে ১১ জন উপদেষ্টা রয়েছেন। তাঁরা হলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আগের সরকারের একই কমিটি ছিল ১৩ সদস্যের #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    JonoSathi React
    Like
    6
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • বরগুনায় এত ডেঙ্গু রোগী কেন?
    এ বছর ডেঙ্গু সংক্রমণের হার বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলায় সর্বোচ্চ।

    শুক্রবার পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ওই জেলায় ৬৭ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত পহেলা জানুয়ারি থেকে শুক্রবার অবধি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর এক হাজার ৫৫২ এবং মৃতের সংখ্যা ছয় জন।

    বরগুনা সদর হাসপাতা‌লের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ রেজায়ানুর আলম বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা "সক্ষমতার বাইরে গিয়ে রোগীর চাপ সামলাতে প্রাণপণ চেষ্টা" করছেন।

    তিনি বলেন, হাসপাতালটিতে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বরাদ্দ বেডের সংখ্যা কেবল ৫০টি হলেও এই মুহূর্তে সেখানে মোট পাঁচ শতাশিক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।

    "এমার্জেন্সিতে অনেকেই আসছেন, ডেঙ্গু পজেটিভ পাচ্ছি। যে বাসায় একজন সদস্য ডেঙ্গুতে আক্রান্ত, ওই বাসায় প্রায় প্রত্যেক সদস্যরই ডেঙ্গু," বলেন তিনি।

    হাসপাতালে যারা আসছেন, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে 'বাড়ি পাঠানো হচ্ছে' জানিয়ে তিনি বলেন, "সক্ষমতা তো থাকতে হবে। হাসপাতালের কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নাই।"

    তাই, যারা তুলনামূলক একটু সুস্থ, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে না।

    "এরকম একটা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডেঙ্গুর এত প্রকোপ কল্পনাও করা যায় না," বলেন এই চিকিৎসক।

    তবে, জেলায় এত বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হিসেবে বরগুনায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

    "এ জেলার চারপাশে নদী। কিন্তু ফ্লোয়িং ওয়াটারে তো লার্ভা থাকে না। কিন্তু এখানে জলাবদ্ধতাও প্রচুর। বাড়ির আঙ্গিনা থেকে শুরু করে সব জায়গায় ময়লা আবর্জনা, পানি জমা থাকে," বলেন তিনি।

    তিনি বলছেন, "সময়মতো সঠিকভাবে মশার ওষুধ ছিটানো হলে এবং পৌর শহরটা যদি আরও পরিচ্ছন্ন থাকতো, তাহলে পরিস্থিতি এই পর্যায়ে যেত না।"
    Viral News Today #trending #virel #viral #love #jonosathi #posts challenges #romantic #foryou @followers
    বরগুনায় এত ডেঙ্গু রোগী কেন? এ বছর ডেঙ্গু সংক্রমণের হার বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলায় সর্বোচ্চ। শুক্রবার পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ওই জেলায় ৬৭ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত পহেলা জানুয়ারি থেকে শুক্রবার অবধি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর এক হাজার ৫৫২ এবং মৃতের সংখ্যা ছয় জন। বরগুনা সদর হাসপাতা‌লের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ রেজায়ানুর আলম বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা "সক্ষমতার বাইরে গিয়ে রোগীর চাপ সামলাতে প্রাণপণ চেষ্টা" করছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালটিতে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বরাদ্দ বেডের সংখ্যা কেবল ৫০টি হলেও এই মুহূর্তে সেখানে মোট পাঁচ শতাশিক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। "এমার্জেন্সিতে অনেকেই আসছেন, ডেঙ্গু পজেটিভ পাচ্ছি। যে বাসায় একজন সদস্য ডেঙ্গুতে আক্রান্ত, ওই বাসায় প্রায় প্রত্যেক সদস্যরই ডেঙ্গু," বলেন তিনি। হাসপাতালে যারা আসছেন, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে 'বাড়ি পাঠানো হচ্ছে' জানিয়ে তিনি বলেন, "সক্ষমতা তো থাকতে হবে। হাসপাতালের কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নাই।" তাই, যারা তুলনামূলক একটু সুস্থ, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে না। "এরকম একটা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডেঙ্গুর এত প্রকোপ কল্পনাও করা যায় না," বলেন এই চিকিৎসক। তবে, জেলায় এত বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হিসেবে বরগুনায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করেন তিনি। "এ জেলার চারপাশে নদী। কিন্তু ফ্লোয়িং ওয়াটারে তো লার্ভা থাকে না। কিন্তু এখানে জলাবদ্ধতাও প্রচুর। বাড়ির আঙ্গিনা থেকে শুরু করে সব জায়গায় ময়লা আবর্জনা, পানি জমা থাকে," বলেন তিনি। তিনি বলছেন, "সময়মতো সঠিকভাবে মশার ওষুধ ছিটানো হলে এবং পৌর শহরটা যদি আরও পরিচ্ছন্ন থাকতো, তাহলে পরিস্থিতি এই পর্যায়ে যেত না।" [viralnews] #trending #virel #viral #love #jonosathi #posts challenges #romantic #foryou @followers
    JonoSathi React
    Sad
    5
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • #অসহ্য_থেকে_অনিবার্য
    #পর্ব_১
    #লেখিকা_তাসনিম_তালুকদার_বুশরা

    [কপি করা নিষিদ্ধ 🚫]

    বাসর ঘরে এক কোণে গুটিশুটি হয়ে বসে আছে আলো,প্রতিটা মেয়েরি বিয়ে নিয়ে অনেক সখ থাকে সপ্ন থাকে আলোও ছিলো অনেক সপ্ন কিন্তু থাকলেই যে সব পূর্ণ হতে হবে তা কোথায় লেখা আছে..?

    কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, আলোর বিয়ে টা হলো ওর ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও, আর এখন বসে আছে তবুও ভয় পাচ্ছে, না জানি কি হয় লোকটা ওর সাথে কেমন আচরণ করে..?

    আচ্ছা ওকে মারবে না তো..!শুনেছে লোকটার অনেক রাগ কিন্তু দেখেনি আর দেখবেই বা কিভাবে একদিন কথা হয়েছিলো আর আজকে বিয়ে,কি হবে তাই ভাবতে ভাবতেই গলা শুকিয়ে যাচ্ছে আলোর,

    হঠাৎ দরজায় শব্দ হতেই ঐ দিকে তাকায় দেখে আবরার মানে ওর স্বামী ঘরে ঢুকছে, দেখে বুঝাচ্ছে ভিষন রেগে আছে,

    কোনো কথা না বলে, ডাইরেক্ট আলোর সামনে দাঁড়ালো, তারপর ওর বাহু টেলে দাঁড় করিয়ে গর্জে বললো, আমি না করেছিলাম না, বিয়ে টা তে না করতে, তাও কেন রাজি হলে...?

    আলো ভিষন ব্যাথা লাগলো বাহুতে চোখ মুখ কুঁচকে চুপ করে রইলো, ওর চুপ থাকা দেখে আবারের আরো রাগ হলো, আরো শক্ত করে ধরে বললো, কি হলো কথা কানে যায় না আমি কি বলছি....?

    আমি তোমাকে বলেছিলাম আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি আমার হৃদয় জোরে, আমার জীবনে অন্য কেউ আছে, তাকে আমি অনেক ভালোবাসি, কিন্তু তুমি রাজি হয়ে গেলো...?

    আলো যতো টা ব্যাথা পেলো বাহুতে তার থেকে বেশি ব্যাথা পেলো তার মনে,নারি তার স্বামীর অতীত কেই সহ্য করতে পারে না সেখানে বর্তমান কিভাবে সহ্য করবে আলো..? আদোও কি সম্ভব..?

    আবরার আবার বলতে শুরু করলো, কি বলবে দেখেছো বড়লোক বাড়ি অনেক টাকা আছে তাই আর লোভ সামলাতে পারো নি, আমারি ভুলো হয়েছে, তোমার মতো থার্ড ক্লাস মেয়ে কে বিশ্বাস করা, তোমার সাথে কথা বলা,

    আলো বললো, আমি কি করতাম আমার কোনো উপায় ছিলো না আমি চেষ্টা করেছিলাম তো..'

    আবরার তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে বলে, তাই বুঝি তা কিভাবে চেষ্টা করেছিলে..?যে তোমার পরিবার তোমার কথা শুনলো না, আমার মা অসুস্থ তাই আমি বাধ্য হয়ে বিয়ে টা করছি আর তুমি কেনো করলে...?

    তোমাদের মতো মেয়েদের চিনা আছে আমার, ছোটো লোক থার্ড ক্লাস ফ্যামিলির মেয়ে,অসহ্য বলেই ধাক্কা মেরে আলো কে ফেলে দিয়ে, ওয়াসরুমে চলে গেলো,

    আর আলো পড়ে যেয়ে টি–টেবিলের কোণার সাথে কপাল কেটে গেলো,সাথে সাথে রক্ত বের হলো, আলো হাত দিয়ে রক্ত ছুঁয়ে তারপর তাচ্ছিল্য হেসে বললো,

    কি অসাধারণ ব্যাপার ছোট থেকে সৎ মার লাঠি ঝাটা খেয়ে বড় হলাম,ভাবলাম বিয়ের পরে স্বামী ভালোবাসবে সব ভুলে যাবো,কিন্তু কি ভাগ্য আমার...!কথায় আছে না অভাগি যে দিকে যায় সমুদ্র শুকিয়ে যায়, আমি ঐ অভাগি....'বলেই লম্বা করে একটা শ্বাস নেয়,

    তারপর আস্তে আস্তে উঠে তারপর লাগিজ থেকে এক সেট সাদা রঙের ছেলোয়ার কামিজ বের করে, প্রায় বিশ মিনিট পর আবরার বের হয় মুখে বিরক্তির ছাপ যেনো সামনে কোনো দুর্গন্ধ আছে,

    আলো নিচের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ ওয়াসরুমে চলে গেলো, আবরার রাগে টাওয়ার টা সোফায় ছুরে মেরে ব্যালকনিতে চলে গেলো, তারপর পকেট থেকে সিগারেট বের করে খেতে লাগলো..'

    আলো ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে দেখে, আবরার ঘরে নেই,সোফায় টাওয়ার টা পড়ে আছে বুঝতে পারে আবরার ব্যালকনি তে, আলো টাওয়ার টা হাতে নিয়ে ব্যালকনি দিকে যেতে নেয়, তখন আবরার কল বেজে উঠে..'

    আলো আর এগোলো না চুপচাপ দাঁড়ালো, আবরার ফোনটা বের করে দেখে নিশাদ ফোন করেছে, আবরার ফোন টা ধরে, নিশাদ কান্না করতে করতে বলে,আবরার তুমি শুধু আমার কিভাবে তুমি বিয়ে করতে পারলে..? তুমি না বললে, তুমি আমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে না তাহলে এটা কি....?

    আবরার বলে, নিশু (আবরার নিশাদ কে নিশু বলে ডাকে)তুমি কষ্ট কেনো পাচ্ছে, এটা জাস্ট একটা বিয়ে, কিন্তু আমার জীবনে শুধু তুমি আছো কেউ তোমার জায়গা নিতে পারবে না, দেখো তোমার আবরার শুধু তোমারি থাকবে,

    নিশাদ বলে সত্যি তো,আবরার বলে,একদম সত্যি কথা এতে কোনো ভেজাল নেই, নিশাদ বলে আচ্ছা ঠিক আছে, তুমি ঐ মেয়ের দিকে ভুলেও তাকাবে না, আর তাড়তাড়ি ডিভোর্সের ব্যবস্থা করো, আবরার বলে আচ্ছা, এখন রাখছি আর ঘুমিয়ে পড়ো এক দম এসব নিয়ে ভাববে না এই আবরার

    শুধু তোমারি, নিশাদ হাসি দিয়ে বলে আছে তাহলে রাখছি,নিশাদ বলে লাভ ইউ বেবি, আবরার বলে লাই ইউ ঢু জান, তারপর ফোন কেটে দেয়।

    পিছন থেকে সব কথা শুনে আলো, চোখ দিয়ে আপনা আপনি অশ্রু টপটপ করে গাল বেয়ে পড়তে থাকে, আলো বলে, আমার সঙ্গী এক মাত্র এই চোখের পানি, আর কেউ না কেউ কখনো আমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোই বাসলো না,

    তারপর আর ব্যালকনিতে গেলো না,ঘরে এসে টাওয়ার টা আগের জায়াগায় রেখে বাতি অফ করে শুয়ে পড়লো...'

    আবরার রুমে এসে দেখলো, আলো শুয়ে পড়ছে, আবরার বালিস টা নিয়ে সোফায় শুনে পড়লো, কালকে তাড়াতাড়ি যেতে হবে,এই বিয়ের জামেলায় দুইদিন ছুটি নিছিলো, আবরার পেশায় একজন পাইলট, যদিও বাবার বিজনেস আছে বার বার বিজনেসে যোগ দিতে বলেছে কিন্তু ওর সপ্ন ছিলো পাইলট হওয়ার তাই হয়ছে,

    যদিও বাবার বিজনেসে মাঝে মাঝে হেল্প করে বাট একদম পুরোপুরি বিজনেসে নেই,

    ওর কথা হলো যেটা করে মানসিক শান্তি পাওয়া যাবে তাই করবে,

    আবরার ক্লান্ত ছিলো, তাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গেলো, কিন্তু ঘুম নেই আলোর চোখে কিভাবে ঘুমাবে..?স্বামী যদি অন্য কোনো নারির প্রেমে আসক্ত থাকে তাহলে কি আর ঘুম আসে..?

    বুঝতে পারলো, আবরার ঘুমিয়ে গেছে, আলো ধীরে ধীরে উঠে বসলো,ব্যালকনির হালকা আলো তে আবরার মুখ টা দেখা যাচ্ছে, ফর্সা মুখটা জ্বল জ্বল করছে, যেনো অন্ধকারে একটুকরো হিরে,

    আলো চোখ নামিয়ে নিলো, তারপর বিরবির করে বললো আলো এটা তোর না, এই মানুষ টা অন্য কাউকে ভালোবসে তাই মন ঐ দিকে দেস না,

    তারপর ব্যালকনিতে চলে গেলো, চাঁদের দিকে তাকিয়ে দেখলো আজকে চাঁদটা একটু বেশি আলো দিচ্ছে, আলো বলতে লাগলো,জানো চাঁদ আজকের রাত টা নিয়ে অনেক সপ্ন দেখছিলাম আমি, অনেক কিছু করবো, নতুন করে পথ চলা শুরু করবো, তাহলে এরকম কেনো হলো...?

    আমি কি কারো ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য না..? বলতে বলতে চোখ দিয়ে নোনাজল বেরিয়ে পড়লো, আলো বললো, হ্যাঁ তুই তো আমার সঙ্গী রে, আর কেউ কখনো ভালোই বাসে নি...!"

    চলবে.....
    #অসহ্য_থেকে_অনিবার্য #পর্ব_১ #লেখিকা_তাসনিম_তালুকদার_বুশরা [কপি করা নিষিদ্ধ 🚫] বাসর ঘরে এক কোণে গুটিশুটি হয়ে বসে আছে আলো,প্রতিটা মেয়েরি বিয়ে নিয়ে অনেক সখ থাকে সপ্ন থাকে আলোও ছিলো অনেক সপ্ন কিন্তু থাকলেই যে সব পূর্ণ হতে হবে তা কোথায় লেখা আছে..? কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, আলোর বিয়ে টা হলো ওর ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও, আর এখন বসে আছে তবুও ভয় পাচ্ছে, না জানি কি হয় লোকটা ওর সাথে কেমন আচরণ করে..? আচ্ছা ওকে মারবে না তো..!শুনেছে লোকটার অনেক রাগ কিন্তু দেখেনি আর দেখবেই বা কিভাবে একদিন কথা হয়েছিলো আর আজকে বিয়ে,কি হবে তাই ভাবতে ভাবতেই গলা শুকিয়ে যাচ্ছে আলোর, হঠাৎ দরজায় শব্দ হতেই ঐ দিকে তাকায় দেখে আবরার মানে ওর স্বামী ঘরে ঢুকছে, দেখে বুঝাচ্ছে ভিষন রেগে আছে, কোনো কথা না বলে, ডাইরেক্ট আলোর সামনে দাঁড়ালো, তারপর ওর বাহু টেলে দাঁড় করিয়ে গর্জে বললো, আমি না করেছিলাম না, বিয়ে টা তে না করতে, তাও কেন রাজি হলে...? আলো ভিষন ব্যাথা লাগলো বাহুতে চোখ মুখ কুঁচকে চুপ করে রইলো, ওর চুপ থাকা দেখে আবারের আরো রাগ হলো, আরো শক্ত করে ধরে বললো, কি হলো কথা কানে যায় না আমি কি বলছি....? আমি তোমাকে বলেছিলাম আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি আমার হৃদয় জোরে, আমার জীবনে অন্য কেউ আছে, তাকে আমি অনেক ভালোবাসি, কিন্তু তুমি রাজি হয়ে গেলো...? আলো যতো টা ব্যাথা পেলো বাহুতে তার থেকে বেশি ব্যাথা পেলো তার মনে,নারি তার স্বামীর অতীত কেই সহ্য করতে পারে না সেখানে বর্তমান কিভাবে সহ্য করবে আলো..? আদোও কি সম্ভব..? আবরার আবার বলতে শুরু করলো, কি বলবে দেখেছো বড়লোক বাড়ি অনেক টাকা আছে তাই আর লোভ সামলাতে পারো নি, আমারি ভুলো হয়েছে, তোমার মতো থার্ড ক্লাস মেয়ে কে বিশ্বাস করা, তোমার সাথে কথা বলা, আলো বললো, আমি কি করতাম আমার কোনো উপায় ছিলো না আমি চেষ্টা করেছিলাম তো..' আবরার তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে বলে, তাই বুঝি তা কিভাবে চেষ্টা করেছিলে..?যে তোমার পরিবার তোমার কথা শুনলো না, আমার মা অসুস্থ তাই আমি বাধ্য হয়ে বিয়ে টা করছি আর তুমি কেনো করলে...? তোমাদের মতো মেয়েদের চিনা আছে আমার, ছোটো লোক থার্ড ক্লাস ফ্যামিলির মেয়ে,অসহ্য বলেই ধাক্কা মেরে আলো কে ফেলে দিয়ে, ওয়াসরুমে চলে গেলো, আর আলো পড়ে যেয়ে টি–টেবিলের কোণার সাথে কপাল কেটে গেলো,সাথে সাথে রক্ত বের হলো, আলো হাত দিয়ে রক্ত ছুঁয়ে তারপর তাচ্ছিল্য হেসে বললো, কি অসাধারণ ব্যাপার ছোট থেকে সৎ মার লাঠি ঝাটা খেয়ে বড় হলাম,ভাবলাম বিয়ের পরে স্বামী ভালোবাসবে সব ভুলে যাবো,কিন্তু কি ভাগ্য আমার...!কথায় আছে না অভাগি যে দিকে যায় সমুদ্র শুকিয়ে যায়, আমি ঐ অভাগি....'বলেই লম্বা করে একটা শ্বাস নেয়, তারপর আস্তে আস্তে উঠে তারপর লাগিজ থেকে এক সেট সাদা রঙের ছেলোয়ার কামিজ বের করে, প্রায় বিশ মিনিট পর আবরার বের হয় মুখে বিরক্তির ছাপ যেনো সামনে কোনো দুর্গন্ধ আছে, আলো নিচের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ ওয়াসরুমে চলে গেলো, আবরার রাগে টাওয়ার টা সোফায় ছুরে মেরে ব্যালকনিতে চলে গেলো, তারপর পকেট থেকে সিগারেট বের করে খেতে লাগলো..' আলো ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে দেখে, আবরার ঘরে নেই,সোফায় টাওয়ার টা পড়ে আছে বুঝতে পারে আবরার ব্যালকনি তে, আলো টাওয়ার টা হাতে নিয়ে ব্যালকনি দিকে যেতে নেয়, তখন আবরার কল বেজে উঠে..' আলো আর এগোলো না চুপচাপ দাঁড়ালো, আবরার ফোনটা বের করে দেখে নিশাদ ফোন করেছে, আবরার ফোন টা ধরে, নিশাদ কান্না করতে করতে বলে,আবরার তুমি শুধু আমার কিভাবে তুমি বিয়ে করতে পারলে..? তুমি না বললে, তুমি আমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে না তাহলে এটা কি....? আবরার বলে, নিশু (আবরার নিশাদ কে নিশু বলে ডাকে)তুমি কষ্ট কেনো পাচ্ছে, এটা জাস্ট একটা বিয়ে, কিন্তু আমার জীবনে শুধু তুমি আছো কেউ তোমার জায়গা নিতে পারবে না, দেখো তোমার আবরার শুধু তোমারি থাকবে, নিশাদ বলে সত্যি তো,আবরার বলে,একদম সত্যি কথা এতে কোনো ভেজাল নেই, নিশাদ বলে আচ্ছা ঠিক আছে, তুমি ঐ মেয়ের দিকে ভুলেও তাকাবে না, আর তাড়তাড়ি ডিভোর্সের ব্যবস্থা করো, আবরার বলে আচ্ছা, এখন রাখছি আর ঘুমিয়ে পড়ো এক দম এসব নিয়ে ভাববে না এই আবরার শুধু তোমারি, নিশাদ হাসি দিয়ে বলে আছে তাহলে রাখছি,নিশাদ বলে লাভ ইউ বেবি, আবরার বলে লাই ইউ ঢু জান, তারপর ফোন কেটে দেয়। পিছন থেকে সব কথা শুনে আলো, চোখ দিয়ে আপনা আপনি অশ্রু টপটপ করে গাল বেয়ে পড়তে থাকে, আলো বলে, আমার সঙ্গী এক মাত্র এই চোখের পানি, আর কেউ না কেউ কখনো আমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোই বাসলো না, তারপর আর ব্যালকনিতে গেলো না,ঘরে এসে টাওয়ার টা আগের জায়াগায় রেখে বাতি অফ করে শুয়ে পড়লো...' আবরার রুমে এসে দেখলো, আলো শুয়ে পড়ছে, আবরার বালিস টা নিয়ে সোফায় শুনে পড়লো, কালকে তাড়াতাড়ি যেতে হবে,এই বিয়ের জামেলায় দুইদিন ছুটি নিছিলো, আবরার পেশায় একজন পাইলট, যদিও বাবার বিজনেস আছে বার বার বিজনেসে যোগ দিতে বলেছে কিন্তু ওর সপ্ন ছিলো পাইলট হওয়ার তাই হয়ছে, যদিও বাবার বিজনেসে মাঝে মাঝে হেল্প করে বাট একদম পুরোপুরি বিজনেসে নেই, ওর কথা হলো যেটা করে মানসিক শান্তি পাওয়া যাবে তাই করবে, আবরার ক্লান্ত ছিলো, তাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গেলো, কিন্তু ঘুম নেই আলোর চোখে কিভাবে ঘুমাবে..?স্বামী যদি অন্য কোনো নারির প্রেমে আসক্ত থাকে তাহলে কি আর ঘুম আসে..? বুঝতে পারলো, আবরার ঘুমিয়ে গেছে, আলো ধীরে ধীরে উঠে বসলো,ব্যালকনির হালকা আলো তে আবরার মুখ টা দেখা যাচ্ছে, ফর্সা মুখটা জ্বল জ্বল করছে, যেনো অন্ধকারে একটুকরো হিরে, আলো চোখ নামিয়ে নিলো, তারপর বিরবির করে বললো আলো এটা তোর না, এই মানুষ টা অন্য কাউকে ভালোবসে তাই মন ঐ দিকে দেস না, তারপর ব্যালকনিতে চলে গেলো, চাঁদের দিকে তাকিয়ে দেখলো আজকে চাঁদটা একটু বেশি আলো দিচ্ছে, আলো বলতে লাগলো,জানো চাঁদ আজকের রাত টা নিয়ে অনেক সপ্ন দেখছিলাম আমি, অনেক কিছু করবো, নতুন করে পথ চলা শুরু করবো, তাহলে এরকম কেনো হলো...? আমি কি কারো ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য না..? বলতে বলতে চোখ দিয়ে নোনাজল বেরিয়ে পড়লো, আলো বললো, হ্যাঁ তুই তো আমার সঙ্গী রে, আর কেউ কখনো ভালোই বাসে নি...!" চলবে.....
    Like
    Love
    2
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
Jono Sathi – Connecting Bangladesh https://jonosathi.com