এই ক্যাচালে যা হবে, অ্যাপলিটিক্যাল জেন যি, যারা জুলাই থেকে হুট করে দেশ নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলো, এরা আবারও এসব থেকে দূরে সরে যাবে।
এইটা বিএনপির জন্য কোন সমস্যা না। বিএনপির অলরেডি কোটি কোটি ভোটার সমর্থক আছে।
জামাতের জন্যও সমস্যা না। জামায়াত ১০% ভোট পাইলেই খুশি।
সমস্যাটা হবে এনসিপি, আপ বাংলাদেশ বা ইনকিলাব মঞ্চের মতো নতুন ইনিশিয়েটিভগুলোর।
তরুণরা ভাববে যে আসলে এরা সবাই খারাপ, ধান্দাবাজ। এটুকু ভাবলেই রাজনীতির নতুন বন্দোবস্তের আকাশ ভরা তারা হয়ে যাবে।
হাসিনার বিরুদ্ধে কোন রাজনৈতিক আন্দোলনে সাধারণ মানুষ বা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির পোলাপাইন আসতো না কেন?
কারণ মানুষ মনে করতো, লাভ নাই। একদল ক্ষমতা ছাড়বে আরেকদল নিবে, আমার কী?
যত ন্যায্য দাবিই হোক, মানুষ যখনই মনে করতো এখানে রাজনীতি আছে, তখনই সাথে সাথে সেখান থেকে মুখ ঘুরাইয়া নিতো।
এইজন্যই দেখবেন ২০১৮ র কোটা আন্দোলন বা নিরাপদ সড়ক আন্দোলন বা ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনে বারবার নেতাদের বলতে হয়েছে এখানে কোন রাজনীতি নাই।
এজন্যই বিএনপি, জামাত বা বাংলাদেশের ৪০ টা রাজনৈতিক দল ১০০ বার সরকার পতনের ডাক দিলেও মানুষ ঐটার জন্য আসে নাই। মরেও নাই।
সবাই ভাবছে, আমার লাভ কী মরে? ক্ষমতা তো পাবে ওরা।
তবে নাহিদ, আসিফ, হাসনাতদের ডাকে মানুষ এসেছিলো। ডান, বাম, সবাই আসছিলো। হাসিনার পতনও এইজন্যই হয়েছিলো।
এখানে রাজনৈতিক কোন নেতা যদি নাহিদের বদলে এক দফার ডাক দিতো, কেউ আসতো না। মনে করতো, ক্ষমতার লোভে ডাকতেছে, আমার লাভ কী?
সমস্যা হলো, বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের মতো এনসিপিকেও এখন মানুষ অবিশ্বাস করতে শুরু করেছে।
ফলাফল হলো, মানুষ আবারও রাজনীতি থেকে মুখ ফিরাইয়া নিবে।
দেখেন, মানুষ এতো জটিল কিছুই বোঝে না। মানুষ কখনোই খতিয়ে দেখতে যায় না, দোষ এখানে কার? জামাতের, শিবিরের নাকি এনসিপির?
যেহেতু গ্যাঞ্জাম হচ্ছে, মানুষ বলবে সব শালাই বাটপার।
এই বাটপার একবার বলে ফেললেই আপনার রাজনীতি শেষ।
আপনার ডাকে কেউ আসবে না, যেভাবে বিএনপি জামায়াতের ডাকে আগে আসে নাই।
দেখেন, সংবিধান লিখে, আইন করে পৃথিবীর কোন সরকারকেই ভদ্র সরকার বানাতে পারবেন না। কাল ক্ষমতায় বিএনপি আসুক, জামায়াত আসুক বা এনসিপিই আসুক, সরকার সবসময়ই জালিম হয়।
ইউনূসের সরকার জালিম হতে পারতেছে না কারণ মাঠ তাদের নিয়ন্ত্রণে নাই।
বাট পলিটিকাল সরকারের মাঠ আছে।
এরা আপনার ঘরে যাইয়া আপনাকে মাইরা আইসা বলবে, আমরা মারি নাই। কে মেরেছে জানি না।
এই জুলুম থেকে আপনি কখন বাঁচতে পারবেন?
যখন ১৮ কোটি মানুষ পলিটিকাল হয়ে উঠবে। যখন আপনাকে মারার সাথে সাথে চতুর্দিক থেকে হইহই রব উঠবে, তখন সরকার আপনাকে মারতে ভয় পাবে।
আর সরকার কখন মাইরা মজা পাবে?
যখন মানুষ ভাববে বাটপারের দল মাইর খাইছে ঠিক হইছে। আমার কী?
এনসিপির সামনে সুযোগ ছিলো নতুন রাজনীতি দিয়ে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হুট করে জেগে উঠা রাজনীতিটাকে জিইয়ে রাখার।
বাট খুব সম্ভবত এনসিপি ঐটা পারতেছে না।
বিএনপি বা জামায়াতের উপর ভরসা আমার কখনোই ছিলো না। বাট মনে হয়েছিলো এনসিপি হয়তো পুরনো ক্যাচাল, পুরনো বিভাজন থেকে বের হয়ে নতুন একটা রাজনীতি নিয়ে আসতে পারবে।
বাট সেই আশা ধীরে ধীরে ফিকে হচ্ছে।
বারবার বলেছি যে ফেসবুক থেকে বের হয়ে সাত বিভাগে সাতটা মহাসমাবেশ করেন, মানুষের কাছে যান, মানুষের সাথে মিশেন, কথা বলেন। খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, চট্টগ্রাম বা বরিশাল লং মার্চ দেন।
বাট কিছুই হয় নাই এখনও পর্যন্ত।
বরং এরাও ঐ প্রেসক্লাব আর শাহবাগের কিছু সংগঠনের মতো বিবৃতি বিবৃতি খেলতে আর আজাইরা গ্যাঞ্জাম করতেই বেশি আগ্রহী হয়ে পড়েছে।
এই ফাকে সাধারণ মানুষের মধ্যে, অ্যাপলিটিক্যাল জেন জিরা আবার হতাশ হয়ে রাজনীতিতে আগ্রহ হারাতে শুরু করেছে।
আর হতাশার দরজা দিয়েই একটা দেশে ফ্যাসিবাদ সবচে ভালোভাবে ঢোকার সুযোগ পায়।
#Sadiqur Rahman Khan
এই ক্যাচালে যা হবে, অ্যাপলিটিক্যাল জেন যি, যারা জুলাই থেকে হুট করে দেশ নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলো, এরা আবারও এসব থেকে দূরে সরে যাবে।
এইটা বিএনপির জন্য কোন সমস্যা না। বিএনপির অলরেডি কোটি কোটি ভোটার সমর্থক আছে।
জামাতের জন্যও সমস্যা না। জামায়াত ১০% ভোট পাইলেই খুশি।
সমস্যাটা হবে এনসিপি, আপ বাংলাদেশ বা ইনকিলাব মঞ্চের মতো নতুন ইনিশিয়েটিভগুলোর।
তরুণরা ভাববে যে আসলে এরা সবাই খারাপ, ধান্দাবাজ। এটুকু ভাবলেই রাজনীতির নতুন বন্দোবস্তের আকাশ ভরা তারা হয়ে যাবে।
হাসিনার বিরুদ্ধে কোন রাজনৈতিক আন্দোলনে সাধারণ মানুষ বা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির পোলাপাইন আসতো না কেন?
কারণ মানুষ মনে করতো, লাভ নাই। একদল ক্ষমতা ছাড়বে আরেকদল নিবে, আমার কী?
যত ন্যায্য দাবিই হোক, মানুষ যখনই মনে করতো এখানে রাজনীতি আছে, তখনই সাথে সাথে সেখান থেকে মুখ ঘুরাইয়া নিতো।
এইজন্যই দেখবেন ২০১৮ র কোটা আন্দোলন বা নিরাপদ সড়ক আন্দোলন বা ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনে বারবার নেতাদের বলতে হয়েছে এখানে কোন রাজনীতি নাই।
এজন্যই বিএনপি, জামাত বা বাংলাদেশের ৪০ টা রাজনৈতিক দল ১০০ বার সরকার পতনের ডাক দিলেও মানুষ ঐটার জন্য আসে নাই। মরেও নাই।
সবাই ভাবছে, আমার লাভ কী মরে? ক্ষমতা তো পাবে ওরা।
তবে নাহিদ, আসিফ, হাসনাতদের ডাকে মানুষ এসেছিলো। ডান, বাম, সবাই আসছিলো। হাসিনার পতনও এইজন্যই হয়েছিলো।
এখানে রাজনৈতিক কোন নেতা যদি নাহিদের বদলে এক দফার ডাক দিতো, কেউ আসতো না। মনে করতো, ক্ষমতার লোভে ডাকতেছে, আমার লাভ কী?
সমস্যা হলো, বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের মতো এনসিপিকেও এখন মানুষ অবিশ্বাস করতে শুরু করেছে।
ফলাফল হলো, মানুষ আবারও রাজনীতি থেকে মুখ ফিরাইয়া নিবে।
দেখেন, মানুষ এতো জটিল কিছুই বোঝে না। মানুষ কখনোই খতিয়ে দেখতে যায় না, দোষ এখানে কার? জামাতের, শিবিরের নাকি এনসিপির?
যেহেতু গ্যাঞ্জাম হচ্ছে, মানুষ বলবে সব শালাই বাটপার।
এই বাটপার একবার বলে ফেললেই আপনার রাজনীতি শেষ।
আপনার ডাকে কেউ আসবে না, যেভাবে বিএনপি জামায়াতের ডাকে আগে আসে নাই।
দেখেন, সংবিধান লিখে, আইন করে পৃথিবীর কোন সরকারকেই ভদ্র সরকার বানাতে পারবেন না। কাল ক্ষমতায় বিএনপি আসুক, জামায়াত আসুক বা এনসিপিই আসুক, সরকার সবসময়ই জালিম হয়।
ইউনূসের সরকার জালিম হতে পারতেছে না কারণ মাঠ তাদের নিয়ন্ত্রণে নাই।
বাট পলিটিকাল সরকারের মাঠ আছে।
এরা আপনার ঘরে যাইয়া আপনাকে মাইরা আইসা বলবে, আমরা মারি নাই। কে মেরেছে জানি না।
এই জুলুম থেকে আপনি কখন বাঁচতে পারবেন?
যখন ১৮ কোটি মানুষ পলিটিকাল হয়ে উঠবে। যখন আপনাকে মারার সাথে সাথে চতুর্দিক থেকে হইহই রব উঠবে, তখন সরকার আপনাকে মারতে ভয় পাবে।
আর সরকার কখন মাইরা মজা পাবে?
যখন মানুষ ভাববে বাটপারের দল মাইর খাইছে ঠিক হইছে। আমার কী?
এনসিপির সামনে সুযোগ ছিলো নতুন রাজনীতি দিয়ে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হুট করে জেগে উঠা রাজনীতিটাকে জিইয়ে রাখার।
বাট খুব সম্ভবত এনসিপি ঐটা পারতেছে না।
বিএনপি বা জামায়াতের উপর ভরসা আমার কখনোই ছিলো না। বাট মনে হয়েছিলো এনসিপি হয়তো পুরনো ক্যাচাল, পুরনো বিভাজন থেকে বের হয়ে নতুন একটা রাজনীতি নিয়ে আসতে পারবে।
বাট সেই আশা ধীরে ধীরে ফিকে হচ্ছে।
বারবার বলেছি যে ফেসবুক থেকে বের হয়ে সাত বিভাগে সাতটা মহাসমাবেশ করেন, মানুষের কাছে যান, মানুষের সাথে মিশেন, কথা বলেন। খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, চট্টগ্রাম বা বরিশাল লং মার্চ দেন।
বাট কিছুই হয় নাই এখনও পর্যন্ত।
বরং এরাও ঐ প্রেসক্লাব আর শাহবাগের কিছু সংগঠনের মতো বিবৃতি বিবৃতি খেলতে আর আজাইরা গ্যাঞ্জাম করতেই বেশি আগ্রহী হয়ে পড়েছে।
এই ফাকে সাধারণ মানুষের মধ্যে, অ্যাপলিটিক্যাল জেন জিরা আবার হতাশ হয়ে রাজনীতিতে আগ্রহ হারাতে শুরু করেছে।
আর হতাশার দরজা দিয়েই একটা দেশে ফ্যাসিবাদ সবচে ভালোভাবে ঢোকার সুযোগ পায়।
#Sadiqur Rahman Khan