Security Check
  • যে বস্তুর সংস্পর্শে এলে দুই দিনের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে -- ১

    ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল চেরনোবিলে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। সে সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। বর্তমানের ইউক্রেনের অংশ চেরনোবিলের রিঅ্যাক্টর ফোরের নিচে থাকা জমাট বাঁধা বিশেষ এক বস্তু নিয়ে বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। এই বস্তুকে বলা হচ্ছে হাতির পা বা এলিফ্যান্টস ফুট। একসময় এই বস্তু থেকে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার রঞ্জেন এক্স-রে নির্গত হতো। এই পরিমাণ এক্স-রে কয়েক মিনিটের মধ্যে মানুষকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট। গলিত জ্বালানি ও ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি এই বস্তুর ওজন প্রায় দুই টন। বস্তুটি এখনো বিপজ্জনকভাবে তেজস্ক্রিয়।

    আপনি যদি এলিফ্যান্টস ফুটের কাছাকাছি মাত্র ৩০ সেকেন্ডের জন্য দাঁড়ান, তবে প্রথমে আপনি কিছুই অনুভব করবেন না। দুদিন পরেই আপনার মধ্যে তীব্র মাথা ঘোরা ও ক্লান্তি দেখা দেবে। বস্তুর কাছে দুই মিনিট থাকলে আপনার শরীরের কোষ ভেঙে যেতে শুরু করবে। চার মিনিট দাঁড়ালে বমি ও জ্বর শুরু হবে। আর যদি আপনি পাঁচ মিনিট দাঁড়ান তাহলে দ্রুত মৃত্যুর মুখে পতিত হবেন।

    এলিফ্যান্টস ফুট ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয়ের ফলে তৈরি হওয়া জমাট বাঁধা একটি বস্তু। তখন একটি পরীক্ষার সময় রিঅ্যাক্টর নাম্বার ফোর বিস্ফোরিত হয়। তখন বিপুল পরিমাণ তেজস্ক্রিয় উপাদান নির্গত হয়েছিল। বিস্ফোরণের ফলে ইউরেনিয়াম জ্বালানি গলে রিঅ্যাক্টরের কাঠামোগত স্তর ভেদ করে নিচে নেমে আসে। এই গলিত মিশ্রণ পারমাণবিক জ্বালানি, রিঅ্যাক্টরের আচ্ছাদন, কংক্রিট ও বালুর সমন্বয়ে গঠিত হয়। সবশেষে শীতল হয়ে জমে গিয়ে এক বীভৎস এক মিটার চওড়া কাঠামো তৈরি করে। সেখানকার কর্মীরা পরে এই জমাট বাঁধা কালো লাভা-সদৃশ বস্তুকে একটি হাতির কুঁচকানো পায়ের মতো দেখতে বলে বর্ণনা করেন।

    সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
    যে বস্তুর সংস্পর্শে এলে দুই দিনের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে -- ১ ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল চেরনোবিলে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। সে সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। বর্তমানের ইউক্রেনের অংশ চেরনোবিলের রিঅ্যাক্টর ফোরের নিচে থাকা জমাট বাঁধা বিশেষ এক বস্তু নিয়ে বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। এই বস্তুকে বলা হচ্ছে হাতির পা বা এলিফ্যান্টস ফুট। একসময় এই বস্তু থেকে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার রঞ্জেন এক্স-রে নির্গত হতো। এই পরিমাণ এক্স-রে কয়েক মিনিটের মধ্যে মানুষকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট। গলিত জ্বালানি ও ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি এই বস্তুর ওজন প্রায় দুই টন। বস্তুটি এখনো বিপজ্জনকভাবে তেজস্ক্রিয়। আপনি যদি এলিফ্যান্টস ফুটের কাছাকাছি মাত্র ৩০ সেকেন্ডের জন্য দাঁড়ান, তবে প্রথমে আপনি কিছুই অনুভব করবেন না। দুদিন পরেই আপনার মধ্যে তীব্র মাথা ঘোরা ও ক্লান্তি দেখা দেবে। বস্তুর কাছে দুই মিনিট থাকলে আপনার শরীরের কোষ ভেঙে যেতে শুরু করবে। চার মিনিট দাঁড়ালে বমি ও জ্বর শুরু হবে। আর যদি আপনি পাঁচ মিনিট দাঁড়ান তাহলে দ্রুত মৃত্যুর মুখে পতিত হবেন। এলিফ্যান্টস ফুট ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয়ের ফলে তৈরি হওয়া জমাট বাঁধা একটি বস্তু। তখন একটি পরীক্ষার সময় রিঅ্যাক্টর নাম্বার ফোর বিস্ফোরিত হয়। তখন বিপুল পরিমাণ তেজস্ক্রিয় উপাদান নির্গত হয়েছিল। বিস্ফোরণের ফলে ইউরেনিয়াম জ্বালানি গলে রিঅ্যাক্টরের কাঠামোগত স্তর ভেদ করে নিচে নেমে আসে। এই গলিত মিশ্রণ পারমাণবিক জ্বালানি, রিঅ্যাক্টরের আচ্ছাদন, কংক্রিট ও বালুর সমন্বয়ে গঠিত হয়। সবশেষে শীতল হয়ে জমে গিয়ে এক বীভৎস এক মিটার চওড়া কাঠামো তৈরি করে। সেখানকার কর্মীরা পরে এই জমাট বাঁধা কালো লাভা-সদৃশ বস্তুকে একটি হাতির কুঁচকানো পায়ের মতো দেখতে বলে বর্ণনা করেন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
    0 Comments ·0 Shares ·500 Views ·0 Reviews
  • পৃথিবীর প্রথম প্রাণী

    পৃথিবীর প্রথম প্রাণী কোনটি ছিল, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক বিতর্ক রয়েছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রাচীন সামুদ্রিক স্পঞ্জই ছিল পৃথিবীর প্রথম প্রাণী। প্রায় ৫ কোটি ৪১ লাখ বছরেরও বেশি পুরোনো শিলায় পাওয়া রাসায়নিক জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণের অনেক আগেই সামুদ্রিক স্পঞ্জ বিদ্যমান ছিল।

    এমআইটির বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পুরোনো জৈব-অণুর চিহ্ন প্রায় ৫ কোটি ৪১ লাখ বছরেরও বেশি পুরোনো শিলায় পাওয়া গেছে। আধুনিক ডেমোস্পঞ্জের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কিত এই জীবাশ্মের মাধ্যমে নতুন তথ্য জানা যাচ্ছে। নতুন তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে ক্যামব্রিয়ান যুগে জটিল জীবনের বিস্ফোরণের অনেক আগেই স্পঞ্জ বিদ্যমান ছিল। এই আবিষ্কার থেকে বোঝা যায় যে পৃথিবীর প্রাচীনতম প্রাণী ছিল নরম-দেহী, সামুদ্রিক জীব।

    গবেষণার জন্য এমআইটির বিজ্ঞানীরা ওমান, পশ্চিম ভারত ও সাইবেরিয়ার শিলা বিশ্লেষণ করে স্টেরেনস নামে পরিচিত বায়োমার্কার খুঁজে বের করেন। স্টেরেনস হলো স্টেরল থেকে প্রাপ্ত স্থিতিশীল রাসায়নিক অবশেষ। এটি জটিল জীবের কোষ পর্দার অপরিহার্য উপাদান। বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার করা বিরল সি৩০ ও সি৩১ স্টেরেনস শুধু ডিমোস্পঞ্জ থেকেই তৈরি হতে পারে। এই রাসায়নিক নমুনাই পৃথিবীর প্রথম প্রাণীর আণবিক সূত্র হিসাবে কাজ করেছে।

    স্পঞ্জকে বেশ সাধারণ প্রাণী বলে বিবেচনা করা হয়। সমুদ্রের পানি ছেঁকে পুষ্টি সংগ্রহের মাধ্যমে প্রথম দিকের স্পঞ্জ পৃথিবীর মহাসাগরে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করেছিল। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী রজার সামন্স বলেন, ‘আমাদের কাছে তিনটি সহায়ক ও পারস্পরিক সম্মত প্রমাণ রয়েছে। গবেষণা ইঙ্গিত করছে, স্পঞ্জই পৃথিবীর প্রাচীনতম প্রাণী ছিল।’

    সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো।
    পৃথিবীর প্রথম প্রাণী পৃথিবীর প্রথম প্রাণী কোনটি ছিল, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক বিতর্ক রয়েছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রাচীন সামুদ্রিক স্পঞ্জই ছিল পৃথিবীর প্রথম প্রাণী। প্রায় ৫ কোটি ৪১ লাখ বছরেরও বেশি পুরোনো শিলায় পাওয়া রাসায়নিক জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণের অনেক আগেই সামুদ্রিক স্পঞ্জ বিদ্যমান ছিল। এমআইটির বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পুরোনো জৈব-অণুর চিহ্ন প্রায় ৫ কোটি ৪১ লাখ বছরেরও বেশি পুরোনো শিলায় পাওয়া গেছে। আধুনিক ডেমোস্পঞ্জের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কিত এই জীবাশ্মের মাধ্যমে নতুন তথ্য জানা যাচ্ছে। নতুন তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে ক্যামব্রিয়ান যুগে জটিল জীবনের বিস্ফোরণের অনেক আগেই স্পঞ্জ বিদ্যমান ছিল। এই আবিষ্কার থেকে বোঝা যায় যে পৃথিবীর প্রাচীনতম প্রাণী ছিল নরম-দেহী, সামুদ্রিক জীব। গবেষণার জন্য এমআইটির বিজ্ঞানীরা ওমান, পশ্চিম ভারত ও সাইবেরিয়ার শিলা বিশ্লেষণ করে স্টেরেনস নামে পরিচিত বায়োমার্কার খুঁজে বের করেন। স্টেরেনস হলো স্টেরল থেকে প্রাপ্ত স্থিতিশীল রাসায়নিক অবশেষ। এটি জটিল জীবের কোষ পর্দার অপরিহার্য উপাদান। বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার করা বিরল সি৩০ ও সি৩১ স্টেরেনস শুধু ডিমোস্পঞ্জ থেকেই তৈরি হতে পারে। এই রাসায়নিক নমুনাই পৃথিবীর প্রথম প্রাণীর আণবিক সূত্র হিসাবে কাজ করেছে। স্পঞ্জকে বেশ সাধারণ প্রাণী বলে বিবেচনা করা হয়। সমুদ্রের পানি ছেঁকে পুষ্টি সংগ্রহের মাধ্যমে প্রথম দিকের স্পঞ্জ পৃথিবীর মহাসাগরে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করেছিল। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী রজার সামন্স বলেন, ‘আমাদের কাছে তিনটি সহায়ক ও পারস্পরিক সম্মত প্রমাণ রয়েছে। গবেষণা ইঙ্গিত করছে, স্পঞ্জই পৃথিবীর প্রাচীনতম প্রাণী ছিল।’ সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো।
    Love
    1
    · 1 Comments ·0 Shares ·362 Views ·0 Reviews
  • শনির উপগ্রহে জীবনের উপাদান খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা

    শনির উপগ্রহ এনসেলাডাসের বরফে ঢাকা স্তরের নিচে থাকা সমুদ্রে জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় জটিল জৈব অণুর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বুধবার প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রায় ৫০০ কিলোমিটার ব্যাসের এই ছোট্ট উপগ্রহ খালি চোখে দেখা যায় না।

    আগে ধারণা করা হতো, সূর্য থেকে দূরে থাকার কারণে এটি অত্যন্ত ঠান্ডা এবং প্রাণহীন। তবে নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযান ২০০৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে শনির চারপাশে ঘুরে নানা তথ্য সংগ্রহ করে। তখন জানা যায়, এনসেলাডাসের বরফের নিচে বিশাল নোনাজলের সমুদ্র লুকিয়ে আছে।

    ক্যাসিনির পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ওই সমুদ্রে জীবনের জন্য দরকারি নানা উপাদান যেমন লবণ, মিথেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও ফসফরাস রয়েছে। উপগ্রহটির দক্ষিণ মেরুতে বরফের ফাঁক দিয়ে পানি ও বরফকণা ছিটকে বের হয়। এর কিছু আবার পৃষ্ঠে পড়ে, আর কিছু শনির একাধিক বলয়ের সঙ্গে মিশে যায়।

    ২০০৮ সালে ক্যাসিনি সরাসরি এসব বরফকণার ভেতর দিয়ে উড়ে যায়। তখন প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৮ কিলোমিটার গতিতে কণা আঘাত করে মহাকাশযানের যন্ত্রে। পরে দীর্ঘ বিশ্লেষণে নিশ্চিত হওয়া যায়—এগুলোর ভেতর জটিল জৈব অণু রয়েছে, যা জীবনের মূল উপাদান অ্যামাইনো অ্যাসিডের পূর্বধাপ।

    গবেষকরা বলছেন, এই জৈব অণুগুলো কেবল মহাকাশে দীর্ঘদিন থাকার কারণে তৈরি হয়নি, বরং এনসেলাডাসের সমুদ্রেই সরাসরি পাওয়া যায়। ফরাসি অ্যাস্ট্রোকেমিস্ট ক্যারোলিন ফ্রেসিনে জানান, এই প্রমাণ নিশ্চিত করে, উপগ্রহটির সমুদ্রে এমন উপাদান সত্যিই আছে। তবে আরও নির্ভুলভাবে বোঝার জন্য ভবিষ্যতে কোনো মহাকাশযানকে সরাসরি সেখানে নেমে নমুনা সংগ্রহ করতে হবে।

    ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ইতিমধ্যেই এমন একটি মিশনের পরিকল্পনা করছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সব শর্তই এখানে বিদ্যমান।

    সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন।
    শনির উপগ্রহে জীবনের উপাদান খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা শনির উপগ্রহ এনসেলাডাসের বরফে ঢাকা স্তরের নিচে থাকা সমুদ্রে জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় জটিল জৈব অণুর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বুধবার প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রায় ৫০০ কিলোমিটার ব্যাসের এই ছোট্ট উপগ্রহ খালি চোখে দেখা যায় না। আগে ধারণা করা হতো, সূর্য থেকে দূরে থাকার কারণে এটি অত্যন্ত ঠান্ডা এবং প্রাণহীন। তবে নাসার ক্যাসিনি মহাকাশযান ২০০৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে শনির চারপাশে ঘুরে নানা তথ্য সংগ্রহ করে। তখন জানা যায়, এনসেলাডাসের বরফের নিচে বিশাল নোনাজলের সমুদ্র লুকিয়ে আছে। ক্যাসিনির পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ওই সমুদ্রে জীবনের জন্য দরকারি নানা উপাদান যেমন লবণ, মিথেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও ফসফরাস রয়েছে। উপগ্রহটির দক্ষিণ মেরুতে বরফের ফাঁক দিয়ে পানি ও বরফকণা ছিটকে বের হয়। এর কিছু আবার পৃষ্ঠে পড়ে, আর কিছু শনির একাধিক বলয়ের সঙ্গে মিশে যায়। ২০০৮ সালে ক্যাসিনি সরাসরি এসব বরফকণার ভেতর দিয়ে উড়ে যায়। তখন প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৮ কিলোমিটার গতিতে কণা আঘাত করে মহাকাশযানের যন্ত্রে। পরে দীর্ঘ বিশ্লেষণে নিশ্চিত হওয়া যায়—এগুলোর ভেতর জটিল জৈব অণু রয়েছে, যা জীবনের মূল উপাদান অ্যামাইনো অ্যাসিডের পূর্বধাপ। গবেষকরা বলছেন, এই জৈব অণুগুলো কেবল মহাকাশে দীর্ঘদিন থাকার কারণে তৈরি হয়নি, বরং এনসেলাডাসের সমুদ্রেই সরাসরি পাওয়া যায়। ফরাসি অ্যাস্ট্রোকেমিস্ট ক্যারোলিন ফ্রেসিনে জানান, এই প্রমাণ নিশ্চিত করে, উপগ্রহটির সমুদ্রে এমন উপাদান সত্যিই আছে। তবে আরও নির্ভুলভাবে বোঝার জন্য ভবিষ্যতে কোনো মহাকাশযানকে সরাসরি সেখানে নেমে নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ইতিমধ্যেই এমন একটি মিশনের পরিকল্পনা করছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সব শর্তই এখানে বিদ্যমান। সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন।
    Like
    Love
    3
    · 0 Comments ·0 Shares ·559 Views ·0 Reviews
Upgrade to Pro
Choose the Plan That's Right for You
Jono Sathi - Learn, Share, Earn Halal https://jonosathi.com
jonosathi
0%