• মধ্যপ্রাচ্যে কাতারসহ যেসব দেশে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে

    মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ১২টিরও বেশি দেশে মার্কিন সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি ওই অঞ্চলের জলসীমায়ও যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ মোতায়েন করা আছে। বর্তমানে এসব ঘাঁটিতে সামরিক ও বেসামরিক নাগরিক মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আছেন। তাছাড়া রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধজাহাজ।

    এদিকে, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালানোর পর এসব সামরিক ঘাঁটিগুলি তাদের (ইরানের) সম্ভাব্য 'টার্গেট' (লক্ষ্যবস্তু) হয়ে দাঁড়ায়। ইরান আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল যে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য তারা "সমস্ত বিকল্প খোলা রাখছে।"

    ইরান ইতোমধ্যে কাতারের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি কোনও নতুন বিষয় নয়। ইরাকে যুদ্ধের সময় ওই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেনা সংখ্যা ১ লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময়েও মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

    গত বছর ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা এবং লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজে ইয়েমেনের হুথিদের ক্রমাগত হামলার পর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ, ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনা উপস্থিতি জোরদার করা হয়।

    তবে সম্প্রতি তেহরানের পক্ষ থেকে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় মার্কিন কর্মীদের সুরক্ষার জন্য আঞ্চলিক ঘাঁটিগুলি থেকে সামরিক বাহিনীকে স্বেচ্ছায় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। সামগ্রিকভাবে, এই অঞ্চলে কমপক্ষে ১৯টি স্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্থাপনা রয়েছে।

    এর মধ্যে কয়েকটিকে বহু আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞই স্থায়ী ঘাঁটি বলে মনে করেন। সেগুলো সৌদি আরব, বাহরাইন, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, ইসরায়েল, জর্ডান, কুয়েত, কাতার এবং সিরিয়ায় অবস্থিত।

    স্বতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস'-এর মতে, মার্কিন সামরিক বাহিনী জিবুতি এবং তুরস্কের বড় ঘাঁটিগুলিও ব্যবহার করে, যা অন্যান্য আঞ্চলিক কমান্ডের অংশ হলেও প্রায়শই মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন অভিযানের সময় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

    এই প্রতিবেদনে মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান প্রধান মার্কিন ঘাঁটিগুলির বিষয়ে উল্লেখযোগ্য তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই সমস্ত ঘাঁটিগুলি যুক্তরাষ্ট্রের 'সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)' বা মার্কিন সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের অধীনে।

    কাতার
    কাতারের আল উদেইদ ঘাঁটিটি পুরো অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন ঘাঁটি। এখানে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এবং এর বিমান বাহিনীর ফরওয়ার্ড হেডকোয়ার্টার রয়েছে। ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর অতীত অভিযানের সময় আল উদেইদ কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে।

    মার্কিন বিমান বাহিনীর ৩৭৯তম এয়ার এক্সপিডিশনারি উইংও এই ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মে মাসে মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় এই ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।

    স্যাটেলাইট চিত্র অনুযায়ী, সম্প্রতি ওয়াশিংটন আল উদেইদের রানওয়ে থেকে কয়েক ডজন বিমান প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে মার্কিন হস্তক্ষেপের পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইরানের সম্ভাব্য হামলা থেকে রক্ষা করার জন্যই সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

    গত পাঁচই জুন 'প্ল্যানেট ল্যাবস'-এর প্রকাশিত ছবিতে 'সি-১৩০ হারকিউলিস ট্রান্সপোর্ট' (একটি বিশেষ সামরিক পরিবহন বিমান) এবং 'রেকোননাইসেন্স প্লেন' (বিশেষ সামরিক বিমান যা আকাশপথে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হয়)-সহ ৪০টি বিমান দেখা গিয়েছিল।

    এর ঠিক দুই সপ্তাহ পরে সেখানে মাত্র তিনটি বিমান দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। প্রসঙ্গত, কাতারে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।

    বাহরাইন
    বাহরাইনে মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম ফ্লিটের সদর দফতর রয়েছে, যা পারস্য উপসাগর, লোহিত সাগর, আরব সাগর এবং কেনিয়ার দক্ষিণে পূর্ব আফ্রিকার উপকূলে মার্কিন নৌবাহিনীর দায়িত্বে রয়েছে।

    এই ফ্যাসিলিটি 'ন্যাভাল সাপোর্ট অ্যাক্টিভিটি বাহরাইন' নামে পরিচিত। এখানে মার্কিন নৌবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের সদর দফতরও রয়েছে। প্রায় নয় হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে এই ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রে।

    মার্কিন নৌবাহিনীর বেশ কয়েকটি জাহাজ বাহরাইনে রয়েছে। এই অঞ্চলের গভীর জলে 'ইউএসএস কার্ল ভিনসন'-এর মতো 'সুপারক্যারিয়ার' জাহাজ এবং অন্যান্য বিমানবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারে।

    এর মধ্যে চারটি 'মাইন ক্লিয়ারেন্স ভেসেল' (মাইন বিধ্বংসী জাহাজ) এবং দু'টি লজিস্টিক সাপোর্ট জাহাজও রয়েছে। বাহরাইনে মার্কিন কোস্টগার্ডের ছয়টি 'র‍্যাপিড রেসপন্স বোট'সহ একাধিক জলযান রয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

    কুয়েত
    মধ্যপ্রাচ্যের যে দেশগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, তার মধ্যে কুয়েত অন্যতম। এর মধ্যে রয়েছে ক্যাম্প আরিফজান, যেখানে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের হেডকোয়ার্টার রয়েছে।

    এটি মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর 'অপারেশনাল' এবং 'লজিস্টিক্যাল হাব' হিসাবে কাজ করে। বিভিন্ন অভিযানের সময় সরঞ্জাম সরবরাহ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে উপাদান মজুদ রয়েছে এই 'হাব'-এ।

    কুয়েতের আলী আল-সালেম বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮৬তম 'এয়ার এক্সপিডিশনারি উইং' রয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এই ঘাঁটিকে "ওই অঞ্চলে যৌথ ও জোট বাহিনীকে যুদ্ধ শক্তি মোতায়েনের কেন্দ্রীয় বিমান ঘাঁটি এবং প্রবেশদ্বার" হিসাবে উল্লেখ করেছে।

    এছাড়া কুয়েতে 'এমকিউ-৯ রিপার'সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনও রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র ক্যাম্প আরিফজান ও আলী আল সালেম বিমান ঘাঁটি মিলিয়েই মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে।

    সংযুক্ত আরব আমিরাত
    সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) আল ধাফরা বিমান ঘাঁটিতে একটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর ঘাঁটি রয়েছে। এটি একটি কৌশলগত ঘাঁটি যা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং কমব্যাট এয়ার অপারেশন (যুদ্ধ বিমান অভিযানে) সাহায্য করে।

    এই ঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮০ তম এয়ার এক্সপিডিশনারি উইং রয়েছে। এটি দশটি বিমান স্কোয়াড্রন নিয়ে গঠিত এমন এক বাহিনী যেখানে 'এমকিউ -৯ রিপার্স'-এর মতো ড্রোনও আছে।

    ইরাক
    সাদ্দাম হোসেনের পতনের সময় ইরাকের ৫০০টিরও বেশি ঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন ছিল। তবে বর্তমানে দেশটিতে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে এবং ওয়াশিংটন তাদের ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করার জন্য বাগদাদ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

    এটি 'ইসলামিক স্টেট' নামক গোষ্ঠীকে রুখতে আন্তর্জাতিক জোটের অংশ। এখানে মার্কিন সামরিক বাহিনী মূলত কুর্দিস্তানের দু'টি বিমান ঘাঁটি- আল আসাদ এবং ইরবিল থেকে নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।

    ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই ঘাঁটিগুলি এবং ওই দেশের অন্যান্য ছোটখাটো ঘাঁটিগুলিকে ইরানের-মিত্র গোষ্ঠীগুলির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।

    সিরিয়া
    সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর সূত্রপাত হয়েছিল ২০১১ সালে ওই দেশে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের সময় থেকে। পরবর্তীতে সিরিয়া ও ইরাকের উল্লেখযোগ্য অঞ্চল দখল করে ফেলে ওই গোষ্ঠী।

    সিরিয়াজুড়ে বিভিন্ন ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য রয়েছে যারা এই গোষ্ঠীটির পুনরুত্থান ঠেকাতে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে।

    গত জুন মাসে ওয়াশিংটন ঘোষণা করে যে, ওই দেশে যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত সামরিক ঘাঁটির সংখ্যা আট থেকে কমিয়ে একটিতে নামিয়ে আনবে এবং সিরিয়ার বিষয়ে তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনবে "কারণ এগুলোর কোনোটিই কাজ করেনি।"

    ট্রাম্প অপ্রত্যাশিতভাবে গত মে মাসে সিরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং তার সরকার সিরিয়ার নতুন 'ডি ফ্যাক্টো' নেতা আহমেদ শারার সঙ্গে আলাপ আলোচনার বিষয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। আহমেদ শারার নেতৃত্বে ২০২৪ সালের শেষের দিকে বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়।

    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    মধ্যপ্রাচ্যে কাতারসহ যেসব দেশে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ১২টিরও বেশি দেশে মার্কিন সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি ওই অঞ্চলের জলসীমায়ও যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ মোতায়েন করা আছে। বর্তমানে এসব ঘাঁটিতে সামরিক ও বেসামরিক নাগরিক মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আছেন। তাছাড়া রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধজাহাজ। এদিকে, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালানোর পর এসব সামরিক ঘাঁটিগুলি তাদের (ইরানের) সম্ভাব্য 'টার্গেট' (লক্ষ্যবস্তু) হয়ে দাঁড়ায়। ইরান আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল যে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য তারা "সমস্ত বিকল্প খোলা রাখছে।" ইরান ইতোমধ্যে কাতারের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি কোনও নতুন বিষয় নয়। ইরাকে যুদ্ধের সময় ওই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেনা সংখ্যা ১ লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময়েও মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। গত বছর ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা এবং লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজে ইয়েমেনের হুথিদের ক্রমাগত হামলার পর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ, ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনা উপস্থিতি জোরদার করা হয়। তবে সম্প্রতি তেহরানের পক্ষ থেকে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় মার্কিন কর্মীদের সুরক্ষার জন্য আঞ্চলিক ঘাঁটিগুলি থেকে সামরিক বাহিনীকে স্বেচ্ছায় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। সামগ্রিকভাবে, এই অঞ্চলে কমপক্ষে ১৯টি স্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটিকে বহু আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞই স্থায়ী ঘাঁটি বলে মনে করেন। সেগুলো সৌদি আরব, বাহরাইন, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, ইসরায়েল, জর্ডান, কুয়েত, কাতার এবং সিরিয়ায় অবস্থিত। স্বতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস'-এর মতে, মার্কিন সামরিক বাহিনী জিবুতি এবং তুরস্কের বড় ঘাঁটিগুলিও ব্যবহার করে, যা অন্যান্য আঞ্চলিক কমান্ডের অংশ হলেও প্রায়শই মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন অভিযানের সময় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। এই প্রতিবেদনে মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান প্রধান মার্কিন ঘাঁটিগুলির বিষয়ে উল্লেখযোগ্য তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই সমস্ত ঘাঁটিগুলি যুক্তরাষ্ট্রের 'সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)' বা মার্কিন সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের অধীনে। কাতার কাতারের আল উদেইদ ঘাঁটিটি পুরো অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন ঘাঁটি। এখানে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এবং এর বিমান বাহিনীর ফরওয়ার্ড হেডকোয়ার্টার রয়েছে। ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর অতীত অভিযানের সময় আল উদেইদ কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে। মার্কিন বিমান বাহিনীর ৩৭৯তম এয়ার এক্সপিডিশনারি উইংও এই ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মে মাসে মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় এই ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। স্যাটেলাইট চিত্র অনুযায়ী, সম্প্রতি ওয়াশিংটন আল উদেইদের রানওয়ে থেকে কয়েক ডজন বিমান প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে মার্কিন হস্তক্ষেপের পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইরানের সম্ভাব্য হামলা থেকে রক্ষা করার জন্যই সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। গত পাঁচই জুন 'প্ল্যানেট ল্যাবস'-এর প্রকাশিত ছবিতে 'সি-১৩০ হারকিউলিস ট্রান্সপোর্ট' (একটি বিশেষ সামরিক পরিবহন বিমান) এবং 'রেকোননাইসেন্স প্লেন' (বিশেষ সামরিক বিমান যা আকাশপথে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হয়)-সহ ৪০টি বিমান দেখা গিয়েছিল। এর ঠিক দুই সপ্তাহ পরে সেখানে মাত্র তিনটি বিমান দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। প্রসঙ্গত, কাতারে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। বাহরাইন বাহরাইনে মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম ফ্লিটের সদর দফতর রয়েছে, যা পারস্য উপসাগর, লোহিত সাগর, আরব সাগর এবং কেনিয়ার দক্ষিণে পূর্ব আফ্রিকার উপকূলে মার্কিন নৌবাহিনীর দায়িত্বে রয়েছে। এই ফ্যাসিলিটি 'ন্যাভাল সাপোর্ট অ্যাক্টিভিটি বাহরাইন' নামে পরিচিত। এখানে মার্কিন নৌবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের সদর দফতরও রয়েছে। প্রায় নয় হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে এই ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রে। মার্কিন নৌবাহিনীর বেশ কয়েকটি জাহাজ বাহরাইনে রয়েছে। এই অঞ্চলের গভীর জলে 'ইউএসএস কার্ল ভিনসন'-এর মতো 'সুপারক্যারিয়ার' জাহাজ এবং অন্যান্য বিমানবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারে। এর মধ্যে চারটি 'মাইন ক্লিয়ারেন্স ভেসেল' (মাইন বিধ্বংসী জাহাজ) এবং দু'টি লজিস্টিক সাপোর্ট জাহাজও রয়েছে। বাহরাইনে মার্কিন কোস্টগার্ডের ছয়টি 'র‍্যাপিড রেসপন্স বোট'সহ একাধিক জলযান রয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। কুয়েত মধ্যপ্রাচ্যের যে দেশগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, তার মধ্যে কুয়েত অন্যতম। এর মধ্যে রয়েছে ক্যাম্প আরিফজান, যেখানে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের হেডকোয়ার্টার রয়েছে। এটি মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর 'অপারেশনাল' এবং 'লজিস্টিক্যাল হাব' হিসাবে কাজ করে। বিভিন্ন অভিযানের সময় সরঞ্জাম সরবরাহ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে উপাদান মজুদ রয়েছে এই 'হাব'-এ। কুয়েতের আলী আল-সালেম বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮৬তম 'এয়ার এক্সপিডিশনারি উইং' রয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এই ঘাঁটিকে "ওই অঞ্চলে যৌথ ও জোট বাহিনীকে যুদ্ধ শক্তি মোতায়েনের কেন্দ্রীয় বিমান ঘাঁটি এবং প্রবেশদ্বার" হিসাবে উল্লেখ করেছে। এছাড়া কুয়েতে 'এমকিউ-৯ রিপার'সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনও রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র ক্যাম্প আরিফজান ও আলী আল সালেম বিমান ঘাঁটি মিলিয়েই মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) আল ধাফরা বিমান ঘাঁটিতে একটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর ঘাঁটি রয়েছে। এটি একটি কৌশলগত ঘাঁটি যা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং কমব্যাট এয়ার অপারেশন (যুদ্ধ বিমান অভিযানে) সাহায্য করে। এই ঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮০ তম এয়ার এক্সপিডিশনারি উইং রয়েছে। এটি দশটি বিমান স্কোয়াড্রন নিয়ে গঠিত এমন এক বাহিনী যেখানে 'এমকিউ -৯ রিপার্স'-এর মতো ড্রোনও আছে। ইরাক সাদ্দাম হোসেনের পতনের সময় ইরাকের ৫০০টিরও বেশি ঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন ছিল। তবে বর্তমানে দেশটিতে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে এবং ওয়াশিংটন তাদের ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করার জন্য বাগদাদ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এটি 'ইসলামিক স্টেট' নামক গোষ্ঠীকে রুখতে আন্তর্জাতিক জোটের অংশ। এখানে মার্কিন সামরিক বাহিনী মূলত কুর্দিস্তানের দু'টি বিমান ঘাঁটি- আল আসাদ এবং ইরবিল থেকে নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই ঘাঁটিগুলি এবং ওই দেশের অন্যান্য ছোটখাটো ঘাঁটিগুলিকে ইরানের-মিত্র গোষ্ঠীগুলির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। সিরিয়া সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর সূত্রপাত হয়েছিল ২০১১ সালে ওই দেশে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের সময় থেকে। পরবর্তীতে সিরিয়া ও ইরাকের উল্লেখযোগ্য অঞ্চল দখল করে ফেলে ওই গোষ্ঠী। সিরিয়াজুড়ে বিভিন্ন ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য রয়েছে যারা এই গোষ্ঠীটির পুনরুত্থান ঠেকাতে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। গত জুন মাসে ওয়াশিংটন ঘোষণা করে যে, ওই দেশে যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত সামরিক ঘাঁটির সংখ্যা আট থেকে কমিয়ে একটিতে নামিয়ে আনবে এবং সিরিয়ার বিষয়ে তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনবে "কারণ এগুলোর কোনোটিই কাজ করেনি।" ট্রাম্প অপ্রত্যাশিতভাবে গত মে মাসে সিরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং তার সরকার সিরিয়ার নতুন 'ডি ফ্যাক্টো' নেতা আহমেদ শারার সঙ্গে আলাপ আলোচনার বিষয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। আহমেদ শারার নেতৃত্বে ২০২৪ সালের শেষের দিকে বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    JonoSathi React
    Love
    5
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·9 দেখেছে ·0 রিভিউ
  • ইরানের হৃদয়ে পৌঁছে যাওয়া নারী গুপ্তচর
    স্ত্রীদের জিভে স্বামীদের মৃত্যুর ফাঁদ!
    ক্যাথরিন পেরেজ শকদাম—একজন ফরাসি তরুণী। ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং নিজেকে শিয়াপন্থী বলে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি ইরানি বিপ্লবের প্রশংসা করেন, “বিলায়তে ফকিহ” এর সমর্থনে লেখালিখি করেন। এমনকি তাঁর প্রবন্ধ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীর ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়।
    কিন্তু এই মুখোশের আড়ালে ছিল মোসাদের নজরদারি।
    ক্যাথরিন ছিলেন না কোনো সাধারণ গুপ্তচর। তিনি ইরানে প্রবেশ করেছিলেন লেখিকা, সাংবাদিক ও চিন্তাবিদ হিসেবে। রাজনীতিবিদদের ঘনিষ্ঠ হন, রেভল্যুশনারি গার্ডের সঙ্গে বসেন, এমনকি প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রইসির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। “গবেষণার" অজুহাতে তিনি সংবেদনশীল অনেক এলাকাও পরিদর্শন করেন।
    কিন্তু সবচেয়ে বিপজ্জনক ছিল নারী মহলে তার প্রবেশ।
    তিনি উচ্চপদস্থ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের স্ত্রীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তাদের বিশ্বাস অর্জন করেন, যেন তিনিও তাদেরই একজন। আর তারাই খোলামেলা বলতেন— স্বামীদের কাজ, থাকার স্থান, ভ্রমণের সময়সূচি, দৈনন্দিন জীবনযাপন সম্পর্কে। প্রতিটি কথা রেকর্ড হতো, প্রতিটি তথ্য পাঠানো হতো বাইরে।
    এই তথ্যগুলোর ভিত্তিতেই নির্ধারণ করা হতো লক্ষ্যবস্তু।
    তারপর একে একে সংঘটিত হতো হত্যাকাণ্ড। নারীদের মুখে বলা নিষ্পাপ কথাগুলোই হয়ে উঠেছিল তাদের স্বামীদের মৃত্যুর কারণ।
    যখন তার প্রতি সন্দেহ দেখা দেয়, তিনি ইরান ছেড়ে চলে যান— ঠিক সময়ে, দরজা বন্ধ হওয়ার আগেই। কিন্তু ততক্ষণে তিনি তার কাজ শেষ করে ফেলেছেন। ইরানের ওপর ভয়ানক আঘাত হেনেছেন, যার রেশ এখনও রয়ে গেছে।
    এই সংগ্রহ করা তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই ইসরায়েল এখনো পরিচালনা করছে একের পর এক নিখুঁত অভিযান।
    যার মূল উৎস— ক্যাথরিনের হাত ধরে ঘর থেকেই পাওয়া গোপন তথ্য।
    এটা কেবল একটি গুপ্তচর কাহিনি নয়। এটা একটি রাষ্ট্র-স্তরের নিরাপত্তা বিপর্যয়। আজকের এই ছায়াযুদ্ধে— গুলির আওয়াজ শোনা যায় না। বরং হত্যা ঘটে— একটি নারীমহলের শান্ত আলাপচারিতায়।
    ইরান এই ঘটনার অভিঘাত কাটিয়ে উঠুক। মুসলিম রাষ্ট্রগুলো লুকিয়ে থাকা “ক্যাথরিন” থেকে নিরাপদ হোক।

    সংগৃহিত :
    ইরানের হৃদয়ে পৌঁছে যাওয়া নারী গুপ্তচর স্ত্রীদের জিভে স্বামীদের মৃত্যুর ফাঁদ! ক্যাথরিন পেরেজ শকদাম—একজন ফরাসি তরুণী। ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং নিজেকে শিয়াপন্থী বলে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি ইরানি বিপ্লবের প্রশংসা করেন, “বিলায়তে ফকিহ” এর সমর্থনে লেখালিখি করেন। এমনকি তাঁর প্রবন্ধ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীর ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়। কিন্তু এই মুখোশের আড়ালে ছিল মোসাদের নজরদারি। ক্যাথরিন ছিলেন না কোনো সাধারণ গুপ্তচর। তিনি ইরানে প্রবেশ করেছিলেন লেখিকা, সাংবাদিক ও চিন্তাবিদ হিসেবে। রাজনীতিবিদদের ঘনিষ্ঠ হন, রেভল্যুশনারি গার্ডের সঙ্গে বসেন, এমনকি প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রইসির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। “গবেষণার" অজুহাতে তিনি সংবেদনশীল অনেক এলাকাও পরিদর্শন করেন। কিন্তু সবচেয়ে বিপজ্জনক ছিল নারী মহলে তার প্রবেশ। তিনি উচ্চপদস্থ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের স্ত্রীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তাদের বিশ্বাস অর্জন করেন, যেন তিনিও তাদেরই একজন। আর তারাই খোলামেলা বলতেন— স্বামীদের কাজ, থাকার স্থান, ভ্রমণের সময়সূচি, দৈনন্দিন জীবনযাপন সম্পর্কে। প্রতিটি কথা রেকর্ড হতো, প্রতিটি তথ্য পাঠানো হতো বাইরে। এই তথ্যগুলোর ভিত্তিতেই নির্ধারণ করা হতো লক্ষ্যবস্তু। তারপর একে একে সংঘটিত হতো হত্যাকাণ্ড। নারীদের মুখে বলা নিষ্পাপ কথাগুলোই হয়ে উঠেছিল তাদের স্বামীদের মৃত্যুর কারণ। যখন তার প্রতি সন্দেহ দেখা দেয়, তিনি ইরান ছেড়ে চলে যান— ঠিক সময়ে, দরজা বন্ধ হওয়ার আগেই। কিন্তু ততক্ষণে তিনি তার কাজ শেষ করে ফেলেছেন। ইরানের ওপর ভয়ানক আঘাত হেনেছেন, যার রেশ এখনও রয়ে গেছে। এই সংগ্রহ করা তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই ইসরায়েল এখনো পরিচালনা করছে একের পর এক নিখুঁত অভিযান। যার মূল উৎস— ক্যাথরিনের হাত ধরে ঘর থেকেই পাওয়া গোপন তথ্য। এটা কেবল একটি গুপ্তচর কাহিনি নয়। এটা একটি রাষ্ট্র-স্তরের নিরাপত্তা বিপর্যয়। আজকের এই ছায়াযুদ্ধে— গুলির আওয়াজ শোনা যায় না। বরং হত্যা ঘটে— একটি নারীমহলের শান্ত আলাপচারিতায়। ইরান এই ঘটনার অভিঘাত কাটিয়ে উঠুক। মুসলিম রাষ্ট্রগুলো লুকিয়ে থাকা “ক্যাথরিন” থেকে নিরাপদ হোক। সংগৃহিত :
    Love
    Like
    5
    · 1 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·23 দেখেছে ·0 রিভিউ
  • ঈদ নেই, আনন্দ নেই, বহুদিন নিজেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
    অনেকদিন ধরেই ভাবছি একটা বিজ্ঞাপন দিবো; নিখোঁজ বিজ্ঞাপন।
    শহরের অলিতে-গলিতে, হাইওয়ের পাশে। চৌরাস্তার পাশে বিলবোর্ডে;
    আমি আমাকে খুঁজে পাচ্ছিনা।

    ঈদের আনন্দে পাচ্ছিনা
    বন্ধুদের আড্ডায় পাচ্ছিনা
    কোনোকিছুতেই আর নিজেকে খুঁজে পাচ্ছি না;
    তাই একটা বিজ্ঞাপন দিবো।

    - সাজীদ আহমেদ
    #লেখা_না_ছাঁই
    ঈদ নেই, আনন্দ নেই, বহুদিন নিজেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকদিন ধরেই ভাবছি একটা বিজ্ঞাপন দিবো; নিখোঁজ বিজ্ঞাপন। শহরের অলিতে-গলিতে, হাইওয়ের পাশে। চৌরাস্তার পাশে বিলবোর্ডে; আমি আমাকে খুঁজে পাচ্ছিনা। ঈদের আনন্দে পাচ্ছিনা বন্ধুদের আড্ডায় পাচ্ছিনা কোনোকিছুতেই আর নিজেকে খুঁজে পাচ্ছি না; তাই একটা বিজ্ঞাপন দিবো। - সাজীদ আহমেদ #লেখা_না_ছাঁই
    Love
    JonoSathi React
    Sad
    4
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·4 দেখেছে ·0 রিভিউ
  • ভাবুনতো, এখানে আপনি আর আপনার বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছেন। 😮⛰️
    ভাবুনতো, এখানে আপনি আর আপনার বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছেন। 😮⛰️
    Love
    Like
    JonoSathi React
    Sad
    Wow
    36
    · 5 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·20 দেখেছে ·0 রিভিউ
  • নৈতিক স্খলনের অভিযোগে সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ এনসিপির
    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওঠা নৈতিক স্খলনের অভিযোগের বিষয়ে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)৷ আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তাঁকে অভিযোগের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে৷ পাশাপাশি বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার আগপর্যন্ত সারোয়ার তুষারকে এনসিপির সব সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে৷

    আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার কথা জানিয়েছে এনসিপি৷ দলের পক্ষ থেকে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত বিজ্ঞপ্তিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন৷
    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    নৈতিক স্খলনের অভিযোগে সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ এনসিপির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওঠা নৈতিক স্খলনের অভিযোগের বিষয়ে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)৷ আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তাঁকে অভিযোগের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে৷ পাশাপাশি বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার আগপর্যন্ত সারোয়ার তুষারকে এনসিপির সব সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে৷ আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার কথা জানিয়েছে এনসিপি৷ দলের পক্ষ থেকে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত বিজ্ঞপ্তিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন৷ #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    Love
    1
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·3 দেখেছে ·0 রিভিউ
More Results
Jono Sathi – Connecting Bangladesh https://jonosathi.com