Upgrade to Pro

  • কে লিখেছেন জানি না , কিন্তু অসাধারণ
    ১. মা ৯ মাস বহন করে, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন, উভয়ই সমান , তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।
    ২. মা বিনা বেতনে সংসার চালায় ,বাবা তার সমস্ত বেতন সংসারের জন্য ব্যয় করেন , উভয়ের প্রচেষ্টাই সমান , তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন জানেন না ।
    ৩. মা আপনার যা ইচ্ছা তাই রান্না করে , বাবা আপনি যা চান তা কিনে দেন , তাদের উভয়ের ভালোবাসা সমান , তবে মায়ের ভালোবাসা উচ্চতর হিসেবে দেখানো হয়েছে । জানিনা কেন বাবা পিছিয়ে।
    ৪. ফোনে কথা বললে প্রথমে মায়ের সাথে কথা বলতে চান , কষ্ট পেলে মা বলে কাঁদেন । আপনার প্রয়োজন হলেই আপনি বাবাকে মনে রাখবেন , কিন্তু বাবা কি কখনো খারাপ লাগেনি যে আপনি তাকে অন্য সময় মনে রাখেন না ? ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে ভালোবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে , প্রজন্মের জন্য, বাবা কেন পিছিয়ে আছে জানি না।
    ৫. আলমারি মরে যাবে রঙিন শাড়ি আমার বাচ্চাদের অনেক জামা কাপড় দিয়ে কিন্তু বাবার জামা খুব কম , নিজের প্রয়োজনে তোয়াক্কা করেন না, তারপরও জানেন না কেন বাবা পিছিয়ে আছেন।
    ৬. মায়ের অনেক সোনার অলংকার আছে, কিন্তু বাবার একটাই আংটি আছে যেটা তার বিয়ের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবুও মা কম গহনা নিয়ে অভিযোগ করতে পারেন আর বাবা করেন না। তারপরও জানিনা বাবা কেন পিছিয়ে।
    ৭. বাবা সারা জীবন কঠোর পরিশ্রম করেন পরিবারের যত্ন নেওয়ার জন্য, কিন্তু স্বীকৃতি পাওয়ার কথা আসে , কেন জানি না সব সময় পিছিয়ে থাকেন।
    ৮. বাবা-মা যখন বুড়ো হয়ে যায় , তখন বাচ্চারা বলে , মা ঘরের কাজ দেখাশোনা করার জন্য অন্তত উপকারী , কিন্তু তারা বলে , বাবা অকেজো।
    ৯. বাবার পিছনের কারণ তিনি পরিবারের মেরুদন্ড । আর আমাদের মেরুদন্ডগুলো তো আমাদের শরীরে পিছনে । অথচ তার কারণেই আমরা নিজেদের মত করে দাঁড়াতে পারছি। সম্ভবত, এই কারণে তিনি পিছিয়ে আছেন ,,,,,,!!!!
    ****জানিনা কে লিখেছে, কুড়িয়ে পাওয়া ।
    সমস্ত বাবাদেরকে উৎসর্গ করছি*
    সালাম জানাই পৃথিবীর সকল বাবাদেরকে !
    কে লিখেছেন জানি না , কিন্তু অসাধারণ👐 ১. মা ৯ মাস বহন করে, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন, উভয়ই সমান , তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না। ২. মা বিনা বেতনে সংসার চালায় ,বাবা তার সমস্ত বেতন সংসারের জন্য ব্যয় করেন , উভয়ের প্রচেষ্টাই সমান , তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন জানেন না । ৩. মা আপনার যা ইচ্ছা তাই রান্না করে , বাবা আপনি যা চান তা কিনে দেন , তাদের উভয়ের ভালোবাসা সমান , তবে মায়ের ভালোবাসা উচ্চতর হিসেবে দেখানো হয়েছে । জানিনা কেন বাবা পিছিয়ে। ৪. ফোনে কথা বললে প্রথমে মায়ের সাথে কথা বলতে চান , কষ্ট পেলে মা বলে কাঁদেন । আপনার প্রয়োজন হলেই আপনি বাবাকে মনে রাখবেন , কিন্তু বাবা কি কখনো খারাপ লাগেনি যে আপনি তাকে অন্য সময় মনে রাখেন না ? ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে ভালোবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে , প্রজন্মের জন্য, বাবা কেন পিছিয়ে আছে জানি না। ৫. আলমারি মরে যাবে রঙিন শাড়ি আমার বাচ্চাদের অনেক জামা কাপড় দিয়ে কিন্তু বাবার জামা খুব কম , নিজের প্রয়োজনে তোয়াক্কা করেন না, তারপরও জানেন না কেন বাবা পিছিয়ে আছেন। ৬. মায়ের অনেক সোনার অলংকার আছে, কিন্তু বাবার একটাই আংটি আছে যেটা তার বিয়ের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবুও মা কম গহনা নিয়ে অভিযোগ করতে পারেন আর বাবা করেন না। তারপরও জানিনা বাবা কেন পিছিয়ে। ৭. বাবা সারা জীবন কঠোর পরিশ্রম করেন পরিবারের যত্ন নেওয়ার জন্য, কিন্তু স্বীকৃতি পাওয়ার কথা আসে , কেন জানি না সব সময় পিছিয়ে থাকেন। ৮. বাবা-মা যখন বুড়ো হয়ে যায় , তখন বাচ্চারা বলে , মা ঘরের কাজ দেখাশোনা করার জন্য অন্তত উপকারী , কিন্তু তারা বলে , বাবা অকেজো। ৯. বাবার পিছনের কারণ তিনি পরিবারের মেরুদন্ড । আর আমাদের মেরুদন্ডগুলো তো আমাদের শরীরে পিছনে । অথচ তার কারণেই আমরা নিজেদের মত করে দাঁড়াতে পারছি। সম্ভবত, এই কারণে তিনি পিছিয়ে আছেন ,,,,,,!!!! ****জানিনা কে লিখেছে, কুড়িয়ে পাওয়া । সমস্ত বাবাদেরকে উৎসর্গ করছি* সালাম জানাই পৃথিবীর সকল বাবাদেরকে !
    Like
    Love
    2
    ·103 Views ·0 Reviews
  • আপনার কোনটা পছন্দ
    আপনার কোনটা পছন্দ
    Like
    3
    ·128 Views ·0 Reviews
  • ইসলামের আলোয় আলোকিত হোক প্রতিটি হৃদয়
    "Sotter Pothe" – একটি ইসলামিক ইউটিউব চ্যানেল

    আপনি যদি হৃদয় ছোঁয়া ইসলামিক ভিডিও, দ্বীনি বার্তা এবং প্রেরণাদায়ক কনটেন্ট পছন্দ করেন, তাহলে একবার ঘুরে আসুন আমাদের চ্যানেলে।

    কী পাবেন এখানে?
    – মন ছুঁয়ে যাওয়া ইসলামিক শর্টস
    – সময়োপযোগী দ্বীনি আলোচনা
    – জীবনের পথে ইসলামের দিকনির্দেশনা

    চ্যানেল ভিজিট করুন:
    https://youtube.com/@SotterPothe1.0

    ইসলাম প্রচারে আমাদের সঙ্গে থাকুন –
    সাবস্ক্রাইব করুন, শেয়ার করুন, ছড়িয়ে দিন শান্তির বার্তা।
    🌙 ইসলামের আলোয় আলোকিত হোক প্রতিটি হৃদয় 📺 "Sotter Pothe" – একটি ইসলামিক ইউটিউব চ্যানেল আপনি যদি হৃদয় ছোঁয়া ইসলামিক ভিডিও, দ্বীনি বার্তা এবং প্রেরণাদায়ক কনটেন্ট পছন্দ করেন, তাহলে একবার ঘুরে আসুন আমাদের চ্যানেলে। 🔹 কী পাবেন এখানে? – মন ছুঁয়ে যাওয়া ইসলামিক শর্টস – সময়োপযোগী দ্বীনি আলোচনা – জীবনের পথে ইসলামের দিকনির্দেশনা 🔗 চ্যানেল ভিজিট করুন: 👉 https://youtube.com/@SotterPothe1.0 🤲 ইসলাম প্রচারে আমাদের সঙ্গে থাকুন – সাবস্ক্রাইব করুন, শেয়ার করুন, ছড়িয়ে দিন শান্তির বার্তা।
    YOUTUBE.COM
    Sott Er Pothe | সত্যের পথে
    আসসালামু আলাইকুম। আমাদের এই চ্যানেলে আপনি পাবেন হৃদয়ছোঁয়া বাংলা ইসলামিক স্ট্যাটাস ভিডিও, মিজানুর রহমান আজহারীর বয়ানের সংক্ষিপ্ত অংশ, কুরআন ও হাদিস ভিত্তিক মোটিভেশনাল ক্লিপস, ইমোশনাল ইসলামিক স্টোরি এবং ইসলামী জীবন গঠনের দিকনির্দেশনা। 📌 আমাদের উদ্দেশ্য—ইসলামের সঠিক শিক্ষা সহজ ভাষায় সবাইকে পৌঁছে দেওয়া। 📍 দর্শক: বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ (ভারত) সহ বিশ্বের সব বাংলাভাষী মুসলিম ভাই-বোনেরা। 🔔 প্রতিদিন নতুন ইসলামিক স্ট্যাটাস ভিডিও পেতে এখনই সাবস্ক্রাইব করুন। **✅ বিশেষ বৈশিষ্ট্য:** - শর্টস ফরম্যাটে ইসলামিক জ্ঞান - কোরআন তেলাওয়াত ও হাদিস রিমাইন্ডার - রোমান্টিক ইসলামিক পরামর্শ - লাইফ মোটিভেশন ফর ইয়াং মুসলিমস 📢 ইসলাম প্রচারে আমাদের সঙ্গে থাকুন – শেয়ার দিন, ছড়িয়ে দিন! --- 📲 **আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন:** --- 🌿 Facebook : Opps 🌿 SelfiClub : https://selficlub.com/SaOn_KHAN 🌿 Tiktok : Opps 🌿 Jono Sathi Page : https://jonosathi.com/pages/sotterpothe 🌿 Jono Sathi Profile : https://jonosathi.com/saonkhan 🌿 Twitter : Opps 🌿 Telegram : Opps
    Love
    Like
    7
    ·178 Views ·0 Reviews
  • ইসলামের আলোয় আলোকিত হোক প্রতিটি হৃদয়
    "Sotter Pothe" – একটি ইসলামিক ইউটিউব চ্যানেল

    আপনি যদি হৃদয় ছোঁয়া ইসলামিক ভিডিও, দ্বীনি বার্তা এবং প্রেরণাদায়ক কনটেন্ট পছন্দ করেন, তাহলে একবার ঘুরে আসুন আমাদের চ্যানেলে।

    কী পাবেন এখানে?
    – মন ছুঁয়ে যাওয়া ইসলামিক শর্টস
    – সময়োপযোগী দ্বীনি আলোচনা
    – জীবনের পথে ইসলামের দিকনির্দেশনা

    চ্যানেল ভিজিট করুন:
    https://youtube.com/@SotterPothe1.0

    ইসলাম প্রচারে আমাদের সঙ্গে থাকুন –
    সাবস্ক্রাইব করুন, শেয়ার করুন, ছড়িয়ে দিন শান্তির বার্তা।
    🌙 ইসলামের আলোয় আলোকিত হোক প্রতিটি হৃদয় 📺 "Sotter Pothe" – একটি ইসলামিক ইউটিউব চ্যানেল আপনি যদি হৃদয় ছোঁয়া ইসলামিক ভিডিও, দ্বীনি বার্তা এবং প্রেরণাদায়ক কনটেন্ট পছন্দ করেন, তাহলে একবার ঘুরে আসুন আমাদের চ্যানেলে। 🔹 কী পাবেন এখানে? – মন ছুঁয়ে যাওয়া ইসলামিক শর্টস – সময়োপযোগী দ্বীনি আলোচনা – জীবনের পথে ইসলামের দিকনির্দেশনা 🔗 চ্যানেল ভিজিট করুন: 👉 https://youtube.com/@SotterPothe1.0 🤲 ইসলাম প্রচারে আমাদের সঙ্গে থাকুন – সাবস্ক্রাইব করুন, শেয়ার করুন, ছড়িয়ে দিন শান্তির বার্তা।
    YOUTUBE.COM
    Sott Er Pothe | সত্যের পথে
    আসসালামু আলাইকুম। আমাদের এই চ্যানেলে আপনি পাবেন হৃদয়ছোঁয়া বাংলা ইসলামিক স্ট্যাটাস ভিডিও, মিজানুর রহমান আজহারীর বয়ানের সংক্ষিপ্ত অংশ, কুরআন ও হাদিস ভিত্তিক মোটিভেশনাল ক্লিপস, ইমোশনাল ইসলামিক স্টোরি এবং ইসলামী জীবন গঠনের দিকনির্দেশনা। 📌 আমাদের উদ্দেশ্য—ইসলামের সঠিক শিক্ষা সহজ ভাষায় সবাইকে পৌঁছে দেওয়া। 📍 দর্শক: বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ (ভারত) সহ বিশ্বের সব বাংলাভাষী মুসলিম ভাই-বোনেরা। 🔔 প্রতিদিন নতুন ইসলামিক স্ট্যাটাস ভিডিও পেতে এখনই সাবস্ক্রাইব করুন। **✅ বিশেষ বৈশিষ্ট্য:** - শর্টস ফরম্যাটে ইসলামিক জ্ঞান - কোরআন তেলাওয়াত ও হাদিস রিমাইন্ডার - রোমান্টিক ইসলামিক পরামর্শ - লাইফ মোটিভেশন ফর ইয়াং মুসলিমস 📢 ইসলাম প্রচারে আমাদের সঙ্গে থাকুন – শেয়ার দিন, ছড়িয়ে দিন! --- 📲 **আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন:** --- 🌿 Facebook : Opps 🌿 SelfiClub : https://selficlub.com/SaOn_KHAN 🌿 Tiktok : Opps 🌿 Jono Sathi Page : https://jonosathi.com/pages/sotterpothe 🌿 Jono Sathi Profile : https://jonosathi.com/saonkhan 🌿 Twitter : Opps 🌿 Telegram : Opps
    Love
    Like
    7
    ·158 Views ·0 Reviews
  • ইসলামের আলোয় আলোকিত হোক প্রতিটি হৃদয়
    "Sotter Pothe" – একটি ইসলামিক ইউটিউব চ্যানেল

    আপনি যদি হৃদয় ছোঁয়া ইসলামিক ভিডিও, দ্বীনি বার্তা এবং প্রেরণাদায়ক কনটেন্ট পছন্দ করেন, তাহলে একবার ঘুরে আসুন আমাদের চ্যানেলে।

    কী পাবেন এখানে?
    – মন ছুঁয়ে যাওয়া ইসলামিক শর্টস
    – সময়োপযোগী দ্বীনি আলোচনা
    – জীবনের পথে ইসলামের দিকনির্দেশনা

    চ্যানেল ভিজিট করুন:
    https://youtube.com/@SotterPothe1.0

    ইসলাম প্রচারে আমাদের সঙ্গে থাকুন –
    সাবস্ক্রাইব করুন, শেয়ার করুন, ছড়িয়ে দিন শান্তির বার্তা।
    🌙 ইসলামের আলোয় আলোকিত হোক প্রতিটি হৃদয় 📺 "Sotter Pothe" – একটি ইসলামিক ইউটিউব চ্যানেল আপনি যদি হৃদয় ছোঁয়া ইসলামিক ভিডিও, দ্বীনি বার্তা এবং প্রেরণাদায়ক কনটেন্ট পছন্দ করেন, তাহলে একবার ঘুরে আসুন আমাদের চ্যানেলে। 🔹 কী পাবেন এখানে? – মন ছুঁয়ে যাওয়া ইসলামিক শর্টস – সময়োপযোগী দ্বীনি আলোচনা – জীবনের পথে ইসলামের দিকনির্দেশনা 🔗 চ্যানেল ভিজিট করুন: 👉 https://youtube.com/@SotterPothe1.0 🤲 ইসলাম প্রচারে আমাদের সঙ্গে থাকুন – সাবস্ক্রাইব করুন, শেয়ার করুন, ছড়িয়ে দিন শান্তির বার্তা।
    YOUTUBE.COM
    Sott Er Pothe | সত্যের পথে
    আসসালামু আলাইকুম। আমাদের এই চ্যানেলে আপনি পাবেন হৃদয়ছোঁয়া বাংলা ইসলামিক স্ট্যাটাস ভিডিও, মিজানুর রহমান আজহারীর বয়ানের সংক্ষিপ্ত অংশ, কুরআন ও হাদিস ভিত্তিক মোটিভেশনাল ক্লিপস, ইমোশনাল ইসলামিক স্টোরি এবং ইসলামী জীবন গঠনের দিকনির্দেশনা। 📌 আমাদের উদ্দেশ্য—ইসলামের সঠিক শিক্ষা সহজ ভাষায় সবাইকে পৌঁছে দেওয়া। 📍 দর্শক: বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ (ভারত) সহ বিশ্বের সব বাংলাভাষী মুসলিম ভাই-বোনেরা। 🔔 প্রতিদিন নতুন ইসলামিক স্ট্যাটাস ভিডিও পেতে এখনই সাবস্ক্রাইব করুন। **✅ বিশেষ বৈশিষ্ট্য:** - শর্টস ফরম্যাটে ইসলামিক জ্ঞান - কোরআন তেলাওয়াত ও হাদিস রিমাইন্ডার - রোমান্টিক ইসলামিক পরামর্শ - লাইফ মোটিভেশন ফর ইয়াং মুসলিমস 📢 ইসলাম প্রচারে আমাদের সঙ্গে থাকুন – শেয়ার দিন, ছড়িয়ে দিন! --- 📲 **আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন:** --- 🌿 Facebook : Opps 🌿 SelfiClub : https://selficlub.com/SaOn_KHAN 🌿 Tiktok : Opps 🌿 Jono Sathi Page : https://jonosathi.com/pages/sotterpothe 🌿 Jono Sathi Profile : https://jonosathi.com/saonkhan 🌿 Twitter : Opps 🌿 Telegram : Opps
    Love
    Like
    3
    ·168 Views ·0 Reviews
  • কাঠ গোলাপ কে কে পছন্দ করেন
    কাঠ গোলাপ কে কে পছন্দ করেন ❤️‍🩹❤️‍🩹
    Like
    Love
    Wow
    7
    ·108 Views ·0 Reviews
  • 'এই বাড়িটা ভালো না ভাবী। আপনি পোয়াতি মানুষ। আপনার জামাই বিমানবাহিনীতে চাকরি করে,দুই দিন পর পর মিশনে যায়। এই অবস্থায় আপনার একা বাড়িতে থাকা ঠিক হবে না।'

    প্রতিবেশীর কথায় সেদিন একটু অবাক হয়েছিলাম।মহিলাটি দেখতে সুন্দর হলেও তার জিহ্বা কদাকার কালো। আমার শয়নকক্ষের বাতায়ন খুলে তাকালেই মহিলাটির বেলকনি দেখতে পাওয়া যায়। অথচ আসার পর থেকেই দেখছি তার বাড়ির প্রতিটি দরজা জানালা বন্ধ। জানালায় আবার পর্দাও টাঙানো। ঘরের মধ্যে মানুষ আছে কিন্তু তা বাহিরে থেকে আন্দাজ করা মুশকিল। এই তো মাত্র দুই সপ্তাহ হলো গাজীপুরে শিফট হয়েছি, আমি আর আমার হাসবেন্ড। ছোট থেকে আমার বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। তাই গাজীপুরের এমন গাছপালা আচ্ছাদিত পরিবেশ আমার জন্য একেবারে নতুন। আমাদের বাড়িটি খুব বেশি বড়ও না আবার একেবারে ছোটও না। বাড়িটি কাঠের তৈরি দোতলা বিশিষ্ট। খুব কম মূল্যেই বাড়িটি বন্ধক নিয়েছে আমার স্বামী তুষার। আশে পাশে অন্য বাড়ি বলতে আমার প্রতিবেশী নিপা ভাবীদের বাড়ি ছাড়া আর কোন বাড়ি নেই। বাড়ির চারিদিক শালবনে ঘেরা। রাত হলেই অদ্ভুত সব নিশাচর পাখির ডাক ভেসে আসে।

    আমার দিন কেটে যায় ঘরের মধ্যে সময় কাটিয়েই। এটা ওটা করতে করতে কখন যে দিন পেরিয়ে যায়! একা হাতে কাজ করতে করতে দুপুর হয়ে যায়। দুপুরে তুষার আসে। লাঞ্চ করে আবার কাজে চলে যায়। কাজ থেকে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা গড়ায়। এতটুকু সময় আমি নিজের সঙ্গে কাটিয়েই পার করে দেই।বোরিং লাগে না। আমার বাড়ির সামনে একটা কদম গাছ আছে। গাছের নিচে আছে একটা দোলনা। মাঝে মধ্যেই বিকেল হলে আমি দোলনায় গিয়ে বসি। মৃদু বাতাসে কখনো বা দোলনায় বসে গুনগুন করতে করতে বই পড়ি। ভালোই লাগে। নিপা ভাবী মাঝে মধ্যেই তখন আমার কাছে আসেন। এই বাড়ি এই জায়গা নিয়ে নানা অপ্রকৃতস্থ গল্প বলেন। ভূতের গল্প আমার বেশ লাগে। তবে আমি ভূতে বিশ্বাসী নই। কিন্তু জিন যে আছে সেটা আমি মানি,বিশ্বাস করি।

    —--

    আজ বিকেলেও আমি দোলানায় এসে বসি। গোসল করে মাত্রই চুল শুকানোর জন্য বাহিরে এসে বসেছি। সঙ্গে নিয়ে এসেছি হুমায়ুন আহমেদের দেবী বইটি। কতবার পড়েছি এই বই। তাও একটুও অভক্তি জাগে না।

    'ভাবী আপনার কয় মাস চলে?'

    হঠাৎ অপ্রস্তুত কন্ঠস্বরে আমি ভরকে উঠি। পেছনে ফিরতেই দেখি নিপা ভাবী।

    'আরে আপনি? আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আর আপনি আমাকে নাম ধরেই চাইলে ডাকতে পারেন। জুলফা আমার নাম।’

    নিপা ভাবী কদম গাছের সঙ্গে হেলান দিয়ে বলল,

    'আপাতত ভাবী বলেই না হয় ডাকি? আচ্ছা উত্তর দিলেন না যে? কয় মাস চলে আপনার?'

    আমি বইয়ের পাতায় চোখ বুলিয়ে জবাব দিলাম,

    'তিন মাস। তিন মাস চলে আমার। ভাবী আপনার বাড়িতে কে কে আছে? মানে অনেকদিন তো হলো এখনে এসেছি। আপনাকে ছাড়া আর কাউকেই দেখলাম না।আপনার বাচ্চারা কোথায়?’

    ‘আমার কোন বাচ্চা নেই।তবে একটা বাচ্চার অনেক শখ।আপনার বাচ্চ…..

    আর কিছু বলার আগেই তুষারের গলা কর্নকুহরে এসে ঠেকল। বইয়ের পাতা থেকে চোখ সরিয়ে সামনে তাকাতেই দেখতে পেলাম তুষার দাঁড়িয়ে । কদম গাছের দিকে তাকাতেই দেখি নিপা ভাবী কোথাও নেই। ওমা মহিলাটি গেল কোথায়? একটু আগেই তো এখানে ছিল।

    'এমন দুপুর বেলা তুমি এখানে কি করছো? জানো না এমন সময় অনেক কিছু বেছে চলতে হয়। চলো ঘরে চলো।’

    আমি প্রত্যুত্তর না দিয়ে তুষারের সঙ্গে ঘরে চলে আসি। তবে মনের মধ্যে একটাই প্রশ্ন বার বার স্লোগান তুলছে, নিপা ভাবী কোথায় গেল?



    ঘটনার সূত্রপাত সেদিন থেকেই। মাঝ রাতে হঠাৎ পেটে প্রচন্দ ব্যাথা অনুভব হতেই ঘুমটা ভেঙে যায় আমার। ভেবেছিলাম তুষারকে জাগিয়ে তুলবো। কিন্তু এই সামান্য কারণের জন্য তাকে জাগিয়ে তোলার ইচ্ছে হলো না। সারাদিন কত খাটুনি করে লোকটা। ঘড়ির কাঁটায় তখন বোধহয় ২:৩৫। আমি বিছানা ছেড়ে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসি।রান্নাঘরে যাই। ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি বের করে পান করি। হঠাৎ মনে হলো ড্রয়িং রুমে কেউ একজন বসে আছে। একনাগাড়ে কিছু একটা বিরবির করছে। বিষ্ময়ে আমার ভ্রু কুঁচকে এলো। মাত্রই তো ড্রয়িং রুমের সামনে দিয়ে এলাম। তখন তো কাউকে দেখলাম না?

    সাহস করে ড্রয়িং রুমের দিকে এগুতে লাগলাম। যত এগুচ্ছি ততই শব্দটা বেড়েই যাচ্ছে সঙ্গে সোফায় বসে থাকা ব্যাক্তির ছায়াটাও ড্রিম লাইটের আলোয় বড় হচ্ছে। কাছে যেতেই দেখি একটা কালো কুচকুচে বিড়াল। আমার দিকেই অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে ম্যাঁও ম্যাঁও করছে। বিরবির শব্দটা এখন আর নেই। বোধহয় মনের ভ্রম ছিল।

    ‘এ দেখি একটা বিড়াল! কিন্তু এটা ঘরে কি করে ডুকলো?’

    হঠাৎ চোখ যায় জানালার দিকে। দেখতে পাই জানালা খোলা। তার মানে জানালাটা আজকে আর লাগানো হয় নি। কিন্তু স্পষ্ট মনে আছে বিকেলেই আমি রোজকার মত সব জানালা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। বিড়ালটিকে তাড়াতে হয় না। সে নিজেই জানালা দিয়ে বেড়িয়ে যায়। হঠাৎ আমার চোখ যায় জানালার বহির্ভূত দৃশ্যের দিকে। কিছু একটা দেখা যাচ্ছে। অথচ কি দেখা যাচ্ছে তা আমি ঠিক করে আন্দাজ করতে পারছি না। অকস্মাৎ আমার পেছন থেকে একটা অদ্ভুত ভারী গলা ভেসে আসে,

    ‘ তোর বাচ্চাটা আমায় দিবি?’

    আমার মাথাটা হঠাৎ ব্যাথায় ছটফট করে উঠে। পেছন ফিরে তাকানোর আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। পরে কি হয়েছিল মনে নেই। সকালে যখন ঘুম ভাঙে তখন দেখি তুষার আমার পাশেই বসে আছে। স্বামীকে রাতের কথা জিজ্ঞেস করতেই সে বলল,

    ‘আমি তো ওয়াশরুমের জন্য উঠেছিলাম। হঠাৎ দেখলাম তুমি পাশে নেই। তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে যখন নিচে নেমে আসি তখন দেখতে পাই তুমি ড্রয়িং রুমের মেঝেতে পড়ে আছো। তারপর আর কি?তোমাকে কোলে তুলে রুমে এনে শোয়ালাম। কি হয়েছিল বলো তো?’

    কিছুই মনে পড়ছিল না। তাই উত্তর দিতে চেয়েও তুষারকে কিছু বলতে পারলাম না। তবে কানে এখনো একটা কথাই বাজছে,

    ‘তোর বাচ্চাটা আমায় দিবি?’

    —---

    আজ এই বাড়িতে আমার একমাস পূর্ণ হলো।এই এক মাসে আমার সঙ্গে তেমন কিছুই ঘটে নি। সব স্বাভাবিক ছিল। কাল সকালে তুষার খাগড়াছড়ি যাবে। তিন দিনের একটা মিশনে। এ ক'দিন সে অনেক জায়গায় একটা মেয়ে মানুষ খুঁজেছে ২৪ ঘন্টা আমার তদারকি করার জন্য। আমার সঙ্গে থাকার জন্য। কিন্তু এটা তো আর ঢাকা শহর না যে মানুষ চাইলাম আর মেয়ে পেয়ে গেলাম। তুষার আমাকে একা রেখে কিছুতেই যেতে চাইছিল না। কিন্তু কি আর করার? সরকারি চাকরি বলে কথা!

    বিকেলে বাহিরে থেকে কাপড় আনতে গিয়ে দেখি কোথা থেকে যেন নিপা ভাবী ব্যাগ-পত্তর নিয়ে বাড়ি ডুকছে। সঙ্গে ছোট একটা মেয়ে,একজন পুরুষ আর দু'জন বৃদ্ধা-বৃদ্ধও ছিল। আমি ভাবী বলে হাঁক ছাড়তেই সে আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো।

    ‘ভাবী কোথা থেকে আসছেন?এত সব নিয়ে কোথায় গিয়েছিলেন?যাক এক মাস পর আপনার পরিবারের সদস্যদের দেখা মিলল।বাচ্চা গুলো তো বিকেলে বাহিরেও আসে না।’

    নিপা ভাবীর কপালে ভাঁজ পড়লো এবার। সে আমার বাড়ির দিকে একবার তাকালো তারপর বলল,

    ‘আপনি আমাকে কি করে চিনেন?আমার নাম কি করে জানলেন?আর আপনাকে তো আমি ঠিক চিনতে পারলাম না?কে আপনি?’

    নিপা ভাবীর কথায় আমি পুরোই কিংকর্তব্যবিমুঢ়। এসব কি বলছে উনি?এখানে আসার পর থেকেই উনার সাথে আমার কত ভাব। আর আজকে বলছে আমাকে নাকি সে চিনে না। আমি কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবো তার আগেই ভাবীর সঙ্গে থাকা পুরুষটি তাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠল,

    ‘আতিয়া জলদি বাড়ির চাবিটা দাও। একমাসে না জানি ঘরের কি হাল হয়েছে। এই মণি তোর মায়ের থেকে চাবিটা নিয়ে আয় তো।’

    ছোট্ট মেয়েটা দৌড়ে নিপা ভাবীর কাছে এলো চাবি নেওয়ার জন্য। নিপা ভাবী মেয়েটিকে বলল,

    ‘যাও আব্বুর কাছে। আম্মু আসছি।’

    তারপর আমার দিকে একবার তাকিয়ে বলল,

    ‘পরে কথা হবে।’

    ভাবী আমার জবাবের জন্য অপেক্ষা না করেই চলে গেল। সে চলে যেতেই লোকটি মৃদু কন্ঠে তাকে জিজ্ঞেস করল,কে ওই মহিলা?এই বাড়িতে উঠছে বুঝি?

    সবাই আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকালো। আমার বেশ অস্তিত্ব লাগছিল। তাই এক মুহুর্ত দেরি না করে আমি কাপড় নিয়ে বাড়ির ভেতর চলে এলাম। তুষার বাড়িতেই ছিল। তাকে আমি সব খুলে বললাম। তার নিজের মাথাও কাজ করছে না। সে আর আমাকে কি বুঝাবে? এবার মাথায় আমার আরেকটা প্রশ্ন ভোঁ ভোঁ করছে, নিপা ভাবী আমাকে চিনতে পারলো না কেন?নাকি ইচ্ছে করেই কোন কারন বসত না চেনার ভান করেছে সে? আর ভাবীর তো কোন বাচ্চা নেই । তবে ভাবীর কথার ধরন শুনে কেন মনে হচ্ছিলো ছোট্ট মেয়েটি তার নিজেরই। আর ওই লোকটি তাকে আতিয়া বলেই বা কেন ডাকল?তার নাম তো নিপা।



    সন্ধ্যায় হাসের মাংস আর চালের রুটি করেছি। শীতকালীন সময়ে এটা তুষারের পছন্দের খাবার। স্বামীটা আমার কাল চলে যাবে। না জানি এই তিনদিন কি না কি খায়। তাই যতটুকু পেরেছি,ততটুকুই করেছি। কাজ শেষে যখন এক বাটি মাংস আর রুটি নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য রান্না ঘরের লাইটটা বন্ধ করে বেরিয়ে আসলাম তখনি নাকে একটা পঁচা দুর্গন্ধ এসে ধাক্কা খেল। বমি চলে আসার উপক্রম। হঠাৎ রান্নাঘর থেকে শব্দ এলো,মনে হলো কেউ পাতিলের ঢাকনা সরিয়েছে। আরেকটু খেয়াল করতেই এবার আরো অদ্ভুত এক শব্দ কানে বাজলো,মনে হলো কে যেন খপখপ করে সব ছিড়েখুঁড়ে খাচ্ছে। আমি দ্রুত টেবিলে মাংসের বাটিটা রেখে রান্না ঘরে ডুকলাম। লাইট অন করতেই দেখি সেখানে কিছুই নেই। সব স্বাভাবিক।নেই কোনো শব্দ, সেই কোলাহল। ধ্যাত আজ-কাল হরর মুভি একটু বেশিই দেখা হচ্ছে। তারই ইফেক্ট এসব।

    সেদিন রাতে আমি সবচেয়ে বেশি অবাক হই। যখন রাতে খাবারের সময় রান্নাঘরে গিয়ে দেখি মাংসের পাতিলে এক টুকরো মাংসও নেই। পাতিলের তলায় শুধুমাত্র পড়ে আছে ঝোল। পর পর কেমন যেন সব অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এখন নিজের ভেতরেও খানিকটা ভয় কাজ করা শুরু করে। সব সময় তো সবকিছু একজন মানুষের ভ্রম হওয়া সম্ভব নয়। তুষার কে বিষয়টি জানানোর পর যে বলে,

    ‘আজ তো রাত হয়ে গেছে। সকালে আমাকে আবার খাগড়াছড়িও যেতে হবে। তিনদিন একটু
    কষ্ট করো। যদি দেখো তিনদিনে সব স্বাভাবিক আছে তাহলে তো ভালোই। তা না হলে আমি বাড়ি ফিরেই হুজুরকে এনে একটা মিলাদের ব্যবস্থা করবো।’

    আমিও তাতে রাজি হলাম। তবুও তুষারের আমাকে ফেলে যেতে বেশ চিন্তা হচ্ছিলো। তাই সে আমার ছোট ননদকে কল করে দুই-একদিনের ভেতর এখানে আসতে বলে। সঙ্গে আমার শাশুড়ীও আসবে। শুনে একটু খুশী হলাম। বাড়িতে একা থাকার চেয়ে তাদের এখানে চলে আসাই ভালো। এমনিতেও বছর শেষেই আমার শশুর-শাশুরি আর ননদ-দেবরের এখানে চলে আসার কথা। কিন্তু সামনেই দেবরের এক্সাম আছে তাই সবাই ঠিক করেছে একেবারে বছরটা শেষ করেই তারা এখানে শিফট হবে।

    -

    পরদিন আমার দিনটা খুব একটা ভালো যায় না। তুষারের জন্য অনেক মন খারাপ হচ্ছিলো। অদ্ভুত একটা ভয়ও মনের মধ্যে বাসা বেঁধে বসে ছিলো।

    সেদিন রাত দেড়টায় হঠাৎ বিকট এক শব্দে আচমকা ঘুম ভেঙে যায় আমার। রাত ভালোই হয়েছে। আমার আবার একটা বোধ অভ্যাস আছে। একবার ঘুম ভাঙলে সহজে ঘুম আসে না। তুষারটা চলে গেছে বিধায় মনটা কেমন কেমন জানি করছে। সারাটা দিনও আজকে কেমন যেন একগুয়ে কেটেছে। ফোনটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ ফেসবুকে স্ট্রোলিং করতে থাকি। হঠাৎ তুষারের কল আসে। প্রথমে একটু অবাক হই। এত রাতে কল করেছে?পরে ভাবলাম সারাদিন কাজ করে এখন হয়তো রাত জেগে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া হচ্ছে। ফোন রিসেভ করতেই তুষার একটা কথাই বলল,সব ঠিক আছে?

    ব্যাস সঙ্গে সঙ্গে লাইনটা কেটে যায়। নেট সমস্যা হয়তো। আমি উঠে বারান্দায় যাই। হঠাৎ দোলনার দিকে তাকাতেই মনে হলো কে যেন দোলনায় পা ঝুলিয়ে বসে গুন গুন করছে। মেয়েলি কন্ঠস্বর। আমার শরীরটা শিউরে উঠে। আয়াতুল কুরসী পড়তে পড়তে বারান্দার দরজা বন্ধ করে রুমে চলে এলাম। তুষারকে বেশ কয়েকটি কল করি, কিন্তু ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে। খুব ভয় করছিল আমার। হঠাৎ আননোন নাম্বার থেকে একটা কল আসে,কলটা ধরতেই ওপার থেকে ভেসে আসে একটা অস্পষ্ট কন্ঠ। ভয়েজটা কেটে কেটে আসছিল। ভাবলাম হয়তো কোন সমস্যা হয়েছে দেখে তুষার অন্য কারো নাম্বার থেকে কল করেছে। নেট সমস্যার কারনে কথা অস্পষ্ট শোনাচ্ছে । একটা কল আসার পর আর কোন কল আসে নি।তাই আমিও আর এহেন বিষয়ে এত মাথা ঘামালাম না। ঘুম আসছে না।এখনো ভয় করছে। বিছানায় এসে দোয়া পড়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছি। হঠাৎ অনুভূত হলো পিঠের ওপর কেমন যেন শীতল নিঃশ্বাস পতন হচ্ছে। ধীরে ধীরে নিঃশ্বাসের শব্দ বাড়তে শুরু করে। মনে হচ্ছে এই তো ঠিক আমার পেছনেই কেও একজন শুয়ে আছে। কিন্তু সেটা তো অসম্ভব বিষয়। বাড়িতে তো এই মুহুর্তে আমি ব্যাতিত কেউ নেই?আমি আয়াতুল্লাহ কুরসী আরো দ্রুত পড়তে শুরু করলাম।যত গুলো দোয়া মাথায় আসছে অনবরত তা পাঠ করছি। কিন্তু নিঃশ্বাসের শীতল বাতাসটা তখনো আমার পিঠে লাগছে। এবার আমি দোয়া পড়তে পড়তে আস্তে আস্তে করে ঘাড় বাঁকিয়ে পেছনে ফেরার চেষ্টা করি। পেছন ফিরতেই আমার চক্ষু চড়কগাছ।মুখ থেকে অস্পষ্ট স্বরে শুধু বেরিয়ে আসে,

    ‘নিপা ভাবী?’........

    সমাপ্ত
    'এই বাড়িটা ভালো না ভাবী। আপনি পোয়াতি মানুষ। আপনার জামাই বিমানবাহিনীতে চাকরি করে,দুই দিন পর পর মিশনে যায়। এই অবস্থায় আপনার একা বাড়িতে থাকা ঠিক হবে না।' প্রতিবেশীর কথায় সেদিন একটু অবাক হয়েছিলাম।মহিলাটি দেখতে সুন্দর হলেও তার জিহ্বা কদাকার কালো। আমার শয়নকক্ষের বাতায়ন খুলে তাকালেই মহিলাটির বেলকনি দেখতে পাওয়া যায়। অথচ আসার পর থেকেই দেখছি তার বাড়ির প্রতিটি দরজা জানালা বন্ধ। জানালায় আবার পর্দাও টাঙানো। ঘরের মধ্যে মানুষ আছে কিন্তু তা বাহিরে থেকে আন্দাজ করা মুশকিল। এই তো মাত্র দুই সপ্তাহ হলো গাজীপুরে শিফট হয়েছি, আমি আর আমার হাসবেন্ড। ছোট থেকে আমার বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। তাই গাজীপুরের এমন গাছপালা আচ্ছাদিত পরিবেশ আমার জন্য একেবারে নতুন। আমাদের বাড়িটি খুব বেশি বড়ও না আবার একেবারে ছোটও না। বাড়িটি কাঠের তৈরি দোতলা বিশিষ্ট। খুব কম মূল্যেই বাড়িটি বন্ধক নিয়েছে আমার স্বামী তুষার। আশে পাশে অন্য বাড়ি বলতে আমার প্রতিবেশী নিপা ভাবীদের বাড়ি ছাড়া আর কোন বাড়ি নেই। বাড়ির চারিদিক শালবনে ঘেরা। রাত হলেই অদ্ভুত সব নিশাচর পাখির ডাক ভেসে আসে। আমার দিন কেটে যায় ঘরের মধ্যে সময় কাটিয়েই। এটা ওটা করতে করতে কখন যে দিন পেরিয়ে যায়! একা হাতে কাজ করতে করতে দুপুর হয়ে যায়। দুপুরে তুষার আসে। লাঞ্চ করে আবার কাজে চলে যায়। কাজ থেকে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা গড়ায়। এতটুকু সময় আমি নিজের সঙ্গে কাটিয়েই পার করে দেই।বোরিং লাগে না। আমার বাড়ির সামনে একটা কদম গাছ আছে। গাছের নিচে আছে একটা দোলনা। মাঝে মধ্যেই বিকেল হলে আমি দোলনায় গিয়ে বসি। মৃদু বাতাসে কখনো বা দোলনায় বসে গুনগুন করতে করতে বই পড়ি। ভালোই লাগে। নিপা ভাবী মাঝে মধ্যেই তখন আমার কাছে আসেন। এই বাড়ি এই জায়গা নিয়ে নানা অপ্রকৃতস্থ গল্প বলেন। ভূতের গল্প আমার বেশ লাগে। তবে আমি ভূতে বিশ্বাসী নই। কিন্তু জিন যে আছে সেটা আমি মানি,বিশ্বাস করি। —-- আজ বিকেলেও আমি দোলানায় এসে বসি। গোসল করে মাত্রই চুল শুকানোর জন্য বাহিরে এসে বসেছি। সঙ্গে নিয়ে এসেছি হুমায়ুন আহমেদের দেবী বইটি। কতবার পড়েছি এই বই। তাও একটুও অভক্তি জাগে না। 'ভাবী আপনার কয় মাস চলে?' হঠাৎ অপ্রস্তুত কন্ঠস্বরে আমি ভরকে উঠি। পেছনে ফিরতেই দেখি নিপা ভাবী। 'আরে আপনি? আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আর আপনি আমাকে নাম ধরেই চাইলে ডাকতে পারেন। জুলফা আমার নাম।’ নিপা ভাবী কদম গাছের সঙ্গে হেলান দিয়ে বলল, 'আপাতত ভাবী বলেই না হয় ডাকি? আচ্ছা উত্তর দিলেন না যে? কয় মাস চলে আপনার?' আমি বইয়ের পাতায় চোখ বুলিয়ে জবাব দিলাম, 'তিন মাস। তিন মাস চলে আমার। ভাবী আপনার বাড়িতে কে কে আছে? মানে অনেকদিন তো হলো এখনে এসেছি। আপনাকে ছাড়া আর কাউকেই দেখলাম না।আপনার বাচ্চারা কোথায়?’ ‘আমার কোন বাচ্চা নেই।তবে একটা বাচ্চার অনেক শখ।আপনার বাচ্চ….. আর কিছু বলার আগেই তুষারের গলা কর্নকুহরে এসে ঠেকল। বইয়ের পাতা থেকে চোখ সরিয়ে সামনে তাকাতেই দেখতে পেলাম তুষার দাঁড়িয়ে । কদম গাছের দিকে তাকাতেই দেখি নিপা ভাবী কোথাও নেই। ওমা মহিলাটি গেল কোথায়? একটু আগেই তো এখানে ছিল। 'এমন দুপুর বেলা তুমি এখানে কি করছো? জানো না এমন সময় অনেক কিছু বেছে চলতে হয়। চলো ঘরে চলো।’ আমি প্রত্যুত্তর না দিয়ে তুষারের সঙ্গে ঘরে চলে আসি। তবে মনের মধ্যে একটাই প্রশ্ন বার বার স্লোগান তুলছে, নিপা ভাবী কোথায় গেল? – ঘটনার সূত্রপাত সেদিন থেকেই। মাঝ রাতে হঠাৎ পেটে প্রচন্দ ব্যাথা অনুভব হতেই ঘুমটা ভেঙে যায় আমার। ভেবেছিলাম তুষারকে জাগিয়ে তুলবো। কিন্তু এই সামান্য কারণের জন্য তাকে জাগিয়ে তোলার ইচ্ছে হলো না। সারাদিন কত খাটুনি করে লোকটা। ঘড়ির কাঁটায় তখন বোধহয় ২:৩৫। আমি বিছানা ছেড়ে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসি।রান্নাঘরে যাই। ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি বের করে পান করি। হঠাৎ মনে হলো ড্রয়িং রুমে কেউ একজন বসে আছে। একনাগাড়ে কিছু একটা বিরবির করছে। বিষ্ময়ে আমার ভ্রু কুঁচকে এলো। মাত্রই তো ড্রয়িং রুমের সামনে দিয়ে এলাম। তখন তো কাউকে দেখলাম না? সাহস করে ড্রয়িং রুমের দিকে এগুতে লাগলাম। যত এগুচ্ছি ততই শব্দটা বেড়েই যাচ্ছে সঙ্গে সোফায় বসে থাকা ব্যাক্তির ছায়াটাও ড্রিম লাইটের আলোয় বড় হচ্ছে। কাছে যেতেই দেখি একটা কালো কুচকুচে বিড়াল। আমার দিকেই অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে ম্যাঁও ম্যাঁও করছে। বিরবির শব্দটা এখন আর নেই। বোধহয় মনের ভ্রম ছিল। ‘এ দেখি একটা বিড়াল! কিন্তু এটা ঘরে কি করে ডুকলো?’ হঠাৎ চোখ যায় জানালার দিকে। দেখতে পাই জানালা খোলা। তার মানে জানালাটা আজকে আর লাগানো হয় নি। কিন্তু স্পষ্ট মনে আছে বিকেলেই আমি রোজকার মত সব জানালা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। বিড়ালটিকে তাড়াতে হয় না। সে নিজেই জানালা দিয়ে বেড়িয়ে যায়। হঠাৎ আমার চোখ যায় জানালার বহির্ভূত দৃশ্যের দিকে। কিছু একটা দেখা যাচ্ছে। অথচ কি দেখা যাচ্ছে তা আমি ঠিক করে আন্দাজ করতে পারছি না। অকস্মাৎ আমার পেছন থেকে একটা অদ্ভুত ভারী গলা ভেসে আসে, ‘ তোর বাচ্চাটা আমায় দিবি?’ আমার মাথাটা হঠাৎ ব্যাথায় ছটফট করে উঠে। পেছন ফিরে তাকানোর আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। পরে কি হয়েছিল মনে নেই। সকালে যখন ঘুম ভাঙে তখন দেখি তুষার আমার পাশেই বসে আছে। স্বামীকে রাতের কথা জিজ্ঞেস করতেই সে বলল, ‘আমি তো ওয়াশরুমের জন্য উঠেছিলাম। হঠাৎ দেখলাম তুমি পাশে নেই। তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে যখন নিচে নেমে আসি তখন দেখতে পাই তুমি ড্রয়িং রুমের মেঝেতে পড়ে আছো। তারপর আর কি?তোমাকে কোলে তুলে রুমে এনে শোয়ালাম। কি হয়েছিল বলো তো?’ কিছুই মনে পড়ছিল না। তাই উত্তর দিতে চেয়েও তুষারকে কিছু বলতে পারলাম না। তবে কানে এখনো একটা কথাই বাজছে, ‘তোর বাচ্চাটা আমায় দিবি?’ —--- আজ এই বাড়িতে আমার একমাস পূর্ণ হলো।এই এক মাসে আমার সঙ্গে তেমন কিছুই ঘটে নি। সব স্বাভাবিক ছিল। কাল সকালে তুষার খাগড়াছড়ি যাবে। তিন দিনের একটা মিশনে। এ ক'দিন সে অনেক জায়গায় একটা মেয়ে মানুষ খুঁজেছে ২৪ ঘন্টা আমার তদারকি করার জন্য। আমার সঙ্গে থাকার জন্য। কিন্তু এটা তো আর ঢাকা শহর না যে মানুষ চাইলাম আর মেয়ে পেয়ে গেলাম। তুষার আমাকে একা রেখে কিছুতেই যেতে চাইছিল না। কিন্তু কি আর করার? সরকারি চাকরি বলে কথা! বিকেলে বাহিরে থেকে কাপড় আনতে গিয়ে দেখি কোথা থেকে যেন নিপা ভাবী ব্যাগ-পত্তর নিয়ে বাড়ি ডুকছে। সঙ্গে ছোট একটা মেয়ে,একজন পুরুষ আর দু'জন বৃদ্ধা-বৃদ্ধও ছিল। আমি ভাবী বলে হাঁক ছাড়তেই সে আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো। ‘ভাবী কোথা থেকে আসছেন?এত সব নিয়ে কোথায় গিয়েছিলেন?যাক এক মাস পর আপনার পরিবারের সদস্যদের দেখা মিলল।বাচ্চা গুলো তো বিকেলে বাহিরেও আসে না।’ নিপা ভাবীর কপালে ভাঁজ পড়লো এবার। সে আমার বাড়ির দিকে একবার তাকালো তারপর বলল, ‘আপনি আমাকে কি করে চিনেন?আমার নাম কি করে জানলেন?আর আপনাকে তো আমি ঠিক চিনতে পারলাম না?কে আপনি?’ নিপা ভাবীর কথায় আমি পুরোই কিংকর্তব্যবিমুঢ়। এসব কি বলছে উনি?এখানে আসার পর থেকেই উনার সাথে আমার কত ভাব। আর আজকে বলছে আমাকে নাকি সে চিনে না। আমি কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবো তার আগেই ভাবীর সঙ্গে থাকা পুরুষটি তাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠল, ‘আতিয়া জলদি বাড়ির চাবিটা দাও। একমাসে না জানি ঘরের কি হাল হয়েছে। এই মণি তোর মায়ের থেকে চাবিটা নিয়ে আয় তো।’ ছোট্ট মেয়েটা দৌড়ে নিপা ভাবীর কাছে এলো চাবি নেওয়ার জন্য। নিপা ভাবী মেয়েটিকে বলল, ‘যাও আব্বুর কাছে। আম্মু আসছি।’ তারপর আমার দিকে একবার তাকিয়ে বলল, ‘পরে কথা হবে।’ ভাবী আমার জবাবের জন্য অপেক্ষা না করেই চলে গেল। সে চলে যেতেই লোকটি মৃদু কন্ঠে তাকে জিজ্ঞেস করল,কে ওই মহিলা?এই বাড়িতে উঠছে বুঝি? সবাই আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকালো। আমার বেশ অস্তিত্ব লাগছিল। তাই এক মুহুর্ত দেরি না করে আমি কাপড় নিয়ে বাড়ির ভেতর চলে এলাম। তুষার বাড়িতেই ছিল। তাকে আমি সব খুলে বললাম। তার নিজের মাথাও কাজ করছে না। সে আর আমাকে কি বুঝাবে? এবার মাথায় আমার আরেকটা প্রশ্ন ভোঁ ভোঁ করছে, নিপা ভাবী আমাকে চিনতে পারলো না কেন?নাকি ইচ্ছে করেই কোন কারন বসত না চেনার ভান করেছে সে? আর ভাবীর তো কোন বাচ্চা নেই । তবে ভাবীর কথার ধরন শুনে কেন মনে হচ্ছিলো ছোট্ট মেয়েটি তার নিজেরই। আর ওই লোকটি তাকে আতিয়া বলেই বা কেন ডাকল?তার নাম তো নিপা। — সন্ধ্যায় হাসের মাংস আর চালের রুটি করেছি। শীতকালীন সময়ে এটা তুষারের পছন্দের খাবার। স্বামীটা আমার কাল চলে যাবে। না জানি এই তিনদিন কি না কি খায়। তাই যতটুকু পেরেছি,ততটুকুই করেছি। কাজ শেষে যখন এক বাটি মাংস আর রুটি নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য রান্না ঘরের লাইটটা বন্ধ করে বেরিয়ে আসলাম তখনি নাকে একটা পঁচা দুর্গন্ধ এসে ধাক্কা খেল। বমি চলে আসার উপক্রম। হঠাৎ রান্নাঘর থেকে শব্দ এলো,মনে হলো কেউ পাতিলের ঢাকনা সরিয়েছে। আরেকটু খেয়াল করতেই এবার আরো অদ্ভুত এক শব্দ কানে বাজলো,মনে হলো কে যেন খপখপ করে সব ছিড়েখুঁড়ে খাচ্ছে। আমি দ্রুত টেবিলে মাংসের বাটিটা রেখে রান্না ঘরে ডুকলাম। লাইট অন করতেই দেখি সেখানে কিছুই নেই। সব স্বাভাবিক।নেই কোনো শব্দ, সেই কোলাহল। ধ্যাত আজ-কাল হরর মুভি একটু বেশিই দেখা হচ্ছে। তারই ইফেক্ট এসব। সেদিন রাতে আমি সবচেয়ে বেশি অবাক হই। যখন রাতে খাবারের সময় রান্নাঘরে গিয়ে দেখি মাংসের পাতিলে এক টুকরো মাংসও নেই। পাতিলের তলায় শুধুমাত্র পড়ে আছে ঝোল। পর পর কেমন যেন সব অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এখন নিজের ভেতরেও খানিকটা ভয় কাজ করা শুরু করে। সব সময় তো সবকিছু একজন মানুষের ভ্রম হওয়া সম্ভব নয়। তুষার কে বিষয়টি জানানোর পর যে বলে, ‘আজ তো রাত হয়ে গেছে। সকালে আমাকে আবার খাগড়াছড়িও যেতে হবে। তিনদিন একটু কষ্ট করো। যদি দেখো তিনদিনে সব স্বাভাবিক আছে তাহলে তো ভালোই। তা না হলে আমি বাড়ি ফিরেই হুজুরকে এনে একটা মিলাদের ব্যবস্থা করবো।’ আমিও তাতে রাজি হলাম। তবুও তুষারের আমাকে ফেলে যেতে বেশ চিন্তা হচ্ছিলো। তাই সে আমার ছোট ননদকে কল করে দুই-একদিনের ভেতর এখানে আসতে বলে। সঙ্গে আমার শাশুড়ীও আসবে। শুনে একটু খুশী হলাম। বাড়িতে একা থাকার চেয়ে তাদের এখানে চলে আসাই ভালো। এমনিতেও বছর শেষেই আমার শশুর-শাশুরি আর ননদ-দেবরের এখানে চলে আসার কথা। কিন্তু সামনেই দেবরের এক্সাম আছে তাই সবাই ঠিক করেছে একেবারে বছরটা শেষ করেই তারা এখানে শিফট হবে। - পরদিন আমার দিনটা খুব একটা ভালো যায় না। তুষারের জন্য অনেক মন খারাপ হচ্ছিলো। অদ্ভুত একটা ভয়ও মনের মধ্যে বাসা বেঁধে বসে ছিলো। সেদিন রাত দেড়টায় হঠাৎ বিকট এক শব্দে আচমকা ঘুম ভেঙে যায় আমার। রাত ভালোই হয়েছে। আমার আবার একটা বোধ অভ্যাস আছে। একবার ঘুম ভাঙলে সহজে ঘুম আসে না। তুষারটা চলে গেছে বিধায় মনটা কেমন কেমন জানি করছে। সারাটা দিনও আজকে কেমন যেন একগুয়ে কেটেছে। ফোনটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ ফেসবুকে স্ট্রোলিং করতে থাকি। হঠাৎ তুষারের কল আসে। প্রথমে একটু অবাক হই। এত রাতে কল করেছে?পরে ভাবলাম সারাদিন কাজ করে এখন হয়তো রাত জেগে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া হচ্ছে। ফোন রিসেভ করতেই তুষার একটা কথাই বলল,সব ঠিক আছে? ব্যাস সঙ্গে সঙ্গে লাইনটা কেটে যায়। নেট সমস্যা হয়তো। আমি উঠে বারান্দায় যাই। হঠাৎ দোলনার দিকে তাকাতেই মনে হলো কে যেন দোলনায় পা ঝুলিয়ে বসে গুন গুন করছে। মেয়েলি কন্ঠস্বর। আমার শরীরটা শিউরে উঠে। আয়াতুল কুরসী পড়তে পড়তে বারান্দার দরজা বন্ধ করে রুমে চলে এলাম। তুষারকে বেশ কয়েকটি কল করি, কিন্তু ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে। খুব ভয় করছিল আমার। হঠাৎ আননোন নাম্বার থেকে একটা কল আসে,কলটা ধরতেই ওপার থেকে ভেসে আসে একটা অস্পষ্ট কন্ঠ। ভয়েজটা কেটে কেটে আসছিল। ভাবলাম হয়তো কোন সমস্যা হয়েছে দেখে তুষার অন্য কারো নাম্বার থেকে কল করেছে। নেট সমস্যার কারনে কথা অস্পষ্ট শোনাচ্ছে । একটা কল আসার পর আর কোন কল আসে নি।তাই আমিও আর এহেন বিষয়ে এত মাথা ঘামালাম না। ঘুম আসছে না।এখনো ভয় করছে। বিছানায় এসে দোয়া পড়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছি। হঠাৎ অনুভূত হলো পিঠের ওপর কেমন যেন শীতল নিঃশ্বাস পতন হচ্ছে। ধীরে ধীরে নিঃশ্বাসের শব্দ বাড়তে শুরু করে। মনে হচ্ছে এই তো ঠিক আমার পেছনেই কেও একজন শুয়ে আছে। কিন্তু সেটা তো অসম্ভব বিষয়। বাড়িতে তো এই মুহুর্তে আমি ব্যাতিত কেউ নেই?আমি আয়াতুল্লাহ কুরসী আরো দ্রুত পড়তে শুরু করলাম।যত গুলো দোয়া মাথায় আসছে অনবরত তা পাঠ করছি। কিন্তু নিঃশ্বাসের শীতল বাতাসটা তখনো আমার পিঠে লাগছে। এবার আমি দোয়া পড়তে পড়তে আস্তে আস্তে করে ঘাড় বাঁকিয়ে পেছনে ফেরার চেষ্টা করি। পেছন ফিরতেই আমার চক্ষু চড়কগাছ।মুখ থেকে অস্পষ্ট স্বরে শুধু বেরিয়ে আসে, ‘নিপা ভাবী?’........ ✨সমাপ্ত
    Love
    Like
    3
    ·215 Views ·0 Reviews
  • জামাত বিএনপি এনসিপি বুঝি না।

    কোন ধরণের চেতনাবাজির সাথে আমি নাই।

    এই চেতনা দিয়েই আমার এলাকার সবচে নিরীহ, আমার দেখা এখন পর্যন্ত ফেরেশতার মতো মানুষ, হাফিজুর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।

    হাফিজুর ভাই তখন শিবির করতো, আমি তখন নতুন নতুন ছাত্র ইউনিয়নের মিটিং এ যাওয়া শুরু করেছি। ধর্মীয় রাজনীতি মুক্ত দেশের স্বপ্ন দেখতাম।

    বাট হাফিজুর ভাইকে এক মুহূর্তের জন্যও অপছন্দ করতে পারিনি।

    উনার সাথে আমার শেষ দেখা হয়েছিলো রাজশাহী সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে।

    দেখা হওয়ার পর হাতের বই রেখে উনার সাথে আড্ডা দিতে দিতে মালোপাড়ার এদিকে চলে আসলাম।

    হাফিজুর ভাই নতুন একটা ফ্ল্যাট নিসে। এডমিশন কোচিং করানোর জন্য।

    ঘুরে ঘুরে দেখাইলো। উনি রাজশাহী ইউনিভার্সিটির পাবলিক এডমিনে পড়েন তখন।

    কত স্বপ্ন!!

    আমরা খুশি হলাম। যাক, পলিটিকাল ঝগড়া গন্ডগোল করার একটা জায়গা হলো বলে।

    হাফিজুর ভাইকে আমি রাজাকার বলে গালি দিছি অনেকবার।

    বয়স কম।রক্ত গরম। প্রচুর তর্ক করতাম। ভাই আমার সাথে তর্কে কোনদিন জিতেন নাই।ইচ্ছা করেই হাইরা যাইতেন।

    আর হাসতেন।

    সেই হাফিজুর ভাইকে একদিন সকালে পুলিশ তুলে নিয়ে গেল।

    চারদিন পর মৃত ফেরত দিলো।

    ক্যান্সারের রোগী ছিলো। ওষুধটাও খাইতে দেয় নাই। বড় ভাই ওষুধ নিয়ে জেলগেটে গেছিলো। দিতে দেয় নাই।

    আমার আব্বুকে আমি কোনদিন কারো মৃত্যুতে কানতে দেখিনি।

    খুবই শক্ত মানুষ।

    হাফিজুর ভাইয়ের মৃত্যুর পর আব্বুকে আমি কানতে দেখছিলাম। বলছিলো, এতো ভালো একটা মানুষকেও এমনে মাইরা ফেলা যায়? এইটা কোন দেশ না জঙ্গল?

    সবচে দুঃখের ব্যাপার কী জানেন?

    যেই মামলাতে উনাকে তুলে নিয়ে মেরে দেওয়া হয়েছিলো, সেই মামলার রায় হয়েছে। সেই রায়ের কোথাও আমার ভাইটার নাম নাই।

    জাস্ট নিরীহ একটা ছেলেকে তুলে নিয়ে মেরে ফেলেছে।

    কেন? কারণ সে চেতনা ধারণ করে না।

    সেই থেকে এই চেতনা আমি ঘৃণা করি।

    আমি ছোট মানুষ, আইন কম বুঝি, রাজনীতিও কম বুঝি। শুধু এইটুক বুঝি, এই চেতনার স্কুইড গেম আমার দেখা সবচে ভালো মানুষটারে তুলে নিয়ে মেরে ফেলছে।

    এরপর থেকে এই চেতনা আমি ঘৃণা করি ।

    এই বাইনারি আমি ঘৃণা করি।

    আমি মুক্তিযুদ্ধকে ওউন করা মানুষ। ৭১ এর আগের শেখ মুজিব, ৭১ এর জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফ, কর্ণেল তাহের, ভাসানীরা আমার হিরো। আমার সবচে প্রিয় বইগুলোর একটার নাম জোছনা ও জননীর গল্প। আমার প্রিয় মুভির নাম শ্যামল ছায়া, আগুনের পরশমনি।

    আমি গণহত্যার পক্ষে থাকা সবার বিচার চাই। আমি গণহত্যার পক্ষে থাকা কারো রাজনীতি করতে দেওয়ার পক্ষেও না।

    বাট আমি এই চেতনা ব্যবসার বিরুদ্ধে।

    যেই চেতনা আমার ২১ বছরের নিরীহ ভাইটাকে রাজাকার বলে আমার কাছে থেকে নিয়ে গেছে, সেই চেতনার ব্যবসাকে আমি আজীবন ঘৃণা করে যাবো।

    সে আমার যত কাছের মানুষই সেই চেতনার ব্যবসা করুক না কেন!!
    #Sadiqur Rahman Khan
    জামাত বিএনপি এনসিপি বুঝি না। কোন ধরণের চেতনাবাজির সাথে আমি নাই। এই চেতনা দিয়েই আমার এলাকার সবচে নিরীহ, আমার দেখা এখন পর্যন্ত ফেরেশতার মতো মানুষ, হাফিজুর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। হাফিজুর ভাই তখন শিবির করতো, আমি তখন নতুন নতুন ছাত্র ইউনিয়নের মিটিং এ যাওয়া শুরু করেছি। ধর্মীয় রাজনীতি মুক্ত দেশের স্বপ্ন দেখতাম। বাট হাফিজুর ভাইকে এক মুহূর্তের জন্যও অপছন্দ করতে পারিনি। উনার সাথে আমার শেষ দেখা হয়েছিলো রাজশাহী সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে। দেখা হওয়ার পর হাতের বই রেখে উনার সাথে আড্ডা দিতে দিতে মালোপাড়ার এদিকে চলে আসলাম। হাফিজুর ভাই নতুন একটা ফ্ল্যাট নিসে। এডমিশন কোচিং করানোর জন্য। ঘুরে ঘুরে দেখাইলো। উনি রাজশাহী ইউনিভার্সিটির পাবলিক এডমিনে পড়েন তখন। কত স্বপ্ন!! আমরা খুশি হলাম। যাক, পলিটিকাল ঝগড়া গন্ডগোল করার একটা জায়গা হলো বলে। হাফিজুর ভাইকে আমি রাজাকার বলে গালি দিছি অনেকবার। বয়স কম।রক্ত গরম। প্রচুর তর্ক করতাম। ভাই আমার সাথে তর্কে কোনদিন জিতেন নাই।ইচ্ছা করেই হাইরা যাইতেন। আর হাসতেন। সেই হাফিজুর ভাইকে একদিন সকালে পুলিশ তুলে নিয়ে গেল। চারদিন পর মৃত ফেরত দিলো। ক্যান্সারের রোগী ছিলো। ওষুধটাও খাইতে দেয় নাই। বড় ভাই ওষুধ নিয়ে জেলগেটে গেছিলো। দিতে দেয় নাই। আমার আব্বুকে আমি কোনদিন কারো মৃত্যুতে কানতে দেখিনি। খুবই শক্ত মানুষ। হাফিজুর ভাইয়ের মৃত্যুর পর আব্বুকে আমি কানতে দেখছিলাম। বলছিলো, এতো ভালো একটা মানুষকেও এমনে মাইরা ফেলা যায়? এইটা কোন দেশ না জঙ্গল? সবচে দুঃখের ব্যাপার কী জানেন? যেই মামলাতে উনাকে তুলে নিয়ে মেরে দেওয়া হয়েছিলো, সেই মামলার রায় হয়েছে। সেই রায়ের কোথাও আমার ভাইটার নাম নাই। জাস্ট নিরীহ একটা ছেলেকে তুলে নিয়ে মেরে ফেলেছে। কেন? কারণ সে চেতনা ধারণ করে না। সেই থেকে এই চেতনা আমি ঘৃণা করি। আমি ছোট মানুষ, আইন কম বুঝি, রাজনীতিও কম বুঝি। শুধু এইটুক বুঝি, এই চেতনার স্কুইড গেম আমার দেখা সবচে ভালো মানুষটারে তুলে নিয়ে মেরে ফেলছে। এরপর থেকে এই চেতনা আমি ঘৃণা করি । এই বাইনারি আমি ঘৃণা করি। আমি মুক্তিযুদ্ধকে ওউন করা মানুষ। ৭১ এর আগের শেখ মুজিব, ৭১ এর জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফ, কর্ণেল তাহের, ভাসানীরা আমার হিরো। আমার সবচে প্রিয় বইগুলোর একটার নাম জোছনা ও জননীর গল্প। আমার প্রিয় মুভির নাম শ্যামল ছায়া, আগুনের পরশমনি। আমি গণহত্যার পক্ষে থাকা সবার বিচার চাই। আমি গণহত্যার পক্ষে থাকা কারো রাজনীতি করতে দেওয়ার পক্ষেও না। বাট আমি এই চেতনা ব্যবসার বিরুদ্ধে। যেই চেতনা আমার ২১ বছরের নিরীহ ভাইটাকে রাজাকার বলে আমার কাছে থেকে নিয়ে গেছে, সেই চেতনার ব্যবসাকে আমি আজীবন ঘৃণা করে যাবো। সে আমার যত কাছের মানুষই সেই চেতনার ব্যবসা করুক না কেন!! #Sadiqur Rahman Khan
    Love
    Like
    12
    1 Comments ·606 Views ·0 Reviews
  • "ভালোবাসা হলো সেই জিনিস, যা আপনার পছন্দের খাবারের মতো — কখনো টক, কখনো মিষ্টি, আর মাঝে মাঝে একটু মশলাদার!"
    "ভালোবাসা হলো সেই জিনিস, যা আপনার পছন্দের খাবারের মতো — কখনো টক, কখনো মিষ্টি, আর মাঝে মাঝে একটু মশলাদার!"
    Like
    Love
    2
    ·161 Views ·0 Reviews
  • "নিজের স্বপ্নের পেছনে ছুটছি, কারণ আমি জানি, আমার পথ অন্যদের মতো নয়!"
    "নিজের স্বপ্নের পেছনে ছুটছি, কারণ আমি জানি, আমার পথ অন্যদের মতো নয়!"
    Like
    2
    ·147 Views ·0 Reviews
  • মানুষ কয় অর্ধেক রুটি খরচ করলে কুকুর প্রেমে পইড়া যায়,অর্ধেক সিগারেট খরচ করলে শত্রুও বন্ধু হইয়্যা যায়, অথচ আমি আপনারে ভালোবাইসা আপনার লাইগ্যা আমার আস্ত একখান জীবন খরচ কইরা দিবার পরও আপনি মানুষখান আমার হইলেন না।

    দুনিয়ার কোন ভিক্ষুক অমন কইরা কারোও দরজায় ভিক্ষা চায় নাই, আমি যেমন কইরা আপনার দরজায় একচিমটি ভালোবাসা ভিক্ষা চাইছি। দুনিয়ার কোন মানুষ জীবন হারাইবার ভয়ে অমন হাউমাউ কইরা কাইন্দা উঠে নাই, আমি যেমন কইরা আপনারে হারানো ভয়ে কাইন্দা উঠছি। দুনিয়ার কোন ক্ষুধার্ত মানুষ খাওনের লাইগ্যা অত নতজানু হয় নাই, আমি যতখানি আপনার পাওনের লাইগয়া নতজানু হইছি। কোন নিঃসন্তান মা'ও সন্তান পাওনের লাইগাও অমন কইরা মাজার মসজিদে কপাল ঠেকায় নাই, আমি যেমন কইরা আপনারে পাওনের লাইগ্যা কপাল ঠেকাইছি। কোনো বেকার ছাওয়াল অমন কইরা চাকরি খুঁজে নাই আমি যেমন কইরা আপনারে পাওয়ার তরিকা খুঁজছি।

    দুনিয়ার বেবাক মানুষ বুঝল, আপনারে আমার লাগবোই লাগবো—শুধু আপনি মানুষখান বুঝলেন না।

    আপনারে গাঙ্গের জলে পাইলো, পথের ধূলে পাইলো, গাছের ফুলে পাইলো, আসমানের বৃষ্টি পাইলো, সমুদ্ররের জলে পাইলো, কবিতার ছন্দে পাইলো, গানে সুরে পাইলো, কত অজানা অচেনা মানুষ পাইলো–শুধু আমি মানুষখান আকুতি মিনতি কইরা চাইবার পরও আপনারে পাইলাম না। আমার চাওয়ায় বুঝি এতো পাপ?

    মসজিদে লেহা জান্নাত মিলে, মন্দিরে লেহা মুঙ্গল মিলে, স্কুলে লেহা শিক্ষা মিলে, রেষ্টুরেন্ট লেহা খাবার মিলে, ফার্মিসিতে লেহা ঔষুধ মিলে। অথচ শালা আমি তামাম দুনিয়া তন্নতন্ন কইরা খুুঁইজাও এমন একখান লেহা পাইলাম না যেইখানে গেলে আপনারে মিলে। আপনি কি আমারে কইবার পারেন-কোনখানে গেলে আপনারে পামু, কোনখানে গেলে আপনারে মিলে?..

    লেখা: আরিফ হুসাইন
    মানুষ কয় অর্ধেক রুটি খরচ করলে কুকুর প্রেমে পইড়া যায়,অর্ধেক সিগারেট খরচ করলে শত্রুও বন্ধু হইয়্যা যায়, অথচ আমি আপনারে ভালোবাইসা আপনার লাইগ্যা আমার আস্ত একখান জীবন খরচ কইরা দিবার পরও আপনি মানুষখান আমার হইলেন না। দুনিয়ার কোন ভিক্ষুক অমন কইরা কারোও দরজায় ভিক্ষা চায় নাই, আমি যেমন কইরা আপনার দরজায় একচিমটি ভালোবাসা ভিক্ষা চাইছি। দুনিয়ার কোন মানুষ জীবন হারাইবার ভয়ে অমন হাউমাউ কইরা কাইন্দা উঠে নাই, আমি যেমন কইরা আপনারে হারানো ভয়ে কাইন্দা উঠছি। দুনিয়ার কোন ক্ষুধার্ত মানুষ খাওনের লাইগ্যা অত নতজানু হয় নাই, আমি যতখানি আপনার পাওনের লাইগয়া নতজানু হইছি। কোন নিঃসন্তান মা'ও সন্তান পাওনের লাইগাও অমন কইরা মাজার মসজিদে কপাল ঠেকায় নাই, আমি যেমন কইরা আপনারে পাওনের লাইগ্যা কপাল ঠেকাইছি। কোনো বেকার ছাওয়াল অমন কইরা চাকরি খুঁজে নাই আমি যেমন কইরা আপনারে পাওয়ার তরিকা খুঁজছি। দুনিয়ার বেবাক মানুষ বুঝল, আপনারে আমার লাগবোই লাগবো—শুধু আপনি মানুষখান বুঝলেন না। আপনারে গাঙ্গের জলে পাইলো, পথের ধূলে পাইলো, গাছের ফুলে পাইলো, আসমানের বৃষ্টি পাইলো, সমুদ্ররের জলে পাইলো, কবিতার ছন্দে পাইলো, গানে সুরে পাইলো, কত অজানা অচেনা মানুষ পাইলো–শুধু আমি মানুষখান আকুতি মিনতি কইরা চাইবার পরও আপনারে পাইলাম না। আমার চাওয়ায় বুঝি এতো পাপ? মসজিদে লেহা জান্নাত মিলে, মন্দিরে লেহা মুঙ্গল মিলে, স্কুলে লেহা শিক্ষা মিলে, রেষ্টুরেন্ট লেহা খাবার মিলে, ফার্মিসিতে লেহা ঔষুধ মিলে। অথচ শালা আমি তামাম দুনিয়া তন্নতন্ন কইরা খুুঁইজাও এমন একখান লেহা পাইলাম না যেইখানে গেলে আপনারে মিলে। আপনি কি আমারে কইবার পারেন-কোনখানে গেলে আপনারে পামু, কোনখানে গেলে আপনারে মিলে?.. লেখা: আরিফ হুসাইন
    Love
    Like
    Haha
    27
    1 Comments ·870 Views ·0 Reviews
  • আমারে হারাইতে দিওনা সোনাই, আমারে হারাইতে দিলে তোমার ম্যালা ক্ষয়ক্ষতি হইবো। মন খারাপ হইবো কইতাছিনা, তয় তোমার মুখে অরুচি বাসা বাঁধবো, তিন-চারদিন তুমি ভাত সামনে লইয়্যা বইয়া থাকবা কিন্তু খাইবার পারবা না। একটা লোকমা দিয়া পরের লোকমা গলায় আটকাইয়া যাইবো, তুমি ভাববা আমি তোমারে মনে করতাছি। অথচ আমার মনের আনাচে-কানাচে কোথাও তুমি থাকবা না।

    আমি তোমারে ভুইলা যামু, আমি তখন ব্যাস্ত থাকুমু,আমারে যারে বুকে হারাইতে দিছো তারে লইয়্যা। সে কি খাইতে পছন্দ করে ছোট মাছের ঝোল? নাকি ইলিশ মাছ, শুটকির ভর্তা নাকি কষা মাংস।

    আমারে হারাইতে দিওনা সোনাই, আমারে হারাইতে দিলে ম্যালা ক্ষয়ক্ষতি হইবো। তোমার জীবন হইবো মাছের মতন, অক্সিজেন শূন্য হইবো ফুসফুস, তোমার জীবনখান আউলািয়া যাইবো। তুমি ভাববা আমিও তোমার অভাবে তোমার মতোন আউলিয়া যামু, অথচ তোমার ধারনা ভুল। তুমি যহন আমার লাইগ্যা মন খারাপ করবা, আমি তহন আমারে যার বুকে হারাইতে দিছো তার পছন্দ অপছন্দ নিয়া ব্যাস্ত থাকমু। কোন রঙের শাড়িতে আমারে ভালো মানাইবো? কাচের কাকন নাকি মেটালের চুড়ি পরলে মানুষটা খুশি হইবো। কপালে কালো টিপ নাকি ঠোটে লিপিস্টিক, কানের ঝুমকো নাকি চোখের কাজল।

    আমি তোমার লাইগ্যা একচিমটিও মন খারাপ করুম না। আমি মন খারাপ করুম,আমারে যার বুকে হারাইতে দিছো তাঁরে লইয়্যা, তাঁর সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতে দেরি হইলে, কোনো অপরিচিত নাম্বার থেইকা তাঁর ফোনে মেয়েলী কন্ঠ ভাইসা আইলে। আমি মন খারাপ করুম তার শার্টে লম্বা চুল পাইলে।

    আমি তোমার লাইগ্যা কাইন্দা কাইন্দা আর চোখ ফুলামুনা, রাইত জাইগা চোখের নিচে দাগ ফালামুনা। আমারে যার বুকে হারাইতে দিছো, আমি তার বুকে শুইয়া বাবুর নাম নিয়া মিষ্টি ঝগড়া করুম, হানিমুনের আলাপ উঠতেই লজ্জাতে গাল করুম লাল লাল। তুমি যহন আমার অভাবে নরম ঠোঁটে সিগারেট ঠাইসা দিবা, আমি তহন আমারে যার বুকে হারাইতে দিছো, তাঁর ঠোঁটে চুমু খামু, নরম আঙুলে শক্ত কইরা ধরুম চুলে।

    আমারে হারাইতে দিওনা সোনই, আমারে হারাইতে দিলে তোমার ম্যালা ক্ষয়ক্ষতি হইবো।

    যেই আমি তোমারে নাকের নঁথে আটকাইবার চাইলাম, শাড়ির আঁচলে বাধঁতে চাইলাম, আলুথালু কইরা একটা জীবন তোমার লগে সংসার কইরা কাটাইয়া দিবার চাইলাম, সেই আমি তোমারে ভুইলা যামু। কী বিশ্রী ভাবে'ই না ভুইলা যামু।

    নিজেরে বুঝামু আমি তুমি থাকলে যেই সংসার হইতো এখনও সেই সংসার হইবো, তুমি রাইখা দিলে তোমার লগে আর ফিরাইয়া দিলে আলাদা মানুষ, নিয়ম-কানুন সব'তো একওই।

    লেখা: আরিফ হুসাইন
    #বৃহস্পপতিবার
    আমারে হারাইতে দিওনা সোনাই, আমারে হারাইতে দিলে তোমার ম্যালা ক্ষয়ক্ষতি হইবো। মন খারাপ হইবো কইতাছিনা, তয় তোমার মুখে অরুচি বাসা বাঁধবো, তিন-চারদিন তুমি ভাত সামনে লইয়্যা বইয়া থাকবা কিন্তু খাইবার পারবা না। একটা লোকমা দিয়া পরের লোকমা গলায় আটকাইয়া যাইবো, তুমি ভাববা আমি তোমারে মনে করতাছি। অথচ আমার মনের আনাচে-কানাচে কোথাও তুমি থাকবা না। আমি তোমারে ভুইলা যামু, আমি তখন ব্যাস্ত থাকুমু,আমারে যারে বুকে হারাইতে দিছো তারে লইয়্যা। সে কি খাইতে পছন্দ করে ছোট মাছের ঝোল? নাকি ইলিশ মাছ, শুটকির ভর্তা নাকি কষা মাংস। আমারে হারাইতে দিওনা সোনাই, আমারে হারাইতে দিলে ম্যালা ক্ষয়ক্ষতি হইবো। তোমার জীবন হইবো মাছের মতন, অক্সিজেন শূন্য হইবো ফুসফুস, তোমার জীবনখান আউলািয়া যাইবো। তুমি ভাববা আমিও তোমার অভাবে তোমার মতোন আউলিয়া যামু, অথচ তোমার ধারনা ভুল। তুমি যহন আমার লাইগ্যা মন খারাপ করবা, আমি তহন আমারে যার বুকে হারাইতে দিছো তার পছন্দ অপছন্দ নিয়া ব্যাস্ত থাকমু। কোন রঙের শাড়িতে আমারে ভালো মানাইবো? কাচের কাকন নাকি মেটালের চুড়ি পরলে মানুষটা খুশি হইবো। কপালে কালো টিপ নাকি ঠোটে লিপিস্টিক, কানের ঝুমকো নাকি চোখের কাজল। আমি তোমার লাইগ্যা একচিমটিও মন খারাপ করুম না। আমি মন খারাপ করুম,আমারে যার বুকে হারাইতে দিছো তাঁরে লইয়্যা, তাঁর সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতে দেরি হইলে, কোনো অপরিচিত নাম্বার থেইকা তাঁর ফোনে মেয়েলী কন্ঠ ভাইসা আইলে। আমি মন খারাপ করুম তার শার্টে লম্বা চুল পাইলে। আমি তোমার লাইগ্যা কাইন্দা কাইন্দা আর চোখ ফুলামুনা, রাইত জাইগা চোখের নিচে দাগ ফালামুনা। আমারে যার বুকে হারাইতে দিছো, আমি তার বুকে শুইয়া বাবুর নাম নিয়া মিষ্টি ঝগড়া করুম, হানিমুনের আলাপ উঠতেই লজ্জাতে গাল করুম লাল লাল। তুমি যহন আমার অভাবে নরম ঠোঁটে সিগারেট ঠাইসা দিবা, আমি তহন আমারে যার বুকে হারাইতে দিছো, তাঁর ঠোঁটে চুমু খামু, নরম আঙুলে শক্ত কইরা ধরুম চুলে। আমারে হারাইতে দিওনা সোনই, আমারে হারাইতে দিলে তোমার ম্যালা ক্ষয়ক্ষতি হইবো। যেই আমি তোমারে নাকের নঁথে আটকাইবার চাইলাম, শাড়ির আঁচলে বাধঁতে চাইলাম, আলুথালু কইরা একটা জীবন তোমার লগে সংসার কইরা কাটাইয়া দিবার চাইলাম, সেই আমি তোমারে ভুইলা যামু। কী বিশ্রী ভাবে'ই না ভুইলা যামু। নিজেরে বুঝামু আমি তুমি থাকলে যেই সংসার হইতো এখনও সেই সংসার হইবো, তুমি রাইখা দিলে তোমার লগে আর ফিরাইয়া দিলে আলাদা মানুষ, নিয়ম-কানুন সব'তো একওই। লেখা: আরিফ হুসাইন #বৃহস্পপতিবার
    Love
    Like
    9
    ·292 Views ·0 Reviews
More Results
Jono Sathi - Bangladeshi Social Media Platform https://jonosathi.com