
-
-
নিজের ছেলের কিডনি দিয়ে দুই রোগীর জীবন বাঁচালেন চিকিৎসক মা
পাকিস্তানের করাচির একজন নারী চিকিৎসক (নেফ্রোলজিস্ট) তার ২৩ বছর বয়সি একমাত্র ছেলের উভয় কিডনি দান করেছেন, যার ফলে রক্ষা পেয়েছে কিডনি প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় থাকা দুই রোগীর জীবন। জানা যায়, মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনার পর ওই চিকিৎসকের ছেলেকে ‘ব্রেন ডেড’ ঘোষণা করা হয়েছিল
দ্য নিউজের বরাতে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভি এ খবর দিয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, দুর্ঘটনার শিকার সৈয়দ সুলতান জাফর (২৩) জিয়াউদ্দিন মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কলেজের একজন ডেন্টাল শিক্ষার্থী ছিলেন, যিনি সিন্ধু ইনস্টিটিউট অব ইউরোলজি অ্যান্ড ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন (এসআইইউটি)-এর কনসালট্যান্ট নেফ্রোলজিস্ট এবং সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহার আফরোজের একমাত্র ছেলে।
সুলতান জাফর পাকিস্তানের অত্যন্ত সম্মানিত দুই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ - অধ্যাপক টিপু সুলতান এবং অধ্যাপক ডা. শেরশাহ সৈয়দের নাতি।
অধ্যাপক টিপুর মতে, মৃতের বাবা সৈয়দ ফুরকান জাফর কয়েক বছর আগে লিভার ক্যান্সারে মারা যান এবং তাকে কোহি গোথে সমাহিত করা হয়েছে, যেখানে পরিবারটি একটি দাতব্য হাসপাতাল পরিচালনা করে। সুলতান জাফরকে তার বাবার পাশে সমাহিত করা হবে।
পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে অধ্যাপক টিপু সুলতান বলেন, গত বুধবার সকালে করাচির একটি বেসরকারি হাউজিং সোসাইটিতে বন্ধুদের সাথে গাড়ি চালানোর সময় সুলতান জাফর এক মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হন।
তিনি আরও বলেন, ‘মাথায় একাধিক আঘাতের কারণে জাফরকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পৌঁছানোর পর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ইনটিউবেশন করা হয় এবং প্রাথমিক অস্ত্রোপচারের পর মস্তিষ্ক থেকে জমাট বাঁধা রক্ত অপসারণের জন্য আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।’
অধ্যাপক টিপুর মতে, ‘সুলতানকে পরে আবারও অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় আরেকটি ক্র্যানিওটমির জন্য। আমরা সেই দিনগুলো ক্রমাগত ভয় এবং যন্ত্রণার মধ্যে কাটিয়েছি।’
সুলতান জাফরের প্রাথমিকভাবে উন্নতির লক্ষণ দেখা যায় এবং তাকে নার্সিং কেয়ারের জন্য একটি ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই তার অবস্থার অবনতি ঘটে। অধ্যাপক টিপু বলেন, ‘জাফরের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং তাকে আবার আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। পুনরায় ইনটিউবেশন করা হলেও তার চোখের পাতাগুলো স্থির হয়ে যায়।’
অধ্যাপক টিপু কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,
আমরা যা পার করেছি তা বর্ণনা করার মতো কোনো শব্দ নেই। পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আইসিইউর বাইরে দীর্ঘ আলোচনার পর, মাহার আফরোজ (জাফরের মা) তার জীবনের সবচেয়ে নিঃস্বার্থ এবং সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন - ছেলের অঙ্গ দান করার - যাতে অন্যরা বাঁচতে পারে।
জানা গেছে, ডা. আফরোজ ব্যক্তিগতভাবে তার ছেলের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে এসআইইউটি-তে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।
অধ্যাপক টিপু বলেন, ‘তিনি (মাহার আফরোজ) একজন নেফ্রোলজিস্ট যিনি অঙ্গদাতার অভাবে প্রতিদিন রোগীদের মৃত্যু দেখতে পান।’
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসআইইউটি-তে জাফরের উভয় কিডনিই বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষায় থাকা দুই রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে তার অন্যান্য অঙ্গ সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি।
সূত্র: জিও নিউজ
নিজের ছেলের কিডনি দিয়ে দুই রোগীর জীবন বাঁচালেন চিকিৎসক মা পাকিস্তানের করাচির একজন নারী চিকিৎসক (নেফ্রোলজিস্ট) তার ২৩ বছর বয়সি একমাত্র ছেলের উভয় কিডনি দান করেছেন, যার ফলে রক্ষা পেয়েছে কিডনি প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় থাকা দুই রোগীর জীবন। জানা যায়, মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনার পর ওই চিকিৎসকের ছেলেকে ‘ব্রেন ডেড’ ঘোষণা করা হয়েছিল দ্য নিউজের বরাতে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভি এ খবর দিয়েছে। প্রতিবেদন মতে, দুর্ঘটনার শিকার সৈয়দ সুলতান জাফর (২৩) জিয়াউদ্দিন মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কলেজের একজন ডেন্টাল শিক্ষার্থী ছিলেন, যিনি সিন্ধু ইনস্টিটিউট অব ইউরোলজি অ্যান্ড ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন (এসআইইউটি)-এর কনসালট্যান্ট নেফ্রোলজিস্ট এবং সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহার আফরোজের একমাত্র ছেলে। সুলতান জাফর পাকিস্তানের অত্যন্ত সম্মানিত দুই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ - অধ্যাপক টিপু সুলতান এবং অধ্যাপক ডা. শেরশাহ সৈয়দের নাতি। অধ্যাপক টিপুর মতে, মৃতের বাবা সৈয়দ ফুরকান জাফর কয়েক বছর আগে লিভার ক্যান্সারে মারা যান এবং তাকে কোহি গোথে সমাহিত করা হয়েছে, যেখানে পরিবারটি একটি দাতব্য হাসপাতাল পরিচালনা করে। সুলতান জাফরকে তার বাবার পাশে সমাহিত করা হবে। পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে অধ্যাপক টিপু সুলতান বলেন, গত বুধবার সকালে করাচির একটি বেসরকারি হাউজিং সোসাইটিতে বন্ধুদের সাথে গাড়ি চালানোর সময় সুলতান জাফর এক মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি আরও বলেন, ‘মাথায় একাধিক আঘাতের কারণে জাফরকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পৌঁছানোর পর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ইনটিউবেশন করা হয় এবং প্রাথমিক অস্ত্রোপচারের পর মস্তিষ্ক থেকে জমাট বাঁধা রক্ত অপসারণের জন্য আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।’ অধ্যাপক টিপুর মতে, ‘সুলতানকে পরে আবারও অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় আরেকটি ক্র্যানিওটমির জন্য। আমরা সেই দিনগুলো ক্রমাগত ভয় এবং যন্ত্রণার মধ্যে কাটিয়েছি।’ সুলতান জাফরের প্রাথমিকভাবে উন্নতির লক্ষণ দেখা যায় এবং তাকে নার্সিং কেয়ারের জন্য একটি ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই তার অবস্থার অবনতি ঘটে। অধ্যাপক টিপু বলেন, ‘জাফরের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং তাকে আবার আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। পুনরায় ইনটিউবেশন করা হলেও তার চোখের পাতাগুলো স্থির হয়ে যায়।’ অধ্যাপক টিপু কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা যা পার করেছি তা বর্ণনা করার মতো কোনো শব্দ নেই। পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আইসিইউর বাইরে দীর্ঘ আলোচনার পর, মাহার আফরোজ (জাফরের মা) তার জীবনের সবচেয়ে নিঃস্বার্থ এবং সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন - ছেলের অঙ্গ দান করার - যাতে অন্যরা বাঁচতে পারে। জানা গেছে, ডা. আফরোজ ব্যক্তিগতভাবে তার ছেলের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে এসআইইউটি-তে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। অধ্যাপক টিপু বলেন, ‘তিনি (মাহার আফরোজ) একজন নেফ্রোলজিস্ট যিনি অঙ্গদাতার অভাবে প্রতিদিন রোগীদের মৃত্যু দেখতে পান।’ জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসআইইউটি-তে জাফরের উভয় কিডনিই বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষায় থাকা দুই রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে তার অন্যান্য অঙ্গ সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। সূত্র: জিও নিউজ -
লেক ভিক্টোরিয়ার বুকে ভেসে থাকা মিগিংগো দ্বীপটি যেন এক জীবন্ত বিস্ময়! মাত্র ০.০০০৮ বর্গমাইল (প্রায় ০.৫ একর) আয়তনের এই ছোট্ট পাথরের টুকরাটিই পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ স্থান। ২০০৯ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, এর জনসংখ্যা ছিল ১৩১ জন, যাদের বেশিরভাগই জেলে ও ব্যবসায়ী। ভাবুন তো, এর জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৬৫,৫০০ জনেরও বেশি – যা হংকংয়ের চেয়েও তিনগুণ বেশি!
আশ্চর্যজনকভাবে, নব্বইয়ের দশকের আগেও মিগিংগো দ্বীপটি লেক ভিক্টোরিয়ার জলের নিচে ছিল! হ্রদের জলস্তর নামতে শুরু করলে এটি একটি পাথরের টুকরা হিসেবে ভেসে ওঠে। ১৯৯১ সালে কেনিয়ার দুই জেলে প্রথম এখানে বসতি স্থাপন করেন, যদিও উগান্ডাও পরে বসতি স্থাপনের দাবি করে।
কিন্তু কেন এই ছোট্ট পাথরের টুকরায় এত মানুষের ভিড়? এর আসল মূল্য তার পাথুরে জমিতে নয়, বরং এর চারপাশের জলে থাকা “নাইল পার্চ মাছের” অফুরন্ত ভাণ্ডারে। অন্যান্য এলাকায় মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায়, এই সমৃদ্ধ মাছের ভাণ্ডারই হাজার হাজার জেলে ও ব্যবসায়ীকে এই ছোট্ট দ্বীপে টেনে এনেছে।
এই ক্ষুদ্র দ্বীপটিই কেনিয়া ও উগান্ডার মধ্যে এক বড় সীমান্ত বিবাদের জন্ম দিয়েছে, যা ২০০৮-২০০৯ সালে প্রায় যুদ্ধ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। যদিও জরিপে দ্বীপটি কেনিয়ার অংশে পড়েছে, তবে এর আশেপাশের বেশিরভাগ লাভজনক মাছ ধরার জলসীমা উগান্ডার অন্তর্গত। তাই এই বিবাদ আসলে দ্বীপের মালিকানা নিয়ে নয়, বরং নাইল পার্চ মাছ ধরার অধিকার নিয়েই। ২০০৯ সালে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে যৌথ প্রশাসন ও মাছ ধরার সুযোগ ভাগ করে নেওয়ার একটি চুক্তি হলেও, উত্তেজনা আজও বিদ্যমান।
চরম ঘনবসতি, সীমিত স্থান এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের অভাব (দ্বীপে কোনো প্রাকৃতিক গাছপালা নেই) সত্ত্বেও, মিগিংগো একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্ষুদ্র নগরীর রূপ নিয়েছে। এখানে মানুষজন গাদাগাদি করে থাকলেও, তারা নিজেদের মতো করে জীবনযাপন করছে, যা মানুষের অবিশ্বাস্য সহনশীলতা ও প্রতিকূলতার সাথে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকে তুলে ধরে।
মিগিংগো দ্বীপটি শুধু লেক ভিক্টোরিয়ার একটি অদ্ভুত ঘটনা নয়, এটি সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ, মানুষের উদ্ভাবনী শক্তি, এবং জটিল আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এক অনন্য উদাহরণ। এই ছোট্ট পাথরের টুকরাটি প্রমাণ করে, কীভাবে পরিবেশগত পরিবর্তন, অর্থনৈতিক চাপ এবং সীমান্ত বিবাদ একসাথে মিলে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।
অনুবাদ: AH Abubakkar Siddiqueলেক ভিক্টোরিয়ার বুকে ভেসে থাকা মিগিংগো দ্বীপটি যেন এক জীবন্ত বিস্ময়! মাত্র ০.০০০৮ বর্গমাইল (প্রায় ০.৫ একর) আয়তনের এই ছোট্ট পাথরের টুকরাটিই পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ স্থান। ২০০৯ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, এর জনসংখ্যা ছিল ১৩১ জন, যাদের বেশিরভাগই জেলে ও ব্যবসায়ী। ভাবুন তো, এর জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৬৫,৫০০ জনেরও বেশি – যা হংকংয়ের চেয়েও তিনগুণ বেশি! আশ্চর্যজনকভাবে, নব্বইয়ের দশকের আগেও মিগিংগো দ্বীপটি লেক ভিক্টোরিয়ার জলের নিচে ছিল! হ্রদের জলস্তর নামতে শুরু করলে এটি একটি পাথরের টুকরা হিসেবে ভেসে ওঠে। ১৯৯১ সালে কেনিয়ার দুই জেলে প্রথম এখানে বসতি স্থাপন করেন, যদিও উগান্ডাও পরে বসতি স্থাপনের দাবি করে। কিন্তু কেন এই ছোট্ট পাথরের টুকরায় এত মানুষের ভিড়? এর আসল মূল্য তার পাথুরে জমিতে নয়, বরং এর চারপাশের জলে থাকা “নাইল পার্চ মাছের” অফুরন্ত ভাণ্ডারে। অন্যান্য এলাকায় মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায়, এই সমৃদ্ধ মাছের ভাণ্ডারই হাজার হাজার জেলে ও ব্যবসায়ীকে এই ছোট্ট দ্বীপে টেনে এনেছে। এই ক্ষুদ্র দ্বীপটিই কেনিয়া ও উগান্ডার মধ্যে এক বড় সীমান্ত বিবাদের জন্ম দিয়েছে, যা ২০০৮-২০০৯ সালে প্রায় যুদ্ধ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। যদিও জরিপে দ্বীপটি কেনিয়ার অংশে পড়েছে, তবে এর আশেপাশের বেশিরভাগ লাভজনক মাছ ধরার জলসীমা উগান্ডার অন্তর্গত। তাই এই বিবাদ আসলে দ্বীপের মালিকানা নিয়ে নয়, বরং নাইল পার্চ মাছ ধরার অধিকার নিয়েই। ২০০৯ সালে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে যৌথ প্রশাসন ও মাছ ধরার সুযোগ ভাগ করে নেওয়ার একটি চুক্তি হলেও, উত্তেজনা আজও বিদ্যমান। চরম ঘনবসতি, সীমিত স্থান এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের অভাব (দ্বীপে কোনো প্রাকৃতিক গাছপালা নেই) সত্ত্বেও, মিগিংগো একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্ষুদ্র নগরীর রূপ নিয়েছে। এখানে মানুষজন গাদাগাদি করে থাকলেও, তারা নিজেদের মতো করে জীবনযাপন করছে, যা মানুষের অবিশ্বাস্য সহনশীলতা ও প্রতিকূলতার সাথে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকে তুলে ধরে। মিগিংগো দ্বীপটি শুধু লেক ভিক্টোরিয়ার একটি অদ্ভুত ঘটনা নয়, এটি সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ, মানুষের উদ্ভাবনী শক্তি, এবং জটিল আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এক অনন্য উদাহরণ। এই ছোট্ট পাথরের টুকরাটি প্রমাণ করে, কীভাবে পরিবেশগত পরিবর্তন, অর্থনৈতিক চাপ এবং সীমান্ত বিবাদ একসাথে মিলে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে। অনুবাদ: AH Abubakkar Siddique -
চিত্তাকর্ষক এক আবিষ্কার:
২০১১ সালে নিখোঁজ কলোরাডো দম্পতি ৮ বছর পর উটাহর এক পরিত্যক্ত খনিতে বসে পাওয়া গেল তাদের!
২০১১ সালের মে মাসে শান্তির খোঁজে ক্যাম্পিংয়ে গিয়েছিল সারা বেনেট (২৬) ও অ্যান্ড্রু মিলার (২৮)।
শেষবার তাদের দেখা গিয়েছিল উটাহর গ্রিন রিভারের এক গ্যাস স্টেশনে, সেখান থেকে তারা উধাও।
হেলিকপ্টার, কুকুর, ড্রোন ; তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোনো সন্ধান মেলেনি।
বছরের পর বছর ধরে ছড়িয়েছিল ষড়যন্ত্র, কার্টেল, এমনকি ভিনগ্রহী তত্ত্বও।
অবশেষে, ২০১৯ সালের আগস্টে, উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এক পুরোনো ইউরেনিয়াম খনির ৩০০ ফুট গভীরে খুঁজে পায় দুটি কঙ্কাল – পাশাপাশি ভাঁজ করা চেয়ারে বসা, পাশে লণ্ঠন, ক্যামেরা, থার্মোস...
তারা যেন পালাচ্ছিল না, শুধু চুপচাপ বসে ছিল… আর অপেক্ষা করছিল।
ক্যামেরায় তোলা শেষ ছবির টাইমস্ট্যাম্প ছিল গ্যাস স্টেশন ছাড়ার এক ঘণ্টা পরের।
তদন্তকারীরা বিশ্বাস করেন, তারা খনির ভেতর ধসে আটকা পড়েছিল বা বিষাক্ত গ্যাসে মারা গিয়েছিল।
কিন্তু কেউ আজও নিশ্চিত নয়,কেন তারা ওই খনিতে ঢুকেছিল, কিংবা কি হয়েছিল আসলেই...
আজ সেই খনির মুখে দাঁড়িয়ে আছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ।
এমিলি বেনেট সারার বোন, ১০ বছর পূর্তিতে কেঁদে বলেছিলেন:
"সারা আর অ্যান্ড্রু শান্তির খোঁজে গিয়েছিল...
আশা করি তারা যেখানেই থাকুক না কেন, সেটা পেয়ে গেছে।"
📌 মানুষ শান্তির জন্য না জানি কত কিছু করে...চিত্তাকর্ষক এক আবিষ্কার: ২০১১ সালে নিখোঁজ কলোরাডো দম্পতি ৮ বছর পর উটাহর এক পরিত্যক্ত খনিতে বসে পাওয়া গেল তাদের! ২০১১ সালের মে মাসে শান্তির খোঁজে ক্যাম্পিংয়ে গিয়েছিল সারা বেনেট (২৬) ও অ্যান্ড্রু মিলার (২৮)। শেষবার তাদের দেখা গিয়েছিল উটাহর গ্রিন রিভারের এক গ্যাস স্টেশনে, সেখান থেকে তারা উধাও। হেলিকপ্টার, কুকুর, ড্রোন ; তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোনো সন্ধান মেলেনি। বছরের পর বছর ধরে ছড়িয়েছিল ষড়যন্ত্র, কার্টেল, এমনকি ভিনগ্রহী তত্ত্বও। অবশেষে, ২০১৯ সালের আগস্টে, উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এক পুরোনো ইউরেনিয়াম খনির ৩০০ ফুট গভীরে খুঁজে পায় দুটি কঙ্কাল – পাশাপাশি ভাঁজ করা চেয়ারে বসা, পাশে লণ্ঠন, ক্যামেরা, থার্মোস... তারা যেন পালাচ্ছিল না, শুধু চুপচাপ বসে ছিল… আর অপেক্ষা করছিল। ক্যামেরায় তোলা শেষ ছবির টাইমস্ট্যাম্প ছিল গ্যাস স্টেশন ছাড়ার এক ঘণ্টা পরের। তদন্তকারীরা বিশ্বাস করেন, তারা খনির ভেতর ধসে আটকা পড়েছিল বা বিষাক্ত গ্যাসে মারা গিয়েছিল। কিন্তু কেউ আজও নিশ্চিত নয়,কেন তারা ওই খনিতে ঢুকেছিল, কিংবা কি হয়েছিল আসলেই... আজ সেই খনির মুখে দাঁড়িয়ে আছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এমিলি বেনেট সারার বোন, ১০ বছর পূর্তিতে কেঁদে বলেছিলেন: "সারা আর অ্যান্ড্রু শান্তির খোঁজে গিয়েছিল... আশা করি তারা যেখানেই থাকুক না কেন, সেটা পেয়ে গেছে।" 📌 মানুষ শান্তির জন্য না জানি কত কিছু করে...
More Results