• বাড়ছে মন্দ ঋণ ও প্রভিশন ঘাটতি

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে ঋণ খেলাপির সময়সীমা ১৮০ দিন থেকে কমিয়ে ৯০ দিনে নামিয়ে আনার পর থেকে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ সীমিত হওয়া এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃ তফসিল কমিটির কার্যক্রমে ধীরগতি। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠন করে, যারা ইচ্ছাকৃত নয় এমন বড় অঙ্কের (৫০ কোটি টাকা বা তদূর্ধ্ব) খেলাপি ঋণ পুনর্গঠনের আবেদন যাচাই-বাছাই করবে। তবে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৫৩টি আবেদন জমা পড়লেও কোনো আবেদন চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়নি। কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত মাত্র ৫৬টি আবেদন প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন না আসায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা ঋণ খেলাপির পরিচয় থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না।

    একজন আবেদনকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করে কমিটির সভায় আবেদন বাছাই হয়েছে, কিন্তু ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটির সাড়া না পাওয়ায় পুনর্গঠন আটকে আছে। এখনো খেলাপির তালিকায় থেকে যাচ্ছি। ঋণ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় ধীরগতি, প্রভিশন ঘাটতি ও মূলধন সংকট মিলে দেশের ব্যাংক খাত চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর সিদ্ধান্ত না নিলে এর প্রভাব পড়বে অর্থনীতির সার্বিক ভিত্তির ওপর এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সাধারণ ভোক্তাও। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের মার্চে ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে মন্দ ঋণ ছিল ১ লাখ ৫৪ হাজার ১১৫ কোটি টাকা যা মোট খেলাপির ৮৪.৫৪ শতাংশ। ২০২৫ সালের মার্চে এসে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকায়। এর মধ্যে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৫ কোটি টাকা মন্দ ঋণ যা মোট খেলাপির ৮১.৩৮ শতাংশ। এক বছরে মন্দ ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।

    এই ঋণ আদায়ের সম্ভাবনা প্রায় শূন্য হওয়ায় ব্যাংকগুলোকে এর বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হয়। কিন্তু ব্যাংকগুলোর মুনাফা সে অনুযায়ী না বাড়ায় প্রভিশনের ঘাটতি এখন মারাত্মক রূপ নিয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চে যেখানে প্রভিশন ঘাটতি ছিল ২৬ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা, সেখানে ২০২৫ সালের মার্চে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকায়। এ সময়ের মধ্যে প্রভিশনের হার কমে এসেছে ৭৬ শতাংশ থেকে মাত্র ৩৮ শতাংশে। অর্থাৎ ৬২ শতাংশ ঋণের বিপরীতে কোনো প্রভিশন নেই, যা ব্যাংক খাতকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে প্রযোজ্য মূলধন রাখতে না পারায় ব্যাংকগুলোর আর্থিক ভিত্তি দিনদিন দুর্বল হয়ে পড়ছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, অনেক ব্যাংক স্মরণকালের সর্বনিম্ন মূলধন সংরক্ষণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক লেনদেনে ব্যয় বেড়েছে এবং বিনিয়োগকারীরাও প্রত্যাশিত লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের জন্য ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম বাড়ছে এবং ভোক্তারা চাপে পড়ছেন।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে খেলাপি ঋণের পূর্ব ধাপে ‘স্পেশাল মেনশন অ্যাকাউন্ট’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে আরও ৫০ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকার ঋণ। তিন মাসের মধ্যে এসব ঋণ পরিশোধ না হলে তা ‘নিম্নমান’ ঋণে পরিণত হবে এবং ধাপে ধাপে ‘সন্দেহজনক’ ও শেষে ‘মন্দ’ ঋণে রূপ নেবে। প্রতিটি ধাপে প্রভিশনের হার বাড়তে থাকে বিশেষ হিসেবে ৫ শতাংশ, নিম্নমানে ২০ শতাংশ, সন্দেহজনকে ৫০ শতাংশ এবং মন্দে ১০০ শতাংশ। এই ধারাবাহিকতাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, আগামীতে খেলাপি ও মন্দ ঋণের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    বাড়ছে মন্দ ঋণ ও প্রভিশন ঘাটতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে ঋণ খেলাপির সময়সীমা ১৮০ দিন থেকে কমিয়ে ৯০ দিনে নামিয়ে আনার পর থেকে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ সীমিত হওয়া এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃ তফসিল কমিটির কার্যক্রমে ধীরগতি। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠন করে, যারা ইচ্ছাকৃত নয় এমন বড় অঙ্কের (৫০ কোটি টাকা বা তদূর্ধ্ব) খেলাপি ঋণ পুনর্গঠনের আবেদন যাচাই-বাছাই করবে। তবে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৫৩টি আবেদন জমা পড়লেও কোনো আবেদন চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়নি। কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত মাত্র ৫৬টি আবেদন প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন না আসায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা ঋণ খেলাপির পরিচয় থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। একজন আবেদনকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করে কমিটির সভায় আবেদন বাছাই হয়েছে, কিন্তু ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটির সাড়া না পাওয়ায় পুনর্গঠন আটকে আছে। এখনো খেলাপির তালিকায় থেকে যাচ্ছি। ঋণ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় ধীরগতি, প্রভিশন ঘাটতি ও মূলধন সংকট মিলে দেশের ব্যাংক খাত চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর সিদ্ধান্ত না নিলে এর প্রভাব পড়বে অর্থনীতির সার্বিক ভিত্তির ওপর এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সাধারণ ভোক্তাও। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের মার্চে ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে মন্দ ঋণ ছিল ১ লাখ ৫৪ হাজার ১১৫ কোটি টাকা যা মোট খেলাপির ৮৪.৫৪ শতাংশ। ২০২৫ সালের মার্চে এসে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকায়। এর মধ্যে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৫ কোটি টাকা মন্দ ঋণ যা মোট খেলাপির ৮১.৩৮ শতাংশ। এক বছরে মন্দ ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এই ঋণ আদায়ের সম্ভাবনা প্রায় শূন্য হওয়ায় ব্যাংকগুলোকে এর বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হয়। কিন্তু ব্যাংকগুলোর মুনাফা সে অনুযায়ী না বাড়ায় প্রভিশনের ঘাটতি এখন মারাত্মক রূপ নিয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চে যেখানে প্রভিশন ঘাটতি ছিল ২৬ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা, সেখানে ২০২৫ সালের মার্চে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকায়। এ সময়ের মধ্যে প্রভিশনের হার কমে এসেছে ৭৬ শতাংশ থেকে মাত্র ৩৮ শতাংশে। অর্থাৎ ৬২ শতাংশ ঋণের বিপরীতে কোনো প্রভিশন নেই, যা ব্যাংক খাতকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে প্রযোজ্য মূলধন রাখতে না পারায় ব্যাংকগুলোর আর্থিক ভিত্তি দিনদিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, অনেক ব্যাংক স্মরণকালের সর্বনিম্ন মূলধন সংরক্ষণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক লেনদেনে ব্যয় বেড়েছে এবং বিনিয়োগকারীরাও প্রত্যাশিত লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের জন্য ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম বাড়ছে এবং ভোক্তারা চাপে পড়ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে খেলাপি ঋণের পূর্ব ধাপে ‘স্পেশাল মেনশন অ্যাকাউন্ট’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে আরও ৫০ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকার ঋণ। তিন মাসের মধ্যে এসব ঋণ পরিশোধ না হলে তা ‘নিম্নমান’ ঋণে পরিণত হবে এবং ধাপে ধাপে ‘সন্দেহজনক’ ও শেষে ‘মন্দ’ ঋণে রূপ নেবে। প্রতিটি ধাপে প্রভিশনের হার বাড়তে থাকে বিশেষ হিসেবে ৫ শতাংশ, নিম্নমানে ২০ শতাংশ, সন্দেহজনকে ৫০ শতাংশ এবং মন্দে ১০০ শতাংশ। এই ধারাবাহিকতাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, আগামীতে খেলাপি ও মন্দ ঋণের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    JonoSathi React
    1
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরানিদের মাঝে হতাশা


    ইসরায়েল ও ইরানের টানা দুই সপ্তাহের পাল্টাপাল্টি বিমান হামলার পর ঘোষণা আসে যুদ্ধবিরতির। মঙ্গলবার ভোরে শুরু হওয়া এই ‘ধাপে ধাপে যুদ্ধবিরতি’ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘোষণায় জানান, এটি একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য। তবে এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরানের বিভিন্ন শহরে সাধারণ মানুষের মাঝে এই বিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে গভীর সংশয়, আতঙ্ক এবং হতাশা বিরাজ করছে।

    ‌বোমার আতঙ্ক থেকে ফিরে

    তেহরানের বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী সাংবাদিক সামানেহ বলেন, “শেষ রাতের (সোমবার রাতের) বোমাবর্ষণ ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর। আমি ভেবেছিলাম, হয়তো আমার প্রিয়জনদের আর কখনো দেখতে পাব না।”

    তিনি জানান, যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তি পেলেও, তা স্থায়ী হবে—এ বিশ্বাস তাঁর নেই। “আমি মনে করেছিলাম ট্রাম্প আমাদের সাথে মনস্তাত্ত্বিক খেলা খেলছেন… ইসরায়েল আর ইরান কীভাবে এত সহজে একমত হলো—তা বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছিল,” বলেন তিনি।

    তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাগচির ওমান থেকে পাঠানো একটি আনুষ্ঠানিক বার্তার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করার পর কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছেন সামানেহ।

    তেহরানের পাশের শহর কারাজে বসবাসকারী ইতিহাস শিক্ষক রাহা বলেন, “এটা কোনো শান্তি নয়, এটা কেবল একটি বিরতি। যারা একদিকে আমাদের সরকার বদলের ডাক দেয়, আবার অন্যদিকে শান্তির কথা বলে—তাদের বিশ্বাস করব কীভাবে?”

    তিনি আরও বলেন, “আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আমেরিকা ও ইসরায়েল। আমাদের মাটিতে বোমা বর্ষণ করে আবার নারীর স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলছে!” “ইসরায়েল আর আমেরিকার হাতে আমাদের পরমাণু স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। কোটি কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হলো—যে অর্থ দিয়ে আমরা দেশ পুনর্গঠন করতে পারতাম।”

    ‌পরমাণু কর্মসূচি ও ক্ষোভ

    আহওয়াজের ৪২ বছর বয়সী প্রকৌশলী হাদি বলেন, “আমরা বারবার বলেছি, আমরা পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চাই না। অথচ ট্রাম্প ২০১৫ সালের চুক্তি থেকে সরে গিয়ে আমাদের যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে।”

    তিনি বলেন, “আমরা অনেক শহীদ হারিয়েছি। এখন সময় এক হওয়ার। আশা করি সরকারও কিছু বিষয়ে নমনীয় হবে—যেমন হিজাব।”

    ‌‘আস্থার জায়গা নেই’

    ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইয়াজদের ২৮ বছর বয়সী নার্স মোহাম্মদ বলেন, “আমি খুশি যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে, কিন্তু বিশ্বাস করতে পারছি না এটা টিকবে।”

    তিনি আরও বলেন, “এই চুক্তির কোনো পক্ষের ওপর আমার বিশ্বাস নেই—না ইরান সরকার, না আমেরিকা, না ইসরায়েল। আমেরিকা এক রাতেই আমাদের কয়েক প্রজন্মের সম্পদ ধ্বংস করে দিল। ইসরায়েল আমাদের বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে।”

    তেহরানে মঙ্গলবারের আগে রাতে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হন। সেখানকার জনগণ যুদ্ধবিরতির খবরে সকাল শুরু করলেও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ও ভয়ের ছায়া এখনো রয়ে গেছে।

    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরানিদের মাঝে হতাশা ইসরায়েল ও ইরানের টানা দুই সপ্তাহের পাল্টাপাল্টি বিমান হামলার পর ঘোষণা আসে যুদ্ধবিরতির। মঙ্গলবার ভোরে শুরু হওয়া এই ‘ধাপে ধাপে যুদ্ধবিরতি’ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘোষণায় জানান, এটি একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য। তবে এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরানের বিভিন্ন শহরে সাধারণ মানুষের মাঝে এই বিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে গভীর সংশয়, আতঙ্ক এবং হতাশা বিরাজ করছে। ‌বোমার আতঙ্ক থেকে ফিরে তেহরানের বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী সাংবাদিক সামানেহ বলেন, “শেষ রাতের (সোমবার রাতের) বোমাবর্ষণ ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর। আমি ভেবেছিলাম, হয়তো আমার প্রিয়জনদের আর কখনো দেখতে পাব না।” তিনি জানান, যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তি পেলেও, তা স্থায়ী হবে—এ বিশ্বাস তাঁর নেই। “আমি মনে করেছিলাম ট্রাম্প আমাদের সাথে মনস্তাত্ত্বিক খেলা খেলছেন… ইসরায়েল আর ইরান কীভাবে এত সহজে একমত হলো—তা বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছিল,” বলেন তিনি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাগচির ওমান থেকে পাঠানো একটি আনুষ্ঠানিক বার্তার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করার পর কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছেন সামানেহ। তেহরানের পাশের শহর কারাজে বসবাসকারী ইতিহাস শিক্ষক রাহা বলেন, “এটা কোনো শান্তি নয়, এটা কেবল একটি বিরতি। যারা একদিকে আমাদের সরকার বদলের ডাক দেয়, আবার অন্যদিকে শান্তির কথা বলে—তাদের বিশ্বাস করব কীভাবে?” তিনি আরও বলেন, “আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আমেরিকা ও ইসরায়েল। আমাদের মাটিতে বোমা বর্ষণ করে আবার নারীর স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলছে!” “ইসরায়েল আর আমেরিকার হাতে আমাদের পরমাণু স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। কোটি কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হলো—যে অর্থ দিয়ে আমরা দেশ পুনর্গঠন করতে পারতাম।” ‌পরমাণু কর্মসূচি ও ক্ষোভ আহওয়াজের ৪২ বছর বয়সী প্রকৌশলী হাদি বলেন, “আমরা বারবার বলেছি, আমরা পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চাই না। অথচ ট্রাম্প ২০১৫ সালের চুক্তি থেকে সরে গিয়ে আমাদের যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “আমরা অনেক শহীদ হারিয়েছি। এখন সময় এক হওয়ার। আশা করি সরকারও কিছু বিষয়ে নমনীয় হবে—যেমন হিজাব।” ‌‘আস্থার জায়গা নেই’ ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইয়াজদের ২৮ বছর বয়সী নার্স মোহাম্মদ বলেন, “আমি খুশি যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে, কিন্তু বিশ্বাস করতে পারছি না এটা টিকবে।” তিনি আরও বলেন, “এই চুক্তির কোনো পক্ষের ওপর আমার বিশ্বাস নেই—না ইরান সরকার, না আমেরিকা, না ইসরায়েল। আমেরিকা এক রাতেই আমাদের কয়েক প্রজন্মের সম্পদ ধ্বংস করে দিল। ইসরায়েল আমাদের বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে।” তেহরানে মঙ্গলবারের আগে রাতে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হন। সেখানকার জনগণ যুদ্ধবিরতির খবরে সকাল শুরু করলেও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ও ভয়ের ছায়া এখনো রয়ে গেছে। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    JonoSathi React
    2
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • ইরানের পরমাণু ক্ষেত্র অক্ষত, মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট


    মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক মূল্যায়নে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর। এতে জানা গেছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন বিমান হামলা পরও অক্ষত আছে। তারা পারমাণবিক কর্মসূচির মূল উপাদানগুলিকে ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে। যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সহযোগীরা দাবি করছেন, মার্কিন হামলায় সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে গেছে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা।

    পেন্টাগনের প্রাথমিক গোয়েন্দা ইউনিট প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ) মূল্যায়ন করা ফলাফলের সাথে পরিচিত চারটি সূত্র সিএনএন'কে এই কথা জানিয়েছেন।

    সিএনএনের একটি সূত্র অনুসারে, রবিবার সকালের আগ্রাসনের পরে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড (সেন্টকম) পরিচালিত যুদ্ধ মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন হামলাগুলো ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ক্ষমতা সম্পূর্ণ এবং সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে এটা ঠিক নয়।

    মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবিবার ট্রাম্পের দাবির প্রতিধ্বনি করে বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে।

    ডিআইএ মূল্যায়নের সাথে পরিচিত দুটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ অক্ষত রয়েছে। একটি সূত্রের দাবি, হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা সেন্ট্রিফিউজগুলোরও খুব কম ক্ষতি হয়েছে।

    সূত্রটি জানিয়েছে, “তাহলে [ডিআইএ] এর মূল্যায়ন হলো যে, আমেরিকা তাদেরকে হয়তো কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে।

    হোয়াইট হাউস গোয়েন্দা মূল্যায়ন স্বীকার করেছে, ট্রাম্পের জন্য আরও বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে এর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। যিনি এই হামলা নিয়ে হৈচৈ করেছেন। যে হামলাকে বিশেষজ্ঞরা আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন বলে মনে করেন।

    হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট মূল্যায়নের প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই কথিত মূল্যায়ন ফাঁস হওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হেয় করার এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করার জন্য নিখুঁতভাবে সম্পাদিত অভিযান পরিচালনাকারী সাহসী যোদ্ধা পাইলটদের অসম্মান করার একটি স্পষ্ট প্রচেষ্টা। সকলেই জানেন যে চৌদ্দটি ৩০,০০০ পাউন্ড বোমা তাদের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে ফেললে কী হয়? সম্পূর্ণ ধ্বংস।

    মার্কিন আগ্রাসনের আগের দিনগুলিতে ইসরায়েল ইতিমধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে নিজস্ব আগ্রাসন চালিয়ে আসছিল, যার ফলে ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছিল।

    সোমবার কাতারে মার্কিন পরিচালিত আল-উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে মার্কিন হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। যার ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। ইরানের দাবি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সামনে যুদ্ধবিরতি ছাড়া আর কোনও বিকল্প ছিল না।

    সিএনএন অনুসারে, মার্কিন বি-২ বোমারু বিমান দুটি প্রধান লক্ষ্যবস্তু; ফোরদো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্ল্যান্ট এবং নাতাঞ্জ এনরিচমেন্ট কমপ্লেক্স-- এ এক ডজনেরও বেশি বোমা মোতায়েন করেছিল। তবুও আক্রমণগুলি সাইটের সেন্ট্রিফিউজ এবং সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছিল।

    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    ইরানের পরমাণু ক্ষেত্র অক্ষত, মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক মূল্যায়নে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর। এতে জানা গেছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন বিমান হামলা পরও অক্ষত আছে। তারা পারমাণবিক কর্মসূচির মূল উপাদানগুলিকে ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে। যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সহযোগীরা দাবি করছেন, মার্কিন হামলায় সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে গেছে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা। পেন্টাগনের প্রাথমিক গোয়েন্দা ইউনিট প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ) মূল্যায়ন করা ফলাফলের সাথে পরিচিত চারটি সূত্র সিএনএন'কে এই কথা জানিয়েছেন। সিএনএনের একটি সূত্র অনুসারে, রবিবার সকালের আগ্রাসনের পরে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড (সেন্টকম) পরিচালিত যুদ্ধ মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন হামলাগুলো ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ক্ষমতা সম্পূর্ণ এবং সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে এটা ঠিক নয়। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবিবার ট্রাম্পের দাবির প্রতিধ্বনি করে বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। ডিআইএ মূল্যায়নের সাথে পরিচিত দুটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ অক্ষত রয়েছে। একটি সূত্রের দাবি, হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা সেন্ট্রিফিউজগুলোরও খুব কম ক্ষতি হয়েছে। সূত্রটি জানিয়েছে, “তাহলে [ডিআইএ] এর মূল্যায়ন হলো যে, আমেরিকা তাদেরকে হয়তো কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে। হোয়াইট হাউস গোয়েন্দা মূল্যায়ন স্বীকার করেছে, ট্রাম্পের জন্য আরও বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে এর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। যিনি এই হামলা নিয়ে হৈচৈ করেছেন। যে হামলাকে বিশেষজ্ঞরা আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন বলে মনে করেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট মূল্যায়নের প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই কথিত মূল্যায়ন ফাঁস হওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হেয় করার এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করার জন্য নিখুঁতভাবে সম্পাদিত অভিযান পরিচালনাকারী সাহসী যোদ্ধা পাইলটদের অসম্মান করার একটি স্পষ্ট প্রচেষ্টা। সকলেই জানেন যে চৌদ্দটি ৩০,০০০ পাউন্ড বোমা তাদের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে ফেললে কী হয়? সম্পূর্ণ ধ্বংস। মার্কিন আগ্রাসনের আগের দিনগুলিতে ইসরায়েল ইতিমধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে নিজস্ব আগ্রাসন চালিয়ে আসছিল, যার ফলে ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছিল। সোমবার কাতারে মার্কিন পরিচালিত আল-উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে মার্কিন হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। যার ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। ইরানের দাবি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সামনে যুদ্ধবিরতি ছাড়া আর কোনও বিকল্প ছিল না। সিএনএন অনুসারে, মার্কিন বি-২ বোমারু বিমান দুটি প্রধান লক্ষ্যবস্তু; ফোরদো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্ল্যান্ট এবং নাতাঞ্জ এনরিচমেন্ট কমপ্লেক্স-- এ এক ডজনেরও বেশি বোমা মোতায়েন করেছিল। তবুও আক্রমণগুলি সাইটের সেন্ট্রিফিউজ এবং সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছিল। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    JonoSathi React
    1
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে যা ঘটেছিল


    কাতারের মার্কিন ঘাঁটি আল উদেইদে হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আকস্মিকভাবে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। এর আগে হোয়াইট হাউসে ব্যস্ততা দেখা যায়; শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠকও হয়। এই পটভূমিতেই সিএনএনের এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে সেই সিদ্ধান্তের নেপথ্য কাহিনি।

    হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধবিরতির আগে ট্রাম্প সরাসরি কথা বলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে। একই সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যোগাযোগে ছিলেন। সেখানে মধ্যস্থতার ভূমিকা রাখে কাতার। ট্রাম্প একপর্যায়ে কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানিকে ফোন দেন।

    মার্কিন বাহিনী ইরানে হামলার ৪৮ ঘণ্টা পর তেহরান কাতারের ঘাঁটিতে পাল্টা আঘাত হানে। এরপরই ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে জানান, ইরান ও ইসরায়েল একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, যা ১২ দিনের সংঘাতের ইতি টানবে। তবে যুদ্ধবিরতির পরও পাল্টাপাল্টি অভিযোগে অস্থিরতা বজায় থাকে।

    মার্কিন প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা জানান, ইরান আক্রমণ বন্ধের শর্তে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। ট্রাম্প কাতারের আমিরকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সম্মত করাতে পেরেছে, এখন ইরানকে রাজি করাতে কাতারের সহায়তা প্রয়োজন।

    একটি সূত্র জানায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানির কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আলোচনার পর ইরান সম্মতি দেয়। এরপর ইরান ও কাতারের মধ্যে একাধিক ফোনালাপ হয়, যা যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করতে সহায়তা করে।

    ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, মার্কিন আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার পর শত্রু পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযান শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চলেছে। তিনি আগে বলেছিলেন, ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে ইরান প্রতিক্রিয়া দেখাবে না।

    ট্রাম্প জানান, ইরান ও ইসরায়েল উভয়ই তার সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতির কথা জানায়। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লেখেন, ‘দু’পক্ষ প্রায় একই সময়ে এসে জানায় তারা শান্তি চায়। আমি জানতাম, এটাই সঠিক সময়। মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বই এর আসল বিজয়ী।’

    হোয়াইট হাউসের মতে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলাই যুদ্ধবিরতির পথ খুলে দেয়।

    কূটনৈতিক সূত্র সিএনএনকে জানায়, ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলা তেহরানকে আলোচনায় ফিরিয়ে আনে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সংলাপের সম্ভাবনা তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছিল যুদ্ধকালেও ইরানকে আলোচনায় ফিরিয়ে আনতে। দুই পক্ষের মধ্যে বারবার বার্তা আদান-প্রদান হয়। এমনকি তুরস্কে ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের বৈঠকের চেষ্টাও হয়েছিল, যদিও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে যা ঘটেছিল কাতারের মার্কিন ঘাঁটি আল উদেইদে হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আকস্মিকভাবে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। এর আগে হোয়াইট হাউসে ব্যস্ততা দেখা যায়; শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠকও হয়। এই পটভূমিতেই সিএনএনের এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে সেই সিদ্ধান্তের নেপথ্য কাহিনি। হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধবিরতির আগে ট্রাম্প সরাসরি কথা বলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে। একই সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যোগাযোগে ছিলেন। সেখানে মধ্যস্থতার ভূমিকা রাখে কাতার। ট্রাম্প একপর্যায়ে কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানিকে ফোন দেন। মার্কিন বাহিনী ইরানে হামলার ৪৮ ঘণ্টা পর তেহরান কাতারের ঘাঁটিতে পাল্টা আঘাত হানে। এরপরই ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে জানান, ইরান ও ইসরায়েল একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, যা ১২ দিনের সংঘাতের ইতি টানবে। তবে যুদ্ধবিরতির পরও পাল্টাপাল্টি অভিযোগে অস্থিরতা বজায় থাকে। মার্কিন প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা জানান, ইরান আক্রমণ বন্ধের শর্তে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। ট্রাম্প কাতারের আমিরকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সম্মত করাতে পেরেছে, এখন ইরানকে রাজি করাতে কাতারের সহায়তা প্রয়োজন। একটি সূত্র জানায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানির কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আলোচনার পর ইরান সম্মতি দেয়। এরপর ইরান ও কাতারের মধ্যে একাধিক ফোনালাপ হয়, যা যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করতে সহায়তা করে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, মার্কিন আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার পর শত্রু পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযান শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চলেছে। তিনি আগে বলেছিলেন, ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে ইরান প্রতিক্রিয়া দেখাবে না। ট্রাম্প জানান, ইরান ও ইসরায়েল উভয়ই তার সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতির কথা জানায়। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লেখেন, ‘দু’পক্ষ প্রায় একই সময়ে এসে জানায় তারা শান্তি চায়। আমি জানতাম, এটাই সঠিক সময়। মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বই এর আসল বিজয়ী।’ হোয়াইট হাউসের মতে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলাই যুদ্ধবিরতির পথ খুলে দেয়। কূটনৈতিক সূত্র সিএনএনকে জানায়, ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলা তেহরানকে আলোচনায় ফিরিয়ে আনে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সংলাপের সম্ভাবনা তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছিল যুদ্ধকালেও ইরানকে আলোচনায় ফিরিয়ে আনতে। দুই পক্ষের মধ্যে বারবার বার্তা আদান-প্রদান হয়। এমনকি তুরস্কে ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের বৈঠকের চেষ্টাও হয়েছিল, যদিও তা বাস্তবায়ন হয়নি। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    JonoSathi React
    1
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
  • কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংস্কারের আলাপ কোথায়?


    জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা পূরণে ব্যাংক খাতের সংস্কারে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংস্কারে কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের কথা শোনা যাচ্ছে না। রাষ্ট্র সংস্কারে ইতিপূর্বে গঠিত ছয়টি কমিশনের রিপোর্টে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংস্কার নিয়ে কোনো আলোচনা ছিল না, এমনকি গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত ঐকমত্য কমিশনের এজেন্ডাতেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

    এ নিয়ে কোনো প্রত্যাশা বা প্রতিশ্রুতি কোনো সামাজিক বা রাজনৈতিক পরিসর থেকে উচ্চারিত হচ্ছে বলেও জানা যায়নি। কিন্তু বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্র, যেখানে রাজনীতি ও অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই অত্যন্ত দুর্বল, সেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংস্কার তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ বিষয়ে এখনই জাতীয়ভাবে সমন্বিত সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিকতা ও শক্তিশালী অঙ্গীকার প্রয়োজন।

    কেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরি

    আধুনিক অর্থব্যবস্থায় মানুষের শ্রম বা উৎপাদনের পুঞ্জীভূত রূপটিই হচ্ছে টাকা। একজন শ্রমিকের মজুরি, কৃষকের উৎপাদন কিংবা চাকরিজীবীর মাইনে সাধারণত টাকাতেই রূপান্তরিত হয়। একটি কাগজের নোট আদতে মূল্যহীন। কিন্তু সেই নোট তখনই মূল্যবান এবং বিনিময়ের সর্বজনগ্রাহ্য মাধ্যম তথা টাকা হয়ে ওঠে যখন রাষ্ট্র সেটি বাজারে ছাড়ার পাশাপাশি এই নিশ্চয়তা দেয় যে নোটটির বিপরীতে সমপরিমাণ সম্পদ গচ্ছিত আছে। কাগজের নোটটি তখন সম্পদ হয়ে ওঠে এবং সবাই সেই সম্পদে আস্থা রাখে। বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ও জনপ্রিয় লেখক ইউভাল নোয়াহ্ হারারির ভাষায়, টাকাই মানুষের উদ্ভাবিত সবচেয়ে সর্বজনীন ও সফল পারস্পরিক বিশ্বাসব্যবস্থা, যা ধর্মের মতোই কাজ করে। সুতরাং মানুষের বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই টাকা বাজারে চলে।

    কিন্তু যেহেতু জনগণের সমর্থন নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল সরকার গঠনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী (পাঁচ বছর) রাষ্ট্র পরিচালনা করে এবং বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সম্পূর্ণ ক্ষমতা তার হাতে থাকে, সেহেতু সাময়িক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণে সরকার বাজেট–ঘাটতি মেটাতে সম্পদের অতিরিক্ত টাকা বাজারে ছাড়তে পারে। এই ‘মোরাল হ্যাজার্ড’ (নৈতিক ঝুঁকি) দূর করতে এবং অর্থব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা বজায় রাখতে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় টাকা ছাপানো এবং অর্থব্যবস্থার একটি বড় অংশ দেখভালের কাজ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে সঁপে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজই হলো প্রথমত দেশের অর্থনীতিতে মূল্য স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং দ্বিতীয়ত, দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় মুখ্য ভূমিকা পালন করা।

    এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা ও পেশাদারত্ব অপরিহার্য, যা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত না হলে বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন হলে স্বল্পমেয়াদি রাজনৈতিক স্বার্থে বা গোষ্ঠী স্বার্থে টাকার অতিমুদ্রণ, ঋণনীতি শিথিলকরণ বা আর্থিক খাতে পক্ষপাতিত্বমূলক তদারকি হতে পারে, যা মুদ্রার প্রকৃত মূল্যহ্রাস, মজুরি হ্রাস, খাদ্যনিরাপত্তার ঝুঁকি বৃদ্ধি, আমদানি-রপ্তানিতে সংকট, মুদ্রা পাচার, স্বজনতোষী ধনতন্ত্র (ক্রনি ক্যাপিটালিজম) তৈরি ও ঋণ কেন্দ্রীভূতকরণের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ধীরে ধীরে বাজার থেকে বিতাড়িত করতে পারে। ফলে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে, বৈষম্য কমাতে ও দীর্ঘ মেয়াদে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
    #virel #love #romantic Jono Sathi #foryou #tranding
    কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংস্কারের আলাপ কোথায়? জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা পূরণে ব্যাংক খাতের সংস্কারে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংস্কারে কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের কথা শোনা যাচ্ছে না। রাষ্ট্র সংস্কারে ইতিপূর্বে গঠিত ছয়টি কমিশনের রিপোর্টে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংস্কার নিয়ে কোনো আলোচনা ছিল না, এমনকি গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত ঐকমত্য কমিশনের এজেন্ডাতেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এ নিয়ে কোনো প্রত্যাশা বা প্রতিশ্রুতি কোনো সামাজিক বা রাজনৈতিক পরিসর থেকে উচ্চারিত হচ্ছে বলেও জানা যায়নি। কিন্তু বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্র, যেখানে রাজনীতি ও অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই অত্যন্ত দুর্বল, সেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংস্কার তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ বিষয়ে এখনই জাতীয়ভাবে সমন্বিত সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিকতা ও শক্তিশালী অঙ্গীকার প্রয়োজন। কেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরি আধুনিক অর্থব্যবস্থায় মানুষের শ্রম বা উৎপাদনের পুঞ্জীভূত রূপটিই হচ্ছে টাকা। একজন শ্রমিকের মজুরি, কৃষকের উৎপাদন কিংবা চাকরিজীবীর মাইনে সাধারণত টাকাতেই রূপান্তরিত হয়। একটি কাগজের নোট আদতে মূল্যহীন। কিন্তু সেই নোট তখনই মূল্যবান এবং বিনিময়ের সর্বজনগ্রাহ্য মাধ্যম তথা টাকা হয়ে ওঠে যখন রাষ্ট্র সেটি বাজারে ছাড়ার পাশাপাশি এই নিশ্চয়তা দেয় যে নোটটির বিপরীতে সমপরিমাণ সম্পদ গচ্ছিত আছে। কাগজের নোটটি তখন সম্পদ হয়ে ওঠে এবং সবাই সেই সম্পদে আস্থা রাখে। বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ও জনপ্রিয় লেখক ইউভাল নোয়াহ্ হারারির ভাষায়, টাকাই মানুষের উদ্ভাবিত সবচেয়ে সর্বজনীন ও সফল পারস্পরিক বিশ্বাসব্যবস্থা, যা ধর্মের মতোই কাজ করে। সুতরাং মানুষের বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই টাকা বাজারে চলে। কিন্তু যেহেতু জনগণের সমর্থন নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল সরকার গঠনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী (পাঁচ বছর) রাষ্ট্র পরিচালনা করে এবং বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সম্পূর্ণ ক্ষমতা তার হাতে থাকে, সেহেতু সাময়িক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণে সরকার বাজেট–ঘাটতি মেটাতে সম্পদের অতিরিক্ত টাকা বাজারে ছাড়তে পারে। এই ‘মোরাল হ্যাজার্ড’ (নৈতিক ঝুঁকি) দূর করতে এবং অর্থব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা বজায় রাখতে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় টাকা ছাপানো এবং অর্থব্যবস্থার একটি বড় অংশ দেখভালের কাজ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে সঁপে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজই হলো প্রথমত দেশের অর্থনীতিতে মূল্য স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং দ্বিতীয়ত, দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় মুখ্য ভূমিকা পালন করা। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা ও পেশাদারত্ব অপরিহার্য, যা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত না হলে বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন হলে স্বল্পমেয়াদি রাজনৈতিক স্বার্থে বা গোষ্ঠী স্বার্থে টাকার অতিমুদ্রণ, ঋণনীতি শিথিলকরণ বা আর্থিক খাতে পক্ষপাতিত্বমূলক তদারকি হতে পারে, যা মুদ্রার প্রকৃত মূল্যহ্রাস, মজুরি হ্রাস, খাদ্যনিরাপত্তার ঝুঁকি বৃদ্ধি, আমদানি-রপ্তানিতে সংকট, মুদ্রা পাচার, স্বজনতোষী ধনতন্ত্র (ক্রনি ক্যাপিটালিজম) তৈরি ও ঋণ কেন্দ্রীভূতকরণের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ধীরে ধীরে বাজার থেকে বিতাড়িত করতে পারে। ফলে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে, বৈষম্য কমাতে ও দীর্ঘ মেয়াদে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। #virel #love #romantic [Jonosathi] #foryou #tranding
    JonoSathi React
    1
    · 0 মন্তব্য ·0 শেয়ার ·0 রিভিউ
More Results
Jono Sathi – Connecting Bangladesh https://jonosathi.com