• চোরাই পণ্যে সয়লাব সিলেট

    চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবির কড়াকড়ি। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা কার্যক্রম। তার পরও প্রায় প্রতিদিনই জব্দ হচ্ছে কোটি টাকার চালান। অর্থাৎ থামছে না চোরাকারবার।

    বিজিবি সিলেট সদর দপ্তরের আওতাধীন ৪৮ ও ১৯ ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানানো হয়েছে, গত ১৮ মাসে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়েছে। সিলেটের স্থানীয় বাজারে বিপুল পরিমাণ চোরাই পণ্য প্রবেশ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় উদ্যোক্তা ও আমদানিকারকরা। চোরাইপথে আসা পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে আমদানিকারকরা পথে বসার উপক্রম হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

    সিলেট জেলার তিন দিকে ভারত সীমান্ত। আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের সঙ্গে থাকা সীমান্ত এলাকার বেশির ভাগ অংশই দুর্গম। যে কারণে চোরাকারবারিরা চোরাচালানের জন্য এ দুর্গম সীমান্তকেই বেছে নিয়েছে। যদিও চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি। দিনের পাশাপাশি রাত্রিকালীন টহলও বাড়ানো হয়েছে। এরপরও বেপরোয়া চোরাকারবারিরা। চোরাইপণ্যে লাভ বেশি হওয়ায় কোটি কোটি টাকার চালান ধরা পড়ার পরও দমছেন না কারবারিরা। এক সময় সিলেট সীমান্ত দিয়ে প্রচুর পরিমাণে গরু-মহিষ ও চিনি আসত। গত প্রায় দুই বছর থেকে চোরাকারবারিরা গরু-মহিষ ও চিনির সঙ্গে ঝুঁকেছেন ভারতীয় কাপড় ও কসমেটিক্স চোরাচালানে।

    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    চোরাই পণ্যে সয়লাব সিলেট চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবির কড়াকড়ি। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা কার্যক্রম। তার পরও প্রায় প্রতিদিনই জব্দ হচ্ছে কোটি টাকার চালান। অর্থাৎ থামছে না চোরাকারবার। বিজিবি সিলেট সদর দপ্তরের আওতাধীন ৪৮ ও ১৯ ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানানো হয়েছে, গত ১৮ মাসে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়েছে। সিলেটের স্থানীয় বাজারে বিপুল পরিমাণ চোরাই পণ্য প্রবেশ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় উদ্যোক্তা ও আমদানিকারকরা। চোরাইপথে আসা পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে আমদানিকারকরা পথে বসার উপক্রম হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। সিলেট জেলার তিন দিকে ভারত সীমান্ত। আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের সঙ্গে থাকা সীমান্ত এলাকার বেশির ভাগ অংশই দুর্গম। যে কারণে চোরাকারবারিরা চোরাচালানের জন্য এ দুর্গম সীমান্তকেই বেছে নিয়েছে। যদিও চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি। দিনের পাশাপাশি রাত্রিকালীন টহলও বাড়ানো হয়েছে। এরপরও বেপরোয়া চোরাকারবারিরা। চোরাইপণ্যে লাভ বেশি হওয়ায় কোটি কোটি টাকার চালান ধরা পড়ার পরও দমছেন না কারবারিরা। এক সময় সিলেট সীমান্ত দিয়ে প্রচুর পরিমাণে গরু-মহিষ ও চিনি আসত। গত প্রায় দুই বছর থেকে চোরাকারবারিরা গরু-মহিষ ও চিনির সঙ্গে ঝুঁকেছেন ভারতীয় কাপড় ও কসমেটিক্স চোরাচালানে। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    Love
    JonoSathi React
    Sad
    7
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • ‘হামলাটাই যুদ্ধ থামিয়েছে’, ট্রাম্পের আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা


    ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাত শেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়াকে ‘সবার জন্য বিজয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

    কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার বরাতে জানা গেছে, ট্রাম্প দাবি করেন—যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক বাংকার-বাস্টার বোমা হামলাই এই সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, "এই হামলা ছিল খুবই তীব্র। পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।"

    তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ) এই হামলার প্রভাব নিয়ে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছে। তাদের প্রাথমিক মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে পড়েছে, ধ্বংস হয়নি। কিন্তু ট্রাম্প এই মূল্যায়নকে অগ্রাহ্য করে বলেন, "আমি মনে করি, আমরা 'আমরা নিশ্চিত নই' অংশ বাদ দিতে পারি। এটা খুবই তীব্র ছিল, সব ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।"

    এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প হিরোশিমা ও নাগাসাকির পারমাণবিক হামলার সঙ্গে এই হামলার তুলনা করে বলেন, “আমি হিরোশিমার উদাহরণ দিতে চাই না, নাগাসাকির উদাহরণও দিতে চাই না। তবে ব্যাপারটা আসলে সেটাই ছিল। ওই হামলা যুদ্ধ শেষ করেছিল, এই হামলাও সেই যুদ্ধ শেষ করেছে।”

    তবে নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট ও সিএনএন-এর প্রতিবেদনে মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি। অধিকাংশ সেন্ট্রিফিউজ অক্ষত রয়েছে এবং সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

    ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হলেও, তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প আরও বলেন, “যদি ইরান আবার পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করে, তাহলেও কিছু করার নেই। কারণ সেই জায়গাগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”

    সূত্র: আল জাজিরা

    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    ‘হামলাটাই যুদ্ধ থামিয়েছে’, ট্রাম্পের আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাত শেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়াকে ‘সবার জন্য বিজয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার বরাতে জানা গেছে, ট্রাম্প দাবি করেন—যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক বাংকার-বাস্টার বোমা হামলাই এই সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, "এই হামলা ছিল খুবই তীব্র। পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।" তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ) এই হামলার প্রভাব নিয়ে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছে। তাদের প্রাথমিক মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে পড়েছে, ধ্বংস হয়নি। কিন্তু ট্রাম্প এই মূল্যায়নকে অগ্রাহ্য করে বলেন, "আমি মনে করি, আমরা 'আমরা নিশ্চিত নই' অংশ বাদ দিতে পারি। এটা খুবই তীব্র ছিল, সব ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।" এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প হিরোশিমা ও নাগাসাকির পারমাণবিক হামলার সঙ্গে এই হামলার তুলনা করে বলেন, “আমি হিরোশিমার উদাহরণ দিতে চাই না, নাগাসাকির উদাহরণও দিতে চাই না। তবে ব্যাপারটা আসলে সেটাই ছিল। ওই হামলা যুদ্ধ শেষ করেছিল, এই হামলাও সেই যুদ্ধ শেষ করেছে।” তবে নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট ও সিএনএন-এর প্রতিবেদনে মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি। অধিকাংশ সেন্ট্রিফিউজ অক্ষত রয়েছে এবং সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হলেও, তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প আরও বলেন, “যদি ইরান আবার পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করে, তাহলেও কিছু করার নেই। কারণ সেই জায়গাগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।” সূত্র: আল জাজিরা #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    Haha
    JonoSathi React
    2
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • বাড়ছে মন্দ ঋণ ও প্রভিশন ঘাটতি

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে ঋণ খেলাপির সময়সীমা ১৮০ দিন থেকে কমিয়ে ৯০ দিনে নামিয়ে আনার পর থেকে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ সীমিত হওয়া এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃ তফসিল কমিটির কার্যক্রমে ধীরগতি। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠন করে, যারা ইচ্ছাকৃত নয় এমন বড় অঙ্কের (৫০ কোটি টাকা বা তদূর্ধ্ব) খেলাপি ঋণ পুনর্গঠনের আবেদন যাচাই-বাছাই করবে। তবে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৫৩টি আবেদন জমা পড়লেও কোনো আবেদন চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়নি। কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত মাত্র ৫৬টি আবেদন প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন না আসায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা ঋণ খেলাপির পরিচয় থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না।

    একজন আবেদনকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করে কমিটির সভায় আবেদন বাছাই হয়েছে, কিন্তু ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটির সাড়া না পাওয়ায় পুনর্গঠন আটকে আছে। এখনো খেলাপির তালিকায় থেকে যাচ্ছি। ঋণ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় ধীরগতি, প্রভিশন ঘাটতি ও মূলধন সংকট মিলে দেশের ব্যাংক খাত চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর সিদ্ধান্ত না নিলে এর প্রভাব পড়বে অর্থনীতির সার্বিক ভিত্তির ওপর এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সাধারণ ভোক্তাও। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের মার্চে ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে মন্দ ঋণ ছিল ১ লাখ ৫৪ হাজার ১১৫ কোটি টাকা যা মোট খেলাপির ৮৪.৫৪ শতাংশ। ২০২৫ সালের মার্চে এসে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকায়। এর মধ্যে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৫ কোটি টাকা মন্দ ঋণ যা মোট খেলাপির ৮১.৩৮ শতাংশ। এক বছরে মন্দ ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।

    এই ঋণ আদায়ের সম্ভাবনা প্রায় শূন্য হওয়ায় ব্যাংকগুলোকে এর বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হয়। কিন্তু ব্যাংকগুলোর মুনাফা সে অনুযায়ী না বাড়ায় প্রভিশনের ঘাটতি এখন মারাত্মক রূপ নিয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চে যেখানে প্রভিশন ঘাটতি ছিল ২৬ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা, সেখানে ২০২৫ সালের মার্চে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকায়। এ সময়ের মধ্যে প্রভিশনের হার কমে এসেছে ৭৬ শতাংশ থেকে মাত্র ৩৮ শতাংশে। অর্থাৎ ৬২ শতাংশ ঋণের বিপরীতে কোনো প্রভিশন নেই, যা ব্যাংক খাতকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে প্রযোজ্য মূলধন রাখতে না পারায় ব্যাংকগুলোর আর্থিক ভিত্তি দিনদিন দুর্বল হয়ে পড়ছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, অনেক ব্যাংক স্মরণকালের সর্বনিম্ন মূলধন সংরক্ষণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক লেনদেনে ব্যয় বেড়েছে এবং বিনিয়োগকারীরাও প্রত্যাশিত লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের জন্য ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম বাড়ছে এবং ভোক্তারা চাপে পড়ছেন।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে খেলাপি ঋণের পূর্ব ধাপে ‘স্পেশাল মেনশন অ্যাকাউন্ট’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে আরও ৫০ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকার ঋণ। তিন মাসের মধ্যে এসব ঋণ পরিশোধ না হলে তা ‘নিম্নমান’ ঋণে পরিণত হবে এবং ধাপে ধাপে ‘সন্দেহজনক’ ও শেষে ‘মন্দ’ ঋণে রূপ নেবে। প্রতিটি ধাপে প্রভিশনের হার বাড়তে থাকে বিশেষ হিসেবে ৫ শতাংশ, নিম্নমানে ২০ শতাংশ, সন্দেহজনকে ৫০ শতাংশ এবং মন্দে ১০০ শতাংশ। এই ধারাবাহিকতাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, আগামীতে খেলাপি ও মন্দ ঋণের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    বাড়ছে মন্দ ঋণ ও প্রভিশন ঘাটতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে ঋণ খেলাপির সময়সীমা ১৮০ দিন থেকে কমিয়ে ৯০ দিনে নামিয়ে আনার পর থেকে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ সীমিত হওয়া এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃ তফসিল কমিটির কার্যক্রমে ধীরগতি। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠন করে, যারা ইচ্ছাকৃত নয় এমন বড় অঙ্কের (৫০ কোটি টাকা বা তদূর্ধ্ব) খেলাপি ঋণ পুনর্গঠনের আবেদন যাচাই-বাছাই করবে। তবে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৫৩টি আবেদন জমা পড়লেও কোনো আবেদন চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়নি। কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত মাত্র ৫৬টি আবেদন প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন না আসায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা ঋণ খেলাপির পরিচয় থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। একজন আবেদনকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করে কমিটির সভায় আবেদন বাছাই হয়েছে, কিন্তু ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটির সাড়া না পাওয়ায় পুনর্গঠন আটকে আছে। এখনো খেলাপির তালিকায় থেকে যাচ্ছি। ঋণ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় ধীরগতি, প্রভিশন ঘাটতি ও মূলধন সংকট মিলে দেশের ব্যাংক খাত চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর সিদ্ধান্ত না নিলে এর প্রভাব পড়বে অর্থনীতির সার্বিক ভিত্তির ওপর এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সাধারণ ভোক্তাও। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের মার্চে ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে মন্দ ঋণ ছিল ১ লাখ ৫৪ হাজার ১১৫ কোটি টাকা যা মোট খেলাপির ৮৪.৫৪ শতাংশ। ২০২৫ সালের মার্চে এসে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকায়। এর মধ্যে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৫ কোটি টাকা মন্দ ঋণ যা মোট খেলাপির ৮১.৩৮ শতাংশ। এক বছরে মন্দ ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এই ঋণ আদায়ের সম্ভাবনা প্রায় শূন্য হওয়ায় ব্যাংকগুলোকে এর বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হয়। কিন্তু ব্যাংকগুলোর মুনাফা সে অনুযায়ী না বাড়ায় প্রভিশনের ঘাটতি এখন মারাত্মক রূপ নিয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চে যেখানে প্রভিশন ঘাটতি ছিল ২৬ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা, সেখানে ২০২৫ সালের মার্চে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকায়। এ সময়ের মধ্যে প্রভিশনের হার কমে এসেছে ৭৬ শতাংশ থেকে মাত্র ৩৮ শতাংশে। অর্থাৎ ৬২ শতাংশ ঋণের বিপরীতে কোনো প্রভিশন নেই, যা ব্যাংক খাতকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে প্রযোজ্য মূলধন রাখতে না পারায় ব্যাংকগুলোর আর্থিক ভিত্তি দিনদিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, অনেক ব্যাংক স্মরণকালের সর্বনিম্ন মূলধন সংরক্ষণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক লেনদেনে ব্যয় বেড়েছে এবং বিনিয়োগকারীরাও প্রত্যাশিত লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের জন্য ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম বাড়ছে এবং ভোক্তারা চাপে পড়ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে খেলাপি ঋণের পূর্ব ধাপে ‘স্পেশাল মেনশন অ্যাকাউন্ট’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে আরও ৫০ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকার ঋণ। তিন মাসের মধ্যে এসব ঋণ পরিশোধ না হলে তা ‘নিম্নমান’ ঋণে পরিণত হবে এবং ধাপে ধাপে ‘সন্দেহজনক’ ও শেষে ‘মন্দ’ ঋণে রূপ নেবে। প্রতিটি ধাপে প্রভিশনের হার বাড়তে থাকে বিশেষ হিসেবে ৫ শতাংশ, নিম্নমানে ২০ শতাংশ, সন্দেহজনকে ৫০ শতাংশ এবং মন্দে ১০০ শতাংশ। এই ধারাবাহিকতাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, আগামীতে খেলাপি ও মন্দ ঋণের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    Love
    Like
    JonoSathi React
    6
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • ইরান কিছুই ভুলবে না, সব মনে রাখবে

    বিশ্বভণ্ডদের সরদার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভয়ংকর প্রতারণার সর্বশেষ পরিণতি হিসেবে আমরা গত সপ্তাহান্তে ইরানে সরাসরি বড় ধরনের মার্কিন হামলা দেখলাম। ইরানে ইসরায়েলের উসকানিমূলক আগ্রাসনের পর ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল।

    ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, ঠিক সেই কায়দায় এবার তারা ইরানের শিল্প স্থাপনা, সামরিক ও বিজ্ঞান নেতৃত্বের ওপর হামলা চালিয়েছে; শত শত সাধারণ মানুষকেও হত্যা করেছে। এটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চিরাচরিত ধরন।

    গেল শনিবার ইরানের ফর্দো, নাতানজ ও ইস্পাহান শহরের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র বোমা হামলা চালায়। এরপর এই যুদ্ধপিপাসা যেন আরও ভয়ংকর রূপ নিয়েছে।

    তবে এটি স্পষ্ট, ইরানিরা তাঁদের মাতৃভূমি রক্ষায় শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে। তাঁরা কোনো কিছুকে সমঝে চলবে না। এ অঞ্চলের যেসব আরব দেশে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আছে এবং যারা এ আক্রমণে কোনো না কোনোভাবে সহযোগী, তাদের জন্যও কঠিন পরিণতি হতে পারে। কারণ, এটি আরেকটি স্বাধীন রাষ্ট্রের ওপর সরাসরি হামলা।

    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    ইরান কিছুই ভুলবে না, সব মনে রাখবে বিশ্বভণ্ডদের সরদার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভয়ংকর প্রতারণার সর্বশেষ পরিণতি হিসেবে আমরা গত সপ্তাহান্তে ইরানে সরাসরি বড় ধরনের মার্কিন হামলা দেখলাম। ইরানে ইসরায়েলের উসকানিমূলক আগ্রাসনের পর ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল। ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, ঠিক সেই কায়দায় এবার তারা ইরানের শিল্প স্থাপনা, সামরিক ও বিজ্ঞান নেতৃত্বের ওপর হামলা চালিয়েছে; শত শত সাধারণ মানুষকেও হত্যা করেছে। এটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চিরাচরিত ধরন। গেল শনিবার ইরানের ফর্দো, নাতানজ ও ইস্পাহান শহরের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র বোমা হামলা চালায়। এরপর এই যুদ্ধপিপাসা যেন আরও ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। তবে এটি স্পষ্ট, ইরানিরা তাঁদের মাতৃভূমি রক্ষায় শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে। তাঁরা কোনো কিছুকে সমঝে চলবে না। এ অঞ্চলের যেসব আরব দেশে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আছে এবং যারা এ আক্রমণে কোনো না কোনোভাবে সহযোগী, তাদের জন্যও কঠিন পরিণতি হতে পারে। কারণ, এটি আরেকটি স্বাধীন রাষ্ট্রের ওপর সরাসরি হামলা। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    Love
    JonoSathi React
    Like
    5
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • মধ্যপ্রাচ্যে কাতারসহ যেসব দেশে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে

    মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ১২টিরও বেশি দেশে মার্কিন সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি ওই অঞ্চলের জলসীমায়ও যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ মোতায়েন করা আছে। বর্তমানে এসব ঘাঁটিতে সামরিক ও বেসামরিক নাগরিক মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আছেন। তাছাড়া রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধজাহাজ।

    এদিকে, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালানোর পর এসব সামরিক ঘাঁটিগুলি তাদের (ইরানের) সম্ভাব্য 'টার্গেট' (লক্ষ্যবস্তু) হয়ে দাঁড়ায়। ইরান আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল যে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য তারা "সমস্ত বিকল্প খোলা রাখছে।"

    ইরান ইতোমধ্যে কাতারের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি কোনও নতুন বিষয় নয়। ইরাকে যুদ্ধের সময় ওই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেনা সংখ্যা ১ লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময়েও মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

    গত বছর ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা এবং লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজে ইয়েমেনের হুথিদের ক্রমাগত হামলার পর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ, ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনা উপস্থিতি জোরদার করা হয়।

    তবে সম্প্রতি তেহরানের পক্ষ থেকে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় মার্কিন কর্মীদের সুরক্ষার জন্য আঞ্চলিক ঘাঁটিগুলি থেকে সামরিক বাহিনীকে স্বেচ্ছায় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। সামগ্রিকভাবে, এই অঞ্চলে কমপক্ষে ১৯টি স্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্থাপনা রয়েছে।

    এর মধ্যে কয়েকটিকে বহু আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞই স্থায়ী ঘাঁটি বলে মনে করেন। সেগুলো সৌদি আরব, বাহরাইন, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, ইসরায়েল, জর্ডান, কুয়েত, কাতার এবং সিরিয়ায় অবস্থিত।

    স্বতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস'-এর মতে, মার্কিন সামরিক বাহিনী জিবুতি এবং তুরস্কের বড় ঘাঁটিগুলিও ব্যবহার করে, যা অন্যান্য আঞ্চলিক কমান্ডের অংশ হলেও প্রায়শই মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন অভিযানের সময় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

    এই প্রতিবেদনে মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান প্রধান মার্কিন ঘাঁটিগুলির বিষয়ে উল্লেখযোগ্য তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই সমস্ত ঘাঁটিগুলি যুক্তরাষ্ট্রের 'সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)' বা মার্কিন সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের অধীনে।

    কাতার
    কাতারের আল উদেইদ ঘাঁটিটি পুরো অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন ঘাঁটি। এখানে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এবং এর বিমান বাহিনীর ফরওয়ার্ড হেডকোয়ার্টার রয়েছে। ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর অতীত অভিযানের সময় আল উদেইদ কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে।

    মার্কিন বিমান বাহিনীর ৩৭৯তম এয়ার এক্সপিডিশনারি উইংও এই ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মে মাসে মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় এই ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।

    স্যাটেলাইট চিত্র অনুযায়ী, সম্প্রতি ওয়াশিংটন আল উদেইদের রানওয়ে থেকে কয়েক ডজন বিমান প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে মার্কিন হস্তক্ষেপের পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইরানের সম্ভাব্য হামলা থেকে রক্ষা করার জন্যই সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

    গত পাঁচই জুন 'প্ল্যানেট ল্যাবস'-এর প্রকাশিত ছবিতে 'সি-১৩০ হারকিউলিস ট্রান্সপোর্ট' (একটি বিশেষ সামরিক পরিবহন বিমান) এবং 'রেকোননাইসেন্স প্লেন' (বিশেষ সামরিক বিমান যা আকাশপথে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হয়)-সহ ৪০টি বিমান দেখা গিয়েছিল।

    এর ঠিক দুই সপ্তাহ পরে সেখানে মাত্র তিনটি বিমান দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। প্রসঙ্গত, কাতারে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।

    বাহরাইন
    বাহরাইনে মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম ফ্লিটের সদর দফতর রয়েছে, যা পারস্য উপসাগর, লোহিত সাগর, আরব সাগর এবং কেনিয়ার দক্ষিণে পূর্ব আফ্রিকার উপকূলে মার্কিন নৌবাহিনীর দায়িত্বে রয়েছে।

    এই ফ্যাসিলিটি 'ন্যাভাল সাপোর্ট অ্যাক্টিভিটি বাহরাইন' নামে পরিচিত। এখানে মার্কিন নৌবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের সদর দফতরও রয়েছে। প্রায় নয় হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে এই ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রে।

    মার্কিন নৌবাহিনীর বেশ কয়েকটি জাহাজ বাহরাইনে রয়েছে। এই অঞ্চলের গভীর জলে 'ইউএসএস কার্ল ভিনসন'-এর মতো 'সুপারক্যারিয়ার' জাহাজ এবং অন্যান্য বিমানবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারে।

    এর মধ্যে চারটি 'মাইন ক্লিয়ারেন্স ভেসেল' (মাইন বিধ্বংসী জাহাজ) এবং দু'টি লজিস্টিক সাপোর্ট জাহাজও রয়েছে। বাহরাইনে মার্কিন কোস্টগার্ডের ছয়টি 'র‍্যাপিড রেসপন্স বোট'সহ একাধিক জলযান রয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

    কুয়েত
    মধ্যপ্রাচ্যের যে দেশগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, তার মধ্যে কুয়েত অন্যতম। এর মধ্যে রয়েছে ক্যাম্প আরিফজান, যেখানে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের হেডকোয়ার্টার রয়েছে।

    এটি মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর 'অপারেশনাল' এবং 'লজিস্টিক্যাল হাব' হিসাবে কাজ করে। বিভিন্ন অভিযানের সময় সরঞ্জাম সরবরাহ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে উপাদান মজুদ রয়েছে এই 'হাব'-এ।

    কুয়েতের আলী আল-সালেম বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮৬তম 'এয়ার এক্সপিডিশনারি উইং' রয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এই ঘাঁটিকে "ওই অঞ্চলে যৌথ ও জোট বাহিনীকে যুদ্ধ শক্তি মোতায়েনের কেন্দ্রীয় বিমান ঘাঁটি এবং প্রবেশদ্বার" হিসাবে উল্লেখ করেছে।

    এছাড়া কুয়েতে 'এমকিউ-৯ রিপার'সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনও রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র ক্যাম্প আরিফজান ও আলী আল সালেম বিমান ঘাঁটি মিলিয়েই মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে।

    সংযুক্ত আরব আমিরাত
    সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) আল ধাফরা বিমান ঘাঁটিতে একটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর ঘাঁটি রয়েছে। এটি একটি কৌশলগত ঘাঁটি যা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং কমব্যাট এয়ার অপারেশন (যুদ্ধ বিমান অভিযানে) সাহায্য করে।

    এই ঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮০ তম এয়ার এক্সপিডিশনারি উইং রয়েছে। এটি দশটি বিমান স্কোয়াড্রন নিয়ে গঠিত এমন এক বাহিনী যেখানে 'এমকিউ -৯ রিপার্স'-এর মতো ড্রোনও আছে।

    ইরাক
    সাদ্দাম হোসেনের পতনের সময় ইরাকের ৫০০টিরও বেশি ঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন ছিল। তবে বর্তমানে দেশটিতে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে এবং ওয়াশিংটন তাদের ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করার জন্য বাগদাদ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

    এটি 'ইসলামিক স্টেট' নামক গোষ্ঠীকে রুখতে আন্তর্জাতিক জোটের অংশ। এখানে মার্কিন সামরিক বাহিনী মূলত কুর্দিস্তানের দু'টি বিমান ঘাঁটি- আল আসাদ এবং ইরবিল থেকে নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।

    ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই ঘাঁটিগুলি এবং ওই দেশের অন্যান্য ছোটখাটো ঘাঁটিগুলিকে ইরানের-মিত্র গোষ্ঠীগুলির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।

    সিরিয়া
    সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর সূত্রপাত হয়েছিল ২০১১ সালে ওই দেশে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের সময় থেকে। পরবর্তীতে সিরিয়া ও ইরাকের উল্লেখযোগ্য অঞ্চল দখল করে ফেলে ওই গোষ্ঠী।

    সিরিয়াজুড়ে বিভিন্ন ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য রয়েছে যারা এই গোষ্ঠীটির পুনরুত্থান ঠেকাতে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে।

    গত জুন মাসে ওয়াশিংটন ঘোষণা করে যে, ওই দেশে যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত সামরিক ঘাঁটির সংখ্যা আট থেকে কমিয়ে একটিতে নামিয়ে আনবে এবং সিরিয়ার বিষয়ে তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনবে "কারণ এগুলোর কোনোটিই কাজ করেনি।"

    ট্রাম্প অপ্রত্যাশিতভাবে গত মে মাসে সিরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং তার সরকার সিরিয়ার নতুন 'ডি ফ্যাক্টো' নেতা আহমেদ শারার সঙ্গে আলাপ আলোচনার বিষয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। আহমেদ শারার নেতৃত্বে ২০২৪ সালের শেষের দিকে বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়।

    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    মধ্যপ্রাচ্যে কাতারসহ যেসব দেশে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ১২টিরও বেশি দেশে মার্কিন সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি ওই অঞ্চলের জলসীমায়ও যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ মোতায়েন করা আছে। বর্তমানে এসব ঘাঁটিতে সামরিক ও বেসামরিক নাগরিক মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আছেন। তাছাড়া রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধজাহাজ। এদিকে, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালানোর পর এসব সামরিক ঘাঁটিগুলি তাদের (ইরানের) সম্ভাব্য 'টার্গেট' (লক্ষ্যবস্তু) হয়ে দাঁড়ায়। ইরান আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল যে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য তারা "সমস্ত বিকল্প খোলা রাখছে।" ইরান ইতোমধ্যে কাতারের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি কোনও নতুন বিষয় নয়। ইরাকে যুদ্ধের সময় ওই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেনা সংখ্যা ১ লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময়েও মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। গত বছর ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা এবং লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজে ইয়েমেনের হুথিদের ক্রমাগত হামলার পর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ, ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনা উপস্থিতি জোরদার করা হয়। তবে সম্প্রতি তেহরানের পক্ষ থেকে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় মার্কিন কর্মীদের সুরক্ষার জন্য আঞ্চলিক ঘাঁটিগুলি থেকে সামরিক বাহিনীকে স্বেচ্ছায় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। সামগ্রিকভাবে, এই অঞ্চলে কমপক্ষে ১৯টি স্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটিকে বহু আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞই স্থায়ী ঘাঁটি বলে মনে করেন। সেগুলো সৌদি আরব, বাহরাইন, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, ইসরায়েল, জর্ডান, কুয়েত, কাতার এবং সিরিয়ায় অবস্থিত। স্বতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস'-এর মতে, মার্কিন সামরিক বাহিনী জিবুতি এবং তুরস্কের বড় ঘাঁটিগুলিও ব্যবহার করে, যা অন্যান্য আঞ্চলিক কমান্ডের অংশ হলেও প্রায়শই মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন অভিযানের সময় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। এই প্রতিবেদনে মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান প্রধান মার্কিন ঘাঁটিগুলির বিষয়ে উল্লেখযোগ্য তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই সমস্ত ঘাঁটিগুলি যুক্তরাষ্ট্রের 'সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)' বা মার্কিন সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের অধীনে। কাতার কাতারের আল উদেইদ ঘাঁটিটি পুরো অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন ঘাঁটি। এখানে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এবং এর বিমান বাহিনীর ফরওয়ার্ড হেডকোয়ার্টার রয়েছে। ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর অতীত অভিযানের সময় আল উদেইদ কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে। মার্কিন বিমান বাহিনীর ৩৭৯তম এয়ার এক্সপিডিশনারি উইংও এই ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মে মাসে মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় এই ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। স্যাটেলাইট চিত্র অনুযায়ী, সম্প্রতি ওয়াশিংটন আল উদেইদের রানওয়ে থেকে কয়েক ডজন বিমান প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে মার্কিন হস্তক্ষেপের পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইরানের সম্ভাব্য হামলা থেকে রক্ষা করার জন্যই সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। গত পাঁচই জুন 'প্ল্যানেট ল্যাবস'-এর প্রকাশিত ছবিতে 'সি-১৩০ হারকিউলিস ট্রান্সপোর্ট' (একটি বিশেষ সামরিক পরিবহন বিমান) এবং 'রেকোননাইসেন্স প্লেন' (বিশেষ সামরিক বিমান যা আকাশপথে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হয়)-সহ ৪০টি বিমান দেখা গিয়েছিল। এর ঠিক দুই সপ্তাহ পরে সেখানে মাত্র তিনটি বিমান দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। প্রসঙ্গত, কাতারে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। বাহরাইন বাহরাইনে মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম ফ্লিটের সদর দফতর রয়েছে, যা পারস্য উপসাগর, লোহিত সাগর, আরব সাগর এবং কেনিয়ার দক্ষিণে পূর্ব আফ্রিকার উপকূলে মার্কিন নৌবাহিনীর দায়িত্বে রয়েছে। এই ফ্যাসিলিটি 'ন্যাভাল সাপোর্ট অ্যাক্টিভিটি বাহরাইন' নামে পরিচিত। এখানে মার্কিন নৌবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের সদর দফতরও রয়েছে। প্রায় নয় হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে এই ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রে। মার্কিন নৌবাহিনীর বেশ কয়েকটি জাহাজ বাহরাইনে রয়েছে। এই অঞ্চলের গভীর জলে 'ইউএসএস কার্ল ভিনসন'-এর মতো 'সুপারক্যারিয়ার' জাহাজ এবং অন্যান্য বিমানবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারে। এর মধ্যে চারটি 'মাইন ক্লিয়ারেন্স ভেসেল' (মাইন বিধ্বংসী জাহাজ) এবং দু'টি লজিস্টিক সাপোর্ট জাহাজও রয়েছে। বাহরাইনে মার্কিন কোস্টগার্ডের ছয়টি 'র‍্যাপিড রেসপন্স বোট'সহ একাধিক জলযান রয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। কুয়েত মধ্যপ্রাচ্যের যে দেশগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, তার মধ্যে কুয়েত অন্যতম। এর মধ্যে রয়েছে ক্যাম্প আরিফজান, যেখানে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের হেডকোয়ার্টার রয়েছে। এটি মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর 'অপারেশনাল' এবং 'লজিস্টিক্যাল হাব' হিসাবে কাজ করে। বিভিন্ন অভিযানের সময় সরঞ্জাম সরবরাহ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে উপাদান মজুদ রয়েছে এই 'হাব'-এ। কুয়েতের আলী আল-সালেম বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮৬তম 'এয়ার এক্সপিডিশনারি উইং' রয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এই ঘাঁটিকে "ওই অঞ্চলে যৌথ ও জোট বাহিনীকে যুদ্ধ শক্তি মোতায়েনের কেন্দ্রীয় বিমান ঘাঁটি এবং প্রবেশদ্বার" হিসাবে উল্লেখ করেছে। এছাড়া কুয়েতে 'এমকিউ-৯ রিপার'সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনও রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র ক্যাম্প আরিফজান ও আলী আল সালেম বিমান ঘাঁটি মিলিয়েই মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) আল ধাফরা বিমান ঘাঁটিতে একটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর ঘাঁটি রয়েছে। এটি একটি কৌশলগত ঘাঁটি যা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং কমব্যাট এয়ার অপারেশন (যুদ্ধ বিমান অভিযানে) সাহায্য করে। এই ঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮০ তম এয়ার এক্সপিডিশনারি উইং রয়েছে। এটি দশটি বিমান স্কোয়াড্রন নিয়ে গঠিত এমন এক বাহিনী যেখানে 'এমকিউ -৯ রিপার্স'-এর মতো ড্রোনও আছে। ইরাক সাদ্দাম হোসেনের পতনের সময় ইরাকের ৫০০টিরও বেশি ঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন ছিল। তবে বর্তমানে দেশটিতে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে এবং ওয়াশিংটন তাদের ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করার জন্য বাগদাদ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এটি 'ইসলামিক স্টেট' নামক গোষ্ঠীকে রুখতে আন্তর্জাতিক জোটের অংশ। এখানে মার্কিন সামরিক বাহিনী মূলত কুর্দিস্তানের দু'টি বিমান ঘাঁটি- আল আসাদ এবং ইরবিল থেকে নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই ঘাঁটিগুলি এবং ওই দেশের অন্যান্য ছোটখাটো ঘাঁটিগুলিকে ইরানের-মিত্র গোষ্ঠীগুলির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। সিরিয়া সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর সূত্রপাত হয়েছিল ২০১১ সালে ওই দেশে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের সময় থেকে। পরবর্তীতে সিরিয়া ও ইরাকের উল্লেখযোগ্য অঞ্চল দখল করে ফেলে ওই গোষ্ঠী। সিরিয়াজুড়ে বিভিন্ন ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য রয়েছে যারা এই গোষ্ঠীটির পুনরুত্থান ঠেকাতে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। গত জুন মাসে ওয়াশিংটন ঘোষণা করে যে, ওই দেশে যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত সামরিক ঘাঁটির সংখ্যা আট থেকে কমিয়ে একটিতে নামিয়ে আনবে এবং সিরিয়ার বিষয়ে তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনবে "কারণ এগুলোর কোনোটিই কাজ করেনি।" ট্রাম্প অপ্রত্যাশিতভাবে গত মে মাসে সিরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং তার সরকার সিরিয়ার নতুন 'ডি ফ্যাক্টো' নেতা আহমেদ শারার সঙ্গে আলাপ আলোচনার বিষয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। আহমেদ শারার নেতৃত্বে ২০২৪ সালের শেষের দিকে বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    JonoSathi React
    Love
    5
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
More Results
Jono Sathi – Connecting Bangladesh https://jonosathi.com