১২ বছরের নাইট শিফট—একটা বাস্তব জীবনের গল্প
প্রায় এক যুগ হয়ে গেলো—
৬ দিন দিন শিফট, একদিন বিশ্রাম, তারপর আবার ৬ দিন রাতের ডিউটি।
আবার অনেক সময় শুক্রবার ওই একটা দিন ও অফিস করতে হয়, কোম্পানির সুবিধার্থে, এখন হয়তো অনেকে ভাবছেন সিফ্ট চেঞ্জ হয় কিভাবে তাহলে। ঔযে ১৮ ঘন্টা অফিস করতে হয়, রাতের ডিউটি করে আবার দিনের ডিউটি করা লাগে, তার পর কোনো মত রাতটা ঘুমিয়ে আবার সকাল হতেই টুংটুং এলার্ম বেজে উঠে, অথচ ঘুমের আবাস এখনো কাটেনি, অথচ নিয়ম অনুযায়ী সকালে আবার অফিসে আসতে হয়, অবশ্য কাজের চাপ থাকলে এরকম চলতে থাকে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর।
দিন বদলায়, সূর্য ওঠে, সন্ধ্যা নামে,
কিন্তু আমার রুটিন বদলায় না।
কেউ ভাবে, আমি শুধু চাকরি করি।
আসলে আমি যুদ্ধ করি—
পরিবারের জন্য, স্বপ্নের জন্য, ভবিষ্যতের জন্য।
রাত ২টায় যখন সবাই গভীর ঘুমে,
তখন আমি মেশিনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকি—
ঘুম আর ক্লান্তির সঙ্গে লড়াই করে।
দিনে যখন বিশ্রাম নিতে চাই,
চারপাশের শব্দ, আলো আর বাস্তবতা ঘুম কেড়ে নেয়।
১২ বছর ধরে এই একই চক্রে বাঁধা আমার জীবন।
কখনো মনে হয়েছে থেমে যাই...
আবার মনে হয়েছে—
না, এই পরিশ্রম একদিন কিছু এনে দেবে।
আমি কোনো বড় মানুষ না।
আমি একজন শ্রমিক, একজন যোদ্ধা, একজন স্বপ্নবাজ।
যে নিজের ঘাম দিয়ে পরিবার গড়ে, ভবিষ্যত গড়ে।
এই লেখা আমার জন্য নয়—
এই লেখা আমার মতো সব মানুষের জন্য,
যারা দিনের আলোয় অদৃশ্য আর রাতের অন্ধকারে দৃশ্যমান।
– একজন নাইট শিফটের মানুষ ১২ বছরের নাইট শিফট—একটা বাস্তব জীবনের গল্প
মোঃ রিপন বসুনিয়া
১২ বছরের নাইট শিফট—একটা বাস্তব জীবনের গল্প
প্রায় এক যুগ হয়ে গেলো—
৬ দিন দিন শিফট, একদিন বিশ্রাম, তারপর আবার ৬ দিন রাতের ডিউটি।
আবার অনেক সময় শুক্রবার ওই একটা দিন ও অফিস করতে হয়, কোম্পানির সুবিধার্থে, এখন হয়তো অনেকে ভাবছেন সিফ্ট চেঞ্জ হয় কিভাবে তাহলে। ঔযে ১৮ ঘন্টা অফিস করতে হয়, রাতের ডিউটি করে আবার দিনের ডিউটি করা লাগে, তার পর কোনো মত রাতটা ঘুমিয়ে আবার সকাল হতেই টুংটুং এলার্ম বেজে উঠে, অথচ ঘুমের আবাস এখনো কাটেনি, অথচ নিয়ম অনুযায়ী সকালে আবার অফিসে আসতে হয়, অবশ্য কাজের চাপ থাকলে এরকম চলতে থাকে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর।
দিন বদলায়, সূর্য ওঠে, সন্ধ্যা নামে,
কিন্তু আমার রুটিন বদলায় না।
কেউ ভাবে, আমি শুধু চাকরি করি।
আসলে আমি যুদ্ধ করি—
পরিবারের জন্য, স্বপ্নের জন্য, ভবিষ্যতের জন্য।
রাত ২টায় যখন সবাই গভীর ঘুমে,
তখন আমি মেশিনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকি—
ঘুম আর ক্লান্তির সঙ্গে লড়াই করে।
দিনে যখন বিশ্রাম নিতে চাই,
চারপাশের শব্দ, আলো আর বাস্তবতা ঘুম কেড়ে নেয়।
১২ বছর ধরে এই একই চক্রে বাঁধা আমার জীবন।
কখনো মনে হয়েছে থেমে যাই...
আবার মনে হয়েছে—
না, এই পরিশ্রম একদিন কিছু এনে দেবে।
আমি কোনো বড় মানুষ না।
আমি একজন শ্রমিক, একজন যোদ্ধা, একজন স্বপ্নবাজ।
যে নিজের ঘাম দিয়ে পরিবার গড়ে, ভবিষ্যত গড়ে।
এই লেখা আমার জন্য নয়—
এই লেখা আমার মতো সব মানুষের জন্য,
যারা দিনের আলোয় অদৃশ্য আর রাতের অন্ধকারে দৃশ্যমান।
– একজন নাইট শিফটের মানুষ ১২ বছরের নাইট শিফট—একটা বাস্তব জীবনের গল্প
মোঃ রিপন বসুনিয়া